বিষাক্তময় আসক্তি – পর্ব ৪৩

0
609

#বিষাক্তময়_আসক্তি(The Villain 😈)
#Sumaiya_Akter_Mim
#পর্ব_৪৩……….🌼

(কারেন্ট না থাকার কারণে আজকে গল্প ঠিক ভাবে লিখতে পারিনি ভেবেছিলাম পোস্ট করবো না সবাই অপেক্ষা করছে তাই আজকের পর্ব ছোট করে যতোটুকু লিখেছি ততোটুকু দেওয়া হয়েছে।কেউ ছোট বলবেননা)

“পিন ডপ নিরবতা পালন করছে সকলেই এতোক্ষণের কান্না বিরাজমান বাড়িতে এখন কোনো রকম আওয়াজ নেই। সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আনিশা বেগমের দিকে।।আয়ানা ইরফানের হাত জড়িয়ে বিরক্তির সাথে দাঁড়িয়ে আছে এই ভাবে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে তাঁর বিরক্তি লাগছে কিন্তু কিছু বলতে পারছে না শুধু মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।। ইরফান সবসময়ের মতো শান্ত ভাবে দাঁড়িয়ে মোবাইলে নিজের কাজ করছে এসব কথায় তাঁর কোনো ইন্টারেস্ট নেই।।। বেশ কিছুক্ষণ নিরবতা কাটিয়ে আনিশা বেগম বলে উঠলো,,,,

—-আয়ানার রিসিপশনের দিন হঠাৎ আজিমের (স্বামী) কাছে মেসেজ এসেছে আমাদের নতুন বিজনেস লস হয়েছে বেশ মোটা অংকের টাকা আজিমের বন্ধু হাতিয়ে নিয়ে আমাদের একদম পথে বসিয়ে দিয়েছে সব নিলাম করে চলে গিয়েছে তারপরও সে থেমে থাকেনি আজিমের নামে মিথ্যা মামলা করেছে বলেছেন আজিম দুই কোটি টাকা অফিস থেকে চুরি করেছে তাই সেদিন রাতে আমরা ডুবাই নিজেদের কিনা ফ্লাটে উঠি।।
আঁচলে চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন তিনি।। তাঁর কথা শুনে সবাই অনেক অবাক হয়ে যায় এতো বড় ঘটনা হয়ে গিয়েছে কিন্তু তিনি কাউকে জানালো না পর্যন্ত।।। শীতল আহাম্মেদ এসে আনিশা বেগম কে জড়িয়ে ধরে।। ইরফান মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে আনিশা বেগমের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো।এই মহিলা মিথ্যা বলছে সে তো আনিশা বেগমকে বলছিল সব সত্যি কথা বলতে কিন্তু তিনি কেনো বলেননি ইরফানের কথা তাঁর জানামতে তাঁর বলে দেওয়ার কথা তাহলে।। আনিশা বেগমের বলা প্রত্যেক কথা সত্যি কিন্তু এখান থেকে চলে যাওয়ার কারনটা মিথ্যা কারন যে ইরফান এটা ইরফান আর আনিশা বেগম ছাড়া কেউ জানে না।। ইরফান এখানে আনিশা বেগমকে আসার আগেই বলে ছিল তিনি চাইলে সব সত্যি বলতে পারে এসব কিছু ইরফান ধার ধারে না।।। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।। ইরফান গম্ভীর ভাবে কথা গুলো ভাবছে হঠাৎ আনিশা বেগমকে নিজের সামনে আসতে দেখে ভ্রু কুঁচকে তাকালো সে।।।।

“আনিশা বেগম চোখের পানি মুছে ইরফান আর আয়ানার সামনে এসে দাড়ালো একপলক দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে আয়ানার গালে হাত রেখে বলল,,,,

