#নীহারিকার_জন্য (পর্ব ২)

0
350

#গল্প১০২

#নীহারিকার_জন্য (পর্ব ২)

নীহারিকা অফিসে এসেই টেবিলে মাথাটা রেখে একটু ঘুমায়। প্রতিদিন এত সকালে ঘুম থেকে ওঠে সবার জন্য নাস্তা, দুপুরের খাবার রেডি করতে ওর খুব পরিশ্রম যায়। সকালে আরেকটু ঘুমাতে পারলে ভালো হতো। আকাশের ওই দূর্ঘটনার পর নীহারিকার জীবনটা যেন আরো কঠিন হয়ে ওঠেছে।

একট মৃদু টুনটুন শব্দে নীহারিকার ঘুম ভাঙে, চেয়ে দেখে আহির দাঁড়িয়ে হাসছে, হাতে একটা চায়ের কাপ। চামচ দিয়ে আবার টুনটুন শব্দটা করে বলে, “ম্যাডাম, এই নিন গরম গরম চা, খেয়েই তাজা হয়ে যাবেন।”

নীহারিকা হাসে, হাত বাড়িয়ে চা টা নেয়, আলতো করে একটা চুমুক দিয়ে বলে, “থ্যাঙ্কিউ আহির। এখন এক কাপ চায়েরই দরকার ছিল। তোমারটা কই?”

আহির ওর সামনে বসে পড়ে, হাতের তালুতে মুখটা রেখে বলে, “তুমি খাও, আমি দেখি।”

নীহারিকা একটু বিব্রত হয়, এই ছেলেটা এমন এমন কথা বলে যে মাঝে মাঝেই নীহারিকা বেশ ধন্দে পড়ে যায়। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “আচ্ছা আহির, নক্ষত্রের জন্য একটা ভালো ম্যাথ টিচার লাগবে। তুমি একটু ব্যবস্থা করে দেবে?”

আহির এবার সোজা হয়ে বসে, মুখে এখন দুষ্টুমি নেই, বলে, “উম, আমাকে ক’টা দিন সময় দাও। আমি ঠিক খুঁজে বের করে নিয়ে আসব।”

আহিরের এই জিনিসটা খুব ভালো লাগে নীহারিকার, ওর ছোট ছোট ব্যাপারগুলোও খুব গুরুত্বের সাথে নেয়। আবার দুষ্টুমির বেলায় সবার আগে, সারাদিন ওর পেছনে লেগেই থাকে। আহিরের জন্যই এই অফিসটা ভালো লাগে।

সেদিন অফিস থেকে বের হতে নীহারিকার দেরি হয়ে যায়। মেজাজ খারাপ লাগছে, অফিসের গাড়ি নেই, আবার টুকটাক কিছু কেনাকাটাও আছে। বাইরে বেরিয়ে এসে তাকাতেই দেখে আহির হাত নাড়ছে ওর গাড়ির ভেতর থেকে। নীহারিকা ভ্রু কুঁচকে তাকায়, তার মানে ছেলেটা ওর জন্যই অপেক্ষা করছিল?

কাছে যেতেই আহির কৃত্রিম গম্ভীরমুখে বলে, “ম্যাডাম, নিশ্চয়ই উত্তরায় যাবেন। ভাড়া কিন্তু একশটা মুচকি হাসি, একটাও কম না।”

নীহারিকা হেসে ফেলে, বলে, “তা বুঝলাম। কিন্তু তুমি এখনো কার জন্য অপেক্ষা করছ, নিশ্চয়ই গার্লফ্রেন্ড?”

আহির ফিচেল হাসি হেসে বলে, “একদম ঠিক বলেছেন, আর কথা না বাড়িয়ে উঠে বসুন। আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসি। তোমাদের ওদিকেই আমার একটা কাজ আছে।”

নীহারিকা একটু ভাবে, এই সময় কোনোকিছু পাওয়া খুব কঠিন। আহিরের সাথে যেতে পারলে ওর সময়টা বাঁচবে যেহেতু ও উত্তরাই যাচ্ছে। যদিও ওর কথা বিশ্বাস হচ্ছে না যে ওর কোনো কাজ আছে উত্তরা। একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে নীহারিকা গাড়িতে উঠে পড়ে।

আহির গাড়ি স্টার্ট করেই বলে, “কই, আমার মুচকি হাসি কই?”

নীহারিকাও একটু দুষ্টুমি করে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলে, “এই যে দিলাম। কিন্তু আমার ম্যাথ টিচারের কথা যেন মনে থাকে।”

আহির একটা হাত তুলে বলে, “তথাস্তু।”

ওর বলার ভঙ্গিতে হেসে ফেলে নীহারিকা। আহির পাশে থাকলে সময়টা ভালো কাটে, ও ভুলেই যায় ওর জীবনের কষ্টগুলো। কিন্তু এই ছেলেটা আসলে কী চায় ওর কাছে?

