#আকাশেও_অল্প_নীল
#পর্বঃ১৯
#আর্শিয়া_ইসলাম_উর্মি
৫৬,
দিগন্ত রাইমাকে হাত ধরে এনে নিজের রুমে দাড় করিয়ে দিয়েছে। রাইমা রুমের চার পায়টায় নজর বুলিয়ে ভালো মতোন দেখছে রুমটা। যাক লোকটা গোছালো স্বভাবের। অগোছালো বিষয়টা রাইমা দেখতে পারে না। দিগন্ত ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে চিরুনি, কয়েকটা গোলাপ ফুল আর চুলে আটকে দেওয়ার জন্য ক্লিপ হাতে নিয়ে এসে রাইমার পিছনে দাড়ায়। রাইমা দিগন্ত কি করবে এটা বোঝার চেষ্টা করলো৷ দিগন্তের হাতে গোলাপ ফুল দেখে প্রশ্ন করে,
“ফুল দিয়ে আমায় প্রপোজ করবেন নাকি?”
“উহু মেয়ে, একটু চুপ করে থাকুন তো। এতো কথা বলেন কেনো?”
দিগন্ত উত্তর দিয়েই রাইমাকে ড্রেসিং টেবিলের বিপরীত দিকে দাড় করিয়ে দিয়ে চিরুনি দিয়ে চুল একটু আচরে গোলাপ ফুল গুলো আটকে দিতে ব্যস্ত হয়ে পরে। রাইমা মুখ গোমড়া করে বলে,
“আমি চুপ থাকতে পারিনা।”
“নামাজ পরে থাকলে মোনাজাতে আমার কানের মাগফিরাত কামনা করবেন সবসময়।”
“কেনো?”
“আপনাকে সারাটা জীবন সহ্য করতে হবে! এটা কি কম সুখের কথা? কান টা আদৌও বাঁচবে তো!”
“আমার থেকে বেশি বাঁচাল তো আপনি হয়ে যাচ্ছেন দিনদিন। আমার সাথে সবটা সময় শুধু ঝগড়াই করেন।”
“বাঁচালতা ছোঁয়াচে রোগের মতো আপনার থেকে আমার মাঝে চলে আসছে দিনদিন।”
“তাহলে কানের মাগফিরাত কামনা আমার জন্য আপনার করা উচিত।”
“আচ্ছা করবো, আমার পরিবর্তন দেখে আমি অবাক হয়ে যাই রাইমা খন্দকার। আপনাকে আর কি বলবো!”
“কেমন পরিবর্তন?”
“এই যে অযাচিত কথাবার্তা একটু বেশিই বলি এখন।”
“তা না বললে আপনার খবর আছে দিগন্ত আহসান৷ আমি বাঁচাল মেয়ে, চুপ থাকতে পারিনা। আর আমার লাইফ পার্টনার যদি হয়, চুপচাপ স্বভাবের। তার রোজ দুবেলা ভাত বন্ধ থাকবে।”
“ভাতের বদলে না হয় আপনাকেই খেয়ে ফেলবো। কি বলেন?”
রাইমা এ পর্যায়ে বাকশূণ্য হয়ে যায়। দিগন্ত যে এমন কথাও বলতে পারে তার ধারণা ছিলো না। দিগন্ত কথা বলতে বলতেই রাইমার চুলের একপাশে একটু ফুলিয়ে তার মাঝে ফুল গেঁথে দিয়েছে। স্নেহাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখতো এভাবে চুল বাঁধতে। তা দেখেই সে একটু শিখেছে। তাই সহজেই গোলাপগুলো আটকে দিতে পারলো। তার হাতের কাজ শেষে রাইমাকে আয়নার দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে নিজেও রাইমার পিছনে দাড়ায়। রাইমা আয়নায় দৃষ্টি ফেলে। কানের পাশে ৩টা গোলাপফুল দেখতে পায়। সে বাম পাশে সিঁথি তুলে সামনের চুলগুলো হালকা ফুলিয়েই কানের উপর কয়েকটা কালো ক্লিপ দিয়ে হাইড করে আটকে দিয়েছিলো। দিগন্ত সেগুলোই এলেমেলো করে আবার সুন্দর করে আটকে দিয়েছে। রাইমা ফুলগুলোয় হাত বুলায়। দেখতে মন্দ না, বেশ ভালোই লাগছে। দিগন্ত রাইমার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,
“এটা মিসিং ছিলো মিস রাইমা খন্দকার।”
“তাতো আমার হবু অর্ধাঙ্গ পূরণ করে দিলো মি: দিগন্ত আহসান।”
“বিয়ে নামক শব্দটার কি অদ্ভুত শক্তি বলুন! যে আমরা একে অপরকে সহ্য করতে পারতাম না, সহ্য করতে পারতাম না বললে ভুল হবে। দুজন দুজনকে দেখতেই পারতাম না। দেখা হলেই অকারণে ঝগড়া হতো। সেই আমরা এখন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবো বলে দুজন দুজনকে বোঝার চেষ্টা করছি, মেনে নিয়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, একে অপরের প্রতি অনুভূতি সৃষ্টি করার চেষ্টাও করছি। যেনো সম্পর্ক টা দায়বদ্ধতা থেকে দুজনের বয়ে বেড়াতে না হয়, যেনো ভালোবাসা থাকে, সেই চেষ্টা করছি। আসলেই বিষয় টা অদ্ভুত না?”
