বৈধ_দৃষ্টি #পর্বঃ২০ #ফাতেমা_জান্নাত

0
290

#বৈধ_দৃষ্টি
#পর্বঃ২০
#ফাতেমা_জান্নাত

—নিজে এর স্ত্রী কে নিজের হালাল ছোঁয়া দেওয়ার আগে কি কোনো গায়রে মাহরম এর ছোঁয়া দেওয়া টা -ই উত্তম মনে হয় আপনাদের কাছে?

পিছন ফিরে সাফওয়ান এর কথা শুনে অবাক হয়ে যায় সুবর্ণার স্বামী জাবের।জাবের ফোনে কথা বল ছিলো অন্য দিকে ফিরে।যখনি কথা বলা শেষ করে ফোন টা পকেটে ঢুকায়,ঠিক সেই মুহূর্তে সাফওয়ান এসে জাবের কে কথা টা বলে।সাফওয়ান কথা শুনে জাবের ভড়কে যায়।সাফওয়ান এর কথা হয়তো তার বোধগম্য হলো না।তাই দুই ভ্রু কুঁচকে ফেলে সাফওয়ান কে বলে উঠে,

—ঠিক বুঝতে পারিনি ভাইয়া। কি বলছেন আর কি বুঝাতে চাইছেন আপনি?

সাফওয়ান ও কোনো রকম এর বণীতা না করে সহজ ভাবে বলে দিলো,

—বিয়ে টা তো আপনি করেছেন। তবে সুবর্ণা কে কেন আপনার বোনের স্বামী কোলে করে গাড়ি তে তুলবে?ওর কি পা নেই?সুবর্ণা কি হেটে এসে গাড়ি তে উঠতে পারবে না?তারপরে ও বউ কে কোলে করে গাড়ি তে তোলা যদি আপনাদের রেওয়াজ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি আছেন কেন?আপনি ওকে কোলে নিয়ে গাড়ি তে তুলতে পারবেন না?আপনার বোন জামাই কে কেন তুলতে হবে?

সাফওয়ান এর কথায় জাবের কিছুক্ষণ স্তব্ধ থাকে।বেশ খানিক ক্ষণ কিছু একটা ভেবে জাবের স্বগতোক্তি করে বলে,

—আপনি হঠাৎ এসব কথা কেন বলছেন ভাইয়া? মানে এমন কিছু কি হয়েছে ভিতরে?

সাফওয়ান কণ্ঠ আরেকটু কঠিন করে,জাবের এর তাকিয়ে বলে উঠে,

—কি হয়নি সেটা বলুন?আপনার চাচাতো ভাই এর বউ বলছে,সুবর্ণা কে আপনার বোন জামাই কোলে করে গাড়ি তে নিয়ে তুলতে। এসব কেমন নিয়ম বলুন আমায়?ননদ জামাই একটা মেয়ের জন্য গায়রে মাহরম। আর তার ছোঁয়া না কি মেয়ে টা তার শরীরে লাগাবে?নাউজুবিল্লা!এসব বাজে নিয়ম কে কি আপনি সাপোর্ট করবেন ভাইয়া? দেখুন আপনি যে টা বলবেন।যে টা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটাই সবাই বলবে এবং মানবে।এখন আপনি -ই ভালো জানেন আপনি আপনার স্ত্রী কে পর্দার মাঝে গায়রে মাহরম দের আড়ালে রাখবেন নাকি প্রকাশ্যে আনবেন সবার।তবে একটা কথা সুবর্ণা যদি আজ তার এত দিন এর পর্দা থেকে বেরিয়ে আসে শুধু মাত্র আপনাদের বা আপনার জন্য।তবে হাশর এর ময়দানে আপনা কে এর জন্য কঠিন জবাব দিহি করতে হবে।দাইউস নামে কিন্তু আপনি ও পরিচিত হয়ে যাবেন।এখন আপনি যেটা সিদ্ধান্ত নিবেন সেটা- ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে ধরা হবে।সাজের রুমে সবাই কে এটাই বলা হয়েছে।সব কিছু এখন আপনার উপর ডিপেন্ড করছে।

সাফওয়ান থামে জাবের কে কথা গুলো বলে।জাবের কিছুক্ষণ দৃষ্টি নিচের দিকে নত রাখে।সেকেন্ড কয়েক যেতে -ই জাবের সাফওয়ান এর দিকে তাকিয়ে স্মিত হেসে বলে,

