ধূসর প্রেমের অনুভূতি – পর্ব ৪৪

0
197

#ধূসর_প্রেমের_অনুভূতি
#ফারহানা_ছবি
#পর্ব_৪৪[ধামাকা পর্ব]
.
.
এদিকে সামিরার ফুল স্পিডে গাড়ি রাইড করে শহরের বাহিরের অবস্থিত তার ক্যামিক্যাল ফ্যাক্টরিতে যাবে বলে ঠিক করলো৷ তখনি সামিরার ফোনটা বেজে ওঠে ৷ ফোনের স্কিনে সামিরার পার্সোনাল দেহরক্ষীর নাম্বার দেখে লাউড স্পিকারে রেখে কল রিসিভ করে সামিরা৷ তখনি ফোনের ওপাশ থেকে সামিরার দেহরক্ষী যা বললো তা শুনে এক মুহূর্তের জন্য সামিরা এক্সিডেন্ট করার হাত থেকে বেঁচে যায়৷

গাড়ি সাইড করে থামিয়ে সামিরা জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগলো৷ একটুর জন্য বড় ট্রাকের সাথে সামিরার গাড়ির সাথে এক্সিডেন্ট হয়নি৷ একটুর জন্য বেঁচে গেল সামিরা৷ এদিকে সামিরা দেহরক্ষী হ্যালো হ্যালো বলে যাচ্ছে৷ সামিরা বিরক্ত হয়ে ফোন হাতে নিয়ে দেহরক্ষীকে বলতে লাগলো,” এই বোম ব্লাস্টের কথা আমাকে আগে কেন জানাও নি আমজাত ?”

” স্যরি বস আসলে একের পর এক যেভাবে বোম ব্লাস্ট হয়ে ছিলো৷ আমি নিজেই দিশে হারা হয়ে পড়েছিলাম৷ আপনাকে জানানোর মতো অবস্থায় ছিলাম না৷”

” এই ব্লাস্ট গুলো কে করিয়েছে?”

” কে বা কারা এই ব্লাস্ট গুলো করিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি৷”

” ফ্যাক্টোরির বাইরে এবং ভেতরের সি সি ক্যামেরা গুলো চেক করেছো?”

” বস কোন ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়নি৷ ”

“শিট! ”

” বস আমার মনে হচ্ছে এটা আপনার কোন শত্রুর কাজ ৷”

” আমার সব চেয়ে বড় শত্রু আরু সে আজ মৃত আমজাত৷”

” বস আরু মৃত কিন্তু মারু তো জীবিত আছে?”

আমজাতের কথা শুনে সামিরা কিছু একটা ভেবে বলে,” আমজাত মারুর উপর চব্বিশ ঘন্টা নজর রাখো৷ ”

” ওকে বস৷”

সামিরা কল ডিসকানেক্ট করে দিয়ে সিটে মাথা এলিয়ে দিয়ে বেআইনী বিজনেসের ঠিক কতোটা ক্ষতি হয়েছে তা ভাবতে লাগলো৷

(৭৯)

মাঝখানে একটা দিন কেটে গেল৷ সূর্যের তীর্যক রশ্মিতে পুরো পৃথিবীর অন্ধকার কাটিয়ে আলোয় ভরিয়ে দিলো৷ ফারহা আর নুপূর ভোর বেলায় নিজ শহরে এসে পৌছে যায়৷ ফারহা রেস্ট নেওয়ার জন্য একটা হোটেলে চেকইন করে৷

অন্যদিকে চৌধুরী ম্যানশনে অলরেডি বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গেছে৷ একি বাড়িতে থেকে অর্নিল ফারিহা, শ্রাবণ সামিরা এবং মেঘ ফারহার বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে আর সেটা ফারহা অলরেডি জেনে গেছে৷ গায়ে হলুদের পর্ব শেষ হয় শ্রাবণ সামিরা অর্নিল আর ফারিহার কিন্তু মেঘের কোন গায় হলুদ হয় না ৷ অন্যদিকে ফারহা ল্যাপটপে লাইভে চৌধুরী ম্যানশনের গায় হলুদের অকেশনটা দেখতে দেখতে মেঘকে একটা মেসেজ করে পাঠিয়ে দেয়৷

