তুমি আমার -পর্ব ১১

0
360

#তুমি_আমার
#পর্ব_১১
#লেখনীতে_নাজিফা_সিরাত

চারিদকে অন্ধকার সন্ধ্যা নেমেছে কিছুক্ষণ আগেই।দেয়ালের সাথে মিশে ভয়ে জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরু।তার দিকে ঝুকে দেয়ালে দুহাতে আটকে দাঁড়িয়েছে একটি ছেলে।অন্ধকার হওয়ায় চেহারা অস্পষ্ট।কিন্তু অবয়বে ঠিক বোঝা যাচ্ছে এটি একটি ছেলে।হাত পা রীতিমত কাঁপছে তাঁর।সামনে থাকা ছেলেটি কে?কেন তাঁকে এভাবে এখানে নিয়ে এসেছে।কিছুক্ষণ আগে আরু তিথির রুমে যাওয়ার জন্য উপরে এসেছিল কিন্তু ওর রুমে আসার আগেই ছোঁ মেরে কেউ তাঁকে টেনে অন্য একটি রুমে নিয়ে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়।ঘটনার আকস্মিকতায় কেঁপে উঠে সে।কাঁপা গলায় প্রশ্ন করে,

-‘কে আপনি’।কিন্তু কোনো জবাব আসে নি তখন থেকে এভাবেই দাড়িয়ে আছে।এতক্ষণ যাও নূন্যতম দূরুত্ব ছিল কিন্তু ছেলেটির কল্যাণে সেই দূরুত্ব টুকুও ঘুচে গেলো।ছেলেটা একদম ওর মুখের কাছে চলো এলো।আর মাএ কয়েক ইঞ্চি ফাঁক সেখানে।তার গরম নিশ্বাস আরুর চোখ মুখে উপচে পরছে।।আরু ভয়ে নিজের লেহেঙ্গা খামছে ধরলো।চোখ থেকে গড়িয়ে পরলো নোনা জল।কিন্তু ছেলেটার কোনো ভাবান্তর হলো না।বরং আগের থেকে আরেকটু ঝুকে গেলো।আরু বুক বরাবর ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টায় ব্যস্ত কিন্তু সে ব্যর্থ।উপান্তু না দেখে বলল,

-‘কে আপনি?কেন এমন করছেন?প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।নইলে আমি চিৎকার করতে বাধ্য হবো’।ছেলেটি হয়তো হাসলো ঠিক বোঝা গেলো না।ফিসফিসিয়ে বলল,

-‘করো ডিয়ার আমি বাধা দেবো না।যত ইচ্ছে চিৎকার করো কারণ এই চিৎকার দেয়ালের ওপ্রান্তে পৌঁছাবে না’।

‘আমাকে যেতে দিন প্লিজ’!কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলল আরু।আরুর কান্না মাখা কন্ঠে কিছু একটা ছিলো তাই নিজেকে আটকাতে ব্যর্থ হলো সে।নিজের মন বিবেকের সাথে যুদ্ধে হেরে আরুর অশ্রুসিক্ত নয়নে ছেলেটির নরম উষ্ণ ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো।ঘৃণায় বিষিয়ে উঠল আরুর মন।ঘা ঘিন ঘিন করতে শুরু করলো।ছেলেটি বলল,

-‘সরি আরোহী!আই এম কন্ট্রোললেস হয়ে পরেছি।আমি চাইনি এমন কিছু করতে কিন্তু নিজেকে আটকাতে পারিনি।তুমি ঠিক তোমার কাছে টেনে নিলো।আমার তৃষ্ণা মিটে গেলে একটু পর ছেড়ে দেবো কেঁদো না’।চোখের জলগুলো এক হাতে মুছে দেয় সে।আরু স্ট্যাচুর ন্যায় দাঁড়িয়ে আছে।ও যেন কোনো একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।নিজেকে সামলে বলল,

-‘ছি আপনি একটা নোংরা,অসভ্য লোক।নোংরামি করার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন।প্লিজ আমার এত বড় ক্ষতি করবেন না’।কথাগুলো শুনে আরও যেন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পরলো সে।টান মেরে কোমড় জড়িয়ে একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।ভয়ে শব্দ করে কেঁদে উঠলো আরু।ওর কান্নাকে পাওা না দিয়ে ঘাড়ে গলায় অনবরত চুমো আকঁতে লাগলো।হাতের স্পর্শ কাপড় গলিয়ে উন্মুক্ত পেট স্পর্শ করলো।হাতের বাধন আরো রূঢ় হলো।সহ্য করতে পারছে না আরু।দম বন্ধ হয়ে আসছে।।এই প্রথম কোনো পুরুষের স্পর্শ।তারও কোনো প্রিয় পুরুষের নয় অচেনা এক অপ্রিয় পুরুষ।নিশ্বাস যেন আটকে যাচ্ছে।শরীরের কোনো শক্তি পাচ্ছে না।শব্দ করে কেঁদে উঠলো আরু।ওর কান্না শুনে লোকটির হুশ ফিরলো সাথে সাথে ওকে ছেড়ে দিলো।দু হাতে মুখ চেপে মেঝেতে বসে পরলো আরু।ছেলেটি জোরে জোরে শ্বাস ফেলে আবার ওর সামনাসামনি এসে বসলো।দুহাত মুখ ধরে চোখ মুছিয়ে বললো,

