#আকাশেও_অল্প_নীল #পর্বঃ২৪ #আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

0
427

#আকাশেও_অল্প_নীল
#পর্বঃ২৪
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি

৭৩,
দিগন্ত আর ইফরাদের মুখোমুখি বসতে বসতে রাইমা ইফরাদকে জিগাসা করলো,

“এই লোককে কোথায় পেলেন ইফরাদ ভাই? আমি তো শুধু আপনাকে আসতে বলেছিলাম!”

“রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছি রাই। তাই উনার গাড়িতে ঝুলে চলে আসলাম।”

“আমার জানামতে তো দুলাভাই বাস ড্রাইভার নয়। তাহলে গাড়িতে ঝুললেন কি করে?”

শারিন ইফরাদের উত্তর শুনে কথার মাঝে ফোড়ন কেটে প্রশ্ন টা করে। দিগন্ত হেসে ফেলে শার্লিনের কথায়। রাইমা শার্লিনের প্রশ্ন শুনে ওর হাতে চাপর ম’রে বললো,

“তোর মুখটা কি ভালো থাকে না বইন? এতো উল্টাপাল্টা কথাবার্তা আসে কি করে তোর মাথায়?”

“আমার কি দোষ! তোর ভাই বললো কেন, আমার ভাইয়ের গাড়িতে ঝুলে আসছে! দিগন্ত ভাইয়ের তো প্রাইভেট কার আছে। আর প্রাইভেট কার এ ঝুলে কে?”

“অফ যা বইন। এনাফ বকবক করে ফেলছিস।”

রাইমা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শার্লিনকে থামতে বলে। ভাগ্য করে বান্ধবী পেয়েছে, যাকে সবটা সময় বলতে হয়, অফ যা বইন। এতো তারছিড়া কথাবার্তা তার মাথায় আসে, খোদা। শার্লিন মুখটা কাচুমাচু করে রাইমার দিকে তাকিয়ে বলে,

“জানিসই তো আমি একটু বেশি কথা বলি। এমন করে আমায় থামিয়ে দিস কেন বইন?”

“এই যে হ্যালো! আমরাও আছি। এদিকেও একটু মনোযোগ দাও।”

ইফরাদ আর দিগন্ত যে এখানে উপস্থিত আছে, বেমালুম ভুলে বসেছে শার্লিন। রাইমা কপালে বুড়ো আঙুল ঘষে বলে,

“,আপনার হবু বউকে থামান ভাই। আমি তো পাগল হয়েই গিয়েছি। আপনার ঘরে নিয়ে আপনিও এবার পাগল হোন। আমার মুক্তি প্রয়োজন।”

দিগন্ত বসে বসে দুই বান্ধবীর কর্মকাণ্ড দেখে যাচ্ছিলো আর মিটিমিটি হাসছিলো। নিজে চুপচাপ, গম্ভীর স্বভাবের হওয়ার দরুণ পড়াশোনার পুরোটা সময় সে একা একাই কাটিয়ে এসেছে। মানুষ ধোঁকা দেয়, চলে যায়, ছেড়ে যায়, মনোবল ভেঙে দেয়, এসব ভয় থেকেই দিগন্ত সবসময় একা থাকারই চেষ্টা করেছে। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি লাইফে জীবনে থেকে যাওয়ার মতো ফ্রেন্ডশিপ! দিগন্তের করা হয়ে উঠেনি। ক্লাসমেইটদের সাথে টুকিটাকি যা কথা হতো পড়াশোনার জন্য! ঐ অব্দি পরিচয়। কিন্তু এখন কেনো জানি রাইমা আর শার্লিনের বন্ধুত্ব দেখে দিগন্তের আফসোস হচ্ছে। জীবনে এমন একটা ফ্রেন্ড সত্যি জরুরী, যে হু বলতেই সবটা বুঝে যাবে, আগলে রাখবে। দিগন্তের ওদের তিনজনের কথাবার্তার এই পর্যায়ে নিজের চিন্তাভাবনা রেখে গম্ভীর স্বরে বললো,

