কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন পর্ব:৫৯

0
336

#কহিনুর_দ্বিতীয়_খণ্ড
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব:৫৯

গভীর রাত বাইরে তুষারপাত হচ্ছে। এলোমেলো বাতাসে তুষারের কণাগুলো জানালায় এসে আছড়ে পড়ছে। কহিনুর কম্বলের মধ্যে জড়সড় হয়ে শুয়ে আছে। সাঈদ এখানে নেই। কহিনুর ওকে বিশেষ কাজে হেকিম সাহেবের কাছে পাঠিয়েছে। সমুদ্রের তীর থেকে ফিরে জামসেদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলো কিন্তু হয়নি। ঐশ্বর্যের একটার পর একটা হুকুমের জন্য সব এলোমেলো হয়ে গেছে। ভেবেছিলো বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করবে সেটাও হয়নি। জামসেদ ওকে টেক্সট পাঠিয়েছে সুযোগ বুঝে আগামীকাল দেখা করবে। তাই আপাতত শান্তিমতো ঘুমানোর জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করলো। এই কক্ষের পালঙ্কটা খুব একটা বড় না। আসবাবপত্র বলতে একটা পুরাতন আলমারি ছোটখাটো একটা পালঙ্ক আর সিঙ্গেল সোফার সামনে থাকা ছোট্ট একটা টেবিল আছে। কহিনুর এতেই সন্তুষ্ট। কাজের মেয়েদের জন্য এর চাইতে ভালো ব্যবস্থা করতে গেলে নিশ্চিত ধরা খেতে হবে। এটাও হতো না। জুবায়ের এটা ওটা বলে ওর জন্য এই কক্ষটা ঠিক করে দিয়েছে। কথাগুলো ভেবে কহিনুর চোখ বন্ধ করতে চাইলো কিন্তু হলো না। কেউ একজন কম্বল টেনে নিয়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে পড়লো। কহিনুর ফট করে উঠে বসলো। বিরক্ত নিয়ে কম্বলটা নিজের আয়ত্তে নিতে চাইলো কিন্তু পারলো না। কহিনুরের কপালে বিরক্তির চিহ্ন ফুটে উঠেছে চিৎকার করে কিছু বলতে চাইলো কিন্তু তার আগেই পাথর মুখ বের করে ভ্রু নাচিয়ে বলল,

> সারাদিন নিখোঁজ ছিলে, হুটহাট কোথায় গায়েব হয়ে যাও শুনি? শাশুড়ি মা আমার উপরে রেগে আগুন। আমি নাকি বউয়ের খোঁজ নিতে জানিনা। রীতিমতো অপমান। তাই ভেবেছি সারাক্ষণ বউয়ের সঙ্গে চিপকে থাকবো। কেমন হবে?

কহিনুর হতাশ হলো পাথরের কথা শুনে। এসব বিদেশি লোকদের মাথা কে/টে পরিক্ষা করতে ওর মন চাই। এদের ঘিলু বলতে কিছু আছে কিনা পরিক্ষার জন্য। কহিনুরকে ভাবতে দেখে পাথর ওকে ধাক্কা দিয়ে বলল,

> কোথায় ছিলে এটা বলতে হবে না শুধু বলো আঙ্কেলের উপরে আক্র/মণ করেছে এর পালটা উত্তর কিভাবে দিবে? মেয়েটা দিনদিন কেমন জানি হিং/স্র হয়ে উঠছে। থামাতে হবে নয়তো ঝামেলা বৃদ্ধির হবে।

পাথরের কথা শুনে কহিনুর কম্বলটা নিজের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়ে হামি ছেড়ে কথা এড়িয়ে গিয়ে বলল,

> আপনার ভাই এসেছিলেন আপনার রূপ ধরে। হেকিম সাহেব ডাবল রোল প্লে করছে আমাদের সঙ্গে। যাইহোক সে এসে আমাকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছে। আপনি এখন বিড়বিড় করে বলুন,বধূ তুমি কার? আমার নাকি আমার ভাইয়ের? আমার কিন্তু দারুণ লাগছে। বেচারা ভেবেছিল আমি ধরতে পারবো না। কিন্তু ওতো জানেই না আমি ওর চোখের দৃষ্টি দেখেই বুঝে গেছি ওর পরিচয়। ভেবেছিলাম আ/ক্রমণ করবো কিন্তু সেটা নেহায়েত বোকামি ছাড়া কিছুই না। অর্ধমানবের মৃ/ত্যু কিভাবে হবে সেটা আমার অজানা। তবে খুব করে চেয়েছি ওর মৃ/ত্যু যেনো আমার হাতেই হয়।
কহিনুরের কথা শুনে পাথর উঠে বসলো। আঁধার এসেছিল বুঝতে বাকী নেই। কতটা লজ্জাহীন হলে ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে বেয়াদবি করতে আসে। খারাপ প্রস্তাব দিয়েছে শুনেই পাথরের মুখ শক্ত হয়ে গেলো। দাদুর সামনে আরও একবার দাঁড়িয়ে বলতে হবে সবটা। কথাটা ভেবেই ও বিছানা থেকে নামতে চাইলো তার আগেই কহিনুর শব্দ করে হাসলো। চোখ বন্ধ করতে করতে বলল,

