বৃষ্টির_রাতে রূবাইবা মেহউইশ (৫)

0
388

#বৃষ্টির_রাতে
রূবাইবা মেহউইশ
(৫)

চট্রগ্রামে আসবে আর কক্সবাজারে যাবে না তা কি করে হয়! তাও যদি হয় বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা! মুরাদের ক্ষেত্রেও তাই হলো কিন্তু তার একা নয় বাকি বন্ধুরাও এর ফায়দা লুটছে। রাত বাজে এগারোটা তাসিনের গাড়ি চলছে কক্সবাজারের পথে। পেটের ভেতর খিদেটা বাঁদর নাচ নাচছে তার তবুও মুখ চেপে ড্রাইভিং করতে হচ্ছে। পাশে বসা রিমনের দিকে বার বার ক্রোধ মিশ্রিত চোখে তাকিয়ে ফোঁস ফোঁসও করছে বটে! এছাড়া উপায় কি তার। মুরাদের মত খাদক, পেটুক যে মেয়ে নিয়ে কখনো পালাতে পারে কথাটা কল্পনার বাইরে সব বন্ধুরই। তাসিন যখন অফিস পার্টিতে সুপ্রভাকে দেখেছিলো তখনই তার মনে ভয় জেগেছিলো। অশনিসংকেত ছিলো সুপ্রভার আগমন আর যখন সুপ্রভা তার বসের সামনেই ধমকে বলল, “রাখুন আপনার পার্টি৷ এক বেলা না খেয়ে থাকলে কিছু হবে না আর না পার্টি করলে। বেরিয়ে আসুন এক্ষুনি। স্যার আপনার কোন সমস্যা হবে তাসিন আজ পার্টিতে না থাকলে?” শেষের কথাটা তাসিনের বসের দিকে তাকিয়ে বলতেই লোকটা ভ্রু উঁচিয়ে নিজেই ভয় পেয়েছে এমন ভাব করে বলল, “না না মিসেস তাসিন ওকে এখন বিশেষ কোন প্রয়োজন নেই। নিয়ে যান আপনি৷ মিস্টার তাসিন এখনো দাঁড়িয়ে কি দেখছেন যান।” তাসিন বেকুব বনে গেছে বস আর সুপ্রভার আচরণে। কোন কিছু না বুঝেই বেরিয়ে এলো সুপ্রভার পেছন পেছন৷ সে শুনতে পেয়েছিলো বস হাসতে হাসতে তাঁর পাশের জনকে বলছে, “এরা নিশ্চিত প্রেম করে বিয়ে করেছে তাই বউ এমন ঝাড়ির ওপর রাখে। স্থান কালও খেয়াল করে না মেয়েগুলো!”

কথাটা তো সুপ্রভার কানেও গেছে কিন্তু মেয়েটা তাতে নির্বিকার। হলের গেইট পেরুতেই তাসিনের আক্কেলগুড়ুম হলো তিন বন্ধুর পাশে টিয়াকেও দেখে। তাসিনের বোঝা হয়ে গেল বন্ধুরা কোন ঝামেলা পাকিয়েছে এই মেয়েদের নিয়েই। বন্ধুরা কথা শুরু করার আগেই সে বলল, ” নিচে চল এখানে কোন কথা না।”

হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়ির কাছে গিয়ে তাসিন বন্ধুদের দিকে তাকালো। শুরু থেকে খেয়াল করছে টিয়া মেয়েটা মুরাদের গা ঘেঁষেই হাটছে এখনো দুজন পাশাপাশি৷

“এত রাতে তোরা এখানে কেন। আর এই ঝড়বৃষ্টি সাথে কেন?”

