ঘায়েল – পর্ব ১৪

0
214

# ঘায়েল
# পর্ব_১৪
# Saji_Afroz
.
.
.
জাহারা ভেতরে আসতেই পুনম কাছে এসে জড়িয়ে ধরলো তাকে।
খুশিতে বলতে থাকলো সে-
আমি জানতাম, আর কেউ না পারলেও তুমি কোনো না কোন ব্যবস্থা নিশ্চয় করবে।
.
পুনমের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে জাহারা বললেন-
কি বিষয়ে?
-ডির্ভোস।
.
জাহারা মৃদু হেসে পুনমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন-
বিয়ে কি ছেলেখেলা! হতে না হতেই ডিভোর্স!
.
জাহারার কথা শুনে খুব বেশিই অবাক হয়ে পুনম বললো-
মানে?
-মানে কি আবার! রানবী ছেলেটা ভালো। তার পরিবারের সকলের সাথে কথা বললাম। তারাও ভালো। বিয়ে যখন হয়েই গিয়েছে কি দরকার আর ঝামেলা করার! সংসারে মন দে। দেখবি ভালো লাগবে সব।
.
জাহারার কথা শুনে পুনম নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকলেও রানবী এসে জড়িয়ে ধরলো তাকে।
জাহারা বললো-
আমার মেয়েটাকে সুখে রেখো রানবী। নাহলে কিন্তু খবর আছে তোমার।
.
জাহারার কাছ থেকে রানবী কে সরিয়ে, তাকে এক ধাক্কায় মেঝেতে ফেলে দিলো পুনম।
জাহারা পুনমের দিকে তাকিয়ে বললো-
এটা কি করলি তুই?
.
সে কথার জবাব না দিয়ে রানবীর উদ্দেশ্যে পুনম বললো-
নুসাইবা, সুইটির সাথে সাথে আমার ফুফুকেও হাত করে নিলি নিজে? লজ্জা করছেনা তোর এসব করতে?
.
পেছন থেকে পুনম কে নিজের কাছে ঘুরিয়ে তার ডান গালে সজোরে একটা থাপ্পড় বসালেন আফরোজা ইসলাম।
নিজের মা কে এখানে দেখে যতোটা না অবাক হয়েছে পুনম, তার চেয়ে বেশি হয়েছে মায়ের কর্মকান্ডে।
মেঝে থেকে রানবী উঠে, শ্বাশুড়ীর দিকে এগিয়ে এসে কিছু বলতে চায়লে তাকে থামালো আফরোজা ইসলাম।
তিনি পুনমের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন-
স্বামীর সাথে যেখানে কটু কথা বলা অন্যায় সেখানে তুই ধাক্কা মেরেছিস! এসব শিক্ষা দিয়েছি তোকে আমি? তোর আব্বুর সাথে কখনো এমন ব্যবহার করতে দেখেছিস তুই?
.
ভেজা কণ্ঠে পুনম বললো-
আব্বু তো তোমাকে জোর করে বিয়ে করেনি?
-আমি তোর আব্বুর সাথে প্রেমও করিনি। তুই ছেলেটার সাথে প্রেম করে পরে অস্বীকার করেছিস, এটা অন্যায় না? জোর করে বিয়ে করেছে এটাই অন্যায়?
.
পুনম কিছু বলতে চায়লেও শুনলেন না আফরোজা ইসলাম।
তিনি আরো বললেন-
তোর এখানেই থাকতে হবে। আমার ঘরে বা জাহারার ঘরে তোর জন্য কোনো জায়গা নেই।
তোর আব্বু আর মাহিমও এসেছে। আমি আর কোনো ঝামেলা চাইনা।
.
কথাটি বলেই আফরোজা ইসলাম বেরিয়ে গেলেন। তার পিছুপিছু এগিয়ে গেলো রানবী।
হতাশ হয়ে পুনম বসে পড়লো বিছানার উপরে।
তার পাশে বসে জাহারা বললেন-
বিয়ের পরে মেয়েদের আসল ঠিকানা হলো তার শ্বশুর বাড়ি।
আর সবচেয়ে কাছের মানুষটা হলো স্বামী। সেই কাছের মানুষটার সাথে তুই এমন করলে কি চলে? আমরা সব বুঝেই তো তোকে এখানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার তার কাছে তো রেখে যাচ্ছিনা। তাহলে তুই কেনো আমাদের খুশির জন্য হলেও রানবীর সাথে সহজ হবার চেষ্টা করছিস না? চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?
.
একটা লাগেজ নিয়ে রুমের ভেতরে প্রবেশ করলো রিমা।
রিমা পুনমের উদ্দেশ্যে বললো-
ছোট ভাবী তোমার জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন তোমার আম্মুরা।
.