> এভাবে গিয়ে ধরা পড়তে চাইছেন যে আপনি সুলতান ভিলাতে আছেন? আপনার বোকামির জন্য আমার বাবা মা চাচুর কিছু হলে আপনাকে আমি ছাড়বো না। রাত হয়েছে চুপচাপ গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। অযথা ঝামেলা করে আমার শান্তি নষ্ট করবেন না।

কহিনুরের তাচ্ছিল্যপূর্ণ কথা শুনে পাথর হতাশ হলো। মুখটা করুন করে কহিনুরের পাশে শুয়ে কিছু একটা ভেবে বলল,

> বৃদ্ধ দাদুর শরীরে ঘুমের ঔষধের প্রভাব পড়ে তুমি বিষয়টা খেয়াল করেছো? আচ্ছা আমরা যদি দাদুকে ঘুমের ঔষধ দিয়ে অচেতন করে উনার জায়গায় আমি গিয়ে চন্দ্রের সঙ্গে ডেট করে আসি তবে কেমন হবে? আমাদের কাছে হাকিম সাহেবের দেওয়া ওষুধ আছে চাইলেই কিন্তু বিষয়টা নিয়ে এগুনো যায়।
পাথরের পরিকল্পনা শুনে কহিনুর ঝাপ দিয়ে উঠে পড়লো। পাথরের দিকে ঝুকে গিয়ে খুশীতে ওর মুখে হাত দিয়ে গেলো কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে হাতটা গিয়ে ওর গলাই পড়লো। পাথর ভ্রু কুচকে বলল,

> ভুল বলেছি বলে গলা টি/পে দিতে চাইছো?

কহিনুর শব্দ করে হেসে ফেলল। লোকটা ওকে কি ভাবে আল্লাহ ভালো জানে। কহিনুর হাসি থামিয়ে বলল,
> আপনার বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। মাঝেমাঝে এমন নির্বোধ হয়ে জান কিভাবে কে জানে। যাইহোক আগামীকাল আপনি ভদ্রলোকের খাবারের মধ্যে ওষুধ মেশানোর চেষ্টা করুন। একবার কাজটা হয়ে গেলে আপনি চন্দ্রের সঙ্গে ডেট করবেন কিনা জানিনা তবে আমি একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো নিশ্চিত।

কহিনুর আরও কিছু বলতে চাইলো কিন্তু পারলো না। বাইরে ধুপধাপ কিসের একটা আওয়াজ ভেসে আসলো । পাথর একটানে কম্বল সরিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে গেলো। কহিনুর দরজা ধরে সাবধানে পা ফেলে এগিয়ে আসলো। ডাইনিং রুমে আবছা আলো বিরাজমান। দোতালার কক্ষগুলো বন্ধ কাউকে নজরে আসছে না। সকালে পসরা ফারুকী চলে গেছেন উনার কক্ষের দরজায় তালা ঝোলানো হয়েছে। কহিনুর কিছু একটা ভেবে একপা দুপা করে উপরে উঠে গেলো। ঐশ্বর্যের কক্ষে আলো নেই। হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে। কহিনুর আর পিছিয়ে আসলো না। সোজা দক্ষিণদিক ধরে বাইরে যাওয়ার সিড়িতে পা রাখলো। তড়িঘড়ি ছুটতে গিয়ে থমকে গেলো বাতাসে কিসের একটা উটকো গন্ধ ভেসে আসছে। কেউ একজন নতুন এসেছে এই বাড়িতে যার শরীর থেকেই এই গন্ধের উৎপত্তি। কহিনুর বুঝতে পেরে ওড়নার প্রান্তটা মুখের দিকে টেনে নিয়ে কিছুটা আড়াল করে নিলো। মোটামুটি চেষ্টা করছে অন্ধকারে নিজেকে আড়ালে রাখতে। বাইরে তুষারপাত কমেছে তবুও গা হীম করা শীত পড়ছে। সকাল ছাড়া আবহাওয়া পরিবর্তন হবে না। সূর্যের আগমেই সব ক্ষান্ত হবে। কহিনুর বিড়বিড় করতে করতে সামনে গিয়ে পাথরকে দেখে জোরে পা চালালো। পাথর আপেল গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। কহিনুর সোজা ওর কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> পেয়েছেন কাউকে? বাতাসে ওর গন্ধ পেয়েছি নিশ্চয়ই এসেছিলো।
পাথর কিছু একটা হাতের তালুতে নিয়ে বলল,
> উটকো গন্ধটা পচা মাংস আর র/ক্তের। শয়তা/নটা এখানেই ছিল। আমি আবছা আবছা দেখেছি কিন্তু পুরোপুরি দেখা আগেই মিলিয়ে গেলো। ও নজর রাখতে পারে তুমি সোজাসুজি ভেতরে যাও আমি সকালে দেখা করবো। এই গন্ধ আমাকে ওর কাছে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আসছি আমি।