‘দ্বিতীয়বার বিয়ে করার জন্য তৈরি তো মেঘরাজ? ‘
গোমড়া মুখো মেঘ তার ফারুপাখির মেসেজ দেখে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটিয়ে ফারহাকে পাল্টা মেসেজ পাঠালো মেঘ৷

ফারহা ল্যাপটপের স্কিনে তাকিয়ে মেঘের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক দেখে ফারহার মনটা নিমিষে ভালো হয়ে গেল৷ আরও ভালো হলো মেঘের মেসেজটা দেখে,” দ্বিতীয়বার কেন? ফারুপাখির মেঘরাজ হাজার বার তার ফারুপাখিকে বিয়ে করতে রাজি আছে৷ চাতকপাখীর ন্যায় আমার আখিদ্বয় তার ফারুপাখিকে দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে সেটা কি ফারুপাখি জানে?”

ফারহা মেঘের মেসেজের রিপ্লে দিতে যাবে এমন সময় সেই আগন্তক অনেক গুলো শপিং ব্যাগ নিয়ে এসে হাজির হয়৷ ফারহা মেঘকে মেসেজের রিপ্লে দিলো না৷ বরং আগন্তুককে বলতে লাগলো ,” ভাই আদিল আর রাফিকে এখানে ডেকে পাঠাও৷ ”

” আদিল রাফিকে এখানে ডেকে আনাটা একটু রিক্স হয়ে গেল না আরুপাখি?”

” একদম নয় ভাই ৷ আগামিকাল হবে এই হাইড এন্ড সিক খেলার অন্তিম পর্ব সো গেট রেডি ভাই৷”

” ওকে আরুপাখি তুমি যা বলবে৷” আগন্তক ফারহার রুমের বসে আদিল রাফিকে কল করে৷

অন্যদিকে তনু ভয়ে নিজের রুমে নিজেকে লক করে বসে আছে যখন থেকে জেনেছে সামিরা আর শ্রাবণের আগামিকাল বিয়ে৷ ফারিহা সামিরার সামনে এমন ভাবে নিজেকে প্লেস করছে যেন সামিরাকে সে প্রথমবার দেখছে৷ এদিকে সামিরার সাথে ফারিহার যতোবার চোখে চোখ পড়েছে ঠিক ততোবার ফারিহা তীক্ষ্ম চাহনি নিক্ষেপ করলো সামিরার দিকে;

চৌধুরী ম্যানশনে আজ খুশির আমেজে ভেষে যাচ্ছে ৷ অন্যদিকে আবার দুঃশ্চিন্তায় ভুগছে ফায়েজ খান আর আইরিন খান৷ বারংবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে৷ ফারহা ফিরে আসবে সে আসায়৷ হঠাৎ হইচই এর শব্দে সিঁড়ির দিকে তাকায় সবাই, ফারিহা এবং সামিরা দু’জনে বধুর সাজে নিচে নামছে৷ ফারিহা অর্নিলের প্রিয় রংয়ের রয়েল ব্লু রংয়ের বেনারসী শাড়ি পড়ে আছে৷ মাথায় সোনালী আর নীল স্টোনের কাজ করা ওড়না পড়া৷ মুখে ব্রাইডাল মেকাপ , নাকে নথ , কানে ,গলায়, হাতে ভারি ওরনামেন্টস পায়ে মল৷ এক কথায় ফারিহাকে অসাধারণ দেখতে লাগছে৷ এদিকে সামিরা গাঢ় পোলাপি রঙের ল্যাহেঙ্গা পড়নে ৷ মুখে হালকা সাজ৷ মাথায় গোলাপি রঙের দোপাট্টা ৷ সব মিলিয়ে ফারিহা এবং সামিরা দুজনকে বধু বেশে অসাধারন লাগছে৷ এদিকে শ্রাবণ অর্নিল সামিরা এবং ফারিহার সাথে ম্যাচিং করে শেরওয়ানী পড়নে ৷ মাথায় পাগড়ী পায়ে নাগড়া ৷