এর ঠিক কয়েকদিন পর এক সন্ধ্যায় আহির নক্ষত্রের ম্যাথ টিচারকে নিয়ে আসে। নীহারিকা তো মহাখুশি, আকাশও খুব খুশি হয়। নক্ষত্রের ম্যাথ টিচারের সাথে পরিচয় পর্ব শেষ হতেই নীহারিকা নক্ষত্রকে ডেকে বলে, “নক্ষত্র, তোমার টিচারকে রুমে নিয়ে যাও, আমি আসছি।”

নক্ষত্রকে খুব একটা খুশি মনে হয় না, মুখ গোমড়া করে টিচারকে নিয়ে ওর পড়ার ঘরে নিয়ে যায়।

নীহারিকা এবার আহিরের দিকে ফিরে হেসে বলে, “অনেক ধন্যবাদ আহির, বিশাল একটা উপকার করলে তুমি। একটু বসো, আকাশের সাথে গল্প করো। আমি নাস্তাটা নিয়ে আসি।”

নীহারিকা চলে যেতেই আকাশ টুকটুক করে ওদের অফিসের গল্প শোনে। আহিরের সব গল্পই শেষ হয় নীহারিকাকে দিয়ে। ওর গলার স্বরের উঠানামা টের পায় আকাশ।

একটু পরই নীহারিকা নাস্তা নিয়ে আসে, প্রথমে নক্ষত্রের রুমে নাস্তা দিয়ে আসে। তারপর ওদের নাস্তাটা দেয়। আহির নীহারিকার বানানো লুচি আর আলুর দম মুখে দিয়েই বলে, “আহ, কতদিন পর এমন স্বাদের খাবার খেলাম। নীহারিকা তোমার হাতে যাদু আছে।”

নীহারিকাও দুষ্টুমি করে বলে, “যাদু আমার হাতে না, যাদু আছে তোমার মুখে। তাই এই পচা লুচিও ভালো লাগছে।”

আহিরও জোরে হেসে ওঠে। একটু পর পরই ওরা দু’জন নানা দুষ্টুমিতে মেতে ওঠে। আকাশ খেতে খেতে বুঝতে পারে ওদের দু’জনের সম্পর্কটা খুব দুষ্টুমির।

গল্প শেষে আহির উঠে দাঁড়ায় যাবার জন্য, আকাশও উঠে দাঁড়িয়ে আন্দাজে হাত বাড়ায়। আহির কাছে এসে আকাশের হাতটা ধরে। আকাশ আহিরের হাতটা চেপে ধরে আরো কাছে এসে ওর কাঁধে হাত চাপড়ে বলে, “আহির, অনেক ধন্যবাদ। তুমি প্রায়ই আমাদের অনেক কাজে সাহায্য করো। এসো মাঝে মাঝে।”

বলতে বলতে হঠাৎ একটা পরিচিত পারফিউমের ঘ্রাণ পায়, সেই ব্যুলগারি, ম্যান ইন ব্ল্যাক, মাথাটা ঝিমঝিম করে ওঠে। আকাশ আস্তে আস্তে হাতটা ছাড়িয়ে নিতেই আহির বলে, “আরে আকাশ ভাই, কী যে বলেন। এটা তো আমার দায়িত্ব।”

নীহারিকা আহিরকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসে। তারপর এসে সোজা রান্নাঘরে চলে যায় রাতের রান্না করতে। আজ মনটা নিশ্চিন্ত লাগছে, নক্ষত্রের ম্যাথ টিচার শেষ পর্যন্ত পাওয়া গেল।

এদিকে আকাশ হাতড়ে হাতড়ে ব্যালকনিতে চলে এসে চুপ করে বসে থাকে। কোথায় যেন কামিনী ফুল ফুটেছে, মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে। আচ্ছা, নীহারিকা কী আহিরের সাথে…. নাহ, ভাবনাটা ভাবতেই চাই না। এমন যখন ভাবছে ঠিক তখন পিঠে আলতো একটা স্পর্শ পায়, আকাশ চমকে উঠতেই নীহারিকা নরম গলায় বলে, “কী হয়েছে, আমার আকাশের আজ মন খারাপ কেন? আমি আজ ভীষণ খুশি, নক্ষত্র এবার থেকে অংকে আর খারাপ করবে না। কিন্তু তুমি এখানে চুপ করে বসে আছো কেনো?”