“তোমরা এবার একটু থামো। আমি স্কুলের কাজ সেরে বাসার দিকেই যাচ্ছিলাম। এরমাঝে রাস্তায় দেখি দাড়িয়ে আছে। নেমে জানতে পারি ইফরাদ রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে। তো ইফরাদের সাথে কথা বলে ক্যাফেতে নামিয়ে দিতে চাইলাম। কিন্তু নামিয়ে দিতে এসে নিজে আর যেতে পারিনি। বললো তোমরা আসবে! তো এই কারণে আমাকেও আঁটকে দিলো।”

“হয়েছে অনেক কথা হলো, এবার কাজের কথায় আসা যাক। ইফরাদ ভাইকে ডেকে তার কাজের ঘোলা তো করে দিয়েছি। এবার কথাবার্তা শেষ করে বাসায় যাওয়া উচিত সবার। আমার এমনি ক্লান্ত লাগছে।”

রাইমা ক্লান্ত ভঙ্গিতেই কথাগুলো বললো। ইফরাদ এবার সিরিয়াস হয়ে একটু ঠিকঠাক হয়ে বসলো। দিগন্তের মাথায় চিন্তা এসে হাজির রাইমার কথা শুনে। কি কাজের কথা থাকতে পারে? শার্লিন ঐ যে চুপ হয়ে বসেছে, চুপই হয়ে আছে। ইফরাদ আগে সবার জন্য ওয়েটার ডেকে কফির অর্ডার দিলো।

৭৪,
ওয়েটার কফি দিয়ে যেতেই রাইমা কফি খেতে খেতে বললো,

“মাহিশার চিহ্ন কি জীবন থেকে মুছেই দিলেন ইফরাদ ভাই? আপনার বোন হয়। আমি না হয় কিছু হতাম না, তাই চারটা বছর একটা মেসেজ অব্দি দেননি যে, বেঁচে থাকলাম না ম”রে গেলাম। কিন্তু আপনার বোন, আপনি যে মায়ের সন্তান, সেই মায়ের সন্তান সে-ও। তার খোজ কি একবারও নেওয়ার চেষ্টা করেননি? সে বেঁচে থাকলো না ম”রে গেলো? খোজখবর খুজে বের করার চেষ্টা করেছিলেন? নাকি আমাদের থেকে দূরত্ব টানার সাথে তাকেও মনে দাফন করে ফেলেছেন?”

ইফরাদ অপরাধ বোধে মাথা নিচু করে রাইমার কথা শুনে। শার্লিন আর দিগন্ত তো রাইমার কথার আগামাথা কিছুই বুঝলো না। তাই নিরব শ্রোতা হয়েই ইফরাদের উত্তরের অপেক্ষা করলো। রাইমা ইফরাদের উত্তর না পেয়ে ফের প্রশ্ন করলো,

“আমার কথাগুলোর উত্তর কি আপনার জানা নেই ইফরাদ ভাই?”

“জানা আছে রাই। তোমার বান্ধবী একটা ছেলের ভালোবাসায় এতোটা অন্ধ হয়েছিলো যে, তোমার কথা ভাবা তো দূরে থাকলো, পরিবারের কথাও ভাবেনি। ভালোবাসা মানুষকে অন্ধ করে দেয় তার জলজ্যান্ত প্রমাণ তোমার বান্ধবী। তোমার বান্ধবী ঠিক ঐ ছেলের সাথেই পালিয়েছিলো। শুধু পুলিশ কেস, আবার ওকে সহজেই পেয়ে গেলে যদি জোড় এনে বিয়ে দেই! এই ভয়ে সুন্দর একটা প্ল্যান করেছিলো মাহিশা আর ঐ ছেলেটা। মাহিশা একাই বাসা থেকে পালিয়ে ঐ ছেলেটার আত্মীয় স্বজনের বাসাতেও খোজ করা হবে! এই আইডিয়া থেকে নিজে সাহস করে ছেলেটার এক ফ্রেন্ডের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে থাকছিলো। সব থেমে গেলে, মানে আমরা থেমে গেলে ও ঠিকই বেরিয়ে আসে দুবছর পর। তা কি করে এসেছে! একেবারে বিয়ে করে বাচ্চা সহ। কি আলতু ফালতু আইডিয়া, বাচ্চার মুখ দেখলে নাকি বাবা মা মানতে নারাজ থাকবেনা আর। আর ঐ আইডিয়া টাও ঠিকই কাজে লেগেছে। বাবা মা আদরের মেয়েকে ফেরত পেয়ে দুবছরে পাওয়া কষ্ট গুলো ঠিকই ভুলে যায়। তার সাথে নাতনীর মুখ দেখে তারা খুশিতে গদগদ। মাঝখানে অপরাধ বোধে পু”ড়ে ম”রছি আমি। তোমায় তো কম অপমান করিনি। মহল্লার মানুষগুলোও তোমায় কম কথা শোনায়নি। এতো অপরাধ বোধ নিয়ে তোমার সামনে এসে দাড়ানোর ক্ষমতা আমার হয়নি রাই। জানো তো অপরাধ বোধ মানুষকে ভেতরে ভেতরে নিঃশেষ করে দেয়।”