-‘প্লিজ আরোহী ডোন্ট ক্রাই।তোমার কান্না সহ্য করতে পারি না।একটু আগে তোমাকে কাঁদতে দেখেই তো পাগলামি শুরু করলাম।যদিও ঠিক হয় নি আমার সরি।আমার সব অসভ্যতা তোমাকে ঘিরেই’।আরোহীর কান্না থামার কোনো নামই নেই।সে একাধারে কেঁদেই যাচ্ছে এবার বিরক্ত হয়ে বললো,

-‘তুমি কি চাও এবার আমার অধর যুগলের স্পর্শ অন্য কোথাও না পরে তোমার নরম তুলতুলে অধরে পরুক।তা না চাইলে চুপ করো’।থেমে যায় আরু।একটা হাসি হাসে ছেলেটি।কাছে এসে বলে

-‘ভালোবাসি আরোহী!তোমাকে খুব বেশি ভালোবাসি।আর কখনও এমন করবো না সরি।একেবারে বউ করে নিয়ে এসে অসভ্যতা করবো।তখন কিছু বলতেও পারবে না।আর হ্যাঁ এবার থেকে আমাকে দেখলে একটুও কাঁদবে না।কাঁদলেই কিন্তু আমার আদর শুরু হয়ে যাবে তখন চাইলেও আমাকে আটকাতে পারবে না’।

🍁🍁🍁
তিন্নি আর আবিদকে বসানো হয়েছে পাশাপাশি।দুজনকেই খুব সুন্দর লাগছে।দুজনের পোশাকের কালারও সেইম।।চট করে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেলো।তিথি চোখের জল নাকের জল এক করে সাইন করে দিল।সিরাত নীরব দর্শক হয়ে সেসব উপভোগ করছে।আরুকে অনেক্ষণ হলো কোথাও দেখা যাচ্ছে না।আবেশ একটু দূরে দাঁড়িয়ে সিরাতকে দেখছে।

-‘কি নিজের বিয়ের সীন মনে করছো বুঝি’?কানের কাছে এমন উদ্ভট কথা শুনে চোখ ছোট ছোট করে তাকালো সিরাত।আবেশ হাসছে বিরক্তি নিয়ে বললো,

-‘আপনি আমার স্যার হয়ে ছাএীর সঙ্গে এমন বিহেভ করছেন লজ্জা করছে না।গুরুজন গুরুজনের মতো থাকেন সম্মান খোয়াতে আসবেন না’।দুর্বোধ্য হাসলো সে।ভ্রু কুটি করে বলল,

-‘কিসের স্যার!এখানে কি আমি প্রেমের টিচার নাকি বিয়ের টিচিং দিচ্ছি।কলেজ কলেজের জায়গায় এখানে আমি শুধুমাএ তোমার ভাইয়ের বেস্টু আরুর ভাই সিম্পল’।

সিরাত কিছু না বলে চলে গেলো সেখান থেকে।সিরাত ইগনোর করলো তাঁকে হাউ স্ট্রেঞ্জ।সিরাত রাগে বিরবির করে বললো,

-‘সারাদিন তিথিরের সাথে ফ্লাটিং ঘা ঘেঁষাঘেঁষি করে এখন এসেছে আমাকে ক্ষেপাতে।যা তোর তিথির কাছে যা আমার সামনে আগে পিছে কোথাও আসিস না হুহ’!

🍁🍁🍁
সিয়ামের সামনে মুখ কাচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া।ওর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে সিয়াম।সেদিনের পর আর ওর সাথে কথা বলার সাহস হয়ে উঠে নি।কিন্তু ও বলবেই বলবে।প্রথম দেখায় ওটা এক্সিডেন্ট ছিল কিন্তু সিরাতের সাপোর্টে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল আর সেই রেশ ধরে শপিংমলে ঝগড়া।বিরক্তি নিয়ে সিয়াম বলল,

