#অবৈধ_সম্পর্ক
#Part:24+25+26+27
Writer:Sukhi Akther ✍️
.
.
.
ইন্না আবারও ফাহাদ কে চড় মারতে যাচ্ছিলো ইয়াদ ইন্নার হাত টা ধরে ফেলে । ইয়াদ চেয়েছিলো ইন্নার ভালো মানুষের মুখোশ টা খুলতে কিন্তুু এটা চায়নি যে ফাহাদ কে কোনো অপমান করতে । ইয়াদ ফাহাদ কে ইন্নার কাছে থেকে সরিয়ে নেয় । ইন্নার মুখ থেকে সত্যি কথা গুলো বার করতে হলে তাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে । ইয়াদ ইন্নার কাছে গিয়ে ইন্নাকে নিজের কাছে বসালো ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::::: তুমি ফাহাদ কে বলতে দাও তো ফাহাদের কথায় তোমাকে ছেড়ে দিবো সেটা তুমি কি করে ভাবলে ?
.
ইন্না:::::::::::::::::::: ফাহাদ সব কিছু মিথ্যা বলছে
আমার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলোনা ফাহাদের ।তুমি তো জানো কতটা ভালোবাসি তোমায় আমি । তোমার ভালোবাসার টানে আমি দেশে ফিরে এসেছি । তোমার কি মনে হয় আমি নিজের পেটের বাচ্চাকে অবরশন করবো ? একটা নিষ্পাপ বাচ্চাকে আমি মারতে পারি বলো ?
.
ফাহাদ:::::::::::::::::: বাহ, আর কতো নাটক করবে তুমি ?লজ্জা করছেনা মিথ্যা কথা বলতে ?
তোমাকে এতো সহজে ছেড়ে দিবো না আমি ।
তোমার জন্য যা হারিয়েছি তা হয়তো কখনো আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না কিন্তুু তোমাকে শাস্তি দিলে আমার মনে জমে থাকা কষ্ট গুলো হালকা হয়ে যাবে । আর কেউ এমন নোংরা কাজ করার আগে তোমার শাস্তির কথা তার মনে পড়বে ।
ইন্নার বাবা বুঝতে পারছেন ইন্নার জন্য তার পরিকল্পনা নষ্ট হয়ে যাবে । ইয়াদের বাবার সম্পত্তির প্রতি লোভ অনেক আগে থেকে ছিলো । কত সপ্ন দেখেছে ইন্নাকে ইয়াদের সাথে বিয়ে দিতে পারলে এই বাড়ির সব কিছু তার দখলে চলে যাবে । কিন্তুু এখন তার সব সপ্ন নষ্ট করতে ফাহাদ চলে আসছে । কতো বার করে বলেছি ফাহাদ কে শেষ করে দেই কিন্তুু ইন্নার জন্য করতে পারিনি । তখন যদি ইন্নার কথা না শুনে ফাহাদ কে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতাম তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমান থাকতো না । ইয়াদ কিছু বুঝে ফেলার আগে কিছু করতে হবে আমাকে । বাড়ির সবাই অবাক হয়ে গেছে এমন কান্ড হবে কল্পনার বাহিরে ছিলো । ইয়াদের বাবা কিছু বুঝতে পারছেনা তিনি চান ইন্নার সাথে ইয়াদের বিয়েটা হোক । সব টা ভালো করে না জানা পর্যন্ত তিনি শান্তি পাবেন না ।
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: তুমি যা বলছো তার কোনো প্রমান আছে তোমার কাছে ?যদি কোনো প্রমান থাকে তাহলে আমাকে দাও । যদি ইন্না দোষী হয়ে থাকে তাহলে ইন্নার শাস্তির ব্যবস্থা আমি নিজে করে দিবো তোমাকে কথা দিচ্ছি ।কিন্তুু যদি তুমি কোনো প্রমান না দিতে পারো ইন্নার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার কারনে তোমাকে শাস্তি পেতে হবে ।
.
ইন্নার বাবা::::::::::::::::::::::: তুই কি পাগল হয়ে গেলি এই ছেলের কথা শুনে ? তোর কি আমার উপর কোনো বিশ্বাস নাই? তুই তো আমাকে ছোটো বেলার বন্ধুু ।তোর কাছে আমার কথার চেয়ে এই ছেলের কথা বড় হলো ?
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: আমি কোনো সন্দেহ মনে নিয়ে থাকতে চাই না । যদি ফাহাদ কোনো প্রমান না দিতে পারে তাহলে তাকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে ।
ফাহাদ::::::::::::::::::::: আমি জানতাম আপনারা কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবেন না তার জন্য আমি সব প্রমান নিয়ে এসেছি ।
ইন্না এবার বেশ ভয় পেয়ে গেছে যদি সবাই জেনে তাহলে খুব বড় ক্ষতি হয়ে যাবে । ইন্না ফাহাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইয়াদ ইন্নার হাতটা ধরে নিজের কাছে বসায় । ইয়াদ জানে ইন্না চাইবেনা সবাই কৃত কর্মের কথাটা জানুক ।
.
