গোধূলি বেলায় তুমি এসেছিলে – পর্ব ২২

0
351

#গোধূলি_বেলায়_তুমি_এসেছিলে
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২২

অভিরূপ শুনেছিল অধিকাংশ মানুষ নাকি রূপ থেকে প্রেমের পড়ে। কিন্তু সে তো গাড়ির সামনে থাকা সেই নারীটির সাহসের প্রেমে পড়ে যাচ্ছে। সেই টান টান চেহারায় অভিরূপের চোখে পড়ল না কোনোরকম ভয়। সেই চোখে ছিল না কোনো ভয়মাখা দৃষ্টি। তবে ছিল এক ধরনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি যেই দৃষ্টিতে অভিরূপ হারিয়ে গেছিল এক অতল গভীরে। অতিরিক্ত সরব, চেঁচামেচি, গো’লাগু’লিতে এবার চকিতে তাকায় অভিরূপ। এক নতুন টিমের আবির্ভাব হয়েছে। তারা একনাগাড়ে নিজের রিভ’লবার চালিয়ে প্রতিহত করতে ব্যস্ত। হয়তবা পুলিশেরই কোনো লোক হবে। আচমকায় অভিরূপের কানের ঠিক উপরে অনেকটা নিকট দিয়ে চলে গেল একটা তীব্র গু’লি। একটুর জন্য তা এসে লাগল না অভিরূপের কপালে। তৎক্ষনাৎ নোমান তার হাত ধরে হেঁচকা টান দিয়ে ভেতরে নিয়ে এলো। রাগে কটমট করে বলে উঠল,
“তুই দিনকে দিন এমন জ্ঞান হয়ে যাচ্ছিস কেন অভিরূপ! এক্ষুনি কী হতো জানিস? পাগল হয়ে গিয়েছিস নাকি?”

অভিরূপের মধ্যে কোনো রকম হেলদোল দেখা গেল না। ডোন্ট কেয়ার ভাবটা জারি রেখে বলল,
“হতে গিয়েছিল। হয়নি তো। জাস্ট চিল! আমাকে যদি সৃষ্টিকর্তা বাঁচিয়ে রাখতে চায় তাহলে আমি বাঘের খাদ্য হয়েও বাঘের পেটের মধ্যে গিয়েও বেঁচে ফিরে আসব সুইটহার্ট!”

বলেই অভিরূপ নোমানের দাড়ি ভর্তি গালে হাত দিয়ে টানতে গেল। নোমান হাতটা সরিয়ে রাগের ভাবটা নিয়েই বলল,
“ডোন্ট কল মি সুইটহার্ট। গালে হাতও দিবি না খবরদার। এতো কিছুর মাঝে তুই এখনো শান্ত আছিস কীভাবে? তোর চিন্তা হচ্ছে না যে বেঁচে ফিরতে পারব কিনা?”

“তোর দাড়িওয়ালা গালে আমার এমনিতেও হাত দেওয়ার ইচ্ছে ছিল না। অতি আবেগে হাত দিয়ে ফেলেছি। বাই দ্যা ওয়ে, ওই মেয়েটা…”

কথা অসম্পূর্ণ রেখে সামনের কাঁচ দিয়ে বাহিরের দিকে দেখার চেষ্টা করল অভিরূপ। তার উৎসুক চোখ খুঁজে বেরোলো যেই সাহসে ভরা নেত্রপল্লবকে। পেল না। সামনে মেয়েটির কোনো চিহ্ন নেই। আর না আছে সেই বাচ্চাটি। অভিরূপ কিছুটা বিস্মিত হলো। এটা মেয়ে নাকি ম্যাজিশিয়ান? এতো দ্রুত কীভাবে গায়েব হতে পারে? তখনি নোমান ড্রাইভারের উদ্দেশ্যে বলল,
“গাড়ি স্টার্ট করুন। তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হতে চাই আমরা।”

ড্রাইভার নোমানের কথা অনুযায়ী গাড়ি স্টার্ট দেয়। কিন্তু গাড়ি একটুও এগোয় না। কেমন যেন নড়েচড়ে ওঠে। নোমান বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
“হলো টা কী?”

