#অবৈধ_সম্পর্ক
#Part:20+২১+২২+২৩
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
তিশা::::::::::: বাবা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও । আমি ভুল করেছি তোমার কথা না শুনে ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::: যখন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে তখন একবারও ভেবেছিলে সমাজে তোমার বাবা মুখ দেখাতে পারবে কিনা ?
তোমার কাছে তোমার বাবা মার সম্মারের থেকে বেশি গুরুত্ব ছিলো তোমার ভালোবাসার । আজ যখন তোমাকে তারা তাড়িয়ে দিলো তখন আমার কাছে এসেছো। তুমি আমার কাছে মরে গেছো অনেক আগে ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::: তুমি চুপ করবে মেয়ে তার ভুল বুঝতে পেরেছে তাকে ক্ষমা করে দাও । আমরা যদি আমাদের মেয়ের বিপদে তার পাশে না থাকি তাহলে কে থাকবে বলো ?
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: চুপ করে আছেন । তিনি কখনো চান নি তার মেয়ের এমন অবস্থা হোক ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::::: এই সাদা শাড়ি কেনো পড়েছিস ? তোর শরীলের এমন অবস্থা হলো কেমন করে ?
.
তিশা ::::::::::::::::::’: জাহিদ মারা গেছে ভাইয়া । শুধু রেখে গেছে তার সৃতি আমার পেটে । যত দিন জাহিদ বেচেঁ ছিলো তখন বাড়ির সবাই আমার খুব খেয়াল রাখতো । জাহিদ মারা গেছে দুই মাস হলো জানিস কতো রাত আমি না খেয়ে কাটিয়েছি । সারাদিন কাজ করার পরও দু বেলা খেতে দিতো না । তারপরও আমি ঐ বাড়ির এক কোনায় পড়ে থাকতে চেয়েছিলাম কিন্তুুু আমার জায়গা হয়নি তাদের বাড়িতে ।
.
বাড়ির সবাই চুপ করে আছে । ইয়াদের মা কাদঁছে যেই মেয়েকে কিনা কোনো দিন কোনো কিছুর অভাব বুঝতে দিত না সে কিনা শ্বশুর বাড়িতে না খেয়ে থাকতে হয়েছে ?
ইয়াদ :::::::::::::::::::::: ইসমাত আপনি তিশাকে ঘরে নিয়ে যান তো ।
ইসমাত তিশার হাত ধরতেই তিশা চিৎকার দিয়ে উঠে । সবাই তিশার হাতের দিকে তাকিয়ে আছে তিশার দু হাতে ফোসকা পড়ে গেছে । হাতে কালো কালো দাগ দেখে মনে হচ্ছে গরম লোহা দিয়ে কেউ হাত পুড়িয়ে দিয়েছে ।
ইসমাত নিজের হাত সরিয়ে নেয় তিশার হাতের উপর থেকে ।
.
রাতে
ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তিশাকে । ডাক্তার সব কিছু পরীক্ষা করে দেখে পেটের বাচ্চাটা ঠিক আছে কিন্তুু তিশার শরীল শারীরিক ভাবে অনেক দুর্বল । ঠিক মতো খেয়াল রাখতে হবে তিশার বাচ্চাটা কে সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে নিয়ে আসতে চাইলে ।বাসায় আসতে অনেক রাত হয়ে যায় তিশার আর ইয়াদের । বাড়ির সবাই একসাথে খেতে বসেছে । ইয়াদের মা তো বেশ খুশি ছেলে মেয়ে দুজনই তার কাছে রয়েছে ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: ইন্নাকে নিয়ে কাল শপিং করতে যাবে । যা দরকার সব কিছু কিনে নিয়ে আসবে । আজ শপিং করতে যেতে বলতাম তিশার জন্য আজ শপিং করতে যেতে পারবেনা বলে । আমি ইন্নাকে কাল বিয়ের শপিং করতে তোমাকে সাথে নিয়ে যেতে বলেছি ।
.
ইয়াদ:::: :::::::::: আমার পক্ষে সম্ভব না ইন্নাকে বিয়ে করা সেটা তোমাকে অনেক আগে বলে দিয়েছি ।
.
তিশা::::::’:::::::::: কার বিয়ের শপিং বাবা?
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: তুমি নতুন আসছো চুপ থাকো । সময় হলে জানতে পারবে সব তোমার বিয়ে তো আমার পছন্দ করা ছেলের সাথে হয়নি । আমি চাই ইন্নার সাথে ইয়াদের বিয়েটা হোক ।
.
ইয়াদের মা :::::::::::::::::: তুমি আগের কথা কেনো তুলছো আবার ? যা হয়েছে সব ভুলে যাও । কাল ইয়াদ ইন্নাকে নিয়ে শপিং এ যাবে ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::: তোমার ছেলেকে বলে দিবে কথাটা ।
.
