#অবৈধ সম্পর্ক
#Part: 1+2
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
ইসমাতের নগ্ন দেহে ঔষুধ লাগিয়ে দিচ্ছে আরাফ ! কিছুহ্মন আগে ইসমাত কে মেরে তার শরীল রক্তাক্ত করে ফেলেছে আরাফ ! খুব ভালবেসে বিয়ে করেছে ইসমাত কে ! তার অনুপস্থিতে অন্য পুরুষের সঙ্গ দেয় ইসমাত ! কখনো বুঝতে পারতো না যদি আজ কাউকে না জানিয়ে সে বাড়িতে আসতো ! কি কম রেখেছি আমি যে অন্যের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করতে হবে??
.
.
সারা শরীলে বেল্টের বাড়ির দাগ গুলা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ! কতো বার বলেছি আমার সাথে চল ঢাকায় কিন্তুু সে যাবে না ঢাকায় ! উফ ছাড়েন আমার শরীল জ্বলে বলে চেচিয়ে উঠলো ইসমাত! চুপ একদম চুপ এমন কাজ কেন করিছ যার জন্য আজ তোকে মারতে হলো!
.
.
আমি কিছু করি নি আপনি ভুল বুঝতেছেন আমাকে! বলে কাদতেঁ লাগলো ইসমাত!
.
.
.
ইসমাতের কথা গুলা শোনার পর রাগে শরীল টা আরও জ্বলছে আরাফের ! ইসমাতের চুলের মুঠোটা ধরে জোরে কয়েকটা চড় মারলো ! তারপরও শান্ত হতে পারছে না আরাফ ! পর পুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে ভাল লাগে না?? আজ আমি তোমার এমন অবস্থা করবো বলে ! হাত ধরে টানতে টানতে বিছানায় ফেলে দেয় ইসমাত কে !সারা শরীল জ্বলছে তার উপর আবার বিছানায় জোরে ফেলে দেওয়ার কারনে চিৎকার দিয়ে উঠে ইসমাত !
.
.
ইসমাতঃছাড়ুন আমাকে
.
আরাফঃছাড়বো কেন? আমি ধরলেই খালি দোষ?? পর পুরুষের সাথে রাত কাটাও তাতে কিছু হয়না ?
.
ইসমাতঃ আপনি আমার কথাটা ঠান্ডা মাথায় শুনুন প্লীজ !তারপর যা শাস্তি দেওয়ার দিবেন!
.
.
আরাফ ইসমাত কে আর কিছু বলতে না দিয়ে নিজের ঠোটঁ ইসমাতের ঠোটেঁর সাথে এক করে নেয়! নিজের শরীলের সর্ম্পন ভার ইসমাতের উপর দেয় আরাফ! নিজেকে ছাড়ানোর বিথা চেষ্টা করছে ইসমাত সে জানে আরাফ কে শান্ত করার এ ছাড়া আর কোন উপায় নাই! তাই ইসমাত আরাফের সাথে সমান তাল মিলাচ্ছে ! আরাফ ইসমাতের চুলে নিজের মুখ গুজে দিল . . . . এক জন আরেক জনের প্রতিটা নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছে ! আরাফ ইসমাতের শরীল থেকে শাড়িটা এক টানে খুলে ফেলে ! ইসমাতের মাঝে আরাফ নিজের শান্তি খুজছে ! ইসমাত কোন বাধা দিচ্ছেনা আরাফ কে বাধা দিলেও আরাফ শোনবে না ইসমাত ভাল করেই জানে !
.
.
.
২০ মিনিট পর,
আরাফ কান্ত হয়ে শুয়ে পড়ে ! ইসমাতের সারা শরীলে প্রচন্ড পরিমানে ব্যথা করছে! ঠোটঁ দুইটা ফুলে গেছে . . . .গলায় আর বুকে কালো দাগ পড়ে গেছে !
.
.
ইসমাত HSC Candidate পরীহ্মায় আর বেশি দিন বাকি নেই ! রাত জেগে পড়ার কারনে মাথায় প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছিল যার জন্য সে গোসল করেছিল রাতে ! আরাফ ভেবেছিল ইসমাতের সাথে অন্য কারোর অবৈধ সম্পর্ক আছে ! কি মারটাই মারলো আরাফ তাকে মনে মনে ভাবতে লাগলো ইসমাত!
.
.
চারদিকে মসজিদ থেকে ফজরের আযান শুনা যাচ্ছে ! ইসমাত বিছানা ছেড়ে উঠে গোসল করে নামাজ পড়ে নেয় !
.
.
.