লাগেজ টার দিকে তাকিয়ে ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলে নিজের মনে পুনম বললো-
মিথ্যে আমি নয়, রানবী বলছে। কিন্তু আমার বাড়ির লোক আমাকে নয়, ওকেই বিশ্বাস করছে। ওর জন্য আমাকে কথা শুনাচ্ছে। আর আম্মু গায়ে হাতও তুলেছে। কি এমন করলো রানবী তাদের? আমাকে ফেলে সকলে ওর পক্ষ নিচ্ছে!
.
.
.
বেশ অনেকক্ষণ হয়ে গেলো পুনমের পরিবার এই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে।
এদিকে রাতের খাবারও খায়নি পুনম।
রানবী তাকে জোর করেও খাওয়াতে পারলোনা।
এখন রানবীর ভীষণ চিন্তা হচ্ছে এই মেয়েকে নিয়ে। এভাবে এক টানা না খেতে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে সে।
পুনমের সাথে খাবার নিয়ে জোরাজুরি করে না পেরে বসে পড়লো রানবী।
পুনম শান্ত গলায় বললো-
আমি একটু আন্টির সাথে দেখা করতে চাই।
-কোন আন্টি?
-আপনার আম্মু।
.
পুনমের মুখে ‘আপনি’ ডাক শুনে রানবী বললো-
মানুষ আপনি থেকে তুমি আর তুমি থেকে তুই তে যায়। আর তুমি কিনা তুই থেকে আপনি! গ্রেট! কিন্তু তুমি বললেই পারতে। এতো সম্মানের প্রয়োজন নেই।
-সম্মান আপনাকে নয়। আমার আম্মুর কথা কে দিচ্ছি। আর তুমি বলে আপন হবার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।
-তুই যখন বাদ পড়েছে সবই হবে।
-মানে?
-মানে ভালোবাসার জন্য তুমি বলতে কতক্ষণ!
-আমি কি বাইরে যেতে পারি রুমের?
-হু। তবে পালানোর চিন্তা করোনা। যেখানেই যাওনা কেনো। ধরে আনবো আবার। যাও এবার, বা দিকে রুমটাই মায়ের রুম।
.
.
.
নিজের রুমের বিছানার বসে বুকের সাথে স্বামীর ছবিটা চেপে ধরে এক কেঁদে চলেছেন আনোয়ারা ইসলাম।
বিড়বিড়িয়ে তিনি বলছেন-
কি দোষ করেছিলাম বলতে পারো? নিজের ছেলেকে এই অবস্থায় দেখতে হচ্ছে। ছেলেটার বউটা ওকে তুই বলে ডাকে। কতো ভালোবাসে মেয়েটাকে আর সেই কিনা! এই ছিলো আমার ছেলের কপালে?
.
.
সেদিনের খারাপ ব্যবহারে হয়তো আনোয়ারা ইসলাম কষ্ট পেয়েছেন। তাই তার কাছে তিনি আসেন না। পুনমের উচিত হয়নি তার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করা।
এসব ভেবে ভেবে আনোয়ারা ইসলামের রুমের সামনে এসে পুনম বললো-
আসতে পারি আন্টি?
.
পুনম কে দেখে চোখ জোড়া মুছে বললেন আনোয়ারা ইসলাম-
আসো।
.
পুনম ভেতরে এসে তার পাশে বসে বললো-
সেদিনের ব্যবহারের জন্য দুঃখিত আমি। আমার উচিত হয়নি আপনার সাথে এমন ব্যবহার করা।
-ভুল বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক।
এভাবে যদি রানবীর সাথেও সবটা ঠিক করে নিতে আরো ভালো লাগতো।
.
মাথাটা নিচু করে পুনম বললো-
সেটা সম্ভব নয়।
-ও তোমার স্বামী।
-ওর জন্য আজ আম্মু আমার গায়ে হাত তুলেছে। সবার কাছ থেকে দূরে আমি ওর জন্যই।
-তোমার পরিবার নিশ্চয় তোমার খারাপ চায়বেনা?
.
