#ভুল ১৩তম পর্ব
#jannat_Nur
তুলির স্বামীকে কল দিয়ে নিজের পরিচয় দিলো অবন্তী! তারপর তুলির সাথে কথা হলো অবন্তীর সিরাতের ব্যাপারে। এত বছর পর সিরাত তুলি সাথে দেখা করতে চায় এটা শুনে সে অনেক খুশি হয়েছে। তুলিও চেয়েছিল সিরাত সত্যিটা জানুক, তার মাকে খুঁজে বের করুক। সুফিয়া বেগমের সাথে যে অন্যায়টা হয়েছিল সে অন্যায়টার শাস্তি অপরাধীরা পাক। একজন নিরপরাধ মানুষ এতটা বছর কষ্ট পেয়ে আসছে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের কারণে। সুফিয়াকে আজও মনে করে তুলি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, সুফিয়া যেখানেই থাক যেন ভালো থাকে। আর তার ছেলে যেন একদিন তাকে খুঁজে পেয়ে দোষীদের শাস্তি দিতে পারে। মনে হয় সেই দিনটাই ফিরে এসেছে এমনটাই ভাবছে তুলি। তার মন আজ খুশিতে ভরে গেছে সিরাত তার বাসায় আসবে মায়ের খুঁজে।
চন্দ্রপুর গ্রামের কোথায় তার বাড়ি সবকিছু বিস্তারিত বলল অবন্তীর কাছে। পরের দিন সকালে অবন্তী মাকে বলল, সিরাত ভাইয়াকে নিয়ে ঘুরতে বের হবো।
এ কথা যেন আর বাড়ির কেউ না জানে, জানতে পারলে অনেকেই হিংসা করবে।
রুমা আক্তার বললেন, ঠিক আছে তুই চিন্তা করিস না কেউ জানবে না! আমি তো এটাই চাইছিলাম তুই সিরাতকে নিয়ে ঘুরতে বের হ।
অবন্তীর কোন বাধা রইল না, শুধু দুজনে একসঙ্গে বের না হয়ে আগে পিছে বের হলো। যেন বৃষ্টি বুঝতে না পারে, বৃষ্টি বুঝতে পারলে সে ওদের সঙ্গে যেতে চাইবে। তাদের শহর থেকে চন্দ্রপুর গ্রাম ৩০ কিলোমিটার বাসে যেতে হবে। বাস স্টেশনে এসে টিকেট কেটে দুজনে বাসে এসে বসলো, অপেক্ষা করছে বাস ছাড়ার। দুজনে গল্প করতে করতে ৩০ কিলোমিটার পার করে ফেলেছে মনে হয়নি। বাস থেকে নেমে একটা রিক্সা নিলো, রিকশায় করে তুলিদের বাসার সামনে গিয়ে নামলো। তুলির স্বামী চাকরি করে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে, তাদের অবস্থা এখন ভালো। তুলি বিয়ের আগে শিকদার বাড়িতে কাজ করলেও সাথে সাথে লেখাপড়া করতো। তুলির স্বামী তুলিকে পছন্দ করে বিয়ে করে, স্বামীর সংসারে এখন সে অনেক সুখে আছে। সিরাতকে এত বছর পরে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে তুলি কান্না করে দিলেন।
বাবা তোমাকে আমি কত আদর যত্ন করতাম যখন ছোট ছিলে, তোমার মা আমাকে অনেক ভালোবাসতো। নিজের বোন মনে হতো তাকে, তার সাথে যে আর কখনো দেখা হবে না এটা কখনো ভাবিনি। সে কেমন আছে অনেক জানতে চেয়েছি! কিন্তু কোন খোঁজ খবর পাইনি। তোমার মামার কাছে গিয়েছিলাম তোমার মায়ের খুঁজে, তোমার মামা বলছে সুফিয়া আপুর কোন খোঁজ খবর জানেন না সে।
আন্টি আপনি আমার মামার বাড়ি চিনেন?
