ছোট সাহেবের অত্যাচার – পর্ব ৮

0
651

ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:08
.
— এই ফাজিলগুলো বেশি বাড় বেড়ে গিয়েছিল।
আর তোদের হুদ নেই যে ওদের ইনবাইট করেছিস কেন??
.
— sorry…
.
— চল খেয়ে দেয়ে শুরু করি আমাদের পার্টি।
তাড়াতাড়ি করে বাসায় ফিরতে হবে ওকে নিয়ে।
.
— হুম চল।
.
তারপর ছোটসাহেব ও তার বন্ধুরা আসল।
সবাই খেতে বসল।
প্রিয়াংকা হঠাৎ করে বলে উঠল,,
.
— আরিফ জান আজকে তুমি আমাকে খাইয়ে দিবে আর আমি তোমাকে খাইয়ে দিব।
.
— ওকে প্রিয়াংকা বেবি।
.
— আসিফ জান আমরাও।
.
— ওকে সুমি বেবি।
.
— সুমন আমরাও বাদ পড়ব কেন??
.
— ওকে সুমাইয়া বেবি।
.
— রাজ আমরাও কিন্তু।
.
— ওকে পারুল।
.
— রাকিব আমরাও।(জোরে)
.
— ওকে সাদিয়া।
জোরে চিল্লাচ্ছ কেন??
আস্তে বললেও তো শুনতে পাই।
.
— আরে আমরা তো করব।
আর আজকে যাদের জন্য এই পার্টি অ্যারেন্জ করা হয়েছে তারা আজকে।
কি গো প্রান্তিক ভাইয়া আর ছোঁয়া করবে তো।
.
আমি ছোট সাহেবের দিকে তাকালাম।
ছোট সাহেবেও আমার দিকে তাকালেন।
আরিফ ভাইয়া হঠাৎ করে বলে উঠলেন,,,
.
— আরে তোরা কি বলছিস??
এরা তো নতুন নতুন রিলেশন শুরু করেছে যার কারনে লজ্জা পাচ্ছে।
বাদ দে।
খাওয়ার পর্ব শেষ করে শুরু করি।
.
— আরে আমরা তো অবশ্যই করব রে।
আমাদের কোম প্লবলেম নেই।
.
— তাহলে শুরু হোক।
ছোঁয়া শুরু কর।
.
— জ্বি।
.
.
.
আমার হাতে খাবার নিয়ে উনার মুখের কাছে নিয়ে গেলাম।
উনি আমার দিকে কিছুখন তাকিয়ে রইলেন।
তারপর হা করলেন আমি মুখে ঢুকিয়ে দিলাম।
.
তারপর উনিও আমাকে খাইয়ে দিলেন।
আজকে বলার সুযোগ ছিল আমার ভালোবাসার কথা উনাকে জানাতে।
কোন এক বাধার কারনে বলতে পারলাম না।
.
আমি উনাকে সত্যিই চিনতে পারি না।
উনি আমাকে এক সময় এত আদর করেন যে আমি উনাকে চিন্তেই পারি না।
আর একবার এতই অত্যাচার করেন যে বুকটা কষ্টে ফেটে যাই।
.
এইসব বাদ দিয়ে বাইরে চলে আসলাম সবাই।
সাদিয়া হঠাৎ করে বলে উঠলেন,,,,
.
— প্রান্তিক ভাইয়া আপনারা সবে মাত্র রিলেশন শুরু করলেন তো এখন একটা রোমান্টিক গানে ডান্স তো বান্তেহে।
.
— রাইট রাইট।
ডেন্স ডেন্স।
.
— ওকে ওকে ফাইন।
ছোঁয়া।
.
ছোট সাহেব উনার হাতটা আমার দিকে এগিয়ে দিলেন।
আমি উনার হাতে আমার হাতটা রাখলাম।
রাজ ভাইয়া গান সেরে দিলেন।
.
ছোট সাহেব আমাকে টান দিয়ে উনার কাছে নিয়ে আমার কোমড়ে হাত দিলেন।
বাতাসের কারনে আমার চুলগুলো সামনে এগিয়ে আসছে।
উনি উনার হাত দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে দিচ্ছেন।
.
আমার খুব কাঁপুনি উঠছে।
যখনি আমার কোমড়ে হাত দেন তখন কাঁপুনি বেড়ে যাই।
অন্য কেউ গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রচুর রাগ উঠে।
.
কিন্তু ছোট সাহেবের ছোঁয়া পেলে কোন রকমি লাগে না।
আরও অনেক ভালো লাগে।
আমি পারছিলাম না আর এইখানে থাকতে।
আমার মাথাটা ব্যথা করছে।
.
.
.
আমি ছোট সাহেবকে ধাক্কা দিয়ে বাইকের ওইদিকে চলে আসলাম।
ছোট সাহেব আমার পিছন পিছন আসলেন।
আমার মাথাটা এতই ঘুরাচ্ছে যে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না।
.
উনি আমার কাছে এসে বললেন,,,
.
— কি রে??
আবার কি হলো??
এইভাবে চলে আসলি কেন??
.
— ছোট সাহেব আমার মাথাটা খুব ঘুরাচ্ছে।
আমি আর এইখানে থাকতে পারব না।
.
আমি একদম দাঁড়িয়েই থাকতে পারছিলাম।
পড়েই যাচ্ছিলাম।
ছোট সাহেব আমাকে ধরলেন।
.
তিনি সবাইকে বলছেন,,,
.
— আমি ওকে নিয়ে বাসায় যাচ্ছি।
ওর খুব অসুস্থ লাগছে।
.
— হ্যা যাও।
.
প্রিয়াংকা আমাকে ধরে রাখল।
ছোট সাহেব বাইকটা স্টার্ট করে দিলেন।
আমাকে বসিয়ে দিল বাইককে।
.
আমি ছোট সাহেবকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
তিনি আমাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন।
বাড়িতে পৌছে গেছি।
.
আমি দাঁড়িয়েই থাকতে পারছিলাম না।
আমি পড়েই যাচ্ছিলাম।
উনি আমাকে ধরলেন।
.
আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
কোলে করে নিয়ে আমার ঘরে নিয়ে যেয়ে শুইয়ে দিলেন।
ছোট সাহেব আমায় রেখে চলে যাচ্ছিলেন।
.
আমি ছোট সাহেবের হাতটা ধরলাম।
তিনি আমাকে বলছেন,,
.
— তোর খুব কষ্ট হচ্ছে কি??
দাঁড়া আমি সবাইকে ডাক দিচ্ছি।
.
.
.
উনি সবাইকে ডাক দিলেন।
সবাই সাথে সাথে চলে আসল।
খালাআম্মা ছোট সাহেবকে বলছে ডাক্তারকে ফোন দিতে।
.
ছোট সাহেব ডাক্তারকে ফোন দিলেন।
ডাক্তার চলে এসেছে।
ডাক্তার আমাকে দেখছে।
.
ডাক্তার আমাকে একটা ইনজেকশন দিয়ে দিলেন।
ডাক্তার সবাইকে বলছে,,,
.
— আপনারা সবাই খেয়াল রাখবেন ও যেন ঘুমাতে না দেরি করে।
ঘুমাতে দেরি হয়েছে বলে এইটা হয়েছে।
ইনজেকশন দিয়েছে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য।
.
— আচ্ছা খেয়াল রাখব।
.
— আফজাল সাহেব আপনি আমার সাথে একটু বাইরে আসুন।
আপনার সাথে জরুরি কথা আছে।
.
— জ্বি রাশেদ।
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here