প্রিয়তমা❤️ #সিজন_২ #writer- সালসাবিল সারা পর্ব-৪১

0
1052

#প্রিয়তমা❤️
#সিজন_২
#writer- সালসাবিল সারা
পর্ব-৪১
*
*
অনার্সের রেজাল্ট দিয়েছে মাস খানেক হলো।আমি সিজিপিএ ৩.৮৬ পেয়েছি।জুমু আমার চেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে।

বাড়িতে এখন জাকঁজমোক পূর্ণ পরিবেশ।ইতি আপুরা আসলেন বেশ কিছুদিন আগেই।ইতি আপুর ছেলে ওয়াফি সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখে। ওয়াফির কথাগুলো বেশ কিউট লাগে।সারাক্ষণ দৌড়াদৌড়িতে তার সময় কাটে।রাফিদ ভাইয়া এখনো আসেনি বাংলাদেশে।উনি আসতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে।আম্মু তার নাতিকে পেয়ে ভীষন খুশি। আম্মু এখন কাজ ফেলে তার নাতির সাথে খেলা করতে বসে যান।

বাসার সবাইকে হাসিখুশি দেখতে প্রচন্ড ভালো লাগে।আর সাদিফ, সে তো বাসায় আসলেই ওয়াফিকে আদর করা শুরু করেন। সাদিফ বরাবরই বাচ্চা পাগল।নিজের বাচ্চাকে পেলে তখন মনে হয় আমাকেই ভুলে যাবেন তখন।
লোকটা দিনদিন আরো সুন্দর হয়ে যাচ্ছেন। রাত জেগে থাকার কারণে উনার চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে হাল্কা।উনার ফর্সা গালে এই চোখের দাগটা আমার কেনো যেনো বেশ ভালো লাগে।অবশ্য চোখের নিচে দাগ আমার জন্যেই পড়েছে।
কারণ আমার জন্য উনি ঘুমুতে পারেন না।রাত হলেই কেনো যেনো আমার ঘুম আসেনা।সাথে প্রচন্ড ক্ষুদা লাগে।আধারাতে উনাকে উঠিয়ে দিই আমি।
এরপর উনার কাছে নানা ধরনের খাবারের আবদার করতে থাকি।আর উনিও কেমন মানুষ কখনো মানা করেননি আমাকে।উল্টো আমাকে সহ নিয়ে যান রান্নাঘরে। এরপর আমাকে চেয়ারে বসিয়ে,নিজেই নানা কাজ করতে থাকেন।আর কাজের মাঝখানে আমাকে আদর করে যান।

উনার এই পাগলাগমোগুলো দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।উনার ধারণা উনার বেবি আমার পেটে আসতেই আমি আরো সুন্দর হয়ে গিয়েছি।যাকে বলে চোখ ধাঁধানো সুন্দর।মাঝে মাঝে সকালে ঘুম ভাঙ্গলে দেখি,উনি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকেন।আমি চোখ খুলতেই আমার সারামুখে আদরে ভরিয়ে দেন উনি।উনাকে দেখে মনে হয় উনিই দুনিয়ার সবচেয়ে সুখী মানুষ।

সবাই বসে আছেন লিভিংরুমে।কিন্তু আমার একটুও বসতে মন চাচ্ছে না।তাই আমি পিলারের দিলে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ওয়াফি আমার পায়ের কাছেই খেলছে।

“মামীমনি, তুমি তি আমার সাতে প্লে করবে?”(ওয়াফি)

ওয়াফির কথায় আমি মাথা নিচু করে ওর দিকে তাকালাম।
ওয়াফি ফ্লোরে সব খেলনা ছড়িয়ে বসে আছে।আর সে তিনটা খেলনা নিজের কাছে রেখে বাকিগুলো অন্যদিকে সরিয়ে রেখেছে।

আমার প্রেগন্যান্সির এখন ছয় মাস চলছে।এখন তো আমার পক্ষে ফ্লোরে বসে বাবুটার সাথে খেলা সম্ভব না।

“হ্যাঁ,অবশ্যই মামী তোমার সাথে প্লে করবে।কিন্তু মামী তো ফ্লোরে বসতে পারবো না।”

“হুয়াই, মামী?”(ওয়াফি খেলনা হাতে নিয়ে বললো)

আমি পেটে হাত রেখে বললাম…

“এইযে তোমার ছোট বোন বা ভাইয়ের কারণে।”

