Ex গার্লফ্রেন্ড যখন বাড়িওয়ালী
পর্ব,,,১৩
লেখক,,, junior
অনিতা তুমি এখানে 😱😱😱😱 কখন আসলা,,,, আমি
আসছি অনেকক্ষণ হলো,,,, তোমাদের কথা শুনছিলাম,,,, অনিতা
অনিতার তার কথা শুনে আমারতো ঘাম ঝড়তে লাগছিল,,,, তাহলে কি সবকিছু শুনে ফেললো অনিতা
এখন কি হবে,,,,,
কি ব্যাপার,,, এভাবে চুপ করে আছো কেন,,, কিরে নিশিতা,,, তুই ও চুপ করে আছিস কেন,,,অনিতা
নাহ,,, কিছু না,,, কি শুনছো তুমি,,,,, আমি
আরে এত সিরিয়াস হচ্ছো কেন,,, আমি এমনি মজা করলাম,,, তোমাদের কথা আমি শুনতে যাবো কেন,,, কিন্তু তোমরা কি এমন কথা বলছিলে যে,,,,, আমাকে দেখে চমকে গেলে,,,,,অনিতা
অনিতার তার কথা শুনে একটু স্বস্তি এলো,,, আমি কিছু বলতে যাবো,, তার আগেই নিশিতা বলে উঠলো,,,,
আরে আপু,,, তোর বিয়ে নিয়ে কথা বলছিলাম,,, কি কি করবো তোর বিয়েতে সেটা ভাবছিলাম,,,,নিশিতা
ওহহহ,,তাই নাকি,,,, তা আমাকে ও ডাকতে পারতি,,,,অনিতা
তোকে কেন ডাকবো,,, তোর ই তো বিয়ে,,,, নিশিতা
তাই কি,,, আমার বিয়ে বলে ,,আমাকে ডাকবে না,, এটা কেমন কথা,,, রাশেদ তুমি তো একবার ডাকতে পারতে,,,অনিতা
আমরা এমনি দাঁড়িয়ে গল্প করছিলাম,,, নিশিতা এমনি মজা করছে,,, বাদ দাও এসব,,,, চলো নিচে যাই,,, আমি
হুম তাই চলো,,,,অনিতা
তারপর নিচে গেলাম,,, দেখলাম আঙ্কেল আন্টি খাবার টেবিলে বসে আছে,,,, আমরা যাওয়া পর খাওয়া শুরু করলাম,,,,,
আচ্ছা রাশেদ,,, তোমার মায়ের নাম্বারটা দিও তো,,,, আঙ্কেল
কেন আঙ্কেল,,, কি করবেন,,,, আমি
হাতে তো বেশি সময় নেই,,, আর মাত্র কয়েকদিন,,, তোমার মাকেও বিয়েতে আসতে বললো,,,, এতদিন ধরে আমাদের বাড়িতে থাকছো,,, তোমার মাকে এখনও দেখা হয়নি,,,, আঙ্কেল
ওহহহ,,, নাম্বার নেয়া লাগবে আঙ্কেল,,, আমি এমনিতেই একবার বাড়িতে যাবো,,, ছোট ভাইয়ের নাকি শরীর খারাপ,,,, তখন যদি আসতে চায় তাহলে নিয়ে আসবনি,,,, আমি
কবে যাবে তুমি,,, এখন তো এমনিতেই অনেক চাপ,,, তুমি চলে গেলে,,,, কিভাবে হবে,,, আঙ্কেল
টেনশন করেন না,,, আমি গিয়ে থাকবো না,,, শুধু ভাই কে একটু হসপিটালে নিয়ে গিয়ে দেখাবো,,, একদিনের মধ্যে চলে আসবোনি,,,, আমি
ঠিক আছে তাহলে যেও,,, আর আসার সময় অবশ্যই তোমার মা আমার ভাইকে নিয়ে আসবে কিন্তু,,,, আঙ্কেল
হুম ,,, আমি
তোমরা কি শুরু করেছো,,, খাওয়ার সময় এত কথা বলছো কেন,,,, পরে বললে হতো না,,,, আন্টি