পাথর বাতাসের গতিতে দৌড়ে গেলো। কহিনুরের হঠাৎ বাবা মায়ের কথা মনে হলো। শয়তা/নটা নিশ্চয়ই ওর বাবা মায়ের ক্ষতি করতে চাইছে কথাটা ভেবে ও আর শান্ত থাকতে পারলো না। প্রায় দৌড়ে আসলো ভেতরে। বাবা মায়ের দরজাতে ঠকঠক আরে আওয়াজ করতেই দরজা খুঁলে গেলো। জুবায়ের ভ্রু কুচকে কহিনুরকে দেখে সরে গিয়ে ওকে ভেতরে আসতে বলল। অধরা বিছানায় শুয়ে ছিল কহিনুরকে দেখে উঠে বসলো। জুবায়ের দরজা বন্ধ করে কহিনুরের পেছনে পেছনে এসে দাঁড়ালো। অধরা হাত উঁচু করে কম্বলটা সামান্য আলগা করে কহিনুরের ভেতরে যেতে বলতে দেরী হলো কিন্তু কহিনুরের বিছানায় উঠতে দেরি হলো না। মায়ের সঙ্গে কতদিন এভাবে ঘুমানো হয়নি। অধরা মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলল,
> কি ব্যাপার হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়লো? সারাদিন কি করো কিছুই তো বোধগম্য হয়না।।