ইয়াদ রাগ করে না খেয়ে চলে যায় । ইসমাতের কথাটা বাবাকে বলার দরকার ছিলো ।
সকালে
ইয়াদ ইন্নাকে নিয়ে শপিং এ যায় । ইসমাত নিশিতাকে নিয়ে পার্কে যায় । নিশিতা বাকি বাচ্চাদের সাথে খেলছে । ইসমাত ভাবছে নিয়তি তাকে কোথায় নিয়ে আসলো এই বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় হয়েছে । নিশিতার আম্মু ডাক টা সে খুব মিস করবে । ভালোবেসে ফেলেছে পিচ্চি টাকে
ইসমাত বসে বসে ভাবছে তার সপ্ন গুলো হয়তো কোনো দিন পূরন করতে পারবেনা । ইসমাতের কাদেঁ কেউ হাত রাখে পিছন ফিরে রাসেল কে দেখতে পায় ।
.
রাসেল :::::::::::::::: তুই এখানে চলে আসলি আমাকে রেখে ? আমাকে একটু ভালোবাসা যায় না বল? কতো খুজেঁছি তোকে জানিস? জানবি বা কি করে আমার কথা তোর মনে থাকলে তো । চল না আমরা দুজন বিয়েটা করে নেই । বিশ্বাস কর রাজ রানী করে রাখবো তোকে আরাফের মতো বিশ্বাস ঘাতকটা কখনো করবোনা ।
.
ইসমাত :::::::::::::::: আমার হাত টা ছেড়ে দেয় রাসেল । ভালো হবে না বলছি তোর সাথে আমার জীবন থাকতে কখনো যাবো না তুই চলে যা এখান থেকে ।
.
রাসেল :::::::::::::::::: ভালো কথায় যখন যাবি না আমার সাথে তাহলে কি করতে হবে সেটা ভালো করে জানা আছে আমার ।
.
রাসেল ইসমাতের হাত ধরে গাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো ইসমাত ঠাস করে একটা চড় মারে রাসের গালে । তোর সাহস হয় কি করে আমাকে চড় মারার । আগে বিয়েটা হতে দেয় তারপর সব কিছু সুদে আসলে হিসাব করে নিবো ।
ইসমাত কে জোর করে গাড়িতে তুলতে চাচ্ছে রাসেল । পার্কে দুজন সিভিল dress এ পুলিশ ছিলো তারা দুজন ঘটনা কিছুটা বুঝতে পেরে রাসেলের হাত থেকে ইসমাত কে ছাড়িয়ে দেয় ।
.
১ম পুলিশ:::::::: আপনার সাহস তো কম না দিন দুপুরে Kidnap করতে আসলেন । থানায় নিয়ে গিয়ে লাঠির বাড়ি দিলে বুঝবে পুলিশ কি জিনিস ।
.
রাসেল :::::::::::::::::::: আপনারা কেনো আমাকে থানায় নিয়ে যাবেন ?কোন অপরাধ করেছি আমি ? আমি আমার হবু বউ কে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবোনা ?
.
২য় পুলিশ:::::::::::::::: আগে ওরে থানায় নিয়ে চল তারপর বাকি কথা । এতক্ষন ধরে তুই যা যা বলেছিস সব কিছু আমরা পিছন থেকে শুনছিলাম ।
.
ইসমাতের মাথাটা কেমন যেনো করছে সব কিছু দুটা করে দেখা যাচ্ছে ।
১ম পুলিশ::::::::::::::: আমরা কি আপনাকে বাসায় দিয়ে আসবো? আমরা উনাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি ।
.
ইসমাত::::::::::::::::: বাসা বেশি দূরে না আমি নিজে চলে যেতে পারবো । পুলিশ গুলাে কে বিদায় দিয়ে ইসমাত নিশিতাকে খুজঁতে লাগলো । নিশিতার কথা মনে ছিল না ইসমাত । পার্কে খুজেঁ কোথাও না পেয়ে রাস্তার দিকে খুজঁতে থাকে ।
ইয়াদের কােলে নিশিতাকে দেখে এগিয়ে যায় ইসমাত ।
.
ইয়াদ:::::::::::::: আপনি কেমন মানুষ বলেন যে এত ছোটো বাচ্ছাকে রাস্তা ছেড়ে দিয়েছেন । আপনার যদি সমস্যা থাকে তাহলে কেনাে নিয়ে এসেছিলেন পার্কে ।
ইসমাত কিছু বলবে তার আগে ইন্না বলা শুরু করে দেয় ।
.
ইন্না ::::::::::::::::::::: তোমাকে আগে বলেছি ইয়াদ এই মেয়েকে নিশিতার দায়িত্ব দিও না কিন্তুু তুমি কি করলে অপরিচিত একজনের কাছে নিজের মেয়েকে ছেড়ে দিলে । যদি আজ নিশিতার কিছু হয়ে যেতো ?তখন এই মেয়ে কি করতো ?
.
নিশিতা ইয়াদের কাছ থেকে ইসমাতের কাছে আসতে চাচ্ছে । কিন্তুু ইয়াদ নিশিতাকে ইসমাতের কাছে দিতে চাচ্ছে না । নিশিতা জোরে জোরে চিৎকার করতে শুরু করে দেয় বাধ্য হয়ে নিশিতাকে ইসমাতের কাছে দিয়ে দেয় ইয়াদ ।
.