ঝড়বৃষ্টি বলার সময় তাসিন সুপ্রভা আর টিয়াকেই ইশারা করেছিলো। সুপ্রভা উত্তেজিত হতে গিয়েও হলো না। এখন কোন প্রকার ঝামেলা করা বিপদজনক বিশেষ করে ছেলের সংখ্যা যেখানে তিন আর তারা মাত্র দুজন মেয়ে। এমনিতেও তার তাসিনকে সেই রাত থেকেই অসভ্য মনে হচ্ছিলো। সে দাঁতে দাঁত চেপে শুনে গেল কথাটা।

তাসিন আবার কিছু বলতে চাইলে রিমন তাকে বলল, “রাগিস না এখন একটা বিপদ হয়ে গেছে।”

সুমন বলল, “হয়নি ঘটিয়েছে, এই যে দুই মানব-মানবী।” টিয়া আর মুরাদকে ইশারাকে।

“এরা দুটো বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে ভোরে। আর বিয়ে করেছে।”
সুমনের কথা শেষ হতেই বড় বড় চোখে তাকালো তাসিন। তার চোখে অবিশ্বাসের ছায়া। মুরাদ এসেছে মেয়ে নিয়ে পালিয়ে। অসম্ভব!

“মাথা ঠিক আছে তোদের? রিমন মেয়ে ভাগিয়েছে শুনলে মানা যায় কিন্তু এই খাদক খাবার ছেড়ে মেয়ে খাবে ইম্পসিবল!”

তাসিনের মুখের কথা শেষ হতেই সুপ্রভা আর টিয়া এমন করে তাকালো তার দিকে যে, শুকনো গলায় ঢোক গিলতে হলো। সে কিছুটা ভয়ই পেল বুঝি নারী দৃষ্টির ক্রোধানলে। মুরাদ অস্থির হয়ে বলল, “ভাই এখন ক্ষেপাস না। বিপদে পড়ার আগেই কিছু কর?”

“হয়েছেটা কি তা আগে বল।”

রিমন বলা শুরু করলো, “এই শালা নাকি ওই মেয়ে মানে ভাবীরে আগে থেকেই পছন্দ করতো। কোনদিন প্রপোজ করে নাই কিন্তু চোখাচোখি কারবার চলছিলো। তারপর হঠাৎ ভাবীর বিয়ে ঠিক হওয়ায় আর দেখাসাক্ষাৎ এর চেষ্টা করেনি। সেদিন ওই যে আম বাগানে দেখলো আবার নাকি পুরানা প্রেম জাগলো তাই কালকে লুকাইয়া দেখা করতে গেল। এদিকে ভাবীজিও নাকি এই বিয়েতে রাজী ছিলো না। ব্যস দুজনে কথা বলল তারপর মনের বিরহ যাতনা স্বীকার করলো দুইজনের দিকের। এরপরই পালানোর সিদ্ধান্ত৷ গবেট ব্যাটা তার মায়রে সব জানাইছে কিন্তু কাকী নাকি সম্মতি দেয়নি। এদিকে ভাবীর আজকে গায়ে হলুদ কালকে বিয়ে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন ভোরেই কিছু না ভেবে আর এই যে মহান নারী তিনিও কি সুন্দর বান্ধবীকে নিয়ে এসে আমাদের এলাকায় হাজির। মুরাদকে ফোন দিছে সেও মুখ হাত না ধুয়ে দেখা করলো। হঠাৎ প্ল্যান করে আমাকে আর সুমনকে খবর দিলো। ভাই বন্ধু বলে কথা টেনে বিপদ মাথায় নিয়ে দুটোর বিয়ে করিয়ে পালিয়েছি আমরাও।”

“খুবই উত্তম করেছো ভাইয়েরা আমার। নিজেরা তো বাঁশ খাবে সাথে আমাকেও শামিল করতে এসে হাজির হয়েছো। অতি উত্তম।”

ভর্ৎসনার গলায় বলল তাসিন৷ এতেই যেন ফোস্কা পড়লো সুপ্রভার গায়ে। সে চেঁচিয়ে উঠলো, “সেদিন তো একলা মেয়ে পেয়ে জোরজবরদস্তি সাহায্য দেখাতে এসেছিলেন। আজ কি হলো! ঝামেলার ভয়ে সাহায্য করার সাহস ফুরিয়ে গেল।”

সুপ্রভার কথাটায় কি যেন একটা সুক্ষ্ম খোঁচা ছিলো। খুব লাগলো তাসিনের৷ এই খোঁচা ছাড়াও সে তার বন্ধুর হেল্প করতোই। তাই এই মুহূর্তে সুপ্রভার সাথে ঝগড়া করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। সে বন্ধুদের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “কি করতে হবে বল?”

