কৃষ্ণময়ীর_অলংকার #রাহনুমা_রাহা #পর্বঃ০৮

0
645

#কৃষ্ণময়ীর_অলংকার
#রাহনুমা_রাহা
#পর্বঃ০৮

“পলক তুমি কি ভেবেই নিয়েছো এভাবে ভবঘুরে হয়ে জীবন কাটিয়ে দেবে?”
পলক মায়ের কথা শুনে খাওয়া থামিয়ে দিল। মৃদু স্বরে বলল,
“কি হয়েছে মা? এভাবে বলছো কেন?”
পায়েল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,
“তুমি এখন যোগ্য হয়েছো পলক। তোমার কি মনে হচ্ছে না তোমার এখন অফিস জয়েন করা উচিৎ? তোমার বাবার বয়স হচ্ছে। এখনো এত প্রেসার নিতে পারে লোকটা? তুমি হয়তো এটাও জানো না কাল বুকের ব্যথার জন্য হসপিটালে যেতে হয়েছিল তাকে। তুমি তো ঠিকমতো বাসায়ও আসো না। জানবে কি করে? ভার্সিটি লাইফ শেষ হয়েছে দুবছর আগে। এখনো কেন আঁকড়ে আছো সেখানে? রাজনীতি? কি দেবে তোমাকে ওই রাজনীতি? হ্যা তুমি মানুষের সাহায্য করতে চাও তো করো। তোমার বাবার যথেষ্ট আছে পলক। সেখান থেকে সাধ্যমত সাহায্য করো তুমি। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমাদের একটাই সন্তান তুমি। তোমাকে নিয়ে আমাদের চিন্তা হয় পলক। ওই অনিশ্চিত জীবনের দিকে আমরা তোমাকে যেতে দিতে চাই না। চাই না তোমার চিন্তায় ধুঁকে ধুঁকে মারা যেতে। আমরা চাই তুমি তোমার বাবার ব্যবসার হাল ধরো। নাকি তোমার ক্ষমতা চাই পলক?”
পলক মাথা নিচু করে বলল,
“ক্ষমতার লোভ আমার কোনো কালেই ছিল না মা। ঠিক আছে আমি অফিস জয়েন করবো। বাবা আমি আগামী কালই যাব অফিসে। তুমি ব্যবস্থা করো।”
পায়েল খুশি হলেও ছেলের মুখটা দেখে খুশির মাত্রাটা কমে গেল।
“তোর কি কিছু হয়েছে পলক?”
রায়হান তাজওয়ার মৃদু স্বরে বললেন। পলক বাবার দিকে তাকিয়ে মলিন হেসে বলল,
“বিরহ চলছে বাবা। তবে সেটা একতরফা বিরহ।”
রায়হান তাজওয়ার কিছু বুঝতে না পেরে স্ত্রী পায়েলের দিকে তাকালেন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে। পায়েল স্বামীর দিকে তাকিয়ে ইশারায় বোঝালেন সে কিছু জানে না এ ব্যাপারে।

একদিন দুইদিন করে পনেরোটি দিন পার হয়ে গেছে। তপা পলকের দেখা পায় নি। প্রথম দিকে ব্যাপারটা আমলে না নিলেও দিন গড়াতে থাকলে তপা চিন্তিত হয়ে পড়ল। কেন আসছে না লোকটা?প্রান্তকে ফোন করে কিছু জানতে চাওয়ারও সাহস হচ্ছে না তার। পাছে প্রান্ত কি না কি ভেবে বসে। অগ্যতা দিন গুনতে থাকল পলকের ফিরে আসার।
পলক অফিসে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে। বাবার সাথে নিয়মিত অফিস করছে সে। সেদিনের পর থেকে আর ভার্সিটি মুখো হয় নি। তবে তপাকে না দেখেও থাকে নি। তিনদিন যেতেই মারাত্মক হাসফাস লাগতে শুরু করে। আর থাকতে না পেরে টুক করে রাস্তা থেকে দেখে চলে এসেছে। দেখেছে কৃষ্ণময়ীর মায়াময়ী রূপ। সেটাও পৃথার সাহায্যে। প্রান্তর থেকে পৃথার নাম্বার নিয়ে পৃথা কে বলেছিল তপা কে নিয়ে বাইরে বের হতে। তাছাড়া তো তপার দেখা পাওয়া ভার। ক্লাস আর জরুরি দরকার ছাড়া সে বারমুখো হয় না।

