তুমি আমার -পর্ব ১০

0
373

#তুমি_আমার
#পর্ব_১০
#লেখনীতে_নাজিফা_সিরাত

গতকালকের ক্লান্তি আর অবসাদের কারণে রাএের ঘুমটা দারুণ আর জবরদস হয়েছে। আড়মোড়া ভেঙ্গে বসতেই মনটা ফুরফুরে হয়ে উঠলো।পাশে আরু আর রিয়া এখনও ঘুমিয়ে আছে।আয়েশা ফোন কানে হেসে হেসে কথা বলছে।এই মেয়েটা পারেও বটে।সব জায়গায় কেমন নিজের বাড়ি স্পেস বানিয়ে নেয়।লাইনে দাঁড় করিয়ে সবাইকে সময় দিতে পারে।আর আমি একজনকেই ঠিকমত বুঝে উঠতে পারি নি।দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।পায়ের ব্যাথাটা ম্যাজিকের মত সেরে গেছে।ওয়াশরুমে ঢুকে হাতের দিকে তাকিয়ে আপনাআপনি মুখে হাসি চলে এলো।খুব সুন্দর ডিজাইন করে হাতে মেহেদী দিয়ে দিয়েছে।মেয়েটা পারেও বটে।একটা লম্বা শাওয়ার নিয়ে বের হয়ে আসলাম।তখনই পান চিবুতে চিবুতে একজন অর্ধ বয়স্ক মহিলাকে রুমে দেখে থমকে গেলাম।তিনি ঘুরে ফিরে পুরো রুমটা পর্যবেক্ষণে ব্যস্ত।আমাকে দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আরুকে একবার ডেকে চলে গেলেন তিনি।এতে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম আমি।কারণ উনার চাহনী ঠিক ভালো লাগছিলো না আমার।

ড্রয়িংরুমে মেহমানরা গিজগিজ করছে।সেখানে ভাইয়ার কাঁধে হাত দিয়ে আবেশ ভাইয়া বসে আছেন।সাথে আরও কয়েকজন ইয়াং ছেলেপোলে ত আছেই।উনাদের দেখে মাথায় ঘোমটা টেনে রান্নাঘরে গেলাম।ভাইয়ার সাথে গতকালের পর আর কথা হয়নি।হয়তো রেগে আছে সে। টায়ার্ড থাকায় কথা বলার স্পেস পায় নি আজ বলতে হবে।রান্নাঘরে ওই মহিলা আন্টির সাথে কিছু একটা নিয়ে কথা বলছেন।কিন্তু কাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন বুঝতে পারিনি।কথাগুলো এরকম ছিল

-‘তুমি যাই বল না কেন? কিছু তো একটা আছেই।এই মেয়ের মতিগতি আমার কাছে ভালো টেকছে না’।

-‘রাবেয়া তুমি বেশি বুঝছ।কিছু নেই ওকে আমরা ছোট থেকে চিনি ও সেরকম মেয়েই না।বিপদে পরেছিল ব্যস ওকে বাঁচিয়েছে এইটুকুই আর কিছু না’।

-‘ওসব তোমার চোখে পরবে না।যখন একটা অঘটন ঘটবে তখন বুঝবে’তিনি হয়তো আরো কিছু বলতে চাইছিলেন কিন্তু তার পূর্বে আন্টি আমাকে দেখে মাঝ পথে থামিয়ে দিলেন।হাস্যজ্জ্বল মুখে আমার দিকে এগিয়ে এসে আন্টি বললেন,

-‘এখন কেমন লাগছে?পায়ে ব্যাথা সেরেছে’?আমি মৃদু হেসে হ্যাঁ বললাম।কথার ফাঁকে ভদ্র মহিলাকে উদ্দেশ্য করে আন্টি বললেন,

-‘রাবেয়া এই হলো সিরাত আরুর বান্ধবী।আর সিরাত ও হলো আবেশের ছোট ফুপি।গতকাল মাঝ রাতে এসেছে’।উনার সাথে কুশল বিনিময় করলাম।কিন্তু উনাকে খুব একটা ভাল লাগলো না আমার।এই বাড়ির প্রায় সকল আত্মীয়দের আমি চিনি কিন্তু উনাকে কখনও দেখি নি কিন্তু কেন।আমাকে উদ্দেশ্য করে আন্টি বললেন,

-‘আরু কোথায়?ওকে একটু ডেকে আনবে।আবেশের বন্ধুরা এসেছে সখিনাও নেই এগুলো একটু সার্ভ করে দিত’।

