দ্যা ব্লাক বুক ( পর্ব-০১)

0
832

গল্প- দ্যা ব্লাক বুক ( পর্ব-০১)

লেখক – Riaz Raj

আমার আপন চাচাতো বোনকে ১২ জন ছেলে মিলে রেপ করে। কথাটা শুনতেই গা শিরশির করে উঠে। ধর্ষণ শব্দটা শুনতে যতটা ভয়ংকর, ততটাই ভয়ংকর তার ফলাফল। চাচাতো বোন চিৎকার দিয়েও, সাহায্য পায়নি কারো। পশুর মতো ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছে ওরা। চাচাতো বোনের নাম তানিয়া। এবার সবে মাত্র ৭ম শ্রেণীতে উঠেছে। এতটুকু একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে, নোংরা কাজটি করতে, দ্বিধাবোধ হয়নি মানুষ রুপি পশু গুলোর। তানিয়া ওদের হাতেই মারা যায়। মৃত্যুর পর আরো ৩০-৪০ মিনিট ধর্ষণ করেছে ওরা। এতটা নিষ্ঠুর মানুষ হতে পারে? একটা মেয়েকে
ধর্ষণ করতে করতে মেরে ফেলা। এরপর সেই মৃত দেহটাকে আবার উপভোগ করে নিজেদের যৌন লালসা মিঠানো কি মানুষের কাজ হতে পারে? বিবেক বলতে সাধারণ জ্ঞান টুকু কি তাদের হয়নি?

আমি ছিলাম বাসায়। তানিয়া স্কুলের দিকেই যাচ্ছিলো। প্রতিদিন সকাল বেলার এই সময়টাতেই মেয়েটি বের হয়। যাওয়ার সময় নাকি আম্মুকে বলেছিলো” চাচি, রিয়াজ ভাইয়াকে আমার সাথে যেতে বলুন না?।
কিন্তু আমি ঘুমিয়ে ছিলাম দেখে আর ডাকা হয়নি। এরকম একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটবে জানলে,আমি নিশ্চয় যেতাম। তবে মানুষের সে শক্তি তো নেই। সে শক্তি যদি কারো থাকতো,তবে হয়তো আজ আর সমাজে এমন কোনো কান্ড ঘটতো না। যা প্রতিনিয়ত সমাজকে ঢেলে দিচ্ছে ঝুঁকির দিকে।
সারাদিন কেটে যাওয়ার পর সূর্য চলে আসে পশ্চিমের আকাশে। রক্তাক্ত আকাশের রুপ হয়তো আমাকে বুঝাচ্ছিলো” যা,তাকে বাচা,সে রক্তাক্ত হয়ে আছে। সূর্যের ভাষা বুঝার মতও যে মানুষের শক্তি নেই। যদি থাকতো,তবে ঠিকই আমি চলে যেতাম। বিকেল পেড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে। তানিয়ার আসার কোনো নামগন্ধ নেই। তানিয়ার আম্মু শায়লা বেগম আমাকে বহুবার কল দিলো। তবে তেমন গুরুত্ববহন করিনি আমি। ভাবলাম, হয়তো তানিয়া আছে ফ্রেন্ডদের সাথে। ফিরে আসবে।সন্ধ্যা শেষ হয়ে রাত ঘনিয়ে এসেছে। এবার আর দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারলাম না। চাচিকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তানিয়া এসেছে কিনা। চাচি কান্নার ধ্বনি ছেড়ে বলেছে, আসেনি। বেশ আতঙ্ক হয়েছে সবাই। এই মেয়েটি তো কোনদিন এত দেরি করে বাড়ি ফিরেনা। বেশি হলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় চলে আসে। তবে আজ এত দেরি কেনো। বুঝিতে পারছি, কিছুনা কিছু তো অবিশ্যই হয়েছে। তানিয়ার সব বন্ধুদের কল দিয়ে দেখেছি,কেও জানেনা তানিয়া কোথায়। অবিশেষে ওর স্কুলে ফোন দিলাম। স্যাররা বলেছে, সেই ৪ টার সময় নাকি তানিয়া বের হয়ে গেছে। অদ্ভুত কান্ড তো? মেয়েটি যাবে কোথায়?।

