বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৪২

0
634

বিষাক্তময় আসক্তি (The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৪২…………🌼

“নিরবতা নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে পুরো আহাম্মেদ ভিলায় দুঃখের ছায়া গ্ৰাস করেছে সব কিছু।।বাড়ির একমাত্র বড় ছেলের মৃত্যুতে জেনো সবাই পাথরে পরিণত হয়েছে। হাঁসি খুশিময় পরিবেশটা দুঃখ আর শোকে পরিনত হয়েছে।। কিছুক্ষণ আগে হাজার কষ্টের মাঝেও তুতুলকে তাঁর শশুর বাড়ী পাঠিয়েছেন, একই বাড়ির ছেলে মারা গিয়েছে তার উপরে মেয়ে বিদায় সব মিলিয়ে সবার মনের অবস্থা খুব খারাপ।।।তুতুলকে বিদায়ের সময় সে প্রচুর কান্না করেছে আর বলেছে সেও যাবে কাশ্মীর সবার সাথে জিসানকে খুঁজতে শেষ বার ভাইয়ের মত বন্ধুকে সে না দেখে শশুর বাড়ী যাবে না অনেক বুঝিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছে আকাশ বলেছে কাল সবার সাথে তাঁরা দুজন ও কাশ্মীর যাবে এতে করে কিছুটা শান্ত হয় তুতুল তারপর তাকে আকাশ নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।। দুই পরিবার মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামীকালের রিসিপশন ক্যানসেল করা হয়েছে পরে সবার মন মানসিকতা উপর নির্ভর করে রিসিপশনের ব্যবস্থা করা হবে।।।।

“ইরফান আয়ানাকে নিয়ে রুমে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে দিল।।আয়ানার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে আয়ানা পেছন থেকে ইরফানের হাত ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলতে লাগলো,,,,

—-এই সব কিছু আপনি করেছেন তাই না? আপনি পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা কেনো বলিয়েছেন ভিতু কন্ঠে।।।
ইরফান আয়ানার ধরে রাখা হাতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আয়ানার হাত ছাড়িয়ে আলতো হাতে আয়ানার কোমরে জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় আয়ানার কপালের চুল গুলো কানের পেছনে গুজে দিয়ে বলে,,,

—-হুম ঠিক বুঝতে পেরেছো মেরি জান আমি বলেছি পুলিশকে ভুল ইনফর্মেশন দিতে যাতে করে সবাই জানে ওই ড্রাসবিনের মৃত্যুটা একটা এক্সিডেন্ট! বলে বাঁকা হেসে আয়ানার কপালে ঠোঁট বুলিয়ে দিলো ইরফান।।

—-কি-কিন্তু কেনো?অবাক হয়ে!

—-সবার জানা উচিত জিসান আহাম্মেদ আর বেঁচে নেই শক্ত গলায় বলল ইরফান কিছুক্ষণ থেমে আবার বললো , বিশেষ করে তোমার বড় বাবা বড় মা কতো দিন আর মৃত্যু ছেলেকে খুঁজবে তাই তাদের জানা উচিত তাদের ছেলে আর এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই শান্ত ভাবে তাকিয়ে বললো।।

—- আপনি চাইলে বলতে পারতেন আপনি মা-মাডার করেছেন তাহলে কেনো বলেননি।।
(কাঁপা কাঁপা গলায়)।।
ইরফান আয়ানার থুতনিতে আঙ্গুল দিয়ে আলতো করে চেপে ধরে মৃদু হেসে বলল,,,,

