অবৈধ_সম্পর্ক
#Part:18 + 19
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
ইন্না:::::::::::::::: তুমি আমাকে মারলে ?ভুল কি করেছি আমি ?
.
ইয়াদ:::::::::::::: তোমার সাহস কি করে হয় আমার কাছে আসার
.
ইন্না :::::::::::::: বেশ করেছি দুই দিন পরে তোমার সাথে আমার বিয়ে হবে । আমাদের সম্পর্কটা কোথায় এসে দাড়িয়ে নিশ্চয় তোমার বুঝা দরকার । আমি তোমার কাছে আসতে চাওয়া দোষ হয়ে গেলো?
.
ইয়াদ::::::::::::::::: আমার থেকে সেটা ভালো তুমি বলতে পারবে । আমার কাছে থেকে যত দুরে থাকা যায় দুরে থাকবে । তোমার মতো র্নিলজ্জ মেয়ে আমি আর একটা দেখি নি।
.
ইন্না::::::::::::::: আমি তো এখনও কিছু করিনি । বিয়ে টা আগে হয়ে যাক তারপর দেখবে ইন্না কি জিনিস। তোমাকে নিজের করে পাওয়ার জন্য যা করতে হয় সব করতে রাজি আমি ।
.
ইন্না আবারও ইয়াদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে । ইয়াদ ইন্নাকে ধাক্কা দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় । দরজার কাছে ইসমাত কে দেখে থমকে দাড়ায় ইয়াদ । ইসমাতের চোখেঁ কেমন জানি ঘৃনা দেখতে পাচ্ছে ইয়াদের জন্য । ইন্না বের হয়ে যায় রুম থেকে । ইসমাত নিজের রুমে চলে যায় । ইয়াদ সারা দিনে একবারও বাড়ি আসে নি ।
.
রাতে ❤
বাহিরে প্রচুর পরিমানে ঝড় হচ্ছে ইয়াদ সকালে যে বের হয়ে গেছে বাড়িতে আসার নাম গন্ধ ও নাই । ইয়াদের মা ঘরে পায়চারি করছে ছেলেটা এমন কেনো ? ফোন টা বন্ধ করে বসে আছে । তার জন্য যে কেউ চিন্তায় মরে যাচ্ছে সেদিকে কোনো খেয়াল আছে ? আজ আসুক তারপর যা হবার হবে । রাগে গজগজ করতে করতে ইয়াদের মা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো । ইসমাত নিশিতাকে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে । ইয়াদের কথা মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেনা । সকালের কথা মনে হতেই মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো ।
.
ইন্নার বাবা ইয়াদ কে সকাল থেকে ফোন দিয়ে যাচ্ছেন । ইন্না আর ইয়াদ বিয়ের পর কোথায় হানিমুন করতে যাবে জানতে চাচ্ছেন তিনি । আগে থেকে প্লেনের টিকেট কেটে রাখতে চান । একটাই মেয়ে তার বিয়ে তে কোনো কিছুর অভাব রাখতে চান না । ছোটো বেলা থেকে ইন্নার কোনো চাওয়া তিনি অপূর্ন রাখেন নি ।
.
.
সকালে ইন্না এমন একটা কান্ড করলো আর এখন ইন্নার বাবা শুরু করছে ইয়াদ রাগ করে ফোনটা যে অফ করেছে অন করার কথা মাথায় আসেনি একবারও । বাসায় যেতে হবে বৃষ্টি যা শুরু হয়েছে বন্ধ হওয়ার নাম নিচ্ছে না । বাসায় না গেলে মা চিন্তা করবে সেটা ইয়াদ ভালো বুঝতে পারছে ।
ইসমাতের ঘুম আসছেনা এক বার গিয়ে দেখবো কি ইয়াদ সাহেব আসছে কিনা ? বাহিরে যা ঝড় শুরু হয়েছে কলিং বেল শব্দ এখানে আসবে না । ইসমাত দরজার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে আছে দরজা খুলবে কিনা ভাবছে । ইয়াদ কাক ভেঁজা হয়ে বাসায় আসলো ভাবছে দরজা খুলবে তো কেউ নাকি সারা রাত তাকে দরজার কাছে দাড়িয়ে থাকবে । ইয়াদ কলিংক বেল চাপ দিবে তার আগে ইসমাত দরজা খুলে দেয় । ইসমাত বেশ ভয় পেয়ে ঘাবড়ে গেলো দরজার কাছে ইয়াদ কে দেখে । ইয়াদের কখনো মনে হয়নি দরজাটা ইসমাত খুলবে । সকালে ঘটনাটা হয়তো ইয়াদের প্রতি ঘৃনা সৃষ্টি করবে । ইসমাত তো আর জানে না ইন্না আর ইয়াদের মাঝে কি হয়েছিলো ।
.
