#দীপ্ত_গোধূলি
#লেখনীতে -স্বর্ণালী তালুকদার
#পর্ব -১৯
গোধূলির রাগ ভাঙানোর জন্য সেই ভোর বেলা থেকে দারজার বাহিরে বসে আছে আহান।যথাসময়ে গোধূলি ঘুম থেকে উঠে মর্নিংওয়াক করতে যাবে বলে দরজা খুলতেই সামনে বড়সড় একটা সাইনবোর্ড দেখে কিছুটা হকচকিয়ে যায়।একটা স্যাড ইমুজির সাথে সরি বনু লিখাটাই সবার আগে চোখে পড়ে গোধূলির।মুখের সামনে ধরে রাখা সাইনবোর্ডটা পাশে রেখে কান ধরে গোধূলিকে সরি বলে আহান।এতে গোধূলির ভাবাবেগের কোনো পরিবর্তনই হয় নি।ইনফ্যাক্ট আহানের সাথে কথাও বলে নি।আহানকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় গোধূলি।
নিচে এসে জানতে পারে আজকে খুব ভোরেই রাবিয়া বেগম আর আদিবা মর্নিং ওয়াক করতে বেড়িয়ে গেছে।আজকে গোধূলিকে একাই যেতে হবে।অবশ্য পার্কে গিয়ে দাদু আর বোনের সাথে তো দেখা হবেই এটা ভেবে গোধূলিও মর্নিং ওয়াক করতে বেড়িয়ে পড়ে।বাড়ি থেকে বেড়িয়ে কিছু দূর যেতেই গোধূলির মনে হলো কেউ ওর পিছন পিছন আসছে।গোধূলি দৌঁড়ানোর মধ্যেই পিছনে তাকিয়ে দেখে ওর পিছন পিছন আহান আসছে।আহানকে দেখে গোধূলির দৌঁড়ের গতি বাড়িয়ে দেয়।তাতেও লাভ হয় নি।আহান ওকে ধরে ফেলে।আহান ওর পাশে পাশেই দৌঁড়াচ্ছে আর যপ করার জন্য নিয়েছে দুটি শব্দ সরি আর বনু!
গোধূলির সাথে সাথে দৌঁড়াচ্ছে আর সরি বনু, সরি বনু, যপছে।কিন্তু গোধূলির কোনো হেলদোল নেই।আহানের দিকে ও তাকাচ্ছেও না।সারা রাস্তায় এমন করতে করতে অবশেষে পার্কে এসে পৌঁছায়।কিন্তু এখানে এসে দেখে আদিবা বা রাবিয়া বেগম কেউই নেই।
গোধূলি আর সময় নষ্ট না করে বাসার উদ্দেশ্য চলে যায়।আবার সেই আহান ওর পিছু নিয়েছে আর সরি বনু, সরি বনু যপছে।এবার গোধূলি একটু বিরক্ত হয়ে কড়াগলায় বললো,
– আহ্!এক কথা বারবার শুনতে ভালো লাগে না!
হটাৎ করে আহান দাঁড়িয়ে যায়।গোধূলি ওর নিজের মতো করেই দৌঁড়াচ্ছে।অনেকক্ষণ আহানের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে আহান মাঝরাস্তায় পড়ে আছে।গোধূলি আহানের দিকে না গিয়ে আবারও নিজের মতো করেই দৌড়ে গিয়ে একটা বড় গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।গোধূলি মনে মনে ভাবছে আহান বোধহয় নাটক করছে ওর রাগ ভাঙাবে বলে।আহান যদি দেখে ও চলে গেছে তাহলে হয়তো উঠে যাবে।কিন্তু না অনেকক্ষণ হয়ে গেছে আহান তো উঠছে না!এবার গোধূলির বেশ চিন্তা হচ্ছে।গোধূলি গাছের আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে দেখে আহান এখনো ওইভাবেই পড়ে আছে।গোধূলির কেন জানি না খুব অস্থির অস্থির লাগছিল।অজানা আশংকায় ভেতরটা কেমন যেনো মোচড় দিয়ে উঠলো।ভাইয়ের কোনো অসুবিধা হলো না তো!গোধূলি সাত পাঁচ না ভেবে সোজা আহানের দিকে দৌড়ে গেলো।
আহানের কাছে গিয়ে গোধূলি ওকে অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু আহান কোনো রেসপন্স করছে না।আহান সেন্স লেস হয়ে গেছে।আহানের মাথায় হাত দিতেই গোধূলির হাত রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়।ভয় পেয়ে চিৎকার করে উঠে গোধূলি।এত রক্ত দেখে গোধূলির মাথা কাজ করছিল না।কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে পারছিল না।শুধু কান্না করছিল।উপায় না পেয়ে শেষে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে নিয়ে আসে আহানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য।ওইখানের লোকজনদের সাহায্যে একটা গাড়িতে তোলা হলো আহানকে।
হসপিটালের দিকে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকেই রাস্তায় ইহান আর দীপ্তকে দেখতে পায় গোধূলি।তারপর গাড়ি থামিয়ে ওদেরকেও সাথে করে নিয়ে যায়।গোধূলি তো সারা রাস্তা কাঁদতে কাঁদতেই গেছে তার সাথে ইহানও। হাসপাতালে গিয়েও দুই ভাইবোন একজন আরেক জনকে জড়িয়ে সে কি কান্না।ওদের কান্নাকাটি দেখে সারা হাসপাতালের মানুষ এসে ভীড় জমিয়ে দিয়েছে।দীপ্ত ডাক্তারের সাথে কথা বলছিল।ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেড়িয়ে এসে ইহান আর গোধূলিকে ঘিরে এত মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রথমে একটু ভয় পেয়ে যায়।কাছে এসে দেখে গোধূলি আর ইহান কান্না করছে।বিরক্তিতে কপাল কুঁচকায় দীপ্ত।ওরা কান্না করছে আর সবাই ওদেরকে নানান বাক্য ছুড়ে সান্ত্বনা দিতে ব্যস্ত।
– স্টপ ইট!