—-আমার আয়ু জানের মুখে বউ টাইপের কথাগুলো বেশ শুনতে লাগছে বলে কপালে চুমু খেয়ে আবার বললো , লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম। তোমার কি মনে হয় এসব জানার পর তোমার ফেমিলি আর তোমাকে ভালোবাসবে যখন জানতে পারবে তোমার জন্য তোমার ভাই মারা গিয়েছে তাহলে তোমার বড় বাবা মা তোমাকে এখনের মতো সাপোর্ট করবে নো তাঁরা তোমাকে তখন নিজের ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী মনে করবে আর বিশেষ করে সবাই চাইবে না একজন মাডারার তোমার স্বামী হোক তাঁরা চাইবে হয় তুমি আমার সাথে থাকবে নাহয় তোমার পরিবার সাথে।। আমিতো তোমাকে ছাড়ার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি আর যে সরাতে চাইবে তাঁর অবস্থা ওই জিসান ডাস্টবিনের থেকেও বেশি ভয়ানক হবে সব কিছু আমি ধ্বংস করে দিবো যদি কেউ আমার কাছ থেকে তোমাকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার বিন্দু পরিমান দূর্সাহস করে তো ।। শক্ত করে আয়ানার কোমর চেপে ধরে বললো।। ইরফানের চেহারা দেখে আয়ানা ভয় পেয়ে গেলো কিছুক্ষণ আগের চেহারার সাথে কোনো মিল নেই হিংস্রতা ফুটে উঠেছে ইরফানের চেহারায়।।।সারা মুখ লাল হয়ে গিয়েছে চোখ দুটো রক্তের ন্যায় লাল হয়ে আছে মনে হচ্ছে কেউ চোখে রক্ত ঢেলে দিয়েছে।আয়ানার সারা শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো ইরফানের হিংস্র রূপ দেখে মুখ দিয়ে কোনো রকম আওয়াজ বের হচ্ছে না।। কোমরে হালকা ব্যথা অনুভব হতে আর্তনাদ করে বলে উঠলো,

—-আহ্ আমার লাগছে প্লিজ ছাড়ুন। কাঁপা কাঁপা গলায়।।‌লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।
আয়ানার কথা শুনে জট করে ছেড়ে দিল ইরফান আয়ানার কোমর।এতোক্ষণে জেনো তাঁর হুঁশ ফিরে এসেছে।আয়ানার চোখে পানি দেখে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো

—-আমি তোমাকে হার্ট করতে চাইনি মেরি জান,আই এম স্যরি আমি তোমাকে হার্ট করেছি আয়ানার হাত টান মেরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।ইরফান পাগলের মতো করে চুমু খাচ্ছে সারা মুখ জুড়ে আর পাগলের মতো করে বলছে স্যরি আমি তোমাকে হার্ট করতে চাইনি। আয়ানা ইরফানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরতে ইরফান কিছুটা শান্ত হলো আয়ানকে কুলে করে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে ফার্স্ট এইড বক্স নিয়ে এসে আয়ানার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে কোমরে কাছের লেহেঙ্গার উরনাটা একটু সরিয়ে দেখলো শক্ত করে ধরে রাখার ফলে কিছুটা লাল হয়ে গিয়েছে ইরফান সেইখানে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে আলতো হাতে মলম লাগিয়ে দিলো। আয়না এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে কেমন বাচ্চাদের মতো ব্যবহার করছে কিছুক্ষণ আগের চোখ দুটোতে এখন পানি টলমল করছে শুধু মাত্র তাঁর জন্য কিন্তু স্ট্রং ম্যান হওয়ার ফলে চোখ থেকে পানি বের হচ্ছে না।নিজেই বাচ্চাদের মতো ব্যবহার করছে আর আমাকে বলে বাচ্চা হু, মনে মনে কাথাটা বলে হাসলো আয়ানা। ইরফান আয়ানার কোমরে মলম লাগিয়ে তা সঠিক স্থানে রেখে আয়ানার কপালে চুমু খেয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে নিজেও তাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পরে লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।

