কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:৫৮

0
297

#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড,পর্ব:৫৮
কলমে: লাবণ্য ইয়াসমিন

জুবায়েরকে ঝাপটে ধরে একমনে কেঁদে চলেছে অধরা। থামার লক্ষণ নেই। কহিনুর ফোনে সবটা ওকে বলে দিয়েছে।জুবায়ের কক্ষে প্রবেশ করতেই অধরা ওকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নিয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে। পৃথিবীতে নিজের বলতে স্বামী সন্তান ছাড়া ওর আপনার কেউ নেই। জুবায়েরকে ছাড়া এতগুলো বছর কাটিয়েছে বাকীটা জীবন আর পারবে না ওকে ছাড়া বাঁচতে। জুবায়ের বাধ্য হয়ে অধরাকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় ওকে বসিয়ে দিলো। সামনে রাখা পানির গ্লাসটা ডান হাতে তুলে নিয়ে বলল,

> পানি খাবে?
অধরা মাথা নাড়িয়ে নিষেধ করলো। কান্নার জন্য কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। কি বলছে জুবায়েরের তার বিন্দু বিসর্গ বুঝতে পারছে না। তাই ভ্রু কুচকে বলল,

> আগে কেঁদে নাও তারপর কথা বলো। এভাবে এক সঙ্গে দুটো করোনা প্লিজ।আমি বুঝতে হিমশিম খাচ্ছি। কি বলছো কিছুই তো কর্ণগোচর হচ্ছে না। তাছাড়া আমি ঠিক আছি। বর ফিরেছে কোথায় আদর করে চুমু দিবে,প্রেমাত্মক হয়ে আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে হূদয়ের সুপ্ত অনুভূতিগুলোকে জাগ্রত করে খাতির যত্ন করবে তানা কাঁদতে বসেছো। তুমি এভাবে চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছো কেনো বলবে? আমার সেই গোয়েন্দা বউটাকে খুব মিস করছি। আমার বউ হারিয়ে গেছে তুমি কিছুতেই আমার বউ হতে পারোনা।

ওকে থামানোর জন্য জুবায়ের মজা করতেই কথাগুলো বলল কিন্তু অধরা জ্বলে উঠলো। চোখের পানি ওর শার্টে মুছে নিয়ে ওকে সরিয়ে দিতে চাইলো কিন্তু জুবায়ের নড়লো না। ওর হাতের কব্জি ধরে আটকে দিলো। অধরা মুখ ফুলিয়ে বলল,
> আপনি জীবনেও ভালো হবেননা তাইনা? কহিনুর ঠিক সময়ে না পৌচ্ছালে কি হতো ভাবুন? আমি সখ্যতা করে নোনা জল ঝরাচ্ছি ভেবে আপনার বিরক্ত লাগছে তাইনা? বুঝবেন না আপনাকে ছাড়া কতটা অসহায় আমি। আপনার তো সবাই আছে আমার কে আছে? ছাড়ুন আমাকে। আপনার সঙ্গে কথা নেই আমার। আপনার বউ হারিয়ে গেছে আমি আপনার কেউ না।
জুবায়ের অধরার চুলগুলো কানে গুজে দিয়ে ওর মুখের দিকে দৃষ্টি রেখে মৃদু কণ্ঠে বলল,

> এমন করছো কেনো? আমি জাষ্ট মজা করেছি। তুমি জানো কহিনুরের মতো হুবহু দেখতে মেয়েটা এসেছিল আমাকে মা/রতে। মেয়ের বয়সি পিচ্চি একটা মেয়ে কিভাবে এতোটা হিংস্র হতে পারে ভাবো?
জুবায়ের কথা ঘোরানোর জন্য ইচ্ছা করে মেয়েটার কথা তুললো। অধরা ভ্রু কুচকে ফেলল।মনের মধ্যে আশঙ্কা কাজ করছে। ওর মন বলছে মেয়েটা আবারও আসবে। কহিনুরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপ করা অতি জরুরী। কথাটা ভেবে ও ঝট করে জুবায়েরের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলল,
> আপনার বউ নিখোঁজ আপনি বরং তাঁকে খোঁজ করুন। তা এখানে কি আপনার? পরস্ত্রীর নিকটে খাতির যত্ন নিতে চুমাচুমি করতে আসছেন লজ্জা শরম নেই?