—ভাইয়া আমি বিয়ের আগে সুবর্ণার সাথে কথা বলে নিয়ে ছিলাম।ওকে কথা দিয়ে ছিলাম আমার ফ্যামিলি যেমনি হোক না কেন?ওর পর্দা করা তে কখনো আমি বাঁধা দিবো না।সুবর্ণা নিজ এর পর্দার করার পথে অটল থাকবে।দরকার হলে আমি ওকে সাহায্য করবো পর্দা করতে। তাহলে আমি সেই কথার খেলাফ করে এখন কি ভাবে আমার স্ত্রীর শরীরে আমার হালাল ছোঁয়া দেওয়ার আগে- ই অন্যের হারাম ছোঁয়া দিতে দিই।আমাদের বাড়ি তে এই নিয়ম টার কথা উঠে ছিলো। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ বারণ করে ছিলাম সকল কে।যাতে এমন কোনো নিয়ম এর কথা না আসে।কিন্তু এখন যে আবার আমার চাচাতো ভাই এর বউ এই নিয়ম এর কথা তুলবে আমি জানতাম না।চিন্তা করবেন না।আমি আমার মা বোন কে পর্দার মাঝে রাখতে পারিনি এটা আমার ব্যর্থতা। কিন্তু আমার স্ত্রী কে পর্দার মাঝে- ই আগলে রাখবো ইনশাল্লাহ।আর এখন যাওয়ার সময় ও আমি সুবর্ণা কে বোরকা পড়েই নিবো।এসব নিয়ে সুবর্ণার সাথে আমার কথা হয়ে ছিলো কাবিন এর পরে।আপনি একটু কাউ কে দিয়ে আমার মা কে বলবেন, “আমি ডাকছে তাকে”।আর খবর দিয়ে দিবেন ভিতরে যে, “জাবের বলেছে তার স্ত্রী কে সে বোরকা পরিয়ে নিবে এবং কোনো প্রকার এর নিয়ম মানা হবে না।এই কথার যাতে হেরফের না হয়”।

সাফওয়ান জাবের এর থেকে সুবর্ণার পর্দা করা নিয়ে সম্মতি সূচক উত্তর পেয়ে খুশি হলো।আর যাই হোক হাজবেন্ড তো ঠিক আছে সুবর্ণার।এতে-ই যথেষ্ট।সাফওয়ান জাবের এর দিকে এক হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে,

—আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকলে মাফ করবেন ভাইয়া। আসলে এরকম নিয়ম কানুন এসব কথা শুনে একটু রা’গ উঠে গিয়ে ছিলো।

সাফওয়ান এর কথার প্রতি উত্তরে জাবের হেসে দেয়।বিনয়ী স্বরে বলে,

—না না ভাইয়া। কষ্ট পাইনি।আপনা কে ধন্যবাদ আমাকে এসে জানানোর জন্য।না হলে তো আমি কিছু- ই জানতে পারতে না।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।

—আসছি ভাই।আসসালামু আলাইকুম।

সাফওয়ান সেখান থেকে প্রস্থান নেয়।সোজা চলে যায় নিজে দের রুমে।রাফিয়া রুমেই বসে ছিলো। সাফওয়ান কে আসতে দেখে- ই রাফিয়া তড়িৎ গতি তে উঠে এসে সাফওয়ান এর পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলে,

—সুবর্ণার স্বামী কি বলেছে?

সাফওয়ান থমথমে মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।যা দেখে রাফিয়ার ভিতর টা মৃদু কেঁপে উঠলো।তবে কি তার বোন টার আর পর্দার আড়ালে থাকা হবে না?নিজে কে কি গায়রে মাহরম দের নজর থেকে হেফাজত করতে পারবে না?এখানেই কি শেষ? আল্লাহ কি কিছু একটা করবে না?

রাফিয়া কে স্তব্ধীকৃত হতে দেখে সাফওয়ান ফিক করে হেসে দেয়।সাফওয়ান এর হাসি দেখে রাফিয়া ভ্রু কুঁচকে তাকায়।সাফওয়ান এর এভাবে হাসার মানে টা বোধহয় রাফিয়ার বোধগম্য হলো না।তাই আশ্চর্যান্বিত চাহনি নিয়ে সাফওয়ান কে সুধাল,

—এভাবে হাসছেন কেন?

রাফিয়া কে আরেকটু অবাক করার জন্য সাফওয়ান হেসে বলে,

—মনে রঙ লেগেছে রাফিয়া।

সাফওয়ান এর এই কথা শুনে রাফিয়া আগের তুলনায় অনেক বেশি অবাক হলো।এই লোক কে পাঠালো কি কাজে?আর এসে এখানে বলছে কি?রাফিয়া আগের ন্যায় দৃষ্টি নিবদ্ধ করে সাফওয়ান কে বলে,

—আপনাকে পাঠিয়েছি কি কাজে?আর আপনি মনে রঙ লাগিয়ে নিয়ে এসেছেন? কিসের জন্য আপনার মনে এত রঙ লেগেছে?