ওয়াফি কি বুঝলো আল্লাহ্ জানেন।সে উঠে এসে আমার পেটে একটা কিসে দিলো।

“ওকে,আমরা বেডে বসে প্লে করবো, লেটস গো।”

ওয়াফি ওর সব খেলনা তার খেলনার ট্রলিতে নিয়ে নিলো।

“ফুল, ওয়াফি কই যাচ্ছিস তোরা?”(ইতি আপু)

“আমরা প্লে করবো মাম্মা।”(ওয়াফি)

“আপু, ও খেলতে বলছে ফ্লোরে। কিন্তু আমি তো ফ্লোরে বসে খেলতে পারবো না।তাই,রুমে নিয়ে যাচ্ছি ওকে।সোফায় বসতে মন চাচ্ছে না আমার। নাহয়,এইখানে বসেই খেলতাম।”(আমি)

“আরে ব্যাপার না।নিয়ে যা।ছেলেটা তো সারাদিন তোর সাথেই লেগে থাকে।
বাবা,ডোন্ট হার্ট মামী ওকে?”
(ইতি আপু)

“শিউর মাম্মা।”(ওয়াফি)

এতোটুকু বাচ্চার এত স্পষ্ট বুলি শুনে আমি সবসময়ই অবাক হই। ওয়াফি তার বয়সের তুলনায় একটু বেশি পাকাপোক্ত।

আমি একহাতে ওয়াফির খেলনা ট্রলি নিলাম। আর আমার অন্য হাত ওয়াফি ধরে আছে।
রুমে গিয়ে আমি খেলনার ট্রলি বেডে রাখলাম।আর ওয়াফি এক লাফেই বেডের উপর উঠে গেলো। বেডের সাথে বালিশ দিয়ে, বসার জন্যে আমার জায়গা ঠিক করে নিলাম।

ততক্ষণে ওয়াফি বেডের উপর খেলনা সব নিয়ে নিলো।

“মামী,কি প্লে করবো আমরা?”(ওয়াফি)

আমি আমার সুবিধামতো বেডে হেলান দিয়ে বসে ওয়াফিকে বললাম…

“ইউর উইশ বেবি।কি প্লে করতে চাও?”

“পাজেল?”

“ওকে গ্রেট। লেটস প্লে পাজেল গেম।”

এরপর পাজেল দিয়ে আমি আর ওয়াফি নির্দিষ্ট টাইম এর মধ্যে কিছু বানানোর চেষ্টা করতে লাগলাম।

আমি বানানোর আগেই ওয়াফি পাজেল দিয়ে খুব সুন্দর একটি ঘর বানিয়ে ফেললো।

“মামী সি। আই অ্যাম দা উইনার।ইয়াহু”(ওয়াফি)

ওয়াফির কথায় আমি মুচকি হাসলাম। ওয়াফি পাজেল দিয়ে বানানো ঘরটি নিয়ে দৌড় দিল, তার মাকে দেখানোর জন্য।

আমি তার যাওয়ার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে, আস্তে আস্তে বেডে পড়ে থাকা খেলনা গুলো খেলনার ট্রলিতে ঢুকিয়ে রাখছি।

ট্রলিতে খেলনা ঢুকিয়ে নিতেই, সাদিফ আসলো রুমে।

“হাই জান।”

আমাকে হাই দিয়ে উনি ওয়াশরুমে চলে গেলেন ফ্রেশ হতে।সাধারণত বাহির থেকে আসলে উনি আগে ফ্রেশ হতে চলে যান। এরপর আমার কাছে আসেন।আমি প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর থেকেই উনার যতসব এক্সট্রা কেয়ারিং বেড়েই চলেছে।

আমি উনার দিকে এক পলক তাকিয়ে ছিলাম। ছাই রঙের শার্ট আর ব্ল্যাক প্যান্ট পড়েছেন উনি।বুকের উপর তিনটা বোতাম খোলা উনার।উনাকে দেখতে প্রচন্ড হট লাগছে।সকালে উঠে আমি উনাকে দেখিইনি আজ।আমি ঘুম থেকে উঠার আগে উনি চলে গিয়েছিলেন কাজে।

ওয়াশরুম থেকে বের হলেন উনি খালি গায়ে আর প্যান্ট তো উনার পড়নে আছেই।
উনি উনার চুলের উপর হাত চালিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন।আমার কোলের মধ্যে শুয়ে পড়লেন উনি। আমার পেটে চুমু দিয়ে বললেন…

“কখন উঠেছো ঘুম থেকে?”