#Part:21
Writer:Sukhi Akther ✍️
.
.
.
ইয়াদ রাগে ফুসতে ফুসতে বাসায় চলে আসে ইন্না ইয়াদের পাশে বসে আছে । আর একটু বিশ ঢালতে হবে ইয়াদের মনে ইসমাতের নামে । অনেক বেশি বেড়ে গেছে এই মেয়ে । আমিও দেখে নিবো কি করে এই বাড়িতে থাকে ।
ইন্না:::::::::::::::::::::: তুমি চুপ করে আছো কেনো ? তুমি যদি বলো এখন থেকে না হয় নিশিতা আমার কাছে থাকবে ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::::::::; চুপ করে বসে আছে ।
.
ইন্না::::::::::::::::::::: আচ্ছা তোমাকে কিছু বলতে হবে না । নিশিতা শুধু তোমার মেয়ে না আমারও মেয়ে আমার তো দায়িত্ব আছে নিশিতার প্রতি ।
ইসমাত কে কিছু টাকা দিয়ে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দাও । কখন কি নিশিতার ক্ষতি করে বসে তা আমরা কেউ জানি না ।
.
তিশা::::::::::::::::::: নিশিতার কে ক্ষতি করতে চায় ইন্না? তুমি যা বলছো ভেবে বলছো ?
তুমি এতটা sure হয়ে কি করে বলছো ইসমাত নিশিতার ক্ষতি করতে চায়?
তুমি যে নিশিতার ক্ষতি করতে চাও না তার প্রমান কি?
.
ইন্না::::::::::::::::::::::::::::: তিশা আপু তুমি আমাকে সন্দেহ করছো?
আঙ্কেল আর ইয়াদ ছাড়া তোমরা কেউ আমাকে বিশ্বাস করো না । ইয়াদ তুমি কিছু বলছো না কেনো?
ইয়াদ::::::::::::::::::::::: আপু চুপ কর তুই ।
.
তিশা:::::::::: ::::::::;::::: তুই ইন্নার হয়ে আমাকে চুপ থাকতে বলছিস ? তার মানে ইন্নার কথা তুই মেনে নিয়ে ইসমাত কে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবি ?
.
ইন্না::::::: : ::::::::::: না দেওয়ার কি আছে বলো যে নিশিতার ক্ষতি করতে চায় তাকে বাড়িতে রেখে লাভ কি হবে ?
তিশা::::::::::::::: ইন্না প্লীজ তুমি ইসমাতের নামে ইয়াদের কাছে আর কিছু বলবে না । তোমাকে নিশিতার কথা এত না ভাবলেও চলবে নিশিতাে কথা ভাবার জন্য বাড়িতে অনেকে আছে ।
.
ইন্না ::::::::::::::::::: তার মানে তুমি আমাকে এই বাড়ির মেয়ে মনে করো না? আমাদের বিয়ের আর কিছু দিন বাকি আছে । তারপর আমি এই বাড়ির বউ হয়ে আসবো । আমার থেকে তোমাদের কাছে ইসমাত কে এই বাড়ির মানুষ মনে হলো ।
.
তিশা:::::::::::::::::::::: তোমার কাছে থেকে শিখতে হবে না কে ভালো আর কে খারাপ ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::::::::: তোমরা দুজন চুপ করবে প্লীজ । ইন্না তুমি বাসায় চলে যাও । আপু তুমি নিশিতার কাছে যাও আমাকে আমার মতো থাকতে দাও ।
.
ইন্না::::::::::::::::::: আমি চলে গেলে তুমি খুশি হবে সহজ ভাবে বলে দিলে পারো । আমার সাথে বিয়ের নাটক করার কোনো মানে হয়না ।
.
তিশা::::::::::::::::::::: ইন্না তুমি সহজ কথা টাকে জটিল করে ঝগড়া করতে চাচ্ছো কেনো ?
.
ইন্না:::::::::::::::::::::: কি বললে তুমি আমি ঝগড়া করতে চাই । বেশ সাহস হয়ে গেছে তোমার এখন আঙ্কেল তোমাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছে বলে ।
.
তিশা::::::::::::::::::: চুপ করাে ইন্না তোমার সাহস হয় কি করে আমার বাড়িতে এসে আমাকে এসব বলার ।
.
ইয়াদের বাবা :::::::::::::::: ইন্না ভুল কিছু তো বলে নি তিশা । তুমি যা করেছো তারপরও তোমাকে আমার বাড়িতে থাকতে দিয়েছি সেটা বেশি না?
তোমার জন্য আমার সম্মান নষ্ট হয়েছে । কতো কথা শুনতে হয়েছিলো তোমার ভুল সিদ্ধান্তের জন্য সেই তো বাড়ি ফিরে আসলে আমাকে সবার কাছে ছোটো করে ।
আজ থেকে ইন্না বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত এই বাড়িতে থাকবে । সবাই কে বলে দিবে কথাটা ।
তিশা ::::::::::::::::::::: চুপ করে আছে । নিজের জন্মদাতা বাবাও তাকে বুঝতে চেষ্টা করছে না ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::::::: তিশাকে নিয়ে আর কোনো কথা শুনতে চাই না আমি । তোমরা সবাই নিজের রুমে যাও আমি এখন একা থাকতে চাই ।
.