ফাহাদ::::::::::::::::: তার কাছে থাকা ডাক্তারি রিপোর্ট , ডিভোর্স পেপার , ইন্নার সাথে কাটানো কিছু মুহুর্তের ভিডিও ইয়াদের বাবার হাতে দিলো ।
.
ইন্নার বাবা:::::::::::::::::: আমার কাছে দেয় আমি দেখছি কি আছে এখানে । আমার মেয়ের নামে এসবের কোনো প্রমান নাই ফাহাদের কাছে ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: আমি দেখতে পারবো দয়া করে তুই চুপ থাক ।
ইয়াদের বাবা উকিল সাহেব কে ইন্না আর ফাহাদের বিয়ের ডিভোর্স পেপার । বাচ্চা এবরশনের কাগজ সব গুলা উকিল কে দিলেন । ইয়াদের হাতে ফাহাদের ভিডিও টা দিলেন । সব কিছু দেখার পর বুঝা যাচ্ছে ইন্নার সাথে ফাহাদের সম্পর্ক ছিলো । ফাহাদ যা বলেছে সব কিছু ঠিক । ইয়াদের বাবা বুঝতে পারছেন কতো বড় ভুল করতে যাচ্ছিলেন তিনি ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: ইন্নার সাথে ইয়াদের বিয়ে হবে না । তুই আমার বন্ধুু হয়ে আমার সাথে এমন কাজ না করলেও পারতি । শেষে তোর নষ্ট মেয়েকে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিলি ।
ইয়াদ তোর সাদাত আঙ্কেল কে বল একক্ষুনি আমাদের বাড়িতে আসতে । আমি বলেছিলাম বিয়েতে আসতে কিন্তুুু সময়ের সল্পতার জন্য হয়তো সাদাত আসতে পারেনি তুই সবটা খুলে বল ।
.
সাদাত::::::::::::::::::::: আমাকে ফোন করতে হবেনা ।আমি চলে এসেছি ।আগে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তুু একটা কাজ পরে গেছে তার জন্য দেরি হয়েছে । দেরি হয়ে ভালো হয়েছে ঠিক সময়ে আসতে পেরেছি ।
ইয়াদ আগে থেকে সবটা জানতো তার জন্য স্বাভাবিক ছিলো । সাদাত আঙ্কেল কে বলে রেখেছিলো আগে থেকে । পুলিশ ফোর্স সাথে নিয়ে এসেছিলেন । ইন্নার বাবা বুঝতে পারছেন তার রক্ষা নাই আর তিনি পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন কিন্তুু ফাহাত তাকে ধরে ফেলে । ইন্না তার কাছে থাকা ছুড়ি দিয়ে ফাহাদের পেটে মারতে চেয়েছে ইয়াদ ফাহাদ কে সড়িয়ে দিয়েছে । ধাক্কা দেওয়ার ফলে ছুড়িটা ফাহাদের হাতে লেগে হাত অনেক টা কেটেঁ যায় । তিশা ইন্নার কাছে গিয়ে ঠাস ঠাস করে কয়েকটা চড় মেরে দেয় । তোর মতো নোংরা মেয়ের জন্য আজ কতো গুলা জীবন নষ্ট হতো । তুই জেলে গিয়ে পচেঁ মর ।
ইন্নার মা বাবা সহ ইন্নাকে পুলিশ এরেষ্ট করে নিয়ে যায় । বাড়িতে আসা মেহমানরা নানা রকম কথা বলা শুরু করে দিয়েছে । ইয়াদের বাবা বেশ চিন্তায় পরে গেলেন তিনি কি করবেন এখন । হঠ্যাৎ চোখঁ পড়লো ইসমাতের দিকে তিনি ইসমাতের কাছে গিয়ে দুটো হাত ধরলেন ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::::: আমি জানি কতো বড় অন্যায় করেছি । তুই আমার দিকে চেয়ে ইয়াদের সাথে বিয়েতে রাজী হয়ে যায় । তোর বাবা যদি আজ তোর কাছে কিছু চাইতো তাহলে তাকে তুই ফিরিয়ে দিতে পারতি ? তিশার মতো তুই আমার আর এক মেয়ে ।
.
তিশা::::::::::::::::::: তোমার ছেলের জন্য ভালো মেয়ে পাবে ইসমাত কে দরকার নাই বংশ পরিচয় নাই এমন মেয়েকে তোমার বাড়ির বউ করা ঠিক হবে না ।
.
ইয়াদের মা:::::::::::::::: তুই এই বিয়েতে রাজী না বলে দেয় ইসমাত ।
.