ইসমাত::::::::::::::::::: ভিজা কাপড় পড়ে বাহিরে দাড়িয়ে থাকার দরকার নাই । ভিতরে এসে কাপর Change করে নিন আমি খাবার দিচ্ছি আপনার ।
ইয়াদ রুমে গিয়ে কাপর Change করে নিলো ।ইসমাত ইয়াদের রুমে খাবার দিয়ে নিশিতার রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো কোনো কথা না বলে ।
.
যাকে নিয়ে একটু ভালো থাকার চেষ্টা করছে সে তাকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছি । কোনো অধিকার নেই সপ্ন দেখার নিম্নমধ্যবিও ঘরের মেয়েদের । কয়েক দিনে আরাফের কথা প্রায় ভুলে বসেছিলো কিন্তুু আজ সকালে ইয়াদ কে ইন্নার সাথে রুমে দেখে বার বার আরাফের কথা মনে হচ্ছে ।
ইয়াদ বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে কিন্তুু ঘুম আসছেনা ।মনে হচ্ছেনা আজ বৃষ্টি বন্ধ হবে ।
বিছানা থেকে উঠে ইসমাত রুমের জানালাটা খুলে দেয় বাহিরে ঠান্ডা বাতাস টা তার মনে জমে থাকা কষ্ট গুলো কে দূর করে দিতে চাইছে ।
.
.
হঠাৎ পিছন থেকে কেউ এসে জড়িয়ে ধরলো ইসমাত কে । অন্ধকারে কিছুই বুঝা যাচ্ছেনা শুধু স্পর্শ গুলা অনুভব করতে পারছে ।
ইসমাত বুঝতে পারছে এই স্পর্শ গুলা ইয়াদের । ইয়াদ কেনো আজ এমন করছে ? ইন্নার সাথে ইয়াদের কিছুদিন পর বিয়ে সেটা সবাই জানে তাহলে কেনো এমন করছে ইয়াদ ?
ইসমাত নিজেকে ইয়াদের কাছে থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ।
ইয়াদ আরোও শক্ত করে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে ।ইসমাতের ঘাড়ে নিজের নাক ঘষতে থাকে কানে আলতো করে চুমু দেয় । ইসমাতের পেটে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ইয়াদের প্রতিটা স্পর্শ গুলো পাগল করে দিচ্ছে ইসমাত কে । ইসমাত বুঝতে পারছে ইয়াদ যা করছে সব আবেগের বশে করছে । নিজেকে ইয়াদের কাছে থেকে না ছাড়ালে যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে । ইসমাত ইয়াদ কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় নিজের থেকে ।
ইয়াদের এবার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে সে ইসমাত কে কুলে করে বিছানায় নিয়ে নিজের শরীলের সমস্থ ভার ইসমাতের উপরে দিয়ে দিলো । নিজের ঠোটঁ ইসমাতের ঠোটেঁর সাথে এক করে দিলো ।
.
সকালে❤❤
ইসমাত ঘুম থেকে উঠে দেখে ইয়াদ তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে । কাল রাতের কথা মনে হতেই নিজের প্রতি একটা ঘৃনা সৃষ্টি হচ্ছে নিজেকে কন্টোল করার দরকার ছিলো । যা হয়েছে মোটেও ঠিক হয়নি । ইয়াদের মা বাবার কাছে কি জবাব দিবে সে?
তারা তো ধরেই নিবো ইসমাত ইয়াদের সম্পত্তি দেখে তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে । কি করলাম এটা আমি ভাবতে পারছেনা ইসমাত । ইয়াদ কে নিজের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তুু ইয়াদ তাকে ছাড়ছেনা ।
ইসমাত কয়েক বার ডাকার পর ইয়াদের ঘুম ভাঙ্গে । ইয়াদ ঘুম থেকে উঠে নিজের দিকে তাকিয়ে বেশ লজ্জা পায় । কাল রাতে সে কি করলো এটা ?
