প্রেমমানিশা – পর্ব ২৯

0
311

#প্রেমমানিশা(২৯)

‘ তুই না বলেছিলি বাড়ি ফিরবি না ? তাহলে এখন আবার বাড়ি যাওয়ার জন্য পাগল হয়েছিস কেন ? এত তাড়াতাড়ি কান্নাকাটি বন্ধ ? আমি ভেবেছিলাম তুই আরও কিছুক্ষণ কাদবি… ‘ মিসেস আশা হতবাক হয়ে হাস্যরত মিসেস কায়নাতকে দেখে বললেন কথাগুলো।
মিসেস আশার কথা শুনে মিটমিটিয়ে হাসলেন মিসেস কায়নাত। ধীর গলায় বললেন ‘ মা মেয়ের সিক্রেট… তুই বুঝবি না ‘।

মিসেস কায়নাতের কথা শুনে মিসেস আশা কপট রাগ দেখিয়ে বললেন ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ এখন তো এটা বলবিই… বিয়ের পর যখন আমার মেয়েকে আমি বাড়ি আনবো তখন আমাদেরও সিক্রেট কথা থাকবে। তখন তোকে ওই কথা বলবো না। ‘

মিসেস আশার কথা শুনে মিসেস কায়নাত বললেন ‘ বলিস না.. আমি তোদের সিক্রেট কথা শুনতে চাইবো না। ‘

ব্যাস ঘটে গেলো পিনপতন নীরবতা। দুই বান্ধবীর কেউই যেন কথা বলার শব্দ খুঁজে পাচ্ছে না। অবশেষে কথা বলার জন্য কোনো উপযুক্ত বিষয় খুজে না পেয়ে দুজনেই কুলুপ এঁটে দাড়িয়ে রইলেন। কিছুক্ষণ পর সানাহ্কে বাড়ির বড় লোহার গেট পেরিয়ে ভিতরে আসতে দেখা গেলো। সে বেরিয়েছিল বাড়ি ফেরার জন্য রিকশা ঠিক করতে।

মেয়ের অপেক্ষায় ঠাকুর বাড়ির সদর দরজর বাইরে উচুঁ জায়গায় দাড়িয়েছিলেন মিসেস কায়নাত। মেয়েকে আসতে দেখে এগিয়ে গেলেন। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন ‘ রিকশা পেয়েছিস ? ‘

‘ হ্যাঁ মা পেয়েছি..…তুমি গিয়ে উঠো। আমি আন্টির সঙ্গে কথা বলে আসছি। ‘

মিসেস কায়নাত আর মেয়ের কথায় দ্বিমত করলেন না। ধীর লয়ে এগিয়ে গেলেন। মিসেস কায়নাত প্রস্থান করতেই সানাহ্ মিসেস আশার দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতার সুরে বলল ‘ থ্যাংক ইউ আন্টি মাকে সামলানোর জন্য। তুমি ছিলে বলেই মা এত দ্রুত রাজি হয়ে গেল। সত্যি বলতে তুমি যা করলে তারপর তোমাকে ধন্যবাদ বললেও তোমাকে ছোটো করা হয়। তোমাকে ভাষায় ধন্যবাদ জানানোর ভাষা জ্ঞান আমার নেই। বাট আই অ্যাম রিয়েলি অউফুল টু ইউ ‘

সানার কথা শুনে আলতো হাসলেন মিসেস আশা। সানার নরম হাত জোড়া নিজের দুই হাতের মুঠোয় নিয়ে বললেন ‘ সানাহ্ আমি জানি তুমি ইন্টেলিজেন্ট। সবকিছু মাথা খাটিয়ে বোঝাতে তুমি এক্সপার্ট। তাই তোমাকে বলছি। কথার তীর আর ধনুকের তীর একবার ছুঁড়ে দিলে সেটা আর ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। তাই নিজের বিপরীতে থাকা মানুষটাকে কিছু বলার আগে হাজারবার ভেবেচিন্তে তারপর বলবে। কায়নাত তোমার মা, মাসী নয়। সে তোমার ভালো চায়… তার মতো ভালোবাসতে তোমাকে আর কেউ পারবে না। আমি কি আমার কথা তোমাকে বুঝাতে পেরেছি ? ‘

