তুমি সুখের বৃষ্টি হয়ে ঝড়ো – পর্ব ১

0
1369

আমার মায়ের খাটিয়া আপনি ধরবেন না আব্বা।
মোর্সেদ বাড়ির উঠোন জুড়ে যখন সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তাঁদের বাড়ির মেজ বউয়ের লাশের খাটিয়া কাঁধে তোলার। ঠিক তখনই এই বাড়ির বড় মেয়ে কোথা থেকে এসেই নিজের বাবা-র দিকে ছুঁড়ে দিলো এই কথাটা।কথাটা যেন বিনা মেঘের বজ্রের মতো সৃষ্টি হলো।চারিদিকে একটা উত্তেজিত পরিস্থিতি। সবার মুখে মুখে বিভিন্ন কথা।সব কথা মিলিয়ে একটা কেমন অদ্ভুত আওয়াজ হচ্ছে– গম-গম।তখনই হঠাৎ কোথা থেকে একজন কঠিন কন্ঠের লোক বলে উঠলো।

তাহলে কে ধরবে তোমার মায়ের খাটিয়া?

ধূসর

একটু আগের বজ্রপাতের মতো পরিস্থিতি যেন হঠাৎ করেই ঠাটা পড়ার মতো হয়ে উঠলো।তখনই সেই ভারি কন্ঠের লোকটা বলে উঠলো।

তাঁকে জিঙ্গেস করেছো সে তোমার মায়ের খাটিয়ার দায়িত্ব নিবে কিনা?কথাটা হয়তো মেয়েটার পছন্দ হয়নি।তাই সে এগিয়ে বললো–

যে দু’দিন পর আমার দায়িত্ব নিবে সে কি একদিনের জন্য আমার মায়ের দায়িত্ব নিতে পারবে না চাচ্চু।এটা তো আমার দায়িত্ব। আজ যদি আমি ছেলে হতাম তাহলে তো এই দায়িত্ব আমার থাকতো।সে নাহয় আমার হয়ে সেই দায়িত্ব পালন করবে।

মা মা-রা গেছে ভোর রাতে। একেবারের জন্যও তো দেখলাম না চোখের এক ফোটা জল ফেলতে।এখন এসেছো দায়িত্ব পালন করতে।কথা গুলো বলে উঠলেন সফিউল মোর্সেদ–

ভাইয়ের মুখের কথা কেঁড়ে নিয়ে সামিউল মোর্সেদ বলে উঠলেন–

ভাই একদম মায়ের মতো হয়েছে। একজন তো মরে গিয়ে আমায় মুক্তি দিয়েছে আরেকজনকে কাঁধে ঝুলিয়ে দিয়ে গেছে। মা মা-রা গেছে কোথায় কেঁদে কেটে ঘরের এক কোণে পড়ে থাকবে। তা না করে আমাদের দায়িত্ব শেখাতে এসেছে।সারাজীবন তোমার মায়ের দায়িত্ব পালন করেছি আজও করতে চাইছি।এখানে এতো কথা কিসের।

আমার চোখের জলটা তুলে রেখেছি ফেলার মতো একটা স্থান বা কাঁধ পেলে ঠিক ফেলবো।তাই আমাকে নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে।আর হ্যা আমার কথাই ফাইনাল।আমার মায়ের খাটিয়া আব্বা আপনি নন ধূসর ধরবে।আর দায়িত্ব কিসের দায়িত্বের কথা বলছেন আব্বা।আপনি দায়িত্ব পালন করতে যানেন।আপনাকে কেউ শিখিয়েছে দায়িত্ব পালন কিভাবে করতে হয়।আর আমার মায়ের নামে যদি একটা কথাও বলেন না।আমি এক সেকেন্ডও দেরি করবো না থানায় যেতে।সব প্রমান আমার হাতের মুঠোয়।ভুলে যাবেন না এখন আমাকে আঠকানোর জন্য মা বেঁচে নেই।তাই আমি চাইলেই এই বাড়ির সবাইকে জেলের ভাত খাওয়াতে পারি।এমন কি আপনার গুনধর আম্মাকেও।তাই আমার মুখ খুলাবেন না।

কথা গুলো শুনে সমিউল মোর্সেদ একটু দমে গেলেন।ফাঁকা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন–
আগে শুনে তো দেখ সে ধরতে চায় কিনা

বাবার মুখের কথা শুনে একটা বিচ্ছিন্ন হাসি দিলো মেয়েটা।যে হাসির মানে হয়তো সমিউল কিনবা সফিউল রহমান বুঝলেন না।তাই তাঁরা চেয়ে রইলেন সেই হাসি মাখা মুখের দিকে।মেয়েটি আস্তে আস্তে হেঁটে মায়ের খাটিয়ার একটু দূর দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। লোকটা যে তাঁর দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে তা সে বুঝতে পেরেছে। কিন্তু নিজের বোঝাবুঝির ব্যপারটা দূরে সরিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করলো?