ইয়াদ::::::::::::: আমি তোমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো । ইসমাত কে বিয়ে করা সম্ভব না ।
ইয়াদ চলে যাচ্ছিলো বাড়ি থেকে । সে যা চেয়েছে সব তার কথা মতো হচ্ছে ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::: আমি বলছি তুই ইসমাত কে বিয়ে করবি । ইসমাত বিয়ে করলে তোর আর নিশিতার জন্য ভালো হবে আমি বলছি । রাজী হয়ে যা বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::: তুমি যখন বলছো তাহলে আমি রাজী ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::: কাজী সাহেব বিয়ে পড়ান ।
বিয়েটা হয়ে গেছে বাড়ি সবার মুখে হাসি । অপু বাড়িতে এসে দেখে বিয়ে হয়ে গেছে । অপু এখন খুব সহজে বলে দিতে পারবে ইসমাত কে বিয়ে করতে চায় সে । অপু হানিমুনে যাওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা করতে গিয়েছিলো সকালে বাড়ি থেকে । সে তো আর জানে না ইয়াদের সাথে ইসমাতের বিয়ে হয়ে যাবে । সবার আগে ইয়াদ কে বিষয়টা বলার দরকার তাই অপু ইয়াদের ঘরে যায় । ইসমাত কে একটু আগে তিশা ইয়াদের ঘরে দিয়ে যায় । ইয়াদের ফোন আসায় সে ছাদে গেছে কথা বলার জন্য । ইয়াদের ঘরে গিয়ে অপু দেখে ইসমাত খাটে বসে আছে । ইসমাত কে বউ সাজে দেখে বুকের ভিতর কেমন যেনো ব্যথা অনুভব করছে 💔💔। হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেছে ।
.
তিশা::::::::::::: তুই এখানে কি করছিস ? এখন বাড়িতে আসার সময় হলো তোর ? ইয়াদ কে দেখছিনা কেনো? ইয়াদ আবার কোথায় গেলো?
.
অপু:::::::::::::::;::::: ইসমাত এখানে কেনো ? ইন্নার সাথে ইয়াদের বিয়ে হয়নি? আমি তো কিছু বুঝতেছিনা ।
.
তিশা::::::::::::::::::::::::::: সব বলবো তোকে এখন চল তো ইয়াদের ঘর থেকে অপুকে টেনে নিয়ে গেলো তিশা ।
.
ইয়াদ কথা বলা শেষ করে রুমে এসে দেখে ইসমাত বসে আছে নিশিতা ইসমাতের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে । ইয়াদ কে দেখে ইসমাত বিছানা ছেড়ে উঠে দাড়ায় । ইসমাত ইয়াদ কে সালাম করতে যাচ্ছিলো ইয়াদ ইসমাত কে ধরে ফেলে ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::::::: তোমার স্থান আমার পায়ে নয় আমার বুকে । আমাদের মাঝে যতই সমস্যা হোক তুমি কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না । নিশিতাকে কখনো বুঝতে দিবে না তার মায়ের অভাব ।
.
ইসমাত ::::::::::::::: চুপর করে আছে ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::::::: এতো লজ্জা পেলে কি করে হবে বলো? আজ আমাদের বাসর রাত । এখন তুমি যা চাইবে তাই দিবো আমি তুমি আমার কাছে কি চাও বলো?
.
ইসমাত:::::::::::::::::::::::: একটু ভালোবাসবেন আমাকে ? যেখানে থাকবেনা কোনো সন্দেহ , একজন আরেক জনের প্রতি থাকবে বিশ্বাস , যেখানে থাকবেনা শুধু শারীরিক আর্কষন ।
ইয়াদ ইসমাতের কপালে একটা কিস করে । কিছুক্ষনের মাঝে রুমের আলো নিভে যায় । দুজন মানুষের ভালোবাসা পূর্নতা পেয়েছে ।
অপু ছাদে বসে একটার পর একটার সিগারেট শেষ করে যাচ্ছে । কেনো তার সাথে এমন হলো কাল যদি সবাই কে বলে দিতো ইসমাত কে ভালো লাগার কথাটা তাহলে আজ এমন দিন দেখতে হতো না । তারা দুজন রোমান্স করবে আর আমার বুকের ভিতর টা জ্বলে যাচ্ছে 💔💔💔 । অপু আকাশের তারা গুলোর তাকিয়ে আছে ।
.
তিশা::::::::::::::::::: তুই এত রাতে ছাদে কেনো ?
.
অপু:::::::: :::::::::: আমার সব শেষ হয়ে গেছে তিশা ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: কার কি শেষ হয়ে গেছে অপু? তোমরা দুজন ছাদে কি করছো? তিশা তুমি কি আমার সম্মান নষ্ট করতে আবার উঠে পড়ে লেগেছো?
.
.
তিশা:::::::::::::: তুমি এসব কি বলছো বাবা? তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ?
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::: যাকে বিশ্বাস করছি সে আমার বিশ্বাস নষ্ট করছে ।
আমি কি বলতে চাচ্ছি নিশ্চয় তুমি বুঝতে পারছো ?
অপু তুমি ছাদে কি করছো ?
.
অপু:::::::::::::::::::: আকাশের তারা গুনবো মামা । আপনি রুমে গিয়ে ঘুমান ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::: তোমরা দুজন নিচে যাও । নেক্সট টাইম কখনো যেনো দুজন কে রাতে ছাদে না দেখি ।
তিশা রাগ করে চলে গেছে । অপু আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে ।
ইয়াদের বাবা নিচে চলে গেলেন ।
সকালে
সবাই নাস্তা করছে অপু ইসমাতের দিকে তাকিয়ে আছে ইয়াদ কয়েক বার লক্ষ করেছে ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::: অপুর বিয়ের খবর কি ?মেয়ে দেখা হয়েছে ? আমার কাছে ভালো মেয়ে আছে।
.