ইসমাত কে ছেড়ে দেয় ইয়াদ । ইসমাত নিজের শরীলে শাড়িটা পেচিয়ে বাথরুমে চলে যায় । ঝরনার পানির সাথে নিজের চোখেঁর পানি ভেসে যাচ্ছে ।
খুব বড় ভূল করে ফেলেছে সে ইসমাত কে কি করে মুখ দেখাবে ।
.
.
.
.
#অবৈধ_সম্পর্ক
#Part:19
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
খুব বড় অন্যায় করা হবে ইসমাতের সাথে যদি বাবার কথা শুনে ইন্নাকে বিয়েটা করি ।
ইন্নাকে মেনে নেওয়া কখনো সম্ভব না আমার পক্ষে । কাল রাতে নেশাটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিলো । কেউ দেখার আগে এই রুম থেকে বের হয়ে যেতে হবে । যা করার পরে ভেবে করতে হবে ঠান্ডা মাথায় । ইয়াদ fress হয়ে অফিসে চলে যায় । ইসমাত fress হয়ে নিশিতার জন্য দুধ নিয়ে আসে ।
.
ইয়াদ অফিসে বসে আছে অনেকক্ষন হলো কিন্তুু কোনো কাজে মন বসাতে পারছেনা । নিশি মারা যাওয়ার এত বছর পরে ইসমাত কে প্রথম দেখাতে মনের মাঝে আলাদা একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয়েছি যা কখনো ইসমাত কে ইয়াদ বুঝতে দেয় নি । সব সময় ইসমাত কে ফলো করতো ইয়াদ । নিশিতার সাথে যখন হাসিমুখে কথা বলতো ইসমাত দূর থেকে ইয়াদ ইসমাত কে দেখে হাসতো ।
ইয়াদ চেয়েছিলো কিছু দিন পরে ইসমাত কে ভালো লাগার বিষয়টা তার মাকে জানাবে তার আগে ইন্না চলে আসলো ইসমাত আর ইয়াদের মাঝে ।
কাল রাতের ব্যাপার টা মন থেকে মুছে ফেলে ইয়াদ কে একটু সুযোগ দিবে কি ইসমাত । ইন্নার সাথে বিয়েটা হলে নিশিতা আর ইয়াদ কখনো সুখে থাকবে না ।
একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে যাচ্ছে ইয়াদ । নিজের ভিতরে কষ্ট গুলোকে সিগারেটের কালো ধোয়াঁ দিয়ে আড়াল করতে চাচ্ছে । যা করার খুব তাড়াতারি করতে হবে একজন তো চলে গেছে আমাকে ছেড়ে এখন আর একজন যাক সেটা কখনো চাইনা আমি । নিজের ভুলের শাস্তি ইসমাত কেনো পাবে ? যা করার তাকে খুব দ্রুত করতে হবে । তার আগে ইসমাত কে সব টা বুঝিয়ে রাজি করাতে হবে ।
.
ইসমাত সারা দিন চুপচাপ ছিল ইয়াদের মা অনেক বার জানতে চেয়েছে কি হয়েছে চুপচাপ কেনো ইসমাত কিছু হয়নি বলে এড়িয়ে গেছে প্রশ্নটা কি হবে ইয়াদের মাকে সবটা জানিয়ে দোষ তো শুধু ইয়াদের ছিল না ইসমাতেরও দোষ আছে । এই বাড়ি থেকে চলে যাওয়াই মঙ্গল সবার জন্য কয়েক দিনে খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছে এই পরিবার টাকে । ছোট একটা পুতুল রাজকন্না পেয়েছে ।
বিকালে ♥
নিশিতা ইসমাত কে নিয়ে তাদের বাগানে যায় । হাতে একটা কাপড় দিয়ে ইশারা দিয়ে দেখাচ্ছে চোখঁ টা বেধে নিতে ইসমাত বুঝতে পারছেনা কেনো নিশিতা এমন করছে ।
.
নিশিতা ::::::::::::::::::: আম্মু আম্মু
.
