#অবৈধ_সম্পর্ক
Part:7 + 8
Writer:Sukhi Akther✍️
.
.
.
.
.
পিছনে ফিরে ইসমাত তার শাশুরি কে দেখতে পেয়ে তার মনের ভয়টা কেটে গেছে ।
আরাফের মা—কি খোজঁতেছিস ?? ঐ দিকে কেনো গিয়েছিলি আমাকে না বলে? [ রেগে বললেন আরাফের মা]
ইসমাত —মা আমি এখানে আরাফ কে দেখেছিলাম ।
আরাফের মা—পাগল হয়ে যাচ্ছো তুমি ইসমাত ।
আরাফ আসবে কোথায় থেকে ? আরাফ তো ঢাকায় আছে ।
যদি এখানে আরাফ আসতো তাহলে আমাদের সাথে দেখা না করে চলে যেতো না ।
মানলাম তোমার সাথে আরাফের সম্পর্ক টা ভালো যাচ্ছে না তাই বলে আমাদের দেখে আরাফ চলে যাবে ?
এসব চিন্তা বাধ দিয়ে কলেজে যাও ।
আরাফের মায়ের কেমন যেন একটা খটকা লাগলো ইসমাত তাকে কখনো ভুল কিছু বলবে না ।
তিনি নিজেও দেখেছিলেন আরাফের মতো দেখতে কেউ একজন ছিল এখানে ।
নিশ্চয় আরাফ কে দেখেছিল ইসমাত
আরাফের মা আরাফ কে ফোন করে বলে দিয়েছে ছুটি নিয়ে চলে আসতে বাড়িতে ।
ইসমাত কে সাথে নিয়ে ঢাকায় যেতে হবে আরাফের ।
আরাফ কিছুতে রাজী হতে চায়নি মায়ের জোরা জুড়ির ফলে রাজী হয় সে ।
এতহ্মন আরাফ আর তার মায়ের কথা শুনছিল তনয়া ।
হ্যা , আরাফ এতদিন তনয়াকে খোজঁ ছিল
আজ জানতে পেরেছে মেয়েটির নাম তনয়া ।
ঠিক সময় যদি তনয়া আরাফ কে টেনে না নিয়ে আসতো তাহলে ইসমাত আর তার মায়ের অনেক কথা শোনতে হতো তাকে
ইসমাত যেভাবে এগিয়ে আসছিল আরাফের দিকে একটু হলে ধরা পড়ে যেত সে ।
যাক বাবা শেষে তনয়ার কারনে বেচেঁ গেলাম ।
তনয়া—-এত কি ভাবছেন আপনি ?? ইসমাত কে পেয়ে নিশ্চয় আমাকে ভুলে যাবেন আপনি 😒 ।
আরাফ—what ? তোমার মাথা ঠিক আছে তো ? তোমাকে ভুলে যাব আমি?