অপু::::::::::::::::: আমার বিয়ে নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না । মামা আমি তিশাকে বিয়ে করতে চাই ।
.
সবাই অবাক হয়ে গেছে ।
ইয়াদ যদি ইসমাত কে নিয়ে সুখে থাকতে পারে তাহলে আমি কেনো তিশাকে নিয়ে সুখে থাকতে পারবোনা ? আমার জন্য ইসমাত আর ইয়াদের সম্পর্ক নষ্ট হোক সেটা চাই না মনে মনে ভাবছে অপু ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::::: তিশা তুই বিয়েতে রাজী ?
তিশা কিছু না বলে চলে যায় । সবাই বুঝে গেছে তিশার মত আছে বিয়েতে।
.
অপু:::::::::::::::::::: বিয়েটা আজ রাতে হবে । কাল আমি চলে যাবো তিশাকে নিয়ে । মামা এটা তোমার কাছে আমার শেষ চাওয়া ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::: আজকের ভিতরে সব কিছু করা সম্ভব হবে না । তাছাড়া তিশা তো কোথাও চলে যাচ্ছেনা ।
.
অপু:::::::::::::::: বিয়ে হলে আজই হবে তা না হলে বিয়ে না করে আমি চলে যাবো ।
.
ইয়াদ::::::::::::::: আমি দেখছি সব কিছু তুমি চিন্তা করো না বাবা ।
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::: কিন্তুু ?
.
ফুলি::::::::::::::: খালু জান অপু ভাই তিশা আফারে খুব মিস খায় 😂😂।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::: চুপ করো ফাজিল মেয়ে
.
ইয়াদ:::::::::::::::::: তাহলে আমি বিয়ের ব্যবস্থা করি ? তুমি কি বলো বাবা?
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::::: অপু আর তিশা যখন রাজি আমার কিছু বলার নাই তোমরা যা ভালো মনে করো তাই করো ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::: তোমার তো একটা মতামত আছে । তিশা তো হাজার হোক তোমার মেয়ে ।
.
ইয়াদের বাবা কিছু বলছে না ইন্নার ঘটনাটা তিনি মন থেকে মুছে ফেলতে পারছেনা । কতো বড় ক্ষতি করতে গিয়েছিলো । আমার পাপের শাস্তি আমার ছেলে মেয়েরা যাতে না পায় তার জন্য যা করতে হয় আমি করবো ।
রাতে অপু আর তিশার বিয়ে হয়ে যায়। সবাই বিয়েতে খুশি হলেও অপু মন থেকে তিশা থেকে মেনে নিতে পারছেনা । অপু জানে ইসমাত কে ভুলে যেতে হলে তিশাকে তার আপন করে নিতে হবে । সারা রাত বারান্দায় বসে একটার পর একটা সিগারেট শেষ করে যাচ্ছে অপু । সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছেনা । তিশা কয়েক বার বলেছে রুমে যাওয়ার জন্য । নিজের ভুলের জন্য তিশাকে কষ্ট দেওয়া ঠিক হবেনা । অপু রুমের দিকে পা বারালো । মেয়েটা অপেক্ষা করে ঘুমিয়ে গেছে । অপু গিয়ে তিশার পাশে শুয়ে পড়ে ।
সকালে ❤
ইয়াদ অনুভব করছে তার বুকের উপর ভারী কিছু রয়েছে । তাকিয়ে দেখে নিশিতা আর ইসমাত ইয়াদের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে । তিশা আর অপু বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় লন্ডনে যাওয়ার জন্য ।
বিকালে ❤
আজ তিশা চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়ির সব গুলো মানুষ কেমন চুপ চাপ হয়ে গেছে। ইয়াদের বাবা বুঝতে পারছেন মেয়েটার সাথে কথায় কথায় খারাপ ব্যবহার করতেন । আজ মেয়েটা চলে গেছে বুকের ভিতর টা কেমন জানি খালি লাগছে । ইয়াদের বাবা বেশ ভালো বুঝতে পারছেন অপু তিশার কখনো কোনো ক্ষতি হতে দিবে না । ইসমাত ঘুম থেকে উঠে ছাদে গেলো রুমে থাকতে আর ভালো লাগছেনা । ইয়াদ সকালে বাসা থেকে বের হয়ে গেছে এখনও বাড়িতে আসেনি । নিশিতা ঘুমিয়ে আছে । ইয়াদের মা বাবা তারা তাদের মেয়ে চলে যাওয়ার পর থেকে নিজেদের রুমে তিশার ছবির কাছে বসে আছে ।
ছাদে উঠে দাড়াতেই ঠান্ডা শীতল বাতাস ইসমাতের শরীলের ক্লান্তি দূর করে দিলো । চুল গুলো হাত খোপাঁ করে ছাদের একপাশে গিয়ে দাড়ালো ইসমাত । আজ মনটা সকাল থেকে খারাপ ছিলো কিন্তুু এখন মনটা অনেক ভালো হয়ে গেছে ।
হঠ্যাৎ পিছন থেকে কেউ এসে জড়িয়ে ধরলো ইসমাত কে ।স্পর্শটা খুব পরিচিত লাগছে ইসমাতের । ইসমাত বেশ ভালো বুঝতে পারছে এটা ইয়াদের স্পর্শ । সারাদিন বাহিরে থেকে এখন আসছে ভালোবাসা দেখাতে 😒।
.