ফারিহা আর সামিরাকে, অর্নিল আর শ্রাবণের পাশে বসিয়ে বিয়ের জন্য তাড়া দেয় অর্নিলের মা বাবা৷ এদিকে মেঘ এবং ফারহার মম ড্যাড অর্নিলের বাবা মাকে আর একটু অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করছে৷ তারা প্রচন্ড বিরক্ত কারণ যে মানুষটা পৃথিবীতেই নেই সে কি করে আসবে এই বিয়েতে! তবুও চুপ রইল৷ একঘন্টা অপেক্ষা করার সবাই এক প্রকার বিরক্ত হয়ে বিয়ে শুরু করার কথা বললো৷ মেঘ ফারহার মম ড্যাড মানতে নারাজ তবুও বাধ্য হয়ে অনুমতি প্রদান করলো৷

কাজী সাহেব প্রথমে সামিরা আর শ্রাবণের বিয়ে পড়াতে নিলে সামিরা নিজের কার্যসিদ্ধি করতে দুইধাপ এগিয়ে গেছে ভেবে শয়তানি হাসি দিলো৷ পনেরো লক্ষ টাকা দেনমোহরে শ্রাবণ তিনবার কবুল বলে৷ শ্রাবণের পর সামিরাকে কবুল বলতে বলা হলে সামিরা খুশি হয়ে কবুল বলতে নিবে তখনি বাইরে থেকে ঢাক ঢোল সানাইয়ের আওয়াজ শুনে সবার উৎসক হয়ে শ্রাবণ ,সামিরা , অর্নিল , ফারিহা এবং বাকিরা সবাই বাইরে বেড়িয়ে এসে দেখে ঘোড়ায় চড়ে বউয়ের বেশে ফারহা নাচতে নাচতে এগিয়ে আসছে৷ ফারহাকে দেখে সবার ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠলেও শুধু একজন অবিশ্বাস্যের চোখে তাকিয়ে আছে হতভম্ব হতবিহ্বল স্তম্ভিত হয়ে৷

মেঘের ঠোঁটের কোনে সূক্ষ্ম হাসি৷ দুহাত ভাজ করে অপরূপ দৃষ্টিতে নিজের ফারুপাখির দিকে তাকিয়ে আছে৷

গাঢ় লাল টকটকে বেনারসী মাথায় লাল সোনালী কারুকার্যের দোপাট্টা৷ ব্রাইডাল সাজ, কানে গলায় হাতে ওরনামেন্টস ৷ চোখে কালো চশমা পড়া৷ সবার নজর শুধু ফারহার উপর৷ ফারহা চশমা নাকের ঢগায় নিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে দিয়ে মেরা সাইয়া সুপারস্টার গানে নাচতে লাগলো৷ ফারহার নাচের তালে তালে নুপূরও নাচতে লাগলো৷ নুপূরও আজ বউয়ের সাজে সজ্জ্বিত হয়ে আছে৷ শ্যাম বর্নে মিষ্টি রংয়ের লেহেঙ্গাটা যেন আরো ফুটে উঠলো৷ কোমর দুলিয়ে দুলিয়ে নাচতে লাগলো ফারহার সাথে নুপূর ৷ আদিল রাফিও ফারহা নুপূরের সাথে নাচে তাল মেলাতে লাগলো৷ ফারিহা ফারহাকে দেখে খুশিতে দৌড়ে গিয়ে ফারহাকে জড়িয়ে ধরে ফারহার সাথে নাচতে লাগলো৷ সবার চোখে মুখে বিস্ময়ের ছাপ ফারহাকে দেখে৷ আবার এভাবে নাচতে নাচতে ফারহা বিয়ের অনুষ্ঠানে আসবে সেটা কেউ আশা করেনি বিশেষ করে সামিরা৷ ফারহাকে জীবিত দেখে সামিরার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো৷ মৃত মানুষ এভাবে চোখের সামনে নাচছে এটা সামিরার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু ধীরে ধীরে সামিরা বুঝতে পারলো ফারহার মরে যাওয়া পুরোটাই অভিনয় ছিলো৷ সামিরার ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে ফারহাকে খুন করে ফেলতে৷ সামিরা বিয়ের পোশাকে বিধায় রিভালবার রুমেই ফেলে এসেছে বুঝতে পেরে দ্রুত ভেতরে চলে যায়৷ সামিরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করার সাথে সাথে আর একটা ছায়া সামিরার পেছন পেছন ভেতরে ঢুকে পড়ে৷

