শুভ্রময়_পু্রঁজন পর্ব_৮

0
224

#শুভ্রময়_পু্রঁজন
পর্ব_৮
লেখনী: মাহরুশ মুতাদায়্যিনাত মুক্তা

৮.
টিএসসির সামনে প্রশস্ত দূর্বা আচ্ছাদিত মাঠের উপর বসে ছাত্র-ছাত্রীরা আড্ডায় নিমজ্জিত। টিএসসি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার উপরে অবস্থিত। এটি পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবনে অবস্থিত, যার নিচে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার অবস্থান।
দানীন, রানিয়াসহ আরও কয়েকজন বন্ধু কিছু নিয়ে তোড়জোড় আলাপ-আলোচনা করছে, যদিও আলাপচারিতায় দানীন থেকেও অনুপস্থিত। শুধুমাত্র দানীনই নির্বিকার ভঙ্গিতে নবমুলিকিত ঝাউগাছে পিঠ ঠেকিয়ে নোটের পাতা উল্টে পাল্টে দেখছে। রৌদ্রের প্রচন্ড উত্তাপে রৌদ্রদগ্ধ হতে ঝাউগাছের চিকন ডালপালা তাকে আগলে রাখতে অপারগ। মাথা উঁচিয়ে সতর্ক চাহনি নিক্ষেপ করা ছোট ছোট ঘাস, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৃষ্টিপাত করছে টিএসসির প্রবেশমুখ ও এখানে সেখানে রোপণ করা হরেকরকম ফল-ফুলের বৃক্ষ। সেই সূর্যের প্রজ্বলিত আতপে মাথা চাড়া দিয়ে তৃণভূমি আরও জেগে উঠেছে। কিন্তু তাদের কথা ছিলো, অভিমানে তর্জনগর্জন করে অংশুমালী থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার। অথচ দিবালোকের কট্টর শিখায় অবগাহন করে, অত্যাসক্ত হয়ে বেশ হেসে খেলে মাথা দুলাচ্ছে। ফলে এই তপ্ত রোদের চাদরে গা ডুবিয়েও বায়ু ধাক্কা দিয়ে গা জুড়িয়ে দিচ্ছে। ‘লঘুভার সূর্য’ ট্যাগ হটিয়ে ‘সুখরবি’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে যেনো অবহিত করছে কষ্টের পর প্রাপ্তির অনুভূতি।

নানা জায়গায় ছোট-বড় দল পা ছড়িয়ে পুরো টিএসসির এখানে সেখানে গঠন করেছে বন্ধুদের মিলনস্থল। ঘর্মাক্ত অবস্থায় বিতৃষ্ণা না হয়ে বরং আড্ডায় মত্ত হয়ে একে অপরের গায়ে হেলে, কেউ হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে দুর্বাদলশ্যামে আচ্ছাদিত প্রাণবন্ত মাঠের উপর। সূর্যকিরণ নির্গত উষ্ণে ঘর্মাক্ত চেহারা যেনো আরও ঔজ্জ্বল্য হয়ে ওঠেছে। ক্ষণে ক্ষণে ঝিলিক দিয়ে ওঠছে। আর এই মৃদু দীপ্তি যেনো প্রতিটি বন্ধুমহলকে তারূণ্যপূর্ণ তেজে উদ্যমী করে চলছে। কোথা থেকে যেনো গিটারের টুংটাং ধ্বনি বেজে ওঠলো। সেই সঙ্গে সুললিত সুরের সঙ্গে বেসুরো কিছু গলা মিলিত হলো। গলা মেলানো চিৎকার যেনো এই রৌদ্র উত্তাপিত সবুজাভ পরিবেশকে উৎসব মুখরিত করে তুলছে।
মাহবুব যে কোথায়? এই এতো এতো চেহারার মাঝে দানীন শুধু এই ব্যক্তিটিকেই খুঁজে চলছে।
দানীন হঠাৎ নোট হাতে উঠে দাঁড়ালো।
রানিয়া জিগ্যেস করলো,
“কি হলো?”