সবাই যে যার রুমে চলে যায় । ইসমাত খাবার নিয়ে ইয়াদের রুমে আসে । ইসমাতের পিছনে ইন্না ও আসে
ইন্না:::::::::::::::::::::: তোমাকে কে বলেছে খাবার নিয়ে ইয়াদের রুমে আসতে ? ফুলি আছে কেনো বাড়িতে নাকি ইয়াদের কাছে না আসলে তোমার শান্তি লাগে না ?
.
ইসমাত:::::::::::::::::: অনেক বার বলা হয়েছে নিচে গিয়ে খেয়ে আসতে কিন্তুুু উনি যায় নি তার জন্য আমি নিয়ে আসছি ।
.
ইন্না::::::::::::::::::::: তোমাকে ইয়াদের খাওয়া নিয়ে ভাবতে হবে না রুম থেকে বের হয়ে যাও ।
.
ইসমাত কিছু না বলে চলে যায় রুম থেকে ।
ইয়াদ আর ইসমাতের মাঝে কথা হয়নি একবারও দু দিন পরে বিয়ে ইন্না আর ইয়াদের । বার বার ইসমাতের কথা বলতে চেয়ে বলতে পারেনি ইয়াদ ।
রাতে ❤❤
ইয়াদ তার বাবার রুমে যায় ” বাবা তোমাকে কিছু বলার আছে জানি কথাটা তোমাকে আরো আগে বলার দরকার ছিলো ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::: আগে যখন বলার দরকার ছিলো তখন বলো নি এখন বলার দরকার নাই । বিয়েটা হয়ে যাক তারপর তোমার সব কথা শুনবো । কাল সকাল থেকে বাড়ি সাজানোর কাজ শুরু হবে রাতে গায়ে হলুদ সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে এখন ঘুমিয়ে পড়ো ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::::: ইয়াদ কি বলতে চায় বলতে দাও তো ।
.
ইয়াদ :::::::::::::::::::::: বাবা আমি বিয়ে ইন্নাকে না ইসমাত কে করতে চাই ।
ইয়াদ তার মা বাবাকে সব টা খুলে বললো ।
ইয়াদের বাবা::::::::::::: তোমার লজ্জা করছেনা নিজের বাবার কাছে এসব বলতে ? তোমাকে আমি এই শিক্ষা দিয়ে বড় করেছি ।ইন্নাকে বিয়ে করতে হবে তোমাকে । ইসমাতের ব্যবস্থা পরে করছি আমি । দরকার হলে আমি নিজে ইসমাতের জন্য ছেলে দেখে তাকে বিয়ে দিবো । তারপরও ইন্নাকে তোমার বিয়ে করতে হবে ।
ইয়াদ ::::::::::::::::::: আমার পক্ষে সম্ভব না ইন্নাকে বিয়ে করা ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::::::: তুমি সব কিছু জেনে তারপর কি করে বলছো ইন্নাকে বিয়ে করার কথা ? পাগল হয়ে গেছো তুমি ? ,
ইন্নাকে বিয়ে করলে ইসমাত কে ঠকানো হবে । ইন্না কে বিয়ে দেওয়ার জন্য ইয়াদের থেকে ভালো কাউকে পাবে । কিন্তুু ইসমাতের কি হবে ?
.
ইয়াদের বাবা ::::::::::::::::::::: তুমি কি আমার খারাপ রুপ দেখতে চাও? যদি না চেয়ে থাকো তাহলে ইন্নার সাথে বিয়ে টা হতে দেও ।
.
ইন্না:::::::::::::::::::: সরি আঙ্কের Permisstion না নিয়ে তোমাদের রুমে ঢুকে পড়েছি ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: দুদিন পর বিয়ে আর তুই কিনা আমাকে আঙ্কেল বলছিস? এটা তো তোর বাড়ি তুই যখন খুশি আসতে পারবি কোনো সমস্যা নাই ।
ইয়াদ আর ইয়াদের মা রাগ করে চলে যায় রুম থেকে । ইয়াদের বাবাকে বলে কিছুই হবে না যা করার তাদের কে করতে হবে । ইন্না দরজার কাছে দাড়িয়ে থেকে ইয়াদের সব কথা শুনেছিলো । প্রচন্ড রাগ হচ্ছে নিজের উপর আগে যদি এই বাড়িতে চলে আসতো তাহলে ইসমাতের সাথে ইয়াদের সম্পর্ক টা এত ঘনিষ্ঠ কখনো হতো না ।
ইন্না ইয়াদের বাবার রুম থেকে বের হয়ে কাকে যেনো ফোন দিলো তারপর
.
