বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ১৫

0
791

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain😈)
Sumaiya Akter Mim
পর্ব:১৫……….🌼

কালো নরম তুলতুলে বিছানার উপর শুয়ে আছে আয়ানা। শরীরের কালো তুলতুলে ব্ল্যানকেটটা আরেকটু জরিয়ে বিছানায় চোখ বন্ধ করে আরামোড়া করছে আয়ানা।।পিট পিট চোখে চারিপাশে তাকাতে লাগলো। বিশাল বহুল একটি রুম একদম যেমনটা ইরফানের বাগান বাড়িতে ছিল। কিন্তু এখানে কিছু পরিবর্তন আছে। বিশাল বড় রুমে শুধু আয়ানার ছবি আর কিছু নেই।। আগের রুমের সাথে এ্যাটাচ’ড বারান্দা ছিল কিন্তু এখানে বারান্দা তো দূরের কথা একটা জানালাও নেই সারা রুমে শুধু কালো আবরণে পর্দা দিয়ে আবৃত।। মাথার উপরে বড় একটা ঝাড়বাতি যারা আলোয় সম্পন্ন রুমটা আলোকিত হয়ে আছে।। আয়ানা সারা রুমটি একবার চোখ বুলিয়ে আবারো ভয়ে কাঁপতে লাগল সে আজ সকালের কথা মনে পড়ে গেলো।। সকালের কথা মনে পরতেই আয়ানার হাতটি অটোমেটিক নিজের গলার মধ্যে চলে গেলে।। গলার কিছু অংশ ব্যান্ডেজ করা।।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল তিনটার কাটা টিং টিং করছে।। যখন সে অজ্ঞান হয়েছিল তখন ঘড়িতে দশটার কাটা প্রায় শেষ প্রান্তে তার মানে সে পাক্কা তিন ঘন্টা অজ্ঞান অবস্থায় ছিল।। হঠাৎ দরজা খট করার আওয়াজ হওয়ায় আয়ানা ভীতু চোখে দরজার দিকে তাকালো,,

“ইরফান দরজা খুলে আয়ানাকে বিছানায় গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে দেখে বাঁকা হেসে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে! তার পিছন পিছনএকজন র্সাভেন্ট খাবারের ট্রলি নিয়ে আসে ! ইরফান র্সাভেন্টের হাত থেকে খাবারের ট্রলিটা নিয়ে চোখ দিয়ে ইশারা করে চলে যেতে বলে। র্সাভেন্ট মাথা নাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যায় !! ইরফান ভিতরে ঢুকে দরজাটা আটকিয়ে আয়ানার কাছে যায়।‌

“ইরফানকে দেখে ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যায় আয়ানার।।সে ধরা পড়ে গেছে এখন ইরফান তাকে কি করবে ভেবে ভয়ে কাঁপতে থাকে সে।।।

ইরফান আয়ানার পাশে একটি টুল টেনে বসে পরে। খাবারের ট্রলিটা সামনের দিকে এনে খুবই শান্ত দৃষ্টিতে খাবার নিতে থাকে।।। আয়ানা ভয়ে গায়ের কম্বল টা আরেকটু জরিয়ে ভয়ে কুঁচকে বসে কাঁপতে লাগে। চোখ থেকে আপনাআপনি পানি পরছে ভয়ে। ইরফান কে সে জমের মতো ভয় পায় ইরফান আসে পাশে থাকলে মনে হয় মৃত্যু তার খুব কাছাকাছি।। ইরফানের হিংস্র রূপ টা আয়ানা খুব ভয় পায়।। কিছুদিন যাবত যেমন ভয় পাচ্ছে এমন ভয় সে জীবনেও পায়নি।। ইরফান আশেপাশে থাকলে তার ভয়ের মাত্রা বেড়ে চারগুণ হয়ে যায়।। ইরফানের এই শান্ত রুপ বুঝিয়ে দিচ্ছে তার ওপর বড় কোন ঝড় আসছে।।আয়ানা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে।।।

“ইরফান নিচের দিকে তাকিয়ে শান্ত দৃষ্টিতে হাতের প্লেটে খাবার সাজাতে লাগলো, খাবারটি প্লেটে নিয়ে চামোচ দিয়ে নাড়তে নাড়তে বললো_______

তোমাকে আমি নিষেধ করেছিলাম বাড়ি থেকে না পালানোর জন্য! কিন্তু তুমি আমার কথা শুনোনি?

