নেশাক্ত_ভালোবাসা #লেখিকাঃ Tamanna Islam #পর্বঃ ১৪

0
893

#নেশাক্ত_ভালোবাসা
#লেখিকাঃ Tamanna Islam
#পর্বঃ ১৪

পর্দার পাশে থাকা ছোট সুতা টা টান দিতেই ঢেউয়ের ন্যায় তা নিচে নেমে পরে। ইলা অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে তো আছেই। আর আব্রাহাম যেন দুই চোখ ভরে দেখছে। হ্যাঁ সেটা আর কিছু না বরং আইরাতের ছবি। বিশাল বড়ো এক ছবি। জলরঙের মাধ্যমে আকা এটা। আইরাতের অতিমাত্রায় হাস্যজ্জল একটা পেইন্টিং। দেখে যেন মনে হয় যে কেউ নিজের সব মাধুর্যতা, সব ভালোবাসা আর অনেক বেশি যত্ন দিয়ে বানিয়েছে। ইলা আব্রাহামের দিকে তাকায়। দেখে যে আব্রাহাম এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন কত্তো বছরের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে। এখন তার মুখে যে এক ঝলক দেখা যাচ্ছে ইলার মতে এমন কিছুটা সে এর আগের কখনো দেখেছিলো বলে মনে পরে না।

ইলা;; কে এই?

আব্রাহাম;; দাদি ও আইরাত।

ইলা;; ভালোবাসিস?

আব্রাহাম এবার তার দাদির দিকে ঘুড়ে তাকায়।

আব্রাহাম;; দাদি আমি আসলে জানি না যে একে ঠিক কি বলে, নাম কি এই অনুভূতির। আমি জানি না ভালোবাসা নাকি এটা তার থেকেও অনেক বেশি কিছু। আর কখনোই কারো জন্য আমার ভেতরে এমন কিছুই হয় নি। আমি জানি না কিচ্ছু। আমি শুধু এই টুকু জানি যে আইরাত আমার কাছে থাকুক, আমার পাশে থাকুক। আমাকে ছেড়ে না যাক।

ইলা;; হুম বুঝলাম।

আব্রাহাম;; দাদি এটাকে না আমি ঠিক আমার বেডের সামনে রাখবো বুঝলে। যেন প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আমি সোজা ওর ছবির দিকে তাকাই।

আব্রাহামের কথা শুনে তার দাদি হেসে দেয়। বেশ বুঝতে পারছেন যে তার নাতিন প্রেমে পাগল হয়ে গেছে। তবে এই ভেবে তার দাদি একটু শান্তি পায় যে যদি এই আইরাতের জন্য আব্রাহাম একটু তার রাগ টাকে কোন্ট্রল করতে পারে। সামনে তাকিয়ে দেখে আব্রাহাম অলরেডি ছবি সেট করার কাজে লেগে পরেছে। এভাবেই সেইদিন গেলো।


আইরাত, তার চাচা চাচি, রনিত সবাই ডাইনিং টেবিলের ওপর বসা ছিলো। কিন্তু আইরাত খাচ্ছে না। শুধু খাবার নাড়াচাড়া করছে। তা দেখে আইরাতের চাচা ইকবাল বলে ওঠে….

ইকবাল;; কিরে আইরাত কি হয়েছে খাচ্ছিস না কেন?

আইরাত;; আসলে চা….

কলি;; খাবে কীভাবে, খাওয়ার মুখ রেখেছে নাকি ও?

ইকবাল;; মানে কি হয়েছে?

কলি;; তা তোমার গুনোধর ভাগ্নী কেই জিজ্ঞেস করো না!

ইকবাল;; হ্যাঁ রে আইরাত কি হয়েছে বল দেখি!!

আইরাত;; মানে চাচ্চু আসলে আমার হোটেলের চাকরি টা চলে গেছে।

ইকবাল;; কি, কীভাবে? মানে কেন?