অধরা ঝাড়ি দিয়ে ওড়নাটা মাথায় টেনে নিয়ে সোজা দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলো। জুবায়ের হা করে সেদিকে তাকিয়ে থেকে ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো। এই মেয়ের রাগ ভাঙাতে এখন রীতিমতো যুদ্ধ করতে হবে। কি দরকার ছিল আজেবাজে কথাবার্তা বলে সান্ত্বনা দিতে যাওয়ার? কিছু মাথায় আসছে না। জুবায়ের হতাশ হয়ে ছুটলো অধরাকে মানানোর জন্য।
*******
সমুদ্রের তীরে দাঁড়িয়ে আছে কহিনুর। ওর থেকে পাঁচ কদম এগিয়ে পাথর ওর দিকে দৃষ্টি রেখে দাঁড়িয়ে ওকে পর্যবেক্ষণ করছে। জোয়ারের ঢেউ এসে ওদের পায়ের পাতা ভিজিয়ে দিচ্ছে। পাথরের চোখের রহস্য খেলা করছে। চন্দ্রের জোছনা মাখা মায়াবী আলোতে কহিনুরের মুখটা আরও মায়াবী হয়ে উঠেছে। পাথর মুগ্ধ হয়ে ওকে দেখছে। ছেলেটার চোখে অদম্য এক নেশা। কহিনুর সেটা খেয়াল করে চোখ বন্ধ করে বাকা হাসলো।তারপর উচ্চারণ করলো,
> কেনো এসেছেন আমার পিছু পিছু?
পাথর একপা দুপা করে সামনে এগিয়ে আসলো। কহিনুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো,
> অপূর্ব তুমি,অপূর্ব তোমার সৌন্দর্য। তোমার নেশাযুক্ত নেত্রপল্লব আমাকে বিমোহিত করেছে। আমি উন্মাদগ্রস্ত হয়ে গেছি বিশ্বাস করো। পারছিনা তোমার থেকে নিজের দুরে রাখতে। শরীর মন কিছুই আর আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। তোমাকে পাবার তীক্ষ্ণ বাসনা আমাকে তীব্র যন্ত্রণা দিচ্ছে। প্লিজ দূরে রেখোনা আমাকে। পারছি না থাকতে। আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি।
পাথরের এলোমেলো কথা শুনে কহিনুর রিনরিনে সুরেলা কণ্ঠে শব্দ করে হেসে উঠলো। সেই হাসির শব্দ সমুদ্র পৃষ্ঠে তরঙ্গের মতো বেজে উঠলো। পাথর মুগ্ধ নয়নে তাঁকিয়ে আছে। উত্তরের আশা করেনি তবুও কহিনুর হাসি থামিয়ে উত্তর দিলো,

> এতো সহজে পেয়ে গেলে মজা কিসের? নিজেকে আমি সস্তা ভাবিনা যে যেকেউ এসে কহিনুরকে হাসিল করে ব্যবহার করবে আর প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলবে। বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ালে হাত পু/ড়বে সেতো জানা কথা। এতো আফসোস কিসের? শ/ত্রুর বংশের সঙ্গে মিতালী করবো এমন দৈন্যদশা কহিনুরের আসেনি। আমি সাধারণ তবে আমার মধ্যে যাদের বসবাস ওরা কিন্তু সাধারণ নয়। ওরা চাইছে না আমি কোনো শত্রুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখি বুঝেছেন আপনি?।

কহিনুরের কথা শুনে পাথরের মেজাজ হুট করে খারাপ হয়ে গেলো। চোখ বন্ধ করে দাঁতের সঙ্গে দাঁত লাগিয়ে কিড়মিড় করলো। ভেতরে থাকা পশু সত্তা জানান দিচ্ছে এখুনি রাগ নিয়ন্ত্রণ করো নয়তো এই মূহুর্তে জাগ্রত হয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানবির উপরে ঝাপিয়ে পড়তে দুবার ভাববো না। পাথরকে এভাবে থমকে যেতে দেখে কহিনুর বুঝতে পারলো তাই আরও খানিকটা রাগিয়ে দিতে বলল,

> সামান্য রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই সে আসবে কহিনুরের হৃদয়ে স্থান তৈরী করতে? অন্ধ অর্বাচীন বালক। নিজেকে একবার মিররের সামনে দাঁড় করিয়ে দেখুন ওই প্রতিচ্ছায়াতে কতটা কলিমা লেপ্টে আছে। পৃথিবীর কোনো শক্তি বা পদার্থ নেই যেটা দিয়ে আপনাকে বিশুদ্ধ আর পবিত্র করে তুলবে। কহিনুরের ঘৃণামিশ্রিত বাক্য শোনার যদি আরও ইচ্ছা জাগে তবে সঙ্গে আসুন নয়তো দূর হয়ে যাবেন এখুনি।