আচমকায় দীপ্তের এমন চিৎকারে গোধূলি ইহান দুজনেই কিছুটা থতমত খেয়ে যায়।দীপ্ত দাঁড়িয়ে থাকা লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে গলার স্বর উঁচু করে বললো,
– আপনাদের কি খেয়ে দেয়ে আর কোনো কাজ নেই।দুই পাগলের বিলাপ শুনতে এখানে এই ভাবে ভীড় জমিয়েছেন কেন?যান সবাই নিজেদের কাজে যান।
– গোধূলি!
চমকে উঠে গোধূলি।আহানকে দেখতে পেয়ে গোধূলি দৌঁড়ে গিয়ে জাপ্টে জড়িয়ে ধরলো।ভাইকে কাছে পেয়ে গোধূলির বাঁধভাঙা সে কি কান্না!ইহানও দৌড়ে গিয়ে ভাইকে জড়িয়ে ধরলো।
– আরে পাগলি তুই এইভাবে কাঁদছিস কেন?এই দেখ আমার কিচ্ছু হয় নি।আমি একদম ফিট আছি।শরীরটা একটু দুর্বল আর প্রসারটাও লো তাই সেন্সলেস হয়ে পড়ে গিয়েছিলাম।রাস্তায় পড়ে যাওয়াতে মাথায় একটু কেটে গেছে।তিনটা সেলাই লেগেছে এই আরকি!ডাক্তার বলেছে ঠিক হয়ে যাবে।
গোধূলি আহানের কথা শুনে চমকে উঠে।ভারাক্রান্ত গলায় বললো,
– তিনটা সেলাই লেগেছে তাও তুমি বলছো কিচ্ছু হয় নি!তুমি এমন কেন বড়দাভাই?
– কেমন?
– এত ভালো কেন তুমি বড়দাভাই?আমার জন্যই তো তুমি ব্যাথা পেয়েছো এত কষ্ট পেয়েছো।
কথাগুলো বলতে বলতে গোধূলি আবার কেঁদে দেয়।আহান স্মিত হেসে বোনকে জড়িয়ে ধরে।গোধূলি এরকমই!উপর থেকে যতটা না শক্ত ভেতর থেকে ততটাই কোমল,নিষ্পাপ!উচিৎ কথা বলতে ছাড় দেয় না। মুখ কাটা জবাব দিবেই দিবে।আহানের সাথে ওর সম্পর্কটা একটু বেশিই গাঢ়।একটা জিনিস নিজে না খেয়ে আহানকে দিবে।নিজের পছন্দের জিনিসটা অন্য কারোর সাথে শেয়ার না করলেও আহানকে সেটা নির্দ্বিধায় দিয়ে দিতে প্রস্তুত।ঠিক তেমনি আহানও।বোন একপাশে তো বাকি সবকিছু আরেক পাশে।গোধূলি আহানকে জড়িয়ে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কেঁদেই যাচ্ছে। আহান চোখ রাঙিয়ে বললো,
– কে বলেছে আমি তোর জন্য ব্যাথা পেয়েছি হুম!সাবধান অহেতুক নিজেকে দোষারোপ করবি না সাজি।সেটা হয়েছে সেটার জন্য কেউই দায়ী নয়।পার্কে না গেলেও আমি বাসা সেন্সলেস হতামই!কারণ আমার প্রেসার একদম লো হয়ে গেছে।সো নেক্সট টাইম এমন উদ্ভট কথা বলবি না।
আহানের কড়া কথায় একদম চুপ হয়ে যায় গোধূলি।মাথা নিচু করে মিনমিনে স্বরে বললো,
– ঠিক আছে।সরি,দাভাই!
