#বৃষ্টিময়_প্রেম
#পর্বঃ৩
#লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা
বিছানায় বসে বসে রাইসার বকবক শুনছি। কালকে রেস্টুরেন্ট যাওয়ার প্ল্যান ক্যান্সেল হয়েছে শুনার পর থেকেই সে ভীষণ রেগে আছে। তবে এই রাগটা প্রান্তের উপর না, তার ভাইয়ের উপর মানে পূর্ণ ভাইয়ার উপর। কেন তাকে কালকেই মিটিং করতে হবে এটা ভেবেই ফুসছে আর একটু পরপর বকা দিচ্ছে পূর্ণ ভাইয়াকে।
— ভাসুরও পাচ্ছি একটা বটে! নিজে তো আনরোমান্টিক ব্যাটা, এখন আমার প্রান্তকেও আনরোমান্টিক বানিয়ে ফেলতে চাচ্ছে।
রাইসার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম! একদিনের পরিচয়েই প্রান্তকে “আমার প্রান্ত” বলছে! আবার ও কিভাবে বুঝলো প্রান্ত রোমান্টিক আর পূর্ণ ভাইয়া আনরোমান্টিক? এটা আমি বুঝলাম না। তাই গোলগোল চোখে ওকে প্রশ্ন করলাম,
— একদিনের মধ্যেই “আমার প্রান্ত”? বাব্বাহ! একটু বেশিই ফাস্ট যাচ্ছিস না তুই? তাছাড়াও তুই কিভাবে জানলি প্রান্ত ভাইয়া রোমান্টিক? আর পূর্ণ ভাইয়া যে আনরোমান্টিক এটাও বা কি করে জানলি? (ভ্রু কুচকে)
আমার কথা শুনে রাইসা হঠাৎ করে চুপ হয়ে গেলো। ধরা পড়া চোরের মতো ভেটকি হেসে ঢোক গিললো। ওর মুখ দেখেই আমি বুঝতে পাচ্ছি এর মধ্যে অন্য কোন কাহিনি আছে। তাই চুপচাপ উঠে দরজা লাগিয়ে দিয়ে একদম ওর সামনে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
— দরজা লাগিয়ে দিয়েছি, বাসার কেউ শুনবেনা।
আসল কাহিনি কি তুই আমাকে খুলে বলতে পারিস।
— ক-কাহিনি? কিসের কাহিনি? আমি তো কোন কাহিনি করিনি। (ভয় পেয়ে)
— আমি কি বলেছি তুই নিজে কাহিনি করেছিস? তুই তো নিজ মুখেই স্বীকার করলি তোর মনের কথা। এখন সত্যি সত্যি আমায় বল আসল কথা। আমার কিন্তু আর তর সইছেনা। তুই না বললে আমি যেয়ে আন্টিকে বলে দিবো।
আন্টির কথা দেখে রাইসার মুখ চুপসে গেলো। বুঝলাম তীর সঠিক নিশানায় লেগেছে। এইবার ওর থেকে সবকিছু শুনা যাবে! যা ভাবনা সেই কাজ।
ও প্রথমে কিছুটা ইতস্তত করলেও পরে সবকিছু খুলে বললো আমায়। ওর কথা শুনে যা বুঝলাম তা হলো ও আর প্রান্ত ভাইয়া একি ভার্সিটিতে ছিলো। সেখানেই তাদের দেখা-পরিচয়। ভাইয়া ওদের সিনিয়র, এইবার ভার্সিটি থেকে বের হয়েছেন। আর রাইসা বয়সে আমার প্রায় সমবয়সী হলেও ক্লাসের দিক দিয়ে আমার এক ক্লাস বড়। আমি এইবার ভার্সিটিতে ঢুকবো আর ও অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে উঠবে!
সে যাই হোক, বাড়ির মেয়ে সবার নাকের নিচ দিয়ে এতদিন চুটিয়ে প্রেম করলো আর আমরা কেউ জানতেও পারলাম না! আমার তো ভাবতেই অবাক লাগছে এতদিন কারও ওর উপর বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়নি আর ও প্রেম করে নিজের বিয়ে পর্যন্ত ঠিক করে ফেললো!! সাংঘাতিক ব্যাপার।
আমাকে অবাক হতে দেখে রাইসা দাত কেলিয়ে হাসলো। ভাবটা এমন যেন বলতে চাইছে “কি চান্দু? চমকে দিলাম তো?”