“সাড়ে এগারোটার পরে।আপনি আজকে কল দেননি কেনো?আমি দিয়েছিলাম কল, তাও রিসিভ করেননি।”

“ব্যস্ত ছিলাম।খেলনার ট্রলি বেডে কেনো?”

“ওয়াফি এসেছিলো খেলতে। পাজেল দিয়ে ঘর বানিয়ে আপুকে দেখাতে গেলো।”

“ওহহ আচ্ছা।তাই বলো।তুমি কিছু বানাওনি?”

“আমি বানানোর আগেই তো সে বানিয়ে ফেললো ঘর।”

“হাহাহা,একটা ছোট্ট বাচ্চার সাথে কম্পিটিশনে পারিসনি।আসলে কি আর বলবো? তুই নিজেই তো একটা বাচ্চা।”

“চুপ করুন।আমি কিছু মাস পরেই বাবুর মা হবো।আর আপনি আমাকে এখনো বাচ্চা ডাকছেন?লজ্জা করে না আপনার?”

সাদিফ আমার কোল থেকে মাথা উঠিয়ে আমার গলায় একটা কামড় দিলেন।
আমি ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠলাম।আর সাথে সাথেই গলায় হাত দিয়ে চেপে ধরলাম।

“এতো বছর ধরে এতো কামড় খেয়েছিস।এখনো ব্যাথায় এমন করিস কেনো? আমার যে লজ্জা নেই,এর আর কতো প্রমাণ দিবো!”

“উফফ,সরুন তো।দেখছেন আমার শরীর খারাপ।তার মধ্যেও আপনার এসব করা লাগে?ব্যাথা পায়নি আমি গলায়?”

সাদিফ আমার গলা থেকে আমার হাত সরিয়ে দিলেন।গলায় এবার ছোট ছোট চুমু দিয়ে গলার দিকটা একদম ভিজিয়ে দিলেন।

“এবার ঠিকাছে?নরম নরম কিস দিয়েছি গলায়।কেমন শরীর খারাপ লাগছে আমার বউয়ের?আমার বাচ্চাটা কি বেশি জ্বালাচ্ছে?”

“নাহ পেটে পেইন করছিলো হাল্কা।এখন ঠিক আছি।আপনি এতো খারাপ কেনো?আর যদি কামড় দিয়েছেন.. আপনার সাথে আমি আর থাকবো না।”

আমার কথায় উনি হা হা করে হেসে উঠলেন।

এইভাবে হাসার কারণ কি,সেটা জিজ্ঞেস করার আগেই উনি আমার ঠোঁটে হামলা চালিয়ে দিলেন।

“মামা,আমাকেও মামীর মতো কিসি দিবে?”

ওয়াফির কথার আওয়াজ শুনে আমি সাদিফকে নিজের থেকে ঠেলে সরিয়ে দিলাম।

ওয়াফি এক দৌড়ে এসে সাদিফের কোলে উঠে গেলো।

“অবশ্যই চ্যাম্প,তোমার মামীর আদর স্পেশাল আর তোমার আদর হবে স্পেশাল।”
কথাগুলো বলেই সাদিফ ওয়াফিকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলো।আর ওয়াফি হা হা করে হাসছে।

ওদের এমন কান্ড দেখে আমিও হেসে উঠলাম।

এই দুইজন মামা ভাগ্নে এখন বেডের উপরে বালিশ নিয়ে মারামারি করছে।অবশ্য সাদিফ আমার দিকে পিঠ দিয়ে বসেছেন।যেনো কোনো ভাবেই আমার গায়ে বালিশ না পড়ে।

বসে থাকার ফলে আমি প্রচন্ড বোর হচ্ছি।তাই আমি বেড থেকে নেমে দাঁড়ালাম।

“কোথায় যাচ্ছো?”

“কয়টা বাজে!লাঞ্চ করবেন না?”

“তুমি খাওনি এখনো?”

“কেউ তো খায়নি।আপনার সেদিকে খেয়াল আছে?”

” এখন তিনটা বাজে।এখনো না খেয়ে বসে আছিস কেনো?দুপুরের মেডিসিন বিকালে খাওয়ার জন্যে বসে আছিস তুই?নিজের শরীর খারাপ সেটা মাথায় নেই?”