কেন চিনবো না, তোমার মায়ের সাথে একবার গিয়েছিলাম সে থেকেই তোমার মামার বাড়ি আমার চেনা! তাইতো তোমার মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলাম।
কতদিন আগে গিয়েছিলাম খোঁজ করতে।
সেটাও তো প্রায় অনেক দিন আগের কথা, ১০ বছর হবে মনে হয়। তুমি এতদিন পরে এলে মায়ের সম্পর্কে জানতে? এত বছর কি করলে।
আর বইলেন না আন্টি এতো বছর আমি একটা ভুলের মধ্যে ছিলাম। আমার আব্বু যা বলেছে তাই বিশ্বাস করেছি, একটা স্বপ্ন আমাকে বাংলাদেশের নিয়ে এসেছে! আর মায়ের সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করেছে। আমি যে কেন এতদিন আমার মায়ের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করলাম না, সেটার জন্য এখন আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমার অভাগী মা এখনো বেঁচে আছে কিনা সেটা জানিনা, কিন্তু আল্লাহর কাছে বলব আমার মায়ের যেন আমি দেখা পাই! তাকে যেন শেষ জীবনে কিছুটা শান্তি দিতে পারি। এখন বলেন আমার মায়ের সাথে কি হয়েছিল, সত্যিই কি আমার মা চরিত্রহীন ছিল।
না বাবা তোমার মা এমন মানুষ না, তোমার মায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
কেন ষড়যন্ত্র করা হলো কি অপরাধ করেছিল আমার মা।
তোমার মায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তোমার ছোট ফুপির জামাই রফিক মিয়া।
নিজের বাবার নাম শুনে অবন্তী অবাক হয়ে গেল, তার বাবা কেন ষড়যন্ত্র করবে! অবন্তী নির্বিকার হয়ে তাকিয়ে আছে তুলির মুখের দিকে।
সিরাত জানতে চাইলো, সে কেন এমন করলেন আমার মায়ের সাথে, কি পেয়েছে আমার মায়ের জীবনটা নষ্ট করে, তার কি লাভ হয়েছে? আর এখন তো সে আমার সাথে অনেক ভালো ব্যবহার করছে। এখন তার ভালো ব্যবহার দেখে মনে হয় এমন ভালো মানুষই হয়না।
তুমি বুঝতেই পারবে না সে কতটা শয়তান মানুষ, তার মুখের কথা শুনলে মনে হবে তার মতো ভালো মানুষ এই দুনিয়াতে নেই। কিন্তু তার মনের ভেতর সবসময় কুবুদ্ধি লেগেই থাকে, নিজ স্বার্থের বাইরে সে কিছুই বুঝেনা! তোমার সাথে ভালো ব্যবহার করার কারণ অবশ্যই আছে।
তুলির কথা শুনে অবন্তী বুঝতে পারে তার বাবা এখন সিরাতের সাথে আর সিরাতের বাবার সাথে কেন ভালো ব্যবহার করছে, তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্যই তার বাবার ভালো মানুষ সাজা। তার বাবা ষড়যন্ত্র করে সিরাতের মাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়েছে, কিন্তু কেন তাকে তাড়িয়ে তার বাবার লাভ কি। তাই অবন্তী তুলিকে প্রশ্ন করলো, বড় মামিকে তাড়িয়ে আব্বুর কি লাভ হয়েছে।
আরে তুমি কি রফিক মিয়ার মেয়ে, নিজের বাবার চরিত্র সম্পর্কে আজকে জানতে পারবে। তুমিও তো একটা মেয়ে বুঝবে একজন লম্পট পুরুষের জন্য একজন সতীসাধ্বী নারীর জীবন কিভাবে নষ্ট হয়ে যায়।
আন্টি আপনি বলেন আমি শুনতে চাই, সে যদি অপরাধী হয় আমার বাবা হোক তবু আমি তাকে ক্ষমা করব না! তার শাস্তি তাকে পেতে হবে।