“একটা থাকার জায়গা বের করে দে এখন৷ কাল সকালে বুদ্ধি বের করতে হবে বাড়িতে যাওয়ার।” মুরাদ বলল কথাটা।

তাসিন হতাশ দৃষ্টিতে তাকালো সবার দিকে। সে নিজে থাকে নানার বাড়িতে। বড় মামিদের সাথে দোতলায় তার ঘর৷ সে তার নিজস্ব ঘরটাতে তিন বন্ধুকে অনায়েসেই থাকতে দিতে পারে কিন্তু মেয়ে দুটোর কি হবে!

“আমার পক্ষে বাড়িতে মেয়েদের নেওয়া সম্ভব না।”

“তো কি আমরা মেয়েরা রাস্তায় থাকবো?”

সুপ্রভার গলার স্বর উঁচু হলো।

“আমি সেটা বলছি না। এই হোটেলেই তৃতীয়, চতুর্থ তলায় হোটেল, রুম পাওয়া যাবে। তোমরা না হয় সেখানেই থাকো।”

সুমন বরাবরই চুপচাপ স্বভাবের তবুও সেই এখন মুখ খুলল, ” বুদ্ধি ভালো দোস্ত কিন্তু মেয়ে মানুষ দুটো রেখে যাওয়া সেফ নয়। আর বিয়েটা যেমনেই হোক মুরাদের বাসরটা হয়েই যাক আজ।” সুমনের কথায় যে হালকা একটু খোঁচা ছিলো তা বুঝতে পেরে ঘুষি মারলো মুরাদ। তাসিনেরও মনে হলো ভুল তো যা করার করেই ফেলেছে এখন না হয় বাসরটাও হোক। সে এবার সবার চেয়ে দু কাঠি ওপরে ভেবে বলল, “গাড়িতে বস সবাই।”

“কোথায় যাবো?”৷ সুপ্রভা প্রশ্ন করলো।

” বাড়িতে থেকে বের হওয়ার সময় ভেবেছিলে কোথায় যাবে?”

“তখন কি আর এতকিছু ভাবার সময় ছিল?”

“এখনও ভাবতে হবে না গাড়িতে উঠো।” তাসিন বলেই গাড়িতে উঠলো। তার পরপরই সুমন উঠে বসলো ড্রাইভিং সিটের পাশে তা দেখে রিমন চালাকি করে পেছনের সিটে তড়িঘড়ি উঠে বসলো। সুপ্রভা, মুরাদ আর টিয়া হা করে তাকিয়ে আছে রিমনের দিকে। এতে অবশ্য তার তেমন কোন হেলদোল নেই। তাসিন সিট বেল্ট বাঁধতে বাঁধতে ঘাড় ফিরিয়ে দেখলো।

“বাহ্, এককাজ কর রিমন তুই একাই যা আমরা সবাই নেমে পড়ি!” ব্যঙ্গ করে বলল তাসিন

“আমি কি করলাম! পেছনে সিট দুইটা অথচ মানুষ চারজন৷” কাচুমাচু করে বলল রিমন।

“শালা নাম গাড়ি থেকে।সামনে আয় সুমনের পাশে।”

“নাহ, দোস্ত ওই সিটে তিনজন মুশকিল।”

