তুমি আমার -পর্ব ৮

0
408

#তুমি_আমার
#পর্ব_০৮
#লেখনীতে_নাজিফা_সিরাত

পুরো খান বাড়িতে নেমে এসেছে ঘোর কালো অন্ধকার।কারো মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না।আরু কেঁদে কেটে সাগর বানিয়ে দিচ্ছে।মিঃখান মেঝের দিকে তাকিয়ে আছেন।সিরাতের মা’কে এখনও জানানো হয় নি।শুধু ওর বাবা আর সিয়াম ব্যাপারটায় অবগত।সবাই দিশেহারা বাকরুদ্ধ!কি থেকে কি হয়ে গেলো।।হাসি খুশি মেয়েট কয়েক ঘন্টায় কোথায় চলে গেলো।আবিদ বাসায় ফিরছে কিন্তু মুখে কোনো হাসি নেই।আরু দৌড়ে গিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল,

-‘ভাইয়া সিরাত কোথায়?তুমি একা কেন ও কোথায়’?আরুর মাথায় হাত বুলিয়ে আবিদ বলল,’কাঁদিস না ওকে খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব।একটা ক্লু পেয়েছি’।সকলের চোখে মুখে খুশিতে চিকচিক করে উঠলো।মিঃখান বললেন,

-‘কি ক্লু’?

-‘সিরাতের পরনের ওড়না পাওয়া গেছে।এখন সেই অনুযায়ী পুরো এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।খুব তাড়াতাড়ি আমরা সিরাতকে পেয়ে যাব’।ওদের কথার মাঝেই পুলিশ করে আবিদ কে জানায়,

-‘আমরা হামলাকারীদের ধরতে পেরেছি কিন্তু সিরাতকে পাই নি।ওদের ভাষ্য মতে ওরা দুজন ছিল।একটি ছেলে ওকে বাঁচানোর জন্য ওদের সাথে মারামারি করে।এক পর্যায়ে ছেলেটির মাথায় আঘাত করায় দুজনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।ওরা ভয় পেয়ে ওদের ফেলে চলে যায় আর তখনই ওদের পাই।এখন ওখানে ওরা কেউ নেই।চিন্তা করবেন না খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব’।

স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আবিদ।ছেলেটা আবেশ নয়তো।রেস্টুরেন্ট থেকে বেরুনোর পর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি।আবিদ সকলকে বিষয়টা জানায় সকলেই এখন চিন্তায় পরে গেছে।ওদের সাথে ঠিক হয়েছটা কি।কোথায় ওরা?

রাত দুইটা হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে আবেশ।ধীরে ধীরে চোখ খুলে তাকানোর চেষ্টায় আছে।চোখ খুলে নিজেকে হসপিটালের বেডে আবিষ্কার করল সে। মাথাটা ব্যাথায় টনটন করছে।মাথায় হাত দিয়েই বুঝতে পারলো ব্যান্ডেজ করা হয়েছে সেখানে।আস্তে আস্তে সন্ধ্যার পুরো ঘটনা মনে হতেই হন্তদন্ত হয়ে কেবিন থেকে বেড়িয়ে গেল।সিরাত কোথায় তাকে খুঁজতে হবে তার।

🍁🍁🍁

সিরাতের সামনে বসে আছে রাদিফ।সামনের বেডে পরে থাকা মেয়েটাকে দেখে ক্ষীণ সুখের আভাস পাচ্ছে সে।এক বছরের তীব্র যন্ত্রণা থেকে এবার হয়ত মুক্তি মিলবে তাঁর।প্রাপ্তির হাসি হাসবে।মায়াবিনী কে নিয়ে সুখের সময় পার করবে সে।নিজের ভাবনার ছেদ ঘটিয়ে সে এটা ভেবে পায় না কে ওই ছেলে আর মেয়েটাকে এভাবে মেরেছে।ছেলেটার প্রচুর ব্লাড বেরিয়ে গেছে।মাথায় দুটি সেলাই দেওয়া।এলোপাথাড়ি মারায় হাতের আঘাত টাও গুরুতর।ছেলেটির হয়তো এতক্ষণে জ্ঞান ফিরে এসেছে।রাদিফ উঠতে যাবে তখনই হুড়মুড় করে কেবিনে ঢুকে কেউ।তাঁকে দেখে কপাল কুঁচকে আসে তাঁর।এই অসুস্থতায় এই রুমে কেন এই ছেলেটি।রুমে ঢুকেই এক পলক সিরাতের দিকে তাকালো আবেশ।ওকে দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।চুপচাপ বেডে ঘুমিয়ে আছে সে।কোনো সাড়াশব্দ নেই।মুখটা ফ্যাকাসে কেমন যেন লাগছে।এই দখলে মুখটা শুকিয়ে গেছে।সামনের ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বলল,