“আয়ানা বিরক্তি নিয়ে ইরফানের দিকে তাকিয়ে আছে যে আপতত তাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে এতোটা শক্ত করে ধরে রেখেছে মনে হচ্ছে কেউ আয়ানাকে চুরি করে নিয়ে যাবে।। নিজেও ড্রেস চেঞ্জ করেনি আর আয়ানাকেও করতে দিচ্ছে না এই ভারি ড্রেসে থাকতে তাঁর বিরক্ত লাগছে আয়ানা একবার বলবে যে সে ফ্রেশ হবে কিন্তু ইরফানের দিকে তাকিয়ে আর বলা হলো না। ইরফান তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কিছু বিরবির করছে আয়ানা আরেকটু মাথাটা এগিয়ে নিয়ে ইরফানের কথা শুনার চেষ্টা করলো,,

—-আমি কিছুতে তোমাকে দূরে যেতে দিবো না
আয়ু জান কখনো না,যে তোমাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে চাইবে আমি শেষ করে দিবো তাকে। খুব ভালোবাসি আমার পিচ্চি পরীকে খুব কাউকে কাছে ঘেঁষতে দিবো না কেউকে না বলে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আয়ানা ইরফানের মিনমিন করে কথাগুলো একটু একটু শুনতে পেলো স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে না ইরফান এক মনে এসব কথা বকছে আয়ানা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে ইরফানের বুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে চোখের পাতা বন্ধ করে মনে মনে ভাবতে লাগলো,,
সে কখনো কাউকে বলবে না ইরফান জিসানকে মাডার করেছে কারণ সে চায়না নিজের পরিবার থেকে দূরে থাকতে আর এটাও চায় না কেউ ইরফানকে খুনি বলুক কারন কোনো না কোনো ভাবে সে ইরফানের সাথে জড়িয়ে আছে ইরফান তাঁর স্বামী তাই কোনো স্ত্রী চাইবে না তাঁর স্বামী যেমনই হোক সকলের সামনে ঘৃণার পাত্র হোক বাঙ্গালী নারীদের এটা ন্যাচার। সকলের ঘৃণা ইরফান ধার ধারে না ।। ইরফান যেমনি হোক যতো রাগি হোক সব রাগ সীমাবদ্ধ এবং শেষ আয়ানা পর্যন্ত।।

