আজও বৃষ্টি নামুক – Part 6

0
313

#আজও_বৃষ্টি_নামুক❤️
#লেখিকা:#তানজিল_মীম❤️
— পর্বঃ০৬
_________________
দরজায় দু’বার নক পড়তেই অপূর্বের বাবা মা দুজনেই দরজার দিকে তাকালো। অপূর্বের মা তো ছেলেকে দেখেই বিছানা ছেড়ে শোয়া থেকে উঠে বসলেন। তারপর বেশি না ভেবেই তক্ষৎনাত এগিয়ে গিয়ে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘ অপূর্ব তুই এসেছিস বাবা,
উওরে অপূর্বও বললো,
‘ হুম মা।’
ছেলেকে কাছে পেতেই অপূর্বের গালে কপালে চুমু এঁটে দিয়ে উত্তেজিত কন্ঠ নিয়ে বলে উঠল অপূর্বের মা,
‘ তুই ঠিক আছিস তো বাবা, তোর কোনো ক্ষতি হয় নি তো।’
মায়ের কথা শুনে খানিকটা বিস্মিত হলো অপূর্ব। খানিকটা ভারাক্রান্ত গলায় বললো,
‘ ক্ষতি হবে কেন আমি ঠিক আছি মা এত চিন্তা করলে চলে তোমার জামাই তো দেখছি একটুও তোমার খেয়াল রাখে না।’
বলেই বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে পুনরায় বলে উঠল অপূর্ব,
‘ ছিঃ ছিঃ তুমি আমার বাবা ভাবতেও লজ্জা লাগছে, যদিও আমার মধ্যে লজ্জা জিনিসটা একটু কম আছে তবে যতটুকু আছে ততটুকু তোমার জন্য যথেষ্ট।’
ছেলের কথা শুনে চোখ মুখ কুঁচকে বসা থেকে উঠে বসলো অপূর্বের বাবা। তারপর বললো,
‘ হুম যাও যাও আমিও দেখবো তুমি তোমার বউকে কেমন যত্নে রাখো খালি সারাদিন আমায় কথা শোনাও তো খুব শীঘ্রই তোমায় বিয়ে দিয়ে আমিও তোমায় কথা শোনানোর ব্যবস্থা করছি দাঁড়াও,
‘ হুম যাও তো। কাজ না থাকলে পেঁয়াজ কাটো গিয়ে বউয়ের খেয়াল রাখতে পারে না সে আবার আসছে আমায় জ্ঞান দিতে। কি দিন আইলো রে। তোমায় চার ঘন্টার সময় দিয়েছিলাম তুমি ফেল করেছো যাও দ্রুত গিয়ে পড়তে বসো খুব শীঘ্রই তোমার আবার পরীক্ষা নিবো আমি,,
প্রতি উওরে কোনোকিছু না বলেই হন হন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল অপূর্বের বাবা। মাঝে মাঝে ছেলের আচরণে বড়ই আফসোস লাগে তাঁর, এই ছেলেকে কি না সে ছোট থেকে নিজ হাতে মানুষ করলো। আয় হায়।’
অপূর্বের বাবা যেতেই অপূর্বের মা বলে উঠলো,
‘ তুই তোর বাবার সাথে এভাবে কথা বলিস কেন, উনি সারাদিন আমার অনেক খেয়াল রাখে। এই চারিদিন কত খেয়াল রেখেছে জানিস নিজ হাতে খাইয়েও দিয়েছে রোজ।’
‘ হুম বুঝেছি এতই যখন খাইয়ে দিয়েছে তাহলে ওই খাবারগুলো এখনো বিছানার কর্নারে কি করছে?’