সকাল ১০:০০
আরাফ ঘুম থেকে উঠে ইসমাত না দেখতে পেয়ে ডাকতে শুরু করে ! আরাফের ডাক শুনে রুমে আসে ইসমাত ! ইসমাত কে দেখে শান্ত হয় আরাফ !
.
.
আরাফঃ একদিন বলেছি আমাকে বিছানায় ফেলে উঠে যাবে না ( রেগে বললো আরাফ)
.
.
ইসমাতঃ আপনি তো ঘুমিয়ে ছিলেন তাই আমি মা কে রান্না ঘরে হেল্প করছিলাম( শান্ত ভাবে বললো)
.
.
রান্না ঘরে কাজ করার জন্য ইসমাত তার শাড়ির আচলঁ টা কোমড়ে বেধে রাখলো যার জন্য পেটের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে যা দেখে আরাফ চোখ ফেরাতে পারছে না ! একটানে নিজের কাছে নিয়ে আসে আফিয়াকে ! গাড়ে মাথাটা দিয়ে চুলের গন্ধ শুখতে থাকে! নিজের বাহু ডরে চেপে ধরে একটার পর একটা চুমু দিতে থাকে ! হঠাৎ আরাফের ফোনটা বেজে উঠলো Skin নে বৃষ্টি নামটা ভেসে উঠলো একটা মুচকি হাসি দিয়ে ইসমাত কে ছেড়ে দিয়ে বাহিরে বের হয়ে যায় আরাফ !
.
.
বৃষ্টি ঃ Hey janu
.
.
আরাফঃ আমার জান টা কি করছে ??
.
উওর পাওয়ার আগেই পিছনে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে ইসমাত দাড়িয়ে আছে!
.
.
Part:2
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
বৃষ্টি ঃ Hey janu
.
.
আরাফঃ আমার জান টা কি করছে ??
.
উওর পাওয়ার আগেই পিছনে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে ইসমাত দাড়িয়ে আছে!
.
.
ইসমাত কে দেখে আরাফ ভয় পেয়ে যায় | আরাফ ফোন টা আবার কানের কাছে নিয়ে বলতে থাকে |
.
.
আরাফঃ হুম দোস বল , ওহ আচ্ছা পরে কথা বলি তোর ভাবি আসছে বলে ফোন টা কেটে দেয়!
.
.
ইসমাত এখন নিজের জায়গায় দাড়িয়ে আছে ! আরাফ ইসমাতের কাছে গিয়ে মুচকি একটা হাসি দেয় সব কিছু স্বাভাবিক করার জন্য !
.
.
কিন্তুু ইসমাত আরাফ কে কিছু না বলে কাদতেঁ কাদতেঁ রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়! ফ্লোরে বসে কাদঁতে থাকে ! আরাফ কেন তাকে ঠকিয়েছে ? কম ভালবাসে কি সে আরাফ কে ? তার উওর জানা নেই ইসমাতের| ঘৃনায় নিজের শরীলের কাপর ছিড়ে ফেলছে সে!
.
.
আরাফ অনেহ্মন ধরে দরজা ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তুু ইসমাত দরজা খুলেনি !
.
.
আরাফ জানে ইসমাত রেগে আছে এখন সে হাজার বার বললেও দরজা খুলবেনা | আরাফ জানে কি করে ইসমাতের রাগ ভাঙ্গাতে হবে ! আরাফ বাসা থেকে বের হয়ে যায় কাউকে কিছু না বলে রাগ হচ্ছে বৃষ্টির উপর একটু পর ফোন দিলে তো আর ইসমাত কিছু বুঝতে পারতোনা! ভুলটা তারই হয়েছে বৃষ্টিকে বলে আসা দরকার ছিল বাড়িতে যাচ্ছে সে!
.
.
দরজায় জোরে জোরে ধাক্কা দেওয়ার ফলে ঘুম ভেঙ্গে যায় ইসমাতের | কাদঁতে কাদঁতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছে ফ্লোরে মনে করতে পারছে না ইসমাত| দরজা খুলে দেখে আরাফের মা আর বোন দাড়িয়ে আছে
ইসমাত দেখে অবাক হয়ে যায় আরাফের মা কি অবস্থা করেছে সে নিজেকে
.
চোখ মুখ ফুলে গেছে মুখটা শুকিয়ে গেছে মেয়েটার |
আরাফের মা ইসমাত কে নিজের কাছে বসিয়ে বললেন,
.
.