❀❀কোনো না কোনোভাবে আয়ানাও ইরফানকে ভালোবাসে। হুম ভালোবাসে তাঁর এরোগেন্ট ভিলেন ম্যানকে খুব ভালোবাসে এতোটা ভালোবাসে যে এখন তাকে ছাড়া থাকার কথা ভাবতেই পারেনা সে আর ইরফানের অতিরিক্ত ভালোবাসা তাকে ভাবতেও দেয়না হয়তো ইরফানের মতো করে কখনো ভালোবাসতে পারবে না কারণ ইরফানের মতো ভালোবাসাতে কেউই পারবে না তবুও ভালোবাসে তাঁর ভিলেন ম্যানকে নিজের মতো করে। ইরফানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কি তখনি অনুভব হয়েছে যখন তাঁর গলায় ছুরি ধরা হয়েছে আর তখন তাঁর চোখে শুধু ইরফান ভেসেছে তাঁর শুধু একমাত্র ইরফানকে বিশ্বাস হয়েছে যে শুধু এই মানুষটা যে তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে সে শুধু সে তাকে বাঁচাতে পারে এবং বাঁচাবে ।।সেইদিন প্রথম সে রিয়েলাইজ করেছে যখন যখন ইরফান তাঁর পাশে থাকে ঠিক তখন তখন তাঁর নিজেকে সেইফ মনে হয়, মনে হয় তাঁর কোনো ভয় নেই সে সবসময় সেইফ তাঁর এরোগেন্ট ম্যান থাকতে তাঁর কিছু হতেই পারে না তাঁর এরোগেন্ট ম্যান তাঁর কিছু হতেই দিবে না।। সেইদিন বেশি সেইফ তাঁর এরোগেন্ট ম্যানের বুকে মনে হয়েছে। সেদিন একটু দূরত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে ভালোবাসার মানে কি সেদিন বুঝিয়ে দিয়েছে নিজ স্বার্থ ভালোবাসা না মন উজাড় করে ভালোবাসতে পারার নাম ভালোবাসা।।যাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায় যার উপস্থিত বুকের ঢিপ ঢিপ আওয়াজ বাড়িয়ে দেয় তাঁর নাম ভালোবাসা। তুমি খুনটা দেখলে কিন্তু সে যে ভালোবাসা রক্ষাতেই খুন করেছে সেইটা দেখলে না এই প্রশ্নটা যখন নিজের মনকে করেছে সেই দিন ইরফানের প্রতি ভালোবাসাটা জম্ম নিয়েছে হ্যা ভালোবাসি খুব ভালোবাসি আপনাকে মি. এরোগেন্ট ম্যান হয়তো আপনার মতো না কিন্তু ভালোবাসি নিজের মতো করে আর নিজের ভালোবাসাকেও আগলিয়ে রাখবো আপনার মতো করে কথাটা ভেবে মনে মনে হাসলো আয়ানা ইরফানের দিকে তাকিয়ে দেখলো ইরফান ঘুমিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাঁর হাত আগের মতো শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছে তাকে একটুও আলগা হয়নি।। আয়ানা মৃদু হেসে জোরে নিঃশ্বাস টেনে ইরফানের বুকে মাথা রেখে চোখ আবার বন্ধ করে নিলো।।
“সে পারবেনা ইরফানের মতো রোজ হাজার বার ভালোবাসার কথা বলতে কিন্তু তবুও ভালোবাসে তাঁর ভিলেন ম্যানকে। আচ্ছা সে কি করে তাঁর মনের কথা গুলো প্রকাশ করবে আর যখন প্রকাশ করবে তখন ইরফানের মুখটা দেখতে কেমন হবে ভাবতে লাগলো আয়ানা অনেক কথা মনে উঁকি দিচ্ছে বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে মনে মনে বললো,,,

—-যখনটা তখন ভাববি আয়ু এখন শুধু শুধু নিজের পিচ্চি মাথায় প্রেশার দিয়ে সব গুলিয়ে ফেলছিস। উফ্ ঘুমই আসছে না ঠোঁট উল্টিয়ে চোখ চেপে বন্ধ করে নিলো হাজার কথা ভাবতে ভাবতে এক সময় পারি জমালো ঘুমের রাজ্যে।‌। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।

“পরের দিন বিকেলবেলা”,
তুতুল আকাশ আহাম্মেদ ভিলায় আসার কিছুক্ষণ পর সকলে রওনা হলো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে। সকলে মন মরা হয়ে আছে সামিয়া আহাম্মেদ তো বেশ অসুস্থ হয়ে পরে ছেলের শোকে শতীল আহাম্মেদ নানা কথায় তাকে বুলিয়ে রাখার চেষ্টা কিন্তু ছেলের শোক কি ভুলে থাকা যায় ।।।সকলের কান্নাকাটির মাঝে বিমানবন্দরে এসে সাতটার ফ্লাইটে ইরফানের নিজিস্ব বিমানে করে স্বপরিবারে কাশ্মীরের উদ্দেশ্য রওনা হয়।।।সারা রাস্তায় কারোর কোনো কথা নেই।।।এখান থেকে সবাই লিপা বেলীতে জায়েফ আহাম্মেদের বাসায় উপস্থিত হবেন। সাফিয়া গতকাল রাতেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন তাঁর সাথে আসফিয়া খান ও ইসহাক ও কয়েকজন মেয়ে সার্ভেন্ট ছিল।।সাফিয়ার অবস্থা অনেক নাজেহাল ভাইয়ের শোকে কান্না করতে করতে কাতর হয়ে গিয়েছে তাঁর চোখের পানি আর কান্নায় ইসহাকও কেঁদে কেটে ভাসিয়ে দিচ্ছে।ইসহাক অসুস্থ তাই ইসহাকের কথা ভেবে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখছে সাফিয়া।।।।

