জীবনসঙ্গী – পর্ব ৯

0
306

জীবনসঙ্গী
পর্ব ৯
writer Tanishq Tani

বেলকনির গ্রিলে হাত রেখে দাড়িয়ে আছে শশী,,এতোদিন পর আজ প্রান ভরে শ্বাস নিচ্ছে,,,সবকিছুই ভালো লাগছে,,ফুরফুরে লাগছে মেজাজ,,
কিন্তু হঠাৎ করে ঢুকরে কেঁদে ওঠে,,
হৃদয়জুড়ে ভাঙাচুরা শুরু হয়,,এ কান্নার সঠিন কারন শশীর জানা নেই,, কিন্তু কেন যেন কান্না চোখ মুখ হৃদয় ভেঙে বের হচ্ছে,,,

বেলকনিতে দেয়াল ঘেষে বসে শাড়ির আঁচলে মুখে চেপে কাঁদতে থাকে,,,
হঠাৎ দরজা খোলার শব্দে চোখ মুখ মুছে উঠে বসে,,,

ভাবি মনি কই তুমি,,,

নাসিফের ডাক শুনে শশী রুমের ভেতর আসে,,,

এই তো বাবু,,,

নাসিফ দৌড়ে গিয়ে শশীকে জরিয়ে ধরে,,,
শশী নাসিফের মুখ উচু করে হেসে দেয়,,,
নাসিফও একগাল হেসে দেয়,,

কি অবস্থা এখন তোমার শশী,,,

জ্বী ছোট মা ভালো,,,

চলো নিচে সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে খাবার টেবিলে,,,

জ্বী,,
শশী শাড়ির আঁচলে ঘোমটা টেনে নাসিফ আর ছোট মার সাথে নিচে খেতে গেলো,,,

শশীর খুব লজ্জা লাগছে,,নতুন বউ সে জন্য নয়,,তালাকপ্রাপ্তা নতুন বউ সেইজন্য,,নিজের কাছেই কেমন ছোট ছোট লাগছে,,,

ফারিহা ভাবিকে চেয়ার টেনে বসিয়ে দিলো,,,

শশী নাসিফ কে নিয়ে বসলো,,

কিছুক্ষণ পর একজন ভদ্রলোক গোছের লোক অফিসিয়াল পোষাকে শশীর থেকে কিছুটা দূর গিয়ে বসলো,,,
ছোট মা প্লেট ঠিক করার ছলে শশীকে বলে
এনিই তোমার শ্বশুর যাও গিয়ে সালাম করো,,

শশী কথাটা শুনে উঠেই অনিকেতের বাবা মি.আজিম চৌধুরী কে সালাম করতে যায়,,

কিন্তু অনিকেতের বাবা হাত উচিয়ে শশীকে থামিয়ে দেয়,,,

হতে পারো তুমি অনির বউ,,কিন্তু আমি তোমাকে পূত্রবধূ হিসাবে মানি না,,আর মানবোও না কোনোদিন,,,তোমার মতো থার্ড ক্লাস ডিভোর্সি মেয়েকে আমার সোসাইটিতে মানায় না,,সো এসব ন্যাকামি আমার সামনে করতে আসবে না,,কর্কশ গলায় বলে,,

শশী মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে,,,

অনিকেত উপর থেকে সব দেখে রাগে দাতে দাত চেপে নিচে নামে,,,

ছোট মা,,কি দরকার ছিলো ওনাকে সালাম করতে বলার,,তুমি তো ভালো করেই জানো সে আমার কোনো খুশি পছন্দতেই রাজি না,,,

অনি তুমি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছ,,,রাগে আওয়াজ করে বলে আজিম চৌধুরী

শশী আমার স্ত্রী ওর কেউ অপমান করবে আমি তা একদমই সহ্য করবো না,,আমার স্ত্রীর অপমান আমার অপমান,,সবাই যেন মনে রাখে,,,কারো ভালো না লাগলে বলুক আমি আমার স্ত্রী কে নিয়ে চিরতরে এ বাড়ি থেকে চলে যাবো,,

অনি তুই এসব বলতে পারলি,,বাবা হয় তোর,,কি করে বলতে পারলি সব ছেড়ে চলে যাবি,,

বুঝো না কেন অরুনা,,তোমার ছেলের বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়েছে,,তাইতো সমাজ সোসাইটি সব বাদ দিয়ে এই মেয়েকে আপন করেছে,,
এখন সবাই ছোট এই ২ টাকার মেয়ের কাছে,,

বড় ছোটর কথা আসছে কোথা থেকে মম,,
আমি শুধু আমার স্ত্রীর অপমানের প্রতিবাদ করছি,,স্ত্রী হিসেবে আমার কাছে এতোটুকু সে পেতেই পারে,,আমার স্ত্রী কোনো পন্য না যে কেউ তাকে টাকা দিয়ে বিচার করবে,,,