“মনে হয় ওরা গাড়ির চাকায় গু’লি করেছে। তাহলে গাড়ি তো চলবে না।”

নোমানের রাগ হয়। এ কোথায় ফেঁসে গেল? আদেও এখান থেকে বের হতে পারবে? নাকি এখানেই প্রা’ণত্যাগ করতে হবে? সব দোষ তার সঙ্গে থাকা এই অভিরূপের। নোমানের এই মূহুর্তে খুব ঝাড়তে ইচ্ছে করছে তাকে। কিন্তু নিজের রাগ দমিয়ে নিরবই থাকল সে। বাহিরের আওয়াজ কিছুটা কমেছে। হয়ত পুলিশ টিম ধীরে ধীরে সব সামলে নিচ্ছে। একটুখানি হলেও নিশ্চিন্ত হয় নোমান।

রায়ানের টিমের বাকি সকলে ব্যস্ত টেরো’রিস্ট টিমকে প্রতিহত করতে। রায়ান এক লাল গাড়ির আড়ালে বসে কাতরাচ্ছে। প্যান্ট ছেদ করে একটা গু’লি ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে। ডান পা র’ক্তে ভিজে গেছে। নিচেও ছড়িয়ে পড়েছে র’ক্ত। নিজের পা নিয়ে নড়তেও পারছে না সে। চোখ বন্ধ করে গাড়ির সাথে ঠেস লাগিয়ে বসল সে। কেমন যেন নিস্তেজ লাগছে নিজেকে। হঠাৎ করে নিজের পাশে অন্য অস্তিত্বের উপস্থিতি পেলো রায়ান। টের পেলো কেউ তার কাছেই এসেছে। অন্যরকম সুভাস ছড়ালো হাওয়ায়। আবার কোনো আত’ঙ্কবাদী দলের লোক নয় তো? হতেই পারে। এছাড়া কেউ তো আসার সম্ভবনা নেই। চোখ বুঁজেই নিজের কাছে থাকা রি’ভলবার হাতালো রায়ান। হাত দিয়ে ধরতেই চোখ মেলে তাকিয়ে সোজা হয়ে বসে রি’ভলবার তাক করল ঠিক তার ডানপাশে। দৃশ্যমান হয় এক মেয়ের শুঁকনো চোখমুখ। রি’ভলবার তার দিকে তাক করতে দেখে চেহারার রঙ আরো পাল্টে যায় মেয়েটির। সেকেন্ডে সেকেন্ডে একবার এই ভয়া’নক অ’স্ত্রের দিকে তাকায় তো একবার রায়ানের দিকে। তারপর আর কোনো কিছু না ভেবে চোখমুখ খিঁচে একটা চিৎকার লাগায় সে। রায়ান ধড়ফড়িয়ে ওঠে। বুঝতে পারে মেয়েটা কোনো ষড়যন্ত্রকারী নয়। হয়ত লুকানোর উদ্দেশ্যে এই জায়গায় বেছে নিয়েছে। কিন্তু তাকে এই মূহুর্তে থামানো দরকার। সে হম্বিতম্বি করে বলে ওঠে,
“স্টপ প্লিজ, স্টপ। চিৎকার করবেন না।”

মেয়েটির চিৎকার থামে না। কোনোদিক না তাকিয়ে নিজের চিৎকারে যেন গভীর মনোযোগ দিয়েছে সে। আর কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে সে জোরে বলে ওঠে,
“আপনি চুপ না করলে হা করে চিৎকার করার জন্য মুখের ভেতরে রি’ভলবারের যে কয়টা গু’লি অবশিষ্ট রয়েছে সব ঢুকিয়ে দেব। ফর গড সেক, চুপ করুন।”

মেয়েটি হেঁচকি তুলে পরক্ষণেই থেমে যায়। সে ভেবেছিল রায়ান তাকে আ’তঙ্কবাদীর দলের লোক ভেবে আজকে উপরে পাঠিয়েই ছাড়বে। সে মিনতি করে বলে উঠল,
“আমি কিছু করিনি। আমি তো শুধু লুকিয়েছিলাম। আচ্ছা আপনি তো ইন্সপেক্টর রায়ান! তাই না?”