ইয়াদ::::::::::::::: ::: একজন আমার সাথে রাগ করেছে মনে হচ্ছে
.
ইসমাত:::::::::::::::::: ছাড়ুন তো এসব এখন ভালো লাগছেনা ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::: ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো ধরিনি ।আমি আমার বউ কে জড়িয়ে ধরবো না তো কে ধরবে শুনি ? ইয়াদ আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ইসমাত কে ।
.
ইসমাত::::::::::::::::::: হয়েছে এখন ছাড়েন লাগছে আমার ।
.
ইয়াদ ইসমাত কে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে ইসমাতের ঠোটেঁর কাছে ইয়াদের ঠোটঁ নিয়ে আসতেই 💋💋। ইসমাত বেশ লজ্জা পাচ্ছে ইয়াদ কে নিজের থেকে সরানোর চেষ্টা করছে কিন্তুু ইয়াদ আর শক্ত করে ধরে রেখেছে ।
.
ফুলি:::::::::::::::::::::: দৌড়ে ছাদে উঠে হাপিয়ে গেছে সে । নিশিতা ঘুম থেকে উঠে আপনাকে না পেয়ে চিৎকার করা শুরু করে দিয়েছে তারাতাড়ি আহেন তো নিচে ।
ফুলি এতক্ষন নিচের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বলছিলো সে দেখতে পায়নি ইসমাতের সাথে ইয়াদ আছে ।
ফুলির কথা শুনে ইয়াদ ইসমাত কে ছেড়ে দেয় । বেচারি ফুলি লজ্জা পাচ্ছে অসময়ে চলে এসেছে এখানে ।
রাতে বাহিরে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে । যত সময় যাচ্ছে ঝড় বেড়েই যাচ্ছে ইয়াদ রাতে হুট করে বাহিরে না গেলেও পারতো । এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে দেখে মনে হয়না রাতে ঝড় কমবে । ইসমাত বার বার ইয়াদের ফোনে কল দিচ্ছে কিন্তুু ফোন অফ । ইয়াদ ফোনটা হাতে নিলো ইসমাত কে কল করার জন্য কিন্তুু ফোনে চার্জ আর নেটওয়ার্ক কোনোটাই নাই । প্রচুর রাগ হচ্ছে নিজের উপর ইসমাত কতো বার করে বারন করলো বাহিরে আসতে । বাবা মাও টেনশন করবে বাড়িতে না গেলে এমনিতে তিশা চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়ির সবাই চুপ হয়ে গেছে । ইয়াদের বাবা ঘরের মাঝে পায়চারি করছে ছেলেটার কোনো কান্ড জ্ঞান নাই ।
.
.
ইসমাত একটার পর একটা কল দিয়ে যাচ্ছে । এখন ফোনটা সুইচ অফ দেখা যাচ্ছে রাগে ফোনটা আছার মারে ইসমাত । ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত ১:২০ বাজে বেশ ঠান্ডা লাগছে বৃষ্টি হওয়ার কারনে । ইসমাত নিজের গায়ে কম্বল টা জড়িয়ে শুয়ে পড়লো । কখন যে ঘুমিয়ে পড়লো বুঝতে পারে নি । পাহারের চুড়ায় দাড়িয়ে আছে ইয়াদ হঠ্যাৎ কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ইয়াদ কে পাহার থেকে ইসমাত চেষ্টা করছে ইয়াদের হাতটা ধরতে কিন্তুু হাত ধরার আগেই নিচে পড়ে যায় ইয়াদ ইসমাত চিৎকার দিয়ে উঠে যায় । চারপাশটা ভালো করে দেখতে লাগলো এতক্ষন ধরে সপ্ন দেখছিলো সারা শরীল ঘামে ভিজে গেছে । বাহিরের দিকে আলো দেখা যাচ্ছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৭:৪০ বাজে তারমানে সকাল হয়ে গেছে আর ইয়াদ এখনো বাড়ি ফিরে নি । ইয়াদের মাথার চুল গুলো টেনে ছিড়েঁ ফেলতে ইচ্ছে করছে । আরাফের মতো তাহলে ইয়াদ কি অন্য কারোর সাথে সম্পর্ক আছে? নাহ কি সব ভাবছি ইয়াদ কখনো এমন কাজ করতে পারে না কিন্তুু বিশ্বাস করবোই বা কি করে একজন যে আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে । একবার কল করা দরকার কাল হয়তো বৃষ্টির কারনে আসতে পারেনি কিন্তুুু এখন তো বাসায় চলে আসার কথা । ইসমাত নিজের ফোনটা খুজঁতে লাগলো কাল রাতে আছার মেরেছে ফ্লোরে তাকিয়ে দেখে মোবাইল আর মোবাইলে জায়গায় নাই টুকরো টুকরো হয়ে গেছে । নিজের শাড়িটা ঠিক করে ইয়াদের বাবার রুমের দিকে পা বাড়ালো ইসমাত ।
.