-‘এভাবে ট্যাটার মত পথ আগলে দাঁড়িয়েছো কেন?ও ঝগড়া করবে তুমি ত আবার সব সময় ঝগড়ার মোডে থাকো’!মুখটা চুপসে গেলো রিয়ার।কতগুলো কথা শুনিয়ে দিতে ইচ্ছে হলো তার কিন্তু না ঝামেলা বাড়াতে নয় মিটাতে এসেছে সে।তাই হজম করে বলল,

-‘সরি ভাইয়া!একচুয়েলি আমি ত আপনাকে চিনতাম না তাই এমন হয়েছে।আমি মানছি আমার ভুল কিন্তু আপনারও ভুল আছে’।

-‘ঠিক ভুল অত কিছু জানার বুঝার প্রয়োজন নেই।তোমাকে সরি বলতে হবে না।দুপক্ষই সমান দোষী।হ্যাঁ একটু কম আর কেউ একটু বেশি এই যা।এতে আমি কিছু মনে করিনি’।

মুগ্ধ হয়ে শুনলো সিয়ামের কথা।লোকটার কথায় জাদু আছে।খুব সহজে সবকিছু মেনে নিলো।

-‘আচ্ছা সিরাত বুঝলাম বললো না আপনি ওর ভাই কিন্তু আপনি কেন বললেন না’?

-‘আমার কাছে আমার সিরাত সবথেকে বেশি ইম্পরট্যান্ট!ওর চাওয়াই সব।আমি বলে দিলে ওর খুশি থাকতো না।আমাকে জব্দ করার জন্য তোমাকে হারিয়ার বানিয়ে যেই খুশি হয়েছে আমি যদি বলে দিতাম তাহলে সেই খুশি আর ওর থাকতো না তাই বলিনি।আচ্ছা যাইহোক ওইদিন তোমার সাথের মেয়েটা কে ছিলো’?

সবেমাএ রিয়ার আকাশে সিয়ামকে নিয়ে ভালোলাগার রঙ বেরঙের বেলুন উড়ছিল কিন্তু এই একটা কথায় সবগুলো বেলুন ফুস করে ফেটে গেলো।ফুস করে শ্বাস ছেড়ে বলল,

-‘আমার কাজিন তিহানা’।

-‘খুব সুন্দর নাম।নামের মত মেয়েটাও দারুন।আমার তো এখনও ওর কথা মনে হলে চোখের সামনে মেয়েটা জীবন্ত ভাসে। ওকে ভালো থাকো বাই’।হাসতে হাসতে চলে গেলো সিয়াম।আর রিয়া কাঁদো কাঁদো ফেইস নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।

অনেক্ষণ পর ফ্রেশ হয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো আরু।আসার সময় অন্য মনষ্ক হওয়ায় রাদিফের সাথে ধাক্কা লেগে গেলো।তবুও নিজেকে সামলে নিলো সে।ওর দিকে একবার তাকিয়ে ভ্রু কুচকে রাদিফ বললো,

-‘কি হয়েছে মিস আরোহী?আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন’?এই লোকটাকে একদম নিজের মনে হয় আরুর।এখন উনাকে জড়িয়ে খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে।ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকে বললো,

-‘তেমন কিছু না!একটু মাথা ব্যাথা করছে’!

-‘ওকে আমার সাথে চলুন’!অবাক নয়নে প্রশ্ন করে আরু, ‘কোথায়’?

রাদিফ কোনোকথা না বলে হাত ধরে আরুকে ওর রুমে নিয়ে গেলো।কিছু মেডিসিন হাতে দিয়ে পানির গ্লাস হাতে ধরিয়ে বললো,

-‘নিন এগুলো খেয়ে নিন ভালো লাগবে’।আরু কোনোকথা না বলে চুপচাপ খেয়ে নিলো।অনেক্ষণ কান্নার ফলে সত্যি খুব মাথা ব্যাথা করছিলো তাঁর।কিন্তু এই বিয়ে বাড়িতে তার সাথে এরকম করলোটা কে?

বউ নিয়ে বাসায় এসেছে অনেক্ষণ আগে।সিরাত ড্রেস পাল্টে সবে ড্রয়িংরুমে বসেছে।পা টা সামান্য ব্যাথা করছে তার।আজকে ভাইয়ের সাথে অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করেছে কিন্তু সে কথা বলবে না।তাঁকে কোনোভাবেই কথা বলানো যাচ্ছে না।মুখে খুলুপেতে আছে।সিরাত উঠে গিয়ে সিয়ামের পাশে বসলো।সিয়াম উঠতে গেলে হাত ধরে টেনে আবার বসিয়ে দিয়ে মাথাটা ওর কাঁধে রাখলো।সিয়াম আদুরে কন্ঠে বললো,