ইসমাত:::::::::::::::: কি হয়েছে আম্মু ? নিশিতার কাছে হাটু গেড়ে বসে
.
ইয়াদের মা :::::::::::::: তোর সাথে কাঁনামাছি খেলবে 😂😂😂
তুই বুজতে পারছিস না
.
ইসমাত::::::::::::::::: সরি আম্মু আমি বুঝতে পারিনি ।
ইসমাত কাপর টা হাতে নিয়ে নিজের বেধে নেয়।
ইয়াদের মা হাসছে নিশিতা আর ইসমমাত এর কাজ দেখে । দুই জন মিলেছে ভালো 😆
ইসমাত খুজছে নিশিতাকে । সব কিছু অন্ধকার লাগছে নিশিতা বেশ খুশি ☺
.
ইয়াদ বাসায় এসে নিশিতার রুমে যায় ইসমাত আর নিশিতা কাউকে দেখা যাচ্ছে না । বেশ চিন্তা হচ্ছে ইসমাত কি তাহলে চলে গেলো বাড়ি ছেড়ে ? আমার ভুলটা শুদ্ধানোর সুযোগ দিলোনা একবারও । ইয়াদ বাড়ির সব গুলা রুম খুজেঁ দেখলো কোথাও নিশিতা আর ইসমাত নাই । ইসমাত না হয় বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারবে কিন্তুু নিশিতা তো কোথাও একা যেতে পারবে না । মাকেও দেখছিনা
.
ইয়াদের মা:::::::::::::: কিরে তুই এত তারাতাড়ি বাড়ি ফিরে আসলি ?কোনাে কিছু ভুলে বাড়িতে ফেলে গিয়েছিলি?
.
ইয়াদ::::::::::::::::::::::::: কোনো কিছুর দরকার না হলে আমি কি বাড়িতে আসতে পারবোনা ?
.
ইয়াদের মা::::::::::::::: তুই নিজের বাড়িতে আসতে পারবিনা কেনো বল ? নিশি মারা যাওয়ার পর কখনো এসেছিলি বাড়িতে ?
কখনো দুই তিন দিন পরপর বাড়িতে আসতি । হঠাৎ আজ আসছিস তাই জানতে চাচ্ছি ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::: কিসের জন্য বাড়িতে আসবো?যার জন্য আসতাম সে তে চলে গেছে আমাকে ছেড়ে ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::::: নিশিতা আমি তোর বাবা আমরা তোর কেউ না ?
.
ইয়াদ::::::::::: ::::::: বাদ দাও । নিশিতাকে দেখছি না কেনো? তোমার সাথে তো নেই তাহলে কোথায়?
.
ইয়াদের মা:::::::::::::: তোর নিজের যে একটা মেয়ে আছে তোর এত দিন পর মনে হলো ?
কোনো দিন খোজঁ নিয়েছিলি মেয়েটা কেমন আছে? বাবা হিসেবে কোন দায়িত্বটা পালন করেছিস তুই ?
.
ইয়াদ:::::::::::::::::: তুমি ভালো করে জানো সব কিছু তারপরও এখন কেনো বলছো এসব? আগে করি নি বলে কি এখনও করতে পারবোনা?
.
ইয়াদের মা বেশ বুঝতে পারছেন ইয়াদের মাঝে আগের থেকে অনেক পরিবর্তন আসছে । তিনি আগের ইয়াদ কে ফিরে পেতে চান যদি এর জন্য ইয়াদের বাবার মতের বিরুদ্ধে যেতে হয় তাতে তিনি যাবেন ।
.
ইয়াদ::::::::::::::: তুমি চুপ করে আছো কেনাে?
.
