প্রেম ঘোর #পর্ব_৪৩_৪৪_৪৫ 💜💜

0
1006

#প্রেম ঘোর
#পর্ব_৪৩_৪৪_৪৫
💜💜
Writer:Nargis Sultana Ripa.
🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹🌹

“আরে ভাই তুই!!”
“হ্যাঁ,আমি তুই কি ভেবেছিলি তোর হাসবেন্ড?”
“আরে না না,ও তো অফিসে লান্স টাইমে আসবে………আমি ভেবেছি কে না কে……..”
অরূপ নৌশিনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
“নতুন বউ এটা তোমাল ভাই???”
নৌশিন অরূপকে কোলে তুলে নিয়ে বলে,
“হ্যাঁ সোনা,আমার ছোট্ট ভাইয়া…….”
“ছোট্ট????”
“ও তো তোমাল চেয়ে বল…..”
“বাবু ও লম্বু হয়ে গেছে তো তাই…….”
!
অরূপের মা সিরি দিয়ে নামতে নামতে,
“আরে আরফান যে,কখন এলে??”
“এই তো ভাবী ডুকলাম মাত্র……”
“সে কি নৌশিন তুই ওকে বসতে বলিস নি??”
“ও….বস বস…..”
“তোর বলতে হবে না,আমি বসতে জানি……..”
“তারপর আরফান কেমন আছো বলো??”(রাফসা)
“এই তো ভালো,তুমি??”
“আলহামদুল্লিহ,বাসার সবাই কেমন আছে??”
“হ্যাঁ সবাই ভালো আছে……”
“আপু তোর সব বই গাড়িতে বস্তা করা….ড্রাইভার এক এক করে আনছে…….”
“ও…….ঠিক আছে…..আমি দেখছি……নৌশিন তুই বস ওর সাথে গল্প কর…..অরূপ,আব্বু এসো আমার সাথে আমরা দেখি তোমার নতুন বউয়ের বই এসেছে……চলো চলো……”
অরূপ নৌশিনের বইয়ের কথা শোনে নৌশিনের কোল থেকে নেমে ওর মায়ের সাথে বাইরে চলে যায়……ড্রাইভার একা সব বইয়ের বস্তা টানতে কষ্ট হবে তাই আরও একজন সার্ভেন্টকে হেল্প করতে বলেন………….
“শরিফ মামা,তুমি আগে যাও,সব বস্তা সাদাদের পড়ার ঘরে ডুকাবে…….আর চাচা আপনিও(আরফানের ড্রাইভার)যান ওনার সাথে”(রাফসা)
“আম্মু,নতুন বউ কি আমাল মতো স্কুলে পলে???”
“হুম পড়ে তো…..কিন্তু স্কুলে না বাবু বিশ্ববিদ্যালয়ে……..”
“ও…..এত এত বই???”
“হ্যাঁ তো…..তোমার নতুন বউ অনেক অনেক পড়ে বুজলে,ওর ক্লাসে ফার্স্ট গার্ল সে…….”
“ও…….”
“হুম….চলো….শোনো বাবু বাসায় গেস্ট এলো তো একটা দুষ্টুমি করবে না কিন্তু……”
“ওকে কলবো না…..”
মোটমাট পাঁচ বস্তা বই এসেছে নৌশিনের।আই বি এ এর ছাত্র তার উপর আবার ডিপার্টমেন্টে প্রথম….এমনিতেই মেয়েরা বেশি পড়ুয়া হয় আর এই রকম ক্যাটাগরিতে উঠতে গেলে তো এত এত বই পড়তেই হবে……………
নৌশিন সেই লেভেলের একজন পড়ুয়া মেয়ে,বাসায় যতটা সময় থাকে পড়া নিয়েই কাটিয়ে দেয়……ভার্সিটিতে ওঠার আগেও বেশ পড়তো কিন্তু সাদাদের সাথে রিলেশন হওয়ার পর থেকে পড়া টা আরও বাড়াতে হয়েছে কারণ সাদাদও সুপার লেভেলের পড়া পড়তো আর সে ও এই বি এ,এম বি এ দুটো তো ই ডিপার্টমেন্টে প্রথম……তাই সে নৌশিনকেও সব সব পড়ার চাপেই রাখতো….এমনিতে নৌশিন পড়ুয়া ছিলো সাদাদের বকাবকিতে সেটা আরও বারাতে হয়েছে।।।।।
নৌশিন এক সময় রোজ ফেসবুক ঘাটাঘাটি করতো,
!!!তো একদিন ভার্সিটির কেন্টিনে,(নৌশিন তখন সেকেন্ড ইয়ারে পা রাখেছে কিছু দিন হলো)
“ফেসবুকে ঘাটাঘাটি করে লাভ নেই…..গোগল আছে লাগলে সেখানে সার্চ দিবা….আজকে আনস্টল করে দিলাম,একদম ইনস্টল যেন করা হয়,সেমিস্টার শেষ হলে ইনস্টল করে দিবো…….”
“বাট সাদাদ,আমি তো খুব কম সময় ই আসি এফ বি তে…..”
“কাল কতক্ষণ ছিলা???”
“আ আ…..মা নে ঠিক…..”
“আধা ঘন্টার উপরে…..”
“আসলে……..”(মাথা নিচঁু করে)
“বিউটি টিপ্স দেখছিলে,আর তোমার বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলে তাই তো????”
“………..”
“হুম….জানি আমি,দেখো আজাইরা মাইয়া মানুষের মতো এতো বিউটি টিপ্স দেখবা না,রূপ ধুয়ে পানি খাইলে পেট ভরে না…..ঐ ফ্যাসিয়াল টিপ্স দেখে শুধু টাইম নষ্ট করার কোনো মানে হয় না,ন্যাচারাল সৌন্দর্য ই বেস্ট…..তা ছাড়া তুমি তো রূপ চর্চা করোই না শুধু শুধু আতলো ফাতলো ভিডিও দেখে টাইম নষ্ট করার কোনো মানে হয় না,আর ফ্যাসে কোনো প্রবলেম হলে ডক্টর আছে ডক্টর দেখানো যায় আর বাসায় কি করে ন্যাচারাল ভাবে মাঝেমাঝে রূপ চর্চা করা হয় তুমি/আমি আই মিন যারা এডুকেটেড তারা সবাই জানি…..সো সেসব করবে……..আর এরপর আসি তোমার ফ্রেন্সদের কথায় এই মাত্র ওদের এসএমএসগুলো দেখলাম একটাও পড়াশোনা নিয়ে করা হয় নি নৌশিন….করা হয়েছে “সাদাদ তোর সাথে….” ব্লা ব্লা……এগুলো করতে না করছি না আমি বাট ওয়াটএ্যাপ আছে যেদিন তুমি আসো ভার্সিটিতে সেদিন কথা বলবা,মজা-হাসি করবা,বার ভার্সিটিতে আসলে বাসায় গিয়ে ডাবল টাইম দেওয়ার দরকার নাই ফ্রেন্ডদের….আর যদি বেশি দরকার হয় তাহলে কল করবে……মাইন্ড ইট……??”