আন্টির ইতস্তত বোধ করছেন দেখে নিজে থেকেই বললাম,আন্টি আমাকে দিন আমি দিয়ে আসছি’।আন্টির কাছ থেকে নাস্তার ট্রে নিয়ে টেবিলে গিয়ে খাবার গুলো রাখলাম।ভাইয়া আমার দিকে তাকালো না গাল ফুলিয়ে বসে আছে।ওখান থেকে তিহান ভাইয়া বলল,

-‘আরে সিরাত যে কেমন আছো’?সৌজন্যতার খাতিরে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম।পাশ থেকে অন্য একজন বলল,’এটা কে আবেশের বোন নাকি?’উনার কথায় বিষম খেলেন তিনি।তিহান ভাইয়া বললেন,

‘আরে না এটা হলো সিয়াম,পুরোটা শেষ করার আগেই ভাইয়া বলল,’সিয়ামের বাসার কাজের মেয়ে।সাথে সাথে আবেশ আর তিহান ভাইয়া অট্রহাসিতে ফেটে পরলেন।ভাইয়ার দিকে চোখ গরম করে তাকিয়েও কোনো লাভ হলো না।উনি বিস্ময় নিয়ে বললেন,

-‘সত্যি’ আবেশ ভাইয়া বললেন,’অবশ্যই তাঁর প্রমাণ আমি নিজেই’।উনার দিকে চোখ কটমট করে তাকালাম।তাতে উনার কোনো হেলদোলই নেই দিব্যি হাসছেন তারা।রাগে পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে।এই হাসি একদম সহ্য হচ্ছে না আমার।রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ভাইয়ার চুল টেনে আবেশ ভাইয়ার চুলগুলো টেনে ছিঁড়ে দিচ্ছি।উপস্থিত সকলে হতভম্ব বিস্মিত।কিন্তু সকলের নজরকে উপেক্ষা করে উনার চুলের উপর টর্চার চলতেই থাকলো।কখন যে হাতগুলো উনার কপালের ক্ষতস্থানে চলে গেছে সেটা টেরই পাই নি।উনি আহ্ বললে হুশ ফিরে আমার।নিজের কাজে এখন নিজেই লজ্জিত।সকলের দিকে চোখ ঘুরিয়ে দেখলাম যেন কোনো এলিয়েন দেখছে তারা।এক মুহূর্ত সেখানে না দাঁড়িয়ে দৌড়ে পালালাম।

রেডি হওয়ার জন্য লেহেঙ্গা পরে রুমে পায়চারী করছি।ওড়না আরু সেট করে দিবে বলেছিল কিন্তু ওর দেখা নেই।দরজার পাশে উঁকি দিয়ে আবার রুমে পায়চারি করছি।হঠাৎ পেছন ফেরতে যাবো তখনই কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে বিছানায় হুমড়ি খেয়ে পরলাম।ভয়ে চোখ বন্ধ করায় সামনে থাকা লোকটাকে দেখতে পাইনি।আস্তে আস্তে চোখ খুলে আমার চোখ ছানাবড়া।একি আবেশ ভাইয়া!উনি উঠার চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না।এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ কারো কন্ঠস্বর শুনে কেঁপে উঠলাম আমি।

-‘ছি ছি এই মেয়ে আমার ভাইপোর সাথে বিছানায় কি করছো’?উনার এই কথাটা কর্ণগোচর হতেই আমাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন তিনি।উনার ফুপির কথাটা যে খারাপ অর্থ বহন করছে সেটা ভালোভাবে টের পেয়েছেন তিনি।আমি লজ্জায় মহিলাটির প্রতি ঘৃণায় মাথা নিচু করে আছি।উনি বিষয়টাকে পরিষ্কার করতে বললেন,

-‘ফুপি এটা একটা এক্সিডেন্ট!তুমি প্লিজ তিল কে তাল বানিও না’।উনার কথায় ক্ষেপে গেলেন তিনি।আমাকে ভালোভাবে দেখে বললেন,

-‘তাহলে ওর ওড়না কই?এত বড় মেয়ে নির্লজ্জের মত কীভাবে তোর আমার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে আছে।নিশ্চয় এই মেয়ের খারাপ কোনো ইনটেনশন আছে’!দু ফোঁটা জল টুপ করে গড়িয়ে পরলো আমার চোখ থেকে।ওড়না টা চট করে গায়ে জড়িয়ে নিলাম আমি।উনি রাগী স্বরে বললেন,