ইন্না::::::::::::::::::: একজন কে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে হবে সেটা আজ রাতের মাঝে । সবাই যখন গায়ে হলুদের অনুষ্টান নিয়ে ব্যস্ত থাকবে তখন কাজ টা যাতে হয়ে যায় । টাকা পেয়ে যাবে কাজ শেষ হলে ছবিটা পাঠিয়ে দিচ্ছি ভালো করে দেখে নিবে সবাই
#Part:22
Writer:Sukhi Akther ✍️
.
.
.
সারা দিন সবাই যে যার মতো ব্যস্ত ছিলো নিজেকে নিয়ে । রাতে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে ।
ইয়াদ কে বার বার ফোন করা হচ্ছে বাড়িতে চলে আসার জন্য কিন্তুু ইয়াদ ফোন বন্ধ করে বসে আছে । ইন্নাকে সাজানো হয়ে গেছে শুধু ইয়াদ বাসায় আসলেই শুরু হয়ে যাবে অনুষ্ঠান । ইন্না তো অনেক খুশি আর মাএ কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে শুধু কাল বিয়েটা হয়ে গেলে আমাকে এই বাড়ি থেকে কেউ বের করে দিতে পারবে না তারপর এই বাড়ির সব গুলো মানুষের এমন হাল করবো যা তারা কখনো ভাবতে পারে নি । ইয়াদের বাবা কে বেশ চিন্তিত দেখা যাচ্ছে এখন যদি ইয়াদ বিয়ে টা ভেঙ্গে দেয় তাহলে মান সম্মান তো যাবে তার সাথে ইন্নার বাবার সাথে ব্যাবসার ডিল করা বন্ধ হয়ে যাবে । ইয়াদের জন্য আমি নিজের এত বড় ক্ষতি করতে পারবো না কখনো । ইন্নার বাবা বার বার অনুষ্ঠান শুরু করার তাড়া দিচ্ছে ।
.
ইসমাত নিশিতা ঘুম পাড়িয়ে নিচে আসছে যদিও সে আসতে চায় নি কি হবে এসব দেখে কিন্তুুু ইন্নার ইচ্ছে ইসমাত যেনো তাদের দুজনের সামনে থাকে বাসর ঘর যাতে ইসমাত তার পছন্দ মতে সাজিয়ে দেয় ।
ইসমাত সিড়ি দিয়ে নামার সময় মাথা টা কেমন যেনো করছে শরীল খুব খারাপ লাগছে মাথা ঘুরছে সারা দিন কাজের চাপে কিছুই খাওয়া হয়নি । ইসমাত পড়ে যাচ্ছে দেখে ধরে ফেলে অপু ।
ইসমাত অজ্ঞান হয়ে গেছে অপু বুঝতে পারছেনা তার কি করা দরকার এখন । এই অবস্থায় যদি কেউ দেখে তাহলে সবাই সন্দেহ করবে । অপু ইসমাত কে পাজা কোল করে উপরে নিয়ে যাচ্ছে ইন্না দুর থেকে দেখছিলো ইসমাত আর অপুকে । কয়েকটা ছবি তুলে নিলো ইসমাতের ছবি গুলা কাজে আসবে । ইন্না ভালো করে জানে ঐ রাতের ইসমাত আর ইয়াদের মাঝে ফিজিক্যালি ইনভলভ হয়েছিলো সেটা ইচ্ছে করে হোক বা অনিচ্ছায় ঐ রাতের পর ইসমাতের উপর ইয়াদ দুর্বল হয়ে পড়েছে । যেকোনো সময় বিয়ে টা ভেঙ্গে যেতে পারে । আগের বার নিশির জন্য ইয়াদের সাথে বিয়েটা হয় নি এখন যদি ইসমাতের জন্য আবার বিয়ে ভাঙ্গে তাহলে সব কিছু শেষ করে দিবো আমি । বার বার হেরে যাওয়ার জন্য আমার জন্ম হয় নি ।
ইন্নার ফোনে কল আসলো সবার চোখেঁর আড়ালে গিয়ে ফোন টা রিসিব করে ।
ইন্না::::::::::::::::::::: আমার কাজ হয়ে যায় যেনো আজ রাতে ।
.
ফোনের ওপাশ থেকে::::::::::: আমরা বাড়িতে চলে এসেছি শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা ।
.
ইন্না ফোন টা কেটে দিয়ে ইয়াদের পাশে গিয়ে বসে গেলো । মেঘ না চাইতে জল ইয়াদ কে খুব হাসি খুশি মনে হচ্ছে । তারমানে ইয়াদ আমাকে মন থেকে মেনে নিয়েছে ? আমি তো এটাই চাই ইয়াদ । তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসবে । ইয়াদের ফোনে কয়েক টা ছবি আসে ইয়াদ দেখতে পাচ্ছে অপু ইসমাত কে কোলে করে উপরে নিয়ে যাচ্ছে । ইয়াদের রাগ হওয়ার কথা কিন্তুু সে স্বাভাবিক রয়েছে দেখে ইন্না খুব চিন্তিত । একটু আগে ছবি গুলা ইন্না তার ফেক একাউন্ট থেকে সেন্ড করেছিলো ইয়াদকে ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::: অনুষ্ঠান শুরু করা যাক ইন্না?