তাহলে শুনো সুফিয়া আপু অনেক সুন্দরী ছিলেন! সিরাতের চেহারা তার মায়ের মত হয়েছে। সুন্দরী হওয়ার কারণে তোমার বাবার খারাপ নজর পড়ে সুফিয়া আপুর উপর। প্রথমে বুঝতে পারেনি তোমার বাবা এতটা নিচে নামবে, সবসময় সুফিয়া আপু নিজেকে আড়াল করে রাখতেন তোমার বাবার নজর থেকে। একদিন তোমার বাবা সুফিয়া আপুর রুমে ঢুকে পড়ে, তখন সে কাপড় গুছিয়ে আলমারিতে রাখছিল। সিরাত ছোট মাত্র তিন বছর বয়স, খাটে বসানো ছিল। তখন রফিক মিয়া বলে আপুকে নিয়ে পালিয়ে যাবে, রুমা আপাকে তার না কি তেমন ভালো লাগে না। সুফিয়া আপু রফিক মিয়াকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে, সে না বের হয়ে কুপ্রস্তাব দেয় আপুকে, আপুর হাতে ধরে ফেলে। আপু তখন খুব রেগে গিয়ে রফিক মিয়াকে গালে থাপ্পর মারে, বলে সে যেন আর কখনো আপুর রুমে না আসে। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে তোমার বাবা নাটক সাজায়, ভাবে এমন নাটক করলে তোমার বাবা আপুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবে আর সেই সুযোগে তোমার বাবা তার মনোবাসনা পূর্ণ করতে পারবে।
তাহলে যে শুনে আসছি বড় মামির রুম থেকে একজন লোক বের হয়েছিল, সেটা শুধু আব্বু একা নয় বাড়ির সবাই দেখেছে।
সেটাই তো ষড়যন্ত্র, নাটক সাজানো হয়েছিল, যা বাড়ির সব মানুষকে দেখানো হয়েছে। আপুর রুম থেকে একটা লোক বের হবে সেটা সে সবাইকে ডেকে দেখাবে, এই নাটকটা সাজিয়েছে তোমার বাবা।
আপনি শিওর হলেন কিভাবে আব্বু এই নাটকটা সাজিয়েছে।
আমি শিওর হলাম কারণ আমি জানতাম সুফিয়া আপু সৎ চরিত্রের মানুষ। আমিরুল ভাই বিদেশ থাকা অবস্থায় সে কোন পুরুষের সাথে কথা বলতো না, বাসায় যে তার তিনটা দেবর আছে তাদের সাথে সে কখনো ইয়ার্কি ফাজলামি করে কথা বলেনি। মাথায় কাপড় দিয়ে রাখতেন তাদের সামনে গেলে, আর তোমার বাবাকে দেখলে দূরে দূরে থাকতেন। তখনকার দিনে সবার হাতে মোবাইল ছিল না যে মোবাইল দিয়ে কারো সাথে সম্পর্ক করবে। এমনটা নয় সে বাসা থেকে কখনো বের হতো, পরপুরুষের সাথে কথা বলা দূরে থাক তাদের দেখলেই সে মাথা নিচু করে সরে আসতো। এমন মানুষ রাতের অন্ধকারে একটা পুরুষকে নিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করবে এটা আমাকে মেরে ফেললে বিশ্বাস করব না। সেই পরপুরুষ টা কোথায় পাবে রুমে নিয়ে আসবে, সে কখনো কারো সাথে কথাই বলে নাই।
অবন্তীর মনে হচ্ছে তুলি আন্টি যা বলছে সেটাই সত্যি, তার বাবা যখন মামির সাথে মনোবাসনা পূর্ণ করতে পারেননি তখন হয়তো এই ষড়যন্ত্রটা করেছে।
তখন তুলি আবার বলল ও আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, তোমার বাবা যে ষড়যন্ত্র করেছে সেটা বুঝার বড় কারণ হলো! আপুকে যখন ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, সিরাতের জন্য সে পুলিশ নিয়ে আসে সে অসহায় হওয়ার কারণে থানা থেকেও সাহায্য পায়নি। তখন তোমার বাবা সুফিয়া আপুকে বলেছিল ভাবী আপনি যদি আমার সঙ্গে থাকেন আমি আপনাকে সাহায্য করবো, এমন একটা বাচ্চার জন্য কান্নাকাটি করে নিজের জীবন নষ্ট করবেন না। আগেই বলছিলাম আমার সাথে পালিয়ে যান, এখনো সময় আছে এমন আরো দু-চারটা বাচ্চা হয়ে যাবে আমাকে বিয়ে করে নেন। এই কথাগুলো সুফিয়া আপু আমাকে বলেছিল কেঁদে কেঁদে, এখানে রফিক মিয়ার ষড়যন্ত্র আছে কিন্তু আমার কথা তো কেউ বিশ্বাস করবে না।
তুমি কি মনে কর তোমার বাবার ষড়যন্ত্র আছে কিনা?