—কেমন আছিস আয়ানা?
আয়ানা মৃদু হেসে মাথা উপরনিচ করে বললো
—-ভালো আছি মনি! তুমি কেমন আছো?
—-ভালো আছি।।
ইরফানের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে মৃদু হেসে চোখের পানি মুছে সোজা হয়ে বলে উঠলো,,,

—-তুমি অনেক বড় সাহায্য করেছে তা না বললেই নয়!তোমার এই সাহায্য আমি কোনো দিন ও ভুলতে পারবো না তুমি নতুন জীবন দিয়েছো আমার মেয়ের তুমি না থাকলে কী হতো বলে মুখে আঁচল গুজে কেঁদে উঠলো। আনিশা বেগমের কথা শুনে উপস্থিত সকলেই চমকে যায় বিষ্ময় ভরা নয়নে তাকিয়ে আছে ইরফান আর আনিশা বেগমের দিকে।।। ইরফান শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে আর তাঁর হাত ধরে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে আয়ানা।।। আনিশা বেগম চোখ মুছে সকলের উদ্দেশ্যে করে বলে উঠলো,,

“কাশ্মীর থেকে ডুবাই যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন ভালো ছিল সব কিছু সেখানে নতুন ভাবে আজিম ব্যবসার সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছে আমরা ও বেশ ছিলাম।। এইভাবে অনেক দিন কেটে গেলো নানা ঝামেলায় কাউকে কিছু জানাতে পারেনি এবং জানাতেও চাই নি সবাই খামাখা টেনশন করবে তাই।।। কিন্তু যেদিন তুতুলের বিয়ে ঠিক হয়েছে জানিয়ে আমাকে মেসেজ করা হয়েছে আর কল করা হচ্ছিল সেদিন কিছুক্ষণ আগে লাবিহা সাবিহা শপিং মল থেকে আসার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে লাবিহার এক্সিডেন্ট হয় সাবিহা তখন আমার সাথে কথা বলছিল।লাবিহার এক্সিডেন্ট এর কথা শুনে আমি একপ্রকার সব ভুলে গিয়েছিলাম। নতুন জায়গায় কিছু চিনি না কার কাছে সাহায্য চাইবো ছুটে গিয়েছিলাম হাসপাতালে কিন্তু বড় ধরনের ধাক্কা তখনি খাই যখন ডাক্তার হাতের এক্সেল করার সময় ফুল বডি চেকাপ করেছে তখন।।।ডাক্তার চেকাপ করার পর আমাদের কেভিনে ঢেকে জানান লাবিহার হার্টে ছোট ফুটো আছে যা ক্রমশ বাড়ছে তা যদি এখনই অপারেশন না করা হয় ভবিষ্যতে এটা খুব মারাত্মক হতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে।এসব কথা শুনে আমি আর আজিম দিশেহারা হয়ে পড়ি মেয়ের এতো বড় রোগ বাবা মা হয়ে কখনো বুঝতেই পাড়িনি।।