হঠাৎ রোমান্টিকতার কথা মাথায় আসতেই দুষ্টুমি খেলে গেলো আমার মাথায়। শয়তানি হেসে প্রশ্ন ছুড়লাম ওর দিকে,
— প্রান্ত ভাইয়া যে রোমান্টিক সেটা তুই কেমন করে জানিস, বোন? কি রোমান্টিকতা করেছে ভাইয়া তোর সাথে? (বাকা হেসে)
আমার প্রশ্ন শুনে রাইসার হাসি উড়ে গেলো। লজ্জায় লালচে আভা ধারণ করেছে বেচারির মুখ। ওর মুখ দেখে আমার হাসি পেলেও ওর সাথে কিছুক্ষণ গুতাগুতি করলাম ওকে ক্ষেপানোর জন্য! পরে ও প্রসংগ বদলে হঠাৎ বলে উঠলো,
—জানিস তুরফা, প্রান্ত যেইরকম প্রানোচ্ছল পূর্ণ ভাইয়া ঠিক তার বিপরীত। উনি কেমন জানি গম্ভীর স্বভাবের এক মানুষ! হাসিঠাট্টার সাথে তার যেন লেনদেনই নাই। অনেক বিয়ের প্রপোজাল নাকি এসেছে উনার জন্য কিন্তু উনি নাকি এখনও বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন! সারাদিন শুধু কাজ আর কাজ! প্রান্তের থেকে শুনেছি সবাই যখন সকালবেলা ঘুমে কাদা হয়ে থাকবে তিনি সেখানে ভোরে উঠে জগিং করতে যাবেন, রাতে সবাই যখন ঘুমাতে যায় উনি তখন অফিস থেকে আসেন। আবার পরিবারের সবাই যখন আড্ডা দেয় উনি সেখানেও অফিসের লোকদের সাথে কথা বলবেন ফোনে। এটা কি স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ হলো বল? তার সবকিছুই খুব অদ্ভুত। একদিন নাকি প্রান্তকে বকাও দিয়েছেন রাত জেগে আমার সাথে কথা বলার জন্য। আসলে উনি কি মানুষ না রোবট আমি না ঠিক বুঝতে পারিনা জানিস!!
বিরক্তির সাথে বললো রাইসা। ওর মুখ দেখে হাসি পেলো আমার। মুখ টিপে হাসলাম আমি। আমাকে হাসতে দেখে ও বললো,
— তুই হাসছিস, তুর? জানিস আমার না মাঝেমধ্যে মনে হয় না জানে কে সেই হতভাগী যার কপালে তিনি আছেন! তার মতো আনরোমান্টিক, বোরিং, রাগী লোকের বউ হওয়ার মতো কস্ট এই দুনিয়ায় আর কি হতে পারে!! (হতাশ গলায়)
আমিও ওর কথায় সায় দিয়ে মাথা নাড়লাম। আসলেই তো! এইরকম লোকের সাথে সংসার করা যায় নাকি? না না, তার প্রতি আমার মনকে কোনভাবেই গলতে দেওয়া যাবেনা। আমি ভুলেও সেই হতভাগী হতে চাইনা, এমনিতেই আমার জীবনে অনেক দুঃখ, সেটাকে আর বাড়াতে চাইনা বাবা!!
আমি এসব ভাবছিলাম আর রাইসা ফোন টিপছিলো। হঠাৎ করে ওর হালকা স্বরে উচ্ছ্বাস শুনতে পেলাম আমি। ওর দিকে তাকাতেই মনে হলো যেন ফোনে কাউকে দেখে এইরকম রিয়াকশন দিয়েছে!
আমি ওর দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে ওর ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই আমারও চোখ বড় হয়ে গেলো। একি? এটা তো পূর্ণ ভাইয়া! নতুন ছবি আপলোড দিয়েছেন মনে হয়। ব্লু স্যুটের সাথে ব্ল্যাক সানগ্লাস পড়ে রীতিমতো নায়কদের মতো লুক! কি যে মারাত্মক লাগছে তাকে দেখতে! রাইসার দিকে তাকিয়ে দেখি ও এখনও রীতিমতো হা করে দেখছে তার ছবি!! ওর চাহনি দেখে বোকা বনে গেলাম।
একটু আগেই সে যার বদনাম করে কুল পেলোনা, তার ছবি এইভাবে দেখার কোন মানে খুজে পেলাম না!! তাই ওর মাথায় চটকানি মেরে চোখের ইশারায় জিজ্ঞেস করলাম, ও ধরা পড়ে ভেটকি মার্কা হাসি দিয়ে মাথা চুলকাতে লাগলো। তারপর বললো,
—দেখ, পূর্ণ ভাইয়ার নামে আমি যতই কিছু বলিনা কেন এইটা তো মানতেই হবে যে তিনি দেখতে কতটা হ্যান্ডসাম!! যদি আমি প্রান্তকে না ভালোবাসতাম আর পূর্ণ ভাইয়া এতটা বেরসিক না হতেন তবে এতদিনে অবশ্যই উনাকে পটিয়ে বিয়ে করতাম আমি! (হাসতে হাসতে বললো)
ওর কথা শুনে আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
—ছি!! নিজের হবু ভাসুরের সম্পর্কে এমন কথা বলতে পারলি তুই? দাড়া, প্রান্ত ভাইয়াকে বলে দিব?
