ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:09
.
ডক্টর আঙ্কেল সাহেবকে নিয়ে বাইরে গেলেন।
ডক্টর আঙ্কেল সাহেবকে বলছেন,,,,
.
— আফজাল সাহেব কিছু টেস্ট করাতে হবে ওর।
আর খুবই জরুরি।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করানো যাই টেস্টগুলো।
.
— ঠিক আছে।
.
— আমি এখন আসি তাহলে।
.
ডক্টর আঙ্কেল চলে গেলেন।
সাহেব সোফায় বসে পড়লেন।
ম্যামসাহেব ছোট সাহেবকে বলছেন,,,
.
— প্রান্তিক তুমি এত রাতে ছোঁয়ার ঘরে কি করছ??
.
— আরে আজব তো ভাবি।
আমি যদি এখন এই ঘরে না থাকতাম তাহলে সকলে জানত কি করে ছোঁয়া অসুস্থ।
.
— আমি তোমাকে এইটা জিজ্ঞাসা করেছি তুমি এখন কেন এই ঘরে??
.
— ভুলে গেলে নাকি ও ওর ফ্রেন্ড এর বার্ডে পার্টিতে গেছিল।
আমিই ওকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম আর রাত করেই নিয়ে এসেছি।
বাসায় আসার সাথে সাথে ও দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না আমি ওকে কোলে করে নিয়ে ঘরে শুইয়ে দিই।
ও আমার হাত ধরে টান দেই অসুস্থ থাকার কারনে তারপর আমি তোমাদেরকে ডাকি।
.
— ও।
.
— আজব তুমি তো ভাবি মাঝেমাঝে তুমি যত্তসব পাগলের মত প্রশ্ন কর।
আমার ভালো লাগে না।
ওকে আদর করলেও দোষ অত্যাচার করলেও দোষ আমি বুঝি না কি এমন করলে আমার দোষ হবে না।
ড্যাত আর ভালোই লাগে না।
.
.
.
ছোট সাহেব রাগ করে নিজের ঘরে চলে গেলেন।
বড় সাহেব পলাশ ম্যামসাহেবকে বলছেন,,,
.
— ছেলেটাকে এইভাবে বলার কি দরকার ছিল??
.
— কি করব বল ওর মুখ থেকে এই সত্যিটা জানার জন্য।
.
— কাজল।
আমি ড্যাড এর একটা কথা কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে প্রান্তিকের সাথে কি করে ছোঁয়ার বিয়ে দিচ্ছে।
.
— মেয়েটার ওর সাথেই বিয়ে হওয়া ভালো।
.
— কিন্তু কেন??
মেয়েটাকে একের পর এক টরচার করে ছেলেটা।
তারপরও তুমি এই কথা বলছ।
.
— কারন বলছি প্রান্তিক মাঝে মাঝে ছোঁয়াকে এমনভাবে টাচ করে যে যেগুলো মেয়েরা তার স্বামীর কাছ থেকেই আশা করে।
আর ছোঁয়াকে যে প্রথম পুরুষ ছুয়েছে সে প্রান্তিক ছাড়া আর কেউ নয়।
আর ছোঁয়া ওর টাচকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
.
— আমি কিছুই বুঝি না ছেলেটার মনে চলে কি??
.
পিছন থেকে দাদীমা বলছে,,,,
.
— তোরা দুইজন এইখানে কি করছিস??
মেয়েটাকে একটু রেস্ট নিতে দে।
.
— দাদী মা তুমি একেলা এইখানে এসেছ।
চল চল তুমি।
.
উনারা সবাই চলে গেলেন।
ছোট সাহেব উনার ঘরে বসে ফেসবুকিং করছেন।
আর ম্যাসেন্জারে ফ্রেন্ডসদের সাথে টুকিটাকি কথা বলছেন।
.
হঠাৎ করে দেশের বাইরের একটা আইডি থেকে ম্যাসেজ আসল।
ছেলেটা বাঙ্গালি কিন্তু কানাডা তে থাকে।
ছেলেটার নাম জেক।
.
এর আগেও ছোট সাহেবের সাথে তার কথা হয়েছে।
বলতে গেলে ফ্রেন্ডসই।
তিনি লিখেছেন,,,,,
.
— প্রান্তিক,,,
কিছু দিনের জন্য আমি বাংলাদেশে আসছি কিন্তু থাকার জন্য কোন জায়গা পাচ্ছি না।
আমায় একটু হেল্প করবে।
.
— সিউর।
তুমি আমার বাসাতেই থাকতে পার।
আমার ড্যাড অনেক ভালো মানুষ উনাকে বুঝিয়ে বললে উনি তোমাকে থাকতে দিবে।
.
— থেংকস।
.
— ফ্রেন্ডসিপ এ নো থেংকস।
ওকে।
.
— ওকে।
.
.
.
ছোট সাহেব জেক এর সাথে কথা বলেই শুয়ে পড়লেন।
আর আজকেও উনি খুব ক্লান্ত।
কাঁথাটা বুকের সাথে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
.
সকাল সকাল আমার ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
ওফ খুব মাথা ব্যথা করছে।
আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম।
.
হাঁটতে হাঁটতে সিঁড়ির ওই পর্যন্ত চলে গিয়েছি।
ওই পর্যন্ত যাওয়ার পর পরই আমি পা পিছলিয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম।
তখনই সাথে সাথে ছোট সাহেব আমাকে এসে ধরলেন।
.
আমাকে ধমকের সুরে বলছেন,,,
.
— অসুস্থ শরীর নিয়ে উনি একা একা উঠেছেন।
চল ঘরে চল।
.
— না ছোট সাহেব আমি ঘরে যাব না।
আমি ঠিক আছি।
আমি রান্নাঘরে যাব।
.
— ঠিক আছে।
আমি তোকে দিয়ে আসছি।
.
— না থাক ছোট সাহেব আমি একাই যেতে পারব।
আপনি আপনার ঘরে যান।
.
— ঠিক আছে।
.
.
.
আমি একলাই রান্নাঘরে গেলাম।
ছোট সাহেব সোফায় যেয়ে বসলেন।
খালাআম্মা আমাকে দেখে বলছেন,,,
.
— আজকে কেন তুই বাইরে আসলি??
ঘরে বসে রেস্ট নিতি।
.
— খালাআম্মা আমার ঘরে বসে থাকতে ভালো লাগে না।
তাই এইখানে এসেছি।
.
সাহেব নিচে চলে এসেছে।
একে একে সবাই চলে এসেছে।
খালাআম্মা আমাকেও নিয়ে গেলেন।
.
সাহেব সবাইকে বলছেন,,
.
— সবাই এইখানে রয়েছে ভালোই।
আর প্রান্তিক তুমি রয়েছ ভালোই।
তোমাকেই বিশেষ করেই কথাটা বলার আছে।
.
— কি কথা ড্যাড??
.
— তোমার বিয়ে ঠিক করে রেখেছি।
.
ছোট সাহেব একটু শক খেলেন।
তারপর বলতে লাগলেন,,,
.
— কার সাথে ড্যাড??
.
.
.
চলবে