– ইটস ওকে।কথাটা যেনো মনে থাকে।
পূর্বের ভঙ্গিমায় গোধূলি ফের বললো,
– হু,বাসার সবাই টেনশন করবে বলে কাউকে কিছু বলি নি।এখন বাসায় চলো।তার আগে তোমার কাছে যদি টাকা থাকে আমাকে কিছু টাকা দাও তো।
– আমার কাছে কার্ড আছে ক্যাশ টাকা নেই।
– দাও হসপিটালের বিলটা পে করে আসি।
– আমি করে দিচ্ছি!
– থাক দীপ্ত ভাইয়া!তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না।তুমি অনেক সাহায্য করেছ আমাদের!এবার আমাদেরকে করার সুযোগ দাও!বড়দাভাই তুমি একটু এখানে বসো কেমন আমরা এক্ষুনি আসছি।এই ছোটদাভাই তুই এখনো দাঁড়িয়ে আছিস কেন? আমাকে কাউন্টারে নিয়ে যাবি তো নাকি!
গোধূলি ইহানকে নিয়ে কাউন্টারে চলে গেলো।তবে গোধূলির কথা গুলো আহানের কাছে স্বাভাবিক লাগলেও দীপ্তের কাছে মোটেই সুবিধার মনে হয় নি!দীপ্ত হতভম্ব হয়ে গোধূলির দিকে তাকিয়ে ছিল।শক্ত গলায় বলা কথাগুলোর মধ্যে ঝাঁঝ ছিল প্রচুর।দীপ্ত একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো গোধূলির চলে যাওয়া পথের দিকে।
★
গোধূলি আর ইহান আহানকে দুইদিক থেকে ধরে নিয়ে বাসায় ঢুকেছে।হঠাৎ করে জাকিয়া বেগমের চিৎকারে সবাই আঁতকে উঠে। সবাই জাকিয়া বেগমের দৃষ্টি অনুসরণ করে দরজার দিকে তাকাতেই দেখতে পায় গোধূলি আর ইহান আহানকে ধরে ধরে নিয়ে আসছে। পিচ ঢালা রাস্তায় ওইভাবে পড়ে যাওয়ায় আহানের মাথায় আঘাত লেগেছে বিধায় রক্তক্ষরণ হয়েছে।তিনটা সেলাই করতে হয়েছে তাই মাথায় ব্যান্ডেজ।আর সেটা দেখেই জাকিয়া বেগম ভয় পেয়ে গিয়ে চিৎকার করে উঠেন।
ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছেন জাকিয়া বেগম।সাথে যোগ হয়েছে আদিবাও। বাডির সবাই এত এত প্রশ্ন করে পুরো বাড়ি মাথায় তুলে নিয়েছে।সবার সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে দীপ্ত।যারা আহানকে নিয়ে হসপিটালে যাচ্ছিলো তারা সবটা দীপ্তকে বলেছে, গোধূলি কিভাবে সবাইকে ডেকে নিয়ে এসে আহানকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলো।
আহান সহ বাড়ির সবাই দীপ্তের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিল।জাকিয়া বেগম এসে গোধূলিকে জড়িয়ে ধরে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দিচ্ছেন।কাতর স্বরে বললো,
– সাজি মা তুই যদি আজকে না থাকতি তাহলে আমার ছেলেটার কি হতো একবার ভাবতে পারছিস। মাঝ রাস্তায় ওইভাবে পড়ে ছিল ওর যদি কোনো এক্সিডেন্ট…….
– আহ্ বউমা! কি আবোলতাবোল বকছো তুমি?দেখতে পাচ্ছো না আহান ঠিক আছে।ছোট গিন্নি থাকতে ওর কিছু হতে দিতো ও?