তোমরা আমার মম ড্যাড তোমাদের আমি রেস্পেক্ট করি তদ্রূপ শশী আমার স্ত্রী ওর মান সম্মান বজায় রাখা স্বামী হিসেবে আমার দায়িত্ব,,, কোনোভাবেই এই দায়িত্ব আমি এড়িয়ে যেতে পারবো না,,

চলো শশী,,,শশীর হাত ধরে সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিয়ে যায় শশীকে,,,
ছোট মা আমাদের খাবার ঘরেই দিয়ে যাও,,,
যেতে যেতে বলে অনিকেত,,,
শশী অবাক দৃষ্টিতে অনিকেতের দিকে চেয়ে রইলো,,মনে মনে বললো প্রকৃত স্বামী তো অনিকেতের মতো পুরুষ,, যারা স্ত্রী কে শুধু বিছানার সাথী, ঘরের দাসী আর বাচ্চা তৈরির মেশিন মনে করে না,,জীবনসঙ্গী মনে করে,,নিজের পাজরের হাড় দেহের অংশ মনে করে,,

নাসিফও দৌড়ে দাদাভাইয়ের হাত ধরে উপরে উঠে যায়,,,

রুমে এসে শশীর হাত ছেড়ে দেয় অনিকেত,,,,

আপনি আপনার বাবা মায়ের সাথে ওমন আচরন না করলেও পারতেন,,
তারা তো আপনার বাবা মা,,আমার মতো সাধারণ ডিভোর্সি মেয়ের জন্য আপনি কেন এতোগুলো কথা খরচ করলেন,,,

একদম চুপ,,কি মনে করো কি তুমি,,তোমার জন্য তুমি হতে পারো সাধারন বা অন্যকিছু,, আমার জন্য তুমি আমার স্ত্রী,, আমার ভালোবাসা,প্রানেশ্বরী,, যে আঘাত তোমার মনে লাগে সে আঘাত তীর হয়ে আমার বুকেও এসে বিঁধে,,, কবে বুঝবে তুমি আমাকে,আমার ভালোবাসাকে,,,,আমি মরে গেলে,,,শশীর বাহু চেপে নিজের খুব কাছে নিয়ে আসে,,,

আহ্,, খুব জোরে বাহু চেপে ধরায় ব্যথা পায় শশী,,

শশী ব্যথা পাওয়ায় অনি শশীর বাহু ছেড়ে নাসিফের দিকে তাকায়

নাসিফ ওদের দুজনকে এভাবে দেখে চোখ বড় করে দাড়িয়ে থাকে,,

দাদা ভাই তুমি ভাবি মনি কে মারছ?
নাসিফ কাঁদো কাঁদো স্বরে বলে,,

না তো? আমি তো তোর ভাবি মনি কে আদর করছিলাম শশীর দিকে দাত কটমট করে বলে,,,

শশী অনির কথা শুনে হা করে চেয়ে থাকে,,

হিহিহি,,,

হাসলি কেন?

এই যে তুমি বললে ভাবি মনি কে,,হিহিহি,,

পাকা হয়ে গেছিস দেখছি,,নাসিফ কে কাতুকুতু দিতে দিতে বলে,,,
নাসিফ দাদাভাইয়ের কাতুকুতুতে বিছানায় গড়াগড়ি খেয়ে হেসে কুটিকুটি হয়,,

শশী দাড়িয়ে নাসিফ আর অনিকেতের দুষ্টুমি দেখে মুচকি হাসে,,,

ভাইজান! আপনার আর নতুন ভাবির খাবার,,,

সামনের টি টেবিলে রেখে তুই যা,,

নাসিফ বাবাই! তুমি আমার সাথে নিচে চলো,,ছোট চাচিম্মা তোমাকে যেতে বলেছে,,,

না তুমি যাও,,আম্মু কে বলো আমি যাবো না,,দাদাভাইয়ের কাছে থাকবো,,,

বাবাই! তোমার স্কুলের সময় হয়ে গেছে তো,,রেডি হবা না,,

না আমি স্কুলে যাবো না আজ,,,

সুপারস্টার এটা তো ঠিক না,,তুই তো আমার সুপারস্টার তাই না,,সুপারস্টার রা কখনো স্কুল বন্ধ দেয় না,, go সুপারস্টার,,

নাসিফ কে অনেক বুঝিয়ে কাজের মেয়ের সাথে পাঠিয়ে দেয়,,,

দাড়িয়ে আছো যে?
এখান এসে বসো,,

শশী চুপচাপ এসে অনিকেতের পাশে বসে,,,
অনিকেতের রাগের সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত শশী,,এলাকার সব ছেলেরা ভয় পাই অনিকেত কে,,,এলাকায় আলাদা প্রভাব রয়েছে অনিকেত ও ওর বন্ধুদের,,,