———“কাশ্মীর”🌸
“রাত দুইটার দিকে সকলে লিপা বেলীতে পৌঁছে যায়।।বাড়ি পৌঁছে সবার কান্নাকাটি শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষ করে সাফিয়া সামিয়া আহাম্মেদ কে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে তাঁদের কান্নায় সকলের চোখে পানি চলে এসেছে।।ইসহাক ঘুমিয়ে আছে বাদ বাকি সবাই ক্লান্ত শরীর নিয়ে নিজেদের রুমে চলে যায় অনেক কষ্টে সামিয়া আহাম্মেদকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ঘুম পাড়ানো হয় সাফিয়াকেও অনেক কষ্টে বুঝিয়ে রুমে পাঠিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন শীতল আহম্মেদ তারপর নিজে গিয়ে ঘরে রেস্ট নিতে চলে যান এখন সব দিক তাকেই দেখতে হবে সবার মন মানসিকতা ভালো নয়।।।।

“পরের দিন থেকে আবার তদন্ত করা শুরু হয়েছে সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে খোঁজা হয়েছে। পাহাড়ের নিচে ভালো করে খুঁজেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টানা দুই দিন খুজার পর নিরাশ হয়ে বাড়িতে বসে আছেন জায়েফ আহাম্মেদ আর জায়েদ আহাম্মেদ। বাড়িতে কান্নাকাটির রুল বেড়ে গিয়েছে একে তো জিসান মারা গিয়েছে তাঁর উপর তাঁর লাশ পাওয়া যায়নি এতে জেনো সকলের অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছে, মৃত্য মানুষকে সকল নিয়মকানুন মেনে শেষ বার দেখে কবর দিতে না পারা যে কতোটা কষ্ট শুধু মাত্র তাঁরাই উপলব্ধি করতে পারছে।।।।”

❀❀চারিপাশে মানুষের কোলাহল কারোর চোখে পানি কারোর বা মুখে কষ্টের ছাপ টানা দুই দিন খুজার পর আজকে সকল মানুষ আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশী সকলকে আসতে বলা হয়েছে আজকে জিসানের জন্য দোয়া পড়ানো হবে এবং সকলকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।‌।।সকলেই বাড়ির সবাইকে শান্তনা দিচ্ছেন নানান কথা বলছেন আফসোস করছেন।।।তুতুল আকাশের কাধে মাথা রেখে সোফায় বসে কান্না করছে আকাশ নানাভাবে তাকে বুঝিয়ে শান্ত করছেন।। সাফিয়া অন্য সোফায় শরীর হেলিয়ে বসে আছে আর তাকে জড়িয়ে রেখেছে শীতল,সাফিয়া কান্না করছে না পাথরের মতো এক দিকে তাকিয়ে আছে তাঁর অপর পাশে ইসহাক তাঁর হাত আকরে ধরে রেখেছে।।সামিয়া আহম্মেদকে প্রতিবেশী মহিলারা নানান কথা বলছে তিনি আঁচল দিয়ে চোখ মুছে শুধু হু হা করছে।।
হঠাৎ চেনা কন্ঠ শুনে সবাই মেইন ডোরের দিকে তাকালো।।

