ত্যাগের সংসার – পর্ব ৬

0
270

#ত্যাগের_সংসার
লেখিকা সুরিয়া মিম
part : 6
!
আমি যেটা করি সেটা কি কোনো কাজ আপনি সেটা বলেন খান সাহেব?
!
তুমি আমার সাথে তর্ক করছ?
!
এখানে তর্কের কি হলো?
!
শোনো মুখেমুখে তর্ক করোনা কেমন?
তোমার ছেলোরা তোমার অসুস্থতার কথা জানতে পারলে আমাকে জ্বালিয়ে খাবে,
!
ও তাই?
তাই বুঝি এতো আটঘাট বেধে আমার সেবাযত্ন করছেন?
ভয় নেই আমার ছেলেরা আপনাকে জ্বালিয়ে মাড়বেনা,
!
তাই আমাকে আমার কাজ করতে দিন,
তারপর আমি গিয়ে দুপুরের খাবার বসাই,
!
হুহহহহ বৃথাই ওনাকে আমার কাছে পেয়ে খুশি হচ্ছিলাম আমি,
আমি তো জানি সে ছেলের ভয়ে এতে ভালো মানুষিতা দেখাচ্ছেন উনি,
!
আমার স্বামী আমি ওনাকে চিনিনা?
দুপুরের খাবার বানিয়ে খাবার বেড়ে আমি আমার মিয়াদের রুমে গিয়ে শুয়ে পরি,
!
সন্ধার দিকে ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি যে উনি,
!
আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে শুয়ে আছে,কেন জানিনা খুব ভালো লাগছিলো আমার,
!
কিন্তু এ ভালোলাগা যে চিরো স্থায়ী নয়,
সেটা বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি ওনাকে ছেড়ে উঠে পরি আমি,
!
তখন উনি আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে,
!
হঠাৎ ওনার ফোনে ম্যাসেজ আসে,
আর উনি ওঠা দেখে,
তাড়াতাড়ি খুশি মনে রেডি হয়ে বাহিরে চলে যায়,
আমি তো জানি উনি এখন কোথায় যায়?
!
ইশার সাথে ডিনারে যায় মাঝেমধ্যেই মন চায় মেয়ে টাকে গিয়ে চড়াই,
কেন যে ও নিজের স্বামী সন্তান ফেলে আমার বরের পেছনে পরে থাকে কে জান?
!
সে যাই হোক উনি যেতেই আমার মিয়াদ এসে আমাকে খাইয়ে দেয়,
!
আর বলে,
মা তুমি আজ আমার কাছে শুবে?
তাহলে আমি তোমার যত্ন নিতে পারবো,
!
আচ্ছা বাবা ঠিক আছে,
!
রাত আটটায় হঠাৎ করে বাসার কলিং বেল বেজে ওঠে,
ছেলে গিয়ে দরজা খুলে,
আমার কাছে শুতে চলে আসে,
!
কিছুক্ষণ পরে উনি এসে বলে,
তোমার ঔষধ নিয়ে এসেছি চলো খেয়ে ঔষধ খাবে চলো,
!
লিসেন বাবাই তুমি ঔষধ এনে,
আমার মা কে খাইয়ে দিবে,
!
সেই অপেক্ষায় আমি বসে নেই,
আমি আমার মা কে খাইয়ে দিয়েছি,
তুমি এখন আসতে পারো গুডনাইট বাবাই,
!
কেন যেন ওনার চেহারা টা আজ অন্যরকম মনে হচ্ছিল হয়তো এটাও আমার মনের ভুল?
যে বৌ কে তার কোনো ব্যাপারেই মূল্যায়ন করেনা,
!
সে কিনা আজ আমার জন্যে না খেয়ে আসবে?
লোক হাসানো কারবার যতসব,
!
ভেবেছিলাম আজ তোমার সাথে বসে গল্প করে,
আমার টেনশন রিলিজ করবো,
!
কিন্তু তা আর হোলো কোই?
ছেলে তার মা কে বগলদাবা করে বসে বসে আছে,
!
ওদিকে আবার ইশার শরীর টাও ভালো নেই,
ওমা তাই তুমি ইশা আন্টি কে নিজের হাতে ধরে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে এসেছ বাবাই?
!
না কেন?
!
ও হ্যা কেন?
তুমি তো আর ইশা আন্টির স্বামী নও,
তাহলে তো কতকিছু করতে?
তাই না?
!
তুমি এসব কি বলছ মিয়াদ?
!
ইটস সিম্পল বাবাই,
আমার মা কে ডিভোর্স দিয়ে দাও,
তোমার ও শান্তি আমার মায়ের ও শান্তি,
!
ছেলের মুখে এমন কথা শুনে খান সাহেব আতকে ওঠেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here