—বউ কে একটা আদর দেওয়ার জন্য মনে রঙ লেগেছে।যদি দিতে পারতাম তাহলে রঙ তা আরো গাড়ো হতো।

সাফওয়ান এর কথা শুনে রাফিয়া চোখ বড় বড় করে তাকায়।এই লোকে এমন কথা বলা শুরু কোথা থেকে।বাইরে যাওয়ার সময় -ই তো তিনবার দিয়ে গেছে দুই গালে আর কপালে।এখন আবার আবদার করছে আবার অধর যুগোল এর ছোঁয়া দিতে?

সাফওয়ান এর কথা টা কে গুরুত্ব না দিয়ে রাফিয়া বলে উঠে,

—আপনাকে আমি কি দায়িত্ব দিয়ে ছিলাম? ওখানে সবাই বসে আছে বউ নেওয়ার জন্য।আর আপনি এখানে আবদার জুড়িয়ে দিয়েছেন কাজের কাজ না করে?আপনাকে এই কাজ তা দেওয়া টাই আমার ভুল হয়েছে।

বলে -ই রাফিয়া যেতে নিলে সাফওয়ান রাফিয়ার হাত টেনে ধরে নিজের কাছে এনে জড়িয়ে ধরে পিছন থেকে।রাফিয়ার মাথায় নিজের অধর যুগোল এর ছোঁয়া দেয়।রাফিয়ার ঘাড়ে ওষ্ঠদ্বয় এর নরম স্পর্শ দেয়।আরো একবার রাফিয়ার রন্ধ্রে রন্ধ্রে আ’ন্দোলন শুরু হয় সাফওয়ান এর ছোঁয়ায়।শিরা দিয়ে র’ক্ত যেন অধিক দ্রুত প্রবাহিত হয়ে শুরু করেছে।অন্য রকম শিহরণ এর জানান দিচ্ছে অঙ্গে। রাফিয়া নিজে কে ধাতস্থ করে সাফওয়ান এর দিকে তাকিয়ে বলে,

—বলুন না সুবর্ণার স্বামী কি বলেছে?

—বলবো তো।

—বলুন।

সাফওয়ান রাফিয়ার কোমড় জড়িয়ে রেখে- ই রাফিয়া কে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে রাফিয়া চোখে তে দৃষ্টি রেখে বলে,

—আগে আমার কপালে আপনার ওই ওষ্ঠ যুগোল এর একটা ছোঁয়া দিন।তারপরে বলবো।

—আপনি বাচ্চা দের মতো এসব কি শুরু করেছেন?

—বাচ্চারা এমন বায়না ধরে নাকি রাফিয়া?

—আপনি বলবেন আপনাকে যেটা জিজ্ঞেস করেছি?

—বলবো তো।আগে আদর দিন।

—আগে বলুন সুবর্ণার স্বামী কি বলেছে।তারপর নাহয় দিবো।

—সত্যি?

—সত্যি।

—আচ্ছা বলছি।সুবর্ণার স্বামীর মতামত আমাদের সাথে মিলে গেছে।মানে জাবের ও বলেছে সুবর্ণা কে সে যথেষ্ট পর্দার মধ্যে রাখবে ইনশাল্লাহ। সে তার ফ্যামিলি কে বলবে সুবর্ণা কে যেনো পর্দা করতে বাঁধা দেওয়া না হয়।সুবর্ণা কে যেনো কোনো প্রকার পোর্স না করা হয় সেটা জাবের নিজে দেখবে।সে সুবর্ণা কে পর্দা করতে দরকার হলে সাহায্য করবে।অনুপ্রেরণা দিবে ইসলামের পথে চলতে।আলহামদুলিল্লাহ।

—আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ!আলহামদুলিল্লাহ!

—আলহামদুলিল্লাহ আমার বউ ও এখন আমাকে আদর দিবে।

সাফওয়ান মুখোচ্চরিত “আদর” এর কথা শুনে -ই রাফিয়ার মুখের হাসি মিলিয়ে গেলো।উধাও হলো মুখ থেকে হাসির রেখা।সে তো মেয়ে।তার তো লজ্জা করে তাই না?রাফিয়া তো আর সাফওয়ান না যে হুটহাট করে এসে- ই আদর দিয়ে দিতে পারবে।তার মাঝে তো লজ্জারা এসে ভর করে তাই না?কিন্তু এটা সাফওয়ান কে কি ভাবে বুঝাবে রাফিয়া। অনেক দ্বিধা দ্বন্ধে রাফিয়া অক্ষি যুগোল বন্ধ করে সাফওয়ান এর কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে-ই দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায় রুম থেকে।