-‘ফুপি!এবার কিন্তু বেশি বলছো চুপ করো।ও ওর রুমে ছিল আমি জাস্ট আরুকে ডাকতে এসেছিলাম তখন ধাক্কা খেয়ে পরে যাই।এটাকে নিয়ে এভাবে ওকে অপমান করো না।দোষ আমার ওর না।ও নিজের রুমে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে থাকতে পারে আমার উচিৎ ছিল নক করে রুমে ঢোকার।যেহেতু এখানে আরু ছাড়াও আরো তিনজন থাকে।সিরাত তুমি কিছু মনে করো না।ফুপির হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি’।

বিশেষ কোনো সুবিধা করতে না পারায় রাগে গজগজ করতে করতে কেটে পরলেন তিনি।যাওয়ার সময় চোখ রাঙিয়ে গেলেন আমায়।আমি চোখের জলগুলো মুছে বললাম,

-‘আপনার এখানে সরি বলার কিছু নেই।উনার যা মনে হয়েছে সেটাই বলেছেন’।

-‘প্লিজ সিরাত’!করুন চাহনী নিক্ষেপ করে নিচে যাওয়ার জন্য বলে গেলেন তিনি।আমি অনেক্ষণ বসে উনার বলা কথাগুলো ভাবতে লাগলাম।একজন মেয়ে আরেকজন মেয়েকে কীভাবে সহজেই অপমান করে দিতে পারে সেটা উনাকে না দেখলে হয়তো বুঝতেই পারতাম না আমি।ছি মানুষ কি জঘন্য!কি জঘন্য মানুষের মানসিকতা।

বর যাএী যাওয়ার জন্য পুরো রেডি।ভাইয়ার দেওয়া লেহেঙ্গা গায়ে জড়িয়ে নিয়েছি সাথে কসমেটিকস।হালকা সাজ সজ্জা চুলগুলো অবহেলায় পরে রয়েছে পিঠের উপরে।আমার আবার যত্ন করে চুল বাধার অভ্যেস নেই।সকালের ঘটনার পর থেকে ভাইয়ার মুখোমুখি হইনি আমি।লজ্জায় এখন মরে যেতে ইচ্ছে করছে কি করে অতগুলো মানুষের সামনে এমন কান্ড ঘটালাম ভেবে কুল পাই না আমি। নিজের কান্ডে নিজেই শকড।রিয়া আয়েশা আরু আর আমি মিলে বের হয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি।কিছুটা দূরে উনাকে দেখালাম কার সাথে যেন উচ্ছাসিত হয়ে কথা বলছেন।মুখ থেকে হাসি সরছেই না তার।আমি কিৎয়ক্ষণ সেদিক পানে তাকিয়ে দৃষ্টি সংযত করে নিলাম।কিছু সময় আগের কাহিনী মনে হতেই এক রাশ লজ্জা ঘিরে ধরলো আমায়।দ্বিতীয়বার আর তাকানোর সাহস হয়ে উঠলো না।

বিয়ে বাড়ী মানুষে গিজগিজ করছে পুরো বাড়ী।আমি এদিক ওদিক হাঁটছি।আরু একটু সামনে গিয়েছে।তখনই এক গাল হাসি নিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালেন ডক্টর রাদিফ ভাইয়া।উনাকে দেখে পুরো চমকে গেলাম আমি।আমাকে অতি বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলেন,

-‘কেমন আছেন আপনি?পায়ের কন্ডিশন এখন কেমন’?নিজের বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছি সেখানে পা।নিজেকে ধাতস্থ করে বললাম,

-‘আগপর থেকে অনেক ভাল আছি।ব্যান্ডেজ খুলে ফেলেছি।আপনি এখানে’?উনি হাসলেন।হেসে বললেন,’বোনের বিয়েতে ভাই থাকবে না এটা কি হয় নাকি’?কথাটা কর্ণগোহরে পৌছাতেই আরেকদফায় অবাক হলাম আমি।অস্ফুট স্বরে বললাম,’ভাই’?

-‘হুম তিন্নি আপু আর তিথির কাজিন।আমার কোনো বোন নেই ওরাই আমার বোন।আপনি অবাক হয়েছেন হওয়ারই কথা।একচুয়েলি আমিও জানতাম না আপনারা আমার রিলেটিভ কিন্তু সেদিন আপনার নিখোঁজ হওয়ার পর বাসায় গিয়ে জানতে পারি এন্ড সিওর হই।আপনি বাদে বাকি সবাই জানে’।এবার ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো আমার কাছে।

-‘আপনি একা?আপনার সাথের অন্যরা কোথায়’?