কহিনুরের চোখে আগুন জ্বলছে। পাথর ছুটে এসে ওকে স্পর্শ করতে চাইলো তবে এবারও ব্যার্থ হলো। কহিনুর সরে গিয়ে আঙুল উচু করে ওকে থামিয়ে দিলো। পাথর হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলো,

> সুলতান বংশের মেয়েরা বুঝি এমন শিক্ষাই মানুষ হয় যেখানে নিজের স্বামীকে অপমান করতেও ছাড়ে না? আমি ইচ্ছে করলে তোমার দম্ভ এক নিমিষেই ক্ষান্ত করে মৃত্তিকাই লুটিয়ে দিতে পারি কিন্তু করবো না। তোমাকে আমার প্রয়োজন বিধায় কাছে টানতে হচ্ছে। নিজেকে মহারানী ভাবাটা বন্ধ করো। সামান্য একটা মেয়ের মধ্যে এতো রাগ জেদ আর তেজ ঠিক শোভা পাচ্ছে না। দুদিন পরপর নিজের রুপ পরিবর্তন করে কি লাভ হচ্ছে তোমার? ধরা দাও আমার হস্তে পৃথিবীর সব সুখ এনে তোমার পদতলে হাজির করতে আমি কুন্ঠিত হবো না।

কহিনুর তাচ্ছিল্যপূর্ণ হেসে উত্তর দিলো,
> রাখুন আপনার সুখ। কহিনুর নিজের সুখ নিজে খুঁজে নিতে জানে। আপনার মতো বেহায়া পুরুষের হস্তে নিজেকে তুলে দিয়ে সুখী হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।
কহিনুর অপেক্ষা করলো না। এই মূহুর্তে এই লোকটার সামনে থেকে যেতে হবে। নয়তো ঝামেলা হয়ে যাবে। তাছাড়া আরও একজনের জন্য চিন্তা হচ্ছে। লোকটা কিভাবে আছে কে জানে। কহিনুর চুপচাপ সরে আসতে চাইলো কিন্তু পারলো না। পাথর জোরপূর্বক কহিনুরের হাত ধরতে চাইলো। কহিনুর চোখ বন্ধ করে ধা/রালো খয/ঞ্জর দিয়ে পাথরের বুক বরাবর লম্বা রেখা একে দিলো। মূহুর্তে ঝরঝর করে র/ক্ত ছড়িয়ে গেলো সেই আচড়ে। পাথর কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে নিলো। তারপর বলল,