আইরাত;; ওইতো দুইদিন যাই নি কাজে। আর জানোই তো একটা ফাইভ স্টার হোটেলর রুলস গুলো কেমন হয়।

ইকবাল;; তাই বলে চাকরি গায়েব।

আইরাত;; চাচ্চু আমি আরেকটা চাকরির খোঁজ করছি।

ইকবাল;; ব্যাপার টা সেটা না, তোকে কাজ করতে যেতে হবে না।

কলি;; না যেতে হবে না তো ওর এই সব বারতি খরচ কে সামলাবে।

কলির এই কথা গুলো গতকাল থেকে শুনতে শুনতে কান গুলো যেন আইরাতের ঝালাপালা হয়ে গেলো। রাগও লাগছে ভীষণ। এবার আর আইরাত থাকতে না পেরে রাগে খাবার ছেড়ে টেবিল থেকে উঠেই পরলো৷

আইরাত;; ভাবতে হবে তোমাদের কাউকে। আমি আগামীকাল থেকেই আরেক টা কাজে জয়েন করছি৷ চিন্তা করো না টাকার বোঝা হবো না আমি তোমাদের কাছে।

এই বলেই আইরাত চলে যায়। চোখ দুটো দিয়ে কখন যে পানি পরে গেছে নিজেই বুঝে উঠতে পারে নি। আইরাতের চলে যাবার পর ইকবাল সাহেবও উঠে পরেন। খাওয়ার রুচি টাই মেরে ফেলেছে। আইরাত নিজের ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছে। হোটেল তো আর নেই তবে ভার্সিটি আছে। সেখানে যেতে হবে। রাগে কোন রিকশা অব্দি নেয় নি। হেটেই চলে এসেছে এতো রাস্তা। ভার্সিটির সামনে এসে দেখে দিয়া দাঁড়িয়ে আছে।

দিয়া;; কিরে এই এত্তো গরমের মাঝে হেটে এলি যে।

আইরাত;; রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। শোন আমি না বাড়ি তেই আর থাকবো না। পালিয়ে যাবো।

দিয়া;; কিইই কার সাথে পালাবি। আমায় বলিস ওকে। হেল্প লাগলে বলিস।

আইরাত;; দিয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া 😤

দিয়া;; আচ্ছা সরি সরি সরি। কুল বেবি কুল।

আইরাত;; আরে দেখ না কাল চাকরি গিয়েছে আর আজ থেকেই আমার চাচির খোটা শুরু। আমি কি করবো এখন!

দিয়া;; শোন আমি চাচ্চু কে বলেছি বুঝেছিস। ওই লতিফ কে আচ্ছা মতো বকেছে আমার সামনেই।

আইরাত;; তোর সাথে কিছু কথা ছিলো!

দিয়া;; হুম বল না।

আইরাত;; একটা অপশন আছে আমার কাছে।

দিয়া;; কি?

আইরাত;; আব্রাহাম চৌধুরী আমাকে উনার পারসোনাল পিএ হবার অফার দিয়েছেন।

দিয়া তার ওয়াটার পট থেকে পানি খাচ্ছিলো। আইরাতের কথা শুনে তার পানি একদম নাকে মুখে উঠে যায়। কাশতে কাশতে শেষ। আইরাত আস্তে আস্তে দিয়ার পিঠে চাপড় দিচ্ছে।

আইরাত;; ধুর কি যে করিস না, আস্তে দেখে শুনে খাবি তো।

দিয়া;; আহাম,, আহামা। আব্রাহাম চৌধুরী নিজে মানে দি আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী তোকে নিজে থেকে অফার করেছে নিজের পিএ হবার জন্য??

আইরাত;; হ্যাঁ।

দিয়া;; জীবনে আর কি লাগে রে। আব্রাহাম চৌধুরী পারসোনাল পিএ 😍। এই এই তুই কি বলেছিস?