আমার কথা শুনে রাইসা মুখ বাকালো। তারপর ফোন নিয়ে আমার পাশে বসে বললো,
—আরে ধুর, শুধু আমিই না, যাস্ট দেখ তার ছবিতে কত্তগুলা কমেন্ট! বেশিরভাগই মেয়েদের। লুচু মেয়েরা যতসব, সুন্দর ছেলের ছবি দেখলেই হা করে তাকিয়ে থাকে!!
ওর কথা শুনে খুব হাসি পেলো আমার। ও নিজেও তো এতক্ষন একি কাজই করলো। এখন আবার মেয়েগুলোকে বকছে!!
রাইসার চোখ ফাকি দিয়ে আড়চোখে উনার ছবি আরেকবার দেখে নিলাম আমি! অজান্তেই ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি চলে এলো আমার। কিন্তু পরক্ষণেই তার কঠোর ব্যক্তিত্বের কথা মনে হতেই ভয়ে আমার ভালোলাগা জানালা দিয়ে পালালো!
না বাবা! কিছুতেই তারদিকে তাকানো যাবেনা আর। তিনি শুধু আমার বোনের হবু ভাসুর ছাড়া কিছুই নন। আর তাছাড়াও তার মতো প্রতিষ্ঠিত-যোগ্য ছেলে অবশ্যই তার মতোই একটা যোগ্য মেয়ে ডিজার্ভ করেন। যেখানে তার ধারেকাছেও আমি নেই, সেখানে এক সামান্য বৃষ্টিময় মুহুর্তের কারণে তার প্রতি কোন দুর্বলতা আসতে দেওয়া যাবেনা আমার মনে!!
এসব ভেবে নিজের মনকে বুঝিয়ে নিজ রুমে পড়তে চলে এলাম আমি। রাত অনেক হয়েছে। কালকের দিনটা পুরোটাই ব্যস্ততায় কেটে যাবে আমার। পরীক্ষাও আছে আবার কলেজে। এমনিতেই এখন পড়ালেখায় ফোকাস করাটাই বেশি দরকার আমার। তাই অন্যকিছু ভাবার সময়ও নেই আর!
_______
ড্রয়িংরুমে বসে আছি। রাইসা ওর রুমে রেডি হচ্ছে সকাল থেকে। অবশেষে আজকে প্রান্ত ভাইয়ার সাথে দেখা করতে যাচ্ছে বেচারি। কালকের দিনটা খুব দ্রুত কেটেছে আর কাল পরীক্ষা হয়েছে বলে আজ কলেজও ছুটি দিয়েছে। বাইরে মেঘলা আকাশ, আন্টি খিচুড়ি রান্না করছেন। সেই খুশিতে আমি সোফায় বসে টিভি দেখছি।
অবশেষে রাইসা বের হয়ে আসলো রুম থেকে। আন্টিকে জানিয়ে বাসা থেকে বের হতে যাবে এমন সময় আন্টি রান্নাঘর থেকে এসে বললেন,
—কি রে, তুই একা বের হচ্ছিস কেন? তুরফা যাবেনা তোর সাথে??
আন্টির কথা শুনে আমরা দুইজনই বোকা বনে গেলাম! আমি কেন যাব ওর সাথে? তাই বিস্ময় চেপে না রাখতে পেরে জিজ্ঞেস করলাম,
—আমি কেন যাবো, আন্টি? ওরা দুইজন কথা বলবে, আমি সেখানে কাবাবে হাড্ডি হয়ে কি করবো? (দুষ্টু হেসে)
আন্টি আমার দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাতেই আমার হাসি উড়ে গেলো। বুঝলাম আমার কথা তার পছন্দ হয়নি। তাই তিনি বললেন,
—এখনও ওদের বিয়েটা হয়নি। আর আজকেই যেহেতু প্রথম দেখা তাই রাইসাকে একা পাঠাতে ভরসা পাচ্ছিনা আমি। তুই যা না একটু ওর সাথে, মা। আমার মন টানছেনা ওকে একা পাঠাতে।
আন্টির কথা শুনে বুঝলাম উনি যেহেতু জানেন না রাইসার রিলেশনের কথা তাই ভাবছেন আজকেই প্রথম দেখা হবে ওদের। মায়ের মন বলে কথা, এইজন্যই একা পাঠাতে চাচ্ছেন না। রাইসার দিকে তাকিয়ে দেখি ও করুণ চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বুঝলাম সে বেচারিও মাকে কিছু বলতে পাচ্ছেনা। আমাদের চাওয়া-চাওয়ির মাঝেই আন্টি আমাকে দ্রুত রেডি হয়ে আসার তাগিদ দিলেন।
—কি রে, তুর? দাঁড়িয়ে আছিস কেন? তাড়াতাড়ি যা রেডি হয়ে আয়। দেরি হয়ে যাবে আবার তোদের।
অতঃপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে চুপচাপ গেলাম রেডি হতে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়েই বের হলাম রাইসার সাথে। দুজন রিকশায় উঠার পর ও কিছু বলার আগেই আমি বললাম,
—তুই চিন্তা করিস না। আমি তোদের কাবাবে হাড্ডি হবোনা। তোরা রেস্টুরেন্টে গল্প করিস, আমি না হয় কোন ফ্রেন্ডের বাসায় যাবোনি। আসার সময় একসাথে বাসায় যাবো আন্টি কিছু বুঝবেনা।
আমার কথায় রাইসা প্রথমে অবাক হয়ে গেলো তারপর হেসে মাথা নাড়লো। বুঝলাম আমার বুদ্ধি ওর পছন্দ হয়েছে। আমার হাতের উপর হাত রেখে ধন্যবাদ জানালো, আমিও হাসলাম ওর সাথে!