পরে সময় পাইনা,,, তাই বললাম,,,,, আচ্ছা সবাই খাও এখোন,,,, আঙ্কেল
খাওয়া শেষ করে রুমে গেলাম,,,, একটু পর রাফিন কে ফোন দিলাম,,,,
কিরে দোস্ত,,, পিয়ালির কোন খোঁজ পেলি,,,,, আমি
নারে,,, এখনো তো পাইনি,,,, কোথায় গেল হঠাৎ,,,, আচ্ছা কালকে তুই আয়,,, তারপরে ওর বাসায় গিয়ে দেখবোনি,,,, রাফিন
আমি তো কাল যেতে পারবো না রে,,, অনিতার বিয়ের আর পাঁচ দিন আছে,,,, কেন যে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে ঠিক করলো বুঝলাম না,,, খুব কাজ পড়ে গেছে রে,,, সব দায়িত্ব আঙ্কেল আমাকে দিয়েছে,,,, কি যে করি,,, আমি
আচ্ছা তোকে আসতে হবে না,,, আমি গিয়ে দেখবোনি,,,, তা,,, অনিতার সাথে কিছু কি হলো,,, রাফিন
কি হবে,,, আর পাঁচ দিন পর বিয়ে,,, এটাই এখন হতে চলেছে,,, আমি
এখনো সময় আছে বন্ধু,,,, কিছু কর,,, পাঁচ দিন পর কিন্তু চিরতরে হারাবি,,,, আমি জানি,, তুই এখনো অনিতা কে খুব ভালোবাসিস,,,, আর তুই খুব কষ্টে আছিস,,, সেটা আমি ভালো করেই জানি,,,, রাফিন
আচ্ছা রাখি পরে কথা হবে,,,বাই,,, ভালো থাকিস
তারপর ফোনটা কেটে দিলাম,,,, আমি এখানে কি করতে পারব,,,, কিছুই তো করার নাই আমার,, কি ঠিক করব,,,, সে অধিকার ই তো নাই আমার,,,,, এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম
সকালে আগেই উঠলাম,,,, ফজরের নামাজ পড়ে,,, ছাদে গেলাম,,,, এটা আমার একটা বদ অভ্যাস,,,, যখন সময় পাই,,, তখনই ছাদে যাই ,,, অনেক ভালো লাগে,,,,, আমার
সকাল প্রকৃতির মুক্ত হাওয়া,,, নিমেষের মনটাকে ভালো করে দেয়,,,,, কিছুক্ষণ থাকার পর রুমে গেলাম,,,,,
বাড়িতে ফোন দিয়ে মাকে জানিয়ে দিলাম,,, আজকেই বাড়িতে যাবো,,,, অনেকদিন হলো মাকে দেখিনি,,, একটুও ভালো লাগছে না,,,
সকালে ব্রেকফাস্ট করার সময় আন্টিকে বললাম,,,,
আন্টি আজকে বাড়িতে যাব,,, একটু পর,,,, আমি
আজকেই যাবে,, কাল রাতে তো বললে না,,, আর আজ গেলে আসবে কবে,,,, আন্টি
কালকেই চলে আসবনি,,,, অনেকদিন হলো তাদের দেখি নাতো ,,,, আমি
ওহহহ আচ্ছা,,, ভালভাবে যেও তাহলে,,,, আন্টি
হুম,,, আমি
অনিতা ও টেবিলে বসে ছিলো,,, আমার আর আন্টি কথা শুনছিল,,,,
রাশেদ,,, আমিও তোমার সাথে যাবো,,,, নিয়ে যাবেনা,,, অনিতা
অনিতার কথা শুনে,,, কিছু বললাম না,,, কারণ পাশে আন্টি দাঁড়িয়ে ছিলো,,,,
কি হলো নিয়ে যাবে না,,,, মা তুমি একটু বলো,,,, অনেকদিন হলো বেড়াতে যাই না কোথাও,,,,, অনিতা