আইরাত;; না বলে দিয়েছি।

আইরাতের কথা শুনে দিয়া তার মাথায় দেয় এক বারি হাতে থাকা সেই ওয়াটার পট দিয়েই।

দিয়া;; তোর মতো গাধা আমি আগে দেখে নি। এমন একটা অফার কেউ ফেরত দেয় বলদ৷ আর উনি নিজে তোকে বলেছেন তুই ভাবতে পারছিস আইরু। তুই কি মাথা মোটা রে। এই শুন না তুই রাজি না থাকলে আমাকে বল আমি এক পায়ে খাড়া।

আইরাত;; এই চুপ কর তো। ক্লাসে চল।

আইরাত আর দিয়া ক্লাসে চলে গেলো। ক্লাস তো চলছে কিন্তু কিন্তু আইরাত এক হাত মাথার সাইডে ঠেকিয়ে চিন্তায় মগ্ন। কি করবে কি না করবে ভেবে পায় না। বাড়ির যে অবস্থা। আচ্ছা আইরাতের কি উচিত আব্রাহামের পিএ হওয়া। কোনকিছু তেই মন বসাতে পারছে না। দিয়া তার পাশে তাকিয়ে দেখে আইরাত চিন্তার সাগরে ভাসছে। তা দেখে দিয়া এক ধাক্কা দেয়। আইরাত কল্পনা থেকে বাস্তবে আসে।

দিয়া;; কিরে কোথায় হারিয়ে গেছিস?

আইরাত;; না রে ভাবছি যে আসলে কি করবো!

দিয়া;; শোন কোন কাজই ছোট বড়ো হয় না৷ সব কাজ সমান। আমি তোর অবস্থা টা বুঝি। এখন উপায় নেই, রাজি হয়ে যা আব্রাহাম স্যারের অফারে।

আইরাত;; সত্যি!

দিয়া;; হ্যাঁ। আর এই সব চিন্তা এখন মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল তো।

আইরাত আর দিয়া ক্লাসে মনোযোগ দেয়। ২-৩ টা ক্লাস হয়েই ভার্সিটি শেষ হয়ে যায়। তবে আজ আব্রাহাম আইরাতের ভার্সিটিতে আসে নি। অফিসে কাজের চাপ ছিলো অনেক, বেশ কিছু ফাইল পেন্ডিং সেগুলো চেক আউট করতে হয়েছে। সব ঝামেলা তেই আব্রাহাম আইরাতের ভার্সিটি যেতে পারে নি। যার ফলে তার মেজাজ চরমে এখন। আর ওদিকে ভার্সিটির বাইরে দিয়া আইরাতকে আকড়ে ধরে ফুচকা খাওয়ার জন্য। ইচ্ছে মতো ঝাল দিয়ে গপাগপ খাচ্ছে ফুচকা। দিয়ার ঝালের চোটে নাকের পানি আর চোখের পানি এক হয়ে গেছে। তবে আইরাতের কিছুই হয় নি কারণ সে বেশ ঝাল খাবার খায়। দিয়ার অবস্থা দেখে আইরাত হাসতে হাসতে শেষ।

আইরাত;; এই জানু আরেকটু খাও ফুচকা। (মুখের কাছে ফুচকা ধরে)

দিয়া;; এই ছেরি যা তো এইখান থেইকা। আমি মরি আমার জ্বালায়। আল্লাহহহহহহহহহ 😖।

দিয়ার প্রচন্ড ঝাল লেগেছে। আইরাত অবস্থা বেগতিক দেখে দৌড়ে গিয়ে পাশের এক দোকান থেকে আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসে। দিয়ার সামনে এগিয়ে দিতেই দিয়া খাবলা মেরে নিয়ে নেয়। আইসক্রিম টা খেয়ে যেন এবার কিছুটা শান্ত হয়। দিয়া আইরাতের দিকে তাকায়। দেখে যে আইরাত আগের মতোই গিলছে এই ঝাল ওয়ালা ফুচকা।

দিয়া;; তুই কি মানুষ বইন?