মিসেস আশার কথায় সানাহ্ আলতো করে মাথা নেড়ে সায় দিল যেন সে মিসেস আশার কথার মানে বুঝতে পেরেছে। অতঃপর মিসেস আশার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে মায়ের সঙ্গে রিকশায় করে বেরিয়ে পড়লো। হঠাৎ মিসেস কায়নাত বলে উঠলেন ‘ সানাহ্ উনাকে বল রিকশা ঘুরাতে ‘

মায়ের কথার মানে বুঝতে না পেরে সানাহ্ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো ‘ কেন মা ? ‘

‘ আজ দুই মা মেয়ে রাতের ঢাকা শহর ঘুরে দেখবো। তুই ঘুরতে চাস না আমার সঙ্গে ? ‘

সানাহ্ ওর মায়ের কথায় মুচকি হাসলো। রিকশাওয়ালাকে ডেকে বললো রিকশা ঘুরিয়ে নিতে। তারপর সানাহ্ আদুরে বিড়ালের মতো মিসেস কায়নাতের বাম হাত জড়িয়ে তার কাধে মাথা রাখলো। অন্ধকারে মিসেস কায়নাত নিঃশব্দে হাসলেন।

—-

এত বড় ঘরের মাঝেও দ্রুত পা চালাতে গিয়ে বারবার হোচট খাচ্ছে সানাহ্। তবে তবুও তার শিক্ষা নেই। দ্রুত পায়ে যেন ঘরে ছুটছে না দৌড়চ্ছে। সানার এত তাড়াহুড়ো করার পিছনে কারণ আছে। আজ টানা পাঁচদিন ক্লাস স্কিপ করার পর আবারও ভার্সিটি যাচ্ছে। এতদিন তো জ্বরের প্রকোপেই যেতে পারলো না। এতদিন পর যখন যাচ্ছে তখন তো লেট হয়ে গেলে সমস্যা।

এমনিতেই বাড়িতে ঝামেলার শেষ নেই। কাল আবার সানার বড় মামা,মেঝ মামা, মেঝ মামী আর ছোটো মামা এসেছে। শায়খ আসার পর সানাহ্কে আর পায় কে। ফারহান হাজার ফোন দেওয়ার পরও দুদন্ড ফারহানের ফোন ধরার সময় পায়নি শুধুমাত্র তার প্রিয় মামার সঙ্গে কথা বলবে বলে। এ নিয়ে অবশ্য ফারহান এক চোট রাগারাগিও করেছে কিন্তু কাল শেষ রাতে সানাহ্ তাকে ফোন করে ভুজুং ভাজুং বুঝিয়ে রাগ ভাঙিয়ে নিয়েছে। আবার এটাও বুঝিয়ে দিয়েছে তার জীবনে তার মামার জায়গা কোথায়।

সানাহ্ তাড়াহুড়ো করে রেডি হয়ে নিচে নেমে এলো। সানাহ্কে বের হতে দেখে মিসেস কায়নাত বললেন ‘ সানাহ্ দুই মিনিট দাড়া..… ব্রেকফাস্ট করে যা। ‘

‘ না মা আজ সময় নেই। আমি ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নিবো..… ক্লাসে যেতে লেট হলে আমার এথিক্স রুল ব্রেক করবে। ‘ সানাহ্ দ্রুত পায়ে সদর দরজার দিকে যেতে যেতে বলল।

‘ এই দাড়া..… রিকশায় খুঁজতে গেলে দেরী হবে। আমি তোকে গাড়ি করে দিয়ে আসছি ‘ বলে শায়খ তার হাতে থাকা ফোনটা জিন্সের পকেটে ঢুকিয়ে পা চালাল।