ডাক্তার জানিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যে অপারেশন করতে হবে আর অপারেশন টাকা ছিল বিশাল এমাউন্টের।বাহিরের দেশের হাসপাতাল হওয়ায় ডাক্তারের খরচ, ঔষধ,হাসপাতালের বিল,অপারেশন সব মিলিয়ে বড় ধরনের এমাউন্ট ছিল কিন্তু তখন আমরা একদমই দেওলিয়া হয়ে গিয়েছিলাম এক টাকাও ছিল না আর নতুন জায়গায় কাউকে চিনি না যে সাহায্য চাইবো।আজিম তাঁর কিছু বন্ধু থেকে স্বল্প পরিমাণের টাকা ধার নিয়েছে বাকি ছিল অনেক আমরা নিরাশ হয়ে পরেছিলাম। বাড়িতে বিয়ে সবাই টেনশন করবে তাই কাউকে জানাতে ও পারছিলাম না যখন দেখলাম আর পাড়ছি না তখন বড় ভাইকে কল করার সিদ্ধান্ত নিলাম ঠিক তখনিই ইরফান কল করে।।‌সে কল করে জানালো আয়ানা নাকি খুব কান্নাকাটি করছে বিয়েতে জেনো আমি উপস্থিত থাকি তারমাঝেই আমি লজ্জাকে প্রাধান্য না দিয়ে ইরফানকে ঘটনা খুলে বলি ইরফান সব শুনে নিজের গার্ডদের দিয়ে হাসপাতালের সকল খরচ নিজে বহন করেন।।যতোদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম প্রয়োজনীয় সব কিছু করিয়েছে গার্ডদের দিয়ে যাতে কোনো প্রকার অসুবিধা না হয়। আজিমের বিশ্বাসঘাতক বন্ধুকে দরিয়ে দিয়েছে পুলিশের কাছে সাথে অফিসের ঝামেলাও মিটিয়ে দিয়েছে অফিসের বস নিজে কল করে আবার জয়েন করতে বলেছেন অফিসে। ইরফানের জন্য পুনরায় নিজেদের সব কিছু ফিরে পেয়েছি।এতো কিছুর মাঝে সকলকে আর চিন্তায় রাখতে চাইনি তাই কারোর কল ধরতে পারিনি কারন কল ধরলে সকলের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে তাই। বিয়ে নিয়ে সবাই আনন্দে ছিল তাই কাউকে চিন্তায় ফেলতে চাইনি।তারপর ভেবেছিলাম আরো কিছু দিন পর লাবিহা সুস্থ হলে দেশে ফিরব কিন্তু তখনি জিসানের মৃত্যু,,,কথাটা বলে ডুকরে কেঁদে উঠলেন আনিশা বেগম।।
আনিশা বেগমের কথা শুনে সবাই আকাশ থেকে পড়লো কারোর জেনো বিশ্বাসী হচ্ছে না কিছু।।‌এতোকিছু হয়ে গেলো আর তাঁরা কিছু জানেন না আর ইরফানও তো কিছু বললো না।।। সবার থেকে বেশী অবাক আয়ানা হয়েছে সে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে সব কিছু তাঁর মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে ।।।‌লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।‌‌
আনিশা বেগম কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলে উঠলো,