পনেরো দিন পর আবার পলকের ফোন পেয়ে পৃথা মুচকি হাসল। আবার বোধহয় তৃষ্ণা পেয়েছে পলকের সেটা ভেবে ফোন ধরেই বলল,
“ভাইয়া আবার তৃষ্ণা পেয়েছে?”
পলক পৃথার মুখে এহেন কথা শুনে কেশে উঠল। লাজুক হেসে বলল,
“তা তো পেয়েছেই বটে।”
“আমি কিন্তু আর বাইরে নিয়ে যেতে পারব না। ওর শরীরটা ভালো নয় তেমন। কাল হালকা জ্বরও এসছিল।”
পলক উদ্বিগ্ন হয়ে বলল,
“সে কি। ঠিক আছে এখন? হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে?”
পৃথা হাসল। ভাল লাগার হাসি। তৃপ্তির হাসি।
“না ভাইয়া। হসপিটালে নেয়ার মত বাড়াবাড়ি হয় নি। ঠিক আছে মোটামুটি। ক্লাসেও গিয়েছিল আজ। বেশি সমস্যা হলে তো যেত না। যাই হোক আপনি হঠাৎ কল দিলেন?”
পলক আমতা আমতা করে বলল,
” দেখতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু.. ”
পৃথা হাসি লুকিয়ে বলল,
” ছবিতে মন ভরবে?”
অগ্যতা রাজি হলো পলক। নাই মামার থেকে কানা মামা ভালো। সামনে থেকে না দেখতে পারলেও ছবি দেখেই মন ভরিয়ে নেয়ার আশায় বুক বাঁধলো।

ঘন্টা খানেক যেতেই মেসেজের টুংটাং শব্দে পলক হুরমুরিয়ে পড়ল ফোনের উপর। মোবাইল স্কিনে স্পর্শ করতেই ভেসে উঠল তপার মোহময়ী মুখখানা। তিনটে ছবি দেখার পর সামনে এলো তিন মিনিট দশ সেকেন্ডের একটা ভিডিও। যেখানে তপা বিছানায় বসে চুলে তেল দিচ্ছে। লম্বা ঘনকালো চুলগুলো গাত্র পেরিয়ে বিছানায় লুটোপুটি খাচ্ছে। মাঝে মাঝে তপা বিরক্তিকর শব্দ করছে মুখ দিয়ে । মনে হচ্ছে চুলগুলোর উপর ভীষণ বিরক্ত সে। পলক আয়েসি ভঙ্গিতে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছে তার কৃষ্ণময়ীর কেশরাশি। তেল দেয়া শেষ করে চিরুনী করতে শুরু করল। এর মাঝে একবার সোজা তাকিয়ে মৃদু হেসে বলল,
“হয়েছে তো ভিডিও করা এবার রেখে দে। আমার অস্বস্তি হচ্ছে।”
“আর একটু। তুই চিরুনী কর না। চুল বাঁধা ভিডিও করবো তো।”
পৃথার কণ্ঠস্বর ভেসে আসল।কিন্তু তাকে দেখতে পেল না পলক। হয়তো ফোনটা ধরে ছিল সে।
চিরুনী করা শেষে হাঁটু অবধি লম্বা চুলগুলো বিনুনি করে নিল। ব্যস এতটুকুই। এতটুকুতেই মনের কোণে প্রশান্তির হাওয়া বয়ে গেল। পলক আরাম কেদারায় গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলল। জীবন টা নতুন লাগছে তার। সবকিছু কেমন অন্য রকম। সুখ সুখ অনুভূত হচ্ছে তার। মনে হচ্ছে যেন সুখের অসুখ হয়েছে।

দীর্ঘ বাইশ দিন পর কাঙ্খিত মুখটা দেখতে পেল তপা। পার্কিং জোনে বাইকের উপর বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে গেইটের দিকে তাকিয়ে আছে সে। তপা ধীর পায়ে পলক কে অতিক্রম করে চলে গেল। কাছাকাছি এসে আর তাকাল না একটা বারের জন্যও। তাকালেই দেখতে পেত একজন মানুষ কতটা ব্যাকুল হয়ে অবলোকন করছে তাকে। কতটা মায়া ভরা দৃষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করছে সে। কিন্তু আফসোস সে একবারের জন্যও বুঝলো না পলকের আকুলতা।