অনিতার কথা শুনে আন্টি বলে উঠলো,,,,
এত করে যখন বলছে,,, নিয়ে যাও না রাশেদ,,,, আমাদের বাড়ির গাড়ি নিয়ে যাও,,, তাহলে কোন প্রবলেম হবে না,,, আন্টি
আন্টির কথায় আর না করতে পারলাম না,,, আসলে আমার ইচ্ছা ছিল না,, অনিতাকে সাথে করে নিয়ে যাই,,, এমনিতেই এই কয়দিনে অনেক মায়া জড়িয়ে গেছি,,, আর জড়াতে চাই না,,,
কিছুক্ষণ পর,,,, আঙ্কেল আন্টি কে বলে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা দিলাম,,,, আসার সময় নিশিতা দেখলাম মুচকি মুচকি হাসতেছে,,,, আমাকে দেখে বললো,,,
ভাইয়া সুযোগটা কাজে লাগাইয়েন,,, আর কিন্তু পাবেন না,,,, এটাই শেষ এটাই শেষ,,,, নিশিতা
নিশিতা অনিতার সামনেই কথাগুলো বললো,,,,
কিসের সুযোগ রে,,, কি বলছিস এসব,,, অনিতা
ওটা তুই বুঝবি না,,, আমার আর ভাইয়ার বিষয় এটা,,,, নিশিতা
খুব বড় হয়ে গেছিস তাই না,,,, অনিতা
তোমরা কি শুরু করলে,,, এক জায়গায় যাচ্ছি তো,,, নিশিতা তুমি যাও,,, আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে,,, অনেকদূর যেতে হবে,,, আমি
হুম ভালো ভাবে যাইয়েন,,,,বাই,,,, নিশিতা
তুমিও ভালো থেকো,,,,বাই,,,
তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম,,,, রাস্তায় অনেক হাসি তামাশা করলাম,,,, অনিতাকে দেখে একটুও মনে হচ্ছে না আমাদের আগে একটা রিলেশন ছিল,,,,, মনে হচ্ছে আমি ওর নতুন কোন বন্ধু,,,,,
প্রায় চারঘন্টা পর,,, বাড়িতে পৌঁছালাম,, আজ ছয় মাস পর,,, বাড়িতে আসলাম,,,,,, মা তো আমাকে দেখে অনেক খুশি,,, অনিতা কে নিয়ে এসেছি বলে,,, মা আরো বেশি খুশি হয়েছে,,, মাকে আগেই বলেছিলাম,,, অনিতা কি নিয়ে আসবো,,, কিন্তু অনিতার সাথে যে আমার রিলেশন ছিলো,,, এটা মা জানে না,,,,,
আসতে কোন সমস্যা হয়নি তো রাশেদ,,,,মা
না সমস্যা হয়নি কোনো,,, ভালো আছো তোমরা,,, আমি
হুম ভালো আছি,,, তুইতো অনেক শুকিয়ে গেছিস,,,,,মা
কি🤔🤔🤔শুকালাম,,,, তোমার কাছে আমি সব সময় খালি শুকিয়ে যায় তাই না,,,, আমি
আচ্ছা মা তুমি বলোতো,,,, রাশেদ শুকিয়ে যায় নি,,, অনিতাকে উদ্দেশ্য করে বললো মা,,,,
হুম,,একটু শুকিয়ে গেছে আন্টি,,,অনিতা
এসব কি করলে মা ,, এতদিন পরে বাড়িতে আসলাম,,,,আর তুমি আছো আমার মোটা চিকন হওয়া নিয়ে,,,,, রাকিব কথায়,,,(রাকিব আমার ছোট ভাইয়ের নাম) আমি