ইয়াদের বাবার ফোনটা বাজছে অনেকক্ষন ধরে কিন্তুু রিসিভ করছেন না তিনি । বিরক্ত হয়ে ঘুম জড়ানো কন্ঠে কল রিসিভ করলেন ।
.
ফোনের ওপাশ থেকে :::::::::::::::::::::: আঙ্কেল আপনি তারাতাড়ি সিটি হসপিটালে চলে আসেন ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::::: কিন্তুু আমার তো কোনো দরকার নাই হসপিটালে ।
.
ফোনের ওপাশ থেকে:::::::::::::::::::::: আপনি আসুন আগে তারপর সব বলছি ।সাদাত সাহেব কখন থেকে বসে আছে আপনার কাছে থেকে দরকারি কিছু তথ্য জানার পর আমরা ব্যবস্থা করবো যা করার ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::::: কি হয়েছে আমাকে সবটা খুলে বলুন । আমার ব্যবসায় কি কোনো সমস্যা হয়েছে? ব্যবসা নিয়ে কোনো সমস্যা হলে তো হসপিটালে যেতে বলতেন না ।
.
সাদাত:::::::::::::::::: ইয়াদ এখন কোথায় কিছু জানিস? নাকি তোর যে ছেলে আছে সেটা ভুলে গিয়েছিস ?
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::: ইয়াদ তো তার রুমে ঘুমাচ্ছে । তাছাড়া ইয়াদ এমন কি করেছে যার জন্য তুই বসে আছিস?
.
সাদাত:::::::::::::::::: তুই কেমন বল তো ? তোর ছেলে কাল রাতে বাড়ি ফিরেনি সেটা জানিস না?
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: কি হয়েছে ইয়াদের ? ইয়াদ ঠিক আছে তো?
ইয়াদের নাম শুনে বিছানা থেকে উঠে গেলেন ইয়াদের মা । কেমন যেনো কু ডাকছে তার মনে।
সাদাত:::::::::::::::: ইয়াদ কাল রাতে Accident করেছে শরীরের কন্ডিশন খুব খারাপ । গাড়িতে টাইম বোম ফিট করা ছিলো ইয়াদ গাড়ি থেকে পড়ে যাওয়ার পর গাড়িতে আগুন লেগে যায় ।
আমার মনে হচ্ছে কেউ ইচ্ছে করে গাড়িতে বোম রেখেছিলো ইয়াদ কে মারার জন্য ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::::: কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে । কে এত বড় শএু যে তার ছেলে কে মারতে চাচ্ছে ?
.
সাদাত:::::::::::::::::; তুই তারাতাড়ি হাসপালে চলে আয় । এসব কিছু বাড়িতে বলার দরকার নাই ।ইয়াদের জ্ঞান এখনও ফিরে নি ।
.
ইয়াদের বাবা::::::::::::::: আমার ছেলেটার যেনো কোনো ক্ষতি না হয় ।আমি আসছি তুই ইয়াদের কাছে থাক ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::: কি হয়েছে ইয়াদের ? ইয়াদ হসপিটালে কেনো?
.
ইয়াদের বাবা:::::::::::::::::: ইয়াদের গাড়ি Accident করেছে । কাল রাতে বাড়ি ফিরে নি ইসমাত তো আমাকে কিছু বললো না তুমি না বলো ইসমাত তোমার ঘড়ের লক্ষী । দু দিন হলো না বিয়ে হয়েছে আর আজ আমার ছেলে জীবন চলে যেতে বসেছে ।
.
ইয়াদের মা::::::::::::::::::::: এসব কথা বলার সময় হয়নি । চলো হসপিটালে যাবে । আমার ছেলেটা কার কি ক্ষতি করলো যে তাকে মারতে হবে ।
.
ইসমাত দরজার কাছে দাড়িয়ে রয়েছে নিজেকে আজ অলক্ষী মনে হচ্ছে । বিয়ের দুদিন হতে না হতেই ইয়াদ হাসপাতালে পড়ে আছে । ইয়াদের বাবা ঠিকই বলেছে আমার জন্যই আজ ইয়াদের Accident হলো ।
ইয়াদের বাবা হসপিটালে ডাক্তার আর সাদাত সাহেবের সাথে কথা বলছে । ইয়াদের মা আর ইসমাত দুজনে ইয়াদ কে যে কেবিনে শিফ্ট করা হয়েছে সেখানে যাচ্ছে । ইসমাত কে নিয়ে আসতে চায়নি ইয়াদের বাবা । ইয়াদের কেবিনে ডুকে ইসমাত দেখে ইয়াদ তার পাশে বসা মেয়েটির কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আর মেয়েটি ইয়াদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে ।
ইসমাত কে দেখে ইয়াদ মেয়েটির কোল থেকে মাথা উঠিয়ে নিতে চেষ্টা করছে ।কিন্তুু শরীল এত দুর্বল যে উঠতে পারছেনা । ইসমাত এগিয়ে গেলো ইয়াদের কাছে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে ।
ইয়াদের মা বুঝতে পারছেন এখন যদি তিনি পরিস্থতি সামাল না দেন তাহলে ইয়াদ আর ইসমাতের সম্পর্কটা নষ্ট হতে পারে ।
.
