তুমি বললে আজ – পর্ব ২৪

0
609

#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ২৪.

.
টিপটিপ বৃষ্টির ঝাপটা এসে মুখের উপর আছড়ে পরছে। হিমশীতল বাসাতেই শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে বারংবার। ছুটোছুটি করে নিজেদের আর্ত রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাস্তার মানুষজন। হঠাৎ টিপটিপ বৃষ্টির আগমনে ফুটপাতের দোকানীরা নিজেদের জিনিসপত্র পত্র গুছিয়ে নিচ্ছে দূত হাত চালিয়ে। বিকেলের শেষ ভাগে এই বৃষ্টির কবল থেকে বাঁচার জন্য কেউ কেউ দাঁড়িয়ে পরছে দোকানের সামন। পশ্চিম আকাশের হেলে পড়া সূর্যটা অনেক আগেই ধুসর মেঘে ঢেকে গেছে। মাঝে মাঝে কিছু কপোত-কপোতীর দেখা মিলছে হুড় তোলা রিকশায়। চারদিকে রোমাঞ্চকরে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু আমি? আমি কোনদিকে নজর না দিয়ে অনুভূতি বিহীন বসে আছি রিকশায়। মিনিটে দু’বার করে তাগদা দিয়ে যাচ্ছি জোরে চালানোর জন্য আর ছটফট করে চলেছি আপন মনে।
হসপিটালের গেইটে রিকশা থামতেই হুড়মুড় করে নেমে হাতে থাকা টাকা রিকশাওয়ালার দিকে বাড়িয়ে দিলাম। বাকি টাকাটা নেবার প্রয়োজন না করেই ছুটতে লাগলাম ভেতরের দিকে। নিশ্বাসটা কোন ভাবে নিয়ে যাচ্ছি, মনে হচ্ছে এক্ষুনি আঁটকে যাবে। মোবাইলে সেই অপরিচিত লোকটা তখন ফোনে বলেছিলো ‘মিসেস রওনাফ কিনা?’ আস্তে করে হুম বলতেই অপর পাশের সেই অপরিচিত ব্যাক্তিটি বলে উঠলো, ‘মি. রওনাফ গুরুতর ভাবে এক্সিডেন্ট করেছেন, হসপিটালে এডমিট করতে হয়েছে।’ তারপর হসপিটালের নামটা শুনতেই হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেল। সাথে সাথে আমার নিশ্বাসটাও আঁটকে যেতে লাগল। সেভাবেই উঠে গায়ে একটা ওড়না জড়িয়ে হাতের কাছে থাকা কিছু টাকা নিয়ে দৌড়ে আসলাম নিচে। মেইন গেইটটা কোন ভাবে আঁটকে এক ছুটে রাস্তায় বের হলাম।

হসপিটালের ভেতরে এসে এদিক ওদিক ছুটেই চলেছি শুধু। তবুও দেখা মিললো না সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটার। অবাধ্যের মতো চোখের পানিগুলো শুধু ঝরতে থাকলো। শেষে উপায় না পেয়ে রিসিপশনে ছুটে আসলাম। কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলাম,

“ত..তসাফি? উনি কো..কোথায়?”

রিসিপশনের মেয়েটি হয়তো বুঝতে পারলো না আমার কথা। ‘কার কথা বলছেন?’ বলে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আমি আবারও বললাম,

“মি. র..রওনাফ….”

মেয়েটি সরাসরি বলে উঠলো,

“মি. রওনাফ? এক্সিডেন্ট কেস?”

ঝরঝর করে বেরিয়ে আসলো আমার অশ্রুধারা গুলো। কোন ভাবে আঁটকে রেখে মাথা ঝাঁকালাম। মেয়েটির মাঝে কোন ভাবান্তর হলো না। হয়তো প্রতিদিন এমন অজস্র কিছুর স্বাক্ষী হতে হতে মানিয়ে নিয়েছে নিজেকে।

“মি. রওনাফকে মাত্র অটি থেকে বের করে ৩০৭ নম্বর কেবিনে সিফট করা হলো। খুবই গুরুতর অবস্থা।”

আঁটকে রাখা চোখের পানি আবারও ঝরঝর করে বেরিয়ে আসলো দু’চোখ বেয়ে। খুব গভীরভাবে চিনচিন ব্যাথা করে উঠলো বুকে। আর এক মুহুর্তও দাঁড়ালাম না সেখানে হন্তদন্ত পায়ে ছুট দিলাম ৩০৭ নম্বর কেবিনের উদ্দেশ্যে। লিফটের আসায় না থেকে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে লাগলাম তিন তলায়।