—আমি ইরফানকে না করে ছিলাম কাউকে কিছু বলতে এতে করে সবাই টেনশন করবে।আর যখন শুনলাম জিসান মারা গিয়েছে তখনই ছুটে চলে আসলাম এখানে একপলক জিসানকে দেখবো বলে কিন্তু ! বলে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।।

“আনিশা বেগমের সব কথা সত্যি হলেও তিনি সবার থেকে কিছু কথা গোপন করেছেন যা তিনি আর ইরফান জানেন।।। আনিশা বেগম ইরফানের কথায় বাধ্য হয়ে আয়ানার রিসিপশনের দিন ইরফানের গার্ড দের সাথে এয়ারপোর্ট পৌঁছায় সেখান থেকে তাদের সকলকে ডুবাই পাঠিয়ে দেওয়া হয়।ডুবাইয়ে ইরফানের নিজিস্ব ফ্লাটে তাদের রাখা হয় ফ্লাটটা আনিশা বেগমের নামে লিখে দেয় ইরফান যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেখানের প্রত্যেক ব্যবস্থা করে দেয় সে।। সবসময় গার্ডদের কড়া নজরদারি থাকে।। নিজের পরিবার ছেড়ে থাকতে এবং কারোর সাথে যোগাযোগ না করতে পেরে যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করে আনিশা বেগম ও তাঁর পরিবার। আনিশা বেগম স্বামীর সাথে বিষয় শেয়ার করেন তিনিও ইরফানের এমন কাজের জন্য খুব ভেঙ্গে পড়েন তবুও তাদের কোনো রূপ সমস্যা না হওয়ায় তাঁরা সকলেই ভালো জীবন যাপন করতে লাগলো।।। সাবিহা লাবিহা প্রতিনিয়ত হাজার প্রশ্ন করতো কেনো তাঁরা এখানে এসেছে কেনো কারোর সাথে যোগাযোগ করছে না প্রতিবার আনিশা বেগম তাদের কথার কোনো জবাব দেননি তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা পরবর্তীতে আর এই বিষয়ে কোনো কথা বলেনি।।সব ঠিকঠাকই চলছিল কিন্তু হঠাৎ তাদের নতুন বিজনেস লস হয়ে যায় যেখানে প্রচুর টাকা ইনভেস্টমেন্ট করেন আজিম এই খবর পেয়ে একদম ভেঙ্গে পরেন তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে বিশ্বাসঘাতক আজিমের বন্ধু ।আজিমের বন্ধু তাঁর নামে চুরির দায়ে মিথ্যা মামলাও দেন ।।। সব কিছু মিলিয়ে সকলের অবস্থা খুব নাজেহাল হয়ে যায়।। পরিবারের কারোর সাথে ইরফানের অনুমতি ছাড়া যোগাযোগ করা নিষেধ তাই কাউকে জানাতেও পারছে না।।‌কি করবে কোথায় সাহায্য চাইবে বুঝতে না পেরে ইরফানকে কল করে আনিশা বেগম। ইরফানকে বিষয় জানান কিন্তু ইরফান কোনো কিছু না বলেই কল কেটে দিয়েছেন এতে আরো নিরাশ হয়ে পরেন আনিশা বেগম ও তাঁর স্বামী। লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।।।
কিছু দিন এমন করে কেটে গেলো তারপর হঠাৎ একদিন লাবিহার এক্সিডেন্ট হওয়া এবং তাঁর হার্টের ফুটো দেখা দেওয়া সব মিলিয়ে অনেক বেশি ভেঙ্গে পড়েন সকলে তখনি ইরফান কল করে জানান, বাংলাদেশে তাদের সকল ঝামেলা চুকে গিয়েছে ইরফান সব ঠিক করে দিয়েছে এখন আর কোনো ঝামেলা নেই এবং তাদের বাংলাদেশে ব্যাক করতে বলে। আয়ানা এবং পরিবারের সবাই মিস করছে তাদের আনিশা বেগম চাইলে সব সত্যিও বলতে পারেন তাতে কিছু যায় আসে না ইরফানের।। আনিশা বেগম সব শুনে অবাকের উপর অবাক হন ইরফান তাদের বাংলাদেশে ব্যাক করতে বলছে এবং সবার সাথে পুনরায় যোগাযোগ রাখতে বলছে শুধু আয়ানা তাদের মিস্ করছে বলে তাদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দিয়ে দিল।।এর থেকেও বেশি অবাক হন ইরফান তাদের সকল ঝামেলা নিজে চুকে দিয়েছে এখন আর কোনো টেনশন নেই কথা গুলো ভেবেই আনিশা বেগমের চোখে পানি চলে আসেন উনি হাঁসি মুখে কিছু বলতে যাবেন তখন ইরফান আরো জানান,,
“লাবিহার চিকিৎসার সকল টাকা সে দিবে এবং বেষ্ট চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিবে। তাঁর গার্ড সব দেখে নিবে তাদের কোনো চিন্তা নেই বলে গট করে মোবাইল কেটে দেয় ইরফান আনিশা বেগমের কোনো জবাবের অপেক্ষা না করে।। আনিশা বেগম ভিষন অবাক হন ইরফানের কাজে এবং খুশিও ইরফান কি করে জানলো লাবিহা অসুস্থ তিনি তা জানেন তাদের উপর ইরফানের গার্ডদের নজর চব্বিশ ঘন্টা আছে তাই ইরফানের জানতে সময় লাগার কথা নয়।।।
লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম।। ইরফানের উপর সব রাগ কষ্ট এক নিমিষেই উধাও হয়ে যায় আর মনে জন্ম নেয় ইরফানের প্রতি ভালোবাসা।এই বিপদের দিনে ইরফান তাদের পাশে ছিল তাদের মেয়েকে নতুন জীবন দান করেছেন এর থেকে বেশী খুশী আর কিছুই হতে পারে না।।।।

