#অবৈধ_সম্পর্ক
Part: 3 + 4
Writer: Sukhi Akther ✍️
.
.
.
.
ইসমাত কে এমন করতে দেখে খুব হাসি পাচ্ছে আরাফের হাসি চাপিয়ে রাখতে না পেরে 😂😂😂😂😂😂হেসে দিল আরাফ | ইসমাত কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে ভালবাসার পরশ ভুলিয়ে দিল আরাফ | লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে যাচ্ছে ইসমাতের | আরাফ ইসমাতের জামার দিকে তাকিয়ে বললে লাগলো ,
আরাফ—- তোমাকে তো খুব হট লাগছে বেবি এই Dress Up এ:-*
ইসমাত— হুহ 😒
ইসমাতের মুখ টা এমন করতে দেখে হাসি পাচ্ছে আরাফের😂😂
night Dress up এ মেয়েদের কে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে 😍😍
উফ 🙈
আলাদা একটা লুক আসে ☺
নিজেকে কন্টোল করা কঠিন হয়ে পড়ে
এই ধর তোমাকে দেখে এখন আমি কন্টোল করতে পারছি না নিজেকে
ইসমমাত—আপনি জানলেন কি করে?
আমি তো আজ ফাস্ট এটা পড়লাম।
আপনি এতটা সিউর হয়ে কি করে বলছেন?
সন্দেহের চোখে তাকায় আরাফের দিকে
আরাফ বুঝতে পারছে ইসমাতের তাকানো রহস্য
সব কিছু স্বাভাবিক করতে আরাফ বললো,
আরাফ—-এটা কেমন প্রশ্ন ইসমাত ?কারোর সাথে অন্তরঙ্গ সময় না কাটাঁলে কি জানা যাবেনা
এসব জানতে পারলাম বন্ধুদের কাছে থেকে রাতে বউদের সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলা কতো সুন্দর করে বনর্না করে তুমি জানবে কি করে
ইসমাত–চুপ
আরাফ–তুমি শুধু আমাকে সন্দেহটাই করো 😒
ইসমাত— না সন্দেহ করবো কেন ?
আমি তো জানতাম না আগে আপনি এসব কিছু আপনার বন্ধুদের কাছে থেকে জেনেছেন
তুমি কি করে জানবে বেবি
বৃষ্টির সাথে কতোটা অন্তরঙ্গ সম্পর্ক কাটিয়েছি আমি
চলুন খেয়ে নিবেন বললো ইসমাত
আরাফ– হু খাব তো বলে কুলে করে খাটে শুয়ে দিল ইসমাত কে
দুজন কিছুটা সময়ের জন্য হাড়িয়ে গেল অন্য এক জগতে
পরের দিন 💜
ভোরের আলোয় ঘুম ভেঙ্গে যায় ইসমাতের
শাড়িটা গায়ে জরিয়ে শাওয়াল নিতে যায় সে
আরাফ ঘুমের ঘোরে ইসমাতের উপর হাত দিয়ে দেখে বিছানা খালি
এক লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে যায় সে
এদিক ঐদিক চোখ ভুলাতে থাকে আরাফ
ওয়াসরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ আসছে দেখে শান্ত হয় আরাফ
ওয়াসরুম থেকে বের হয়ে আসে ইসমাত
আরাফ কে দেখে লজ্জা পেয়ে যায় সে কাল রাতের ঐ মুহুর্তের কথা গুলা ভাবতে
আরাফের চোখে চোখ মিলাতে পারছেনা সে
আরাফ তো ইসমাত কে দেখে পুরাই :O :O হয়ে গেছে
মাএ শাওয়াল নিয়ে বের হলো ইসমাত
চুল থেকে টপটপ পানি পড়ছে
আরাফ ঘুমিয়ে আছে ভেবে শাড়িটা না পড়ে বের হয়ে আসে সে
আরাফ ইসমাত কে বললো,
আরাফ— কাল রাতে আদর করার ফলে আজ তো আগের থেকে বেশি সুন্দর লাগছে তোমাকে 😍😍
আরাফের কথাটা শুনে ইসমাত আরও লজ্জা পেলো
শাড়িটা নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে পা বাড়াতেই
আরাফ ইসমাত কে এক হেচকা টান দিয়ে নিজের উপর ফেলে দেয়ে
ইসমাত ঠোটঁ আরাফের ঠোটঁ স্পর্শ করতেই দু হাত দিয়ে আরাফের চুল গুলা শক্ত করে জরিয়ে ধরে
কিছুহ্মন পর ছেড়ে দেয় আরাফ ইসমাত কে
জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে দুজন
ইসমাত লজ্জা পেয়ে শাড়িটা নিজের গায়ে জরিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়
সকাল ১০:০০
ইসমাত আরাফ কে নিয়ে কলেজে যায় তার ফর্ম ফিলাপ করার জন্য | ইসমাত কলেজের ভিতরে চলে যাওয়ার পর আরাফ বাসায় চলে আসে |ইসমাত কে কলেজ থেকে নিয়ে আসার জন্য কলেজে গেইটে দাড়ায় আরাফ | কোথায় থেকে ঝড়ের গতিতে কেউ একজন আসে | আরাফ পিছন ফিরে মেয়েটি কে দেখে তো অবাক চোখের সামনে যেন কোন এক পরী কে দেখছে সে চোখের পলক ফেলতে চাইছেনা যেন তার চোখ
দুজন দুজনার দিকে এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে | চলুন আমার হয়ে গেছে ক থাটা শুনে ঘোর কাটে আরাফের পিছনে তাকিয়ে দেখে ইসমাত দাড়িয়ে আছে |
.