“সবই তো বুঝলাম ইফরাদ ভাই। কিন্তু যেখানে আপনি আপনাদের এতো খোজার চেষ্টা করেও পেলাম না! মাহিশা কি করে খুজে পেলো? আপনারা তো পুরাতন সব কন্টাক্ট নাম্বার, ভার্চুয়ালি খুজে পাওয়ার রাস্তা সব বন্ধ করে ফেলেছিলেন? সেখানে মাহিশা কি করে পেলো?”

“তোমার বান্ধবী তোমার থেকে সবসময় বেশি বুদ্ধিমতী আমি আগেও বলতাম রাই। বুদ্ধি তো তার কম নেই! সেই বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছে।”

“মানে?”

“তুমি তো আমার পরিবারের প্রতিটা মানুষের সব সীমের নাম্বার জানতে না। সবসময় যেগুলো ইউজ হতো, সেগুলোরই নাম্বার জানতে। বাবার যে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত সীম! ওটা তো আর পাল্টানো যায়নি। কারণ বাবার ব্যবসা ক্ষেত্রে সবার সাথে কথা বলতে হতো। মাহিশা তো ঘরের প্রতিটা নাম্বার মুখস্ত রেখেছিলো। আবার নোট করেও রেখেছিলো কাছে। বাবা তো তার মেয়ের গলা শুনেই গলে গিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখে মানিয়ে বাসায় আনে। ছেলেটা ছিলো বড়লোক বাবার আদুরে দুলাল। ছেলের পছন্দ তার বাবা মা ফেলেনি। আমার বাবা আর কি ফেলবে বলো!”

“বাহ ইফরাদ ভাই। মাঝখানে এতে ঘটনা হলো, আমি রাইমা সবকিছুর অনবগতই রয়ে গেলাম। শালুর সাথে আপনার সম্পর্ক না হলে বোধ হয় এসবও আমার জানা হতো না। কি সুন্দর সিনেমাটিক ঘটনা। তালিয়া জারুর বানতি হ্যায়।”

৭৫,
রাইমা কথাটা তাচ্ছিল্যের স্বরে বলে আস্তে করে কফির মগ রেখে দুই হাতে তালি বাজায়। শার্লিন এতোক্ষণ চুপ করে ছিলো। কিন্তু এবার আর চুপ থাকতে পারলো না৷ ইফরাদের উদ্দেশ্যে বললো,

“আপনার এই গুণবতী বোনের কথা তো আগে কখনও আমায় বলেননি? আমিও জানতে পারি রাইয়ের কাছে। আপনাকে বলবো বলবো করেও মাহাদ ভাইয়ের বিয়ের চক্করে বলা হয়নি। আপনার সাথে পরিচয়ের এতোদিন হয়ে গেলো! অথচ আমি তাকে দেখিইনি। আবার মাহাদ ভাইয়ের বিয়েতেও সে আসেনি, অথচ পরিবারের বাকি সবাই এসেছিলো। তখনও কেউ কিছু আমাকে না হোক, রাইকে তো জানানো যেতো! ওকেও জানাননি। আজ রাই ডেকে জানতে না চাইলে তাও তো বলতেন না। আপনার বোনের ঘটনা তো নাটকের, গল্পের ঘটনাকেও ফেইল করিয়ে দিচ্ছে। বাহ?”