তনয়া—ইসমাতের মতো এত সুন্দর একটা মেয়েকে রেখে আমাকে কেনই বা ভালবাসতে যাবেন😖
আমি আপনাকে ভালবেসে ফেলেছি আরাফ
আরাফ—আমিও তোমাকে ভালবেসে ফেলেছি 😍😍
তোমাকে ভুলে যাওয়া আমার পহ্মে সম্ভব না তনয়া ।
আরাফের মনে শুধু একটাই নাম থাকবে সেটা হলো তনয়া :-* ।
তনয়ার কপালে আলতো করে একটা কিস করলো আরাফ ।
তোমাকে দেখার পর একটা রাতও ঘুমাতে পারিনি আমি শান্তিতে ।
সব সময় শুধু তোমার মুখটাই ভেসে আসতো চোখের সামনে
খুব ভয় হতো আমার সম্পর্কে সব কিছু জেনে যদি আমাকে ফিরিয়ে দাও ।
মরে যেতাম আমি তোমাকে ছাড়া বলতেই আরাফের মুখ চেপে ধরলো তনয়া ।
তনয়া—চুপ করবে তুমি [ রেগে বললো]
আরাফ—আমাকে বলতে দাও আজ ।
আমি ইসমাত কে কখনো ভালবাসতে পারি নি মন থেকে ।
শুধুমাএ মায়ের কথা রাখতে বিয়ে করেছিলাম ইসমাত কে ।
তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিও না তনয়া
আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না ।
তনয়া—মুখে বিজয়ের হাসি ফুটিয়ে তোমাকে আমার ফাস্ট দেখাতে মনের মাঝে আলাদা একটা অনুভূতি হয়েছিল
কিন্তুু যখন জানতে পারলাম তুমি ইসমাতের হাসবেন্ড
তখন ভেবেছিলাম তোমাকে নিজের করে পাওয়া হবে না হয়তো কখনো [চোখের পানি মুছতে মুছতে বললো ]
আরাফ—বোকা মেয়ে কাদোঁ কেনো ? আমি তো তোমারই আছি ।
তনয়া—কিন্তুু ইসমাত?
আরাফ—ইসমাতের কথা তোমাকে চিন্তা করতে হবে না
তনয়া—তোমার মা কি আমাদের সম্পর্কটা মেনে নিবে আরাফ? যদি মেনে না নেয় তাহলে ভুলে যাবে আমাকে ? [কাদোঁ কাদোঁ ভাব নিয়ে বললো ]
আরাফ—এবার না হয় মায়ের কথার অবাধ্য হবো তোমার জন্য ।
আমার জীবনে কে থাকবে না থাকবে সেটা আমি ঠিক করবো ।
তনয়া—হুহ
আরাফ—এখন মন খারাপ করে থাকবে?হাসো তো একটু
তোমার হাসি মুখটা দেখতে চাই
তনয়া— হেসে দিল
আজ যে তনয়ার সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা এই দিনটার অপেহ্মা করছিলো এত দিন ।
রাত 2:00 💜
খু্ব কান্ত লাগছিলো শরীল টা ইসমাতের ঘুমিয়ে পড়েছিল খুব তারাতাড়ি
কতো রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সে আরাফের চিন্তায় ।
হঠাৎ ইসমাতের মুখের উপর গরম
নিশ্বাস পড়তেই চোখ মেলে তাকায় সে কিছু একটা তার দিকে ঝুকে আছে ।
.
.
.অবৈধ_সম্পর্ক
Part:8
Writer:Sukhi Akther ✍️
.
.
.
হঠাৎ ইসমাত মুখে গরম
নিঃশ্বাস পড়তেই চোখ মেলে তাকায় সে কিছু একটা তার দিকে ঝুকে আছে ।
ঝুকে থাকা ব্যক্তিকে চিন্তে বেশি সময় লাগেনি ইসমাতরে ।
কিন্তুু আরাফ এত রাতে রুমে আসলো কি করে?
বুঝতে পারছেনা ইসমাত ।
আরাফ এসেছে?নাকি সে ঘুমের ঘোরে সপ্ন দেখছে? ভাবতে পারছেনা ইসমাত
মা কেনো বললো না তাকে যে আরাফ আসবে ।
ধীরে ধীরে ব্যক্তিটা ইসমাতের আরো কাছে চলে আসলো ।
ইসমাতের ঠোটেঁর সাথে তার ঠোটঁ দুটো এক করে নিলো ইসমাত কিছু বলার আগে ।
কিছুহ্মন পর আরাফ ইসমাতের ঠোটঁ ছেড়ে দিল
খুব জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো দুজনে ।
আর কিছুহ্মন থাকলে ধম বন্ধ হয়ে যেতো ইসমাতের ।
চুমু খেতে লাগলো ইসমাতের ঠোটেঁ গলায় সারা শরীলে 💋💋।
ইসমাত দেখছে আরাফ শুধু তার শরীলটাকে নিয়ে পড়ে আছে .
