Ex গার্লফ্রেন্ড যখন বাড়িওয়ালী পর্ব,,২০

0
321

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন বাড়িওয়ালী

পর্ব,,২০

লেখক,, junior

আরে মামা কাঁদছেন কেন,,,,, আমি

তোমার মত আমারও একটা ভাই আছে,,, সে এখন ডাক্তার,,,,, নিজে না খেয়ে পড়িয়েছিলাম,,, কিন্তু আজ এক বছর হলো আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ ই করে না,,, হেল্পার মামা

ওহহহ,,, সরি মামা বুঝতে পারিনি,,, চিন্তা করেন না,,, একদিন দেখবেন ঠিকই ফিরে আসবে,,, আমি

সেই আশাতেই তো বেঁচে আছি,,, ওর জন্য, নিজে কোনো সন্তান নিয়েছিলাম না,,,মামা

মামা কাল আমার বিয়ে,,, যদি কিছু না মনে করেন,, তাহলে চলেন আমার সাথে,,, আমি

আরে নাহ,,, আমার তো অনেক কাজ,,, একদিন কাজ না করলে,,, আবার কাজে থেকে বাদ দিবে,,, তুমি বলেছো এতেই খুশি আমি,,, ভালোভাবে বিয়েটা হোক এই দোয়া রাখি,,,মামা

মামা সত্যি আপনি অনেক ভালো,,, আপনাদের মত কিছু মানুষ এখনো বেঁচে আছে বলে,,, মানবতা টা ও বেঁচে আছে,,, আমি

আচ্ছা মামা ভালো থাকবেন,,, বাসে ছেড়ে দিবে,,, আর ওপরওয়ালা চাইলে,,, আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ,,,মামা

হুম মামা,,, আমি

চোখের সামনে দিয়ে মামা চলে গেল,, মামার কথাগুলো শুনে সত্যি খারাপ লাগলো,,, এরকম কয়জন আছে,, নিজের ভাইয়ের জন্য সন্তান নেয়না,,,

তারপর মা আর রাকিব কে অনিতাদের বাড়িতে গেলাম,,, দেখলাম সবাই মার্কেটে গেছে,,, আমাকে অনিতা অনেক বার ফোন করেছে,,, যাওয়ার জন্য

এত বিশাল বাড়ি রে রাশেদ,,,, এত বড় বাড়িতে থাকতি তুই,,,মা

হুম,,, বিশাল বাড়ি,,, এই বাড়ির মালিকরাও না খুব ভালো,,, আমি

কই কাউকে তো দেখছি না,,, সবাই কোথায় গেছে,, মা।

সবাই অনিতার বিয়ের কেনাকাটা করতে গেছে,, আমাকে বলেছিল যেতে,,, কিন্তু তোমরা আসবে বলে যায়নি,,, আমি

মা রাকিবকে আমার রুমে নিয়ে গেলাম,, রাকিব কোন কথা বলছে না দেখলাম,,,

কিরে চুপ করে আছিস কেন,,,, আমি

এমনিতেই,,, দেখতেছি কি বিশাল বাড়ি,,, বড় হলে আমি এরকম একটা বাড়ি দেবো,,, রাকিব

তাই নাকি,,, আচ্ছা দিস,,, এখন বিশ্রাম নাও তোমরা,,, অনেক দূর থেকে এসেছো,,, আমি একটু বাহির থেকে আসি,,,, আমি

তারপরে অনিতাদের কাছে গেলাম,,, দেখলাম কেনাকাটা প্রায় শেষের দিকে,,, আর দু একটা জিনিস কিনলেই হবে,,,,

এত সময় লাগে আসতে,,, কতবার ফোন দিলাম তোমাকে,, অনিতা

সরি,,, মা আর রাকিব কে আনতে দেরি হয়ে গেছে,,,, আর কতক্ষন লাগবে,,, আমি

এইতো,, তোমার জিনিসগুলো কিনলেই হয়ে যাবে,,, চলো ওইদিকে,,, সবাই বসে আছি তোমার জন্য,,,, অনিতা

হুম চলো,,, তারপর আঙ্কেল আন্টি দের কাছে গেলাম

সবাই মিলে আমার বিয়ের সবকিছু কিনলাম,, পছন্দ সবকিছু অনিতাই করলো,,,,

আসার সময় আমিও মা আর রাকিব এর জন্য জামা-কাপড় কিনলাম,,, সেটা আমি পছন্দ করেছি,,, অনিতা দের জানাই নি,,,,

দুপুরের দিকে সবাই মিলে বাড়িতে আসলাম,,,,, তারপর রুমে গেলাম মা আর রাকিবের কাছে,,,

কেনাকাটা হয়ে গেছে সব,,মা

হুম,,, এই নাও তোমার জন্য একটা শাড়ি আনছি,,,, আর রাকিব তোর জন্য জামা প্যান্ট আনছি,,,, রাকিব তো দেখে খুব খুশি
,