ইয়াদের মা:::::::::::::: ইসমাত এই বাড়িতে আসার পর থেকে নিশিতা সব সময় ইসমাতের কাছে থাকে । মেয়েটার মাঝে জাদু আছে তা না হলে আমরা কেউ যেখানে নিশিতাকে সামলাতে পারতাম না সেখানে ইসমাত নিজে সব কাজ করছে একা । নিশিতা ইসমাতের সাথে বাগানে খেলছে ।
ইয়াদ বাগানের দিকে যাচ্ছে ইসমাত বাড়ি ছেড়ে চলে যায়নি ভেবে নিজের মনের মাঝে যে ভয়টা ছিলো সেটা কেটেঁ গেছে । বাগানে নিশিতা আর ইসমাত দুজনে খেলছে । ইসমাত নিশিতাকে ছোয়াঁর চেষ্টা করছে কিন্তুু খোজেঁ পাচ্ছেনা নিশিতা দুষ্টু হয়ে গেছে বেশি খুব হাসি পাচ্ছে ।
ইয়াদ নিশিতা আর ইসমাতের কাছে চলে আসে । ইয়াদ কে দেখে নিশিতা লুকিয়ে যায় ইসমাত নিশিতা মনে করে ইয়াদ কে জড়িয়ে ধরে ।
ইসমাত বুঝতে পারছে এটা আর যাই হোক নিশিতা হতে পারে না । হাত টা ছেড়ে সরে যেতে চাচ্ছে ইসমাত । কিন্তুুু ইয়াদ ছাড়ছে না ইসমাত কে ইসমাতের শরীলে গন্ধটা বেশ ভালো লাগছে । ইসমাত বেশ বুঝে গেছে কাজটা ইয়াদের ছাড়া আর কারোর না ।
.
ইসমাত’:::::::::::::::::::::: ছাড়ুন বলছি ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::: অদ্ভুত মানুষ তো আপনি নিজে জড়িয়ে ধরেছেন আমাকে এখন আমাকে ছাড়তে বলছেন ।
.
ইসমাত::::::::::::: আমার লাগছে ইয়াদ সাহেব ছাড়ুন বলছি
ইয়াদ ইসমাত কে ছেড়ে দেয় । নিশিতাকে নিয়ে ইসমাত বাড়িতে চলে যায় । ইসমাত আপনি দাড়ান কিছু কথা বলার আছে আমার প্লীজ দাড়ান ।
ইসমাত পিছনে না তাকিয়ে সোজা হাটতেঁ থাকে ।
ইয়াদ অনেক বার চেষ্টা করেছে ইসমাতের সাথে কথা বলার কিন্তুু ইসমাত কথা বলেনি ।
সকালে ফজরের আযান শুুনে ঘুম ভাঙ্গে ইসমাতের । ফজরের নামাজ পড়ে সে রান্না ঘরে যায় ।
সবাই নাস্তা করতে বসছে । ইয়াদের মা লক্ষ করছেন ইয়াদ ইসমাত কে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে কিন্তুু ইসমাত ইয়াদের দিকে তাকাচ্ছে না ।
তিনি বুঝতে পারছেন ইয়াদ আর ইসমাতের মাঝে কিছু হয়েছে ।
.
ইয়াদের মা:;::::::::::::: তুই কেনো দাড়িয়ে রয়েছিস খেয়ে নেয় আমাদের সাথে।
.
ইসমাত:::::::::::: নিশিতাকে খাওয়াবো তারপর আমি খাবো তোমরা খাও ।
ইয়াদ খাচ্ছেনা প্লেট সামনে নিয়ে বসে আছে ।
.
ফুলি:::::::::::::::: বড় সাহেব তিশা আপারে দেখলাম বাড়িতে ডুকতে ।
.
ইয়াদের মা ::::::::::: তুই ঠিক দেখেছিস তো ফুলি ? আমার মেয়েটা আজ এত দিন পরে বাড়িতে আসছে ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::: কেউ কোথাও যাবেনা যে যেখানে আছো সেখানে থাকো । এই মেয়ে অনেক আগে মরে গেছে আমার কাছে ।
.
ইয়াদ:::::::::: বাবা ।
.
ইয়াদের বাবা :::: :::::::::: তুই চুপ থাক ইয়াদ ।
.
ইসমাত দরজার দিকে তাকিয়ে আছে । একজন পচিঁশ কিংবা ছাব্বিশ বছর বয়সী একজন মেয়ে পড়নে সাদা শাড়ি চুল গুলো কমড় পর্যন্ত মুখটা শুকিয়ে আছে চোখেঁর নিচে কালি পড়ে গেছে ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::: তুমি কেনো এসেছো আমার বাড়িতে ?আমার বাড়িতে তোমার জন্য কোনো জায়গা নাই তুমি যেতে পারো ।
.
চলবে☺