কাজের মেয়ে-পর্বঃ5

0
865

#কাজের মেয়ে
#লেখিকা ঃজান্নাত মীম
#পর্বঃ০৫
চা বানিয়ে নাদিম এ-র ঘরে ঢুকতে যাবে তোখনি
দারাও (নাদিম)
কি(মীম)
পারমিশন নিছো?(নাদিম)
কিসের? (মীম)
রুমে ঢুকার(নাদিম)
আপনি তো বলেই আসলেন চা নিয়ে আসতে(মীম)
তো কি, তাই বলে পারমিশন নিবা না ঢুকার আগে।এই টুকু ভদ্রতা নাই তোমার? (নাদিম)
আচ্ছা মনে রাখব (মীম মুখ কাল করে)
হুম তো পারমিশন নিয়ে রুম এ আসো। (নাদিম)
আসবো (মীম)
ভাল করে বলো (নাদিম)
এ-র থেকে ভাল করে কিভাবে বলে আবার।একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে না??(মীম)
বলছি না বারতি কথা না।(নাদিম)
আচ্ছা আপনি বলে দিন কিভাবে বলবো। (মীম)
বলো আসতে পারি স্যার (নাদিম)
[ভাব দেখ না।আসছে আমার মহারাজ রে।ইচ্ছা করে এক ঘুসি দিয়ে নাকটা ফাটায় দেই।বেয়াদব ছেলে কোথাকার। ]
তুমি কি আসবা? (নাদিম)
আসতে পারি স্যার? (মীম)
হুম আসো(নাদিম)
মীম রুমে ঢুকে চা টা দিয়ে ওখানেই দারিয়ে রইলো।নাদিম চা খেতে শুরু করলো কিন্তু তাও মীম যাচ্ছে না।
কি হলো এখানেই দারিয়ে থাকবে নাকি? (নাদিম)
হুম(লম্বা একটা হাশি টেনে মাথা ওপর নিচ করে বললো মীম)
মানে (চোখ ছোট ছোট করে বললো নাদিম)
আমি এখন গেলে আপনি আবার ডাকবেন কাপ নেয়ার জন্য। আবার আমাকে আসতে হবে।তাই একে বারে কাপ নিয়েই যাব।(জোর পূর্বক হাশি টেনে মীম)
তাই নাকি অনেক বুদ্ধি খুলছে তো তোমার। (নাদিম)
জি আপনার সাথে থেকে থেকে।(মীম)
আমার সাথে থেকে?(ভ্রু কুচকে নাদিম)
২৪ ঘন্টার ১২ ঘন্টা তো আপনার সেবাতেই আছি।বাকি আর কতো টুকু সময় থাকে।(মীম)
অনেক বেশি কথা বলো তুমি(নাদিম)
সেম টু ইউ (লম্বা হাশি টেনে মীম)
একদমই চুপ।আর একটা কথা যদি বলছো।(নাদিম)
মীম আর কিছু বলে না।কিন্তু এখানে ডারিরে থেকে যেন নিজেরই বিপদ বারালো।নাদিম এ-র চা তো শেষই হচ্ছে না।৫ মিনিট পর পর মনে হয় এক চুমুক দিচ্ছে।এইবার তো মীম রাগ আর ধরে রাখতেই পারলো না।
আপনার কি এই জনমে চা খাওয়া শেষ হবে না। (মীম)
আমি তো তোমাকে বলি নাই ডারিয়ে থাকো।তুমিতো পাকামি করতে গেছো।(নাদিম)
তাই বলে এতো সময় লাগাবেন?(মীম)
আমার ইচ্ছা। আমি চা কতোখন ধরে খাব সেটা তোমার কাছ থেমে শুনতে হবে আমাকে?(কিছুটা রাগ নিয়ে)
আচ্ছা আপনি খান আমি নাহয় পরেই নিয়ে যাব।(মীম)
নাদিম একটা বাকা হাশি দিল[আমার সাথে চালাকি করতে চাও।এতই সোজা? জি না এতো সোজা না।এখন বুঝছো তো আমি কে।]
শোন (নাদিম)
কি (মীম)
চা টা ঠান্ডা হয়ে গেছে গরম করে এনে দাও।(নাদিম)
😢😢
চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here