একদিনের জন্য আমার মায়ের ছেলে হতে পারবেন না?

অদ্ভুত ভাবে চেয়ে থাকা এই মেয়েটির দিকে এক নয়নে তাকিয়ে রইলো ধূসর।মৃত্যুর খবর শোনা থেকে শুরু করে এখন অবধি ধূসর এই বাড়িতেই আছে।কিন্তু যে মেয়েটার কেঁদেকেটে বাড়ি মাথায় তোলার কথা।যাঁর কিনা কান্নার জন্য মুখের কথা হারিয়ে যাওয়ার কথা।তাঁর মুখে এমন কঠিন কঠিন কথা শুনে ধূসর সত্যি অনেক অবাক হচ্ছে।দু’দিন আগেই এই অদ্ভুত মেয়েটার সাথে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছে পারিবারিক ভাবে।প্রথমে তাঁর পরিবার এসে পছন্দ করেছিলো।তারপর সে এসে দেখে নিজের মতামত জানিয়েছে। আজ যখন ভোররাতে তাঁর হবু শাশুড়ী মায়ের মৃত্যুর খবর শুনলো।তখন ভেবেছিলো হয়তো মেয়েটা কেঁদে কেঁদে বুক ভাসাবে।কিন্তু সে যে পুরো লোহার মতো শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তারই সামনে।তাঁর উপর নিজের বাবাকে সরিয়ে নিজের মায়ের খাটিয়ার দায়িত্ব তাঁকে দিচ্ছে।এই কথা ভাবতেই শরীরটা একটু কাঁপুনি দিয়ে উঠলো ধূসরের।সে কোন রকম নিজেকে সামলে বললো।

হুম পারবো।আমি আজকের নয় সারাজীবনের জন্য ছেলের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু তিনি সে সুযোগটা আমায় দেননি।যখন একদিনের জন্য সেই সুযোগটা পেলাম সেটাই না-হয় পালন করলাম।

এটা বেশি হচ্ছে কিন্তু?

সেটা না-হয় আমার উপরেই ছেড়ে দেন চাচ্চু।

ভাইয়া ছাড়ো কথা বাড়িও না।দেখতে হবে না কার মেয়ে।

কথাটা শোনামাত্র মেয়েটা চোখ তুলে সামনে তাকাতেই ধূসর বলে উঠলো–

আঙ্কেল থাকনা উনি যা চাইছে সেটাই না-হয় হোক।খুব বেশি ক্ষতিতো হবে না তা-ই না।

আর কোন কথা বলতে পারলেন না সমিউল মোর্সেদ। কারণ তাঁর আগেই সবাই তাড়া দিলেন।একে একে নিজের দায়িত্ব ভাগ করে নিলেন সবাই। ধূসর তুলে নিলো ভোর নামের অদ্ভুত সেই মেয়ের মায়ের লাশের খাটিয়া। আস্তে আস্তে সবাই পড়তে রইলো কলেমা শাহাদাত।আশহাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।সেদিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে ভোর।কত স্বপ্ন কত আশা দেখা হয়েছিলে মা’কে নিয়ে।আজ সে স্বপ্ন পূরণ হবার আগেই মা চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে।কতশত বায়না কতশত স্মৃতি জড়িয়ে বেঁচে ছিলো মা’কে ঘিরে তা অনাআশেই শেষ হয়ে গেলো।নিজের জন্য কতটা ছোট হয়েছে মা।কতটা কষ্ট সইতে হয়েছে তাঁর হিসেব গোনা যাবে না।আর মেয়ে হয়ে সে কি দিলো মা’কে? কিছু না।হঠাৎ চোখটা জ্বলে উঠলো।কিন্তু না সে কাঁদবে না।সব সন্তানকে মা হারানোর জল ফেলতে নেই।তাই সেও ফেলবে না।তাঁর এখনো অনেকটা পথ চলা বাকি।অনেককেই অনেক প্রশ্নের জবাব দেওয়া বাকি।তাই চোখটা কয়েকবার পলক ফেলে আবার তাকিয়ে রইলো মায়ের শেষ বিদায়ের পালকির দিকে। যখন আস্তে আস্তে সব ঝাপসা হয়ে এলো।আর দেখা গেলো না মায়ের শেষ বিদায়ের পালকিখানা।তখনই এক ছুটে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো ভোর।