গায়ে একটি কালো গেঞ্জি,তার উপর কালো শার্টটা পড়ে নিলাম। তাড়াহুড়ো করে বাড়ির নিছে এসে, নিজের Yamaha R15 V3.0 বাইকটা নিয়ে ছুটে চললাম তানিয়ার খোজে। তবে ওই শহরে কোথায় খোজবো আমি। অনেক দ্রুত বাইক চালিয়ে যাচ্ছি। পথের পাশেও দেখতে পাচ্ছিনা। কিছুদূর যেতে না যেতেই মোবাইল ফোন বেজে উঠে। vibration থাকায় কেপে উঠে ফোন। জয়গায় বাইক থামিয়ে কলটা রিসিভ করলাম। ফোন কলের অপর পৃষ্ট থেকে চাচি খবর দেয়,
” তানিয়াকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে”।
কথাটা শুনা মাত্রই বাইক থেকে হটাৎ পড়ে যাই নিছে। মুখমণ্ডল কেমন যেনো ঝিমঝিম শুরু করে দিয়েছে। আশপাশ তাকিয়ে দেখি,সব যেনো চুপচাপ হয়ে গেছে। আসলে কি সব চুপচাপ? নাকি আমার কাছে পৃথিবীর শব্দটা পোঁছাচ্ছে না। প্রায় দুই মিনিট পর হটাৎ আবার সব শব্দ কানে ভেসে আসছে। নিজেকে কন্ট্রোল করতে কষ্ট হচ্ছে বেশ। কোনোভাবে আবার বাইকে উঠে, রওনা দিয়েছি বাসার দিকে। আমি জানিনা,আমি বাইক নিয়ে বাসা অব্দি যেতে পারবো কি পারবোনা। তবে এইটা মনে হচ্ছে, আমি কিভাবে বাইক চালাচ্ছি,তা নিজেও জানিনা।
অবশেষে ১৪ মিনিট পর বাসায় এসেছি। সবাই তানিয়ার লাশের পাশে বসে কান্না করছে। পুলিশ আর মিডিয়া এসে ভরে গেছে বাড়ি। পুলিশ তথ্য বের ও করেছে। বিকেল ৫ টায় কয়েকটি লোক তানিয়াকে, ধরে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে একজন বৃদ্ধা লোক দেখে ফেলেছে। পরে উনি ততক্ষনাৎ পুলিশকে কল দিয়ে জানায়। সাথে গাড়ির নাম্বারটাও দিয়ে দেয়। পুলিশ গাড়ির নাম্বার ৪৯১৬ -ঢাকা মেট্রো-ঢ ফলো করতে থাকে। শহরের উত্তরে নিরিবিলি একটা হাউজ আছে। যেখানে মানুষ সহজে প্রবেশ করেনা। আড্ডা জমে জুয়াড়ি আর গাঞ্জাখোরদের। তারা মোট ১২ জন মিলে,তানিয়াকে নিয়ে যায়,সে হাউজে। পুলিশ সেখানে যেতে যেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। যখন ওদের ধরেছে,তখনও তারা মৃত দেহটাকে উপভোগ করছিলো। পুলিশ তাদের জেলে পাঠিয়ে, তানিয়ার ব্যাগ ফোন থেকে,চাচিকে কল দেয়। তারপর এ কাহিনী। পুলিশকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলাম,সব কয়টার যেনো ফাসি হয়। পুলিশও হ্যা সম্মতি দিলো।
এদিকে তানিয়ার জানাজা শেষে,দাপন সম্পূর্ণ হলো। আম্মু আমাকে ধরে কান্না করছে। কেনো আমি তানিয়ার সাথে যাইনি,তা বলে। তবে উল্লেখিত ঘটনায় আমি বলেছি, সামনে কি হবে,তা যদি আগে মানুষ জানতো,তবে কি সমাজে নোংরামো হতো?

পরেরদিন সকালবেলা থানা থেকে ফোন আসে আমার নাম্বারে।
– হ্যালো, রিয়াজ বলছেন?
– হ্যা, বলুন?
– আমি ইন্সপেক্টর মামুন বলছি।
– জ্বী স্যার বলুন।
– আসলে আপনার চাচাতো বোনকে যারা ধর্ষণ করেছে, তাদের জামিন হয়ে গেছে। উপর থেকে ডিকলার এসেছে। কি করবো বলুন?
– ছেড়ে দিন।
– এত সহজে কিভাবে নিলেন?
– বললাম তো ছেড়ে দিন। আমি জানতাম,আইন কখনো দোষী আর নির্দোষী দেখেনা। আইন দেখে লেভেল। লেভেল যাদের উচ্চতর হবে,তাদের কাছে আইন শব্দ আছে। আমাদের কাছে আইন মানে,মাথার চুল। দিন ছেড়ে দিন।
– দেখুন রিয়াজ সাহেব, আইনকে।কটুক্ষ করে কথা বলতে পারেননা। এতে আপনার বিপদ হতে পারে।
– হ্যা,সেটা তো জানি আমি। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করলে,আইনগত ভাবে দোষীদের সুরক্ষিত করা হয়। আর বিচার না পাওয়া লোকগুলো আঙুল তুলে দাড়াবার আগে, আঙুলটা কেটে দেওয়া হয়। তবে চিন্তা করবেন না। আমি এর কোনো একশন নিবো না। ছেড়ে দিন ওদের।
– একটু বেশি বলে ফেলছেন না?
– ওও তাই? আচ্ছা ঠিক আছে,তাহলে ওদের ফাসি দিন, দেখি আপনার আইনের শক্তি কতটুকু। দিন ফাসি?
– আমার ফোনে ব্যালেন্স নেই। আল্লাহ হাফেজ।