দানীন আঙ্গুল দ্বারা উপরে ইশারা করে চোখ পিটপিট করে জবাব দিলো,
“রোদ। মাথা ভোঁ ভোঁ করছে।”

টিএসসির ভিতরে প্রবেশমুখ দুটো। হাতের বামে চিকন গলির মতো পথ। এর পূর্বে কয়েক ধাপ সিঁড়ি উঠে গেছে। সেই পথ অতিক্রম করে সরাসরি ক্যাফেটেরিয়ার ভিতরে প্রবেশ করা যায়। সেই সিঁড়ির ধারে গিয়ে দানীন বসলো। ওখানে রোদের প্রখরতা কম।
রানিয়া তার পিছু পিছু এসে পাশ ঘেঁষে বসলো। হতাশ কণ্ঠে বলে ওঠলো,
“কি এতো পড়িস বল তো? তোর পড়াশোনা দেখে আমার হতাশ হতাশ লাগে। বুক চিনচিন করে ওঠে। মনে হয় গ্যাসের সমুদ্রে নাক-মুখ ডুবিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি।”
দানীনও রানিয়ার মতো করে হতাশ কণ্ঠে বললো,
“আমারও হতাশ হতাশ লাগছে দোস্ত। যারা পড়াশোনায় সবসময় মগ্ন থাকে, তারা কিছু সময়ের জন্য তা থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই হাঁ-হুতাশে ক্লিষ্ট হয়। এরকম একটা অবস্থা হয় যে, পড়াশোনায় গ্যাপের জন্য পড়াশোনা করার ইচ্ছা নিবৃত্ত হয়। পড়াশোনায় যে একটা অভ্যস্ততা, প্রবাহিত ব্রিজ আছে তা ধাক্কা খায় বা বাধাপ্রাপ্ত হয়।”
রানিয়া ভ্রুজোড়া সঙ্কুচিত করলো। জিগ্যেস করলো,
“প্রবাহিত ব্রিজ?”
দানীন মাথা নাড়িয়ে বললো,
“হ্যাঁ, পড়াশোনার শক্তপোক্ত তবে নিরন্তর চলমান ব্রিজ। তখন পড়াশোনা করতে ভালো লাগে না কারণ তুমি পড়াশোনা করতে পারছো না। পড়া দেখলেই তোমার নাক-মুখ সঙ্কুচিত হয়ে বিতৃষ্ণা ভাব মনে আসে কারণ তুমি পড়াশোনা করতে পারছো না বলে। তুমি চাইছো না, আগ্রহ নেই– এরকম কিন্তু নয়। অনেকে ভুলবশত এটাকে পড়াশোনায় অনীহা হিসেবে অভিহিত করে। কিন্তু তা মোটেও না। তুমি জাস্ট তোমার পড়ার প্রতি পূর্বের আগ্রহবোধ হারানোর দুঃখ ধরতে পারছো না। কিন্তু দেখ।”
দানীন ঠোঁট উল্টে বললো,
“আমি সেই আগ্রহবোধ ধরতে পারছি। তবে জাগ্রত করতে পারছি না। ও আল্লাহ ধৈর্য দাও, ধৈর্য দাও।”
দানীন হাত-পা ঝেড়ে পড়ায় মনোনিবেশ করলো। দানীনের মন দিয়ে নোট বিড়বিড় করে পড়ার মাঝে ঠোঁটে বিস্তৃত মুচকি হাসি উজ্জ্বল হয়ে ওঠলো। তা লক্ষ্য করে রানিয়ার ভ্রূর রেখা সঙ্কুচিত হলো। এই পড়াকু মেয়ের প্রেম? বান্ধবীকে পড়াশোনার এতো এতো টিপস দিয়ে এখন নিজেই প্রেমের কাদায় গড়াগড়ি করছে, হুহ!
রানিয়া ফিসফিসিয়ে বলে ওঠলো,
“তোর মন তো পড়াশোনায় নেই দোস্ত, পড়বি কি করে? তোর মন তো ওই উজ্জ্বল শ্যামলা মানুষটির হৃদয়ের ফাঁদে আটকা পড়েছে।”

কিছুক্ষণ পর একটা ছেলে তাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। দানীন ছেলেটিকে চিনে। তার জুনিয়র, নাম তুরাব।
সে এসেই আমতা আমতা করে মৃদু হেসে বললো,
“দানীন আপু, এটা আপনার জন্য। মাহবুব ভাই দিতে বললো।”
সে ভাঁজ করা একটি কাগজ এগিয়ে দিলো। দানীন নোট বন্ধ করে ডান হাতে কাগজটি স্পর্শ করতেই ছেলেটি দ্রুত চলে গেলো। ছেলেটি চলে যেতেই রানিয়া হেঁচকা টান দিয়ে দানীন থেকে ভাঁজ করা কাগজটি নিলো।
দানীন চেঁচিয়ে ওঠলো,
“রানিয়া দে বলছি।”
“বান্ধবী লুকিয়ে-চুরিয়ে প্রেম করে তা না হয় বুকে পাথর চেপে মেনে নিলাম। বান্ধবীর প্রেমপত্র পড়ার সুযোগ তো অন্তত লুফে নিতে দিবি। এতো নির্দয় হওয়া ভালো না দোস্ত।”
দানীন অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো,
“প্রেম করছে কে এখানে!”