——————-
একটু আগে মানুষের ভিড়ে যেখানে পা রাখা দায় হয়েছিল সেখানেই এখন একজন মানুষ নেই। প্রায় দশ মিনিট হয়েছে কবরস্থান থেকে ফিরেছে ধূসর।সেই যে তাকে রেখে সবাই যাঁর যাঁর ঘরে গেলো আর কাউকে দেখেনি সে। একটু আগে একটা মেয়েকে পাঠিয়েছে একটু ভোরকে ডেকে দেওয়ার জন্য। না সেই মেয়েটা এসেছে না ভোর।সে-তো চেয়েছিলো কবরস্থান থেকেই বাড়ি ফিরতে,কিন্তু বিষয়টা লোকচক্ষু খারাপ দেখায় তাই আবার ফিরে আসা।অবশ্য আরো একটি কারণ আছে।সেটা হচ্ছে একটু ভোরের সাথে দেখা করা।মেয়েটাকে যে অনেক কিছু জানানোর আছে।আজ না বললে হয়তো আর কখনো বলা হবে না।যে বিয়েটা ঠিক হয়েছে হয়তো সেটাও আর হওয়ার নয়।ধূসরকে তাঁর ছোট বোন জানিয়েছিলো ভোরের এই বিয়তে কোন মত নেই।
আর যদিও সে মত দিয়ে থাকে তা শুধুমাত্র তাঁর মায়ের জন্য। কিন্তু যেখানে তাঁর মা বেঁচে নেই সেখানে এই বিয়ে না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।তাই আজ কিছু অপ্রিয় সত্যি ভোরকে সে জানিয়ে যাবে।যা ভোরের মা ধূসরকে বলেছিলো।বিকালেই মানুষটা তাঁর সাথে দেখা করেছিলো,আর ভোররাতে তাঁর মৃত্যু। সত্যি মৃত্যু বড় আজব।কখন আসবে কোথায় আসবে তা কেউ জানে না। চারিদিকে চোখটা বুলিয়ে ধূসর সামনে রাখা একটি কাঁচের গ্লাস তুলে নিলো।ঢকঢক করে পানি পান করে গ্লাসটা রাখতেই একটি ষোল সতেরো বছরের মেয়ে বলে উঠলো–

আপনি ফিরে যান।আপু কাকিমার লাশ নেওয়ার পর যে দরজা বন্ধ করেছে এখনো সেই দরজা খোলেনি। আমি অনেকবার ডেকেছি কিন্তু আপু কোন সাড়া দেয়নি।

তুমি বলেছো আমার জরুরি কথা ছিলো?
জ্বি ভাইয়া বলেছি।

ধূসর আশাহত হয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো।আর পিছনে ফেলে গেলো এক অসহায় মেয়েকে। যে কিনা কয়েক ঘন্টা আগে নিজের জন্মদাত্রী মা’কে হারিয়েছে।

————-

হার কাঁপা ঠান্ডায় ঝর্না ছেড়ে তাঁর নিচে দাঁড়িয়ে আছে ভোর। প্রায় ঘন্টা হয়েছে সে ঝর্নার নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর বুকে খুব জ্বলন হচ্ছে। কিছুতেই তাঁর সেই জ্বালা কমছে না।এতো ঠান্ডার মধ্যে পানিতে ভিজলেও তাঁর দুই ঠোঁট একটু উঁহু করছে না।আজ চারদিন হলো তাঁর মা মা-রা গেছে।সেই যে দরজা বন্ধ করেছিলো তাঁর মাঝে একবার দরজা খুলেছিলো সে।তাও তাঁর মায়ের জন্য লোক দেখানোর জন্য যেদিন দোয়া করানো হলো সেদিন।তারপর আবার দরজা বন্ধ করেছে।কেউ আসেনি তাঁকে দেখতে এমন কি তাঁর জন্মদাতা পিতাও নয়।দুই তিনবার এসেছিলো তাঁর বোন নামের একটা মেয়ে।যে কিনা তাঁর শত বোন।এই বাড়িতে অনেকেই আছে তার আপন মানুষ। কিন্তু তারা সবাই নামমাত্র আপন।আসলে তারা সবাই পর।একটা জয়েন ফ্যামেলিতে-তো কম লোক না।তাদেরও জয়েন পরিবার। এই পরিবারে তাঁর আপন বলতে শুধু তাঁর মা।আজ চারদিন হল সেই মা নামের মানুষটাও নেই।কি নিয়ে বেঁচে থাকবে সে।তাঁর যে খুব কষ্ট হচ্ছে। আর সেই কষ্ট থেকেই বুকে জ্বলন্ত আগুনের মতো দাউদাউ করছে বুকের ভেতরের হৃদয় নামের সেই যন্ত্রটা।এতো ঠান্ডা পানি দেওয়ার পরেও সেই হৃদয়টা ঠান্ডা হয়নি।আর কি দিয়ে হৃদয়টা ভেজালে ঠান্ডা হবে তা ভোর জানে না।আস্তে আস্তে বুকের জ্বালাটা চোখেও চলে এলো।চোখটা জ্বালা করতেই ঠান্ডা শরীরটা ভেঙে গুড়িয়ে পড়লো ফ্লোরে।মার্বেল পাথরের মতো সাদা ফ্লোরটা কয়েক মুহূর্তে লাল হয়ে গেলো ভোরের রক্তে।মাথার পিছনে হাত দিয়ে সামনে আনতেই হাত ভরে উঠলো রক্তে।মুখে সেই বিচ্ছিন্ন হাসি দিয়ে আস্তে আস্তে চোখটা বুঁজে নিলো ভোর।এই বুঝি তাঁর মৃত্যুর আগাম বানী। সে বুঝি খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে তাঁর মায়ের কাছে।