বলেই মেয়েটি খুব উৎসুকের সাথে তাকিয়ে রয় রায়ানের মুখের দিকে। রায়ানের অস্বস্তি বোধ হয় মেয়েটির এমন চাহনিতে। ছোট ছোট চোখে নিষ্পলক ভঙ্গিতে তাকিয়ে রয়েছে সে। সে নড়েচড়ে বলে,
“হ্যাঁ কিন্তু আপনি আমাকে কীভাবে চিনলেন?”

মেয়েটি এক ঝলক হেঁসে আগ্রহের সাথে বলে ওঠে,
“আ…আমি নয়ন। মানে নয়নতাঁরা। আমি নয়নতাঁরা। আমাকে চিনতে পেরেছেন?”

রায়ান ভ্রু কুঁচকালো এবার। চেনার চেষ্টা করল। মুখশ্রী তো অচেনা। সে ভেবেও পাচ্ছে না এই সিচুয়েশনে একটা মেয়ে কীভাবে নিজেকে ইন্ট্রডিউস করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে? নয়নতাঁরার মুখটা এবার ভার হয়। লোকটা কী এতো ভাবছে? সে কী তাকে চিনতে পারেনি? নয়নতাঁরার খেয়ালে আসে রায়ানের র’ক্তাক্ত পা। তড়িঘড়ি করে সে বলে ওঠে,
“আরে আপনার পায়ে কী হয়েছে? দেখি!”

এবার গু’লির শব্দে রায়ান ও নয়নতাঁরা দুজনেই চমকে ওঠে। নয়নতাঁরা চিৎকার দিয়ে উঠে নিজের কান চেপে ধরে। রায়ান এবার কোনোরকমে উঠে দাঁড়ায়। হাতে রি’ভলবার নিয়ে তাক করে বেশ কয়েকটা গু’লি ছুঁড়তে থাকে একাধারে। তা দেখে ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে নয়নতাঁরা। তার হাতে টান পড়ে। রায়ান তার হাত ধরে বলে,
“এখানে এভাবে ভয়ে জড়ো হয়ে থাকলে ওরাই আপনার চিৎকারে গু’লি একাধারে আপনার মুখে পুড়ে দেবে মিস। আমার সাথে চলুন বাঁচতে চাইলে।”

নয়নতাঁরা উঠে দাঁড়াতেই আবারও বিকট শব্দ হয়। দুজনে দ্রুত মাথা নিচু করে চলে আসে। দুজন অন্য গাড়ির আড়ালে দাঁড়ায়। আঙ্গুল উঁচিয়ে রায়ান আর উদ্দেশ্যে বলে,
“লিসেন, যতই শব্দ হক মুখে তালা দিয়ে রাখবেন। আর এখান থেকে বের হওয়ার চিন্তাও মাথাতে আনবেন না।”

কথাটুকু শেষ করে আর দেরি করে না রায়ান। নয়নতাঁরা কিছু বলার আগেই সে সেখান থেকে প্রস্থান করে। নয়নতাঁরা ভার মুখে দাঁড়িয়ে থাকে। সেও বাহিরে যেতে চায়। কিন্তু রায়ান তো তাকে মানা করে দিয়েছে। দুটো হাত মুঠো করে বলে,
“ধুর! ভালো করে কথাও বলতে পারলাম না। উনার কতটা লেগেছে। র’ক্ত চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে। তবুও থামার নাম নেই। ইশশ…!”