চুপ হয়ে গেলো পুনম।
আনোয়ারা ইসলাম মৃদু হেসে বললেন-
পরিবারের সূচনা হয় বিয়ের মধ্য দিয়ে৷ বিয়ের মাধ্যমেই নর এবং নারীর দুটি জীবন একটি মাত্র স্রোতে প্রবাহিত৷ বাংলায় একটি প্রবাদ আছে,তেলে-জলে কখনো মেশে না৷ অর্থাৎ মিলন ঘটে না৷ তাই দেখা যায় বিপর্যয়৷ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কও যদি তেল আর জলের মতো হয়, তাহলে পারিবারিক বিপর্যয় দেখা দেবে এটাই স্বাভাবিক৷ বিয়ে তো আর দুটো ছেলে আর মেয়ের বন্ধন নয় শুধু, দুটো পরিবারের বন্ধন।
আজ তোমার এমন আচরণের জন্য দুটো পরিবারের মানুষই কিন্তু দূরে সরে যেতে পারে তোমার কাছ থেকে। রানবী সরতেও কতক্ষণ?
-গেলেই ভালো হবে।
-স্বামী স্ত্রীর এই পবিত্র বন্ধন কে সয়ং আল্লাহ কতোটা মর্যাদা দিয়েছেন তা কি জানোনা তুমি? তুমি শুনোনি?
যখন স্বামী স্ত্রী একে অপরের প্রতি প্রেম এবং মহব্বতের সাথে দৃষ্টি বিনিময় করেন, আল্লাহ তায়া’লাও তাদের উভয়ের প্রতি রহমতের দৃষ্টি বর্ষণ করেন।
.
তাচ্ছিল্যের একটা হাসি দিয়ে পুনম বললো-
শুনেছি কিন্তু জোর করে বিয়ে করাটা সামাজিক বা ইসলামিক দৃষ্টিতে কতোটা যুক্তিযুক্ত? এর কোনো ব্যাখ্যা কি আছে আপনার কাছে? আর দশটা বিয়ের মতো কিন্তু আমাদের বিয়েটা হয়নি।
-হ্যাঁ আমি মানছি সেটা। তবে চেষ্টা তো করা যায় মানিয়ে নিতে। যায়না?
.
সে কথার উত্তর দিলোনা পুনম। সে খেয়াল করলো অনেকক্ষণ যাবৎ বুকের সাথে একটা ছবি চেপে ধরে আছেন আনোয়ারা ইসলাম।
উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে পুনম বললো-
এটা কার ছবি?
-রানবীর বাবার।
-তাই নাকি! দেখি?
.
ছবিটি দেখাতে চেয়েও দেখালেন না তিনি।
আমতাআমতা করে বললেন-
এখন এটা বুক থেকে সরানোর কোনো ইচ্ছে নেই আমার।
-একটু করেই তো দেখবো।
-পরে দেখো।
.
পুনম আর কিছু বললো না। চুপচাপ বেরিয়ে গেলো আনোয়ারা ইসলামের রুম থেকে।
.
.
.
শুয়ে পড়েছে মাহিম বিছানায় শরীরটা এলিয়ে।
ইপশিতার নাম্বারে ফোন দিলো সে।
বেশ কয়েকবার রিং পরার পরে ফোন রিসিভ করলো ইপশিতা।
-কি ব্যাপার ইপশু? কই ছিলে এতোক্ষণ?
-আমার কাজিনরা এসেছিলো। ওদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
-তাই বলে ফোন দেখবেনা?
-ফোন তো রুমে ছিলো। আমরা ড্রয়িং রুমে ছিলাম।
-সাথে রাখতে পারোনি ফোন? তুমি জানোনা আমি তোমাকে ফোন দিই?
-৪বারই তো দিয়েছো! এমন ভাব করছো যেনো ৪০বার দিয়েছো, আমি রিসিভ করতে পারিনি।
-৪বার কম লাগছে তোমার কাছে?
-হু লাগছে।
-তোমার ছেলে কাজিন এসেছে বুঝি? তাই কোনো খেয়াল নেই মোবাইলের দিকে?
-কি হাবিজাবি বলছো তুমি! ছেলে কাজিন আসলে মোবাইলে কেনো খেয়াল থাকবেনা?
-চুপচাপ নিজের রুমের দরজা লক করে ঘুমিয়ে পড়ো, আর আড্ডা দিতে হবেনা।
.
একটু রেগেই ইপশিতা বললো-
হুকুম দিচ্ছো?
-দিলে দিচ্ছি।
-আমি তো আড্ডা দিবোই। দরজা লক করবো না। মোবাইলটা বন্ধ করবো।
.
কথাটি বলেই ফোনের লাইন কেটে দিলো ইপশিতা।
মাহিম আবারো ফোন দিলে নাম্বার বন্ধ পেলো তার।
এটা কি করে ফেললো সে!
তার মাথাটা ঠিক নেই। পুনম কে নিয়ে চিন্তায় আছে সে।
তাই বলে ইপশিতার উপরে রাগ ঝড়বে সে! এটা উচিত হয়নি। মাহিম ভালোভাবেই জানে, ইপশিতা ঠিকই শুয়ে পড়েছে। তবে বেচারীর মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছে।
.