“হুম…….”(মাথা নিচু করে)
“এখন বলো কি খাবে??”
“কিছু না বাসায় দিয়ে আসো আমায়…….বিকেল হয়ে গেছে তো…..”
“কিছু না মানে কি???রোজ রোজ তোমাকে নিয়ে বসি নাকি আমি??কোচিং এ ক্লাস নিয়ে আবার নিজের পড়াশোনা…..তোমাকে তো সে ভাবে সময় ই দিতে পারি না……রাতে অল্প সময় কথা বলা ছাড়া…..আর এখন প্রায় এক মাস পর তোমাকে কেন্টিনে নিয়ে আসলাম….আর তুমি আমার থেকে কিছু খাবে না???নাকি এতো কিছু বললাম বলে মন খারাপ করেছো??”
“না না তা না…..এমনিতেই বললাম…..তা ছাড়া আমি দুপুরের দিকে তাহ্নার সাথে লান্চ করেছিলাম তো তাই বললাম আর কি……..”
“আচ্ছা!তা আমার জান পাখি কি খেয়েছিলো লান্সে??”
“আসলে……”
“কি আসলে???বলো…….
রুল??চপ??নাকি সিঙ্গারা???”
নৌশিন বুজতে পারছে সাদাদ ওকে আবার বকবে,আর সাদাদও জানে নৌশিন কি দিয়ে লান্স করতে পারে…………
“কি হলো??আন্সার দাও…লান্সে কি খেয়েছো???”
নৌশিন ভয় পেয়ে বলে দেয় সত্যি কথা……..”সি ঙ্গা রা……”(তুতলিয়ে)
“ও গুড….তা কয়টা??”
“একটা…..”
“ভেরী গুড….সকাল আট টায় বাসা থেকে একটা রুটি আর হাফ পিস ডিম খেয়ে দুপুর দুটোই তুমি একটা সিঙ্গারা দিয়ে লান্স করেছো…..বাহ্!বাহ্….তো তোমার বাবা এইজন্যই বোধহয় দিনকে দিন কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে,হওয়ার ই কথা যার মেয়ের সকালে একটা রুটি তেল ছাড়া-খুব বেশি হয়ে হোটেলে মনে হয় পাঁচ টাকা নেয়…..আর দুপুরে ভার্সিটির ক্যান্টিনের পাঁচ টাকা দামের একটা সিঙ্গারাতে লান্স হয়ে যায়…..তো টাকা তার বাড়বে নাকি আমার বাবার বাড়বে???আমার তে আর দশ টাকা দিয়ে সকাল,বিকাল খাওয়া হয়ে যায় না……..”
“সরি……আর হবে না……”
“এই এক কথা এক বছর ধরে শুনছি আমি…..আমি বলি তোর কানে যায় না???
কাল থেকে আমি বাসা থেকে তোর জন্য টিফিন নিয়ে আসবো সেটা খাবি….আর আমার সাথে ক্যান্টিনে খাবি দরকার পরলে কোচিং বাদ দিয়ে দিবো….টাকার জন্য কোচিং করাই না….লাগলে নিজের ক্লাসও মিস দিবো তবুও তোর সাথে লান্চ করবো…….মনে থাকবে??”
{তখন রিলেশনের সাত আট হয়েছিলো ওদের,নৌশিন এখনও সাদাদকে ভয় পায় বাট সে সময়ে প্রচুর পরিমাণ ভয় পেতো….বলার বাইরে….}
নৌশিন ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলছিলো”আচ্ছা..”
“এখন বলো কি খাবে??”
“তুমি যা বলবে…..”
“ওকে……”
“ঐ মামা….এদিকে আসো……”
সাদাদ তখন এম বি এ তে আর ডিপার্টমেন্টের প্রথম হওয়ায় বেশ ভালো প্রভাব ছিলো,সবাই এক নামে চিনতো বলতে গেলে…এখনো সেই প্রভাব টা আছে….নেতা টাইপ ছিলো একটু আন্দোলন করতো ভার্সিটির হয়ে বাট রাজনীতিতে জড়াতে না… যতটা দরকার পড়তো পড়ালেখা আর চারপাশ ঠিক রাখার জন্য তাতটাই কথাবার্তা বলতো সবার সাথে তার বেশি না…….
আর সাদাদ আই বি এ এর শেষ ইয়ারে উঠার পরে পরপর তিনবছর ভার্সিটির র্যাগ কমিয়ে আনছিলো যার ফলে জুনিয়ারদের প্রিয় বড় ভাই বলতে সাদাদ,
এখন ওরা ভার্সিটিতে পড়ে সাদাদ বলতে পাগল সবাই…………
যাই হোক সাদাদের এক ডাকেই মামা হাজির…..
“কও মামা,কি লাগবো তোমার??”
“মামা ভাত আছে তো??”
“হ মামা আছে,”
“এক কাজ করো প্লেট ভালো করে ধুয়ে নিবা,তারপর দুটো ভাত আনো আর ডাবল করে দুটো ডিম ভাজা করে নিয়ে আসো আলাদা করে করবে,পরিষ্কার যেন হয় সব………..”
“আইচ্ছা মামা….তাইলে পাঁচ মিনিট বন….সব নিয়া আসি…….”
“ঠিক আছে….আর মুরগি দিও…… ”
“আইলো দিতাছি….বন আপনে……”
!
“এখন ভাত খাবো??”(ভয়ে ভয়ে)
“হুমম…..খাবা…..”
“আমি ডাবল ডিম খেতে পারি না….মা একটা ভেজে দেয় তাই নষ্ট করে হাফ খাই….আর এখানে মামারা কেমন করে ভাত করে তার উপর ডাবল!!!নষ্ট হবে খাবার গুলো……”
“চুপ……কেমনে করে মানে কি???তোমার ঐ ফুচকা,আলুর চপের চেয়ে ভাত,ডিম ভাজি,তরকারী অনেক ভালো করেই করে………..আর আমি তো বলে দিলাম সব আলাদা করে বানিয়ে নিয়ে আসবে সো ক্লিন ই থাকবে সব কিছু…….”
“হুম……”(মাথা নিচু করে)
!
কিছুক্ষন পর খাবার এলে নৌশিন সাদাদের ভয়ে অনেকটা খেলেও শেষ করতে পারে নি…..সাদাদও আর জোর করে নি হাত ধুয়ে ফেলতে বলে………..
“তোমারও তো শেষ….এখন আমায় ড্রপ করে দাও….আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি……..”
“হ্যাঁ চলো…..আর বাসায় গিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে সেন্কস নিয়ে পড়তে বসবে আবার টিভি তে চোখ যেন না যায়…..”
“আমি টিভি দেখি না বললেই চলে…..”