নীহারিকার হাতের স্পর্শে আকাশের মনের সন্দেহগুলো শরতের মেঘের মতো ভেসে উড়ে যায়। ভীষণ ভালো লাগায় মনটা ভরে ওঠে। প্রিয় মানুষের এমন একটু ছোঁয়া যেন ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

এর কিছুদিন পর একদিন নীহারিকা অফিস থেকে ফিরে এসে মুখ গোমড়া করে বলে, “আমার অফিস থেকে আগামী শুক্রবার তিনদিনের জন্য ঢাকার বাইরে যেতে হবে। চিটাগং এ আমাদের একটা সেমিনার আছে, কিন্তু আমি যাব কী করে?”

আকাশ উৎসাহের সাথে বলে, “কেন, যেতে অসুবিধে কোথায়? আমি আর নক্ষত্র ঠিক সামলে নেব। আর শুক্র, শনি তো ওর স্কুল বন্ধ। শুধু রবিবার ঝামেলা। একদিন না হয় নাই গেল।”

নীহারিকা চিন্তিত গলায় বলে, “কিন্তু, তোমাদের খাওয়া দাওয়া? আমি না হয় বেশি করে চিকেন, বিফ ভুনা করে দিয়ে যেতে পারব। কিন্তু ভাতটা?”

আকাশ ওকে আশ্বস্ত করে, বলে, “আরে, আমি আর নক্ষত্র ঠিক রাইস কুকারে ভাত রান্না করে নেব। তুমি অযথা চিন্তা করো না। আর জামাল তো আছেই, ওকে বললে ও টুকটাক করে দেবে।”

এবার নক্ষত্র হাততালি দিয়ে বলে, “মা, আমি আর বাবা মিলে পিকনিক করব, পারব আমরা। তুমি যাও।”

নীহারিকা চোখ পাকিয়ে বলে, “জ্বী, আপনার তো খুব মজা। শোন, আর যাই করো, পড়াশোনায় ফাঁকি দেওয়া যাবে না। আমি ফোনে খবর নেব সবসময়।”

দেখতে দেখতে নীহারিকার যাবার দিন চলে আসে। নীহারিকা পই পই করে সব বুঝিয়ে দিয়ে যায়, কোথায় কোনটা আছে। আকাশ ওকে আশ্বস্ত করে যে সব ঠিক থাকবে, ও নিশ্চিন্তে ঘুরে আসুক।

নীহারিকা চলে যেতেই আকাশ চটুল গলায় বলে, “নক্ষত্র, আজ রাতে কিন্তু আমার সাথে ভাত রান্না করতে হবে। আর কী কী খেতে চাস, শুধু আমাকে বলবি, ঠিক বানিয়ে দেব।”

সেদিন রাতে নক্ষত্র মহাউৎসাহে বাবাকে ভাত রান্না করতে সাহায্য করে। বাবার কথামতো চাল মেপে একটা ছোট বোলে রাখে। এবার আকাশ পানি দিয়ে চালটা ধুয়ে ফেলে। তারপর চালটা রাইস কুকারে ঢেলে পানি দিয়ে ঢাকনা বন্ধ করে। কিছুক্ষণ পর যখন ভাতটা হয়ে যায় তখন নক্ষত্র বলে, “বাবা, ভাত রান্না তো খুব সহজ। কাল থেকে আমিই রান্না করব।”

নক্ষত্রের কথা শেষ হতে না হতেই নীহারিকার ফোন আসে। ভাত রান্না হয়ে গেছে শুনে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তারপর খুটিয়ে খুটিয়ে সারাদিন ওরা কী করল সব জেনে নেয়। নক্ষত্রের পড়াশোনার খবর নেয়, আজ কী কী পড়ল। ফোনটা রাখার একটু আগে হঠাৎ একটা গলা শুনতে পায় আকাশ, “এই নীহারিকা ডিনার করবে না, আসো”, গলাটা আহিরের, চিনতে পারে আকাশ।

নীহারিকা এবার তাড়াহুড়ো করে বলে, ” আকাশ আমি রাখছি, সবাই ডিনারের জন্য ডাকছে। তোমাকে রাতে আবার ফোন দেব।”

আকাশের মনটা কোথায় যেন একটা গোত্তা খায়, আহির…।

সেদিন রাতে সব গুছিয়ে নক্ষত্রকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আকাশ যখন ফোন করে, নীহারিকা ফোনটা ধরে না। পনের মিনিট পর নীহারিকার ফোনটা আসে, “সরি, আমি বাথরুমে ছিলাম। গোসলটা করে নিলাম, সকালে তাড়াহুড়ো আছে। নক্ষত্র ঘুমিয়ে পড়েছে?”