প্রায় পনেরো মিনিট ডান্স করার পর ফারহা মেঘের দিকে এগিয়ে যায়৷ মেঘ তার পকেট থেকে একটা প্যাকেট বের করে তার ভেতর থেকে আঙ্গুলে সামান্য হলুদ নিয়ে ফারহার গালে ছুঁইয়ে দেয়৷ ব্যাস বিয়ের আগে গায়ে হলুদ হয়ে গেল৷ মেঘ সময় নষ্ট না করে ফারহাকে আড়কোলে তুলে নিলো৷ এটা দেখেই আদিল রাফি শিস বাজিয়ে উঠলো৷ মেঘ কাউকে কোন তোয়াক্কা না করে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলো৷ মেঘ ফারহার মম ড্যাডের মুখ থেকে যেন হাসিটাই সরছে না৷ ফারহাকে ফিরে পেয়ে প্রচন্ড খুশি সবাই৷

ফায়েজ খান এবং মেহবুব চৌধুরী কাজীকে তারা দিলো বিয়ে পড়াতে৷ শ্রাবণ যেহেতু সবার বড় সেহেতু শ্রাবণ আর সামিরার বিয়ে দিয়ে শুরু করতে বলা হয়৷ শ্রাবণ আর সবাইকে দেখতে পাচ্ছে শুধু মাত্র সামিরাকে ছাড়া, শ্রাবণের পর সবাই বিষয়টা খেয়াল করতে সামিরাকে খুজতে লাগলো৷ পুরো চৌধুরী ম্যানশনে খুজে সামিরাকে কেউ খুজে পেল না৷ কিন্তু একজন সারভেন্ট গেস্টরুম যেই রুমে সামিরাকে সাজানো হয়েছিলো ৷ সে রুমে একটা ভাজ করা চিঠি খুজে পায় সারভেন্ট৷ চিঠিটা নিয়ে শ্রাবণের হাতে দিয়ে সরে পরে সারভেন্ট৷ শ্রাবণ কাঁপা কাঁপা হাতে চিঠিটা মেলে পড়তে লাগলো৷

‘ স্যরি শ্রাবণ আমি এই বিয়েটা করতে পারবো না৷ আর তাই তোমাকে কিছু না বলে আমাকে পালিয়ে আসতে হলো৷ আমি জানি তুমি কি ভাবছো! এটাই তো আমি কেন বিয়েটা করতে চাইছি না যেখানে আমি তোমাকে ভালোবাসি? শ্রাবণ আমি তোমাকে নয় অন্য একজনকে ভালোবাসি আর আমি আজ তাকেই বিয়ে করবো৷ তুমি আমাকে পারলে ক্ষমা করে দিও আর নিজের পছন্দ মতো অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করে নিও৷ ভালো থেকো ৷ ‘
ইতি
সামিরা

চিঠিটা পড়ে প্রত্যেকটা লোক স্তম্ভিত৷ মেহরীমা চৌধুরী ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ে৷ এতো হাসি খুশির মাঝে এমন কিছু ঘটে যাবে তার বিন্দুমাত্র ধারণা কারোর ছিলো না৷ তবে শ্রাবণের চোখ মুখ দেখে বোঝার কোন উপায় নেই শ্রাবণের মনে ঠিক এই মুহূর্তে কি চলছে৷ মেহরীমা চৌধুরী বিলাপ করে কান্না করতে করতে লাগলো৷ গেস্টরাও কানাঘুষা করছে৷ মেহবুব চৌধুরী এই অপমান সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে বলে উঠলো,” থামুন আপনারা আর এই মুহূর্তে বেড়িয়ে যান আমার বাড়ি থেকে৷ আজ এখানে কোন বিয়ে হচ্ছে না৷ ”

” বিয়ে হবে ড্যাড আর তোমাদের ইচ্ছে অনুযায়ী তিন জোড়া বিয়েই হবে এবং সেটা আজ৷”