“আজিব,আমাকে কেনো বকছেন?আপনি খাওয়ার পরেই তো আমি খাই।আর আজকে আপনি না কোনো ফোন দিলেন, না কিছু বললেন।আম্মু আমাকে বলেছিলো আগে খেয়ে নিতে,কিন্তু আমি আপনার অপেক্ষায় খাইনি।”

“প্রত্যেকদিন এমনটা করা লাগবে?আজকে কাজের চাপ বেশি ছিলো,তাই কল করতে পারিনি। এতো বড় হয়েছিস
এখনো এসব বুঝিস না?ওষুধ না খেলে পেটে ব্যাথা করে, কষ্ট পাস তখন ভালো লাগে বেশি?”

সাদিফের এমন কথায় আমার চোখ ভরে এলো।যার জন্যে অপেক্ষা করেছিলাম সেই আমাকে কথা শোনাচ্ছে।

“আজিব ব্যাপার কাঁদছিস কেনো ফুল?”
সাদিফ বেড থেকে নামার আগেই আমি চোখের পানি মুছে কিছু না বলেই চলে গেলাম।

প্রচন্ড কান্না পাচ্ছে আমার।আমাকে এমন বকা দেওয়ার কি কারণ বুঝিনা আমি।চোখের পানি মুছে নিলাম ভালো করে।

“আম্মু,লাঞ্চ সার্ভ করবে না?তিনটা বাজে।”

“হ্যাঁ, আয় তো মা।ইতি, জুমু এরা একটু আগে পাস্তা খেয়েছিলো তাই আর ভাত সার্ভ করিনি।তোকে তো বললাম খেয়ে নিতে,কিন্তু তুই না করে দিয়েছিস।”

“আচ্ছা আসো।”

আম্মু আমার আগে চলে গেলো কিচেনের দিকে।আমি আম্মুর পিছে যেতেই ইতি আপুর আওয়াজ শুনতে পেলাম।

“এই ফুল!কি হলো?চোখমুখ এমন লাগছে কেনো?”

“কই না তো,কিছুই না।এমনি শরীর খারাপ লাগছিলো।”

“আচ্ছা তুই বসে থাক।আমি করছি মায়ের সাথে কাজ।তুই রেস্ট কর।আর তাছাড়া,আশা খালা আছে।উনি মাকে হেল্প করবে।”

“না,সমস্যা নেই।আর আশা খালা রান্নাঘর পরিষ্কার করছে।তুমি বসে পড়ো ডাইনিং এ।আমি পারবো কাজ করতে।”

ডাইনিং সবাই এসে বসেছে।মুটামুটি সব খাবার এনে রেখেছি টেবিলে। ওয়াফিকে আপু খাইয়ে দিয়েছে খাবার।
সাদিফও এসে বসেছেন।জুমু তাসফিয়ার সাথে বের হয়েছে। জুমু রেস্টুরেন্টে করে নিবে লাঞ্চ।

আমি আম্মুর পাশে বসলাম খেতে। আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম, সাদিফ রাগী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
কিন্তু তাতে আমার কি!কথা বলার সময় তো মুখে কথা বাজে না তার।যা নয় তা ব্যাবহার করেন আমার সাথে।

সাদিফ প্লেট নিয়ে উঠে পড়লেন।আমি একটু তাকিয়ে,আমার প্লেটে অল্প ভাত নিয়ে সেগুলো খাওয়ার জন্যে মন দিলাম।

আমার পাশের চেয়ার টেনে সাদিফ বসে পড়লেন।আমার প্লেট হতে নিয়ে, প্লেটের সব ভাত উনি উনার প্লেটে নিয়ে নিলেন।

“কিরে, মেয়েটাকে ভাত খেতে দিবি না তুই? সাদি!”(আম্মু)

“না দিবো না।কারণ ওকে আমি খাইয়ে দিবো।”(রাগী গলায়)

“আ..আমি খেতে পারবো..আপনার কষ্ট করা লাগবে না।”

“জিদ দেখাচ্ছিস আমার সাথে?? এতোক্ষণ ধরে না খেয়ে আছিস,আবার জিদ করছিস!আমি খাইয়ে না দিলে তুই চড়ুই পাখির পরিমান ভাত খেয়ে উঠে যাবি।”(রাগী গলায়)

আমি কিছু বললাম না।চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম, যে যার যার ভাত খাচ্ছেন।খালুও চুপচাপ।কারণ উনার ছেলের মাথায় রাগ উঠেছে.. এটা সবাই বুঝেছেন।

আমি কিছু না বলে,চুপচাপ ভাত গিলছি।আর উনি এক লোকমা আমাকে দিচ্ছেন,আরেক লোকমা নিজে খাচ্ছেন।

খাওয়ার পর্ব শেষ করে আমি খালামনির সাথে সব কিছু কিচেনে রাখতে গেলে আবারো উনি চেঁচিয়ে উঠলেন..