“সবাই অবাকের সাথে অনেক খুশি হলেন ইরফানের এমন একটা রূপ ঠিকঠাক কেউই হজম করতে পারছে না বিশেষ করে আয়ানা সে এখনো হা করে তাকিয়ে আছে ইরফানের দিকে ইরফান তাকানোতে মৃদু হেসে চোখ সরিয়ে নিলো সে।সবাই ইরফানের উদারতার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানালো।।

“কারোর কোনো কিছুর মানে রাখে না ইরফান সে যা কিছু করেছে সব মানবাধিকার আর আয়ানার প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে করেছে।আয়ানা চায় বলে সে আনিশা বেগম ও তাঁর পরিবারকে সম্মানের সাথে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনিয়েছে।।আয়ানা সম্পর্কিত প্রত্যেক জিনিস খুব যত্নের ইরফানের কাছে আয়ানা যেইটায় সুখি থাকবে সেইটা করবে ইরফান।
হঠাৎ বাড়ির ভেতরে বেশ কিছু পুলিশ ফোর্স প্রবেশ করলেন তাদের দেখে সবাই অবাক হয়ে যায় ঠিক তখনি পুলিশের পেছন পেছন বাড়িতে প্রবেশ করলো এক তরুণী।। শরীরে শর্ট শার্ট আর জিন্স পড়া পায়ে হাই হিল, চুল গুলো রাবার ভ্যান্ট দিয়ে উঁচু করে বেঁধে রেখেছে।।। মেয়েটিকে দেখতে বেশ সুন্দরী এবং মর্ডান।।সবাই অবাক হয়ে মেয়েটিকে দেখছে কে এই মেয়ে হঠাৎ করে এতো পুলিশ নিয়ে কেনো এসেছে এখানে সে।।।।

“ইরফান এক ভ্রু উঁচু করে মেয়েটিকে দেখছে।এই মেয়ে এখানে কেনো এসেছে।। ইরফানের দৃষ্টি অনুসরণ করে আয়ানাও মেয়েটির দিকে তাকালো বেশ সুন্দর মেয়েটি চুল গুলো ব্রাউন কালার করে রেখেছে।।।।।

জায়েদ আহাম্মেদ পুলিশের উদ্দেশ্য করে বলেন,,,

—-কি হয়েছে অফিসার আপনারা এখানে।আপনারা তো জিসানের ফাইল ক্লোজ করে দিয়েছেন তাহলে।।অবাক হয়ে।।

—-আমরা জিসানের মৃত্যু বিষয়ে কিছু বলতে আসেনি এসেছি মি. জিসান সম্পর্কে কিছু বলতে।(অফিসার)
অফিসারের কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যায়। ইরফান এখনো শান্তভাবে অফিসারের সাথে আসা মেয়েটিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।। তখনি মেয়েটি বলে উঠলো,,,
(সারাদিন কারেন্ট না থাকার ফলে গল্প লিখতে পারেনি তাই আজকের ধামাকাটা দিতে পারিনি আগামী পর্বে ধামাকা পর্ব পোস্ট হবে।। সবাই সবার মতামত জানাবেন গল্প কেমন হচ্ছে।।আর কে এই মেয়েটি কেনো এখানে এসেছে আর ইরফান কি মেয়েটিকে চিনে কি বলতে চায় জিসানের বিষয়ে তা আগামী পর্বে ক্লিয়ার করা হবে কারোর কোনো ধারণা থাকলে বলতে পারেন ধন্যবাদ সবাইকে ❤️)
……
#To_be_continued……….🌼
#Happy_Reading🦋

লেখিকা সুমাইয়া আক্তার মিম✵

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here