হ্যাঁ, ইপশিতা দরজা বন্ধ করে শুয়ে পড়েছে।
মনটা প্রচন্ড খারাপ তার। মাহিম এমন ব্যবহার করতে পারলো তার সাথে!
.
.
.
আনোয়ারা ইসলামের রুম থেকে পুনম এসেছে প্রায় ৪০মিনিটের বেশি হতে চলেছে।
তখন থেকেই সে ওয়াশরুমে।
ঝর্ণা থেকে পানি পড়ার শব্দও ৪০মিনিট ধরেই শোনা যাচ্ছে।
রানবী ওয়াশরুমের দরজায় টোকা দিয়ে বললো-
পানির ট্যাংক কি খালি করে ফেলবে আজ? এতোক্ষণ কি করছো?
.
ভেতর থেকে চেঁচিয়ে পুনম বললো-
তোর কিরে?
-এইরে! আপনি থেকে আবারো তুই?
.
পুনম রেগেমেগে বললো-
আমার মাথাটা ঠান্ডা করছি পানিতে ভিজিয়ে। প্লিজ বিরক্ত করবেন না। অন্তত বাথরুমে শান্তিতে থাকতে দিন!
-এতোক্ষণ ভিজলে শরীর খারাপ করবে।
-সেটা আমার বিষয়।
.
আর কিছু বললো না রানবী। শুয়ে পড়লো বিছানার উপরে। ভীষণ ঘুম পাচ্ছে তার।
.
আরো ২০মিনিট পরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসে শুয়ে পড়লো পুনম।
রানবী আগে থেকেই শুয়ে ছিলো।
মাঝখানে কোলবালিশ টা দেয়া।
আস্তেধীরে চোখ জোড়া বন্ধ করে পুনমও ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।
.
.
রাত ২টা…
কারো গোঙানির শব্দ ভেসে আসছে।
রানবীর ঘুমটা ভেঙে গেলো।
পাশ ফিরে তাকাতেই বুঝলো পুনমই এমন শব্দ করছে।
তাড়াহুড়ো করে উঠে লাইটটা জ্বালানো রানবী।
দেখতে পেলো পুনম কাঁপছে। আর মুখে কেমন যেনো শব্দ করছে।
রানবী তার পাশে এসে কপালে হাত দিলো। বেশ গরম। তার মানে জ্বর এসেছে।
মেডিসিন দেবার জন্য পুনম কে ডাকলেও সাড়া দিলোনা না সে।
ঘুমন্ত অবস্থায় বললো-
আমার ঠান্ডা লাগছে ভীষণ।
.
শীতকাল আসতে দেরী আছে বিধায় রানবীর রুমে এখন কোনো কম্বল নামানো নেই।
সে ড্রয়ার থেকে একটা নকশি কাথা নিয়ে পুনমের গায়ের উপর বিছিয়ে দিলো। দেখলো সে এখনো কাঁপছে!
রানবীর কাছে আরেকটি পাতলা কাথা রয়েছে। সেটিও সে পুনমের শরীরের উপরে দিলো।
কিন্তু এতেও কোনো লাভ হলোনা। এভাবে পুনম কাঁপছে কেনো জানা নেই রানবীর। তবে সে এভাবে পুনম কে দেখতে পাচ্ছেনা। কষ্ট লাগছে তার।
পাখাটা বন্ধ করে বেশ কিছুক্ষণ নিজের রুমে পায়চারী করলো রানবী। পুনমের শরীরের কোনো উন্নতি না দেখে একটা বুদ্ধি মাথায় এলো তার।
নিজের পরণের শার্টটি খুলে ফেললো রানবী।
কোলবালিশটা সরিয়ে কাথার ভেতর নিজেও ঢুকে পড়লো।
আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো সে পুনম কে।
রানবীর এখন প্রচন্ড গরম অনুভব করার কথা হলেও সে তা করলো না। বরং প্রচন্ড শান্তি অনুভব করছে সে।
পুনমের এক একটা গরম নিঃশ্বাস তার বুকের উপর পড়ছে। তার শরীরটাও প্রচুর গরম। তবুও কেনো এতো ভালো লাগছে তার? হু, এটাও সাইকোলজিকাল ফ্যাক্ট এবাউট লাভ।
রানবী খেয়াল করলো কাঁপুনি অনেকটাই কমে এসেছে পুনমের।
স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলে আরো শক্ত করে পুনম কে চেপে ধরে, চোখ জোড়া বন্ধ করে নিলো রানবী।
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here