দিগন্ত চুপচাপ বসে থেকে ওদের তিনজনের কথাবার্তা শুনে ছোট্ট করে বললো,

“ইফরাদকে পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার করতে দাও শার্লিন। এরপর না হয় যা বলার বলো। যতেটুকু জানাচ্ছে, প্রশ্নের পর প্রশ্ন আসছেই। সব ক্লিয়ার করতে দাও। ইফরাদ তুমি বলো,

“আমায় ভুল বুঝো না রাই। বোনকে না পেয়ে তখন তো কি করেছিলাম! কিছুই আশা করি ভুলোনি। তোমায় তো কম হেনস্তা করিনি। আমার বোন কোথায় আছে এটা তুমি জানতে আইডিয়া করে পুলিশের তদন্তের জন্য তোমায় তো থানা আর বাসা কম হ্যারাজ করা হয়নি! এলাকার মানুষও তোমায় কম ছোটো করেনি। তোমার সঙ্গে ঘরের মেয়ে ন”ষ্ট হয়, সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে! এমন কথাও তোমার কম শুনতে হয়নি। এলাকায় তো একপ্রকার হইচই উঠে যায়, তুমিই আমার বোনকে পালাতে সাহায্য করে আমাদের জানাওনি! তুমি চিটারি করেছো আমাদের সাথে। বন্ধুত্বের নামে মুখোশ পরে আমার বোনের ক্ষতিই করে গেছো! এমন কি তোমার উপর হিংসার বশে আমার বোনকে খু”ন করে দিয়েছো, এমন কথাও তো বলতে বাকি রাখেনি আমার পরিবার৷ যখন সম্পর্কের কথা সবাই জানে তখনও তোমায় কম অপমান করা হয়নি যে, জেনেশুনে কেনো সম্পর্কে জড়াতে দিলে এমন কম বয়সী একটা ছেলের সাথে, যে নিজেই ম্যাচিউর নয়, আমার বোনকে কি আগলাতো। সেই অপমানের জেড় ধরে খু”ন করার মতো মিথ্যা অপবাদও তুমি শুনতে বাকি ছিলে না। আমি তো এককাঠি উপরে চিন্তা করে তোমায় কম অপমান করিনি যে, তুমি আমায় পছন্দ করো এমন একটা ধারণা থেকে তোমায় বলেছিলাম, মাহিশাকে তার ভালোবাসার মানুষকে পাইয়ে দিয়ে, মাহিশার মাধ্যমে আমায় পাবে! এমন বাজে ধারণাও পুষে তোমায় কম কথা শুনতে হয়নি, যখন এসব এলাকার মানুষ রোজকার ঝগড়া নিয়ে সব জানতে পারে, তোমার চরিত্রেও আঙুল তুলতে বাকি রাখেনি। মাহাদ ভাইয়ের এক্সি”ডেন্টের জন্য তোমাদের যেতে হলে সবাই তো বলেও দিয়েছে, পুলিশের ভয়ে তোমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছো। এতো এতো অপমান বিনা কারণে করে, সব সত্যিটা জানার পর অপরাধ বোধে ভেতরে ভেতরে তোমার সামনে আসার সাহসটা আমার হচ্ছিলো না রাই। আমার বাবা মায়েরও সেইম অবস্থা। প্রথম ২বছর তো ধরেই নিয়েছিলাম মাহিশা আর নেই। থাকলে তো একটা খোজ অন্তত পেতাম। ঐ দু বছর এমন একটা দিন নেই তোমার প্রতি ঘৃণা আসতো না। ২বছর পর তোমায় বিনা কারণে ঘৃণা করার জন্য নিজেদের উপরই কেমন ঘৃণা জন্মে যায় যে! নির্দোষ একটা মেয়ে, তাকে তো হ্যারাজ করেইছি, সাথে তার পরিবারকেও। এই অপরাধ বোধের যে কি যন্ত্রণা! তোমায় বলে বোঝানো যাবেনা রাই। তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মুখও আমার নেই। তবুও আমি ক্ষমা চাচ্ছি রাই।”