সাফওয়ান রাফিয়ার যাওয়ার পানে তাকিয়ে মুচকি হেসে দেয়।আনমনে কপালে হাত দেয়।ঠিক যে জায়গায় রাফিয়ার ঠোঁটের স্পর্শ লেগেছে সেখানে।কপাল থেকে হাত তা সরিয়ে আবার নিজের সামনে এনে হেসে দিয়ে হাত এর মধ্যে আবার নিজের ঠোঁটের ছোঁয়া দেয়।

সাফওয়ান হেসে দিয়ে নিজে নিজে বলে,

—সাইফ ভাইয়া আমার জন্য রত্ন রেখে গেছে।আল্লাহ আমাকে সম্পূর্ণ রত্নে মুড়ানো একটা নেয়ামত দিয়েছে।আলহামদুলিল্লাহ!আলহামদুলিল্লাহ!আলহামদুলিল্লাহ!

সাফওয়ান ও ঘর থেকে বের হয়ে নিচের দিকে যায়।সাফওয়ান নিচে যেতেই দেখে জাবের সুবর্ণা কে কোলে তুলে বাইরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।আর সুবর্ণা ও বোরকা পরা।নিকাব দিয়ে মুখ ও ঢাকা। সাফওয়ান তাকিয়ে দেখে যে রাফিয়া দূরে একটা রুম এর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।সাফওয়ান ধীর পায়ে সবার আড়ালে রাফিয়ার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। রাফিয়ার কান এর ফু দিতে-ই রাফিয়া চমকে পিছনে তাকায়।সাফওয়ান কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বড় একটা নিশ্বাস ত্যাগ করে।সাফওয়ান রাফিয়ার কানে কানে বলে,

—কি দেখ ছিলেন রাফিয়া?

—সুবর্ণার শাশুড়ির মুখ আর সুবর্ণার চাচাতো জা এর মুখ।দুই জন এর মুখ যেনো কালো মেঘের অন্ধকারে ঢেকে আছে।

—তা তো হওয়ার -ই কথা ছিলো।

—কেন?

—জাবের যে তার মা কে ডেকে নিয়েছে।হয়তো সুবর্ণার পর্দার ব্যাপারে কিছু বলেছে।তাই মুখ এর এই অবস্থা। একমাত্র ছেলে সেই জন্য কিছু হয়তো বলতে ও পারছে না ছেলে কে।

—আল্লাহ রাজি ছিলো বিধায় হয়তো জাবের অন্য ধাঁচের আর পর্দা করাটা সাপোর্ট করে।

—হুম।যেমন আল্লাহ রাজি ছিলো বিধায় আমাদের বিয়ে হয়েছে।আবার আল্লাহ রাজি থাকলে ইনশাল্লাহ আমাদের দুই জনের একটা অংশ আসবে পৃথিবীতে।আমাদের পরিবারে।তাই না রাফিয়া?

সাফওয়ান এর কথায় রাফিয়া লজ্জা পেলো।মুখে র’ক্তিম আভা ছড়িয়ে গেলো।কালো মেয়েটার মুখে র’ক্তিম আভাটা স্পষ্ট না দেখা গেলে ও সাফওয়ান যেন বেশ দেখতে পাচ্ছে।সাফওয়ান এর ভালো লাগলো লজ্জাবতী রাফিয়া কে দেখতে।রাফিয়া কে বরাবর এর চাইতে এখন যেন একটু বেশি- ই সুন্দর লাগলো বলে মনে হলো সাফওয়ান এর কাছে।রাফিয়া কে এভাবে লজ্জা পেতে দেখে সাফওয়ান এর মাঝে এক অদম্য ইচ্ছা জেগে উঠলো। সাফওয়ান চার দিকে একবার চোখ ভুলিয়ে দেখে নিলো আশে পাশে কেউ আছে কিনা?না,কেউ নেই।সবাই বাইরে।সাফওয়ান জানালা দিয়ে একবার আকাশ এর দিকে তাকালো।আকাশে মস্ত বড় চাঁদ উঠেছে।এখনো পুরো পুরি ভাবে অন্ধকার নামেনি ধরণী তে।মাগরিব এর আযান এর সুর এসে বা’রি লাগলো কানে।সাফওয়ান আশেপাশে কাউ কে না দেখে টুপ করে রাফিয়ার ডান গালে আদর দিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে হেটে যাচ্ছে।আর যেতে যেতেই দুই ঠোঁট নাড়িয়ে গেয়ে উঠে,

‘‘তুমি আমার চাঁদের আলো,আধাঁর রাতের ভরা পূর্ণিমা..,
ওই চাঁদ ও বুঝি পাই গো শরম,যখন দেখে তোমারি জোসনা..!!’’

রাফিয়া গালে হাত দিয়ে হাসি দিয়ে নামাজ পড়তে রুমের দিকে চলে যায়।

চলবে ইনশাল্লাহ

ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। আসসালামু আলাইকুম।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here