জীবনসঙ্গী
পর্ব ৬
writer Tanishq Tani
শাপলা,,,এই তোর কি কোনো কাজ নাই সবসময় এই নবাবজাদীর সাথে বসে বসে গল্প ছাড়া,,,আর কি বলছিলি ওকে,,
কই খালাম্মা,, ভয়ে গলা শুকিয়ে যায় শাপলার রিশাদের মাকে রান্নাঘরে দেখে,,
না সত্যি করে বল কি বলছিলি,,আমি কিন্তু কিছুটা শুনেছি,, তুই শশী কাছে আমার ছেলের নামে বদনাম করছিস,,
আর শশী তোর লজ্জা হয় না,,দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাজের মেয়ের কাছে স্বামী শ্বশুরবাড়ির গীবত করছিস,,লজ্জা হবে টা কি করে শুনি বাপ টা তো একটা লম্পট আর তোর মা থাক কিছু বললাম না,,আমরা ভদ্র মানুষ এসব ছোটলোকদের নিয়ে আলোচনা করি না,,
শশী যেন কিছুই শোনে নি,,পাথরের মূর্তি হয়ে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে,,নিজের কানকে ওর বিশ্বাসই হচ্ছে না,,কি শুনলো শাপলার কাছ থেকে,,নাকি ভুল শুনলো,,
বউ মা! শশীকে ধরে ঝাঁকি দেয় রিশাদের মা,,
আম্মা! আপনার ছেলে নাকি আগে একজন কে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো? আম্মা কথা কি সত্য,,
শ্বাশুড়ির ঝাকিতে ঘোর কাটতেই শ্বাশুড়ির হাত ধরে কাঁপা কাঁপা গলায় প্রশ্ন করে,,
হ্যাঁ! করেছিলো,,কেন তোমাকে তোমার মামী বলে নাই কিছু,,তোমার মামীকে তো সব বলেই তারপর তোমার সাথে বিয়ের কথাবার্তা ঠিক হয়,,
কি? মামী জানতো,,,
হ্যাঁ,,
মিথ্যে কথা,, কই আমাকে তো কেউ কিছু বলে নাই,,,
কি? আমি মিথ্যে কথা বলেছি,,তোমার এতোবড় সাহস,,আমাকে মিথ্যাবাদী বলো,,আজ আসুক রিশাদ,, তোমাকে শিক্ষা দিয়ে ছাড়বো,,ভুলে যেয়ো না ও আর সবার মতো বউ পাগলা না,,,
শশী এবার যেন পুরোপুরি ভেঙে পড়ে,,ভূমিষ্ঠ হরওয়ার আগেই সন্তান হারালো, আজ ১ বছর যাবত অসহ্য যন্ত্রনা লাঞ্চনার মধ্যে দিয়েও এ বাড়িতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে তার একটিই কারন আর তা হলো রিশাদ,,স্বামীই যে স্বর্গ স্বামীই যে সব বাঙালী নারীর জন্য,,,কিন্তু সেই স্বামী যদি ধোকা দেয় প্রতিমুহূর্তে তাহলে স্বামী নামক স্বর্গ যে নরকে পরিনত হয় নারীর জীবনে,,,
রান্নাঘরে ধপাস করে বসে কাদতে থাকে শশী,,আকাশ ভেঙে পড়েছে আজ মনে হয় মাথায় উপর,,সব কিছু অন্ধকার লাগছে দেখতে,,জীবনটাই মূল্যহীন তুচ্ছ লাগছে,,,
সব তো শেষ কি আছে বাকি আমার,,যাকে বিশ্বাস করে সব সঁপে দিলাম সেই তো ধোঁকা দিলো,,এজীবনের এখন কি প্রয়োজন,,,
হাত পা অসাড় হয়ে আসে শশীর,,
পরক্ষনেই ভাঙা মরা পুতুলটা উঠে দাড়ায়,,বিদ্রোহের আগুন তার চোখে মুখে,,এ বিদ্রোহ একটা সুন্দর সতেজ জীবনকে জীবন্ত লাশ বানিয়ে দেওয়া স্বামী নামক পশুটার বিরুদ্ধে,, শ্বশুর শ্বাশুড়ি নামক সমাজের ধোঁকাবাজ সুযোগ সন্ধানী লোভীদের বিরুদ্ধে,,,পৃথিবীর মুখ দেখতে না পাওয়া সেই সন্তানের খুনির বিরুদ্ধে,,,