শায়খের কথা শুনে সানাহ্ একবার বাম হাতের কব্জিতে থাকা কালো ঘড়ির ডায়ালে চোখ বুলিয়ে নিলো। নাহ্ এখনও বেশি দেরী হয়নি তবে সানাহ্ কৌশলে বলল ‘ তাড়াতাড়ি করো মামা…. দেরী হলে সমস্যা হয়ে যাবে। ‘

‘ সানাহ্ বাড়ি ফিরতে সময় একেবারে ফারহানের সঙ্গে বিয়ের শপিংটা করে ফিরিস। তোদের বিয়ের আর মাত্র তিনদিন বাকি। আজ শপিং না করলে আর সময় হয়ে উঠবে না। কাল আবার টগরের মেয়ের(আশা আর কায়নাতের ছোটবেলার বান্ধবীর মেয়ে) বিয়েতে যেতে হবে। পরশু তোর আর ফারহানের এনগেজমেন্ট। হাতে একেবারেই সময় নেই। ‘ সানাহ্ আর শায়খকে বের হতে দেখে এগিয়ে এসে বললেন মিসেস কায়নাত।

সানাহ্ তার মায়ের কথায় দ্বিমত করলো না। নীরবে মাথা নেড়ে ওর ছোটো মামার সঙ্গে বেরিয়ে গেল। বর্তমানে ওরা গাড়িতে। গাড়ি যাচ্ছে ঢাকা ইউনিভার্সিটির দিকে।

‘ বিয়ের পরই তো অনার্স ফাইনাল। অনার্সের পর কি করার ইচ্ছা আছে ? মাস্টার্স কি শেষ করবি ? ‘

সানাহ্ নীরবে জানালার পাশে সিটের গাঁয়ে হেলান দিয়ে জানালার বাহিরের দৃশ্য দেখছিল।সবকিছু যেন তাদের অদৃশ্য গতি পেয়েছে। নিজেদের মতো ছুটে চলেছে। স্থির জিনিসও গতিশীল হয়েছে।

সানাহ্ ছোটবেলায় গাড়ি করে বের হওয়ার সময় জানালার বাইরের দৃশ্য দেখে এটাই ভাবত যে সে গাড়িতে উঠলেই সবকিছু জাদুবলে তার অদৃশ্য গতি ফিরে পায়। আর ছোটবেলার সেই ধারণা এখনও সানার মনে রয়ে গেছে। এখনও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ হওয়ার পরও মাঝে মাঝে এসব মনে পড়ে।

হঠাৎ শায়খের কথা শুনে তার দিকে ফিরে বসলো সানাহ্। কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো ‘ অনার্স শেষ করার পর আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেই মাস্টার্স করে নিবো। ‘

‘ তাহলে তোর ফরেইন ভিসার কি হবে ? তুই না ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়াতে এপ্লাই করেছিস ? ‘ শায়খ ড্রাইভ করতে করতেই অবাক হয়ে বললো।

‘ ভিসা এপ্লাই করলেই যে ভিসা পেয়ে যাবো কে বললো ? সবাই কি ভিসার জন্য এপ্লাই করলেই ভিসা পায় ? কই মেঝ মামা যে এপ্লাই করলো সে তো পায়নি । তাহলে আমিও যে পাবো তার কোনো গ্যারান্টি নেই। ‘

‘ আরে তার ব্যাপার তো আলাদা। মেঝ দাদু (মিস্টার আমান) এপ্লাই করেছিল কিন্তু দাদু তখন ম্যারিড ছিল আর পাসপোর্ট ছিল যখন সে আনম্যারিড ছিল তখনকার। তাই হয়নি তাছাড়া মেঝ দাদুর তো প্রবল ইচ্ছাশক্তি ছিলনা। তোর তো আর এইসব প্রবলেম নেই। তোর পাসপোর্ট ঠিক করতে দেওয়া হয়েছে বিয়ের কারণে। তাছাড়া তোর তো ইচ্ছা ছিল ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়াতে পড়ার তাইনা ? ‘