শ্বশুরের কথায় থেমে যান জাকিয়া বেগম।রাবিয়া বেগম গলার স্বর উঁচু করে বললেন,
– এইসব কথা এইভাবে বলতে আছে!আর কখনো বলবা না।যাকগে,সাজি তুই তোর ঘরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।অনেক কেঁদেছিস।ইহান দীপ্ত তোরাও যা!এই আদিবা তুই আহানকে সাথে করে নিয়ে যা।ওর শার্টটা চেঞ্জ করতে হবে।আহান যা তুই তোর ঘরে যা।
★
রাতের খাবার খাওয়ার জন্য আহানকে নিচে নামতে দেয় নি গোধূলি। তার কড়া গলায় বারণ আহান যেন বিছানা থেকে এক পাও না নামে।বোনের আদেশ মেনে পেটে প্রচন্ড খিদে নিয়ে পেট চেপে ধরে বসে আছে আহান।পরক্ষণেই দেখতে পেলো গোধূলি হাতে করে খাবারের ট্রে নিয়ে ঘরে ঢুকছে।নিজের হাতেই ভাইকে খাইয়ে দেয় গোধূলি। আহানকে খাইয়ে দিয়ে গোধূলিও নিচে গিয়ে নিজের খাবারটাও খেয়ে নেয়ে রুমে চলে আসে।ঘুমানোর আগে আরেকবার আহানকে দেখতে ওর ঘরে যায়।আহানের রুমে গিয়ে বুঝতে পারে দীপ্ত আহানকে হসপিটালে ওইভাবে কান্নাকাটি করার কথাটাই কোনো কারণে আবার রিপিট করছে!গোধূলি আহানের রুমে ঢুকে শান্ত সুরে বলে উঠে,
– আমার ভাই,আমাদের ভাই অসুস্থ ছিল!দীপ্ত ভাইয়া।তখন আমাদের উপর দিয়ে কি যাচ্ছিলো সেটা তুমি বুঝবে না।তোমার নিজের কোনো ভাই বোন নেই তো তাই তুমি হয়তো তার মর্মটা বুঝতে পারছো না।যাদের আমরা মন থেকে ভালোবাসি তাদের হারানোর ভয়টাও বেশিই পেয়ে থাকি!আমরা যে শুধু রক্তের সম্পর্ক গুলোর ক্ষেত্রেই কাতর হয়ে পড়ি তা কিন্তু নয়! অনেক সময় রক্তের সম্পর্ককেও হাড় মানিয়ে দেয় আমাদের চারপাশের পাতানো সম্পর্কগুলো।রক্তের সম্পর্ক নেই বলে কি সেখানে ভালোবাসা থাকে না?আজ তুমি যেটাকে সবার সাথে পাগলের বিলাপ বলে পরিচয় করিয়ে দিলে?যেদিন তুমি তোমার প্রিয় কাউকে হারানোর ভয়ে থাকবে সেইদিন তুমি নিজেকে আমাদের মতোই পাগল বলে চিহ্নিত করবে!আল্লাহ না করুক,তুমি যাদের মন থেকে ভালোবাসো তাদের যদি কিছু হয় তাহলে সেই দিন তুমি বুঝতে পারবে প্রিয় জনকে হারানো কষ্টটা ঠিক কতখানি গভীরে গিয়ে আঘাত করে! বুকটা ঠিক কতটা শূন্যতায় হাহাকার করে উঠে।আমি চাইলে তোমায় এই গুলো হসপিটালে সবার সামনেই বলতে পারতাম!কিন্তু আমার মনে হয়েছে সেটা করা উচিৎ হবে না।তাতে তোমার মুখটা ছোট বৈ বড় হয়ে যেতো না!
দীপ্তকে কথা গুলো বলেই গোধূলি ওইখান থেকে চলে যায়!কথাগুলো বলতে বলতে ওর গলা ধরে এসেছিল।তাই হয়তো কান্নাটা আটকানোর জন্য বেরিয়ে গেছে।
– আমার বোনটা কবে এত বড় হয়ে গেল রে দীপ্ত?কি সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে শিখে গেছে!
এতক্ষণ আহান এক ধ্যানে গোধূলির মুখের দিকে তাকিয়ে কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিল।আর দীপ্ত মাথা নিচু করে বসে ছিল।হয়তো তখন সবার সামনে ওইভাবে বলাটা ওর উচিৎ হয় নি ভেবে অনুশোচনা হচ্ছে!
বর্তমান_______
আহানের ডাকে অতীতের ভাবনার সুতো ছিড়ে দীপ্তের।দীপ্ত এতক্ষণ গোধূলির হাতটা ধরেই বসেছিল।দীপ্তের এখন গোধূলির বলা ওইদিনের কথাগুলো খুব মনে পড়ছে!নিজের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যে হেসে দেয় দীপ্ত!নিয়তি আজ ওকে কোথায় নিয়ে এসে দাঁড় করিয়েছে!
বাড়ির সবাই চলে আসায় গোধূলির কাছ থেকে কিছুটা দূরত্বে চলে যায় দীপ্ত।গোধূলিরো ঘুম ভেঙ্গে যায় বাড়ির সবার আগমনে।গোধূলি এখন তাও একটু ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় কথা বলতে পারছে।শিখা বেগম মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে ধীর কন্ঠে জিজ্ঞাস করে,
– মা আমাদের বল তো তুই বাথরুমে কিভাবে পড়ে গেয়েছিলি?
চলবে…..