শ্রাবণের কথা শুনে প্রত্যেকে বিস্ময় হয়ে তাকিয়ে রইল শ্রাবণের দিকে; মেঘ অর্নিল শ্রাবণের পাশে গিয়ে বলে,” ভাইয়া রেগে বা হটকারিতায় এমন কোন সির্ধান্ত নিস না যেটা তোর জীবনটা নষ্ট করে দেয়৷ সময় নিয়ে ভাব কি করবি৷ আপাদতো আজ বিয়েটা বন্ধ হোক৷”

মেঘের দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে শ্রাবণ দাঁতে দাঁত চেপে মেঘকে বলল,” আমি একবার যখন বলেছি বিয়েটা আজ হবে মানে আজ হবেই মেঘ৷”

অর্নিল এবার চুপ না থেকে বলল,” ওকে ভাইয়া ৷ আপনি যা বলছেন সে অনুযায়ী সকল কিছু হবে কিন্তু আপনার জন্য পাত্রী এই মুহূর্তে কোথায় আমরা কোথায় পাবো?”

শ্রাবণ অর্নিলের থেকে চোখ সরিয়ে এদিক ওদিক তাকাতে হঠাৎ ফারহার পাশে দাড়ানো নুপূরের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়৷ শ্রাবণ হাতের ইশারায় নুপূরের দিকে ইশারা করে বলে, ” এই মেয়েকে আমি বিয়ে করবো৷”

শ্রাবণের কথা শুনে প্রত্যেকে শক্টড ইভেন নুপূর তো স্তব্ধ হয়ে শ্রাবণের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে৷ কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না নুপূর৷ মেঘ নুপূর কে চিনতে না পেরে ফারহার দিকে তাকাতে ফারহা ইশারা করে বিয়েতে রাজি হতে৷ মেঘ কিছু না ভেবেই বলে,” তাই হবে ভাই তোর বিয়ে ওই মেয়েটার সাথেই হবে৷ রাগে এবং জেদের বশে শ্রাবণ নুপূরকে বিয়ে করে নেয়৷ ফারহা নুপূরকে যা যা করতে বললো নুপূর বিনা বাক্যে কলের পুতুলের মতো তা করতে লাগলো৷ অবশেষে শ্রাবণের বিয়ে শেষ হতে মেঘের বিয়ে পড়ানো শুরু হয়৷ মেঘ কে কবুল বলতে বলা হলে মেঘ একদমে তিনবার কবুল সাইন করে৷ তা দেখে সবাই হেসে ফেলে , তারপর ফারহাকে কবুল বলতে বলা হলে ফারহা ধীরে সুস্থে আলহামদুলিল্লাহ তিনবার কবুল বলে৷ এরপর অর্নিল আর ফারিহার বিয়ে পড়ানো শুরু হলে কাজীর বলার পূর্বে অর্নিল কবুল বলে তা শুনে কাজী বলে ওঠে,” এমন বিয়ে পাগলা বর আমি কখনো দেখিনি যা দেখার সব এখানে দেখছি৷ বাবা আমাকে সবটা বলতে দেন তারপর না হয় কবুল বলবেন৷”

কাজীর সাহেবের কথা শুনে ফারিহা লজ্জা পেলেও অর্নিল মটেও লজ্জা পেল না৷ কাজীর কবুল বলতে বলার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো অর্নিল৷ অবশেষে ফারিহার কবুল বলা এবং রেজিষ্ট্রি পেপারে সাইন করা শেষ হতে বিয়েটা সম্পূর্ন হয়৷ এক সাথে তিন জোড়া বিয়ে ৷ মেঘ-ফারহা, অর্নিল-ফারিহার মুখে হাসি থাকলেও শ্রাবণ-নুপূরের মুখে হাসি নেই৷

(৮০)
লোহার চেয়ারে হাত পা অবস্থায় বিয়ের সাজে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে সামিরা৷ অদ্ভত মহোনীয় এক দৃষ্টিতে সামিরার দিকে তাকিয়ে আছে…….
.
.
.
#চলবে……….
(ধামাকা পর্বটা কেমন হলো? রিডার্সগণ অবশ্যই জানাবেন৷)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here