আর কতো অপেক্ষা করবো বলো তো ।
.
ইন্না:::::::::::::::::::::: ইয়াদের তাড়া দেখে ইন্নার খুশি দেখে কে । বাহ , ইয়াদের এত পরিবর্তন ?
.
অপু ইসমাত কে তিশার ঘরে নিয়ে যায় ।
তিশা::::::::::::::: অপু ইসমাতের কি হয়েছে ? তুই কোথায় থেকে আসলি? ইসমাতের এমন হলো কি করে ?
.
অপু::::::::::::::::::::: আগে আমাকে এক গ্লাস পানি দেয় । ইসমাতের জ্ঞান ফিরে আসলে সব জানতে পারবি ।
তিশা পানি অপুর হাতে দেয় । অপু পানি হাতে নিয়ে ইসমাতের মুখে ছিটিয়ে দিচ্ছে । কপালে হাত দিয়ে দেখে জ্বরে শরীল পুুড়ে যাচ্ছে । অপু একজন ডক্টর দু দিন হলো দেশে ফিরে আসছে বিয়ে করার জন্য । বউ নিয়ে দেশের বাহিরে চলে যাবে । ইয়াদের বাবার সাথে দেখা হলে তিনি ইন্না আর ইয়াদের বিয়ের দাওয়াত দেয়ে অপু কে ।
অপু মনে মনে ভাবছে তাকে কষ্ট করে আর বউ খুজঁতে হবে না সে বউ পেয়ে গেছে । একটা পুতুল বউ ঠিক যেমন সে চেয়েছিলো ।
অপু আর তিশা ইসমাতের কাছে বসে আছে । ইসমাতের জ্ঞান ফিরে আসলে ইসমাত নিশিতাকে খুজঁতে থাকে ।
অপু নিশিতাকে ইসমাতের পাশে দিয়ে যায় ।
তিশা ইসমাত কে ওষধ আর খাবার দিয়ে যায় ।
অপু ইসমাতের পাশে বসে আছে । অপুর তাকিয়ে থাকাটা মোটেও স্বাভাবিক লাগছেনা ইচ্ছে করছে এই রুম থেকে চলে যেতে কিন্তুু পারছেনা ।
অন্যদিকে ইন্নার লোকেরা ইসমাত কে মারতে পারছেনা অপুর জন্য । অপু কে সড়ানো না গেলে ইসমাত কে মারা সহজ হবে না ।
অপু তো ইসমাত কে চোঁখে হারাচ্ছে যাকে বলে
Love At 1st sight❤ ।
বিয়ে যদি করতে হয় তাহলে ইসমাত কে করবে ।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে । ইন্না আর ইয়াদ যে যার রুমে চলে গেছে । ইয়াদ বার বার ইন্নার দিকে তাকাচ্ছে । কাল ইন্নাকে ঠিক কেমন লাগবে দেখতে সেটা ভেবে খুব হাসি পাচ্ছে ।
ইন্না ফােনের দিকে তাকাচ্ছে কেনো ফোন দিচ্ছেনা ওরা ? তার মানে কাজটা করতে পারেনি মূর্খরে দল ।ফোনটা বন্ধ করে রেখেছে তা না হলে আজ এদের এমন অবস্থা করতাম
.
সকালে ইসমাতের ঘুম ভাঙ্গে পাখির কিচিরমিচির শব্দে পাশে ফিরে শক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা খায় । পাশে ইয়াদ শুয়ে আছে । ইসমাত টেনে ইয়াদ কে বিছানা থেকে তুলে দেয় ।
.
ইসমাত:::::::::::::::: আজ আপনার বিয়ে এসব নাটক করার মানে ?
আপনি কি চাচ্ছেন সবাই আমাকে দুশ্চরিএ মেয়ে হিসেবে জানুক ? আর কতো অপমানিত হবো আমি?
.
ইয়াদ::::::::::::::::::::: নিজের বিয়ে করা বউয়ের পাশে ঘুমানো যদি আমার দোষ হয়ে যায় তাহলে চলে যাচ্ছি ।
.
ইসমাত:::::::::::::::: আপনি কি বলছেন ? মাথা নষ্ট হয়ে গেছে ? আপনার সাথে আজ ইন্নার বিয়ে হবে ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::::: হুম জানি । তুমি কি বলতে চাচ্ছো এটা সত্যি না ?
ইসমাতের হাতে একটা কাগজ দিয়ে ।
#অবৈধ_সম্পর্ক
#Part:23
Writer:Sukhi Akther ✍️
.
.
.
জানি তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না । এটা সত্যি যে আমি নিশিকে নিজের থেকে বেশি ভালোবাসতাম নিশি ছিলো আমার অতীত চাইলেও কখনো তাকে আমার মন থেকে মুছে ফেলতে পারবো না । কিন্তুু তোমাকে ভুলে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না । না চাইতেও আমার মনে তুমি জায়গা করে নিয়েছো । নিশিতাকে তোমার মতো কেউ কখনো ভালোবাসতে পারবেনা আমি জানি তোমাকে আমার বড্ড প্রয়োজন ইয়াদ দু হাত দিয়ে ইসমাতের গাল দুটো ধরে বললো । তোমাকে জোর করছি না আমি সময় নাও কিন্তুুু আমাদের ছেড়ে কখনো যাবে না প্লীজ ।
ইসমাত কিছু বলছেনা চুপ করে ইয়াদের কথা শুনে যাচ্ছে । এই কয়েক দিনে খুব ভালোবেসে ফেলেছে ইয়াদ কে ইসমাত ।
.