“আবার কাজে লেগে পড়েছে।ওষুধ কবে খাবি?আশা খালা!আশা খালা!”

উনার চিল্লানো শুনে আশা খালা দৌড় দিয়ে এলো কিচেন থেকে।

“আপনি টেবিল পরিষ্কার করে দিন। এন্ড মা তুমিও যাও। মেডিসিন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো। বাকি কাজ আশা খালা করবেন।”

উনি উনার বক্তব্য দিয়ে আমার হাত ধরে আস্তে করে পা ফেলে আমাকে রুমে নিয়ে গেলেন।
আমি বেডে বসে মাথার উপর থেকে ওড়না ফেলে,খোঁপা করা চুলগুলো খুলে দিলাম।মাথা ব্যাথা করছে প্রচন্ড। বেডের ড্রায়ার খুলে ওষুধ নিয়ে খেয়ে নিলাম। সাদিফ রুমের সোফায় বসে এক নজরে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।কিন্তু আমি উনার এই লুক ইগনোর করছি।

প্রেগন্যান্সির সময় স্বস্তির জন্যে সবাই মেক্সি পড়ে।কিন্তু আমার এই মেক্সিকে মনে হচ্ছে অনেক পেইন।

বেডের ড্রায়ার থেকে ভিক্স নিলাম মাথায় মালিশ করার জন্যে।
আমি মাথায় ভিক্স দিতে গেলেই,দ্রুত গতিতে সাদিফ আমার কাছে চলে এলেন।
আমি উনার দিকে অবাক চোখে তাকাতেই আমার থেকে
ভিক্স নিয়ে নিলেন সাদিফ।

“মাথা ব্যাথা করছে?”

আমি চুপ করে থাকলাম।কিছুই বললাম না।

“জান!কিছু আস্ক করছি…আনসার মি!”

“করলেও আপনার কি?আমার যায় হোক,আপনার তাতে কি?”

সাদিফ অল্প পরিমাণ ভিক্স নিয়ে আমার মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া শুরু করলেন।

“বেশি বকবক করছিস।একটু বকা দিলেই এমন করা লাগে?আমার বাচ্চাটা খাবার তোর থেকেই তো পায়।তুই যতো দেরি করবি বাবুর ততোই কষ্ট হবে।তাই বাবুর বাবা হিসেবে বাবুর মাকে বকা দেওয়া আমার দায়িত্ব।আর বাবু খাবার না পেয়ে বাবুর মাকে ডিস্টার্ব করবে। সো,আমার বউয়ের কষ্ট হবে তখন।আমার বউয়ের কষ্ট হলে আমারও কষ্ট হবে।তাই,বকা দেওয়াটা আমার ভালোবাসার মধ্যে পড়ে।”

“হুঁ, বকায় তো দিতে পারবেন।দিন সমস্যা নেই।”

“কেনো নেই”?

“জানিনা।”

“কি জানিস?”

“কিছু না।”

“কেনো না?”

“আপনার মাথা”।

“চুমু দে”।

“না দিবো না।”

“না দিলে,চুমু কিভাবে নিতে হয় আমার বেশ জানা আছে।”

আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকাতেই উনি আমার ঠোঁটে আক্রমন শুরু করলেন। এমন ভাবে কিস করছেন উনি আমাকে,এক পর্যায়ে আমিও উনার চুমুতে সাড়া দিতে শুরু করলাম।

চলবে…❤️

কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দয়া করে কেউ গল্প কপি করবেন না।আমার পেজ ছাড়া আমি আর কোথাও গল্প পোষ্ট করবো না।সো,কপি করা নিষেধ।

জানি ছোট হয়েছে।হাত ব্যাথা করছে আমার। তাও সবাই অপেক্ষা করছো,সেই কারণে আমি ছোট্ট করে লিখে পোস্ট করলাম।
আমি রিভিশন করিনি গল্প।বানান বা অন্য কিছু ভুল হলে ক্ষমার নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here