.#অবৈধ_সম্পর্ক
Part:4
Writer: Sukhi Akther ✍️
.
.
.
আরাফ সারাদিন শুধুমাএ ঐ মেয়েটির কথা ভেবেছিল
মনের মাঝে মেয়েটির জন্য আলাদা একটা অনুভূতি সৃষ্টি হচ্ছে
উফ, যা ফিগার দেখতে :-*
চোখে চাহনি টা যে কারোর মন চুরি করার জন্য যথেষ্ট
মেয়েটির কথা একবার কি বললো ইসমাত কে ??যেহেতু দুজন এক কলেজে পড়ে মেয়েটির কথা ইসমাত জানতেই পারে
ইসমাত কে জিজ্ঞাসা করলে আমাকে আবার সন্দেহ করতে পারে
মেয়েটির সম্পর্কে আমাকেই খোজঁ করতেই হবে
এই প্রথম কাউকে দেখে মনের ভিতর আলাদা একটা অনুভূতি হচ্ছে তাকে কাছে পাওয়ার
মনে মনে ভাবতে থাকে আরাফ
অন্যদিকে ইসমাত কলেজ থেকে আসার পর থেকে লহ্ম করছে যে আরাফ কিছু একটা কথা ভাবছে যা সে বুঝতে পারছে না
একবার কি জিজ্ঞাসা করবে আরাফ কে সে ?
জিজ্ঞাসা করলে যদি আরাফ ভুল বুঝে ইসমাত কে
না আর কিছু ভাবতে পারছেনা ইসমাত
খুব ভয় হয় যদি তাকে ছেড়ে চলে যায়
কোথায় যাবে সে ছোটবেলায় মা বাবা কে হারিয়ে মামার কাছে বড় হয়েছে
মামীর হাজারও কথা শুনতে হতো তাকে প্রতিদিন
চোখের জলই ছিল তার নিত্যসঙ্গী
আরাফই এখন তার বেচেঁ থাকার আবাসস্থল
তাকে ছাড়া অচল সে সোফায় বসে ভাবতে লাগলো ইসমাত
হঠাৎ তার কাদেঁ কারও হাতের স্পর্শ পেয়ে ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তবে আসে ইসমাত
হাত রাখা ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে দেখে তার শাশুরি দাড়িয়ে আছে
শাশুরি —-কি রে হলো তোদের দুজনের আবার ?কলেজ থেকে আসার পর থেকে দেখছি দুজনে কি যেন ভাবছিস
কিছু হয়েছে কি আবার?
ইসমাত—-মা কিছু হয়নি তুমি অযথা চিন্তা করছো কেনো?