ইসমাত:::::::::::::::::::::::: কিন্তুুু ইন্না সাথে আজ আপনার বিয়ে তার কি হবে?
.
ইয়াদ:::::::::::::::::: ইন্নার কথা তোমাকে ভাবতে হবে না যা করার আজ সব করবো আমি । তুমি শুধু আমাকে সময় দাও ।
.
ইয়াদের বাবা কে ইসমাতের সাথে ইয়াদের বিয়ের কথা বলার পর রাজি হয়নি তখন ইয়াদের মা ইয়াদ তিশা সবাই মিলে প্লেন করে কি করে ইন্নার সাথে ইয়াদের বিয়েটা ভাঙ্গা যায় । ইয়াদের মা কখনো চায় না ইন্নার মতো মেয়েকে তার বাড়ির বউ হিসেবে মেনে নিতে । সব সময় ইসমাতের মতো সংসারী একটা মেয়ে চেয়েছিলেন মনে মনে । আজ যখন হাতের কাছে পেয়ে গেছেন কোনো মতে এই সুযোগ হাত ছাড়া করা যাবে না । শুধু মাএ ইসমাতের কারনে ইয়াদ অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরে এসেছে নিশিতাকে সব সময় হাসি খুশি দেখা যায় । ইয়াদের মা বেশ ভালো বুঝতে পেরেছেন ইসমাত পারবে সংসারের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে ।
রাতে ইসমাতের জ্বর আরো বেড়ে যায় ঘুমের মাঝে বার বার ইয়াদের নাম বলতে থাকে ।
ইয়াদ কে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরে কাদঁতে থাকে । ইয়াদ আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলো একজন উকিল কে তিনি বিয়ের সব কাগজ পএ নিয়ে আসছিলো । তিশা উকিল সাহেব ও ইয়াদের মায়ের সামনে ইসমাত আর ইয়াদের বিয়েটা রেজিস্ট্রি হয় । কাল রাতের কথা ইসমাত ভুলে গেছে ।
ইয়াদ fress হতে চলে যায় । সকাল থেকে ইন্না লক্ষ করছে অন্য দিনের তুলনায় আজ খুব খুশি দেখা যাচ্ছে । বিয়েটা এখনও হয়নি এত খুশি হওয়ার কারন খুজেঁ পাচ্ছে না ইন্না । ইয়াদ ইন্নার পিছু ছাড়তে চাচ্ছেনা ইন্না যেখানে যাচ্ছে ইয়াদ তার পিছু যাচ্ছে । ভেবেছিলো কাল রাতের অসমাপ্ত কাজটা আজ শেষ করবে কিন্তুু ইয়াদের জন্য কাউকে কল দিতে পারছেনা ।
অপু ইসমাতের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তুু ইসমাত অপুকে দেখলে চলে যাচ্ছে । অপু ভাবছে সরাসরি ইয়াদের মাকে বলে দিবে ইসমাত কে বিয়ে করতে চায় কথাটা । কিন্তুু আজ যে সবাই ব্যস্ত তার কথা শুনার সময় কারোর কাছে নাই । হোক না ইসমাত বিবাহিত যদি দু চারটা বাচ্চাও থাকতো তারপরও ইসমাত কে বিয়ে করতে অপুর কোনো আপত্তি ছিলো না ।
ইন্নার কথা মতো বাসর ঘরটা ইসমাত নিজের পছন্দ মতো সাজিয়েছে । ইয়াদ কি করতে চাইছে কিছু বুঝতে পারছেনা ইসমাত । নিশিতা সবার থেকে বেশি খুশি আজ তার আব্বুর বিয়ে 😂😂 । এক মিনিটও নিজের কাছে রাখতে পারছেনা নিশিতাকে ইসমাত ।
ইসমাত নিশিতার পিছন পিছন ছুটতে লাগলো নিশিতা ইয়াদের পিছনে লুকিয়ে গেলো ইসমাত এসে ইয়াদের সাথে ধাক্কা খেলো ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::::: তুমি নিশিতার মতো বাচ্চা হয়ে গেলে?
দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে চাচ্ছো? 😂😂 আমাকে একটু সময় দাও আমি খেলবো তোমার সাথে দেখবো কতো দৌড় জানো তুমি
এখন এসব বাদ দাও কেউ দেখলে কি বলবে ?
.
ইসমাত:::::::::::::::: আমাকে না ছাড়লে যাবো কি করে?
.