মামুন স্যার ফোনটা কেটে দেয়। তবে এত সহজে হেরে যাওয়ার ছেলে রিয়াজ না। দেখি জল কতটুকু গড়ায়। অপেক্ষা শুধু রাতের। রাতটা নেমে আসুক। মিশনে যেতে হবে।আইন কিছু করতে পারবেনা। যা করতে হবে,আমাকেই করতে হবে। সারাদিনে বাড়িতে অনেক লোকজন জড়ো হয়েছে। তানিয়ার মৃত্যুতে পরিবারের সবাই এসেছে বাড়িতে। নিজের রুমে বসে প্লেন বানিয়ে যাচ্ছি আমি। কিভাবে কি করা যায়।

রাত ১০ টা ০৭ মিনিট।
আমাকে এবার বেরুতে হবে। কালো গেঞ্জি আর কালো শার্ট পড়ে নিলাম। প্যান্টের পিছনের খোচায়, পিস্তলটা নিয়ে নিলাম। একটা ছুরি কভার সহ, ব্যাল্টের চিপায় রেখে দিয়েছি। মুখে মাক্স পড়ে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। বাইকটা নিয়ে ছুটতে লাগলাম সে নিরিবিলি হাউজটায়। এক এক করে,সবাইকে খুন করতে হবে। ওরা শুধু আমার বোনটাকে হত্যা করেনি,ওরা অপরাধী। শাস্তি ওদের পেতে হবে। বাতাসের গতিবেগে পৌছাই সে নিরিবিলি হাউজে। হাউজের সামনে গিয়ে বাইকটা থামালাম। বাহির থেকে মনে হচ্ছে, ভিতরে কেও নেই। অন্ধকার রুমের মত হয়ে আছে। জায়গাটার বিবরণ এরকম। চারপাশে গাছপালা ভরা। গোলকার মাঠের মাঝখানেই এই হাউজ। বাইকটা এক কোনে রেখে,পিস্তলটা বের করলাম। ধীরে ধীরে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। দরজার সামনে গিয়ে দেখি, দরজায় তালা দেওয়া। তারমানে হাউজে এখন কেও নেই। তবে হার মানলে চলবে না। হাউজের পিছনে জঙলটায় লুকিয়ে থাকবো। ওরা আসা মাত্রই,মিশন স্টার্ট হবে। আজকে কেও আমার হাত থেকে বেচে ফিরতে পারবেনা। যে কথা,সে কাজ। হাউজের পিছনে গিয়ে,একটা গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়লাম। এক জায়গায় প্রায় ২০ মিনিটের মত দাঁড়িয়ে আছি। কারো সাড়াশব্দ ফেলাম না। তবুও অপেক্ষা করা যাক। দেখি তারা কখন আসে। আরো কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পরও দেখছি,কেও আসেনি। এইবার মনে হচ্ছে,ওরা রাতের বেলা আসেনা হাউজে। তবে কি আরেকটু অপেক্ষা করবো? নাকি চলে যাবো। আর দিনের বেলায় তো মিশন চালানো যাবেনা। এতে লোকে দেখে ফেলবে। কিন্তু কে দেখবে? এখানে কি কেও আসে? মনে তো হচ্ছেনা। তবে কি দিনের বেলায় আসবো?
আর দেরি না করে, চলে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। গাছের আড়াল থেকে বের হতে যাবো,তখনি বুঝতে পারলাম, পিছন থেকে কেও শিশ বাজিয়েছে। হটাৎ শিশ বাজাবে কে? বুঝে উঠতে পারছিনা। তবে কি আমার আসার পূর্বেই তারা টের পেয়ে গিয়েছিলো? হতেও পারে। পিস্তলটা শক্ত করে ধরে,পিছনের জঙলে যেতে লাগলাম। কিছুটা সামনে যেতেই, আবার খেয়াল করলাম, গাছের আড়াল থেকে,কেও শিশ বাজালো। আবার গাছটির আশেপাশে গিয়ে দেখতে লাগলাম,কাওকে ফেলাম না। এবার আবার শুনতে ফেলাম,জঙলের আরেকটু গভীর থেকে,কেও শিশ বাজালো। প্রচণ্ড রাগে গা জ্বলছে আমার। এভাবে লুকোচুরি খেলছে কে। আমি ছুটতে লাগলাম জঙলের গভীর দিকে। পিস্তলটা হাতে শক্ত করে ধরে,চারপাশ ঘুরাচ্ছি। কাওকেই চোখে পড়ছেনা। কিছুক্ষণ পর এদিক থেকে শিশ দেওয়ার শব্দ শুনছি,আবার কিছুক্ষণ পর অন্যদিক থেকে। শব্দের পিছনে ছুটতে ছুটতে,হটাৎ থেমে গেলাম। চারপাশ ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম, এ আমি কোথায় চলে এসেছি। পথ তো হারিয়ে ফেললাম মনে হয়। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি, রাত ১২:৪৬ মিনিট। প্রায় ১ টা বাজতে চলছে। এতরাতে কিভাবে পথ নির্দেশ করবো। ভালো ভাবে আরেকবার চারদিক চোখ বুলাতে লাগলাম।আন্দাজের পথ খুজতে লাগলাম আমি।এদিক সেদিক ছুটতে ছুটতে মনে হচ্ছে,আমি আরো গভীরে চলে যাচ্ছি। আবার উল্টো দিকে ছুটতে গেলে মনে হয়,আরো গভীরে চলে আসলাম। কিছুটা ভয় তো এবার পেয়েছি। আবার ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি, ০১:২৩ মিনিট। অদ্ভুত ব্যাপার, এতক্ষনে আমার মনে হচ্ছিলো প্রায় ২ ঘন্টা দৌড়াচ্ছিলাম। তবে মাত্র আধাঘণ্টা হয় কিভাবে। নিশ্চয় কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। আবার হুট করে ট্রুং ট্রুং করে একটা শব্দ হয়। শব্দ শুনে, বেশ চমকে উঠি আমি। তবে শব্দটা এসেছে পকেট থেকে। ফোনে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম,০১:২৫ এ মিশন কমপ্লিট করবো। কিন্তু আমি যে এক ভয়াবহ অবস্থায় ফেসে গেলাম। এ আমি কোথায়।