-‘ডক্টর ও এখন কেমন আছে’?মৃদু হাসলো রাদিফ।হেসে বলল,

-‘ভালোই আছেন।উনার ইন্টারনাল ইঞ্জুরি তেমন গুরুতর নয়।পায়ে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি।দুই একদিন হাঁটতে কষ্ট হলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে।এখন ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি সকালের আগে ঘুম ভাঙ্গবে না।তখন রিল্যাক্স ফিল করবেন।উনার থেকে আপনার আঘাত গুলো বেশ গভীর আপনি রেস্ট করুন।পুষ্টিকর খাবার খাবেন কারণ প্রচুর ব্লাড বেরিয়ে গেছে আপনার’।ডক্টরের কথায় হাসলো আবেশ বলল,

-‘আমি ভাল আছি।ওর কিছু হয়নি এটাই অনেক।নইলে সিয়ামকে মুখ দেখাতে পারতাম না।কতগুলো সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতো।বাই দ্যা ওয়ে আমরা এখানে এলাম কি করে?’

-‘আমি আপনাদের এখানে নিয়ে এসেছি।এই হসপিটালে আমি জয়েন করেছি একেবারে নতুন।আজই ফার্স্ট দিন।বাসায় ভাল লাগছিল না তাই হাওয়া খেতে বেড়িয়ে ছিলাম।তখন রাস্তার পাশে আপনাদের দুজনকে অবচেতন অবস্থায় পাই তারপর কোনোকিছু না ভেবে আপনাদের নিয়ে আসি।এখন অব্দি পুলিশ কেসও হয়নি।তবে একটু আগে আপনার ফোন অনবরত বেজে যাচ্ছিলো তখন আমি রিসিভ করে আপনার বাসায় জানিয়ে দিয়েছি উনারা আসছেন’।আবেশ ডক্টরের হাত দুটো ধরে কৃতজ্ঞতার সুরে বলল,

-‘থ্যাংকস ডক্টর আপনার এই ঋণ আমি কোনোদিনও ভুলব না’।

-‘ঋণ কেন বলছেন এটা আমাদের দায়িত্ব’।না জেনে কত বড় উপকার আপনি আমার করেছেন আপনি নিজেও জানেন না বির বির করে বলল রাদিফ।

মিঃ খান আবিদ সিয়াম আর সিরাতের বাবা এসেছেন ওকে দেখতে।আরু আসতে চেয়েছিল কিন্তু সকলে অনেক বুঝিয়ে সকালে আসার কথা বলে রেখে এসেছে।সিয়াম এসেই রিপসেপশনিষ্টের কাছ থেকে কেবিন নম্বর জেনে বোনের কেবিনে ঢুকলো।সেখানে ওর স্যালাইন ঠিক করছিল রাদিফ।আবেশকে ওর কেবিনে পাঠিয়ে ঘুমাতে বলেছে সিরাত ঘুমাচ্ছে দেখে সেও বাধ্য ছেলের মত চলে গেলো।এসেই কান্না শুরু হয়ে গেছে সিয়ামের।রাদিফ সবটা বুঝিয়ে বলায় এখন কিছুটা ভরসা পাচ্ছে।তার বোন ভালো আছে এটাই বড় পাওয়া।তারপর আবেশের কেবিনে গেলো।কলিজার টুকরো বোনকে বাঁচাতে প্রাণপ্রিয় বন্ধুর এই অবস্থা।কিন্তু তবুও প্রাপ্তির হাসি দুজনে ঠিক আছে।কারো তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

সকালের ঝিলিমিলি আলো চোখে মুখে পরতেই ঘুম হালকা হয়ে এলো সিরাতের।হাতে পায়ে তীব্র ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে তার।পা একদম নাড়াতে পারছে না।চোখ খুলে ঘুমুঘুমু চোখে তাকালো কিন্তু কাউকে দেখতে পেলো না।সে কোথায় আছে এটা বুঝতে পেরে কি হয়েছিল জানার জন্য ব্রেনে চাপ দিতেই কাল রাতের কথা মনে পরে গেলো।ভয়ে শরীর রীতিমত কাঁপছে তাঁর।গলা শুকিয়ে যাচ্ছে।আবেশের কথা মনে পড়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।আচ্ছা উনি বেঁচে আছেন ত।ভিতরে তীব্র জ্বলন হচ্ছে তার।যদি কিছু হয়ে যায়।তখনকার রক্ত ঝরার দৃশ্য ভেসে উঠতেই ভয়ে কাঁপতে থাকে।হঠাৎ তার কেবিনে ঢুকে একজন যুবক।ওকে এভাবে বসে থাকতে দেখে হতভম্ব নিজেই।এগিয়ে গিয়ে বলল,