রানিয়া এপাশ ওপাশ দৌড়ে দানীন থেকে চিঠি আড়াল করে রাখতে চাইছে। দৌড়াদৌড়ির মাঝে সে চিঠির ভাঁজ খুলে হতাশ হলো। কোনো পত্র-টত্র নয়। কাগজের উপর ইংরেজি বর্ণমালার বাংলা অর্থ বহনকারী দুটো লাইন। রানিয়া বিরস মুখে দানীনকে তা এগিয়ে দিলো।
দানীন খপ করে হাতে নিয়ে লেখাগুলোর উপর চোখ বুলিয়ে নিলো,
“Daneen auditorium ye asho.. Ami opekkha korchi.”
দানীন কিছুক্ষণ নীরব থেকে রানিয়ার জামা টেনে ধরে বললো,
“অডিটোরিয়ামে কেন যাবো? ওখানে কেন যেতে বললো?”
রানিয়া জামা উল্টো খেঁচে দানীনের হাত থেকে ছাড়িয়ে বললো,
“তোর প্রেমিক, তুই অবগত। অযথা আমার জামাকাপড় নিয়ে টানাটানি করবি না।”
দানীন কপট কুপিত কণ্ঠে বললো,
“প্রেমিক প্রেমিক করবি না তো। কিসের প্রেমিক! গিয়ে দেখি আসি চল।”
“চল কি? তুই একা যাবি। রিকশা চড়ে টুনাটুনি ঘুরাঘুরি করার সময় তো আমার প্রয়োজনীয়তা শূন্য। এখন কেন যাবো?”
দানীন রানিয়ার পাশ ঘেঁষে কণ্ঠস্বর নিরহ করে বললো,
“এমন করিস কেন বান্ধপী? চল না। উনাকে তো আমি আর চুমু খেতে যাচ্ছি না।”
রানিয়া হা করে তার দিকে তাকালো,
“ওহ হো, চুমু খাবা?”
দানীন ঝাঁড়ি মেরে বললো,
“ধুর বজ্জাত মেয়ে। তোর জন্য উনাকে ইঙ্গিত করে কি কি বলছি।”
রাশিয়া আবার ফিক করে হেসে ওঠলো। দানীনকে কনুই দ্বারা গুঁতো মেরে বললো,
“দোস্ত আগে তো তুই চূড়ান্ত বলদি ছিলি। এইসব বুঝি মাহবুব সাহেবের জাদুবিদ্যার ফলাফল? হুম? হুম?”
দানীন দীর্ঘশ্বাস ফেলে কাঁধ ঝুঁকিয়ে বললো,
“আচ্ছা ভাই, এবার তো চল।”
“উহু, ফন্দি-ফিকির আটবে না। যাবো না মানে যাবো না।”
“তুই যাবি সঙ্গে তোর শরীরের দুইশো ছয়টা হাড্ডিও যাবে।”
দানীন একপ্রকার টেনে হিচড়ে লাথি, গুঁতো মেরে রানিয়াকে নিয়ে অডিটোরিয়ামের উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন দুইটি। ছয় তলা বিশিষ্ট ভবন দুই এর নাম বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল। যার পঞ্চম ফ্লোরে অডিটোরিয়াম অবস্থিত, কীর্তনখোলা অডিটোরিয়াম।
রানিয়া চার তলা অবধি গিয়ে সিঁড়িতে ধুপ করে বসে পড়লো।
নাক সঙ্কুচিত করে বললো,
“তুই পড়ুয়া মানুষ। নাক-মুখে পট্টি বেঁধে পড়বি। নতুন নতুন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, কৃমি আবিষ্কার করবি। দরকার হলে মহাকাশে ঝুলাঝুলি করে হাংকি পাংকি নাম দিয়ে গ্রহ আবিষ্কার করবি। তুই কেন একটা ছেলের লেজ ধরে টানাটানি করবি?”
প্রত্যুত্তরে দানীন তৎক্ষণাৎ কিছু বললো না। দানীনের পা দুটো অসাড় হয়ে এসেছে। সিঁড়ি ভেঙে আসার জন্য নয়। উত্তেজনায় মৃদু কাঁপছে।
রানিয়া বসা অবস্থায় তার জামা টেনে ঝাঁকুনি দিয়ে বললো,
“কিরে আবিষ্কারক!”