চোখে মুছে ঘরে গিয়ে বসে শশী,,দুচোখের বাঁধনহারা জলের ধারাকে মুছে রুখে দেয়,, বিছানা খামচে বসে থাকে,,, ছিঁড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে এই দেহকে যে দেহ ঐ পশুটা দিনের পর ভোগ করছে,,
স্বামী যেখানে কোন অধিকার দেওয়া ছাড়ায় একটা রক্ত মাংসের দেহ ভেবে দিনের পর দিন পাশবিক মানসিক অত্যাচার চালাই
ঘরের বউকে পতিতার মতো ব্যবহার করে তখন সে আর স্বামী থাকে না,,নামসর্বস্ব হয়ে যায়,,
রাতে রোজকার মতোই নেশা করে বাড়ি ফেরে রিশাদ,,,
ঘরে ঢুকতেই দেখে শশী বিছানার উপর বসে আছে,,,
রিশাদ নেশায় ঢুলতে ঢুলতে এসে বিছানায় ধপ করে পড়ে,,
যা এক গ্লাস পানি নিয়ে আয়,,,
বেশকিছুক্ষন হয়ে যায় কিন্তু শশী যেভাবে বসে ছিল ওভাবেই বসে থাকে,,
কিরে তোর কানে কথা ঢুকে না মা*,, বেশি তেল জমে গেছে শরীরে,, শশীর চুলের মুঠি ধরে হ্যাঁচকা টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে,,
রিশাদ তুমি আগে থেকেই বিবাহিত,,,, কান্নাজরিত কন্ঠে প্রশ্ন করে
রিশাদ শশীর কথা শুনে শশীর চুল ছেড়ে ঢুলঢুলে চোখে শার্ট টা খুলে শশীকে জরিয়ে বিছানায় শুইয়ে ওর গলায় ঘারে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়,,,
শশীর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে,,শশী এক ধাক্কাতে রিশাদ কে সরিয়ে দেয় নিজের উপর থেকে,,
রিশাদ আমি আগে আমার প্রশ্নের উত্তর চাই,,, কঠিন স্বরে বলে শশী,,,
বিশাখার মতো তুই ও ঘ্যানঘ্যান করে আমার মজা নষ্ট করে দিস না,,মাথা এমনিতেই গরম তখন কিছু একটা করে ফেলবো,,, চোখ গরম করে শশীর হাত টানতে টানতে
বিশাখা কে রিশাদ,,,রিশাদের হাত ছাড়িয়ে,,,
এই তোকে বললাম না চুপ কর,,কথা কানে যায় না তোর,,,শশীর বাহু চেপে ধরে,,
না যায় না,,এতোদিন যা বলছ মাথা পেতে নিয়েছি,,কিন্তু আর না,,তুমি আজ আমাকে সত্যি টা বলবে,,রিশাদের চোখে চোখ রেখে চিৎকার বলে শশী,,,
তোর সাহস কি করে হয়,, আমাকে না বলার,,
ঠাসসস করে চর বসিয়ে দেয় শশীর গালে,,
চড়টা নাকে লেগে যায়,, গলগল করে রক্ত পড়ে নাক থেকে,,,
কি জানতে চাস,, আমি বিবাহিত কিনা? হ্যাঁ বিবাহিত আমি,,আর বিশাখা হলো আমার স্ত্রী,,শশীর মুখ চেপে ধরে বলে রিশাদ,,,
তাহলে আমি কে তোমার রিশাদ,,,
শশীর চেঁপে ধরা ঠোঁট থেকে ভাঙা শব্দে বের হয় কথাগুলো,,
তুই আমার কাছে আমার বাবা মার পছন্দ করা ঘরের বউ ছাড়া কিছুই না,শশীকে দেয়ালে দিকে ধাক্কা দিয়ে,,