-‘একি আপনার কি হয়েছে ব্যাথা পাচ্ছেন’?সিফাত মাথা নাড়িয়ে না বলল।

-‘তাহলে ভয় পেয়েছেন।ভয় পাবেন না আপনি একদম সেইফ আছেন’।ছেলেটির দিকে করুন চোখে তাকালো সিরাত।এতক্ষণে তার ভয় কিছুটা কমেছে কিন্তু অস্বস্তি যায় নি।আবেশের কথা কি করে জিজ্ঞেস করবে ভেবে কুল পাচ্ছে না তবুও বলল,

-‘আমাকে কি এখানে একা এডমিট করা হয়েছে’?সিরাতের প্রশ্নের মানে বুঝলো রাদিফ।তাই ওকে আশ্বস্ত করার জন্য বলল,

-‘না আপনার সাথে একটি ছেলেও ছিল।তিনি এখন ভাল আছেন ডোন্ট ওয়্যারি’।আবেশ ঠিক আছে শুনে স্বস্তির শ্বাস ছাড়লো।

সকালের আলো ফুটতে না ফুটতেই পুরো হসপিটালে সিরাতের সকল বন্ধুরা এসে উপস্থিত সাথে আরুও আছে।রাএে একমাএ সিয়ামই হসপিটালে ছিলো আর বাকীদের জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে।সিরাতের সাথে দেখা করে তবেই মনে শান্তি পেয়েছে তারা।।সিরাতকে আজই নিয়ে যাওয়া যাবে কিন্তু আবেশকে একদিন থাকতে হবে।কিন্তু সে থাকবে না তাই ডিসচার্জ নেওয়ার জন্য আবিদ কে জোর করে পাঠালো।সিয়াম সিরাতকে নিয়ে বাসায় চলে যাবে কিন্তু এটা খান পরিবারের কেউই মেনে নিতে পারেনি।সবাই এতে বাধা প্রদান করেছে।অনেক বুঝিয়েও লাভ হয়নি ফলাফল শূন্য।উল্টে সবাইকে ও বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন আবেশের বাবা।অবশেষে সিরাতের বাবা উনার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছেন।

🍁🍁🍁

আরুর কেবিন থেকে বের হতেই আরুর চোখ আটকে গেলো সাদা এপ্রোন পড়া যুবকের উপর।পরনের সবকিছুই ধবধবে সাদা শুধু প্যান্ট আর জুতো কালো।ছেলেটির গায়ের রঙও ফর্সা যার দরুন তাকে বেশ মানিয়েছে।আরু চেয়েও চোখ সরাতে পারছে না।শুধু তাকিয়ে থাকতেই ইচ্ছে করছে।ছেলেটি সোজা এসে সিয়ামের সাথে কথা বলতে শুরু করলো।এতক্ষণে বুঝে গেছে ইনিই সিরাতকে রিস্কিউ করে ট্রিটমেন্ট করেছেন।নিজের দৃষ্টি সরিয়ে অন্যদিকে মনযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ সে না চাইতেও বারবার তার চোখ রাদিফের দিকে যাচ্ছে।ওর কথা বলা ঠোঁট নাড়ানো সব কেমন আকর্ষণ করছে ওকে।এটা তার কিশোরী মনের আবেগ তাই সে আবেগে লাফাচ্ছে ভেবে সেখান থেকে প্রস্থান করলো।এখানে থাকলে মারাত্মক কিছু ঘটবে।লোকটা টের পেলে ওর মান সম্মানের বারোটা বেজে যাবে তাই পাশ কাটিয়ে পা চালিয়ে হনহন করে চলে গেলো।