তিন তলায় উঠে সেভাবে নিশ্বাসটাও না নিয়ে খুঁজে চললাম ৩০৭ নম্বর কেবিনটা। এতটাই উত্তেজিত হয়ে পরেছি যে চোখের সামনে কেবিন টাও আমার নজরে এলো না। বেশ সময় নিয়ে অবশেষে কেবিনের নম্বরটা চোখে পড়লো। এক মুহুর্তও সময়টাকে নষ্ট না করে ঢুকে পড়লাম ভেতরে। দরজার কাছে যেতেই হঠাৎ পা দু’টো থমকে গেল আমার। হাজারো বিস্ময় নিয়ে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম দরজার কাছে সামনের দিকে তাকিয়ে। এক মুহুর্তে যেন আমার চোখের দেখাকেও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছি না। পিছন থেকে কেউ একজন ‘এক্সকিউজ মি’ বলতেই কিছুটা ঘোর কাটলো আমার। ততক্ষণে সামনের মানুষ দুটোও তাকিয়েছে আমার দিকে। এতক্ষণের আঁটকে থাকা নিশ্বাসটা খুব জোরেই ছেড়ে দিলাম। সাথে সাথেই এক ছুটে এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম সেই কাঙ্ক্ষিত মানুষটাকে। গায়ে যতটুকু শক্তি ছিলো সব দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আমার তাসফিকে। সাথে হু হু করে কেঁদে দিলাম আর অস্পষ্ট সুরে বলতে লাগলাম,

“আ..আ আপনি ঠিক আছেন? আ..আপনার কি..কিছু হয় নি….”

কথাটা শেষ করতে পারলাম না, শুধু অনুভব করলাম মাথার চিনচিন ব্যাথা। সেই সাথে ঝাপসা হয়ে অন্ধকার নেমে আসলো চোখের সামনে।

.
টিপটিপ করে চোখ খুলে ঠিক বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি আমি। কিন্তু আবিষ্কার করলাম শক্তপোক্ত একটা হাতের বাঁধনে আঁটকে কাউকে জড়িয়ে আছি। এবার পুরোপুরি ভাবে চোখ মেলে তাকালাম। জড়িয়ে ধরা মানুষটাকে দেখে আবারও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠলাম। আমাকে এভাবে কাঁদতে দেখে তাসফি ভাইয়া বলে উঠলেন,

“কাঁদছিস কে্…. কাঁদছো কেন এভাবে, কি হয়েছে? আমি তো একদম ঠিক আছি।”

ওনার কথা কানে আসলেও কিছু বলতে পারলাম না, আর না পারলাম কান্না আটকাতে। উনি আবারও বললেন,

“দেখছো তো আমি ঠিক আছি, কিছু হয় নি আমার। অযথা কান্নাকাটি করে চোখ মুখের কি অবস্থা করে ফেলেছো? এবার কান্নাটা থামাও। সবাই তো তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।”

ওনার শেষ কথাটায় কাজ হলো এবার। স্মরণে এলো হসপিটালের কেবিনে অবস্থান করছি আমরা। কান্না থামিয়ে ওনার কাছ থেকে সড়ে এলাম। তাসফির দিকে একবার তাকিয়ে আশেপাশে নজর দিলাম। অনেকগুলো অপরিচিত মুখ ভেসে উঠলো, সবাই আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। এবার কেমন জানি লজ্জায় পরে গেলাম অনেক। ওনাকে ছেড়ে দিয়ে জড়োসড়ো হয়ে ঠায় বসে রইলাম বেডের উপর। যতদূর বুঝতে পারলাম এই অপরিচিত মানুষগুলো মাথায়, হাতে পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে বেডে শুয়ে থাকা লোকটার পরিবার।
আমি ওঠার পর তাসফি ভাইয়া উঠে গিয়ে ওনাদের সামনে দাঁড়ালেন। বলতে লাগলেন,

“সরি! আসলে ও মনে করেছে এক্সিডেন্টটা আমার হয়েছে। তাই এভাবে…”

“না না.. বাবা ঠিক আছে। এক্সিডেন্টের কথা শুনে যে কেউ এমন করবে। এটাই তো স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা। ইস্! এক্সিডেন্টর কথা শুনেই মেয়েটা কেঁদে কেটে জ্ঞান হারালো। অনেক ভালোবাসে বুঝি তোমায়।”

মাঝ বয়সী মহিলাটা কথাটা বলেই এগিয়ে আসলো আমার কাছে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে উঠলো,

“চিন্তা করো না মা, তোমার স্বামী একদম ঠিক আছে। আমার ছেলেটাকে বাঁচাতেই হাসপাতালে আসতে হয়েছে। ঠিক সময়ে হাসপাতালে না আনলে আমার ছেলেটা হয়তো….”