“একটু বেশিই অদ্ভুত মি:। আমাদের জীবনে পূর্বে যদি কোনো মানুষ জড়িয়ে থাকতো। তবে হয়তো আমরা এই চেষ্টা টা করতাম না।”
৫৭,
দিগন্ত কথার এই পর্যায়ে একটু হাসলো। রাইমা দিগন্তের দিকে ফিরে ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে জিগাসা করলো,
“হাসছেন কেনো?”
“আপনার কথা শুনে, যদি আমাদের জীবনে পূর্বে কেউ থাকলে আমি অন্তত বিয়েতে রাজী হতাম না। না আপু আপনার সাথে আমার বিয়ের কথা ভাবতো। তাকেই তো বিয়ে করতাম তাইনা?”
“হ্যাঁ তা অবশ্য ঠিক।”
“আচ্ছা অনেকক্ষণ যাবৎ সবার মাঝ থেকে আপনাকে নিয়ে এসেছি। এবার চলুন যাওয়া যাক।”
“হুম চলুন।”
রাইমা এবং দিগন্ত দুজনেই বাইরে স্টেজের সামনে চলে আসে। এসে মাহাদকে স্নেহার পাশে বসে থাকতে দেখে একটু অবাক হলেও খুশি হয় দুজনেই। রাইমা একটু দ্রুত হেঁটে স্টেজের কাছে এসে মাহাদকে জিগাসা করে,
“মাহাদ ভাই? কখন আসলেন? আপনাকে আসার সময় খুজলাম, অথচ পেলাম না।”
“তোমরা যখন প্রেম করতে ব্যস্ত ছিলে, তখন এসেছি রাই। খুজেছো, তখন ইফরাদ আর মেসবাহকে আনতে চলে গিয়েছিলাম। এরপর তিনজনে একসাথে এসেছি।”
মাহাদের উত্তরে রাইমা লজ্জায় একটু মিইয়ে যায়। স্নেহা মুচকি হাসে, তার পছন্দ তবে ভুল নয়। তার ভাই স্বাভাবিক হচ্ছে। শার্লিন আর ইফরাদ পাশাপাশি বসে ঝগড়া করছে নাকি কথা বলছে দুজনে, বোঝার উপায় নেই। শার্লিন বকবক করছে, ইফরাদ মুখটা পেচার মতো গোমড়া করে বসে বসে হু হা করছে। তা দেখে শার্লিন ক্ষেপে গিয়ে হুটহাট ইফরাদকে ঝাড়ি দিচ্ছে। রাইমা দুজনকে দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। একটা অনুষ্ঠানে যে আছে দুজন, এটা শার্লিনের হুশ নেই। টেনশনে ফেলে রেখেছিলো তা নিয়ে দুজনের মাঝে যু”দ্ধ বহাল আছে। বেচারা ইফরাদ ভাই,খুব বেশিদিন যে বাকি নেই উনার পাগল হতে! বুঝতে পারে রাইমা। লোকটার জন্য মায়াই হচ্ছে একটু। সব ভাবনা বাদ দিয়ে রাইমা দিগন্তকে চোখের ইশারায় স্টেজের কাছে আসতে বলে। দিগন্ত ইফরাদের পিছনের সারির চেয়ারে বসেছিলো এসে। রাইমার দিকেই তাকিয়ে ছিলো। ইশারা পেতেই সে উঠে স্টেজের কাছে যায়। রাইমা দিগন্তে বলে,
“ঐ পাশে বসুন। হলুদ ছোঁয়াবো দুজনকে।”
স্নেহা তা দেখে বললো,
“বাহ, দুজনের মিল মোহাব্বাত তো বিয়ের আগে থেকেই দারুণ জমেছে। বেশ ভালো খবর এটা।”
৫৮,
দিগন্ত মাথা চুলকে বোকা বোকা চাহনীতে বোনের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলে। রাইমার কথামতো মাহাদের পাশে বসে। রাইমা স্নেহার পাশে বসেছে। দুজনে একসঙ্গে হলুদ ছুইয়ে দেয়। হলুদ ছোয়ানো শেষে একে একে শার্লিন-ইফরাদ, মেসবাহ সহ ছেলেপক্ষের সকলের হলুদ ছোঁয়ানো হয়ে গেলে মেয়েপক্ষের সবাই হলুদ ছুইয়ে দিয়ে হলুদের পর্ব শেষ করে। মাহাদ আসার পরপরই চলে গিয়েছিলো। কিন্তু মাহাদের ফুফু শাশুড়ী মাহাদকে আটকে দিয়েছে। এমনি সময় কম, এরমাঝে