‘ মানুষ পরিস্থিতির শিকার। পরিস্থিতির যাঁতাকলে পড়ে মানুষ নিজের আপনজনদের প্রতি মায়া বিসর্জন দিতে পারে আর আমি তো শুধু স্বপ্ন বিসর্জন দিবো। আমি ফারহানকে আর আন্টিকে ছেড়ে যেতে চাই না। ‘ সানাহ্ শান্ত গলায় বললো।

‘ আমি জানিনা তুই এসব কি বলছিস কিন্তু আমি তোর অমতে কিছুই বলবো না। এটা তোর লাইফ তাই তোর রুলস। তোর ক্যারিয়ার তাই তুই যেটা চাইবি তাই হবে। আর কয়েকদিন পর তোদের বিয়ে তাই এসব নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। ‘ শায়খ মৃদু হেসে স্টিয়ারিং ঘুরাতে ঘুরাতে বললো।

—-

‘ এই অতস!!! কি হয়েছে ? আজকাল এত অ্যাবসেন্ট মাইন্ডেড কেন থাকিস ? তোর সমস্যা কি ? ‘ জানালার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা অতসীর গাঁয়ে জোরে ঠেলা দিয়ে বললো আসাদ।

‘ ঠিক বলেছিস তুই। আজকাল প্রায়ই ওকে ক্লাসে ঘুমোতে দেখি। এই অতস তোর কি হয়েছে বল তো ? ‘ অবনি বললো।

আসাদের ধাক্কায় অতসী তার ভাবনার রাজ্য থেকে বেরিয়ে এলো। আড়মোড়া ভেঙে খানিকটা নড়েচড়ে বসলো। আসাদ আর অবনির কথা শুনে ওদের দেখিয়ে হাত ঝাড়ি দিয়ে বললো ‘ কি হবে ? কিছুই হয়নি….বাড়িতে আপাইয়ের বিয়ের ধুম লেগেছে। দিনরাত মা ছুটাছুটি করছে। একমাত্র বোনের বিয়ে তাই আমারও কাজ করতে হচ্ছে। আবার মামা মামী ওরাও এসেছে। মূলত আড্ডা,কাজ এসবের কারণেই ঘুম হচ্ছে না। ও সিরিয়াস কিছু না…. ‘

‘ তোর আপাইয়ের বিয়ের আর কয়দিন বাকি রে ? আমরা যেতে পারবো তো নাকি ? আমাদের দেখলে সানাহ্ আপু যেভাবে লাফিয়ে উঠে। দেখলেই তো আমার মনটা লাফালাফি করে। ইস তোর আপুটা তোর বড় না হয়ে ছোটো হলে কত ভালো হতো বলতো। আমার এই তেইশ বছরের জীবনে ওয়ান অ্যান্ড অনলি ক্রাশ অথচ ওরও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ‘ আসাদ আফসোসের সুরে বলল।

‘ হুম তোর ক্রাশের কাথায় আগুন। ও তোর ছোটো হলেও তোর সঙ্গে ওর মিল হতো না। ফারহান ভাই আর আপাই একে অপরের ভূমিতব্য। ওরা একে অপরের ভাগ্যে ছিল তাই ওরা এক হচ্ছে। এখানে তোর,আমার কিছু করার নেই। ‘ অতসী আসাদকে ভেংচি কেটে বললো।

‘ হয়েছে হয়েছে বুঝেছি। তুই আসলে বন্ধু রুপি শত্রু তাই বন্ধুর সুখ তোর সহ্য হয়না। এই তোর নজর লেগেই সানাহ্ আপু আমার হলো না। ‘ আসাদও অতসীকে মুখ ভেংচি বললো।