এসবের কি দরকার ছিল,, আমার তো এমনি অনেক শাড়ি আছে,,,মা

তাতে কি,,, ছেলে মায়ের জন্য আনছে,,, এটা তোমার কাছে বেশি হচ্ছে না ,, আমি

কই বেশি হচ্ছে,,, এমনি বললাম,,মা

কিছুক্ষণ পর অনিতা আসলো,,, এসেই মাকে সালাম করলো,,, শাশুড়ি বলে কথা

মা কেমন আছেন ,, অনিতা

হুম ভালো আছি,,, তুমি কেমন আছো,,,মা

আমিও ভালো আছি,,,, কেমন আছো রাকিব,,, অনিতা

আমি ও ভালো আছি,,, খুব সুন্দর লাগছে আপু আপনাকে,,, রাকিব

😱😱😱😱😱আমি

তাই নাকি,,, দেখো তোমার জন্য কি আনছি,,, অনিতা

কি আনছেন,, দেখি,,, রাকিব

দেখলাম অনিতা ও মা আর রাকিবের জন্য,, জামাকাপড় কিনছে,,,,

এই যে মা আপনার জন্য একটা শাড়ি,,, পছন্দ না হলে কিছু মনে করেন না,,, আমার পছন্দ ভালো না কিন্তু,,, অনিতা

খুব সুন্দর হয়েছে,,,, এসব কিনতে গেলে কেন,,,, রাশেদ ও তো কিনে আনছে একটা,,,,মা

তাই কি,, আপনার ছেলে দিতে পারলে কি,,, বৌমার দেয়া যাবে না,,, অনিতা

বৌমা মানে,,, তোমার তো অন্য জায়গায় বিয়ে হচ্ছে,,, আমার ছেলের সাথে বিয়ে হলে তো বৌমা হতে,,,মা

আপনি জানেন না মা,,, আপনার ছেলের সাথেই আমার বিয়ে,,, রাশেদ আপনাকে কিছু বলে নাই,,, অনিতা

😱😱😱 কই রাশেদ তো কিছু বলে নাই,,, কি বলছ তুমি কিছুই তো বুঝতেছিনা,,, কিরে রাশেদ কি বলছে অনিতা,,,মা

তোমাকে আমি সবকিছু খুলে বলছি,,, অনিতা তুমি যাও তো এখন,,, আমি

কেন আমি থাকলে কি সমস্যা ,,, আমার সামনেই বল,,, কাল দিন পর থেকে তো তোমাদের বাড়ির সদস্যই আমি,, অনিতা

বললাম তো যাও,, আমি একটু পরে আসতেছি,,, আমি

ওকে,,, থাকো আমি গেলাম ☹️☹️☹️ অনিতা

তোমার যাওয়া লাগবে না,,, তুমি থাকো,, আমি বলতেছি,,মা

সত্যি,,, তাহলে আর গেলাম না কিন্তু☺️☺️☺️ অনিতা

আমি আর কিছু বললাম না,,, মাকে তারপর সবকিছু বুঝিয়ে বললাম,,,

এতো কিছু হয়ে গেছে,, আর আমাকে একবারও বলিস নি,,,মা

তোমাদের আমি টেনশন দিতে চাইনি,,, তাই বলিনি,, কিছু মনে করো না,,, আমি

মনে করার কি আছে,,, তবে যা হয়েছে ভালই হয়েছে,,, আমারও অনিতা মাকে খুব পছন্দ,,,,মা

☺️☺️☺️☺️☺️অনিতা

একটু পরে আঙ্কেল আন্টি ও আসলো,,,

মার সাথে অনেকক্ষণ কথা বললো,,, আমরা ছাদে গেলাম,,, রাকিব কে ও নিয়ে গেলাম,,,

কিছুক্ষণ পর নিশিতাও আসলো,,, চারজন মিলে ছাদে গল্প করতে লাগলাম,,,,

একটু পর,, আন্টি খেতে ডাকলো নিচে,,,,

সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলাম,,, খুব ভালো লাগছে,,, মাও অনেক খুশি হয়েছে,,, প্রত্যেক মা-ই সন্তানের খুশি দেখলে এমনিতেই খুশি হয়ে যায়,,,

বিকেলের দিকে অতিথিরা আসা শুরু করলো,,, বেশি লোক ইনভাইট করেনি আঙ্কেল,, আসলে আঙ্কেলের আপন বলতে তেমন কেউ নেই ,,, সবাই বিজনেস রিলেটেড,,,,

বিকেলবেলা অনিতাকে নিয়ে সেই লেকের পাড়ে গেলাম,,, যেখানে আমাদের হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে,,,, আসলে আজকে সেই ফুচকাওয়ালা মামার সাথে দেখা করতে যাচ্ছি ,,, এত বড় সুখের সংবাদ তাকে না জানালে আমাদের প্রেমটা পূর্ণ হবে না,,, অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে মামার সাথে ,,,

কোথায় যাচ্ছ রাশেদ,, এ বিকালবেলা,,, অনিতা

আরে চলো আগে,,, কোথায় যাচ্ছি তুমি জানো না,, আমি

আমি কিভাবে জানব,,, হঠাৎ করে ডেকে নিয়ে আসলে,,,, অনিতা

আজকে আমাদের প্রেমের শুরুটা যেখানে হয়েছিল সেখানে যাচ্ছি,,, আমি

ওহহহ😊😊😊😊😊 তারমানে লেকের পাড়ে ,,, আমিও যেতে চাচ্ছিলাম,, কিন্তু তোমাকে বলতে পারি নি,, অনিতা

কিছুক্ষণ পর,, লেকের পাড়ে পৌঁছে গেলাম,,, সারাবেলা অনেক ঘুরলাম ,, আজ মনে হচ্ছে কোন বাধা নেই,,, কোন নিষেধ নেই,,, যত ইচ্ছে ঘুড়ি,,,, সন্ধ্যার দিকে সেই ফুচকাওলা মামার কাছে গেলাম,,,মামার জীবনটা অদ্ভুত,, প্রতিদিন এখানে ফুচকা বিক্রি করে,,

চলবে

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক এবং কমেন্ট করবেন

ধন্যবাদ সবাইকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here