আরাফের মা যেন ইসমাতের কথায় তিনি তার কথার উওর পাননি
কিছু একটা নিয়ে দুজন চিন্তা করছে তা তো দুজন কে দেখে বুঝা যাচ্ছে
আরাফের মা— আরাফ কে নিয়ে খেতে আসো ,আমি খাবার দিচ্ছি বলে চলে গেলেন তিনি
ইসমাত বারান্দায় গিয়ে দেখে আরাফ দাড়িয়ে আছে
নিজের হাত আরাফের পিঠে রাখতেই চমকে উঠে আরাফ
আরাফ কে চমকে যেতে দেখে ইসমাত অবাক হলো এমন চমকে যাওয়ার মতো কিছু তো সে করেনি
ইসমাত—মা ডাকছে চলুন খাবেন
আরাফ—হুম তুমি যাও আমি আসছি
ইসমাত–না আপনিও চলুন
আমাকে একা দেখে মা অনেক কথা জিজ্ঞাসা করবে
আরাফের ইসমাতের কথায় কেমন একটা বিরক্ত লাগছে এখন বিরক্তবোধ নিয়ে সে বললো
আরাফ—হুম চলো
খাবার টেবিলে কেউ কোন কথা বলছে না যে যার মতো খেয়ে শুয়ে পড়লো
দুজন দু দিকে মুখ করে শুয়ে আছে
আরাফ ভাবছে কি করে যোগাযোগ করবে মেয়েটার সাথে
কথা না বলতে পারলে শান্ত হবে না আরাফের মন
মেয়েটিকে ভালবেসে ফেলেছে সে
যে করে হোক মেয়েটিকে তার চাই সারা জীবনের জন্য
মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য দরকার হলে ইসমাত কে তার জীবন থেকে শরিয়ে দিবে সে
ইসমাত কে সে মন থেকে ভালবাসতে পারেনি
আর বৃষ্টি সে তো যাস্ট টাইম পাস ছিল
ওদের দুজন কে শুধু বিছানার সঙ্গী করা যায়
ভালবাসা যায় না
আরাফের কি হলো যে এত চুপ চাপ
যে কিনা প্রতিদিন জ্বালিয়ে ছাড়তো তাকে ঘুমানোর সময়
আজ এত শান্ত হয়ে আছে
ইসমাত আরাফ কে জরিয়ে ধরে বললো
ইসমাত—আপনি ঘুমিয়ে গেছেন কি?
আরাফ–না কিছু বলবে ?
ইসমাত—আচ্ছা আমি কি ভুল কিছু কিরেছি?
আরাফ—হঠাৎ এই কথা কেনো বলছো?
ইসমাত—সকালে কলেজ থেকে আসার পর থেকে কোন কথা বলছেন না আমার সাথে
কি হয়েছে আপনার??
আরাফ—কিছু হয়নি
ইসমাত—তাহলে কি ভাবছেন এতো?
আরাফ—ভাবছি আমার বউটা কে ছাড়া কি করে থাকবো ঢাকায়
ইসমাত—আমারও আপনাকে ছাড়া থাকতে ভাল লাগে না
আরাফ—হুম চিন্তা করো না খুব তারাতাড়ি নিয়ে যাব আমার কাছে
বলে ইসমাত কে নিজের বাহু ডরে চেপে ধরলো তাকে
ইসমাত—আচ্ছা আপনি ঢাকায় কখন যাবেন?
আরাফ—কালই
ইসমাত—আর কিছুদিন থাকলে হয়না?
আরাফ—আমি তো আবার চলে আসবো তোমার কাছে চিন্তা করছো কেনো?
ইসমাত—-আপনাকে ছাড়া কিছু ভালো লাগেনা আমার
আরাফ—-আমাকে ছাড়া নাকি আমার আদর ছাড়া থাকতে কষ্ট হয় তোমার বলে 😂😂😂 শুরু করলো আরাফ
ইসমাত লজ্জা পেয়ে মুখ লুকালো আরাফের বুকে
আরাফ নিজের শরীলের সম্পর্ন ভার ইসমাতের উপরে দিল
ধীরে ধীরে ইসমাতের ঠােটেঁর কাছে নিজের ঠোটঁ নিতে লাগলো আরাফ
ইসমাতের ঠোটঁ কাপছে সেটা দেখে আরাফের মনের মাঝে অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে
ইসমাতের শরীল থেকে শাড়িটা খুলে ফেললো আরাফ
ইসমাতের চুলে মুখ গুজে দিল সে
আরাফ শুধু এই শরীল টাকে ভালবাসে মানুষটাকে নয়
একসময় কান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো দুজনে
সকাল
ফজরে আযান হচ্ছে চারদিকে ইসমাত শাওয়াল নিয়ে ফজরের নামাজটা আদায় করে নিল সে
কি মনে করে যেন ইসমাত আরাফের ফোনটা হাতে নিল
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে ফোনে লক দেওয়া কয়েকবার Try করতেই খুলে যায় লক
একটা মেসেজ দেখে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ইসমাতের আরাফ তাকে এভাবে বোকা বানাচ্ছে প্রতিনিয়ত
চলবে
(ভুল এুটি হ্মমা করবেন)