“সাদা আর নিল রঙ্গের কমিনিকেশন জামদানি শাড়ি চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা কিছুটা খোলে আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছে সোজা হয়ে দাঁড়ালেন আনিশা বেগম তাঁর পাশে তাঁর স্বামী ও দুই কন্যা সাবিহা লাবিহা। এতো দিন পর হঠাৎ তাদের দেখে সবাই অবাক হয় এবং এই দুঃসময়ে খুশিও হয় আয়ানাতো তাঁর ফুফি মনিকে দেখে দৌড়ে তাঁর কাছে যেতে নিবে ইরফান শক্ত করে হাত ধরে ইশারা করে না যেতে।আয়ানা মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ইরফানের হাত ধরে।। কিন্তু যখন দেখতে পেলো লাবিহার হাত ব্যান্ডেজ করা সবাই কিছুটা ঘাবড়ে গেলো।।।তুতুল দৌড়ে গিয়ে তাঁর ফুফি মনিকে জড়িয়ে ধরলো তারপর লাবিহা সাবিহা কে নানা প্রশ্ন করতে লাগলো কি হয়েছে, লাবিহার হাতে ব্যান্ডেজ কেনো, এতো দিন কল মেসেজ দেয়নি কেনো আরো অনেক কিছু সবাই এক কথা বলছে।। আনিশা বেগম কারোর কথার উত্তর না দিয়ে জায়েফ আহাম্মেদের কাছে গিয়ে তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরে ভাইয়ের হাত নিজের হাতের মাঝে নিয়ে বললো,,,

—-কান্না করবেন না ভাইজান এতে জিসানের আত্মা শান্তি পাবে না। দোয়া করুন তাঁর জন্য যা হয়েছে সব ভুলে যান এটা কিসমত। এটাই ভাগ্য জিসানের ভাগ্যে এতো টুকু জীবন ছিল তাই সে আর আমাদের মাঝে নেই ।এখন যদি আপনি ভাবি সবাই এইভাবে কান্না করেন তাহলে কি জিসান ফিরে আসবে না ফিরবে না তাই কবরের আজব না ভাড়িয়ে জিসানের জন্য দোয়া করুন ।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।।
আনিশা বেগমের কথা শুনে তাকে জড়িয়ে হুহু করে কেদে উঠল জায়েফ আহাম্মেদ তাঁর কান্না দেখে সবাই কেঁদে দিল গত তিন দিন পর আজকে মন খুলে কদছে সে তাই কেউ তাকে বাঁধা দেয়নি একটু কাদুক তাহলে মন হাল্কা হবে।।বেশ কিছুক্ষণ পরে তাঁর কান্না কিছুটা থেমে গেলে আনিশা বেগমকে ছেড়ে দেয়।। আনিশা বেগম সোজা হয়ে দাঁড়াতে জায়েদ আহাম্মেদ বড় বোনের হাত ধরে বলেন,,,,,

—-এতো দিন কোথায় ছিলেন আপনি কতো কল মেসেজ কিছুই জবাব দেননি হঠাৎ করে যে সবাইকে না বলে আয়ানার রিসিপশনের দিন গিয়েছেন আর আজকে আসলেন জানে কতো টেনশন হচ্ছিল আমাদের বলে থামলেন জায়েদ আহাম্মেদ।।‌
জায়েদ আহাম্মেদের কথা শুনে মৃদু হেসে আনিশা বেগম হাত ছাড়িয়ে ভাইয়ের গালে হাত রেখে বললো

—-আমি ঠিক আছি ভাই টেনশন নিস না।। তারপর উনার গাল ছেড়ে দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে বললো,,
আয়ানার রিসিপশনের দিন বাধ্য হয়ে আমাদের চলে যেতে হয়েছে আমরা সবাই সেই দিন ডুবাই চলে গিয়েছিলাম একপ্রকার বাধ্য হয়ে।। আমাদের যেতে হয়েছে আর তাঁর কারন হলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।।।।
(আনিশা বেগম কি বলে দিবে ইরফানের কথা যে ইরফান তাকে বাধ্য করেছে সবার থেকে দূরে যেতে যদি বলে দেয় তাহলে কি হবে আয়ানা ইরফানের ভালোবাসার নতুন মোর আগামী পর্বে ধামাকা আছে তাই সকলকে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ রইল ধন্যবাদ গল্পের আজকের পর্ব কেমন হয়েছে সবাই গঠন মূলক মন্তব্যে করবেন ধন্যবাদ সবাইকে ❤️)

#To_be_continued…………🌼
#Happy_Reading

লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here