অপূর্বের কথা শুনে অপূর্বের মাও তাকালো খাবারগুলোর দিকে। কতক্ষণ আগেই ওই খাবারগুলো নিয়ে এসেছিল অপূর্বের বাবা কিন্তু অপূর্বের মা ঘুমিয়ে থাকায় খাওয়াতে পারে নি। অপূর্বের মা খাবারগুলোর দিকে তাকিয়ে থেকেই বলে উঠল,
‘ ওগুলো মাত্রই নিয়ে এসেছে তোর বাবা অপূর্ব, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম বিদায় হয়তো ডাকে নি,
‘ হুম বুঝছি চলো আমি তোমায় নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছি চার দিনে তো নিজেকে পুরো শুকিয়ে ক্যাংগারু বানিয়ে ফেলেছো।’
‘ তুই কবে আবার আমায় তরতাজা দেখলি,
হাল্কা হাসলো অপূর্ব। তারপর মাকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে সেও বসলো পাশে। তারপর খাবারের প্লেটটা হাতে নিয়ে নিজ হাতে মাকে খাইয়ে দিতে দিতে বললো,
‘ সারাদিন এতো চিন্তা করলে চলে তুমি তো জানো মা আমি যে পেশায় আছি তাতে লাইফ রিস্ক আছে। তোমায় তো কতবার বলেছি আমার থেকে ধীরে ধীরে মায়া ত্যাগ করো,
‘ তুই সবসময় এভাবে বলিস কেন তোর কিছু হবে না। তোকে কতবার বলেছি এই রাজনীতিতে ঢুকিস না এটা ভালো না কেনো শুনিস না আমার কথা।’
‘ দেখো মা আমি রাজনীতি করি কারন আমার এটা ভালো লাগে মানুষদের সেবা করা আমার ছোট বেলার থেকে ইচ্ছে তা তো তুমি জানো মা। আর রাজনীতি করি বলেই যে মৃত্যু হবে নয় তো হবে না এমনটা তো নয়। দেখো মা এর আগেও বলেছি আজ আবার বলছি মানুষের মৃত্যুর কোনো নিশ্চয়তা নেই। যখন তখনই মানুষ তার প্রিয় মানুষকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। তাই নিজেকে সবসময় শক্ত রাখবে, আর তুমি তাহসান আহমেদ অপূর্বের মা হয়ে কি না এত ভীতু হচ্ছো। একচুয়ালি তোমার জামাইকে এত কথা না শুনিয়ে তোমায় শোনানো উচিত ছিল আমার।’
‘ মানুষ কি চাইলেই একটা মানুষের মায়া ত্যাগ করতে পারে অপূর্ব। ধর হুট করে একদিন আমি চলে,,
আর বলতে পারলো না অপূর্বের মা। তার আগেই অপূর্ব মায়ের মুখ চেপে ধরে বললো,
‘ তোমায় না বলেছি এসব উল্টো পাল্টা কথা না বলতে,
ছেলের কাছে হেঁসে ফেললো অপূর্বের মা। বললো,
‘ আমি বললেই উল্টো পাল্টা হয়ে যায় আর তুই যখন বলিস,
বেশ বিভ্রান্তে পড়লো অপূর্ব পরক্ষণেই বেশি না ভেবেই বলে উঠল,
‘ হুম বুঝেছি আজ মা পুরো কোমড়ে কাপড় বেঁধে নেমেছে ছেলের সাথে ঝগড়া করতে।’
‘ ঝগড়া কথায় করলাম।’
‘ না তুমি কিছু করো নি এখন বেশি কথা না বলে খাও তো জলদি আমায় ফ্রেশ হয়ে গোসল করতে হবে। বিকেলে একটা কাজ আছে তাই তাড়াতাড়ি যেতে হবে আমায়,
ছেলের কথায় খানিকটা হতাশ হয়ে বললো অপূর্বের মা,
‘ এই তো এলি বিকেলে আবার যাবি,
‘ একটু জরুরি মা তবে চিন্তা করো না রাতে আবার আসবো আমি,
খানিকটা খুশি হলো অপূর্বের মা। তারপর পুরো খাবার শেষ করে বললো অপূর্বের মা,
‘ তুই রুমে গিয়ে ফ্রেশ হ আমি তোর খাবার নিয়ে আসছি আজ আমিও নিজ হাতে খাইয়ে দিবো তোকে,
প্রতি উওরে বারন করলো না অপূর্ব। বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
‘ ঠিক আছে তুমি খাবার টেবিলে সাজিয়ে রাখো আমি আসছি,
‘ ঠিক আছে।’
অতঃপর মাকে খাইয়ে দাইয়ে ভালো মতো মুখটুক মুছে রুম থেকে বেরিয়ে গেল অপূর্ব। মায়ের রুম থেকে বের হতেই আচমকাই প্রিয়তার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো অপূর্বের। আনমনেই ভাবলো,
‘ না জানি মেয়েটা ঘুম থেকে উঠলো কি না।’
____
গোসল সেরে গায়ে কালো রঙের ফুল হাতার টিশার্ট সাথে সাদা ট্রাউজার পড়ে ভেজালো চুলগুলো মুছতে মুছতে আয়নায় সামনে দাঁড়ালো অপূর্ব। এমন সময় দরজায় নক করে রুমের ভিতর ঢুকতে ঢুকতে বললো কেউ,
‘ রুমে কি আসবো?’