“বেশি কথা বললে গাড়ির উপরে বেঁধে নিয়ে যাব তোকে।” গলা চড়ল তাসিনের। রিমন নেমে গেল। পেছনের সিটে প্রথমে সুপ্রভা তারপর টিয়া তারপর মুরাদ বসলো। মেয়ে দুটোই মোটামুটি হ্যাংলা পাতলা বলে সমস্যা হচ্ছে না বসতে। যত সমস্যা বাঁধলো সামনে। এক সিটে সুমন আর রিমন৷ তারমধ্যে রিমন আর তাসিন দুজনেই ফিটনেসের দিক থেকে চওড়া, লম্বা। গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরপরই গাঁইগুঁই করছে রিমন৷ বসতে তার অবস্থা কাহিল। এক ঘন্টার রাস্তা শেষে কক্সবাজারের পৌঁছুতেই সবার অবস্থা শীতল হলো। মোটামুটি সমুদ্রের হাওয়া আর শো শো গর্জন কানে আসতেই প্রত্যেকের মন চঞ্চল হলো। সারাদিনের ভয়ানক মুহূর্ত আর পালিয়ে আসাটা মনে করে আর ভয় লাগছে না বরং অজাগতিক এক নিস্তব্ধতা মনকে প্রলুব্ধ করছে সবার। গন্তব্যে পৌঁছুতেই তাসিন জিজ্ঞেস করলো কোন হোটেলে উঠবে? আর রুম তো তিনটা লাগবে!”

এবারও রিমনই মুখ খুলল আগে, “হোটেল সিগ্যালে যাবো।”

“পকেটে কয় লাখ নিয়ে এসেছিস?” মুরাদ বলল কথাটা। রিমন বলল, “বিয়ে করলি আর বন্ধুদের ট্রিট দিবি না?”

“ওহ আচ্ছা, বিয়ের ট্রিট তোদের ফেমাস হোটেলে এনে দিতে হবে। তা বন্ধু বিয়ে করছে সে হিসেবে একটা ট্রিট তো তুইও দিবি। হানিমুন প্যাকেজটা তুই দে।”

“উফ, কি শুরু করলেন আপনারা? রাত বাজে একটা এখন একটা হোটেলেও জায়গা পাবেন কিনা দেখেন দামী জমদামী লাগবে না।”

সমুদ্রের গর্জন এত বেশি শোনা যাচ্ছে সেই সাথে বাতাসের নিশ্ছিদ্র আকুলতা কানে তালা লেগে যাওয়ার মত। তাসিনের পেটের খিদে আর ক্লান্তি সবটা আপনাআপনি এই বাতাসে মিশে যাচ্ছিলো। সে বন্ধুদের তর্কে কান না দিয়ে বলল, ” ছোট মামা কদিন আগে একটা হোটেলের রিভিউ দিয়েছিল। বলেছিলো সেখানে তিন রকম এমাউন্টে ঘর আছে আর তাদের হসপিটালিটি মনোমুগ্ধকর। নামটা হোটেল নির্ঝর না নির্জন কি যেন বলেছিলো। আর হোটেলের ওনার আবার ছোট মামার কেমন আত্মীয়ের যেন!”

তাসিন যখন হোটেল সম্পর্কে বলছিলো তখনি সুপ্রভা নাম খেয়াল করলো। নিজের ফোন বের করে প্রথমে হোটেল নির্ঝর পরে হোটেল নির্জন নামে সার্চ করলো গুগলে। লোকেশন পেতেই চেক করলো তারা হোটেলের আশেপাশেই আছে সুপ্রভা বলতেই তাসিন নামলো। সে এক দোকানদারকে জিজ্ঞেস করতেই দেখিয়ে দিলো হোটেলটা একটু সামনের দিকে। বিচ থেকে কাছাকাছি জায়গাটা। তাসিন সর্বশেষ কক্সবাজার এসেছে আরো পাঁচ বছর আগে। এতদিনে আরো কতশত নতুন হোটেল তৈরি হয়ে গেছে, পথঘাটে পরিবর্তন এসেছে৷ তবুও দু মিনিটের মধ্যেই তারা পৌঁছে গেল কাঙ্খিত হোটেলের সামনে। ভেতরে গাড়ি পার্কিং এর সুন্দর জায়গা থাকায় গেইটেই সবাইকে নামিয়ে তাসিন গাড়ি পার্ক করলো। এরপর সবাই একসাথে নিয়ে নিচতলায় রিসেপশনে কথা বলে জানতে পারলো দোতলায় একটি আর তিনতলায় একটি রুম খালি আছে। তাদের তিনটি রুম লাগবে কিন্তু সমস্যা আরো আছে। একটি রুমে মুরাদ টিয়া থাকবে। অন্যটিতে হয় তারা তিন বন্ধু নয় সুপ্রভা। তারা তিনজন নিচে দেখলো বিশাল জায়গা সময় কাটানোর মত আছে আবার চাইলে বিচে ঘুরেও রাতটুকু পার করতে পারবে কিন্তু সুপ্রভাকে একা রেখে যাওয়াটা কতোটা নিরাপদ! না চাইতেও তাসিনের চিন্তা হলো সুপ্রভাকে নিয়ে৷ তাসিন আবারও রিসেপশনিস্টকে বলল, “প্লিজ আমাদের আর একটা রুমের ব্যবস্থা করে দিন৷ দেখতেই পাচ্ছেন সাথে মেয়ে মানুষ আছে।” তাসিনের কথা শেষ হওয়ার পূর্বেই কেউ একজন তার পাশাপাশি এসে দাঁড়ালো। রিসেপশনিস্টকে উদ্দেশ্য করে বলল, “শায়খ, সন্ধ্যায় নাকি হাসপাতাল থেকে মেডিসিন বক্স দিয়ে গেছে একটা?”