আরাফের মাঃ আমি জানি আরাফ যা করছে তা ঠিক করেনি | তোর পরীহ্মাটা শেষ হলেই আরাফের সাথে ঢাকায় চলে যাবি ! সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে | এখনর খাবি চল সারাদিন না খেয়ে শরীলের কি অবস্থা করেছিস দেখ আয়নায় নিজেকে
.
.
ইসমাত কিছু বলছে না তাকিয়ে আছে আরাফের মায়ের দিকে |
.
.
ইসমাত কে চুপ থাকতে দেখে তিনি আবার বললেন,
.
.
আরাফের মাঃ নিজের স্বামীকে ভালবাসা দিয়ে নিজের করে রাখতে হয় | সব কিছু ভুলে গিয়ে আরাফের দিকে আরও বেশি করে লহ্ম রাখতে হবে তোকে ! এখন চল খাবি
.
.
ইসমাতঃ জ্বী হুম
.
.
আরাফের বোনঃ ভাবি চল আগে খেয়ে নিবে তারপর আমরা দুজন মিলে আড্ডা দিব
.
.
আরাফের মাঃ মুচকি একটা হাসি দিয়ে চল তোরা দুজন আমি খাবার রেডি করছি |
.
.
রাত ১২:০০
আরাফ বাসা আসে রুমে গিয়ে দেখে ইসমাত রুমে নেই | বাথরুম বারান্দায় খুজে দেখে কোথাও নেই ইসমাত | হঠাৎ তার মনে হলো মায়ের রুমে নেই তো ইসমাত? থাকতেই পারে দেখা যাক | আরাফ মায়ের রুমে গিয়ে দেখে ইসমাত আরাফের মায়ের সাথে খাটে শুয়ে আছে
.
.
ইসমাত কে দেখে একটা মুচকি হাসি দিয়ে রুমে ডুকলো আরাফ | ইসমাত আমাকে খাবার দাও খুব খিদে পেয়েছে আমার বললো আরাফ | ইসমাত নিজের জায়গায় বসে আছে | আরাফ চেচিয়ে আবার বললো ইসমাত খাবার টা নিয়ে রুমে আসো ! আমি রুমে চলে যাচ্ছি তুমি তারাতাড়ি রুমে আসো বলে নিজের রুমে চলে যায় আরাফ
.
.
আরাফের মা জোর করে ইসমাত কে আরাফের খাবার টা হাতে দিয়ে রুমে পাঠায় |
.
.
ইসমাত রুমে গিয়ে খাবার টা টেবিলে রেখে রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়া জন্য পা বারালো | আরাফ এসে হাতটা দরে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে
.
.
ইসমাত নিজেকে আরাফের কাছে থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে | তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না ইসমাত ? আমি তোমার মতো এতো কিউট একটা বউ রেখে কেন আরেক জনের সাথে সম্পর্ক রাখবো ? বললো আরাফ
.
.
ইসমাত কিছু বলছে না চুপ করে শুনে যাচ্ছে আরাফের কথা | আরাফ ইসমাত কে চুপ থাকতে দেখে মনে মনে শান্তি পাচ্ছে ইসমাত কে যে করে হোক সকালের কথাটা তার মাথা থেকে দূর করতে হবে | আরাফ আবার বলতে লাগলো,
.
.
আরাফঃ তোমার পরীহ্মাটা শেষ হলে তোমাকে আমার সাথে ঢাকা নিয়ে যাব
.
.
ইসমাতঃ হু
.
.
আরাফঃ যাও এটা পরে আসো তুমি |
একটা পেকেট দিয়ে হাতে
.
.
ইসমাতঃ কি এটা ?
আরাফঃ Night Dress
ইসমাতঃ ছি ছি এতো ছোট কেন Dress টা ?? আমি এটা পড়তে পারবো না
আরাফঃ যাও ইসমাত (চেচিয়ে বললো কথাটা)
ইসমাতঃ আপনি খাবেন না??
আরাফঃ খাবো তো তুমি আগে এটা পরে আসো |
.
.
অনেহ্মন ধরে দরজা ধাক্কা দিচ্ছে আরাফ
ইসমাত এত ছোট কাপড় এর আগে কখনো পড়ে নি সে
ইসমাত বাথরুম থেকে বের হয়ে আসে নিজের দু হাত দিয়ে বুক ডেকে রাখছে |
.
বার বার Dress টা টেনে নিজের শরীল ডাকতে লাগলো
সে
ইসমাত কে এমন করতে দেখে খুব হাসি পাচ্ছে আরাফের হাসি চাপিয়ে রাখতে না পেরে 😂😂😂😂😂😂হেসে দিল আরাফ |
.
.
চলবে?