_______
রেস্টুরেন্টের ভেতর ঢুকতেই দেখি মানুষ গিজগিজ করছে। বসার জায়গা পাওয়া যাবেনা ভাবতে ভাবতেই প্রান্ত ভাইয়ার দেখা পাওয়া গেলো। আমাদের দেখে এগিয়ে এলেন তিনি। বলা বাহুল্য, আমাকে দেখে তিনি অবাক হলেন। তিনি ভাবেননি আমিও আসবো এখানে! ইতস্তত হেসে নিজের পরিচয় দিতে যেতেই উনি হালকা হেসে বললেন,
—তুমি তুরফা, রাইট?
আমি অবাক হলাম তার কথা শুনে। মাথা নাড়লাম হালকা হেসে। ভাবতে লাগলাম তিনি কিভাবে জানলেন আমি কে? আমার মুখ দেখে তিনি হয়তো বুঝলেন আমি কি ভাবছি। তাই বললেন,
—কি ভাবছো আমি কিভাবে তোমায় চিনলাম? আরে তোমার বোনের কাছেই শুনেছি। ও যেরকম বর্ণনা দিয়েছিল তুমি আসলেই ঠিক তেমন। আর তোমাদের বাসায় কে আছে না আছে ও সব বলেছে আমায়। তাইতো কাল ফোনে প্রথমবার তোমার কন্ঠ শুনেই আমি ভাইয়াকে বলছিলাম এটা রাইসা নয়, নিশ্চয়ই তুমি হবে।
প্রান্ত ভাইয়ার কথা শুনে আমার মাথা ঘুরা শুরু হলো। কাল কন্ঠ শুনেই বুঝলো ওটা আমি আবার আজ প্রথমবার দেখেই চিনে ফেললো। এরা মানুষ না জাসুস? বাপরে!!
আমার চিন্তাভাবনার মধ্যেই ওরা দুইজন হাটা শুরু করলো রেস্টুরেন্টের দিকে। তাদের অনুসরণ করে আমিও গেলাম পিছু পিছু। গিয়ে দেখি রেস্টুরেন্টের ভিতরে সুন্দর এক কর্ণারে দুইজনের বসার ব্যবস্থা করা আছে। এই জায়গাটায় ভীড় নেই বললেই চলে! বেছে বেছে ভালো জায়গাই চয়েস করেছেন ভাইয়া!
কিন্তু একি! তাদের চেয়ারে এক লোক বসে আছে কেন? বসে থেকে খুব মনোযোগ দিয়ে ম্যাগাজিন পড়ছে। আমি ভ্রু কুচকে সেদিক তাকিয়ে থাকলাম। প্রান্ত ভাইয়া এগিয়ে যেয়ে “ভাইয়া” বলে ডাকতেই লোকটি আমাদের দিকে তাকালো। তাকে দেখে চমকে গেলাম আমি, আমার সাথে অবাক হলো রাইসাও! আশ্চর্য!! পূর্ণ ভাইয়া এখানে? উনি আবার কি করতে এসেছেন রেস্টুরেন্টে??
আমাদের দেখে ম্যাগাজিন টেবিলে রেখে এদিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন তিনি। তার গম্ভীর মুখ দেখে তার ভিতরের রিয়াকশন কি আমি বুঝতে পারলাম না। কিন্তু উনার এগিয়ে আসা প্রত্যেকটি কদমের সাথে তালে তালে আমার হৃদস্পন্দনের উঠা-নামা করাটা ঠিকই টের পেলাম আমি!!
#চলবে
আপনাদের গঠনমূলক মন্তব্য আমাকে লেখার অনুপ্রেরণা দেয়। নাইস/নেক্সট ছাড়া অন্যকিছু বললে খুশি হবো। ধন্যবাদ।