হু হু করে কেঁদে উঠলো মাঝ বয়সী মহিলাটি। ওনাকে কান্না করতে দেখে ভীষণ খারাপ লাগলো আমার। বেডে শুয়ে থাকা লোকটার জায়গায় তাসফিকে কল্পনা করতেই ভেতরটা আবারও কেঁপে উঠলো আমার। আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে উনি তাসফির দিকে এগিয়ে গিয়ে বললেন,

“এবার তোমরা চলে যাও বাবা। গভীর রাত না হলেও এখন অনেকটা রাত হয়েছে, মেয়েটাও অনেক ক্লান্ত। এদিকটা আমরা সামলে নিতে পারবো, অনেক তো করলে আমার ছেলের জন্য।”

উনিও সায় জানালো মহিলাটির কথায়। ওনাকে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে বললেন,

“রওনাফের জ্ঞান ফিরলে আমাকে জানাবেন কিন্তু আন্টি। আমার নম্বরটা দিচ্ছি।”

বলেই পকেটে হাত দিলেন। পকেটে ফোনটা না পেয়ে বললেন,

“ওও.. আসলে এক্সিডেন্টের সময় আমার ফোনটা রাস্তায় পরে গেছে। আমি রূপার নাম্বরটা দিচ্ছি, আপনার নাম্বরটাও দেন।”

তারপর আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,

“রূপা, তোর ফোন…. তোমার ফোনটা দাও।”

ফোনটা দিতে পারলাম না ওনাকে। দিবো কিভাবে, ওনার এক্সিডেন্টের কথা শুনে তাড়াহুড়ায় সেখানেই তো ফোনটা ফেলে এসেছি। হাতের কাছে থাকা কিছু টাকা নিয়ে কিভাবে ছুটে এসেছি হসপিটালে নিজেও বলতে পারবো না এখন।
আস্তে করে বললাম,

“আ..আসলে মোবাইলটা বাসাতেই ফেলে এসেছি।”

আমার কথা শুনে সুপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো তাসফি ভাইয়া। তারপর আন্টি টাকে বললেন,

“আপনি প্লিজ আমাকে ফোন দিবেন। রওনাফের আপডেট জানাবেন আমাকে।”

ওনার কথায় আন্টি সায় দিলেন। তারপর সকলের থেকে বিদায় নিয়ে আমাকে নিয়ে বেরিয়ে আসলেন কেবিন ছেড়ে।

.
হুড় তোলা রিকশা চলছে তার আপন গতিতে রাতের এই অন্ধকারে। শীতল দমকা হাওয়া বারবার ছুয়ে দিচ্ছে শরীর জুড়ে। বৃষ্টির রেশ না থাকলেও বিকেলের বৃষ্টির আভাসটা রয়ে গেছে। শিরশিরে বাতাসে থেমে থেমে কেঁপে উঠছি আমি। অজানা একটা ভয় গেঁথে গেছে মনে। কাঁপা কাঁপা দু’ হাতে পেচিয়ে রেখেছি পাশে থাকা মানুষটার হাত।
আমার পাশে বসে থাকা এই মানুষটার কোনই ভ্রূক্ষেপ নেই আমার প্রতি। নিক্ষিপ্ত ভাবে তাকিয়ে আছেন সামনের দিকে। এ-টুকু সময়ে আমি যে বার কয়েক তাকিয়েছি সেটাও যেন দেখতে পায় নি বজ্জাত লোকটা। হঠাৎ জোরে দমকা হাওয়ায় খুব জোরে কেঁপে উঠলাম। পাশের মানুষটির ধরে থাকা হাতে খুব জোরে চেপে ধরলাম অজান্তেই। এবার এই গম্ভীর মানুষটির নজরে এলাম। আমার দিকে তাকিয়ে ধমকে উঠে বললেন,

“এমন কাঁপা-কাঁপি করছিস কেন বেয়াদব? বাসা থেকে বের হয়ে দিব্যি তো বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে এলি, এখন এমন করছিস কেন?”