তাহলে আমাকে দেওয়া ওয়াদা ভালোবাসা সব কি ছিলো,, দেয়াল ঘেঁষে দাড়িয়ে ভয়ার্ত কষ্টে আতঙ্কিত গলায় বলে,,
আরে ওসব তো সব বিশাখার উপর রাগ করে করেছি তোর সাথে,,তোর কি ধারণা তোকে ভালোবাসি আমি? না তোকে ভালোবাসি না আমি,,কোনোদিনও ভালোবাসবো না,,আমার ভালোবাসা শুধু বিশাখা,,তুই শুধু আমার জন্য বিছানার সাথী আর আমার ঘরের দাসী,,,
শশীকে বিছানায় ফেলে দিয়ে টেনে হিঁচড়ে ছিড়ে ফেলে ওর কাপড়,,,সব সত্যি জেনে যাওয়ায় রিশাদ এখন আরো ভয়ানক হয়ে ওঠে,,,অন্যদিন থেকে হিংস্রতা আজ বেশি চালায় শশীর উপর,,,শশী পাথর হয়ে পড়ে থাকে,,শরীরের উপর দিয়ে চলে বিভৎস অত্যাচার,,,
দুচোখের জল গুলো শুধু জানান দেয় না মরি নি আমি,, তবে আজকের পর থেকে আর বেচেও নেই,,, অসহ্য কষ্ট হচ্ছে,,, মরনকে খুব নিকটে মনে হচ্ছে শশীর,, ব্যথায় বন্ধ হয়ে যায় চোখের পাতা,,,
সকালে জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে হাসপাতালের বেডে খুজে পায় শশী,,
মাথার কাছে মা আঁচলে বার বার চোখ মুছছে আর কাঁদছে,,
কি হয়েছে মা? কাঁদছ কেন,,বলতে ইচ্ছা হচ্ছে শশীর কিন্তু গলা দিয়ে যে এটুকুও বের হচ্ছে না আর,,,
অসহায় ভাবে মায়ের দিকে চেয়ে আছে,,,
নড়াচড়াও ঠিকমতো করতে পারছে না,,,
দুপুরের দিকে একটা মহিলা পুলিশ এসে শশীর কাছ থেকে কি যেন একটা কাগজে জোর করে হাত ধরে সই করে নিলো,,,
শশী হাতটা সরাতে চেয়েও দুর্বলতার কারনে পারে না,,
৫ দিন পর শশী এখন একটু স্বাভাবিক,,, নড়াচড়া করতে পারে,,ভেঙে ভেঙে কথাও বলতে পারে,,কিন্তু গলায় প্রচন্ড ব্যথা,,
শশী গলায় হাত দিতেই দেখে গলায় ব্যান্ডেজ করা,,
কিরে মা,,, এখন কেমন আছিস রে তুই,,,
এতবড় কাজটা কি করে করতে পারলি তুই,,, আমার কথা কি তোর একটুও মনে পড়লো না,,
কিইইইই করেএএএছিইইই মা,,, শশী ভেবেই পায় না মা কেন এমন কথা বললো,,
মা রিশাদকে তো দেখছি না,,,
ওরে পোড়াকপালী তুই নিজের কপাল নিজেই তো পুড়ালি রে,,ফেরেশতার মতো স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তুই গলায় ফাঁস দিয়ে মরে ওদের ফাসাতে চেয়েছিলি,,,কেন করলি তুই এমন শশী কেন করলি,,
এতো নিচে কি করে নামলি,,কাওকে যদি তুই পছন্দই করতি তাহলে আগে বললি না কেন,,এখন সমাজে মুখ দেখাবো কি করে আমি,,জন্মের সময় মরে গেলি না কেন তুই,,,
কিইই বওওলছ মা,,,কেন বলওলছো তুউউমিইই,রিশাদইশাদকেএএ কেএনো ডিভোওর্স দেএবো আমি,,,
মিথ্যা বলছিস আবার আমাকে,,,এই দেখ,,,
শশীর মা ব্যাগ থেকে একটা ডিভোর্স পেপার বের করে শশীর সামনে ফেলে,,,
শশী কাপা হাতে কাগজ টা দেখতেই চমকে গেলো,,এযে সত্য ডিভোর্স পেপার,,, আর সাইন ও যে শশীর,,,শশীর এখন সব মনে পড়লো,,রিশাদ ওদের বাড়ি উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর একদিন রাতে ওদের নামে একটা ফ্লাট কিনবে বলে নমিনির জন্য সাদা কাগজে সাইন করাই,,,