আকাশ একটা ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলে, “হ্যাঁ, ঘুমিয়ে পড়েছে। তোমার ডিনার কেমন হলো?”

নীহারিকা হেসে বলে, “খুব মজা হয়েছে আজ। সবাই মিলে আজ আহিরকে সিল দিয়েছি, আজকের ডিনারের বিল ওকে গছিয়ে দিয়েছি।”

আকাশের মনটা খারাপ হয়ে যায়, একটু হেসে বলে, “যাক, মজা হলে তো খুব ভালো। আমি ঘুমিয়ে পড়ব নীহারিকা, তুমি ঘুমোবে এখন?”

নীহারিকা ক্লান্ত গলায় বলে, “হ্যাঁ, ভীষণ ক্লান্ত লাগছে। কাল সারাদিন খুব বেশি ফোন দিতে পারব না, সাবধানে থেকো।”

নীহারিকা ফোনটা রেখে দেবার পর আকাশ চুপ করে বসে থাকে, কেন যেন মনটা খারাপ লাগছে। বেশ বুঝতে পারছে আজ রাতেও ওর ঘুম আসবে না। আচ্ছা, অন্ধ হয়ে যাবার পর ও কী হীনমন্যতায় ভুগছে? শুধু শুধু নীহারিকাকে সন্দেহ করছে?

পরদিন ওরা বাপ বেটা মিলে রান্না করে, নিচের দারোয়ান জামাল এসে ডিম ভেজে দিয়ে যায়। নীহারিকা মাঝে মাঝেই ফোন করে খবর নেয়।

দুপুরে খেয়েদেয়ে নক্ষত্র যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন আকাশ এসে এফএম রেডিওটা খুলে গান শুনতে থাকে। হঠাৎ একটা কথা মনে হতেই আকাশ উঠে বসে, চুপ করে কিছুক্ষণ ভাবে। কাজটা করবে কি না ভাবছে, খুব দ্বিধা লাগছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছোটলোক মনটাই জয়ী হয়।

বাসার টি এন্ড টি সেটটা হাত নেয়, এতদিনে ও না দেখেই নম্বর টেপা শিখে গেছে। একটু ভেবে নীহারিকার অফিসের নম্বরটা মনে করে, তারপর কাঁপা কাঁপা হাতে ডায়াল করে, “হ্যালো, মিস. নীহারিকা আছে? ওনার একটা পার্সেল ছিল।”

ওপাশ থেকে একজন বলেন, “সরি, উনি ছুটিতে দেশের বাড়ি গেছেন, ক’দিন পর আসুন।”

আকাশের মাথাটা কাজ করছে না, নীহারিকা ছুটিতে দেশের বাড়ি গেছে কথাটার মানে কী? নীহারিকা তো অফিসের কাজে চিটাগং গেছে। তার মানে নীহারিকা ওকে মিথ্যে বলেছে? নীহারিকা কী আহিরের সাথে কোথাও গেছে? মাথাটা দপদপ করছে আকাশের, হাত পা কেমন যেনো দূর্বল হয়ে আসছে। ওর নীহারিকা ওর আকাশ ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাচ্ছে!!? যে নীহারিকা ওকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সেই নীহারিকা চলে যাবে?

আকাশ ভাবে এখুনি নীহারিকাকে ও ফোন করবে, জানতে চাইবে ও কোথায়। ফোন করতে যেয়েও হাতটা থেমে যায়। হঠাৎ একটা কথা মনে হয়, নীহারিকা যদি সব স্বীকার করে নেয়? যদি বলে আহিরকেই ও চায় জীবনে? নক্ষত্রকেও যদি সাথে নিয়ে যায়!? তখন এই পৃথিবীতে ও বাঁচবে কী করে, এই একাকী অন্ধকার জীবনটা ও টেনে নিয়ে যাবে কী করে? ভীষণ দিশেহারা বোধ করে আকাশ, নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় আজ। নাহ, নীহারিকাকে কিছু জিজ্ঞেস করা ঠিক হবে না। আকাশ ভীষণ স্বার্থপরের মতো ভাবে, এমন করেই সব মেনে নিতে হবে হয়ত।

আজ নীহারিকা বাসায় ফিরবে, সকালেই ফোনে জানিয়েছে বিকেল হয়ে যাবে। নক্ষত্র খুব খুশি আজ। কিন্তু আকাশের মনে আজ যেন শ্রাবণের মেঘ ভর করেছে, ও কিছুতেই মনটা ভালো করতে পারছে না। এমন এক বুক কষ্ট নিয়ে ও কেমন করে বেঁচে থাকবে আগামী দিনগুলো?

(চলবে)

মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান সুবাস
শিমুলতলী, গাজীপুর
২১/০৬/২১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here