কই আর যাবে,,, দেখ কোথাও গিয়ে খেলতেছে,,, এত মানা করি তবুও শোনে না,,, আমাকে তো ভয়ই পায় না,,,,মা
তাই নাকি,,,, আমি আসবো সেটা ওই জানে,,, আমি
হুম জানার পর থেকে কয়বার জিজ্ঞেস করল,,, তোরা কখন আসবি,,,, ঠিক নাই,,,,মা
আচ্ছা ওকে ডাক দাও,,,, অনেক দিন হল দেখি না,,, আমি
এমনি আসবিনি একটু পর,,, দুপুর হয়ে গেছে না,,,, তা তোরা কবে যাবি,,,,মা
আগে আসলাম,,, এখনই যাওয়ার কথা ভাবতেছো মা,,,, আমরা মনে হয় কাল সকালে যাবো,,,, আমি
আজকেই তো এলি,,, আবার কালকেই চলে যাবি,,,, এতদিন পরে আসলি,,,,মা
যেতেই হবে,,, সামনে অনিতার বিয়ে,,তো,, অনেক কাজ পড়ে আছে,,, আঙ্কেল তো আসতেই দিবেনা,,, আমি
ওহহ তাই নাকি মা,,, তোমার বিয়ে সামনে,,, অনিতাকে উদ্দেশ্য করে মা বললো,,,,
হুম আন্টি,,, আপনাদের কিন্তু যেতেই হবে,,,,অনিতা
আমরা কিভাবে যাবো,,, বাড়িতে তো আমরাই থাকি,,,,আমরা গেলে বাড়ি দেখবে কে,,,,মা
আমি ওসব কিছু শুনবো না,,, আপনাদের যেতেই হবে,,,,অনিতা
আচ্ছা মা,, সেদিন আগে আসুক,,,তোমরা রেস্ট নাও,,,অনেক দূর থেকে এসেছো,,,,,আমি রান্নাঘরে তাই,,,মা
তারপর মা চলে গেল,,,
তোমার মা অনেক ভালো রাশেদ,,,অনিতা
ওহহহ,,,,সবার মা ই ভালো হয়,,,, তোমার মা ও অনেক ভালো,,, আমি
কিছুক্ষণ পর রাকির কোথায় দেখে যেন আসলো,,,আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো,,,
অনেকদিন হলো দেখে নাতো,,,,
ভাইয়া কেমন আছিস,,,রাকিব
ভালো ,,তুই কেমন আছিস,,,আমি
আমিতো খুব ভালো,,,, কিন্তু এটা কে ভাইয়া ,,,ভাবি নাকি,,, অনিতাকে উদ্দেশ্য করে বললো রাকিব
কিরে খুব পাকনা হইছিস দেখছি,,,,এটা তোর ভাবি হতে যাবে কেন,,,,ও আমাদের অফিসের বস,, আমি
আমার জন্য কি আনছিস ভাইয়া,,,রাকিব
কি লাগবে তোর সব আনছি ,,,মার কাছে,যা,,,, তাহলেই পাবি,,,, আমি
আমার কথা শুনে দিলো দৌড়,,,আমাকে মনে হয় চিনেই না,,,, ঐদিকে আমাদের দুই ভাইয়ের কাহিনী দেখে অনিতা হাসতে শুরু করলো,,,,
কি ব্যাপার হাসতেছো কেন,,,, আমি
এমনি ,,, তোমাদের কাহিনী দেখে,,, তোমার পরিবার টা অনেক সুন্দর,,, কিন্তু সবাইকে তো দেখছি,,,তোমার বাবাকে তো দেখলাম না,,,,, অনিতা
অনিতার কথা শুনে বুকের মধ্যে কেমন জানি,,,করতে লাগলো,,আসলে অনিতা জানেই না আমার বাবা মারা গেছে,, অনেক আগেই,,,,
চলবে
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক এবং কমেন্ট করবেন
ধন্যবাদ সবাইকে