“গুড……”
……তো এভাবেই কাটতো সাদাদ নৌশিনের ক্লাস ডে গুলো….ওরা অন্য সব লাভারদের মতে বেশি একটা ঘোরাঘোরি করতে না…..কারণ দুজনেই পড়াশোনা নিয়ে সিরিয়াস…..রিলেশন করলেই যে গিফ্ট,ডেটিং,চ্যাটিং,আউট গোয়িং করতে হয় এগুলো আজাইরা কাজ….লাইফে এসতেই পারে এগুলো বাট যে সময় যেটা নিজের দায়িত্ব সেটা পালনে ফাঁকি দেওয়া বোকামি….তাই ভার্সিটিতে দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পড়ে বেশি জানু/বেবি না করাই ভালো,
স্টাডি টা ঠিক থাকে এতে………………
!
এবার বর্তমানে আসা যাক……………
“কি ছোট বউ মা….কখন থেকে এসেছে ছেলেটা তুমি গল্প করছো এখনও???একটু কিছু খেতে তো দিবে………”(সাদাদের মা)
“এই তো মা….এসে গেছে সব…..ওর কিছু আনতে হবে না…….”(রাফসা)
“আচ্ছা ঠিক আছে……..”
“নাও বাবা খাও…….”
“এতো???কে খাবে??আমাকে দেখে কি তোমার হাতির বাচ্চা মনে হচ্ছে আন্টি???”
“শোনো ছেলের কথা তা কেন হবে??বোনের বাড়ি এসেছো একটু তো খেতে হয় বাবা…….”
“ওকে…..বাট তোমরাও নাও…….”
“আচ্ছা….নিচ্ছি….. বউ মা তোমরাও নাও……..”
!
“এই ছেলে তুমাকে আমি কি বলে ডাকবো???”(অরূপ আরফানে পাশে বসে)
“কি বলে ডাকা যায় বলো তো??”
“কি বলো??”
“মামা বলেই ডেকো….”
“মামা কি???”(চোখ বড় বড় করে)
“বাবু….মা বা কাকির ভাই দের মামা ডাকতে হয়…….”(রাফসা)
“ও…..আম্মু তোমাল ভাই নেই????”
“না সোনা………”
“ও তাহলে একটাই মামা হলো আমাল??”
“না বাবু…দুটো……”(নৌশিন)
“কেমন কলে?তোমাল কি দুটো ভাই???”
“হুম….এটা ছোট আরও একটা আছে বড় ভাইয়া……মানে তোমার বড় মামা…….”
“ওওওওওওও…..আচ্ছা……আম্মু আম্মু আমি মামাল সাথে গল্প কলি???”
“করো সোনা…….”
………………
দুপুরে লান্সের দিকে সাদাদ বাসায় আসে……আরফান চলে যেতে চেয়েছিলো বাসার কেউ যেতে দেয় নি……ড্রাইভারকেও লান্স করার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে………………
“কাকাই!!!!!!ইয়া হু……….”
অরূপ সাদাদকে দেখা মাত্রই দৌঁড়ে গিয়ে সাদাদের কোলে চড়ে……………
“কাকাই….একটা মামা এসেছে…….”
“তাই নাকি…….??”
“হ্যাঁ……নতুন বউয়েল ছোট্ট ভাই কিন্তু নতুন বউ বলেছে লম্বু ভাই…….হি হি হি……”
“ওরে দুষ্টু…..তুমিও লম্বু হয়ে যাবে………..”
“তোমার আম্মু,নতুন বউ এরা কোথায়???”
“সব্বাই লান্না কলে…..আল পিউমনি(প্রাপ্তি) একটু একটু কলে হাতে নিয়ে খাচ্ছে……আল মামাটা একটা ঘলে গেমস খেলছে ফোনে……..”
“ওওও…..তোমার নতুন বউকে গিয়ে বলো কাকাই এসেছে,তোমাকে ডেকেছে…..”
“ওকে………বলছি বলছি…….”
!
“কি ব্যাপার??ডাকছিলে??”
“হ্যাঁ…গোসল করেছো???”
“হুম….করেছি তো ”
“নামায??”
“সেটা বলতে হয় না স্যার……”
“আই নো…..তবুও জেনে নিলাম……”
“ভালো করেছো…….তু…..”
‘তুমি’ রাও কমপ্লিট করতে পারলো না মেয়েটা তার আগেই সাদাদ নিজের ঘামে ভেজা শার্ট টা খুলে নৌশিনের মুখে ছুড়ে মারে……….
“উনননন হু………..আস্তে…..”
“আস্তে কিছু হবে না রে,সব জোরে জোরে হবে………….”বলেই গেন্জি টাও ছুড়ে মারে নৌশিনের মুখের উপর………………..
“ইয়াক কি বাজে……”
সাদাদ নৌশিনের কাছে এসে……..নৌশিনের গলার পেছনে হাত বেঁধে বলে,
“সহ্য করো জান….রোজ রোজ এই ঘ্রাণ নিতে হবে……….”
“ইশশশশ…..আসছে আমার মহারাজা……”
“ঠিক তাই,মহারাণী……”
“আ হা রে……নামাযে গিয়েছিলে??”
“নামাযে তো গিয়েছিলাম কিছু স্টাফদের সাথে……”
একজন সার্ভেন্ট
ঘরে ডুকে ডাক দেওয়ায় সাদাদ দেরী না করে তাড়াতাড়ি নৌশিনকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়……………!!
!

#প্রেমঘোর#৪৪#
💜💜

সাদাদ ফ্রেস হতে চলে গেলো।নৌশিন সার্ভেন্টের দিকে তাকিয়ে,”খালা কিছু বলবে??”
“জ্বি,তোমারে বড় বউমা ডাকে নিচে………”
“ও তুমি যাও,আমি আসছি………”
নৌশিন ওয়াশরোমের দরজার কাছে গিয়ে বললো,”সাদাদ তুমি এসো,আমি নিচে গেলাম ভাবী ডাকছে…….”
“ওকে……যাও………”
“এই নৌশিন…….শোনো….”
“হ্যাঁ বলো……”
“আমি তো লান্স করে আবার অফিসে যাবো আমার ড্রেস বের করে দিয়ে যাও…….”
“হুম,জানি এখন তো আর নিজে কিছু করবেন না…….”
“জ্বি ম্যাডাম…..বের করে রাখো…….”
“আচ্ছা……রেখে যাচ্ছি……”
!
সাদাদের ড্রেস খাটের উপর রেখে দিয়ে নৌশিন নিচে চলে যায়…………
“হ্যাঁ ভাবী বলো…..”
“বলছি আরফানকে ডাক…..দুটো বাজে,সবাই এক সাথে লান্স করে নিক…..”
“কিন্তু,বাবা আর দাদাভাই তো এখনো আসে নি……”
“ওরা প্রায় ই লান্সে আসে না,সাদাদের অফিস কাছে তাই আসতে পারে…….তোর দাদাভাই বাইরে ই করে নেয় তবে বাবা আসে মাঝেমাঝে…..”
“ও……আর প্রাপ্তি কি কলেজ থেকে এসেছে??”
“হ্যাঁ,ও এসেছে একটু আগে,ফ্রেস হয়ে আসছে…..তুই যা আরফানকে,আর ঐ চাচা টাকে ডেকে নিয়ে আয়….ওনিও একসাথে খেয়ে ফেলুক……”
“আচ্ছা………”
!