ইরফানের শান্ত কথা গুলো আয়ানার গায়ে ভয়ে শিহরণ তুলছে।। ইরফান একহাত দিয়ে আয়ানার কপালের চুল গুলো সরিয়ে কানের পিছনে গুজে দিলো,হাতের প্লেট থেকে কিছু অংশ খাবার চামচে নিয়ে আয়ানার সামনে ধরতে আয়ানা কোনো কিছু না বলে খেতে শুরু করে।।

ইরফান আয়ানাকে খাওয়াতে খাওয়াতে আবার বললো________________ ,,,,,
“তুমি জানো আমার নজর সবসময় তোমার উপর আছে!তরপরে ও তুমি বোকামি করেছো। আমার থেকে তোমার মুক্তি নেই জেনেও পালাতে চেয়েছো বলে খাবারের প্লেটে আরো খাবার নেয় এতে করে আয়ানা আরো কান্না করে দেয়।।।

যেখানে সম্পূর্ণ কাশ্মীর আমার! আমার কথায় সব কিছু চলে! সেখানে এতো সহজে তুমি পালিয়ে যাবে তুমি ভাবলে কি করে ? বলে খাবার খাওয়াতে লাগলো।। কাশ্মীরে সব জায়গায় আমার লোক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেখানে থেকে পালানো নিত্যান্ত বোকামি আর সব চ্যালেনে আমাদের বিয়ের নিউজ দেখাচ্ছে সবাই জানে তুমি আমার হবু বউ আর তুমি কিনা পালানোর ভুল করলে !এটা ঠিক না আয়ু জান ঝাঁঝালো কিন্তু খুব শান্ত ভাবে কথা গুলো বললো ইরফান।।

ইরফানের কথা শুনে আয়ানা এবার জোরে কান্না করে দেয়!কান্নার কারনে মুখের খাবার গলায় আটকে যায়!যার ফলে হিচকি উঠে যায়।।।

“ইরফান পাশ থেকে জুসের গ্লাস টা নিয়ে আয়ানার গালে হাত রেখে খাওয়াতে লাগলো।। সম্পূর্ণ জুসটা খাওয়ার পর ইরফান গ্লাস জায়গায় রেখে দিলো খাবারের প্লেটা ট্রলিতে রেখে ট্রলিটা সরিয়ে রাখলো————এক হাত বিছানায় ভর দিয়ে অন্য হাত আয়ানার বাম গালে রেখে গালে স্লাইট করতে লাগলো।। ইরফানের স্পর্শগুলোতে বারবার কেঁপে উঠছে আয়ানা।।। ইরফান ঘোর লাগা দৃষ্টিতে আয়ানার দিকে তাকিয়ে আছে ,আয়ানা চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে আর সেই নিঃশ্বাস আঁচড়ে পরছে ইরফানের মুখে।। ইরফান চোখ বন্ধ করে তা অনুভব করছে।।চোখ দুটো খুলে নেশা ভরা চোখে আয়ানার দিকে তাকিয়ে থাকে।আয়ানাকে আরেকটু কাছে এনে আয়ানার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয় ইরফান।আয়ানা ভয়ে এবং এইরকম একটা পরিস্থিতিতে কাঁপতে লাগলো।। ইরফান নাক দিয়ে ড্রাগস নেওয়ার মতো করে আয়ানার শরীর থেকে ঘ্রান নিতে লাগলো।। ঠোঁট বুলিয়ে দেয় সারা গলায় ঘাড়ে ।।আস্তে আস্তে কয়েকটা চুমু ও খায়।।আয়ানার কাঁপুনি আগের চেয়ে ভেরে গেছে!এসব অনুভূতি শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এখন তার।।। হঠাৎ ইরফান আয়ানার ঘারে কামড় দেয় এতে আয়ানা ব্যাথায় কুঁকড়ে ওঠে।।পরপর দুইটা কামড় দিয়ে কামড়ে স্থানে ডিপলি কিস করে ছেড়ে দেয়।।আয়ানার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখে বন্ধ চোখ জোড়ায় এখনো বৃষ্টির ন্যায় পানি পরছে। ইরফান ঠোঁট দিয়ে পানি গুলো শুষে নেয়।। তারপর আয়ানার গালে হাত রেখে বলতে লাগে_______________,,,,,,