পুরো একটা দিন কেটে এখন ধরনীর বুকে সন্ধ্যা নেমে এসেছে কিন্তু এখনও আবেশের দেখা পায় নি সিরাত।সকলের মুখে ওর ইঞ্জুরির কথা শুনেছে কিন্তু স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয় নি। এখনও সে তার সামনে আসে নি।অথচ প্রতিনিয়ত তাঁর কি অবস্থা সেটা দেখার জন্য ছটফট করছে সে।হসপিটালে একবুক আশা নিয়ে বসে ছিল হয়ত আবেশ আসবে ওর কাছে কিন্তু আসে নি।বাসায় এসেও দেখা নেই তাহলে কি খুব বেশি অসুস্থ তিনি।নাকি গতকাল রাতের ওর ব্যবহারের জন্য।কিন্তু ওগুলো ত ইচ্ছা ঘটিত ছিল না বিপদে পড়ে হুশ হারিয়ে ভয়ের তাণ্ডবে করেছে সিরাত।সে কারণে কি রেগে আছেন তিনি।নাকি ওর জন্য বিপদে পড়ে উনার ভাইয়ের বিয়ে ইনজয় করতে পারবেন না বলে বিরক্ত তিনি ঠিক কোনটা ভেবে কুল কিনারা পায় না সে।একবার মনে হয় ওর ব্যাপারে খুব কেয়ারিং আবার কখনও মনে হয় বোরিং।এসবের মানে কি ঠিক জানে সে।কিন্তু সিরাত জানে ওই লোকটা তার জন্য কি।গতকাল যখন সবার আগে ওই বিপদে লোকটাকে পাশে পেয়েছিলো তখন সবথেকে সুখী বোধহয় ওই ছিল।উনার সান্নিধ্য হোক না ক্ষণিকের কিন্তু ভালোলাগা গুলো ত আজীবনের।

হলুদের জন্য সকল আয়োজন কমপ্লিট।আবিদ চেয়েছিল বিয়ের ডেট দুদিন পেছাতে কিন্তু আবেশ কড়া ভাষায় না বলে দিয়েছে।একই তারিখে বিয়ে হবে।আবেশকে দেখে বোঝার জোঁ নেই অসুস্থ সে।সারাদিন ঘুমিয়ে সন্ধ্যায় সকল কাজের তদারকিতে আছে।সকলে মিলে বারণ করে শোনানো যায় নি তাকে।আরু আর রিয়া মিলে জোর করে সিরাতকে রেডি করছে।কমফোর্টেবল ফিল করার জন্য সিম্পল একটি টপস পরেছে সে। গাল ফুলিয়ে বিরক্তিকর চাহনী নিয়ে বসে আছে।এই দুজনকে পৃথিবীর সব থেকে অসহ্য প্রাণী মনে হচ্ছে তার।কি দরকার এই অসুস্থতার মধ্যে বাইরে যাওয়ার।কিন্তু আরুর একটাই কথা দরকার আছে আর সেজন্যই ওকে নিয়ে যাচ্ছে।তিন্নি ভাবী আর তিথি আপু ইতিমধ্যে ওর সাথে কথা বলে কেমন আছে জেনে নিয়েছেন।রিয়া আর আরু ওকে ধরে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ছাদের দিকে।পা ফেলতে প্রথমে বেশ অসুবিধা হলেও এখন একটু ঠিক লাগছে।আরুর সাহায্যে যেতে পারছে।ছাদে যাওয়ার পথেই সারাদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটলো তার।আবেশ সামনে দাড়িয়ে আছে একটি জলপাই রঙের পাঞ্জাবি পরে।পুরো মাথায় সাদা ব্যান্ডেজ করা।ব। হাতে বেশ লম্বা একটি ব্যান্ডেজ।কিন্তু মুখে সেই হাসি।কোনোকিছুই যেন ঘায়েল করতে পারে না তাঁকে।সাদা ব্যান্ডের উপর কালো সিল্কি চুলগুলো যেন তার সৌদর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।উনি মৃদু হেসে বললেন,

-‘আরু সাবধানে নিয়ে যাস।তোদের ত লাফালাফি ছাড়া স্থির থাকার অভ্যাস নেই।সিরাত কেমন আছো এখন,ভালো লাগছে’?সিরাতের এই মূহুর্তে কথা বলতে একটু ইচ্ছে করছে না।বলব না সারাদিনে একবার দেখা করতে পারলো না এখন এসেছে ভাল মন্দের খোঁজ নিতে।তবুও শত হোক ওকে বাঁচিয়েছে তাই ভদ্রতার খাতিরে হলেও বলা প্রয়োজন মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলল।ও কিছু বলার আগেই নিজের সানগ্লাস ঠিক করতে করতে গটগট করে চলে গেল আবেশ।লোকটার খোঁজা মারার স্বভাব কখনও যাবে না।এই অবস্থায়ও একটু ছাড় দেওয়া যায় না।কিন্তু অন্য দিনের তুলনায় উনাকে বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছ কিন্তু কেন?আর ওকে এড়িয়েই বা যাচ্ছে কেন?তাহলে কি গতকালের জন্য সত্যি ওর উপর বিরক্ত সে।কথাগুলো ভেবেই চোখের কোণে জল চলে এলো ওর।মনটা বিষিয়ে গেলো নিমিষেই। এতটা অবহেলা পাওয়ার কি ওর প্রাপ্য।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here