কিছুক্ষণ পর তপা তার ভার্সিটির এক বান্ধবী লুবনাকে নিয়ে হাজির হলো পলকের আস্তানায়। পেছনে দাঁড়িয়ে মিহি স্বরে শুধালো,
“এক্সকিউজ মি ভাইয়া।”
পলকের কপালের রগগুলো দপদপ করে উঠল। এতদিন পরে এসে কি মধুর বুলি শোনাচ্ছে। ভাইয়া। হাহ্। শুনেও না শোনার ভান করে নিজের কথা চালিয়ে গেল সামনের গোটাকতক মানুষের দিকে তাকিয়ে।
তপা গলার জোর আরেকটুখানি বাড়িয়ে বলল,
“শুনতে পাচ্ছেন? হ্যালো?”
পলক তখনও পেছন ফিরে তাকিয়ে রইল।
তপা এবার বেশ জোরেশোরেই বলল,
“মিস্টার তাজওয়ার। আমি কিছু বলতে চাচ্ছি তো।”
পলক মুচকি হাসল। কিন্তু তপার দিকে তাকানোর আগে মুখে গম্ভীরতা ফুটিয়ে গমগমে গলায় বলল,
“জ্বি বলুন।”
তপা আমতা আমতা করে বলল,
“আসলে কয়েকদিন যাবত ক্যাম্পাসের বাইরে কিছু বখাটে হ্যারাস করছে সব মেয়েদের। মাঝে মাঝে ক্যাম্পাসে এসেও হানা দিচ্ছে।”
পলক ভ্রু কুঁচকে বলল,
“সো আমি কি করতে পারি? সবার প্রবলেম সলভ করার দায়িত্ব নিশ্চয়ই একা আমার নয়? আপনি বরং দায়িত্ব নিয়ে নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করুন।”
তপা আশাক্ষুন্ন হলো। পলক এভাবে বলবে ও ভাবতেই পারে নি। মন খারাপ করে বলল,
“আমি আমার জন্য বলছি না। আমাকে কে কি বলবে? আমি তো সবার মত রূপবতী, রূপসী নই। কিন্তু বাকি মেয়েগুলো ক্যাম্পাসে আসতে ভয় পাচ্ছে। কাল একজনের ওড়না টেনে নিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে মেয়েগুলো ক্লাস করবে কি করে?”
পলক ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল,
“মিস তিয়াশা আপনি নিজের চরকায় তেল দিন। অন্যের টা না ভাবলেও চলবে।”
তপা মাথা নিচু করে ফেলল। চোখের কার্নিশে বিন্দু বিন্দু জল জমতে শুরু করেছে। যে কোনো সময় গড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ও চায় না এই নাক উঁচু লোকটার সামনে নিজের দূর্বলতা প্রকাশ করতে। তাই লুবনার হাত ধরে বলল,
“ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। চল।”
লুবনা হাতটা ছাড়িয়ে পলকের দিকে তাকিয়ে বলল,
“ভাইয়া ওরা অসভ্যতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কাল একজনের ওড়না টেনে নিয়েছিল। তপা প্রতিবাদ করায় ওর হাত ধরে অশ্লীল কথা শুনিয়েছে। আজেবাজে ইঙ্গিত দিয়েছে। আপনি প্লিজ কিছু একটা করুন। আমরা অন্য কাউকে ভরসা করতে পারছি না। আপনি এতদিন ভার্সিটিতে আসেন নি। আমরা কতটা অসহায় ছিলাম বলে বোঝাতে পারব না। আপনি ওদের একটা ব্যবস্থা করুন দয়া করে।”
পলক গম্ভীর পুরুষালী কণ্ঠে বলল,
“ক্লাসে যাও।”