“ভাই চল…….আর কত গেমস করিস….ফোনের তো বার টা রেখে তেরো টা বাজাবি….এজন্যই তোকে মামা ফোন কিনে দিতে চায় নি…….”
“আপু।।।।তুই ও……”
“হ্যাঁ…..আমিও….চল খাবি…..”
“ওঠছি……”
“তুই নিচে আয়,আমি ড্রাইভার চাচাকে ডেকে এনছি……..”
“হুম যা পেতনি……”
“বদমাইশ একটা…….”
“হুহুহু……..”(চুলে টান মেরে)
“ও মা গো…….আআআআ…..”
“হি হি হি……..”
“আস্তে দিবি তো…..চুল ছিড়ে নেন একদম……..”
……..সবাই একসাথে লান্স করতে বসেছে…..অরূপের মা আর প্রাপ্তির মা সার্ভ করে দিচ্ছে…………
“আরফান,ভালো করে খাবে বাবা……..নিজের বাড়ি মনে করে খাও….”(সাদাদের মা)
“আন্টি আমাকে তোমার লাজুক টাইপ মনে হচ্ছে???আমাকে কিছু বলে দিতে হয় না আমি সব জায়গায় বেশি খাই তাই না রে আপু??”
“সেটাই তো ভালো বাবা…..খাও…..”(সাদাদের মা)
“হুম তুই তো রাক্ষস একটা…….”(নৌশিন)
“ভাইয়া দেখলে তোমার বউ আমাকে কি ভাবে খাওয়ার খোটা দিলো……..আর আসবোই না তোর বাড়িতে……একদিন এলাম তার জন্য তুই রাক্ষস ডাকলি…….আর কোনো দিন ই আসবো না…….”
“নৌশিন হান্ডসাম বয় কে এভাবে বলা ঠিক হয় নি তোমার……..”
“যাক বাবা…..অভিনয় তো ভালোই পারিস…….একটু বললেই দোষ…..আর তুই যে একটু আগে আমার চুল ছিড়লি…..তার বেলা???”
“তোর চুল বেশি লম্বা যে তাই ছিড়েছি…..সাদাদ ভাইয়ার সব টাকা তোর চুলের পেছনেই যাবে……”
“ঠিক বলছো আরফান….আমিও ভাবীকে প্রথম দিন দেখে তাই ভেবেছিলাম…….”(প্রাপ্তি)
“থ্যাস্কস আপু,আমার সাথে থাকার জন্য…….কত কি লাগে ওর চুলে…..শ্যাম্পু,কন্ডিশনার,তেল আরও কি কি জেনো লাগায় দেখি নাম জানি না এতো……”
“আরফান বেশি হচ্ছে কিন্তু….তুই মার খাবি কিন্তু….”
“হা হা হা হা।।।।।দেখো ভাই বোনের কান্ড……”(প্রাপ্তির মা)
“নৌশিন তুমি ওকে মারবে ওর সাথে পারবে তুমি??”(সাদাদ)
“সাদাদ তুমিও শুরু করলে??”(নৌশিন)
“না না শুরু কেন করবে…..ভাইয়া তো জাস্ট এটা ভাবছিলো তোমার চুলের পেছনে মান্থলি কত টাকা খরচ হবে??”(প্রাপ্তি)(হাঁসতে হাঁসতে)
“আরে…..তোমার ভাইয়াকে বলছি আমি খরচ করতে??”
“না তা বলতে হয় না কি…..তো চাকরী করছিস আপু???”
“আরফান….আমি মামী কে ফোন করে সব বলবো তুই কি কি বলছিস আমায়…..”
“ওকে আর বলতে হবে না….বাট আরফান এন্ড প্রাপ্তি তোমরা কি জানো আমি আমার বউয়ের পেছনে সব টাকা খরচ করতে রাজি???”
“মানে……”(আরফান,প্রাপ্তি দুজনে একসাথে)
“ইয়াহ…..বউ আমার তো বউয়ের সব কিছু দেখাশোনা করার তো আমারি কথা…..তোমরা দুজন শুধু শুধু আমার বউটাকে জ্বালাচ্ছো…..”
“হুম…..ঠিক একদম…..”(রাফসা)
“তা ছাড়া….তোদের পেছনে তো কত টাকা খরচ হয় রে প্রাপ্তি, আরফান তোরা কি এমন রাজ কাজ টা করিস……তোদের ফোনের ব্যালেন্স যা লাগে মাসে তাতে আমার কিউট বোনো টার চুলের যত্ন হয়ে আরও টাকা বেঁচে যাবে……”
“হুম….সেই…..”(আরফান)
“হয়েছে হয়েছে…..এবার তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করো তো সবাই…….”(সাদাদের মা)
!
খাওয়া শেষ করে সবাই ড্রয়িং রোমে বসে গল্প করতে বসে যায়…..সাদাদ খাওয়ার আগেই রেডি হয়ে এসেছে অফিসে যাওয়ার জন্য……..সে ও সবার সাথে একটু বসেছে………
“আরফান,তুমি কোথায় এডমিট হলে??”(প্রাপ্তি)
“এই তো আপু….যশোর কডেট কলেজ…….”
“এতো দূরে চলে গেলে…..স্কুল কোনটা ছিলো তোমার??”
“স্কুল তো সিলেটেই ছিলো…..”সিলেট কর্মাস কলেজ”……”
“আমি একটা জিনিস বুজি না,ভাবীদের আর আমাদের বাসার প্রত্যেক টা মানুষ ই বলতে গেলে কর্মাস নিয়ে পড়েছে…….শেষে সবাই ব্যবসায়ী…..কেউ কি চাকরী করবে না???”
“হা হা হা হা…..সব ব্যবসা পাগল…..”(প্রাপ্তির মা)
“জব কার ভালো লাগে?নিজে ব্যবসা করো অন্য কে জব দাও…..তা ছাড়া আমাদের দেশে প্রায় সবাই জব খুঁজে বাট এটা আমাদের জন্য ক্ষতি বিনিয়োগ করা দরকা বেশি করে তবেই না অর্থনৈতিক মানদন্ড উচ্চমান পাবে……আর দু বাড়িতেই গোড়া হচ্ছে বিনিয়োগ……তো তার জন্যই হয়তো বা বাবা মা ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে কর্মাস নিয়েই পড়ায়….যদিও সাইন্স,আর্স নিয়ে ব্যবসায় ডুকা যায় কিন্তু কর্মাসে ব্যবসা টা অনেকটা ভিত্তিমূলক আর প্র্যাকটিক্যালী বুজা যায় যেটা সাইন্স আর্সে কম বুজা যায়……..যেমন ধর তুই(প্রাপ্তি) কাকার একটা মাত্র মেয়ে কাকার যে ব্যবসা টা আছে সেটা ফুলফুল্লি তোর হয়ে যাবে ভবিষ্যৎ এ…..তোর আর ভাগ নেই সো এর জন্য তোর ব্যবসা টা ভালো করে বুজা উচিত আর আরফানেরও ঠিক তাই…..এরজন্য তোকে যেমন তোর বাবা জোর করে সাইন্স নিতে দেয় নি,নৌশিন বলছিলে আরফানেরও নাকি এক অবস্থা করেছিলো….আর ভাইয়া,আপু তো বাবার পেছনেই গেলো সাথে আমাকেও নিয়ে গেলো…….এখন জব করছি জাস্ট আরও ভালো করে ব্যবসা টা কে বুজার জন্য……আর বাবার ব্যবসা তো দেশে ভাইয়া,বাইরের দিকে আপু আর দোলাভাই দেখছে তাই আমি আর ডুকতে চাইছি না এখানে…..বিনিয়োগ বাড়াবো একটা এতে দেশের ভালো হবে না হলে তো ভার্সেটিতেই জয়েন করতাম এতোদিন………”
“আমার কত ইচ্ছা ছিলো,বুয়েট নিয়ে…..আব্বুর জন্যই হলো না……জোর করে কর্মাস দিয়ে দিলো….(প্রাপ্তি)
“আরে সফস একটা ব্যবসার হাল ধরবি….ইন্জিনিয়ার হলে তো পরে দেশের বাইরে চলে যেতে চাইতি গোগলে জব করার জন্য তখন তো বেঁধেও রাখা যেতো না……”(প্রাপ্তির মা)
“হয়েছে,তুমি আর কিছু বলো না……”
“আচ্ছা,আরফান থাকো আমি উঠি…..লেইট হয়ে যাচ্ছে……”
“আমিও চলে যাবো এখন….সেই সকালে এলাম….”