ইয়াদের মা:::::::::::::::::::::: আপনি এখানে কেনো ? ডাক্তার নার্স কাউকে দেখছিনা কেনো?
.
ইয়াদ:::::::::::::: ডাক্তার তো বসে আছে তোমার সামনে ।ইসমাত ও আমার বন্ধুু রুজি । ওর সব থেকে বড় পরিচয় ও আমার বোন ।
.
ইসমাত ::::::::::::::::::::: ইয়াদের কথা না শুনার ভান করলো । পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হতে কতো দিন লাগবে ?
.
রুজি :::::::::::::::::::: ভয়ের কিছু নেই । ঠিকমতো সেবা যত্ন করতে হবে বুঝলে ইসমাত? ইয়াদের জ্ঞান ফিরার পর থেকে শুধু ইসমাত ইসমাত বলে যাচ্ছে ।
ইয়াদের মা:::::::::::::::: আমার ছেলে ঠিক হয়ে যাবে তো?
.
রুজি::::::::::::::::::::::: আন্টি তুমি চিন্তা করো না তাে । এখন ইসমাত চলে এসেছে সব ঠিক হয়ে যাবে
ইয়াদ আমি কি কিছু ভুল বলেছি ?😂😂।
.
ইসমমাত::::::::::::::::::::::: কে এমন করেছে কিছু জানা গেছে?
.
রুজি ::::::::::::::::::::: এসব নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না । যা করার সাদাত আঙ্কেল করবে । আমি কখনো ভাবি নি এত বছর পর ইয়াদ কে দেখবো তাও আবার এমন অবস্থায় ।
ইসমাত আর ইয়াদের মা ইয়াদের কাছে গিয়ে বসলো ।
ইয়াদের মা ইসমাত কে ইয়াদের কাছে বসতে দিয়ে বাহিরে চলে যান । ইসমাত চুপ করে বসে আছে ।ইয়াদ দেখছে ইসমাতের মুখটা কেমন যেনো শুকিয়ে গেছে ।
.
ইয়াদ:::::::::::::::::: তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না ইসমাত?
ইয়াদের কথা শুনে ইয়াদের দিকে তাকায় ইসমাত
.
ইসমাত:::::::::::::::::::: আমি কি কখনও এমন কিছু বলেছিলাম যে আপনাকে বিশ্বাস করি না আমি?
.
ইয়াদ::::::::::::::::: আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছো । কিন্তুু বিশ্বাস করো আমি কখনো বুঝতে পারিনি যে এমন কিছু হয়ে যাবে । তোমার ভালোবাসা আছে বলেই তো বেচেঁ ফিরলাম । রুজি কে আমি তিশার মতো বোন মনে করি । যখন আমার জ্ঞান ফিরে রুজি আমাকে জড়িয়ে সেকি কান্না করেছিলো । জানো পৃথিবীতে কেউ নাই রুজির । সব সময় নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসতো । রুজির বিয়ে হওয়ার পর দেশ থেকে চলে যায় । তাই তুমি রুজিকে আমাদের বাড়িতে দেখো নি । জানো রুজির একটা পুচকি হয়েছে দেখতে ঠিক রুজির কার্বন কপি ।
.
ইসমাত:::::::::::::::: আমি কি আপনাকে এসব জিজ্ঞাসা করেছি? চুপ করুন তো । রুজি যতদিন দেশে থাকবে তত দিন সে আমাদের বাড়িতে থাকবে ।
.
ইয়াদ::::::::::::::::: নিশিতা আর বাবা কে দেখছি না কেনো?
.
ইসমাত::::::::::::::::::: নিশিতা ফুলির কাছে রয়েছে । বাবা ডক্টরের সাথে কথা বলছে ।
.
ইয়াদ:::::::;::::::::::: আজ যদি একটা ডাক্তার বউ থাকতো তাহলে সে নিজে আমার সেবাযত্ন করতো । কোনো নার্স আমার সেবা করতে হতো না । ভাবছি আমার একটা ডাক্তার বউ লাগবে যে আমার শরীলের অসুখের সাথে মনের অসুখ দূর করবে 😊।
.
ইসমমাত:::::::::::::::::: বিয়ে আর এক টা করলে ত হয়ে যায় 😒😒
.
ইয়াদ :::::::::::::::::::: তাই করতে হবে দেখছি 😜
.