খাও,,, শশীর প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে বলে,,

শশীর ডান হাতটার শিরা কেটে যায়,,রুটি ছিড়তে গিয়ে হাতের শিরায় টান লেগে ব্যথায় কুকড়ে ওঠে শশী,,,

চোখ দিয়ে পানি বের হয়,,

অনিকেত খাবার মুখে নিতে গিয়ে শশীর চোখের পানি দেখে খাবার মুখে নিতে পারে না

হা করো,,,

জ্বী,,অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,,,

যা বলি তাই করো,,

শশী আর কথা বাড়ানোর সাহস পায় না,,
চুপচাপ হা করে,,

অনি নিজের খাবার টুকরা টা নিজে না খেয়ে শশীর মুখে দেয়,,

আমি খেতে পারবো,,আপনি খান,,আস্তে করে বলে,,,

এতো কথা বলো কেন? আমাকে পছন্দ করো না জীবনে হয়তো ভালোবাসতেও পারবে না,,ঠিক আছে,,
আমিও জোর করছি না আর কোনোদিন করবোও না,,ডোন্ট ওরি,,

কিন্তু তোমার কোনো কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না পারবোও না,,তোমার কষ্ট দূর করে তোমাকে ভালো রাখার জন্য যা করার দরকার সব করবো আমি,,এক্ষেত্রে তোমার কোনো বাঁধা নিষেধ আমি শুনবো না,,গট ইট,,,

এই হাত একবার যখন ধরার সৌভাগ্য পেয়েছি,,দুনিয়া উতাল পাতাল হয়ে গেলেও এই হাত আর ছাড়াতে পারবে না,,
তুমি নিজেও ভালো করে জানো কতোটা জেদি আমি,,,
এখন চুপচাপ খাওয়াতে দাও,,

শশী চোখ নিচু করে তাকিয়ে অনির সব কথা নিরবে শুনে যায়,,শশী বুঝতে পারে শশীর কারনে অনিকেত কতো কষ্ট পাচ্ছে,, কিন্তু জোর করে তো আর ভালোবাসা যায় না,,,
শশীর দেহ মন জুরে যে রিশাদের আবাস,,,
হাজার বাঁধা ঘৃনা উপেক্ষা করে এখনও রিশাদের স্মৃতি মস্তিষ্ক জুরে রয়ে গেছে,,,

শশীকে খাইয়ে শশীর হাতের ক্ষতে নিজেই ড্রেসিং করে দেয় অনিকেত,,,

কোনোকিছু দরকার হলে ছোট মা অথবা ফারিহা কে বলবে,,,

আমার আসতে রাত হয়ে যেতে পারে,, একটা কনসার্টে শো আছে আজ,,,
আলমিরা থেকে ব্লেজারটা বের করে রুম থেকে বের হয়ে যায় অনিকেত,,,

শশীর খুব ইচ্ছা করে অনিকেত কে বলতে আপনি আমাকে একা রেখে যাবেন না প্লিজ,,,
কিন্তু বলতে পারে না,,কোন মুখে বলবে,,কি দিতে পারবে অনিকেত কে কিছুই যে আর নেই শশীর,,

খাবারগুলোর দিকে তাকাতেই মনে পড়ে অনিকেত না খেয়ে গেছে,,,
নিজের মুখের খাবার আমার মুখে তুলে দিয়ে নিজে খালি পেটে চলে গেলো,,
আর আমি একটিবার তাকে বললাম না খেয়ে যান আপনি,,,

আজ সারাদিন ফিরবে না,,কি খাবে কখন খাবে,,শশী তুই সত্যি খারাপ,,,ভালো না বাসতে পারিস,, যে এতো কেয়ার করে বিনিময়ে তার তো একটু কেয়ার করতে পারিস নাকি?

লোকটা না খেয়ে চলে গেলো,,মনটা খারাপ হয়ে যায় শশীর,,,
অনিকেতের জন্য খারাপ লাগে,,,

শশী নিচে যাওয়ার সাহস পাই না,,,চুপচাপ ঘরে বসে আছে,,,গল্প উপন্যাসের বই থাকলে এই বসে থাকাটায় একঘেয়েমি আসতো না,,,

কি ব্যাপার চুপচাপ ঘরে বসে আছ যে,,,এ বাড়ির বউ তুমি,,,এভাবে চুপচাপ একা ঘরে বসে থাকা কি মানায় তোমার,,,

অনিকেতের মায়ের মুখ থেকে এমন কথা শুনে শশী ভয় ও লজ্জা দুটোয় পায়,,মুখটা ছোট হয়ে যায় ভয়ে,,,

