ছোট সাহেবের অত্যাচার – পর্ব ৩০

0
531

ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:30
.
ছোঁয়ার মনে হল প্রান্তিক ছোঁয়াকে কিছু একটা বলছে।ছোঁয়া তাড়াতাড়ি করে উঠে বসল।কিন্তু ছোঁয়া কাউকেই দেখতে পেল না।কেউ নেই এইখানে।কিন্তু ছোঁয়া পরিষ্কার শুনতে পেয়েছিল প্রান্তিক ছোঁয়াকে কিছু একটা বলছিল।ছোঁয়া মনে মনে বলছে,,,
ছোঁয়াঃআমি পরিষ্কার শুনেছিলাম ছোট সাহেব আমাকে কিছু একটা বলছিলেন।কিন্তু এইখানে তো ছোট সাহেব নেই।আমি ছোট সাহেবের কন্ঠ কিভাবে শুনতে পেলাম।হয়ত আমার মনের ভুল।
ছোঁয়া আর পাঁচসাত না ভেবে শুয়ে পড়ল।ছোঁয়া সাথে সাথেই ঘুমিয়ে পড়ল।
.
.
.
সকাল হয়ে গেছে।কিন্তু ছোঁয়া এখনও ঘুম থেকে উঠেনি।রাতে অনেক পরে ঘুমিয়েছে তো তাই।জয় ঘুম থেকে উঠে গেছে।ঘুম থেকে উঠে দেখে ছোঁয়া ঘুম থেকে উঠেনি।
জয় ফ্রেস হয়ে আসল।জয় রেডি হয়ে নিল।কিন্তু ছোঁয়া এখনও ঘুম থেকে উঠেনি।জয় ছোঁয়ার পাশে যেয়ে বসল।আর বলতে লাগল,,,
জয়ঃতুই তো কোনদিন লেইট করে ঘুম থেকে উঠিস না।আজকে কেন??
ছোঁয়া সাথে সাথেই ঘুম থেকে উঠে পড়ল।ছোঁয়া জয়কে দেখে বলতে লাগল,,
ছোঁয়াঃও আপনি জয় বাবু।
জয়ঃঅন্য কাউকে কি আশা করেছিলেন??
ছোঁয়াঃআমি ভেবেছিলাম ছোট সাহেব।
জয়ঃতোর ছোট সাহেবই তো।(মনে মনে)
জয় কোন কিছু না বলে নিচে চলে গেল।
.
.
.
ছোঁয়া ফ্রেস হতে চলে গেল।ছোঁয়া ফ্রেস হয়ে চলে আসল।রাবেয়া কিছুখন পরে আসল এই ঘরে।এসে ছোঁয়ার পাশে বসল।মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলতে লাগল,,,
রাবেয়াঃআজকে এই শাড়িটা পড়।অনেক সুন্দর দেখাবে তোমাকে।আমি তোমার জন্য পছন্দ করে কিনেছি।
ছোঁয়াঃঠিক আছে।আজকেই এই শাড়িটা পড়ব।
রাবেয়াঃআজকে কিন্তু তোমার বাড়ির লোকেরা আসবে।তোমায় একদিনের জন্য নিয়ে যাবে।
ছোঁয়াঃহুম।
রাবেয়াঃনিচে আস খেতে।
ছোঁয়াঃজ্বি।
.
.
.
ছোঁয়া খেতে নিচে যেতে লাগল।ছোঁয়া নিচে যাওয়ার সময় পা পিছলিয়ে প্রায় পড়েই যাচ্ছিল।জয় সাথে সাথেই ছোঁয়াকে ধরল।ছোঁয়াও জয়কে শক্ত করে ধরল।শার্টটা এমনভাবে ধরেছে যে শার্ট মনে হয় ছিড়েই‌ ফেলবে।
জয় ছোঁয়াকে ছেড়ে দিল।জয় ছোঁয়াকে বলছে,,,
জয়ঃআপনি ঠিক আছেন তো??
ছোঁয়াঃহুম।
ছোঁয়া খাবার টেবিলে যেয়ে বসল।তেমন কিছু খেল না।একটু খেয়ে উঠে চলে আসল।
.
.
.
