ছোট সাহেবের অত্যাচার – পর্ব ২৮

0
442

ছোট সাহেবের অত্যাচার
Writer:Bushratuzzaman Shoya
Part:28
.
সাদমান আজহারকে যেয়ে জড়িয়ে ধরল।আজহার সাদমানকে যেয়ে বলছে,,,
আজহারঃ- কি রে কেমন আছিস রে জয়??
সাদমানঃ- এই তুই আমাকে এই নামে ডাকবি না।শুধু সাদমান বলে ডাকবি।
আজহারঃ- কেন রে সাদমান হাসান জয়??
সাদমানঃ- যবে থেকে ও আমার লাইভ থেকে চলে গিয়েছে আমার এই নামটা আমি মুছে দিয়েছি।ও যখন আমার সাথে ছিল তখন ওকে অসহ্য লাগত।এখন বুঝতে পারছি ওকে ছাড়া আমি একদম অসহায়।
আজহারঃ- তোর না রাবেয়া ভাবির সাথে ওইরকম করা উচিত ছিল না।আর যে কথাটা বলার জন্য এসেছি আমাদের বিজনেসে অনেক লোকসান হচ্ছে।আর আমাদের সব কিছু ছিনিয়ে নিচ্ছে আবির হাসান জয় নামে কোন ছেলে।
সাদমানঃ- ছেলের বয়স কত??
আজহারঃ- এই ২৬/২৭ হবে।
সাদমানঃ- এতটুকু বয়সে আমাদের সব কিছু কেড়ে নিচ্ছে।আমরা তো ওই ছেলের কোন ক্ষতি করেনি।
আজহারঃ- এইরকম কিন্তু অনেকবছর ধরেই চলে আসছে।
সাদমানঃ- আর তুই আজকে আমাকে বলছিস এই কথা।
আজহারঃ- বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুই আমার কোন কথা শুনিস নি।
সাদমানঃ- একদিকে সিরাজ আর একদিকে কোম্পানি।কি করব বুঝতে পারছি না।আজকে যদি রাবেয়া থাকত সব কিছু সামলে নিত।আমি আর পারছি না।আই নিড রাবেয়া।আই নিড হার।
আজহারঃ- সাদমান।সাদমান।
_______________________________________________________________
রাবেয়া জয় এর রুমে খাবার নিয়ে আসল।জয় ফ্রেস হয়ে বাইরে চলে এসেছে।রাবেয়া জয়কে বলছে,,,
রাবেয়াঃ- তোমাকে আর উনার ক্ষতি করতে হবে না।অনেক তো হল এইবার।
জয়ঃ- আগে আবির উনার ক্ষতি করেছে আপনাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল এর জন্য।কিন্তু আমি ক্ষতি করছি উনি আমাকে ধোকা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছেন প্লাস আপনাকে কষ্ট দিয়েছে।যার কারনে আপনি এখনও নিরবে কেঁদে যান।
রাবেয়াঃ- জয়।
রাবেয়া কান্না করতে লাগলেন।জয় রাবেয়ার চোখের পানি মুছে দিচ্ছে।আর বলছে,,
জয়ঃ- একদম কাঁদবেন না।আমি আছি তো আপনার পাশে।
রাবেয়াঃ- জয়।
রাবেয়া আঁচলের নিচে মুখ দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে জয় এর ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন।জয় এর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।আর বলছে,,,
জয়ঃ- উনি উনার ছেলের জন্য এত কান্না করছেন।না জানি আমার মা কত কান্না করছেন।
আমেনার এমন মনে হল যে প্রান্তিক আমেনাকে মা বলে ডাকল।আমেনা সাথে সাথে পিছন ফিরে তাকাল।কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না।মনটা একদম খারাপ হয়ে গেল আমেনার।অনেক খুশি হয়েছিলেন মা ডাকটা শুনে।
____________________________________________________________
জয় আর ছোঁয়ার বিয়ের দিন এসে পড়েছে।আজকেই বিয়ে ওদের।আজকে ছোঁয়ার একটু সাজার ইচ্ছা ছিল না শুধু শাড়িটা পড়তে চেয়েছিল।কিন্তু সবার জোরাজুরিতে সাজতে হল।
ছোঁয়ার মনে পড়ে যাচ্ছে এর আগের বার ওকে সাজতে হয়েছিল প্রান্তিক এর জন্য।কিন্তু আজকে অন্য কারোর জন্য।কথাগুলো মনে পড়তেই ছোঁয়ার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল।কাজল বলে উঠল,,,
কাজলঃ- চোখ দিয়ে পানি ফেলছিস কেন??কাজল নষ্ট হয়ে যাবে তো।
ছোঁয়াঃ- নষ্ট হলে হোক।ছোট সাহেব থাকলে একটা কথা ছিল।অন্য কারোর জন্য পারব না।
কাজলঃ- চুপ করবি তুই।একদম চুপ করে বসে থাকবি তুই।
ছোঁয়া চুপ করে বসে রইল।
জয় পান্জাবি পড়ল।বর এর মত সেজে আয়নার সামনে দাঁড়াল।জয় এর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।জয় বলছে,,
জয়ঃ- ভালোই ভালোই বিয়েটা হয়ে গেলেই ছোঁয়াকে আমার কাছে রাখতে পারব।তাহলে সাদমান আর ওর ক্ষতি করতে পারবে না।
__________________________________________________________
জয় ওই বাড়িতে চলে আসল।বিয়ে পড়ানোর আগে খেতে দেওয়া হল।বিয়েটা ভালোই ভালোই হয়ে গেল।কিন্তু সিরাজ এসেছিল বিয়েটা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কিন্তু জয় এর কড়া গার্ডের জন্য তা করতে পারেনি সিরাজ।
সিরাজ কিছু করতে পারেনি তাই রাগ করে চলে গেল।এখন ছোঁয়ার বিদায়ের পালা।ছোঁয়া অনেক কান্না করছে।বাড়ির সবাই কান্না করছে।ফাহাদ এসে ছোঁয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।ছোঁয়া ফাহাদকে বলছে,,,
ছোঁয়াঃ- কান্না কর না তুমি বাবা।
ফাহাদঃ- তুইও যে কান্না করছিস।
ছোঁয়াঃ- কোথায় কান্না করছি আমি??
জাকির ছোঁয়ার কাছে আসল।ছোঁয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।ছোঁয়াও জড়িয়ে ধরল।ছোঁয়া জাকিরকে বলছে,,,,
ছোঁয়াঃ- ভাইয়া তুমি বিয়ে করে ফেল।পুষ্পিতাকে।পুষ্পিতা তোমাকে অনেক ভালোবাসে ভাইয়া।আর তুমিও অনেক ভালোবাস।
জাকিরঃ- ঠিক আছে।
ছোঁয়াকে গাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হল।ছোঁয়া এখনও কান্না করেই যাচ্ছে।জয় ছোঁয়ার দিকে টিস্যু পেপার এগিয়ে দিল।ছোঁয়া জয়ের দিকে তাকাল।
.
.
চলবে।
(এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছি যে বড় করেই লিখতে পারলাম না।একে তো পরীক্ষা তার মধ্যে অসুস্থ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here