ইসমাত’:::::::::::::::::: ইয়াদের কাছে থেকে উঠে যায় । ইসমাত বুঝতে পারছে ইয়াদের বাবার কথা ঠিক।
.
ইয়াদ ::::::::::::::::::: ইসমাতের হাতটা ধরলো
তুমি কি পাগল হয়ে গেলে যে তোমাকে ছেড়ে আমি আর একজন কে বিয়ে করবো? জানি তুমি এখনও আমাকে বিশ্বাস করতে পারছোনা । আমি চাইনা আমাদের মাঝে কেউ দেয়াল হয়ে আসুক । একবার আমাকে বিশ্বাস করে দেখো ।
.
ইসমাত::::::: ::::::::::: হুম । এখন চুপ করে ঘুমান তো আপনার রেষ্টের প্রয়োজন । আমি আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি ।
কিছুদিন পরে . . . . . . . . . . .
ইয়াদ সম্পর্ন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যায় । ইয়াদের বাবার কম্পানির একজন ইয়াদ কে মেরে ফেলতে চেয়েছে । ইয়াদ মারা গেলে ইয়াদের বাবার কম্পানির দেখাশোনা করার কেউ থাকবে না ।পুলিশ তাকে এরেষ্ট করেছে । জবান বন্ধি সে নিজে সব কিছু স্বীকার করেছে ।তার শাস্তুির ব্যবস্থা হয়ে গেছে ।
.
.
৭বছর পর
ইয়াদ:::::::::::::::::::: তুমি কি এখনও ঘুমিয়ে থাকবে ? আজ যে তোমার হসপিটালে প্রথম দিন ভুলে গেলে? ডাক্তার যদি বাসায় পরে পরে ঘুমায় তাহলে রোগীর অবস্থা কি হবে বলো তো?
.
ইসমাত::::::::::::::::::: উহু, তুমি যাও তো তোমাদের জন্য শান্তিতে ঘুমাতে পারছিনা । একবার ছেলে ডাকে আর একবার মেয়ে ডাকে আর নাহয় বাচ্চাদের বাবা ডাকে । তোমরা কি আমাকে ঘুমাতে দিবে না?
.
ইফতি::::::::::::::::: ইসমাতের গাল ধরে ইসমাতের গালে একটা কিস করলো । নরম তুলতুলে হাতের স্পর্শটা খুব বেশি ভালোবাসে ইসমাত ।
ইফতিকে জড়িয়ে ধরে নিজের বুকের মাঝে । মায়ের ভালোবাসার জন্য সব বাচ্চারা পাগল । ইফতিকে আদর করতে দেখে গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে আছে নিশিতা । মেয়েটা বড় হয়ে গেছে কিন্তুু ছোট ভাইকে আদর করতে দেখলে হিংসে হয় নিশিতার ।
ইসমাত দুজন কে নিজের কাছে নিয়ে দুজন কে দুটো কিস করলো ।
.
হসপিটালে যাওয়ার পর ইসমাতের হাতে একটা ফাইল দিলেন মনজু সাহেব । ইসমাত ভয় পাচ্ছে কিন্তুু তাকে শান্তনা দিচ্ছে যে ভয়ের কিছু নাই । মনজু সাহেব বলে দিয়েছে রোগীর সময় প্রায় শেষ আর কিছুদিন বাচঁবে সে। কিন্তুু লোকটির মনে বেচেঁ থাকার জন্য কোনো আগ্রহ দেখতে পাচ্ছিনা আমি ।ইসমাত রোগীর কেবিনের কাছে আসার পর নিজের হ্রদস্পন্দন এর শব্দ শুনতে পাচ্ছে বুকের ভিতর কেমন যেনো একটা অনুভব করতে পারছে ।
.
ইসমাত:::::::::::::::::::: দেখুন পৃথিবী তে আমরা কেউ অমর হয়ে থাকবো না । সবাই কে চলে যেতে হবে একদিন । তাই বলে আপনি বাচাঁর চেষ্টা করবেন না বলুন তো ?
কন্ঠটা খুব পরিচিত মনে হচ্ছে পিছন ফিরে ইসমাত কে দেখতে পাচ্ছে ।ইসমাত আরাফ কে দেখে উঠে দাড়ায় ।
.
আরাফ::::::::::::::::::: ইসমাতের হাত দুটো ধরে । তোমাকে খোজেঁ পাবো কখনো ভাবিনি আমি । কোথায় ছিলে এতো দিন ? কতো জায়গায় খুজেঁছি তোমায় ?
.
ইসমাত::::::::::::::: আরাফ কে দেখে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে মানুষটাকে এত দিন পরে দেখতে পেয়ে যেমন কষ্ট লাগছে তার চেয়ে বেশি কষ্ট লাগছে । আজ এতদিন পর কেনো এসেছে আরাফ?
.
আরাফ:::::::::: ::::::: :: তুমি আমাকে ক্ষমা করে দেও ইসমাত । আমি ভুল করেছি তোমার কথা বিশ্বাস না করে তোমাকে ছাড়া এই সাত বছর সাত জনম মনে হয়েছে । আরাফ ইসমাত কে জড়িয়ে ধরলো
.