___তুমি যেই ভুল করেছো জান তার শাস্তি তো তোমাকে পেতে হবে। ইরফানের কথা শুনে আস্তে আস্তে চোখ খুলে আয়ানা ! ইরফানের মুখে বাঁকা হাসি দেখে সাথে সাথে মাথা নিচু করে নেয় সে ।।।__

____আমার থেকে পালানোর শাস্তি, আমার থেকে নিজেকে দূরে রাখার শাস্তি খুবই ভয়ংকর হবে ! দ্বিতীয় বার আর পালানোর কথা তোমার মাথায় আসবে না আমি সেই ব্যবস্থা করেছি।_______

___ইরফানের কথায় আয়ানা ভয়ে নিজের জামা খামচে ধরে। ভয়ে সারা শরীরের বিন্দু বিন্দু মুক্তোর মত ঘাম জমতে শুরু করেছে।। ইরফান সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে পরে আয়ানার হাত ধরে বিছানা থেকে নামিয়ে আনে____

___”চলো জান তোমার জন্য সারপ্রাইজ প্লাস শাস্তি দুটোই অপেক্ষা করছে বলে আয়ানার হাত ধরে টেনে রুম থেকে বের হয়ে যায়।।

________________________________________________

ইরফান আয়ানাকে নিয়ে বাড়িটার সবচেয়ে কোনার রুমটায় চলে আসে যেইটা বাড়িটার উপরের তলায় উপস্থিত।এই ফ্লোরে শুধু এই একটি মাত্র রুম সম্পূর্ণ ফ্লোর এর মধ্যে । বিশাল বড় এই রুমটার দরজা একটা আর দরজার সামনে কিছু গার্ড ছিল।। ইরফান কে আসতে দেখে গার্ড গুলো মাথা নিচু করে দরজা খুলে দেয়।। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে রুমে ঢুকতে আয়ানা দেখতে পায় এখানে ও কাঁচের একটি দরজা এবং কি রুমের আশেপাশে ও কাঁচের দেয়ালের মতো। ইরফান আয়ানাকে নিয়ে সামনে এগোতে এখানে ও এককই রকম ভাবে দরজা খুলে দিচ্ছে।।আয়ানা ভয়ে কান্না করছে সেদিকে ইরফান পাত্তা না দিয়ে আয়ানাকে নিয়ে রুমে প্রবেশ করে।।।

“রুমের ভেতরে প্রবেশ করতে আয়ানা ভয়ে ইরফানের হাত শক্ত করে ধরে ফেলে।।তা দেখে বাঁকা হেসে আয়ানাকে জরিয়ে নিয়ে সামনের দিকে পা বাড়ালো ইরফান।।”

___বিশাল বড় রুমটা হিমাগারে মতো ঠান্ডা। চারিদিকে সাদা সাদা হয়ে আছে মনে হচ্ছে বরফ পরছে।।আয়ানা শীতে কাঁপতে লাগলো এতো ঠান্ডায়। ইরফান এক হাতে আয়ানাকে আরো গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরলো।।।____

___পায়ের নিচে ছিপছিপে পানি সারা রুম ছড়িয়ে আছে।আশে পাশে কোথাও থেকে পানির আওয়াজ আসছে। হঠাৎ পায়ের কাছে ধরাস হয়ে কিছু পরার আওয়াজে আয়ানা কিছু পা পিছিয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠলো।_____

___সারা শরীর ভয়ে কম্পনের সৃষ্টি করছে আয়ানার। চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেছে আর তা থেকে পানি ঝরছে।।তার সামনে জিসান ঝটপট করছে, জিসানের সারা শরীর থেকে চুয়ে চুয়ে রক্ত পড়ছে। শরীরের এমন কোনো জায়গায় খালি নেই ক্ষত করার বাকি। শরীরের শুধু প্যান্ট আছে আর কিছু নেই।ঘায়ে মুখে হাতে পায়ে সব জায়গায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।। মুখটা খুব খারাপ অবস্থা রক্তের জন্য ঠিক মতো কিছু বোঝা যাচ্ছে না।।। শ্বাস খুব দ্রুত চলছে আর কষ্টে ছটপট করছে।।।।______