ইয়াদ ইসমাতের কাছে থেকে সরে দাড়ায় । ইয়াদ ইন্নার কাছে চলে যায় । নিশিতাকে রেডি করে দেয় ইসমাত । ইয়াদের মা একটা শাড়ি দিয়ে যায় ইসমাত কে পরতে । শাড়ি টা দেখে ইসমাত অবাক হয়ে যায় শাড়ির ডিজাইন গুলা ।
অত্যাধুনিক ডিজাইন করা যা বর্তমানে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে । আয়নার সামনে দাড়িয়ে শাড়িটা নিজের শরীলে জড়িয়ে দেখতে লাগলো ইসমাত এই শাড়িতে তাকে কেমন লাগবে ।
ইয়াদের মা ইসমাতের এমন কান্ড দেখে হাসতে শুরু করলেন ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::::::: শাড়িতে তোকে মানাবে বেশ । এই শাড়িটা আমার শ্বাশুরী আমাকে দিয়েছিলো । আমিও তোর মতো করেছিলাম তখন । আমার যা আছে সব তো তোর আর তিশার । ইন্নার সাথে ইয়াদের ঝামেলা টা শেষ হতে দেয় । তারপর তোরা যা পাওনা সব কিছু বুঝিয়ে দিয়ে সংসারের দায়িত্ব থেকে অবসরে যেতে চাই হাপিয়ে গেছি আমি ।
.
ইসমাত:::::::::::::::::::::::: সব কিছু ঠিক হবে তো? আমার খুব ভয় করছে । আমাকে কিছু দিতে হবে না তোমাদের ভালোবাসা কম কিসে এই গুলোর থেকে ।
.
ইসমাত শাড়ি টা পড়ে নেয় আজ তাকে নতুন বউয়ের মতো লাগছে ।
.
উকিল সাহেব বসে আছেন ইয়াদ কার সাথে যেনো কথা বললো তারপর আবার নিজের জায়গায় এসে বসলো । বিয়ের কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে ।ইন্নার খুশি দেখে কে ☺। ইয়াদ ইসমাতের কাছে নিজের মুখ নিয়ে বললো ” নিজেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুুুত করো পরের step এর জন্য ” ইন্নার মুখটা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে ইয়াদের কথা শুনে ।
বিয়ের শুরু হয়ে গেছে ইন্নাকে দেওয়া হয়েছে আগে রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করার জন্য ইন্না পেন টা হাতে নিয়ে সাইন করতে চাচ্ছে কিন্তুু তার হাত কেউ ধরে ফেলছে ।
ইন্না তাকিয়ে দেখে ফাহাদ ।
.
ফাহাদ:::::::::::::::::: খুব রাগ হচ্ছে আমাকে এখানে দেখে?? আমি যদি এখানে না আসতাম তাহলে আমার মতো ইয়াদের জীবন টা নষ্ট করে দিতে তুমি । আমি বেচেঁ থাকতে কখনো হতে দিবো না এটা । তোমাদের মতো লোভী মানুষদের কে শাস্তি দেওয়ার দরকার ।
.
সবাই অবাক হয়ে যাচ্ছে ফাহাদের কথা শুনে । কে এই ফাহাদ ? তার সাথে কিসের সম্পর্ক ইন্নার ?
.
ইন্না:::::::::::::::: তুমি যদি ভালো চাও নিজের
তাহলে চলে যাও এখান থেকে । না হয় আমাকে হয়রানী করার জন্য জেলে বসে পচেঁ মরতে হবে ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::::: আমাদের বিয়েটা হতে দিন প্লীজ যা বলার পরে বলবেন ( ইয়াদের খুব হাসি পাচ্ছে )
.
ফাহাদ:::::::::::::::::: বিয়ের সব কাগজ গুলা ছিড়ে টুকরা করে ফেলে দিলো ।
আপনি কেমন মানুষ বিবাহিত মেয়ের সাথে নিজের ছেলের বিয়ে দিতে চাচ্ছেন? আমার সাথে দুই বছর আগে বিয়ে হয় ইন্নার । সব কিছু ভালো ভাবে চলছিলো হঠ্যাৎ একদিন শুনি ইন্না কনসিব করেছে । তখন কতো খুশি হয়েছিলাম কাউকে বুঝাতে পারবো না ।
রাতে বাসায় ফিরে শুনতে পাই ইন্না বাচ্চাটা কে এবরশন করতে চায় ।
আমি এবরশন না করতে বলায় ইন্না আমাকে হুমকি দিতে থাকে বাচ্চাটা এবরশন করতে না দিলে সে আমাকে ডিবোর্স দিতে চায় । ইন্না আমাকে ডিবোর্স ঠিকই দেয় আমার বাচ্চাটাকে মেরে ফেলে । আমাকে না জানিয়ে আমার সব কিছু নিজের নামে করে নেয় যার জন্য আমি দেশে আসতে পারছিলাম না । আমি চাইনা ইন্নার মতো খুনি কে ইয়াদের বউ করেন আপনি । যে নিজের সন্তান কে ভালোবাসতে পারে না
সে কি করে ইয়াদ কে ভালোবাসবে?
.
ইন্না::::::::::::::::::::: ঠাস করে চড় মেরে দেয় ফাহাদের গালে ।
.
চলবে