অপূর্ব ঘুরে তাকালো সামনেই তাঁর বাবাকে দেখে মাথা মুছতে মুছতেই বললো,
‘ রুমের অর্ধেক রাস্তায় তো এসেই পড়েছো আর কোথায় আসবে,
মেজাজ বিগড়ালো অপূর্বের বাবা এই ছেলে এমন ত্যাড়া কেন। অপূর্বের বাবা রাগে ফুঁসতে লাগলো। যা দেখে অপূর্ব বললো,
‘ ফুঁসাফুসি শেষ হয়ে গেলে কাজের কথায় আসা যাক তাহলে বলো কি কারনে রুমে এলে,
অপূর্বের বাবা অপূর্বের মুখোমুখি দাঁড়ালো তারপর বললো,
‘ তুমি কি এই রাজনীতি ছাড়বে না অপূর্ব?’
প্রতি উওরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চিরুনী দিয়ে নিজের চুলগুলো আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো অপূর্ব,
‘ আচ্ছা এই এক প্রশ্ন করে করে তোমরা কি ক্লান্ত হও না, আমার কিন্তু ক্লান্ত লাগে।’
‘ তুমি আমার কথা বুঝতে কেন চাইছো না,
এবার অপূর্ব তাকালো বাবার মুখের দিকে তারপর বললো,
‘ দেখো বাবা এর আগে বহুবার বলেছি জীবনে যা বলবে তাই করবো কিন্তু রাজনীতি ছাড়তে পারবো না।’
‘ তুমি কি জানো তুমি ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢেলে পড়ছো?’
খানিকটা বিরক্ত হলো অপূর্ব। বললো,
‘ শোনো বাবা আমি জানি তুমি শুধু এই কথা বলতে রুমে আসো নি তাই যেটা বলতে এসেছো সেটা বলো জলদি আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে,
‘ তুমি জানো অপূর্ব বিরোধী দলের লোকেরা কাল তোমার গাড়িতে বোম ফিট করে রেখেছিল, কাল যেখানে তোমার গাড়িটা থেমে ছিল সেখানের সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে,
অপূর্ব অবাক হলো, চরম অবাক হলো। তবে ঘাবড়ালো না উল্টো নিজেকে শান্ত রেখে বললো,
‘ সত্যি, কখন হলো জানলাম না তো। ওহ মাই গড তাহলে তো কালকের জন্য আজ একটা পার্টি দেওয়া উচিত যতই হোক এত বড় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরে আসলাম।’
ছেলের কথায় চরম বিরক্ত হলো অপূর্বের বাবা। বিরক্তি নিয়েই বললেন উনি,
‘ তোমার কি এসব মজা মনে হচ্ছে অপূর্ব,
‘ মটেও না। শোনো সকালে যে পুরুষত্ব নিয়ে কথা বলেছিলাম তা তো প্রমাণ করতে পারলে না তুমি আমার বাবা বলে তোমায় আর একটা চান্স দিলাম।’
বলেই মোবাইলে ঘড়ির টাইমটা দেখে বললো অপূর্ব,
‘ আর এক ঘন্টা পর আমি বের হবো তোমায় আবার চার ঘন্টার সময় দিলাম নিজের পুরুষত্ব প্রমাণ করো। জীবনে কি করলে বলো তো, ছিঃ আমার একটা ছোট্ট বোনের দরকার ছিল। তুমি জানো না একটা ছোট বোনের জন্য বুকটা আমার চিন চিন করে।’
ছেলের কথায় না চাইতেও চরম প্রকার রাগ নিয়ে বললো অপূর্ব,
‘ চুপ করো অভদ্র ছেলে লজ্জা করে না আমি তোমার বাবা হই,
‘ তো আমিও তোমার ছেলে। কতবার এক কথা বলবো বলো তো, তোমার বয়সী লোকদের দেখোছো এক একজনার চারটা পাঁচটা করে ছেলে মেয়ে আর তুমি কি না দুটো ছেলে নিয়েই হাঁপিয়ে গেলে,
আর শুনতে পারলো না অপূর্বের বাবা। ছেলের কথা শুনে কান দিয়ে ধুয়া বের হওয়ার উপক্রম তাঁর। অপূর্বের বাবা চরম রাগ নিয়ে রুম থেকে বের হতে হতে বললো,
‘ তুমি যে আমার ছেলে সেটা বিশ্বাস করতেই আমার কষ্ট হয়।”
‘ বেশি কষ্ট নিও না তারপর অসুখে পড়লে তো আমার মাকেই কষ্ট করতে হবে,
‘ ধুর তোমার সাথে কথা বলতেও আমার রুচিতে বাঁধছে। ভালোর জন্য রুমে এসেছিলাম কিন্তু দাম দিলে না।’
‘ হুম বুঝেছি বুঝেছি এখন রুমে যাও মাথায় সরিষার তেল দিয়ে এক ঘন্টা ঘুমাও। তাঁরপর আবার এক্সাম দিতে হবে তো,
‘ অভদ্র ছেলে তুমি দেও গিয়ে তোমার এক্সাম, বেয়াদব কোথাকার।’
বলতে বলতে বেরিয়ে গেল অপূর্বের বাবা। আর অপূর্ব কিছুক্ষন বাবার যাওয়ার পানে হাসি মাখা মুখ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মুহুর্তেই চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো। এমনটা নয় অপূর্ব জানে না তাঁর গাড়ির নিচে বোম রাখার বিষয়টা। খুব ভালোভাবেই জানে। ওটা তো বাবাকে প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য এমনভাবে কথা বললো। অপূর্ব তাঁর ফোনটা হাতে নিয়ে ফোন করলো একটা তারপর বললো,
‘ কাজটা কি হয়েছে তুহিন?’