_____জিসানের অবস্থা দেখে আয়ানা আশেপাশে কি আছে সব ভুলে গেছে স্তব্দা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিছুক্ষণ এর জন্যে কথা বলা ভুলে গেছে সে।।আয়ানার অবস্থা বুঝতে পেরে ইরফান আয়ানার হাত আরেকটু শক্ত করে ধরে।।। হঠাৎ আয়ানা জোড়ে জোড়ে কান্না করতে লাগলো।কান্না করতে করতে ইরফানের হাত ধরা অবস্থায় নিচে বসে পরে। ইরফান আয়ানার হাত ছেড়ে কিছু টা পিছিয়ে আয়ানাকে পর্যবেক্ষণ করেছে।।আয়ানা হাত ছাড়া পেতে উঠে জিসানের কাছে যায় । জিসানের সারা শরীর থেকে রক্ত পড়ছে তা দেখে আয়ানা নিজের গায়ের শালটা দিয়ে জিসানের সারা শরীর মুছতে থাকে আর পাগলের মত কান্না করছে।।__

___জিসান ভাইয়া! জিসান ভাইয়া উঠো। তোমার কিছু হবে না আমি তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো তোমার কিছু হবে না প্লিজ একটু কথা বলো । বলে জিসান কে ঝাকাতে লাগলো।আয়ানার হাত সারা শরীরে রক্তে মাখামাখি হয়ে গেছে।।আয়ানা জিসানের দিক থেকে চোখ সরিয়ে ইরফানের দিকে তাকালো যে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে কোনো হেলদোল নেই কিন্তু চোখের ভাষা অন্য কিছু বলছে।।___

আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে করতে বলল,,,,,,

“কী করেছেন আপনি আমার ভাইয়ার সাথে?প্লিজ আ-আমার ভাইয়াকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলুন সে মারা যাবে। বলে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করল।।

___আয়ানার কান্না দেখে খেপে গেলো ইরফান !যে তার সাথে দূর ব্যবহার করেছে তার জিবনের ভিক্ষা চাইছে! আবার তার গায়ে স্পর্শ করেছে? ইরফান রেগে ধপাধপ পা ফেলে আয়ানার সামনে এসে আয়ানাকে টেনে তুলে ফেলে।। নিজের সাথে মিশিয়ে ফুসফুস নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলে________

তুমি এই ড্রাসবিনটাকে স্পর্শ কেনো করেছো।। তুমি শুধু আমার তুমি আমাকে ছাড়া কাউকে ছুঁয়বে না।। একটা কথা কতো বুঝাতে হয় তোমাকে হ্যা । আমি বারবার এক কথা বলতে পছন্দ করি না আয়ু।। এই ভুল দ্বিতীয় বার যেনো না হয়।। বুঝতে পেরেছো জোড়ে চিৎকার করে বললো। তোমাকে শুধু আমি ছোঁয়ে দিবো আর কেউ না।।যে তোমাকে ছুঁয়ার চেষ্টা করবে তার পরিনতি ও এর মতো হবে বলে জিসানের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।।আয়ানার মধ্যে কোনো কথা বলার শক্তি নেই।। জিসান যেমনি হোক তার আপন চাচাতো ভাই।।ভাই হিসেবে খুব পছন্দের ছিলো জিসান।।আপন কাউকে এইভাবে কষ্ট পেতে দেখে আয়ানার নিজের ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে।। ইরফান আয়ানার হাতে কাপড় দিয়ে মুছে দিতে লাগলো।। পাগলের মতো সারা শরীরের রক্ত গুলো মুছতে ব্যাস্ত হয়ে গেল।।। আয়ানার শরীরের জিসানের রক্ত তার মাথা খারাপ করে দিচ্ছে।। কোনো ভাবে এই ডাস্টবিনের রক্ত তার আয়ু জানের শরীরের থাকতে দিবে না।। কোনো স্পর্শ ও না।। সারা হাতে চুমু খেতে লাগল ইরফান যেখানে যেখানে টার্চ লেগেছে সেখানে সেখানে।।আয়ানা সেই তো নিরবে তাকিয়ে আছে জিসানের দিকে তার ইরফানের দিকে মনোযোগ নেই।।।তা দেখে ইরফান আরো ক্ষেপে যায়।।সে আয়ানাকে ছেড়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে জিসানের উপর।।আয়ানাকে ছেড়ে তেড়ে যায় জিসানের কাছে।।।