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে নিজের রি’ভলবার তাক করে দুইজনকে মে’রেছে রায়ান। তার রি’ভলবারে অবশিষ্ট নেই কোনো গু’লি। তাই সেটা ছুঁড়ে মারল একজনের মাথায়। পেছন থেকে অন্যজন তেড়ে এলো ধারা’লো ছুরি নিয়ে। রায়ান ঘুরে তার সঙ্গে হাতাহাতি করতে গিয়ে পড়ে গেল। এই পা নিয়ে আর উঠে দাঁড়ানোর শক্তি পেলো না। সেই ছুরি দ্বারা রায়ানকে প্র’তিহত করার চেষ্টায় ধেয়ে আসে টে’রোরিস্ট টিমের একজন। রায়ানের মনে হয় এটাই কী তার শেষ? তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। রায়ান দেখে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ছুরিটার ধা’রালো অংশ শক্ত করে হাতের মুঠোয় ধরে আছে। হাত বেয়ে টুপটুপ করে পড়ে যাচ্ছে তাজা র’ক্ত। ডার্ক ব্লু কোট পরিহিত লোকটি রি’ভলবার তাক করে একে একে দুইবার ট্রিগারে চাপ দিতেই নিস্তেজ হয়ে পড়ল সামনে থাকা সেই লোকটি। ঘাড় ঘুরিয়ে রায়ানের দিকে দৃষ্টিপাত করল সে। স্মিত হেঁসে বলল,
“ইন্সপেক্টর রায়ান! আমি বলেছিলাম আপনি একা পারবেন না।”

রায়ান ওঠার চেষ্টা করে। আর বলে,
“অফিসার নির্জন! আপনি এখানে?”

নির্জন হাত বাড়িয়ে দেয় রায়ানের দিকে। রায়ান না চেয়েও হাতটা ধরে উঠে দাঁড়ায়। নির্জন রি’ভলবার নিজের পকেটে ঢুকিয়ে জবাব দেয়,
“আমি না এলে আপনাকে প্রাণে কে বাঁচাতো বলুন তো? আপনার আমাকে থ্যাংকস বলা উচিত।”

বলে থামে নির্জন। নিচে তাকিয়ে রায়ানের পা পর্যবেক্ষণ করে বলে,
“সিচুয়েশনে অনেকটা কন্ট্রোলে এসেছে। আপনি আমার সঙ্গে হসপিটাল চলুন কুইক! ব্লিডিং হচ্ছে। এজ অ্যা অফিসার, আমার দায়িত্ব আমার অন্য টিমের সদস্যকে সাহায্য করা।”

রায়ান প্রথমে রাজি হয় না। কিন্তু পায়ের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় নির্জন মেহরাজকে ডেকে এম্বুলেন্সের সাহায্যে রায়ানকে সিটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। আড়াল থেকে সবটা দেখে নয়নতাঁরা নিজে। কিন্তু আফসোস একটাই! সে বের হতে পারে না। যেতে চেয়েও যেতে পারে না।

সবটা শান্ত হবার পর নির্জন মেহরাজের উদ্দেশ্যে বলে,
“মেহরাজ, আরো যারা যারা আহত হয়েছে আমাদের টিমের সবাইকে হসপিটালাইজড করার ব্যবস্থা করো। আর যারা আটকা পড়েছে তাদেরকে কাস্টারিতে রাখার ব্যবস্থা করো। দেখো দেখো কে কে বেঁচে আছে। আর অভিরূপ চৌধুরী কী এখান থেকে বেরিয়ে যেতে পেরেছে?”

মেহরাজ দ্রুত মাথা ঝাঁকিয়ে বলে,
“ইয়েস স্যার। অভিরূপ চৌধুরী সহ তার বন্ধু সেফলি অন্য গাড়ি নিয়ে হোটেলের দিলে রওনা দিয়েছে।”

“তাহলে আমাদের গাড়িও বের করো। আমিও সিটি হসপিটাল যেতে চাই।”

“ইন্সপেক্টর রায়ানকে দেখতে?”