তিনশত আট নাম্বার রুম। বিশালাকার এই রুমটিই হলরুম। হলরুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কানে এক মাদকতাময় সুর ভেসে এলো। থমকে দাঁড়ালো তপা। পা দু’টো হটাৎই তপার সাথে বিদ্রোহ করে নিজেদের চলার গতি থামিয়ে দিল। দরজাটা একটু ঠেলে ভেতরে উঁকি দিল তপা। অদূরেই চেয়ারে বসে গিটারে টুংটাং শব্দ তুলে চোখ বন্ধ করে সুরের ঝংকার তুলছে পলক। তপা নিস্প্রভ চাহনিতে চেয়ে রইল কেবল শুভ্র মুখখানিতে। কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে হৃদয় কাঁপানো সুর।

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেঘের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে, মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
কালো? তা সে যতই কালো হোক, দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
পূবে বাতাস এল হঠাৎ ধেয়ে, ধানের ক্ষেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা, মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কি না চেয়ে আমি জানি আর জানে সেই মেয়ে।

বুকের ভেতরটায় প্রবল বেগে ঝড় বইছে। শান্ত হতে না পেরে দরজা থেকে পিছিয়ে গেল তপা। এক ছুটে লাইব্রেরীতে গিয়ে বইয়ের তাকের সাথে লেগে দাঁড়িয়ে হাঁপাতে লাগল।
গান শেষ করে দরজার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসল পলক। একবারের জন্য সে দেখেছিল তার কৃষ্ণময়ীর মুগ্ধ চাহনি। দেখেছিল হরিণী চোখের কার্নিশে চিকচিক করা নোনাজলটুকু। ঠোঁট কামড়ে নিচের দিকে তাকিয়ে লাজুক হাসল পলক। তবে কি কৃষ্ণময়ীও মাতোয়ারা হচ্ছে তার মতো?
মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে তপার। কেন গাইলো সে এই গান? এত মোহনীয় কণ্ঠে কেন গাইতে হবে? তপা যে বেসামাল হয়ে যাচ্ছে। সে কি বুঝতে পারছে না? নাকি ইচ্ছে করেই করছে এমন? কিন্তু তপার যে বেসামাল হলে চলবে না। সে তো চাঁদের দিকে হাত বাড়াতে পারবে না। চাঁদ কেবল দূর থেকে দেখাটাই শোভা পায়। হাতে পাওয়াটা তো কল্পনা মাত্র।

পরের দিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ পথে কোনো আপত্তিকর ঘটনার সম্মুখীন হলো না তপা। কিন্তু বিষয়টা আমলে নিল না। ভাবল ভেতরে গিয়ে হয়তো তাদের দেখা মিলবে। কিছুদিন ধরে তো এটাই রুটিনমাফিক চলে আসছে। হয় বাইরে হ্যারাস করবে নয়তো ভেতরে।
কিন্তু আজ ক্যাম্পাসে ঢুকতেই তপার চক্ষু চড়কগাছ। তপার হাত ধরে বাজে কথা বলা ছেলেটার হাত গলার সাথে ঝুলছে। ভাঙা হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে গলায় ঝুলিয়ে রেখেছে। বাকি সাগরেদের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। তপা অবাক হয়ে চেয়ে রইল। এদের এই হাল কে করলো? ভাবতে ভাবতে ছেলেটা এগিয়ে এসে মাফ চাইল তপার কাছে। তপা চোখ বড় বড় করে সবটা বোঝার চেষ্টা করছে। একে একে কালকের ঘটনাগুলো মনে করতেই ঠোঁটের কোণে মৃদু হাসি ফুটে উঠল। যা এড়ালো না অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা পলক তাজওয়ারের জহুরি দৃষ্টির। নিজেও এক চুটকি হেসে বাইক স্টার্ট দিয়ে চলে গেল অফিসের উদ্দেশ্যে। আপাতত তার কাজ খতম।

“কৃষ্ণময়ী। আমার ঘুম কেঁড়ে নিয়ে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছো? ঘুমিয়ে নাও যত ইচ্ছে। একবার কাছে পাই তারপর তোমার শাস্তি হবে। কঠিন শাস্তি।”

তপা মেসেজ দেখে ভ্রু কুঁচকে ফেলল। বিরবির করে বলল,
“ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না? মিস্টার কুলক তাজওয়ার কে বলতে হবে এর হাতটাও গলায় ঝুলিয়ে দিতে। যাতে আর মেসেজ টাইপ করতে না পারে।”

চলবে…

(আজ কি লিখেছি নিজেও জানি না। নিজের কাছেই কেমন অগোছালো লাগছে।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here