এতে তো মনে হচ্ছে সবকিছুর পিছনে আমার আব্বুর হাত আছে, তার কারণে বড় মামির জীবনে এত কিছু হয়েছে! এবং সিরাত ভাইয়া মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হয়েছে, আমি এ বাবা নামের মানুষটাকে ছাড়বো না। তার মুখোশের আড়ালে এতটা শয়তানি বের হয়ে আসবে জানা ছিল না। এই শয়তানের মুখোশ খুলতে হলে সুফিয়া মামিকে খুব দরকার।
সিরাত বলল যদি আমার মা বেঁচে থাকে যেভাবেই হোক তাকে খুঁজে বের করব বাংলাদেশ তন্নতন্ন করে হলেও! আমার মায়ের সন্ধান আমি করব যেভাবেই হোক, প্রমাণ করতে হবে আমার মা নির্দোষ ছিল সে চরিত্রহীন ছিল না। আমার মায়ের সম্মান আমি ফিরিয়ে দেবার জন্য যা করার লাগে করব।
অবন্তী নিজের বাবার কুকর্মের কথা শুনে সিরাতকে কি বলে সান্ত্বনা দিবে সে ভাষা নেই। তার বাবার জন্য সে মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, একটা নিরপরাধ মানুষ স্বামী সন্তান হারা হয়েছে। অবন্তীর ইচ্ছা করছে এই মানুষটাকে বাবা বলে আর না ডাকতে।
আন্টি এখন আমরা যাই আবার দেখা হবে।
কি বলছো, কিছু না খেয়ে চলে যাবে! তোমার জন্য আমি রান্না করেছি, তোমার আংকেল স্কুল ছুটি হলে বাসায় আসবে তার সাথে দেখা করে যাও।
আঙ্কেল কখন আসবে, যদি দেরি হয়! আমাদের বাসায় ফিরতে দেরি হয়ে যাবে। অবন্তী আমার সাথে এখানে এসেছে এটা তার বাসায় কেউ জানে না।
ঠিক আছে তাহলে দুপুরের খাবারটা খেয়ে তারপর যাও।
তুলি পরম যত্ন সিরাতকে এবং অবন্তীকে খাওয়ানো পর বললেন, যখনই সময় পাবে আমার এখানে চলে এসো বাবা! তোমাকে দেখতে পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে সুফিয়া আপু আমার আশেপাশেই আছে।
সিরাত বলল এখন আমার মাকে খোঁজার দরকার, তাকে খুঁজে পেলে অবশ্যই আপনার কাছে আসব! আপনার সাথে দেখা করব।
অবন্তী আর সিরাত বাসে উঠে বসলো, বিকাল হয়ে গেছে তারাতাড়ি বাসায় ফিরতে হবে। অবন্তী একদম চুপচাপ, তার বাবার জন্য নিজেকে তার অপরাধী মনে হচ্ছে। সে সিরাতকে কি বলে সান্ত্বনা দিবে ভেবে পাচ্ছেন না, এমন হচ্ছে কেন তার নিজেকে অপরাধী কেন লাগছে।
তুলির কাছ থেকে সিরাত তার মামার বাড়ি ঠিকানা নিয়ে আসছে, কাল সেখানে যাবে। অবন্তীকে চুপচাপ দেখে সিরাত বলল, আমি বুঝতে পারছি তোমার বাবার কথা শুনে খারাপ লেগেছে। নিজের বাবা সম্পর্কে এরকম শুনতে কেউ আশা করে না, তোমার বাবার অপরাধের শাস্তি সে নিজেই পাবে তার জন্য নিজেকে অপরাধী মনে করো না। তুমি তো আর কিছু করোনি, বরং তুমি আমাকে এখন সাহায্য করতেছো আমার মাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য।
সিরাতের কথা শুনে অবন্তী বলল, সত্যিই আমি লজ্জিত আমার বাবা এমন চরিত্রের মানুষ এটা আমি ভাবতে পারছি না! তাকে আমি আর বাবা বলে ডাকবো না, সে বাবা হবার যোগ্য নয়।
তুমি কি কাল আমার সাথে আমার মামার বাড়িতে যাবে? আমি তো আর বাংলাদেশের কোন গ্রাম গঞ্জ চিনি না।
তুমি চাইলে অবশ্যই যাবো, যাবো না কেন! তোমাকে সামান্যতম সাহায্য করতে পারলেও কিছুটা অপরাধবোধ কমবে। আল্লাহর কাছে চাই তুমি তোমার মাকে খুঁজে পাও, আর আমার বাবা যা অন্যায় করেছে তার শাস্তি তিনি পাক। আব্বু যে ষড়যন্ত্রকারী সেটা তুমি প্রমাণ করবে কিভাবে, যদি তার নিজের মুখে স্বীকার করানো যেত সেটা খুবই ভালো হতো।
আল্লাহ কোন না কোন রাস্তা বের করে দিবে তোমার বাবার মুখোশ উন্মোচিত করতে। অপরাধীদের শাস্তি একদিন না একদিন হবেই সে যত বড় চালাক হোক! প্রমাণ যতই লোপাট করুক, তবু আল্লাহর ইশারায় সবকিছু সামনে চলে আসে। প্রকৃত দোষীদের আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না, শুধু আমার আম্মুকে খুঁজে পাই। দরকার হলে আমার আম্মুকে নিয়ে আমি আলাদা থাকবো, এমন বাবার সাথে থাকতে আমার ইচ্ছা করছে না। যে তার ভালোবাসার মানুষকে অন্যের কথায় ডিভোর্স দিতে পারে, সে কখনো ভালোবাসতে পারেনা। সত্য মিথ্যা যাচাই করা দরকার ছিল, এতটা বছর সংসার করার পর কেমন বিশ্বাস ছিল আমার মায়ের প্রতি তার।
চলবে….