“সে কি বাবা তুমি আজ থেকে যাও…..”(সাদাদের মা)
“না আন্টি।।।।।আরেক দিন আসবো……”
!
সাদাদ নৌশিন সহ সবাইকে বলে তাড়াতড়ি বেরিয়ে যায়,
আরফানও সবার থেকে বিদায় নেয়,কিন্তু আরফানের সাথে আসা ড্রাইভার টা এখনো ড্রয়িংরোমেই দাঁড়িয়ে আছে,
“চাচা কি হলো চলো,বেরিয়ে পড়ি আমরা…..”
“একটু দাঁড়াও বাবা……”
নৌশিনের দিকে তাঁকিয়ে আছেন ওনি,মনে হয় নৌশিনকে কিছু বলবে,
নৌশিন খেয়াল না করলেও অরূপের মা বিষয়টা খেয়াল করেছেন,ওনি অনেক আগে থেকেই নৌশিনকে কিছু বলার চেষ্ঠা করছে কিন্তু সবার সামনে পাড়ছেন না,
তাই ডা.রাফসা বুদ্ধি খাটিয়ে বলেন,
“আরফান,তুমি দু মিনিট বসো,চাচা একটু আসুন আমার সাথে নৌশিনের বইগুলোর জন্য আর কি নৌশিনও আয় উপরে….”
নৌশিন আর ড্রাইভারকে আলাদা করে কথা বলার ব্যবস্থা করার জন্যই ডেকে নিলো আর কি………………
রাফসা ওদের দু জনকে নৌশিনের রোমে নিয়ে গেলো,
“কি হলো ভাবী,কি হয়েছে??”
“আমার মনে হয় চাচা তোকে কিছু বলতে চাইছে….ঠিক বললাম চাচা…?”
“মা নে আসলে….হ।।। একটু দরকার ছিলো আর কি……”
“কি??বলো…..”
“ওনি সবার সামনে বলতে পারছিলো তাই রোমে নিয়ে আসলাম।।।।তোরা কথা বল আমি যাই……..”
অরূপের মা চলে গেলো….সিরি দিয়ে নামার সময় দেখে সাদাদ বাসার ফেতরে ডুকছে………
“কি রে তুই আবার?”
“ভাবী,একটা ফাইল নেওয়ার ছিলো…..”
“ও….ঠিক আছে…..”
রাফসা ভেবেছেন ওদের কথা হয়তো শেষ…তাই সাদাদকে আর কিছু বললো না…………
ঐদিকে নৌশিনের রোমে,
“চাচা কি দরকার??বলো??”
“ছোড মা…..ছোট বাবু তোমারে এই টাকা টা দিতে কইছে……”
নৌশিন ভয় পেয়ে সাদাদের কথা ভেবে….. মনে মনে ভাবতে থাকে “সাদাদ যদি জানতে পারে ভাইয়া হাত খরচের জন্য আমাকে টাকা দিয়েছে,আমাকে মেরেই ফেলবে…….”
তবু কোনো মতে থতমতিয়ে বললো,
“ভাইয়া??কই ভাইয়া তো কিছু বললো না……”
“আমারেও আগে কিছু কয় নাই…..বাসা থাইকা বার হইছি ফোন দিলো অফিসের সামনে যাইতে গেলাম পরে এইটা দিয়া কইলো তোমারে দিতে আর কইছে ‘তোমার হাত খরচের জন্য’……….”
“ও…..আচ্ছা…..”
“এইডাই সবার সামনে কেমনে দিতাম……তাই আর কি….তাইলে যাই মা….ভালো মতোন থাইকো ঠিক ঠাক খাইয়ো,পইরো…..”
নৌশিন অনেকটা অন্যমনস্ক হয়ে বললো,
“আচ্ছা চাচা……আসসালামু আলাইকুম…..”
ড্রাইভার সালাম নিয়ে বেরিয়ে যাবে তখনি দরজার সামনে সাদাদকে দেখতে পায়……….
“জামাই বাবা,ছোট মা রে নিয়া যাইয়ো…..আসি?……”
ড্রাইভারের মুখে সাদাদের নাম শোনেই নৌশিনের আত্নার পানি শুকিয়ে যায়……..সাদাদ নৌশিনের দিকে তাঁকিয়েই ড্রাইভারকে বলে,”জ্বি আসুন…..”
ড্রাইভার চলে যাওয়ার পর সাদাদ নৌশিনের কাছে আসে,
নৌশিন কিছু বলার আগেই সাদাদ বলে,
“হাত খরচের জন্য কত টাকা দিলো ভাইয়া???”
নৌশিন বেশ ভালো করে বুজতে পারছে সাদাদের মাথা গরম হয়ে গেছে,কিন্তু ও তো আর জানতো না ওর ভাই ওকে টাকা দিচ্ছে………
“কি হলো???বলো…..”(ধমক দিয়ে)
“গু নি নি তো…..”(তুতলিয়ে)
“আচ্ছা??”বলেই সাদাদ নৌশিনের হাত থেকে টাকার বান্ডেল টা নিয়ে একবার দেখেই আবার নৌশিনের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
“এক লাখ টাকা……বাহ্…..”
নৌশিন এতক্ষণ নিচের দিকে তাঁকিয়ে ছিলো….এবার সাদাদের মুখের দিকে তাঁকালো,
সাদাদের চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে আছে,
“সাদাদ আমি সত্যিই জানতাম না,যে ভাইয়া টাকা দিবে আমায়……”
“আমি অফিসে যাচ্ছি ফাইল টা বের করে দাও…..”