উৎসুক হয়ে প্রশ্ন করে মেহরাজ। নির্জন অটল থেকে বলে,
“গো ফাস্ট, মেহরাজ।”

মেহরাম তবুও যায় না। আবারও জিজ্ঞেস করে,
“স্যার, যার সঙ্গে আপনার এতো রেষারেষি। যার সাথে আপনার একটুও বনে না। তাকে নিয়ে আপনি টেনশনও করেন কেন স্যার? কাল যখন ইন্সপেক্টর রায়ানের গাড়ির ব্লা’স্ট হওয়ার খবরটা পেলেন সব ছেড়ে আপনি রায়ানের কাছে উপস্থিত হলেন। আপনাকে বোঝা খুব মুশকিল।”

“তাহলে বোঝার চেষ্টা করে নিজের মস্তিষ্ক আরো খারাপ কেন করছো। যাও আর গাড়ি বের করো।”

এবার দাঁতে দাঁত চেপে বলল নির্জন। মেহরাজ থতমত খেয়ে বলল,
“ই…ইয়েস স্যার।”

হসপিটালের রিসেপশনে অস্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রাগিনী। চোখেমুখে উদ্বিগ্নতা। মাথায় আ’ঘাত পাওয়া বাচ্চা ছেলেটির জন্য মনে এক রাশ বিষণ্ণতা। সবকিছু মিলিয়ে সে হসপিটালের ফর্মালিটি পূরণ করতে এসেছে। রিসেপশনিস্ট তাকে জিজ্ঞেস করে,
“ম্যাম, পেশেন্টের নাম?”

রাগিনীর মুখটা আরো চুপসে যায়। সে কী করে বলবে ছেলেটির নাম? সে তো তাকে রাস্তায় অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছে। তবুও নিজেকে ধাতস্থ করে উত্তর দিল,
“আমি তো জানি না ঠিক। আসলে তাকে আমি এক্সিডেন্টলি পেয়েছি। আই মিন রাস্তায় সেন্সলেস অবস্থায়।”

“আচ্ছা পেশেন্টে এজ কত?”

রাগিনী একটু ভেবে উত্তর দেয়,
“দশ বছর মতো!”

রিসেপশনিস্ট মাথা নাড়িয়ে তা কাগজে লিখে। রাগিনী বলে,
“যত টাকা লাগবে আমায় বলবেন। আমি ব্যবস্থা করব। কিন্তু ছেলেটির টেক কেয়ারের কোনো কমতি রাখবেন না প্লিজ!”

“ডোন্ট ওয়ারি ম্যাম।”

রাগিনী আরো কিছু বলতে যাবে তার আগে তার কানে এক পরিচিত কন্ঠস্বর পৌঁছালো। থমকে গেল সে। এই গম্ভীর গলা তার অতি পরিচিত। তার পাশ কাটিয়ে এক লম্বাটে পুরুষ হেঁটে চলে গেল। সে বলছিল,
“ইন্সপেক্টর রায়ানের সব ফর্মালিটিস্ পূরণ হয়েছে? কেমন আছেন উনি এখন?”

রাগিনী তড়িঘড়ি করে পেছন ফিরে তাকায়। বেশ কয়েকজন লোককে লিফটে উঠতে দেখল। কিন্তু মুখটা দেখতে পেল না রাগিনী। বিরবির করে বলে উঠল,
“মনে হলো কোহিনূর আমার পাশ কাটিয়ে গেলেন!”

চলবে…

[বি.দ্র. আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকমহল! কেমন আছেন আপনারা? আমার রানিং গল্প কে কে পড়ছেন? পড়ার পর অনুভূতি কী? রহস্যে মাথায় জট পাকিয়ে যাচ্ছে? কাকে কাকে সন্দেহ হচ্ছে গল্পে? কেন সন্দেহ হচ্ছে? কোন চরিত্র সবথেকে বেশি ভালো লাগছে? একটু বলুন আমি জানতে চাই।
চরিত্র ফুটিয়ে তোলার স্বার্থে তাড়াহুড়ো করে জিনিসটা নষ্ট করতে চাইছি না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। ভালোবাসা অবিরাম পাঠকমহল! ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here