ছোঁয়া ওর ঘরে চলে আসল।দুপুৃর হওয়ার কিছুখন পর ছোঁয়া শাড়িটা পড়ে নিল।ছোঁয়ার বাড়ির সবাই চলে এসেছে।ছোঁয়া নিচে নেমে আসছে।
জয় ছোঁয়ার দিকে তাকাল।জয় চোখ সরাতেই পারছে না।অনেক সুন্দর লাগছে ছোঁয়াকে।জয় মনে মনে বলছে,,,,
জয়ঃঅনেক সুন্দর লাগছে তোকে এই শাড়িটাতে আমি চোখ সরাতেই পারছি না।
ছোঁয়া দৌড়ে দিয়ে সবাইকে জড়িয়ে ধরল।আর কাঁদতে লাগল।ফাহাদ ছোঁয়াকে বলছে,,,
ফাহাদঃকি রে কাঁদছিস কেন??
ছোঁয়াঃএমনি।
ফাহাদ ছোঁয়ার চোখের পানি মুছে দিল।সবাই দুপুরের খাবার খেতে বসে গেল।
.
.
.
ওইদিকে সিরাজ ছোঁয়াকে কিডন্যাপ করার জন্য গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।শুধু ছোঁয়ার বাইরে বের হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।সিরাজ মনে মনে বলছে,,,,
সিরাজঃআর মাত্র কিছুখন পর ছোঁয়া আমার হয়ে যাবে।আমি যে আর অপেক্ষা করতে পারছি না।
সাগরঃইন্তেজার কা ফল মিঠা হতা হে।
সিরাজঃইয়েস।
.
.
.
বিকাল হয়ে গেছে।ছোঁয়াকে ওরা আজকে ওই বাড়িতে নিয়ে যাবে সাথে জয়কেও।তাই ওরা বাইরে বের হচ্ছে।বের হওয়ার সময় জয়ের মোবাইলে আননন নাম্বার থেকে কল আসল।তাই জয় সবাইকে বলছে,,,
জয়ঃআমি এই কলটা রিসিভ করে আসছি।
ফাহাদঃআচ্ছা।
ওরা বাইরে চলে আসল।যেই ছোঁয়া বাইরে এসেছে।সিরাজ মুখে একটা মাস্ক লাগিয়ে ছোঁয়াকে টান দিয়ে গাড়িতে উঠাল।
সবাই চিৎকার করা শুরু করল।সিরাজ ছোঁয়াকে নিয়ে চলে গেল।ছোঁয়া নিজেকে বারবার ছুটানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু সিরাজের শক্তির কাছে হেরে যাচ্ছে।ছোঁয়া সেন্সলেস হয়ে পড়ল।
.
.
.
সবার চিৎকার শুনে জয় বাইরে চলে আসল।জয় সবাইকে জিজ্ঞাসা করছে,,,
জয়ঃকি হয়েছে??আর ছোঁয়া কোথায়??
ফাহাদঃকোথা থেকে এক ছেলে এসে ছোঁয়াকে তুলে নিয়ে গেল।
জয়ঃকে ছিল??
ফাহাদঃমুখে মাস্ক ছিল তাই দেখতে পারিনি।কে করল আমার মেয়েটাকে কিডন্যাপ??
জয়ঃকে করতে পারে ছোঁয়াকে কিডন্যাপ??আমাদেরকে এখনি পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে।
রাবেয়াঃকি হয়েছে??বাইরে এত চিৎকার চেঁচামেচি শুনলাম।
জয়ঃমা ছোঁয়াকে কে যেন কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে।তাই আমরা পুলিশ স্টেশন যাচ্ছি।
রাবেয়াঃচল চল।
.
.
.
সিরাজ ছোঁয়াকে নিয়ে একটা ভাঙ্গা বাড়িতে গেল।ছোঁয়ার এখনও সেন্স ফেরেনি।সিরাজ ছোঁয়াকে একটা খাটের উপর শুইয়ে দিল।সিরাজ ছোঁয়াকে রেখে দিয়ে বাইরে চলে গেল।
.
.
.
জয় আর বাকি সবাই পুলিশ স্টেশন চলে এসেছে।তারা পুলিশ স্টেশনের ভিতরে ঢুকল।
.
.
.
চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here