ওনার কথার প্রতিত্তোরে কিছু বললাম না আমি। চুপ করে তাকিয়ে রইলাম শুধু। উনি আবারও ধমকে উঠে বললেন,

“তোকে না বারবার করে বারণ করে গেছি একা একা বাসা থেকে বের হবি না। তাহলে এভাবে ছুটে এসেছিস কেন বেয়াদব। হঠাৎ কিছু একটা হয়ে গেলে কি হতো? যে কেউ তোকে ফোনে বলবে আমার এক্সিডেন্ট হয়েছে, আর তোকে পাগলের মতো আসতে হবে? এক্সিডেন্ট হলে হতো আমার, মরে তো আর যেতাম না।”

শেষের কথাটা শুনতেই ধক করে উঠলো বুকটা। সাথে সাথে ওনাকে জড়িয়ে বুকে মুখ গুজে কেঁদে উঠলাম আবারও। কেন জানি ঠিক সহ্য হলো না ওনার কথাটা।

“আম্..আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম। আ..আপনার ক..কিছু হলে আমার কি হতো?”

কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে গেলেন উনি। তারপর আমাকে নিজের দু’হাতে আগলে নিয়ে বললেন,

“আসলে দোষটা আমারই। তোর সাথে কথা বলে তখন আমার যাওয়া উচিত ছিলো।”

কিছুক্ষণের জন্য থামলেন। একটু শ্বাস নিয়ে বলতে লাগলেন,

“যে ছেলেটাকে বেডে দেখলি ওর নাম রওনাফ। ফেনী থেকে দুজনে একসাথেই এসেছি পুরো রাস্তা গল্প করে সময় কাটিয়ে। স্টান্ডে নামার পর দুজনে কিছু কথা বলে বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসতে নেই। রওনাফও বাসায় যাবার জন্য রিকশা নিতে যায়। কিন্তু উল্টো দিক থেকে একটা গাড়ি এসে ধাক্কা দেয় ছেলেটাকে। হঠাৎ কি হলো বুঝে উঠতেই ছুটে যাও ওর কাছে। তখনি হাতের ফোনটা রাস্তায় পড়ে যায়। ওকে হসপিটালে আনার পর সমস্ত ফর্মালিটি শেষ করতেই অটি-র জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সুযোগে ভাবলাম তোকে ইনফর্ম করে দেই। কিন্তু আমার ফোনটা খুঁজে পেলাম না। তখন তোকে কল দেবার জন্য রওনাফের ফোনে নাম্বরটা তুলে কল দেবার আগেই নার্স এসে বললো রোগীর বাড়ির লোককে খবর দিতে, আর আমাকে নাকি ডাক্তার ডাকছে। ব্যাস হয়ে গেল, আমদেরকে গাড়িতে করে হসপিটালে নিয়ে আসা লোকটার হাতে ফোনটা ধরে দিয়ে বললাম ওর বাসায় খবর দিতে, আর আমার ওয়াইফের নাম্বরটা কেটে দিতে। লোকটা উল্টো বুঝে তোকে ফোন দিয়ে যা বলার তা বলে দিলো।”

এতক্ষণ ওনার কথাগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে গেলাম, তবুও মনের ভয়টা কাটাতে পারলাম না। বারবার শুধু মনে হচ্ছে ওই লোকটার জায়গায় যদি উনি থাকতেন, তাহলে কি হতো আমার? কিছুক্ষণ চুপ থেকে অস্পষ্ট ভাবে বললাম,

“আমাকে একা ফেলে আর কোথাও যাবেন না আপনি। যেতে দিবো না আমি, কক্ষণো যেতে দিবো না, এভাবেই বেঁধে রাখবো আপনাকে।”

সেভাবেই আরও শক্ত করে ধরলাম ওনাকে। হাসলেন হয়তো উনি। হাসির ঝোঁকে কিছুটা কেঁপে উঠলো ওনার শরীর। আমার কানের কাছে মুখ এগিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠলেন,

“আমি তো সারাটা জীবন বাঁধা থাকবো তোমার কাছে, তোমার ভালোবাসায়। তুমি বললে আজ থেকে তুমিও বাঁধা পড়ে যাও আমার ভালোবাসায়।”

.
.
(চলবে…..)

লেট হবার জন্য দুঃখিত। রি-চেক করার সময় পাই নি। ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here