> কহিনুর তোমাকে আমি জোর করছি না। তোমাকে আমি চিরতরে মুক্তি দিবো যদি জাদুলিপিটা আমাকে ফিরিয়ে দাও। ওটাতো আমার বাবার ছিল। ওটার উপরে আমার অধিকার রয়েছে তুমি সেটা থেকে আমাকে বঞ্চিত করতে পারোনা।
কহিনুর চোখ বন্ধ করে সাঈদকে স্মরণ করে বলে দিলো কি করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ঘন কুয়াশাতে ঢেকে গেলো। মায়াবী এই কুয়াশা কাটিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানবের ক্ষমতা হবে না কহিনুরকে খুজেঁ পাওয়া। কহিনুর অপেক্ষা করলো না দৌড়ে চললো নিজের গন্তব্যে।
************
ডাইনিং রুমে পাইচারি করছে অধরা। জামসেদ ভ্রু কুচকে সোফায় বসে আছে। মীরা কফির কাফে চুমুক দিচ্ছে আর উৎসুক হয়ে বুঝতে চেষ্টা করছে অধরা এমন করছে কেনো। কহিনুর বাড়িতে নেই। মেয়েটার কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। জুবায়ের অসহায় হয়ে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আছে। পাথর কিচেন থেকে খাবারের প্লেট হাতে উপরে যাচ্ছিলো হঠাৎ শাশুড়িকে এভাবে অস্থির হতে দেখে থমকে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> আন্টি আপনি ঠিক আছেন কোনো সমস্যা নেইতো?
পাথরের কথা শুনে অধরার মেজাজ আরও খারাপ হলো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
> বউয়ের খোঁজখবর না রেখে এখানে কামলা খাটছো ছেলে? অকর্মণ্য একটা। কোথায় আছে সে?
পাথর ঠোঁট কামড়ে ভ্রু কুচকে ফেলল। শাশুড়ি বেশ চটে আছে বুঝলো। এখানে থাকলে কি থেকে কি বলবে তখন লজ্জায় মুখ দেখানো যাবে না তাই এড়িয়ে চলে আসতে চাইলো কিন্তু অধরা আসতে দিলো না। চোখ রাঙিয়ে বলল,
> উত্তর দিয়ে তবে পা তুলবে। কহিনুর কোথায়? জামাই বলে কিন্তু আমি ছাড় দিবো না। এখুনি খুঁজে আমার সম্মুখে হাজির করবে নয়তো তোমাকে আমি দেখে নিবো।
> আন্টি মাথা ঠান্ডা করুন প্লিজ। সাঈদ ওর সঙ্গে আছে। হঠাৎ একটা দরকারে আমি বাইরে গিয়েছিলাম ফিরে এসে ওকে পাইনি। আন্টি কফি খাবেন? আমি ভালো কফি তৈরী করতে জানি। আনবো?
> লাগবে না। দাদুর চামচা,যাও চোখের সামনে থেকে।
পাথর আদেশ পেয়েই সরে পড়লো সামনে থেকে। জাদুলিপি নিয়ে যাওয়ার পরে অফিসের একটা কাজে আটকে গিয়ে কহিনুরের খোঁজ করা হয়নি। ভেবেছিল এখানে ফিরে দেখতে পাবে কিন্তু ফলাফল শূন্য। সাঈদ সঙ্গে আছে তাই টেনশন না করে দারুন একটা পরিকল্পনা করেছে বৃদ্ধ দাদুকে জব্দ করে চন্দ্রের মুখোমুখি হওয়ার। কিন্তু কহিনুর কোথায়? পাথর যেতেই জুবায়ের নেমে আসলো। আড় চোখে পাথরকে দেখে নিয়ে জামসেদের পাশে গিয়ে ধপাস করে বসে পড়লো। দুভাই পাশাপাশি বসার সুযোগ খুব একটা হয়না। জুবায়েরের মুখের দিকে তাকিয়ে জামসেদ বুঝেগেলো আবারও কোনো কাহিনী ঘটিয়েছে। তাই ফিসফিস করে বলল,
> ঘটনা কি? হঠাৎ বউয়ের মেজাজ তুঙ্গে?
জুবায়ের ভ্রু কুচকে বলল,
> হুটহাট কান্নাকাটি করে তাই বলে ফেলেছি বউ পালটে গেছে ওই আর কি। তাছাড়া কহিনুরের মতো হুবহু একটা মেয়ে এসেছি আমাকে মা/রতে সেসব নিয়েই চিন্তিত।
জামসেদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়লো। ভাবলো মেয়েটা কে হতে পারে? কিছু একটা ভেবে উত্তর দিলো,
> ওকে শান্ত করে কক্ষে নিয়ে যাও। আমি দেখছি বিষয়টা। কহিনুরের সঙ্গে আলাপ করে জানাবো।
জুবায়ের মাথা চুলকে বলল,
> শান্ত করতে গিয়ে আমি অশান্ত হয়ে গেছি। কথায় শুনছে না। বলেছে হারিয়ে যাওয়া বউ খুজেঁ নিতে।ওর কাছে না যেতে।এটা কেমন কথা?

জামসেদের হাসি পাচ্ছে কিন্তু হাসলে চলবে না। কোনোরকমে চেপে গিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলল,

> তাহলে বসে না থেকে বউকে খোঁজা শুরু করাই ভালো। বউ হারিয়ে সুলতান জুবায়ের ফারুকী নিশ্চয়ই বিধবা হয়ে ঘুরবে না?
> মজা নিচ্ছো?
> একদম না। জাষ্ট সমাধান দিচ্ছি। এভাবে ঘরময় ঘুরলেই কি সব ঠিকঠাক হবে?
জুবায়ের উত্তর দিলো না। সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। অধরা আপাতত ক্ষেপে আছে ওর সঙ্গে এখন কথা বললে ঝাড়ি শুনতে হবে। জামসেদ কিছু একটা ভেবে উঠে আসলো। অধরার পাশে গিয়ে মৃদু কন্ঠে বলল,

> কক্ষে যাও আমি কহিনুরের সঙ্গে আলাপ করে জানাবো। ঐশ্বর্যের উপরে একটু নজর রেখো।

অধরা ভ্রু কুচকে বলল,
> ঐশ্বর্য কি করেছে?
> আপাতত নজর রাখো পরে বলছি। এই বাড়ির সামনে থেকে সেই কুকুরটাকে যে হ/ত্যা করেছিলো আমি জানি ও কে। প্লিজ বাইরে কোনো ঝামেলা করোনা। ভয়ঙ্কর কিছু সামনে আসতে চলেছে।

অধরা কিছু বুঝতে পারলো না। প্রশ্ন জাগলো কে সেই খুনি? আর ওর উদ্দেশ্যটাই বা কি?

চলবে

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here