কহিনুর উত্তর দিতে চাইলো তার আগেই ওর নজর সোফার দিকে গেলো। সেখানে কম্বল আর বালিশ রাখা মানে বাবা মা আলাদা থাকছে। বিষয়টা ভেবেই কহিনুর হাসলো। তারপর ঠোঁট উল্টে বলল,
> তোমাদের ভীষণ মনে পড়ছিলো। একা ঘুম আসছিলো না। সুলতানা কহিনুর ফারুকী আজ তর বাবা মায়ের মাঝখানে ঘুমাবে কোনো কথা হবে না।
অধরা হাসলো। মেয়ের মাথায় ওষ্ঠ রেখে বলল,
> আমার রাজকন্যার কথা কি আমি ফেলতে পারি?। তোমার বাবাকে বলো সে যেনো এখানে ঘুমাই।
জুবায়ের শোনা মাত্র অপেক্ষা করলো না। বালিশ হাতে বিছানায় উঠে আসলো। অনেক রাত পযর্ন্ত চললো বাবা মেয়ের ভিবিন্ন আলাপআলোচনা। জুবায়ের অবাক নয়নে মেয়েকে দেখে চোখ স্বার্থক করছে। সেই ছোট্ট কহিনুর যাকে বাঁচাতে গিয়ে ওদের জীবন থেকে কয়েক বছর হারিয়ে গেছে। মেয়েটা হাটিহাটি পা করে বেড়ে উঠা দেখা দেখে বঞ্চিত হতে হয়েছে। গর্ব হয় মেয়েটাকে নিয়ে। জুবায়ের মেয়ের কপালে চুমু দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো।
***********
প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করেছে। সারাদিনের উতপ্ত সূর্যের তাপে মাটিতে থাকা বরফের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। অপরাহ্ন চলছে, পাথর নাচতে নাচতে শরবত তৈরী করছে। বৃদ্ধ দাদুর হুকুমে ও স্পেশাল শরবত তৈরী করে ট্রে হাতে বেরিয়ে আসলো। কহিনুর উপর থেকে নিচে নামছে। দুজনের সামনা সামনি দেখা হলো কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না। পাথর শরবতটা দাদুর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিছানা গোছাতে হাত লাগালো। বাঁকা চোখে কয়েকবার খেয়াল করে নিজের কাজে মনযোগ দিলো ততক্ষণে দাদু শরবতটা খালি করে দিয়েছে। পাথর কাজশেষে চলে আসতে চাইলো কিন্তু ইচ্ছা হলো না। দরজার আড়ালে গিয়ে দাঁড়ালো। কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকটা কয়েকবার হামি ছেড়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো। পাথর ঝটপট লোকটাকে তুলে নিয়ে আলমারির মধ্যে থাকা গোপন কক্ষে প্রবেশ করলো। বৃদ্ধ দাদু একটা রাত স্বপ্নের দেশে চষে বেড়াবে ততক্ষণে এদিকের কাজ হাছিল হয়ে যাবে। কথাটা ভেবে ও নিজের চেহারা দ্রুত পরিবর্তন করে নিলো। দাদুর সুগন্ধিটা আয়েশ করে নিজের শরীরে ছড়িয়ে দিয়ে বিছানায় উঠে বসলো। আপাতত চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর ভান ধর চোখকান খোলা রাখতে হবে।
কিন্তু চোখ বন্ধ রাখতে গিয়ে কখন ও ঘুমিয়ে পড়লো ঠিক পেলো না। হঠাৎ কোমল হাতের ছোয়া পেয়ে পাথরের শরীর কম্পিত হলো। পিটপিট করে চোখ খুঁলে ভ্রু কুচকে ফেলল। ওর সামনে একজন অচেনা রমণী মাথা ঝুকে দাঁড়িয়ে আছে। মহিলা এহেন নেশালো কঠিন দৃষ্টিতে পাথর এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কি বলবে কিছুই মাথা আসছে না। তবুও কিছু বলতে হবে। ধরা পড়লে চলবে না। পাথর বুদ্ধি করে মৃদু কণ্ঠে বলল,
> চন্দ্র এসেছো তুমি?
পাথরের কথা শুনে মেয়েটা চমৎকারভাবে হাসলো। চোখের পাতা নাচিয়ে বলল,
> বাধ্য হয়ে আপনাকে নিতে এসেছি। এভাবে ঘুমিয়ে থাকলে হবে বলুন? উষ্ণ তরলে আমার গোসল হওয়াটা জরুরী ছিল। যাইহোক আসুন আমার সঙ্গে।
পাথর ভড়কে গেলো তবে নিজেকে সামলে উঠে আসলো। চন্দ্রের পেছনে পেছনে চললো গহীন অরণ্যের পথে। জানা নেই সেখানে কি আছে।
*****
সমুদ্রের বালুচরে হাত জোর করে হাটু ভেঙে দাঁড়িয়ে আছে আঁধার। ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে সেই রহস্যমানব। যার সারা শরীর থেকে খসে পড়ছে পচা মাংস র/ক্তের ধারা। আঁধারের মনে প্রশ্ন জাগলো এই লোকটা যদি এতো শক্তিশালী হবে তবে নিজে কেনো এভাবে অবস্থায় ঘুরে বেড়াই? নিজের প্রতি কি একটুও মায়া নেই? ওর ভাবনার অবসান ঘটিয়ে লোকটা হুঙ্কার ছেড়ে বলে উঠলেন,
> তোমার বোকামীর জন্য তীরে এসে তরী ডুবতে বসেছে। আমাকে নিয়ে এতো ভাবতে এসোনা তল পাবেনা। কাজটা ঠিকঠাক পারোনি তাই আঘাতের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। জাদুলিপি কহিনুরের কাছে নেই। কার কাছে আছে খোঁজ করো। আমি আসছি।
লোকটা ক্রমাগত আঁধারের সামনে থেকে দূরে যেতে শুরু করলো। লোকটার মোটা দগদগে ঘা পূর্ণ শরীর হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে ছিপছিপে হয়ে গেলো। লম্বা আলখেল্লা জাতীয় পোশাকের পরিবর্তন হয়ে আধুনিক পোশাকে রূপ নিলো। আঁধার ভ্র কুচকে ফেলল। লোকটার নয়া রূপ সম্পর্কে ওর ধারণা নেই। কে এই লোক?

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here