আবার মাহাদদের বাসায় গিয়ে তাকে হলুদ ছোঁয়ানোর বিষয়টা মাহাদের সাথে কথা বলে বাদ দিয়ে দিয়েছেন উনারা। আগামীকাল বিয়ে, সন্ধ্যা হয়েই এসেছে। সবার একটু রেস্টের প্রয়োজন। ছুটোছুটি তো কম হবেনা। স্নেহাও সব শুনে মাহাদকে অনুরোধ করে থেকে যেতে বলে। মাহাদ স্নেহার অনুরোধ ফেলতে পারেনা। যার ফলে মেয়েপক্ষের বাড়িতেই একসাথে দুজনের হলুদের পর্ব শেষ হলো। খেতে দিবে, সেই টেবিলে বসে রাইমার সাথে এসব নিয়েই আলোচনা করছিলো মাহাদ। যেহেতু এসব আলোচনার সময় রাইমা ছিলো না, তাই জানিয়ে দিলো। রাইমা জিগাসা করেছিলো মাহাদকে, মেয়েপক্ষের মানুষজন যাবে কিনা! তার উত্তরেই কথাগুলো বলে মাহাদ। খাবার সার্ভ করে দেওয়া হয়ে গেলে সবাই খেতে ব্যস্ত হয়ে পরে। খাওয়া দাওয়ার পাট আগেই চুকাতে চেয়েছিলেন স্নেহার চাচা। কিন্তু মাহাদই বলে আগে হলুদ ছোঁয়ানো শেষ হোক। রাইমার খাবার খাওয়া আগেই শেষ হয়েছে। মাহাদেরও একই অবস্থা। দুজনে খেয়ে স্টেজের একপাশে বসে টুকটাক গল্প করছে। স্নেহাকে গোসল দেওয়াতে নিয়ে চলে গেছে। তার গোসল দেওয়া শেষ হতেই সে মাহাদদের কাছে আসে। দিগন্ত খাওয়া দাওয়ার পর্ব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। স্নেহা আসতেই মাহাদ বলে,
“এবার আমাদের যাওয়া দরকার। রাত হয়ে আসলো।”
“খাওয়া দাওয়া টা সবার হতে দাও।”
“হলেই যেতে চেয়েছি।”
“আমি তোমাকে থাকতেও বলবোনা।”
“আগামীকাল থেকে ইনশা আল্লাহ তোমাকেই আমার সাথে রাখবো।”
স্নেহা মাথা নিচু করে আলতো হাসে। রাইমা দুজনকে স্পেস দিতে উঠে চলে আসে। বড়োরা সবাই অন্যকাজে ব্যস্ত। এজন্য এদিকে তেমন একটা ভীড় না থাকায় মাহাদ আর স্নেহা কিছু টা সময় একটু নিজেদের মতো কথা বলে। আগামীকাল তাদের এতোদিনের ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে। ভাবতেই আনন্দ লাগছে দুজনের। তারা যেনো কথা বলতে পারে, সেজন্যই রাইমার চলে যাওয়া।
সবশেষে সব কাজ শেষ হওয়ায় মাহাদ রা বিদায় নিয়ে চলে যায়৷ মাহাদ আর স্নেহা দুজনেরই যে আজ রাতটা ছটফটিয়ে কাটবে তা ভালো মতোই বুঝতে পারে রাইমা৷ মনে মনে এক প্রশান্তির ছোয়া। ভালোবাসা দেখতেও ভালো লাগে, পূর্ণতা পায় যে ভালোবাসা, তার সাক্ষী হওয়া তো আরও আনন্দের। গাড়িতে বসে সীটে গা এলিয়ে দিয়ে বসে এসবই ভাবছিলো রাইমা। কিছু সময়ের মাঝে তারা বাড়িতে পৌছে যায়। ফ্রেশ হয়ে যে যার মতো ঘুমিয়ে পরে।
৫৯,
পরদিন সকালবেলায়,
পুরো বাসা জুড়ে তোড়জোড় চলছে বরযাত্রী তৈরি হওয়ার। অল্প মানুষ হলেও মেয়েদের সাজগোজের একটা বিষয় আছে তো! সবাই একে একে বাসার চার টা ওয়াশরুম, গোসল দিতে ঢুকছে আর বেরুচ্ছে। শার্লিন গোসল সেরে বেরুনোর পর রাইমা ঢুকেছে। সে গোসল করে বের হতেই মাহাদ তাদের রুমে আসে। মাহাদকে দেখে রাইমা বলে,
“মাহাদ ভাই আপনি তৈরি হওয়া রেখে আমাদের মেয়েদের মাঝে কি?”