“আসলে……”
“আমি কি বলছি???ফাইল টা চাইলাম না????বের করো……”
সাদাদের ধমক শুনে নৌশিন সাদাদের রেখে যাওয়া ফাইল টা সাদাদের হাতে দেয়………আর সাদাদ সেটা নিয়েই নৌশিনকে আর কিছু না বলে বেরিয়ে যেতে নিলে নৌশিন সামনে দাঁড়ায়….কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলে,
“এই রাগ করো না প্লিজ….আমি জানতাম না তো…..জানলে ভাইয়াকে না করে দিতাম…..প্লিজ সাদাদ……”
“সরো….আমার লেট হচ্ছে….”
“প্লিজ সাদাদ……”
“সরো বলছি না…..সরো….”(ধমক দিয়ে)
সাদাদ নৌশিনকে পাশ কাটিয়ে রোম থেকে হনহনিয়ে বেরিয়ে যায়…..নৌশিন পিছু ডাকলেও একবারও ফিরে তাঁকালো না……………..
!
নৌশিনও সাদাদের পিছু পিছু ড্রয়িং রোম পর্যন্ত আসে কিন্তু ততক্ষণে সাদাদ মেইন ডোর ক্রস করে যায়…..আর আরফান ঐ সময় নৌশিনের চুলে টান দেওয়ায় সে আর সাদাদকে ডাকতে পারলো না……….”আসি রে পেতনি….”(আরফান)
“হুম….যা…..”(কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে)
………..আরফান চলে যাওয়ার পর নৌশিনও নিজের রোমে চলে যায়……..কি করবে কিচ্ছু বুজতে পারছে না…………
মনে মনে কত উপায় খুজতে থাকে বাট সব কোনো উপায় পায় না,
“ভাইয়া যে রাগী,আমি যদি বলি সাদাদ টাকা দেওয়াতে রাগ করেছে তাহলে সে আরও বেশি রাগ দেখাবে,
পারলে সাদাদকে উল্টা পাল্টাও বলবে,আর টাকা টা যদি আমি রেখেই দেই তাহলে সাদাদ রাগ করবে…..”।।।”ধুর কি ভাবছি,সাদাদ আর কি রাগ করবে,অলরেডি রাগ করে ফেলেছে…..আল্লাহ্ ই জানে আমার কপালে আজ কি আছে??অফিস থেকে এসে সাদাদ আমায় সিউর মেরে ফেলবে………ওহ আল্লাহ হেল্প মি প্লিজ………..”
এসব ভাবতে ভাবতে নৌশিনের মাথা ধরে যায়,
আর তাই সব চিন্তা বাদ দিয়ে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ে,”যা হওয়ার হবে,আগে ঘুমাবো আমি…..আল্লাহ তুমি ই ভরসা আমার……..”……!

#প্রেমঘোর#৪৫#
💜💜

আসরের আযান ভেসে আসছে চারপাশ থেকে।
ঢাকা শহরে এমনি হয়,চারপাশেই মসজিদ থাকে,আযানের সময় হলে পর পর একটা আযানের ধ্বনি শোনা যায়।রহমতের ধ্বনি এই শহরে কম হলেও আযানের সময়টাতে বেশ ভালোই হয়ে থাকে।এই মধুর ধ্বনিতে ঘুম ভাঙে নৌশিনের।উঠে ওযু করে নামায পড়ে নিলো।বারবার সাদাদের রাগী মুখ টা ভেসে উঠছে।মনে হচ্ছে টাকা টা কে রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসুক।কিন্তু না নৌশিন ওর বাবার কাছে শিখেছে,টাকা নষ্ট করতে হয় না,টাকা একটা বিশেষ রহমত।আল্লাহ সবাইকে এই রহমত দান করেন না তাই এর সুষ্ঠু ব্যবহার করা দরকার।কিন্তু সে এখন কি করবে….সে দিন বাবা হাত খরচের টাকা দিয়েছিলো শুনে রাগ করেছিলো বাট সে কম টাকা ছিলো আর বিয়ের দু দিন আগে দেওয়া হয়েছিলো।কিন্তু আজ ভাইয়া তো এক লাখ টাকা দিলো তাও এবার এটাও সাদাদ শুনে ফেলেছে যে টাকা টা আমার হাত খরচের জন্য দেওয়া হয়েছে।এখন নৌশিনের নিজের ভাইয়ের উপর ই রাগ হচ্ছে,কারণ সে তো জানে নৌশিন টাকা পয়সা বেশি খরচ করে না….ওর স্টাডি আর টুকটাক কিছু জিনিস সেটা লাগলে ও সাদাদকে বলতো আর না হলে ওদের ই ফোন করতো-তাই বলে তার আগে শুধু শুধু টাকা পাঠানোর কি দরকার ছিলো।……..”অসহ্য…..”….
নৌশিন আর কিছু ভাবতে পারছে না।এই রাগী সাদাদ টা কখন বাসায় ফিরবে কে জানে।নৌশিন বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায়,প্রকৃতি ওর খুব ভালো লাগে……ওর বাড়িতে সব আর্টফিসিশাল সবুজ দেখতে হতো শুধু বারান্দার সামনে গাছ,আর লতিকাগুলো আসল ছিলো……কিন্তু সাদাদের বারান্দার গাছ বলতে টবে তিনটা মাত্র ফুল গাছ কিন্তু এদের বাড়িতে বিশাল একটা বাগান আছে যেটা নৌশিনের সব থেকে বেশি ভালো লাগে…….আর সেটা সাদাদের বারান্দা থেকে খুব সুন্দরভাবে দেখা যায়।
নৌশিন বেশ খানিক টা সময় বারান্দা থেকে বাগান দেখছে কিন্তু তবুও আজ যেন শান্তি পাচ্ছে না,মনের ভেতর কেমন একটা ভয় কাজ করছে।তাই নিজেকে স্বাভাবিক করার জন্য প্রাপ্তির রোমে চলে যায়।প্রাপ্তি অনেক ফ্রেন্ডলি একটা মেয়ে।নৌশিনের কাছাকাছি বয়স না তবে আঠারো হতে তিন চার মাস বাকী আর নৌশিনের দু মাস আগে বাইশ পুরন হলো তো বলতে গেলে নৌশিনের সবচেয়ে কাছের
বয়সী মানুষ হচ্ছে প্রাপ্তি।তাই বন্ধুত্ব টা দু জনের বেশ ভালো ই জমেছে।আপনারা কি ভাবছেন রিদি সাদাদের কথা???ওরা সেইম এজের…দুজনের ই উনত্রিশ,আর ওদের বার্থ ডে একজনের চৌদ্দ ফেব্রুয়ারী(সাদাদ)….এর জন্য সাদাদকে বন্ধু মহলে অনেক ক্ষেপানো হতো……
ভালোবাসা দিবসে জন্ম😁
….আর রিদির সতেরো ই ফেব্রুয়ারী….. সাল একটাই দুজনের……তো ওরা নৌশিনের অনেক বড়।
!
নৌশিন প্রাপ্তির রোমে ডুকে দেখে প্রাপ্তি পড়ছে,তবু জিঙ্গাসা করে,
“কি করছো?”