এটাই ছিলো সেই কাগজ,,,
মাগো আমি বেঁচে রইলাম কেন? আমি মরেই যেতাম,,,এতো ধোঁকা মিথ্যাচার যে সহ্য হয় না আর মা,,আমিও তো মানুষ মা,,আমারও যে কলিজা ছেড়ে কষ্টে,,,আর্তনাদ করে কাদে শশী,,,
কি বলতে চাস তুই শশী,,,
ও মা তুমি তো আমাকে পেটে ধরেছ,, এতবড় করেছ,,, তোমার মনে হয় মা আমি এতোনিচ কাজ করতে পারি,,,মাগো তুমি বলো রিশাদকে আমি ভালোবাসিনি,,ও মা স্বামীকে কোন স্ত্রী ভালোবাসে না বলো মা,,,আমি স্বামী বলে সব লুটিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হয়েছি তবুও তার মন পেলাম না তোমাদের কারো চোখে ভালো স্ত্রী হতে পারলাম না ,,,ও মা তুমি বলে দাও কি করবো আর আমি,,,,
শশী কাঁদতে কাঁদতে মা আর মামা মামাতো ভাইকে সব খুলে বলে বিয়ের পর রিশাদ কি কি করেছে,,,রিশাদের বিয়ের কথা জেনে যাওয়ায় শশীর উপর রিশাদের অত্যাচার,,
কিন্তু ওর বাবা মা তোকে হসপিটালে ভর্তি করে বলে যে তুই নাকি ওদের হুমকি দিচ্ছিলি ওদের বাড়ি নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য,, তারা নাকি রাজি না হওয়ায় তুই গলায় ফাস দিয়েছিলি,,,
ওরা তোর নামে জিডি করে,,সাথে পুলিশকে তোদের ডিভোর্স পেপারও দেখায়,,
এই জন্য এখন কোনো কিছু করতে পারবো না ওদের আমরা,,,বাবা টাকা দিয়ে জিডি উঠিয়ে নেয়,,,
মিথ্যে কথা শোভন ভাইয়া,,,সব মিথ্যে কথা,,,আমি নিজেও জানি না ঐদিন রাতে কি হয়েছিলো আমার সাথে,,,
শশীর মা শশীকে জরিয়ে কাদতে থাকে,,,
আমাকে ক্ষমা করে দে মা,,আমি বুঝি নি আমার জন্য আজ তোর এতো কষ্ট ভোগ করতে হবে
শশী এখন আর শব্দ করে কাঁদতে পারে না,,,চুপচাপ চোখের পানি ফেলে,,জীবন শুধু ধোকা আর বিভৎস স্মৃতি দিলো ওকে,,,
মামা বাড়িতে নিয়ে আসা হয় শশীকে,,,মামা এখন কথা বলে না তেমন মামীর সাথে,,তার স্ত্রীর জন্যেই তো শশীর আজ এমন অবস্থা,, প্রিয় ভাগনীর জীবনটা নষ্ট হওয়ার দায় যেন মামা নিজের কাঁধেই নিলো,,,
আজ ৩ মাস হলো শশী নিজের রুমের চার দেয়ালের মধ্যে নিজেকে বন্দী রাখে
শশীর স্থির চোখ আর স্থবিরতা দেখে চোখ মোছে মামা,,
দুপুরে হাসপাতাল থেকে ফোন আসে শশীর মামার রোড এক্সিডেন্ট হয়েছে,,,
শোভন ভাইয়া মামী মা সবাই গেলো,,,শশী শুধু দাড়িয়ে রইলো চুপচাপ,,, কেউ যদি নিয়ে যেতো মামা কাছে কিন্তু কেউ নিলো না,,,
মামার পা টা ভেঙে গেছে,,,বিছানায় পড়ে যায় মামা,,,
সংসার একপ্রকার অচল হয়ে যায়,,,শোভন মাত্র অনার্স ৩য় বর্ষে,, কি আর করবে ও,,তবুও যা পারছে চেষ্টা করছে,,,
আসবো শশী?