আইরাত;; দেখে কি ডাইনোসর লাগে।

দিয়া;; এত্তো ঝাল কেমনে খাস 🥵?

আইরাত;; খাইতে দে চুপ কর।

তারা দুজনেই খাচ্ছিলো কিন্তু ঠিক তখনই একটা গাড়ি এসে আইরাতের ভার্সিটির সামনে থামে। বেশ জোরে ব্রেক কষে। আইরাত আর দিয়া সেদিকে তাকায়। দেখে তো বেশ একটা ভাবওয়ালা লাগছে। কিছুক্ষণ পরে একটা ছেলে নেমে আসে গাড়ি থেকে। আইরাত মুখে ফুচকা পুড়েই সেদিকে একটু তাকায়। আর দিয়া তো তাকিয়েই আছে। গাড়ি থেকে নেমে ছেলে টা অন্যদিকে ঘুড়ে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ করেই এই দিকে তাকায়। সাদা ক্লারের পেন্ট আর ব্রাউন কালারের শার্ট পরে আছে। ওপরে সফট্ ব্লু কালারের কোর্ট। আইরাত কপাল কুচকে তাকিয়ে থাকে। সেই ছেলে টা তার চোখ থেকে চশমা খুলে একবার আইরাতের দিকে তাকিয়ে ভার্সিটির ভতরে চলে যায়। ছেলেটার চাহনির ধরন কেমন যেন একটু আলাদা ছিলো। ছেলে টার ভার্সিটির ভেতরে যেতেই দিয়া বলে ওঠে….

দিয়া;; কিরে খাওয়া হলো তোর?

আইরাত;; খাওয়া তো হয়েছে। কিন্তু এই কে ছিলো রে। এর আগে তো কখনো দেখি নি।

দিয়া;; আমিও দেখি নি। কি জানি কে ছিলো।

আইরাত;; আচ্ছা যাই হোক। বাদ দে চল।

অবশেষে দুইজন দুইজনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এসে পরে। দিয়া চলে গেছে কিন্তু আইরাত রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আব্রাহাম আসে বাইক নিয়ে সাই করে। আইরাত একটু পিছিয়ে যায়।

আব্রাহাম;; হেই বেবিগার্ল কি করো?

আইরাত;; ভার্সিটির সামনে মানুষ কি করে!

আব্রাহাম;; আচ্ছা যাই হোক। উঠে পরো।

আইরাত;; কোথায় উঠবো?

আব্রাহাম;; বাইকে।

আইরাত;; আমি আপনার সাথে কেন যাবো?

আব্রাহাম;; এখন কি ভালো ভাবে যাবে নাকি আমি উলটা পালটা কিছু একটা করে বসবো! (এক ভ্রু উচু করে)

আইরাত;; দেখুন রাস্তার মাঝখানে প্লিজ কোন সিন ক্রিয়েট করবেন না। প্লিজ যান এখান থেকে।

আব্রাহাম;; আইরাত উঠতে বলেছি৷ (চোখ গরম করে)

আইরাত;; না যাবো না আমি।

আইরাত যাচ্ছে না দেখে আব্রাহাম নিজেই আইরাতের হাত ধরে এক রকম জোর করেই বাইকে বসিয়ে দেয়। আইরাত আব্রাহামের বাইকের পেছনে বসে আছে।

আব্রাহাম;; ধরে বসো নয়তো পরে যাবে।

আইরাত;; ধরতে পারবো না।

আব্রাহাম;; ওকে না ধরলে।

এই বলেই আব্রাহাম বাইক ইচ্ছে করেই জোরে স্টার্ট দেয় আইরাত পরে যেতে ধরলে তার হাত গুলো আপনা আপনিই আব্রাহামের জেকেট খামছে ধরে। আব্রাহাম বাইকের ফ্রন্ট গ্লাসে আইরাতের এমন ভয়ার্ত ফেইস দেখছে আর বাকা হাসছে।