আবার কিছুক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকার পর,শুনতে ফেলাম সে শিশ বাজানোর শব্দ। আবার চমকে উঠেছি। এবার মনে হচ্ছে,সুরটা আমার ঠিক পিছনে,মাত্র ৮-১০ হাত দূর থেকে আসছে। মাথা ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতেই,সুরটা বন্ধ হয়ে যায়। আর আমি দেখতে পাই, মাটিতে কিছু একটা পড়ে আছে। বস্তটি কেমন যেনো সাদা আলোয় জ্বলজ্বল করছে। ভালো ভাবে লক্ষ করে বুঝলাম,এইটা একটা বই। আমার সারা দেহ ঘেমে ভিজে গেছে। কপালে ছোট ছোট বিন্দুর মত ঘাম জমেছে। ভয়ে হাত পা যেনো,অনেকটাই দুর্বল। তবে এই বইটা কিসের। আর দেখতে ভারি অদ্ভুতুড়ে। জ্বলজ্বল করছে,সাথে দেখতেও অনেক অদ্ভুত। আমি কিছুটা সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যত এগুচ্ছি,ততই বইটার আলো কমিয়ে আসছে। মনে হচ্ছে,আমার আগমনের সাথে সাথে,বইটা সাদা থেকে, ব্লাক হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে আমি বইয়ের দ্বারপ্রান্তে যেতেই, বইটা পুরোপুরিভাবে ব্লাক হয়ে যায়। ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট অন করে, বইটির উপরে মারলাম। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছিনা। হাবিজাবি অনেক কিছু লেখা আছে। কোন ভাষায় লেখা এসব, তাও বুঝতে পারছিনা। বইয়ের সামনে বসে পড়ি আমি। এরপর বইটি হাতে নিয়ে ভালোভাবে দেখি, ছোট করে ইংরেজি ভাষায় লাল রঙে লেখা আছে The Black Book। সত্যিই অসাধারণ একটা বই। এমন অদ্ভুত বই আমি কখনো দেখিনি। কিন্তু এর ভিতরে কি লেখা আছে? গোপন কিছু?
আমার তো জানতেই হবে। এই বইয়ের রহস্য কি। আর এমন অদ্ভুত বই এখানে এলো কিভাবে। কিছু তো আছেই।
সাহস করে আমি বইটার প্রথম পাতা উল্টাতেই, বইয়ের ভিতর থেকে একটা রক্তমাখ ভয়ংকর হাত বের হয়ে আসে। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার মুখ চেপে ধরে। অনেক জোরাজুরি করেও,হাতটা ছাড়াতে পারছিনা আমি। এবার খেয়াল করলাম,বইটি আমাকে টেনে,তার ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষুনি হয়তো আমি বইটার ভিতরে চলে যাবো।

চলবে…?

গল্প- দ্যা ব্লাক বুক ( পর্ব-০১)

লেখক – Riaz Raj

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here