-‘মাথা ব্যাথা করছে’?সে মাথা নাড়িয়ে না বলল।তারপর অনুনয়ের সাথে বলল,

-‘সরি ভাইয়া!আর এমন কখনও কোনোদিন হবে না।প্লিজ রাগ করে থেকো না কথা বলো।বকো মারো যা ইচ্ছা করো তবুও কথা বলো’।সিয়াম মৃদু হাসলো।এটাই তাঁর কলিজার টুকরো।হেসে বলল,

-‘একটুও রাগ করিনি সবটা তোকে বোকা বানানোর নাটক’!বলে হু হা করে হাসতে লাগলো।সিরাত চুপচাপ ভাইয়ের হাসি দেখলো।থাক কিছু বলবে না সে।

তিথির ড্রেস পাল্টে ড্রয়িংরুমে নিয়ে এসেছে আরু।ব্রাউন আর নীল রঙের শাড়িতে দারুন মানিয়েছে তাঁকে।এখন কাজিন সমাজ হামলে পরবে তার উপর।আবিদ উপরে গেছে সে খুব টায়ার্ড।আবেশ ভাইয়া ভাইয়ার পাশে সোফার হাতলে বসে পরেছেন।সিরাতকে ভাইয়ার কাঁধে পরে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকালো সে।কিন্তু কোনো বাক্য ব্যয় করলো না।নারা রকম আড্ডা আর হাসি তামাশায় মেতে উঠেছে পুরো রুম।আরু কেমন চুপচাপ হয়ে বসে আছে।বিষয়টা নজর এড়ায়নি সিরাতের।আবেশের ছোট ফুপি সিরাতকে ইনিয়ে বিনিয়ে বেশ কথা শুনিয়ে গেলেন।কিন্তু কথাগুলো হয়তো কারোরই বোধগম্য হলো না শুধু আবেশ আর সিরাতই বুঝলো সে কথার মানে। প্রায় ঘন্টাখানেক পর থামলো তাঁদের আড্ডা।তিথি মেয়েটার প্রতি সকলেই সন্তুষ্ট।খুব সহজে সবাইকে আপন করে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে সে।

খাওয়া দাওয়া শেষে যে যার রুমে শুয়ে পরেছে।শুধু সিরাত আর আরুরই কোনো জায়গা নেই।কারণ সকল রুম ফুল।দুজনে মুখ কালো করে তাকালো।এখন তাঁদের কি হবে।সিরাত ছাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো।তার এখানে ভালো লাগছে না।আরু রান্নাঘরে গেছে।মন খারাপ করে ছাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিরাত।আবেশের ছোট ফুপির কথাগুলো মনে পরলেই কাঁদতে ইচ্ছে করে তাঁর।এখানে থাকলে আরো অপমানিত হতে হবে।তাই আগামীকাল বিকেলেই ফিরে যাবে বাড়িতে সে।এতে দুইটি উপকার হবে তার।উনার বাজে কথা বন্ধ হবে অন্যদিকে তিথি আর আবেশকেও সহ্য করতে হবে না তাঁর।হঠাৎ একটি ছায়া মানব এসে পাশে দাঁড়ালো তার।আরু ভেবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো সে।

-‘কি হয়েছে সিরাত মন খারাপ?তুমি কি ফুপির কথাগুলোর জন্য আপসেট’?আবেশের কণ্ঠস্বর শুনেও তার দিকে তাকালো না সে।লোকটা তো তার নয়।তাহলে কেন এত পাওা দেবে তাকে।মৃদু হেসে বললো,

-‘মুড থাকার মত কি কিছু তিনি বলেছেন’?

-‘দেখ সিরাত!ফুপি ওরকমই তুমি মাইন্ড করো না।এত বছর পর এই বাড়িতে এসেছেন এখন তো কিছু বলতেও পারছি না’।উনার কথায় চমকে গেলো সিরাত।সহসা প্রশ্ন করলো,

-‘এতদিন পর কেন’?

-‘অন্য একদিন সময় করে বলবো।ঘুমাও নি কেন এখনও’?

-‘এমনি!জায়গা নেই প্লাস ঘুম আসছে না।আপনি ঘুমান নি’।

-‘উহু!একজনের জন্য অপেক্ষা করছি’।কথাটা শুনে মুখ ঘুরিয়ে নিলো।তিনি অনেক কথা বললেন কিন্তু তার কানে স্থান পেলো না।আচমকা আমাকে তাঁর দিকে ঘুরিয়ে বললেন,

-‘আমাকে ইগনোর ঠিক আছে।এভাবেই থাকো না তো আমি তোমার সাথে কথা বলবো আর না তুমি।আজকে সকলের সামনের অপমান আর পরপর দুইবার আমাকে ইগনোর করার শাস্তি তোমাকে অন্যভাবে দেন যার অবস্থান তোমার কল্পনারও বাহিরে’।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here