আব্রাহাম;; বুঝলে তো ঘি সোজা আঙুলে না উঠলে আঙুল বাকা করতে হয়।

এই বলেই আব্রাহাম বাইক নিয়ে চলে যায়। কিন্তু কেউ একজন তাদের দিকে এক শকুন নজরে তাকিয়ে আছে। যেন আব্রাহাম আর আইরাত কে সহ্য করতে পারছে না।
আব্রাহাম আর আইরাত যাচ্ছে তখনই আব্রাহাম বলে ওঠে…

আব্রাহাম;; তো কি ভাবলে?

আইরাত;; কিসের কি ভাবলাম?

আব্রাহাম;; আমার পিএ?

আইরাত কিছুক্ষন ভেবে বলে…

আইরাত;; হ্য হ্যাঁ আমি, আমি রাজি।

আব্রাহাম;; সিরিয়াসলি?

আইরাত;; হ্যাঁ।

আব্রাহাম;; দশটা থেকে অফিস এসে পরো কাল। মেনেজার সব বুঝিয়ে দিবে তোমায়।

এই কথা বলেই শেষ, তারপর আব্রাহাম আর আইরাতের মাঝে কোন কথা হয় না। আব্রাহাম আইরাতকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। আইরাত নেমে সোজা বাড়ি চলে যায়। আব্রাহামও বাড়ি চলে যায়। তবে বাড়ি গেতেই আব্রাহামের মাথা গরম হয়ে যায়। ইলা ড্রোইং রুমে বসে ছিলো আব্রাহাম এসে তার পাশেই বসে…..

ইলা;; আব্রাহাম..!

আব্রাহাম;; বলো দাদি।

ইলা;; ও এসে গেছে।

আব্রাহাম সোফাতে বসে ফোন ঘাটছিলো কিন্তু তার দাদির কথা শুনে কপাল কুচকায়।

আব্রাহাম;; কে এসেছে?

ইলা;; রায়হান।

আব্রাহাম;; হ্যাঁ ভালো তোমার নাতিন এসেছে। এখন কি তুমি তার কাছে যেতে চাইছো? (গম্ভীরমুখে)

ইলা;; এভাবে কেন বলছিস সোনা! রাগিস না।

আব্রাহাম;; দাদি আমি রাগি না। তুমি জানো যে আমি তোমার সাথে রাগ করতে পারবো না। তবে ভালো হবে যদি তুমি ওই রায়হানের কথা আমার সামনে না বলো তো।

ইলা;; তোরই তো আপনজন হয় নাকি..!

আব্রাহাম;; হাহাহা,, হাসালে দাদি৷ আমার আপন ওই রায়হান। হাহ্ ছেড়ে দাও দাদি৷ আমার আপন বলতে তুমি ছাড়া আর কেউ নেই।

এই রায়হানের কথা শুনলে আব্রাহামের রক্ত গরম হয়ে যায়। আব্রাহাম সেখানে আর বসে থাকতে না পেরে নিজের রুমে চলে যায়। রুমে গিয়েই নিজের জেকেট টা খুলে ছুড়ে ফেলে। শার্টের হাতা গুলো ফোল্ড করে নেয়, রাগে হাতের রগ গুলো ফুলে উঠেছে। আব্রাহামের জীবনে যদি কাটা বলতে কোন শব্দ থাকে তাহলে এই রায়হান। এখন প্রশ্ন হলো এই রায়হান টা আবার কে….!?

এদিকে আব্রাহামের দাদি পরে যায় আরেক চিন্তায়। এখন এই আব্রাহাম আর এই রায়হানের মাঝে আবার দন্দ বেধে না গেলেই হয়েছে।





চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here