“এই তো ভাবী,পড়ছিলাম…..বসো না ভাবী…….”
“হ্যাঁ বসছি….একা একা ভালো লাগছিলো না তাই তোমার কাছে এলাম…..”
“খুব ভালো করেছো…আমিও ভাবছিলাম এটা শেষ করে তোমার রোমে যাবো আর দেখো তুমি ই এসে পড়লে…..”
দুজনে অনেক খেঁজুরে গল্প করছে আর হাঁসাহাঁসি করছে হঠাৎ নৌশিনের চোখ যায় প্রাপ্তির ফোনের দিকে আর মনটা বার বার সাদাদের কন্ঠ টা শুনতে চাইছে।তাই সবকিছু ফেলে রেখে প্রাপ্তিকে বলেই ফেললো…….”তোমার ফোন টা একটু দিবে??”
“ও মা,এটা আবার আমাকে বলতে হয়……নাও…..”
“থ্যাস্কস….আসলে তোমার ভাইয়ার সাথে একটু কথা বলতাম…..ব্যালেন্স আছে তো??”
প্রাপ্তি মুচকি হেঁসে বলে, “নাহ তো……..”
“আচ্ছা তুমি পড়ো….আমি রিকুয়েক্ট কল দিচ্ছি তোমার ভাইয়া ই ব্যাক করবে……”
প্রাপ্তি মিষ্টি একটা হাঁসি দিয়ে বলে “ওক্কে ভাবী….”
নৌশিন ফোন টা নিয়ে প্রাপ্তির রোমের বারান্দায় চলে যায়…..সাদাদকে পরপর দুটো রিকুয়েস্ট কল করলো তারপর ই সাদাদ কল ব্যাক করে……………
নৌশিন ফোন ধরে কিছু বলার আগেই ওপাশ থেকে সাদাদ ধমক দিয়ে বলতে শুরু করে,
“কি হয়েছে???বারবার কল কেন করছিস?কি লাগবে বল???”
“………….”
“হ্যালো,…….কথা বলছিস না কেন????……হ্যালো প্রাপ্তি…… ”
নৌশিন ভয়ে ভয়ে বললো,
“প্রাপ্তি না আমি…..”
“ও…. বলো,কোনো দরকার??”
“না……”
“তাহলে??”
“এমনি ফোন দেওয়া যায় না বুঝি??”
“আমি অফিসে সেটা মনে আছে তোমার??”
“এমন করে কেন বলছো…..খারাপ লাগছিলো তাই কল করলাম……..সরি বুজতে পারি নি ডির্স্টাব হবে…….”
“আবার কিসের সরি……”(ধমক দিয়ে)
“আমার ভালো লাগছে না…..কখন আসবে?”
“রাত হবে……তুমি কিছু খেয়ে পড়তে বসো……”
নৌশিন একটু ঘাবড়ে যায়।।।বেশ ভালো করে বুজতে পারছে সাদাদ খুব রেগে আছে………..
“আ রাতে কেন???আগে আসবে…..বললাম না আমার ভালো লাগছে না…..”
“কাজ আছে শেষ হলেই চলে আসবো….এখন ফোন টা রাখো…….”
“শোনো……”
“কি???”
“আই লাভ ইউ……..”
“হুম…আঔ নো…..রাখছি….”বলেই সাদাদ নৌশিনকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন টা কেটে দিলো।নৌশিনের খুব কান্না পাচ্ছে,
সাদাদ এভাবে ফোন টা রেখে দিলো!কথাটার রিল্পে না দিতো এট লিস্ট ভালোভাবে ফোন টা রাখতে পারতো।নৌশিন প্রাপ্তিকে ফোন টা দিয়ে এসে রোমে ডুকেই কান্না করে দেয়।উপুড় হয়ে শুয়ে অনেকক্ষণ কান্না করছে এমন সময় অরূপ দৌড়ে এসে নৌশিনের পিঠের উপর শুয়ে পড়ে…..নৌশিন বুজতে পেরে তাড়াতাড়ি ওড়না দিয়ে চোখ মুখ মুছে ফেলে-অরূপের দিকে ফিরে তাঁকায়…………..
“নতুন বউ,তুমি ঘুমাচ্ছিলে???”
নৌশিন অরূপকে পিঠ থেকে নামিয়ে ভালো করে শুয়ে অরূপকে নিজের বুকের উপর শুইয়ে নেয়….
“না বাবু…..তুমি কোথায় ছিলে??”
অরূপ নৌশিনের চুল হাত নিয়ে খেলতে খেলতে বলে,
“আমি তো পাল্কে গিয়েছিলাম খেলতে…..”
“ও তাই……কার সাথে গিয়েছিলে…..”
“শলিফ নানুল(সার্ভেন্ট)সাথে…..লোজ যাই…..”
“বাহ্…..ভালো তো……”
“নতুন বউ…..”
“হুম….”
“তোমাল কি মন খালাপ???”
“না তো সোনা…..কেন বলো তো??”
“না দেখে মনে হলো….আম্মুকে যখন আব্বু বকা দেয় তখন আমাল আম্মু তুমি একটু আগে যেমনি শুয়ে ছিলা এমনি কলে শুয়ে থাকে আবাল বেশি বকলে কান্নাও কলে….আমি দেখেছি…….. ”
“ওলে বাবু লে…..না সোনা আমি তো এমনি ই শুয়ে ছিলাম….”
“আসলেই বাচ্চা রা মুখ দেখে অনেক কিছু বুজতে পারে……ওদের বিশেষ ক্ষমতা আছে সব কিছু অটোমেটিকলি বুজে নেওয়ার…..”(মনে মনে)
“ওওও…..”(অরূপ)
“হ্যাঁ তো…..”
“চলো না নিচে যাই…..আম্মু কে বলি নুডুলস কলে দিতে…খেলতে খেলতে খুদা লেগে গেছে…….”
“আচ্ছা চলো……”
নৌশিন অরূপকে কোলে নিয়ে নিচে নেমে আসে….
একজন মহিলা সার্ভেন্ট কে বলে,”ও নানু আম্মু কই??”
সাদাদের বাসায় অনেক সার্ভেন্ট আছে কিন্তু সবাই সন্ধ্যার দিকে কাজ করে চলে যায়।শুধু শরিফ আর এই হালিমা ই এদের বাসায় থাকে বেশ কয়েক বছর যাবত……তাই অনেক টা এ বাড়ির মানুষের মতোই হয়ে গেছেন এই স্বামী-বউ………
“তোমার মা তো এই নেই আছিলো….কই গেলো…..”
অরূপ আর কিছগ না বলে সারা ড্রয়িং রোমে দ্রুত গতিতে হেঁটে হেঁটে চেঁচাতে শুরু করে, “আম্মু…..আম্মু…আম্মু….আম্মু…..আম্মু……….”বলেই যাচ্ছে থামার আর নাম নেই……..
“অরূপ বাবু থামো……”(নৌশিন)
কে শোনে কার কথা অরূপ এক ই ভাবে চিল্লাতে থাকে…….ওর মা তাড়াতাড়ি সিরি দিয়ে নামছে আর বলছে,”এই ছেলে কি হয়েছে তোমার???এভাবে বাড়ি মাথার করছো কেন??”