এসো মামী,,,শুকনো গলায় বলে শশী,,,
শশীরে আমি যা করেছি তার শাস্তি আমি স্বামীকে এমন অবস্থায় দেখে পেয়ে গেছি,,,আমি জানতাম না ওরা এতোটা খারাপ হবে,,,আমারকে মাফ করে দে শশী শশীর হাত ধরে কেঁদে ওঠে মামী,,,,
এসব কি করছ মামী,,,আমার কারো উপর কোনো রাগ নেই,, সবই আমার কপালের দোষ,,, স্থির চোখে চেয়ে বলে,,,
তাহলে আমার সংসারটাকে বাচা তুই শশী,,,
তোর মামার বসের ছেলেকে বিয়ে কর শশী,,,তারা তোর মামাকে প্রস্তাব দিয়েছে,,,তুই রাজি হলে আমার শোভনটাও ওখানে ভালে জব পাবে,,,আমার সংসার আবার সচল হবে
মামী! তোমার দোহায় লাগে এমন কথা বলো না মামী,,,আমি আর পারবো না এসব,,,আমাকে তারচেয়ে মেরে ফেলো আৎকে ওঠে মামীর কথা শুনে শশী,,,
তা কেন পারবি,,,আমরা যে এতবছর তোদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ালাম তোর জন্যেই তোর মামার আজ এমন অবস্থা,, আমার শোভন আজ রেস্টুরেন্টের বেয়ারা,,,আমার ছেলেটার জীবন শেষ করছিস,,,
মামী,,,
তুই যদি রাজি না হোস তো তোর মামা আর আমি বিষ খেয়ে মরে যাবো,,তারপর থাকিস তুই তোর জিদ নিয়ে,,,
ভাবি! শশীকে জোর করছ কেন? আমার মেয়েটাকে একবার নরকে ফেলে শান্তি হয় নাই তোমার ,,এবার কি মেরে ফেলতে চাও,,,
কি হাল করেছ আমার হাসি খুশি মেয়েটার,,,হাসতেও ভুলে গেছে মেয়েটা আমার,,,শশীর মা কাঁদতে কাদতে বলে মামীকে,,,
ঠিক আছে তাহলে তাই হবে,, তোর ভাই কে শোভন রাফিন সবাই কে বিষ খাইয়ে নিজেও সাথে মরে যাবো,,,তারপর হাসি খুশিতে থেকো মা বেটি,,,,নেমকহারামের দল
দাঁড়াও মামী,,,কবে বিয়ে করতে চায় তারা,,,তাদের আসতে বলো,,,
শশী? তুই এই মহিলার কথা আর শুনবি না আমি তোকে শুনতে দেবো না,,,
না,, মা,,,আমি রাজি,,আমার জীবন তো শেষ,,এখন এই পঁচা নষ্টের জীবনটা যদি কারো জীবনে কোনো কাজে আসে তাতে ক্ষতি কি,,আর মামা মামীর অনেক ঋন আমাদের উপর,,,আজ সব ঋন শোধ হবে,,
আমরা নেমক হারাম না মামী,,,শশী কঠিন স্বরে বলে,,,
২ দিন পর শশীর ২য় বিয়ে হয়ে যায়,,
জড় পদার্থের মতো নিজের বাসর ঘরে বসে থাকে শশী,,,মন আজ জানতেও চায় না যার সাথে বিয়ে হলো সে কেমন দেখতে,,,স্থির মূর্তি হয়ে বসে রয় শশী,,,যার জীবন তো আছে কিন্তু অনুভূতি নেই কোনো,,,
চলবে,,,