ইরফান জিসানের কাছে এসে হাঁটু গেড়ে বসে বলতে লাগে,,,,,

_____তোর এতো বড় কলিজা তুই আমার জানের গায়ে হাত তুলেছিস।। এতো সাহস কই পাস তুই ! আজকে তোর সাহস আমি চিরতরে মিটিয়ে দেব।। গার্ডের দিকে তাকাতে একজন গার্ড এসে ইরফানের হাতে ধারালো ছুরি দেয়।।তা দিয়ে ইরফান জিসানের হাত থেকে কব্জি আলাদা করে ফেলে।।।তা দেখে জোড়ে চিৎকার করে নিচে বসে পরে আয়ানা।। এমন মরন সে এতো কাছ থেকে কখনো দেখে নি।।। ইরফান এক এক করে দুই হাতের কব্জি আলাদা করে ফেলে জিসানের ।।তার সাথে পাল্লা দিয়ে আয়ানার চিৎকার ও বাড়তে থাকে।।। ইরফান সোজা হয়ে উঠে একজন গার্ড কে ইশারা করে।।। একজন গার্ড এসে জিসানের পায়ের সাথে দরি বেঁধে একটা বাটনে ক্লিক করে ।আস্তে আস্তে জিসানের দেহ টা হেচরিয়ে চলে যায় অপজিট সাইটে তার সাথে ফ্লোরে রক্ত লেগে যাচ্ছে।।আয়ানা জিসানকে এইভাবে নিতে দেখে তারাতাড়ি তার পেছন নেয়।। আয়ানা দৌড়ে যেতে দেখে তার পিছন পিছন ইরফান ও যায়।।‌জিসানের দেহটা একটু একটু করে একটা পুলের মধ্যে পরছে। যেইটা এই রুমের অপজিট সাইটে অবস্থিত।। জিসানের দেহটা নিচে পরতে দেখে বড় একটা হাঙ্গর মাছ পানিতে ভেসে ওঠে।। জিসানের দেহটা অর্ধেক উপরে থাকতে দরি ছিঁড়ে টেনে খেয়ে ফেলে মাছটা।।।তা দেখে চিৎকার করে নিচে পরে যেতে নিলে ইরফান আয়ানাকে জরিয়ে ধরে।।।।______________

_______ভয়ে ইরফানের শরীর ঘেমে গেছে একটুর জন্য আয়ানা নিচে পরে যেতো আর নিচে পরে গেলে হাঙ্গরের পেটে ভেবে আয়ানাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ইরফান।।।_________

___আয়ানার সারা শরীর ঠান্ডা হয়ে গেছে। ভয়ের কারনে চোখ খোলা অবস্থায় হেলে পড়েছে ইরফানের বুকে।। ইরফান শক্ত করে আয়ানাকে জরিয়ে ধরে ভেতরে নিয়ে যায়।।।আয়ানা থরথর করে কাঁপছে সারা শরীর একদম ঠান্ডা হয়ে বসে গেছে।।।আয়ানার অবস্থা দেখে ভয়ে ঘাবড়ে যায় ইরফান।।।‌_____

_________এই জান কি হয়েছে তাকাও আমার দিকে বলে আয়ানার মুখে হাত রেখে ডাকতে লাগলো ইরফান।।।আয়ানা আস্তে আস্তে চোখ বন্ধ করে ফেলেছে।।তা দেখে ভয়ে মোচড় দিয়ে উঠলো ইরফানের বুক।।। মনে হচ্ছে তার থেকে তার কলিজা কেউ আলাদা করে ফেলেছে।।। ইরফান জোড়ে চিৎকার করে সকল গার্ডদের ডাকতে লাগলো।।_____________

#To_be_continued….🌼

(আয়ানাকে যদি কিছু করে ফেলি কেউ কি আমাকে বকবে 😒🙄)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here