অরূপ বিশাল একটা হাঁসি দিয়ে ওর মায়ের কাছে গিয়ে,মায়ের আঙুল ধরে মুখ উপরের দিকে করে ওর মায়ের মুখের দিকে তাঁকিয়ে আছে,
এমন মিষ্টি হাঁসি আর চাহনী দেখে ওর মায়ের সব রাগ মাটি হয়ে গেলো…………..
হাটু গেরে ছেলের সামনে বসে পড়েন……”কি বাবু???”
“কোথায় ছিলে???কখখখখখনননন থেকে ডাকছি আমি…..”
“নামায পড়ছিলাম আব্বু…..”
“ও…….”
“হ্যাঁ সোনা…..এবার বলো কেন ডাকছিলে……”
“আমাকে আল নতুন বউকে নুডুলস কলে দাও…….”
নৌশিন অরূপের কথা শোনে অরূপের মায়ের দিকে তাঁকিয়ে তাড়াতাড়ি বলে,”না না আমি না ভাবী….”
অরূপ ওর মায়ের কাছ থেকে নৌশিনের সামনে গিয়ে দুহাত কমড়ে দিয়ে দাঁড়ায়,তারপর আঙুল নাঁচিয়ে নাঁচিয়ে বলে,
“খাবে বুজলে???না খেলে আমিও খাবো না…..আমাল কিন্তু এত্ত বল খুদা পেয়েছে………”
অরূপের ভঙ্গিমা দেখে উপস্থিস সবাই হেঁসে পড়ে,
“ওহ্…. হাঁসি থামাও সবাই….আমাল খুদা লেগেছে তো…..”
“ওকে বাবু….তুমি একটু বসো আমি তোমার জন্য নুডুলস করে আনছি…….”
“চিংলি দিও না…..”
অরূপের মা রান্না ঘরে যাচ্ছিলো পেছন ফিরে তাঁকিয়ে বলে,”তুমি তো বড় বড় চিংড়ি ছাড়া নুডুলস খাও না…. তাহলে??”
“হুম খাই না আজ খাবো….নতুন বউ যে চিংলি খেতে পালে না তাই ঐ টা দিবা না আজকে ঐটা ছালাই খাবো……..শুধু ডিম দিবে……”
মা ছেলের কাছে এসে গাল টেনে বলে,
“বাব্বাহ….ছেলে আমার বড় হয়ে গেছে….আমারি তো মনে ছিলো না……”
“হয়েছে যাও….খুদা পেয়েছে তো…..”
“যাচ্ছি যাচ্ছি…….”
!
কিছু সময় পড় অরূপের মা অরূপ আর নৌশিনের জন্য নুডুলস নিয়ে আসে,অরূপ আর নৌশিন বসে বসে পেপার দেখছিলো…….
“এই যে তোমাদের নুডুলস…….”
“ইইএএএএ…..নুডুলস….”
“আমাকেও খেতে হবে????”
অরূপ নৌশিনের দিকে চোখ বড় বড় করে বলে,
“হ্যাঁ….খেতে হবে…..না খেলে তালাতালি বল হবে না…… বুজলে???”
নৌশিন হাঁসি দিয়ে বলে,
“হ্যাঁ,আব্বু খুব ভালো করে বুঝেছি…..”
অরূপের মাও হেঁসে বলে,
“খা খা……তোর জন্য জীবনে প্রথম চিংড়ি ছাড়া নুডুলস খাচ্ছে আমারর ছেলে আর তুই খাবি না??”
“এই তো খাচ্ছি….বাবু তোমাকে খাইয়ে দিই আমি??”
“না না….তুমি নিজেল টা খাও ভালো কলে…..এমনি ই খাও না পলে পাকানামি কলে সব আমায় খাইয়ে দিবে…..আমাকে ফুল(বোকা)বানানো এত সোজা না…..আম্মু খাইয়ে দিবে আমাকে…….”
নৌশিন,রাফসা দুজনে হাঁসতে থাকে……..
“হয়েছে আর বকো না….হা করো এবার…….”
“হা…….
………..
খুব মজা…….উমমমমমম”
…….খাওয়া শেষ করে নৌশিন আাবরও অরূপের সাথে সময় কাটাতে থাকে………
মাগরিবের আযান দিলে,নামায পড়তে যায়…..
নামায সেরে সাদাদ স্টাডি রোমে গিয়ে দেখে সাদাদের তাঁকের পাশে নতুন একটা বড় তাঁক আর সেখানে সব বই সুন্দর করে গুছানো…..
বইগুলে দেখেই নৌশিনের মনটা ভালো হয়ে গেলো….
“নিশ্চয় এটা ভাবীর কাজ…..” বলে নৌশিন বইগুলো দেখতে থাকে,অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন ভাবী(রাফসা)।একটা বই নিয়ে রোমে চলে এলো নৌশিন।স্টামি রোমে একা একা এত বইয়ের মাঝে বই এই রাতে বেলা বই পড়ার সাহস নেই নৌশিনের।।।।
তাই বইটা নিয়ে রোমে ডুকে বিছানায় শুয়ে পড়লো যদিও পড়ার ইচ্ছা নেই তবু পাতা দেখে সময় কাঁটানোর জন্য বই টা এনেছে।।।।।।।।
রাত আট টা বাজে….অথচ সাদাদের আসার নাম নেই,
নৌশিনের এবারর খুব খারাপ লাগছে…………
কোনো কিছুতেই মন বসছে না,তাই বই রেখে চুপচাপ পাশ ফিরে শুয়ে আছে।
………………
প্রায় রাত নয় টা বাজে সাদাদ রোমে ডুকে……
সাদাদ আসা মাত্রই নৌশিনের মুখে হাঁসি ফুটে উঠে,এক মুহুর্তেই শুয়া থেকে উঠে বসলো।সাদাদ লেপটপ আর কিছু পেপারস সোফার উপর রেখে,আয়নার সামনে গিয়ে হাত থেকে ঘড়ি খুলছে আর এমন সময় নৌশিন পেছেন থেকে সাদাদকে জড়িয়ে ধরে।
“কি করছো….ছাড়ো…..”
“না….এতো দেরী করলে কেন???আমি বলেছিলাম না মন খারাপ করছিলো আমার…..”
“কাজের চাপ ছিলো অনেক….”
“হুম জানি তো তাই রাগ করে বাসায় বসে যে কাজটা করতে সেটা অফিসে বসেই করে এসেছো……”
{সাদাদ আসলেই এই কাজ টা করেছে😂😂}
“ওকে….এবার চেন্স তো করতে দাও…..”
“না।।।।আগে বলো….রাগ করো নি আমার উপর??”
“না করি নি…রাগ কেন করবো……”
“রাগ না করলে ও ভাবে ফোন কাটতে না আর এখন এভাবে কথা বলতে না…….প্লিজ রাগ করো না…….প্লিজ…….”
সাদাদ নৌশিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিজেই নৌশিনের দিকে ঘুরে তাঁকালো………………….
!
চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here