একটা বারও জানতে চায়নি সে কেমন আছে?কি করে কাটিয়েছে ইসমাত আরাফ কে ছাড়া।
আরাফ ইসমাতের শরীল থেকে শাড়িটা খুলে ফেলে ।
পরদিন সকালে 💜
ঘুম থেকে উঠে ইসমাত দেখে আরাফ তাকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে ।
ঘুমন্ত অবস্থায় আরাফ কে আরও বেশি সুন্দর লাগছে
আরাফ কে যে কেউ স্বামী হিসেবে চাইবে ।
৬ফুট লম্বা জিম করার কারনে বডি একদম ফিট
ক্লীন সেইভ করার কারনে চেহারায় আলাদা একটা সুন্দর্য ফুটে উঠেছে ।
ইসমাত নিজেকে ধীরে ধীরে আরাফের কাছে থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে যায় সে ।
রুমে ডুকতেই দেখে আরাফ কার সাথে যেন কথা বলছিলো । কিন্তুু ইসমাত কে দেখার সাথে সাথে কলটা কেটে দেয় আরাফ ।
আরাফ—বাহ,তোমাকে সুন্দর লাগছে নীল শাড়িতে :-* ।
ইসমাত কিছু বলছে না চুপ করে দাড়িয়ে আছে ।পিছন থেকে ইসমাত কে জড়িয়ে ধরলো আরাফ ।
ইসমাতের চুল থেকে টপ টপ করে পানি পড়ছে ।
আরাফ ভাবছে ইসমাতের জায়গায় তনয়া হলে কেমন লাগতো তনয়া কে ?
আরাফের ঘোর কাটে ইসমাতের ঠান্ডা হাতের স্পর্শে ।
ইসমাত—Fress হয়ে আসুন , আমি টেবিলে নাস্তা দিচ্ছি ।
ইসমাত নিজেকে আরাফের কাছে থেকে ছাড়িয়ে রান্না ঘরের দিকে পা ভাড়াতেই হাতটা খপ করে ধরে ফেললো আরাফ ।
আরাফ—-তুমি কি আমার উপর রেগে আছো ইসমাত?
ইসমাত—না
আরাফ—তাহলে কথা বলছো না কেনো আমার সাথে?
ইসমাত—কথা বলার জন্য সময় আছে অনেক।
আরাফ —আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছো অনেক । তুমি জান তোমাকে ছাড়া প্রতিটা দিন কতো কষ্টে কেটেছে আমার? আমি তোমার ফোন কেনো রিসিব করি নি একবারও জানতে চাইবে না?
ইসমাত—-হয়তো আপনি Busy ছিলেন তাই ফোন রিসিব করেন নি ( একটু অভিমান নিয়ে বললো সে)
আরাফ—-তুমি এটা মন থেকে বলছো না আমি জানি ।
তুমি হয়তো ভাবছো আমি কেনো তোমার কল রিসিব করিনি ? আমি চায়নি আমাকে সময় দেওয়ার কারনে তোমার পড়াশোনায় কোন হ্মতি হোক।
অনেক কষ্টে তোমাকে নিজের থেকে দূরে রেখেছিলাম।তোমাকে ছাড়া কিছুই ভালো লাগেনি জানো ?
তোমার কল যখন দেখতাম তখন বুকের ভিতর চিনচিন করে ব্যথা হতো । আমি তোমাকে অনেক মিস করেছি । জানো যখন মা ফোন দিয়ে বললো তুমি অসুস্থ তখন আমার কতোটা কষ্ট হয়েছিল ।কতো টা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তাই তো তোমার কাছে সব কিছু ফেলে চলে এসেছি । আমার বউ টা কে ছেড়ে থাকতে কষ্ট হয়না বলো ? ইসমাত কে নিজের কাছে নিয়ে এসে কিস করলো কপালে 💋।
.
.
.
(চলবে) ☺