‘ এ্যাহ যেই না চেহারা, নাম রাখছে পেয়ারা। একদিকে আপু ডাকছে আরেক দিকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখছে। আহ্ শখ কত সিনিয়র আপুকে বিয়ে করবে!! ইহ সর সর। আমার আপাই কি তোর মত পিচ্ছি পোলারে বিয়ে করবো ? ইমপসিবল…… ‘ অতসী শূন্যে মুখ ভেংচিয়ে বললো।

‘ হয়েছে আর বলা লাগবে না। কি জিজ্ঞেস করেছিলাম আর কি বলছে । তা মহারানী আমার ক্রাশ থুড়ি বাঁশের বিয়ে আর কয়দিন পরে জানতে পারি কি ? আসলে আমি আমার ক্রাশ থুড়ি বাঁশকে বিয়েতে বউ সাজে দেখতে চাইছি। সেই কোন আমলে তোর ওরিয়েন্টেশনে দেখেছিলাম একটু শাড়ি পড়ে। মহিলা শাড়ি পড়ে আমার মন চুরি করে পালিয়েছে। ‘

‘ আর তিনদিন বাকি আছে। পরশু আপাই আর ফারহান ভাইয়ের এনগেজমেন্ট আর এর একদিন পরেই বিয়ে তারপর এক সপ্তাহের মধ্যেই অনুষ্ঠান। তোরা আসিস আপাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে। আপাই খুশি হবে। আপাই তো অবর সঙ্গে দেখা করতে আসতে চেয়েছিল কিন্তু ওই জ্বরের কারণে এতটা উইক হয়েছে যে বলার বাইরে। এই তো দুই দিন আগেও আবার জ্বর এসেছিল। আপাইয়ের এই জ্বর আমাদের নাকে দম করে রেখেছে। এখন দুলাভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে। আল্লাহ জানে ভাইয়ার কি অবস্থা হবে..… ‘

‘ ওরে অতস রে অতস এইডা তুই কি শুনাইলি ? তোর আপাই আমরা গেলে খুশি হবে ? এটা শোনার পর তো এই পৃথিবীকেও স্বর্গ মনে হচ্ছে। আমি তো অবশ্যই যাবো সানাহ্ আপুর বিয়ের… ‘

অবনি তার কথা আর শেষ করতে পারলো না কারণ ততক্ষনে ক্লাসে প্রণয় ঢুকে গেছে । প্রণয় ক্লাসে ঢুকতেই প্রথমে অতসীর দিকে নজর দিল। প্রণয়কে দেখে অতসী দৌড়ে এসে নিজের নির্ধারিত সিটে বসলো। আজ অতসীর পরনে গ্রে কুর্তি অ্যান্ড ব্ল্যাক জিন্স। সঙ্গে গাঁয়ে জড়ানো সেই ডেনিম জ্যাকেট যেটা প্রণয় তার মিস ইন্ডিয়ার গাঁয়ে প্রথমবার দেখেছিল। আর গলায় গ্রেইশ ব্লু রঙের স্কার্ফ।

এক মুহূর্তের জন্য যেন প্রণয়ের চোখ সেখানেই আটকে গেলো । প্রণয় তার কথা বলার ভাষা হারিয়েছে। স্থানুর মত জায়গাতেই দাড়িয়ে আছে। প্রণয়কে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে একজন স্টুডেন্ট দাড়িয়ে প্রণয়কে ডাক দিল। প্রণয় এবার চোয়াল শক্ত করে নিজের ডেস্কের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। অতসীর দিকে শীতল দৃষ্টি ছুঁড়ে দিলো। অতসী প্রণয়ের দৃষ্টির মানে বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইল তবে প্রণয় ওর সেই দৃষ্টিকে পাত্তা দিল না। রাগী মেজাজে ক্লাসে মন দিলো।

~ চলবে ইনশাআল্লাহ্….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here