এদিকে আসো,,আমার পাশে বসো,,,বিছানার উপর বসে শশীকেও বসায়,,,
কয়েকটা জুয়েলারি বক্স আর শপিং ব্যাগ নিয়ে বিছানায় রাখে অনিকেতের মা,,,

দেখো বউ মা,,সকালে যা হয়েছে তার জন্য মনে কিছু নিয়ো না,,,অনি আমাদের একমাত্র আদরের ছেলে,,,ওর বিয়ে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন ছিলো,,তুমিই বলো তুমি কি তোমার ছেলের জন্য কোনো ডিভোর্সি মেয়ে বউ হিসেবে চাইতে,,,

শশীর না সূচক মাথা নাড়ায়,,,

তাহলে আমি বা অনির বাবা কি করে তোমাকে মেনে নিবো বলো,,,

আন্টি আপনি যদি চান আমি এখনি চলে যাবো,,,আমি বুঝি আপনাদের কষ্ট,,, আসলে আমি তো এতো কিছু জানতাম না,,আমার মতো মেয়ের কারনে আপনাদের পরিবারে ঝগড়া মনমালিন্য হোক তা আমি কোনোভাবেই চাইবো না,,,

কিন্তু এখন তো তোমাদের বিয়ে হয়ে গেছে তাহলে কি করে যাবে,,,আর আমি যতোদূর জানি তুমি ও তোমার মা তোমার মামা বাড়িতে আশ্রিতা,,তারা তোমাকে কি আবার মেনে নেবে নিজেদের কাছে,,,

ও নিয়ে আপনি ভাববেন না আন্টি, আল্লাহর দুনিয়ার কোথাও না কোথাও ঠাঁই হবেই আমার,,,

আমি কি এখনি চলে যাবো আন্টি,,,,,,

ঠাসসসসস

শশীর গালে সজোরে চড় বসিয়ে দিলেন মিসেস অরুনা চৌধুরী,,,

তুমি কি হ্যাঁ,, কি করে পারো এতো সহ্য করতে,,,নিজে তো জ্বলে পুরে শেষ হয়ে যাচ্ছ সাথে আমার ছেলেটাও শেষ করে দিচ্ছ,,,

আমার ছেলেটা পুরো পৃথিবীর সাথে লড়াই করে তোমাকে নিজের করে নিলো আর তুমি কি? এতো সহজে ওকে ছেড়ে দিতে চাচ্ছ,,,
তুমি জানো তোমার বিয়ের খবর শোনার পর থেকে গত ১ বছর আমার ছেলেকে আমি হাসতে দেখি নি,,,সারাদিন গান আর তোমার ছবি নিয়ে পড়ে থাকতো,,,

কিন্তু গত পরশু আমার অনিকে আমি আবার হাসতে দেখেছি,,,আগের মতো খুশি দেখেছি ওর চোখে মুখে,,,

কেমন মেয়ে তুমি এমন হিরা কে না চিনে পচা শামুককে গ্রহন করেছ,,
আবার বলছ ছেড়ে যাবে আমার ছেলেকে,,গিয়েই দেখো না এবার আমিই তোমার ঠাং ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো,,,শশীকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দেয় মিসেস অরুনা,,,

শশী তো অবাক হয়ে যায় অনির মায়ের ব্যবহার দেখে,,শশীর চোখেও পানি চলে আসে,,,

হয়েছে হয়েছে অনেক কেঁদেছ আর আমার ছেলেটাকেও কাদিয়েছ,, আর কাদবে না,,শশীর চোখের পানি নিজে হাতে মুছে দিয়ে,,,

আমি তোমাকে ছেলের বউ হিসেবে শুধু নয় মেয়ে হিসেবে গ্রহন করলাম,,,

আর মেয়েকে তো আর তুমি তুমি বলবো না,,তুই করেই মা বলে ডাকবো,,,ঠিক আছে হাসি দিয়ে বলে,,,

এখন হাত দুটো দাও তো বালা পড়িয়ে দেয়,,নতুন বউয়ের হাত খালি থাকতে নেই,,,

শশীর ডান হাতে ব্যান্ডিজ দেখে বাম হাতেই দুটো বালা পড়িয়ে দেয় অরুনা চৌধুরী,, সাথে শাড়ি গয়না তো আছেই,,,

এসব আমার শ্বাশুড়ি আমাকে দিয়েছিলো আজ তোকে দিলাম,,যত্ন করে রাখবি আমার ভবিষ্যত নাত বউয়ের জন্য,,,

এমন কথা শুনে শশী কিছুটা লজ্জা পায়,,,

আচ্ছা নিচে চল,,,এই বাড়ির সব দায়িত্ব বুঝে নিতে হবে না তোকে? আর শোন তোর শ্বশুর একটু রেগে আছে কিন্তু মানুষটা ভালো দেখবি ঠিক তোকে মেনে নিবে একদিন,,,

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here