———————

কোন কাজেই মন বসাতে পারছে না ধূসর।কখনো মন খারাপ হলেই সে গিটারে সুর তুলে মন ভালো করে।কিন্তু আজ সেটাও হচ্ছে না। কোন নতুন সুর তো দূরে থাক পুরাতন সুর গুলোও গিটারে তুলতে পারছে না।মনটা বারংবার কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে।আচ্ছা মন কী কথা বলতে পারে? না পারে না।নাকি পারে।তা-ও জানা নেই ধূসরের।অচেনা অজানা মেয়েটার জন্য বুকটা কেন জানি খা খা করছে।ভোর নামের মেয়েটার নাম ছাড়া আর তো কিছুই জানে না ধূসর।অথচ তাঁর জন্যই বুকের কোথায় যেন একটা শূন্যতা অনুভব হচ্ছে। ওই বাড়ির সবাই হয়তো একটু ভিন্ন এটাই মনে হয়েছিলো ধূসরের সেদিন।কিন্তু তাঁর ধারণা সত্যি নাকি মিথ্যা তা অজানা।গিটারটা হাত থেকে রেখে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে সেদিনের কথা ভাবতে রইলো যেদিন সে প্রথম ভোরকে দেখেছিলো।নামের সাথে তাঁর খুব মিল ছিলো যেদিন তাঁকে প্রথম দেখেছিলো।কালো রঙের কামিজের সাথে একটা কমলা রঙের ওড়না জড়িয়ে তাঁর সামনে এসেছিলো ভোর।কালো চুল গুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে ছিলো তাঁর কপাল জুড়ে। হাতে ছিলো মাটি ঠোঁটে অমায়িক হাসি।যেন তাঁর রূপ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সেই হাসি।সে আড়াল থেকেই দেখেছিলো ভোরকে।কারণ ভোর কখনোই ধূসরের সামনে আসবে না।কারণ সে এই বিয়েটাই করবে না।অবশ্য পড়ে এর কারণটা জেনেছিলো ভোরের মায়ের থেকে। কিন্তু সে যেদিন ভোরকে দেখতে যায় যদি ধূসর একবারও জানতো ভোর এই বিয়েতে রাজি নয়।তাহলে সে তাঁর পরিবারকে কখনো হ্যা বলতো না।তবুও এটাই ধূসর মনে করে যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে। তাইতো ভোরের মা তাঁকে নিজের ভেবে সবটা বলেছেন। সবটা শুনে ধূসর কষ্ট পাবে নাকি আফসোস করবে সেই হিসেবটাই বুঝে উঠতে পারেনি।সত্যি জীবন বড় বিচিত্রময়।ভদ্রমহিলাকে দেওয়া কথা সে রাখতে পারবে তো।যে পরিবারের সাথে এখনো কোন সম্পর্ক তৈরি হয়নি সেই বাড়িতে বারবার যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু মনটা বারকয়েক ভেবেছে একবার। একবার যা।কিন্তু ধূসর মনের কথা মনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রেখে মনকে হুমকি দিয়েছে। যে, না- যেখানে কোন সম্পর্ক নেই সেখানে বারবার যাওয়া খারাপ দেখায়।হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠতেই ভাবনার ছেৎ পরলো। বিছানার এক কোণে পড়ে রয়েছে ফোনটা।হাতে নিতে নিতেই কেটে গেলো।কললিস্ট চেক করলেই দেখতে পেলো এক অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এসেছে। তাই কি ভেবে ফোন ব্যাক করতেই আবারো সেই নাম্বারে থেকে কল বেজে উঠলো।

চলবে,,
#তুমি_সুখের_বৃষ্টি_হয়ে_ঝড়ো
(সূচনা পর্ব)
#সমুদ্রিত_সুমি

নতুন গল্প কেমন হয়েছে জানাবেন।আর আপনাদের অনুপ্রেরণা মূলক কমেন্ট আমাদের লেখালেখি হাজার গুন বাড়িয়ে দেয়।তাই নাইস নেক্সট না লিখে সুন্দর করে একটা কমেন্ট করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here