দানীন রানিয়ার বুকে হাত দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,
“এটাও একটা আবিষ্কার দোস্তো।”
বলেই উঠতে যাবে আর রানিয়া মিষ্টি স্বরে ডাকলো,
“দোস্তো।”
“আবার কি?”
“এতো এতো জায়গা থাকতে তোর মাহবুব এখানেই ডাকলো কেন? তোকে একা রেখে ইচিং করার মতলব না তো?”
দানীন ঠোঁট গোলা করে বললো,
“তুই আছিস না? সে আমার সঙ্গে ইচিং করতে চাইলে দুজন মিলে বিচিং করে চলে আসবো। এবার চল। আর মুড নষ্ট করিস না বেয়াদব।”
দানীন ধীর পায়ে হেঁটে অডিটোরিয়ামে সামনে এসে দাঁড়ালো। দরজার কাছ থেকেই মাহবুবকে দেখা যাচ্ছে। তার সঙ্গে আরও পাঁচ-ছয়জন ছেলে বন্ধু। হুট করেই তার মনে ভয়ের লেশ আনাগোনা শুরু করলো। সে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। মাহবুব তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে ইশারা করলো। দানীনের এক মুহূর্তের জন্য ইচ্ছে করলো সে ছুঁটে চলে যায়। মাহবুব একা না এসে এতোগুলো বন্ধু নিয়ে তাকে ডাকবে কেন?
পিছপা হওয়ার পূর্বে রানিয়ার হাত তার পিঠে ঠেকলো। কি ভেবে যেনো দানীন দরজার ভেতর পা রেখে খানিক এগিয়ে গেলো। তখনই তার উপর কিছু ছিটকে পড়লো। চোখ বন্ধ করে সঙ্গে সঙ্গেই খুলে দেখলো গোলাপের পাপড়ি। দরজার দুপাশ থেকে তিন-চারজন মেয়ে বেরিয়ে এলো। দানীন এই আপুদের চিনে। মাহবুবের ক্লাসমেট। সবার চোখে-মুখে হাসি।
তাদের দেখে দানীন ফুস করে নিশ্বাস ফেলে মাহবুবের দিকে এগিয়ে যায়। দানীন নিজেকে নিজে ধিক্কার জানালো। সে কেন বারবার মাহবুবকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করে বসে!
সে যেতে যেতেই মাহবুব তার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো। দানীন তা দেখে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে নিজ অবস্থানে স্থির হয়ে গেলো।
মাহবুব তাকে আরও বিস্ময়াভিভূত করে সামনে গোলাপ ধরে বললো,
“যেদিন প্রথম তোমার ওই আঁখিজোড়ায় আমার আঁখি মিলন ঘটলো, সেদিন থেকেই আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলছিলাম। প্রথমে ভয়ে নিশ্চুপ রইলাম। পরবর্তীতে বুঝলাম, নিজেকে হারানোর এই স্বাদ বড্ড মধুর স্বাদ। কারণ আমি যে তোমার মধ্যে নিজেকে হারাচ্ছিলাম। ভালোবাসি দানীন। খুব বেশিই ভালোবাসি তোমাকে। তুমিও কী একইভাবে ভালোবাসবে আমাকে?”
দানীন এক মুহূর্তের জন্য বাকশক্তিহীন হয়ে গেলো। প্রতিবেশে উপস্থিত সবাই বলছে, ‘সে ইয়েস দানীন, সে ইয়েস।’ এর মধ্যে রানিয়ার কণ্ঠ ভেসে এলো, ‘বিশিষ্ট ভাইরাস-কৃমি আবিষ্কারক দানীন, প্রতিভাধর রমণী। হ্যাঁ বলে বেচারাকে উদ্ধার কর।’ দানীন হেসে ফেললো।
দানীনও মাহবুবের সামনে হাঁটু ভাঁজ করে বসলো। ঝলমলে নয়নে তাকিয়ে অশ্রুমোচন কণ্ঠে বললো,
“বাসি। খুব খুব ভালোবাসি।”
দানীন মাহবুবের হাত থেকে গোলাপটি গ্রহণ করলে মাহবুব তাকে দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে। সবাই করতালি দিয়ে উচ্ছাসে ফেটে পড়লো। চারপাশ থেকে ফুলের পাপড়ি দুজনের উপর ছড়িয়ে দেয়। এভাবেই দুজন একে অপরকে ভালোবাসার অয়নে পা ফেললো। অনুভূতির চাদরে গা ডুবিয়ে ভালোবাসার অদৃশ্য প্রতিযোগিতার যাত্রা এখান থেকেই শুরু।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here