“জ্বী স্যার।”

“আমার রুমে পাঠাওনি কেন? মেডিসিনগুলো নির্জনের প্রয়োজনীয় ছিল৷ আমি ভাবলাম তারা বুঝি এখনো পাঠায়নি।” খুবই শীতল কণ্ঠে বলল লোকটা তা শুনে তাসিনরা সবাই বেশ অবাক হলো। লোকটাকে দেখেই কেমন দাপুটে মনে হচ্ছিলো সবার। রিসেপশনিস্ট ছেলেটা একটা প্যাকেট এগিয়ে দিতেই লোকটা তা হাতে নিলো। ফিরে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই সে আবার থেমে গেল।

“আপনারা কি কোন প্রয়োজনে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন?”

প্রশ্নটা করতেই সুপ্রভা বলল, “জ্বী আমরা আসলে কক্সবাজার ঘুরতে এসেছি৷ এই হোটেলে রুম পাওয়া গেল দুটো আমাদের দরকার তিনটে।”

“ওহ আচ্ছা, আমি রিশাদ রায়হান, এটা আমারই হোটেল। আপনারা তো দেখছি ছয়জন।” কথাটা বলে কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে রিশাদ বলল, “আপনাদের তো ছয়জন তার মধ্যে মেয়ে দুজন। দু রুমেই একটু ম্যানেজ করতে পারেন আপনারা।”

“হ্যাঁ আসলে আমাদের একজন কাপল আছে সাথে না মানে আজই বিয়ে করে এসেছে।” সুপ্রভার এ কথার পর রিশাদ ভ্রু কুঁচকে তাকালো। কপালের মধ্যখানে সুক্ষ্ম এক রেখা স্পষ্ট তা দেখে কিছুটা আতংক বোধ করলো। তাদের ভয় কাটিয়ে রিশাদ বলল, “পালিয়ে এসেছে বাড়ি থেকে তাইতো!”

উপস্থিত একজনও আর হ্যাঁ না কিছু বলল না রিশাদের কথার জবাবে। সবারই মাথাটা কেমন নুয়ে গেল। রিশাদ আর কিছু না বলে হাতে থাকা ফোনটাতে কাউকে কল দিলো। কয়েক সেকেন্ড বাদেই উচ্চারণ করলো, “মেবিশ, একটু নিচে আসতে পারবে?”

ওপাশ থেকে কিছু বলতেই রিশাদ বলল, “আচ্ছা তুমি থাকো আমি কয়েকজনকে নিয়ে রুমে আসছি।”

চলবে
(আপনাদের হয়ত এ গল্পটা একদমই পছন্দ হচ্ছে না তাই মন্তব্য তো দূর রিয়াক্টও দেন না)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here