মাহাদের হাতে দুটো প্যাকেট ছিলো। সেগুলো রাইমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে,
“এগুলো পরেই আজ যাবে। ওকে?”
“কিন্ত কি আছে এটায়?”
“খুলেই দেখো।”
বলেই মাহাদ চলে যায়। রাইমা হতভম্ব হয়ে দারিয়ে আছে। শার্লিন গোসল সেরে চুল শুকাচ্ছিলো। উঠে এসে রাইমাকে বলে,
“মুর্তির মতো দাড়িয়ে না থেকে বের করে দেখ কি আছে?”
“হু বের করছি।”
রাইমা প্যাকেট খুলে ভেতরের জিনিসগুলো বের করে। দেখতে পায় তার পছন্দ হওয়া সেই লেহেঙ্গা। শার্লিন খুশিতে কাপরগুলো হাতে নিয়ে বলে,
“এটা তোতোর পছন্দ করা সেই লেহেঙ্গা রে রাই।”
“হু, কিন্তু মাহাদ ভাই কিনলো কখন?”
“যখন কেনার কিনেছেন মাহাদ ভাই। চল তো রেডি হই।”
“হু চল।”
দুজনেই এক এক করে ড্রেস টা পরে নেয়। এরপর রাইমা শার্লিনকে হালকা সাজিয়ে দেয়।রাইমা বেশি মানুষজনের মাঝে সস্তি পায় না বলে সাহিরা বেগম বাসার বাকি রুমগুলোতেই মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। যার ফলে রাইমা উনার রুমে নিজের মতোই থাকতে পারছে। শুধু সাইরা, সাইফা, তিশা আসলে রাইমা কিছু বলেনা। রাইমা শার্লিনকে সাজিয়ে দিতেই ওরা তিনজনে একসাথে ড্রেস পরে হাজির ওর কাছে। ওদের ড্রেস টা তিনজনেরই একই রকম। তিনজনই একসাথে বায়না ধরে বলে,
“সাজিয়ে দাও আপু। এক রকম করেই সাজিয়ে দাও প্লিজ।”
কাজিন চেইনের মাঝে এমন একজন কাজিন থাকে যে সব কাজেই একটু একটু করে হলেও পটু হয়। রাইমার কাজিন চেইনের মাঝে সে হচ্ছে সবার কাছে সেই একজন কাজিন, যে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে সাজগোজ সবকিছুই যেটুকু না জানলে চলে না, সেরকমই জানে। কিন্তু আলসেমিতে কিছু করেনা। আজ রাইমা কারোর আবদার ফেলতে পারে না। ব্যস্ত হয় সাজাতে। সাজানোর মাঝ বরাবরই রাইমার ফোন টা বেজে উঠে।। রাইমা সাজাতে সাজাতে শার্লিনকে বলে,
“দেখতো আমার ক্যালকুলেটরে কে ফোন দিলো?”
সাইরা রাইমার কথা শুনে বললো,
“আপু ফোনে কল এসেছে, ক্যালকুলেটর কোথায় পেলে?”
“ওটা আমার ক্যালকুলেটরই রে বইন। মা ছাড়া বাবা দরকারে কল দেয়। এছাড়া কল দেয় শালু। নতুবা ঐ ফোন ক্যালকুলেটরের মতোই পরে থাকে। কারোর কল আসেনা। অংক করতে বসে ক্যালকুলেটরের বদলে ফোনকেই ব্যবহার করি। তাই ওটাকে ফোন কম, ক্যালেকুলেটরই বেশি মনে হয় আমার কাছে।”
রাইমার উত্তরে উপস্থিত সকলে হেসে উঠে। শার্লিন রাইমার ফোন হাতে নিয়ে দেখে আননোন নাম্বার। রাইমা ওর দিকে তাকিয়ে জিগাসা করে,
“কে কল দিলো?”
“বুঝতে পারছিনা। আননোন নাম্বার।”
“এদিকে দে তো দেখি কে ফোন দিলো।”
শার্লিন রাইমার কাছে এসে ফোনটা এগিয়ে দেয়।
চলবে?
ভুলত্রুটি মার্জনীয়। আম্মু অসুস্থ, দুয়ার আবদার রইলো। উনার অসুস্থতায় আপুর সাথে কাজ করতে গিয়ে হাত কে”টেছি। তাই এর থেকে বড়ো করা সম্ভব হলো না। রিচেইক করিনি। ভুলগুলো ক্ষমা করবেন। আসসালামু আলাইকুম।