আমি মৃদু হেসে বললাম ‘,আছে ওদিকটায়’।

🍁🍁🍁

সিরাতকে হারিয়ে একা একা এদিক ওদিক হাঁটছে আরু।বান্ধবী ছাড়া একা একা বিয়ে বাড়ী টিকা যায় নাকি।অসহ্য লাগছে এখন।ওকে খুঁজতে অলস চোখ এদিক ওদিক তাকাচ্ছে।বিরক্তির চাপ কুচকে আসা মুখশ্রী তে স্পষ্ট।এতে যেন তার সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে।অন্যদিকে এক জোড়া তৃষ্ণার্ত চোখ দূর থেকে তার চোখের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে।হাঁটতে হাঁটতে সামনে সেদিনের সেই ডাক্তার কে দেখে ওর হৃৎস্পন্দন লাফাতে লাগলো।লোকটাকে দেখলেই কি যেন হয় নিজেই জানে না।লোকটা হাসছে আর এদিকেই আসছে।ও উল্টো পথে যাএা শুরু করতেই পেছনে থেকে বলল,

-‘আরে বেয়াইন আমাকে দেখে পালাচ্ছেন কেন?আমি বাঘ না ভাল্লুক’?

-‘মোটেও না’! না চেনার ভান ধরে ‘কে আপনি’?মৃদু হাসলো রাদিফ পাগল করা হাসি।আরু একবার তাকিয়ে নজর সরিয়ে নিলো।উনি বললেন,

-‘তিথিরের ভাই!সে অনুযায়ী আপনার বেয়াই’।মুখে মৃদু হাসি ফুটিয়ে বলল,’অহ!আচ্ছা আসি সিরাতকে খুঁজতে হবে’।

-‘চলুন দুজনে মিলে খুঁজি’।রাদিফের কথার বিপরীতে না বলতে পারলো না সে।পাশাপাশি দুজনে হাঁটছে খারাপ লাগছে না ওর বরং ভালোই লাগছে।কেন যেন উনার আশেপাশে থাকলে এমনিতেই ভালো লাগে ওর।খানিকক্ষণ নীরবতায় কাটার পর রাদিফ বলল,

-‘ড্রেসটায় আপনাকে দারুন লাগছে।মিস সিরাতেরও দেখলাম সেইম ড্রেস।দুজনকেই অসাধারণ লাগছে একেবারে মায়াবিনী’।আরু আড়চোখে একবার রাদিফের দিকে দৃষ্টি দিলো।ছেলেটাকে যে কোনো গেট আপে দারুন লাগে।মৃদু হেসে খানিক লজ্জা পেয়ে বলল,

-‘থ্যাংকস’!রাদিফ হাসলো কিন্তু কিছু বললো না।হাঁটতে হাঁটতে সিরাত অব্দি পৌঁছে গেলো তাঁরা।সিরাত গাল ফুলিয়ে বলল,

-‘বাহ্!এখানে এসে আমাকে ভুলে গেলি’।

-‘ধুর না আমি তোকেই খুঁজছিলাম’।

এসেছি থেকে তিথি আপু আটার মত সেটে আছে উনার সাথে যেটা কিছুতেই সহ্য করতে পারছি না আমি।দুজনের হাসাহাসি একটু বেশিই।খাবার টেবিলে বসে খাবার নাড়াচাড়া করছি কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে না।বারবার চোখ দুটো উনার দিকে চলে যাচ্ছে।একটু পর আমাকে অবাক করে দিয়ে আরুর পাশে চেয়ারে বসলেন তিনি।ভাইয়াও বসলো এক পাশে।আমি বড়সড় একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে গিয়েও ফেলতে পারলাম না কারণ তিথি আপু একদম পাশে বসলেন।রাগে রিরি করে উঠলো পুরো শরীর।আমি কিছু খাচ্ছি না দেখে তিনি বললেন,

‘সিরাত তুমি দেখছি কিছুই খাচ্ছ না।খেতে না পারলে আমাকে দাও।বলে টুপ করে রোস্টের টুকরো হাতে তুলে নিলেন তিনি।প্লেটের পাশে দইয়ের বাটি নিয়ে ভাইয়া বলল,

‘তুই তো আবার এসব খাস না।ঠিক আছে চিন্তা করিস না।এগুলো সাবাড় করার জন্য আমরা তো আছিই।খাবারের ব্যাপারে একদম লজ্জা পাই না আমরা’।দুজনে সকলের প্লেট থেকে তুলে খেতে খেতে চলে গেলো।আমরা সবাই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলাম ওরের যাওয়ার পানে।এই ছেলে দুটো এত শয়তান সেট দেখছি এখন আরও বেশি।দুজনে একসাথে থাকলল শয়তান এসে ঘাড় মটকে ধরে।নইলে এমন কেউ করে আজব পাবলিক!

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here