৭৬,
সব ঘটনা শুনে শার্লিন আর দিগন্ত হতভম্ব। একটা মেয়েকে এতো বাজে ভাবে বিনা কারণে পুরো সমাজের সামনে অপমানিত হতে হয়েছে? এসব ঘা আদৌও শুকোয় তো! মনের মাঝে চাপা কষ্ট থাকে না? সেই কষ্টের ভার রাইমা বয়ে বেড়াচ্ছে কি করে? দিগন্ত বিষয়টা ভাবতেই তার কেমন একটা মনের মাঝে ধরফর অনুভূতি হয়৷ আচ্ছা রাইমাকে যে উপর থেকে দেখা যায় সে ভালো আছে! ভেতরে ভেতরে সে আদৌও ভালো আছে? চিন্তা করে কূল পেলোনা দিগন্ত। পূর্ণ দৃষ্টি মেলে রাইমার দিকে তাকালো। মেয়েটার চোখের কোণে জল ভাসছে। হয়তো অতীতের তিক্ত স্মৃতি তার চোখের পাতায় ভাসছে। দিগন্ত তাকিয়ে থাকতে থাকতেই দেখলো রাইমার চোখ ছাড়িয়ে অবাধ্য জলরাশী গাল বেয়ে নিচে পরছে। অতীতের স্মৃতিগুলো যে একটু বেশিই তিক্ত। নারীর আত্মসম্মানে দাগ লাগলে যে সে এমনিই ভেতর থেকে গুড়িয়ে যায়! সেখানে রাইমা তো নরম স্বভাবের মেয়ে। আত্মসম্মানে আঘা”ত করলে তো আ”ঘাত ফেরানো যায়! কিন্তু দাগ লাগালে সেই দাগ মোছার চেষ্টা করলেও একদল লোক বলবে, এই মেয়েটার উপর একসময় এই অপবাদ দেওয়া হয়েছিলো, সত্য মিথ্যা কেউই যাচাই করবেনা। শার্লিন রাইমার কাঁধে হাত রেখে রাইমাকে সামলানোর চেষ্টা করছে। ইফরাদ অপরাধ বোধে মাথা নিচু করে বসে আছে। রাইমা নিজেকে ধাতস্ত করার চেষ্টা করে বললো,

“আপনারা অপরাধ বোধে সামনে আসেননি ভালো কথা, আপনার বোন কেনো আসেনি ইফরাদ ভাই? ও তো জানে ও আমার কাছে ঠিক কি?”

“সে না হয় তোমার বান্ধবীর থেকেই জেনে নিও রাই। ওর সাথে আমি কথা বলিনা, আমার বোন আছে এটাও আমি ভুলতে চেষ্টা করি। ওর জন্য কম কান্না করিনি আমি, ওর জন্য তোমায় এতো অপমান করেছি, ভেঙেচুরে দিয়েছি ভেতর থেকে। একবারও বোঝার চেষ্টা করিনি, আমার পরিবার তার মেয়ে হারালে তুমিও তোমার আত্মার সাথীকে হারিয়েছিলে! এতো এতো রিজন নিয়ে আমি আজও ওর সাথে কথা বলে উঠতে পারিনি। ক্ষমাও করতে পারিনি। না নিজেকে, না ওকে।”

“ঠিক আছে ইফরাদ ভাই। ওর থেকেই সব শুনবো, আমায় ওর কাছে নিয়ে যাবেন প্লিজ?”

চলবে?

ভুলত্রুটি মার্জনীয়, রিচেইক করতে আলসেমি লাগে। ☹️ ইনশা আল্লাহ আগামীকাল হতে প্রতিদিন গল্প পাবেন। গল্পের আছেই আর কয়েকটা পর্ব। রেগুলার লিখে শেষ করে দিবো। আসসালামু আলাইকুম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here