উওরে অপরপ্রান্তে থাকা তুহিনও কম্পিউটারের সামনে বসে কিছু একটা দেখতে দেখতে বললো,
‘ ভাই একটু সময় লাগবে,
‘ সময় যত লাগে নেও কিন্তু ওকে আমার জীবন্ত চাই তুহিন।’
‘ দেখছি ভাই।’
ফোন কাটলো অপূর্ব। তারপর বেশি না ভেবেই নিজেকে স্বাভাবিক মুডে নিয়ে এসে চললো অপূর্ব নিচে। মায়ের হাতে খাবার খেতে হবে তাঁকে।’
____
বিকেল চারটা গড়িয়ে পাঁচটার কাটায় ছুঁই ছুঁই। কুটিরঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মশা মারছে আকিব। সেই কখন অপূর্ব ভাই গেছে বাড়ি এখনো আসার কোনো নামগন্ধ নেই। এদিকে এই মেয়েটাও সেই যে খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়েছে আর ওঠার নাম নেই। নির্ঘাত কাল সারারাত না ঘুমিয়ে শোকদিবস পালন করেছিল। আর শোকদিবস পালন করতে করতেই এমন অসুস্থ হয়ে পড়লো।’
এসব ভাবনার মাঝেই আচমকাই নিজের গালে নিজেই একটা চড় মেরে বলে উঠল আকিব,
‘ উড়ে শালায় মশা, শালা তোদের জীবনে বিয়ে হবে না দেখিস। না না বিয়ে হবে না বলা যাবে না আমার মতো ভদ্র সদ্র ছেলেটারে পেয়ে এভাবে রক্ত চুষছিস তো। তোদের অভিশাপ দিলাম তোদের বউরাও তোদের রক্ত এইভাবে চুষবে। ছিঃ ছিঃ তোদের লজ্জা হওয়ার দরকার এইভাবে দিনেদুপুরে মানুষের রক্ত খাচ্ছিস।’
এমন সময় আকিবের ফোনটা বেজে উঠলো উপরের নাম্বার না দেখেই ফোন রিসিভ করে বিরক্ত নিয়ে বলে উঠল আকিব,
‘ কোন শালারে বার বার ফোন করে ডিস্টার্ব করিস আমায়?’
সঙ্গে সঙ্গে অপর প্রান্তের ব্যক্তিটি কর্কশ কন্ঠে বললো,
‘ আমি তোমার শালা হই আকিব?’
ব্যস হয়ে গেল আকিবের অবস্থা শেষ। আসলে এর আগেও দু-দুবার ফোনে রং নাম্বার থেকে কল এসেছিল আকিবের কিন্তু অপরপ্রান্তের ব্যক্তিটি কথা না বলে ফোনটা কেটে দিত। তাই আকিবের মেজাজ বিগড়ে যায় তারওপর মশার টর্চার। তাই তো উত্তেজিত হয়ে শালার কথাটা বলে উঠল আকিব। কিন্তু এবার সে শেষ কারন একটু আগের কথাটা আর কেউ নয় অপূর্বকেই বলে বসে আকিব। কারন অপূর্ব ফোন করেছিল এবার। এবার কে বাঁচাবে আকিবকে।’

পরন্ত বিকেলের ঠান্ডা বাতাস গায়ে লাগতেই হাল্কা নড়েচড়ে উঠলো প্রিয়তা। সারাদিন ঘুমিয়ে মাথা ভাড় হয়ে গেছে তাঁর, শরীরও ক্লান্তিতায় আঁটকে ধরেছে তাঁকে। প্রিয়তা শোয়া থেকে উঠে বসলো সমস্ত শরীর ব্যাথায় টনটন করছে যেন। এমন সময় হঠাৎই দরজা খোলার আওয়াজ কানে আসতেই দরজার দিকে ঘুরে তাকালো প্রিয়তা।’
#চলবে…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here