#যে_বর্ষণে_প্রেমের_ছোঁয়া
#আনিশা_সাবিহা
পর্ব ২৪
সদর টিনের দরজায় সজোরে আ/ঘাত করল মোহ। মেঘের গুড়গুড় আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। সামান্য ফোঁটা বৃষ্টি পড়ছে। ইথানের গায়ে বৃষ্টি পড়লেই ঠাণ্ডা লাগার ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। অনেক সময় অপেক্ষা করার পর দরজার ওপাশ থেকে ছিটকিনি খোলার শব্দ শোনা গেল। দরজা দুদিকে সরিয়ে দিয়ে লাঠি হাতে এক বৃদ্ধা মহিলা প্রচণ্ড খুশি হয়ে প্রফুল্লের সাথে বলে উঠলেন,
“কে আইছে গো! আমার সুন্দরী আইছে। আমার একমাত্র নাতনি আইছে।”
রাবেয়া বেগম অর্থাৎ নিজের দাদীমার এত আনন্দ দেখে না হেসে পারল না মোহ। ফিক করে হেসে এগিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরল মানুষটিকে। সালাম দিয়ে বলল,
“কেমন আছো দাদীজান!”
“ভালো আর থাকি কোথায়! একা একা কী আর ভালো লাগে? এহন তোরে দেইখা খুশিতে মন নাইচা উঠছে।”
রাবেয়া বেগমের কথার উত্তরে মোহ ফট করে মজা করে বলে দিলো,
“আবার সত্যি নাচ শুরু করো না এই বয়সে। কোমড় ভেঙে যাবে।”
“ভাইঙা গেলে তুই সেবা করবি। দেহি তোর মুখখানা! কেমন শুকাইয়া গেছস৷ কিছু খাস না? পাটকাঠির মতো হইতেছিস ক্যান? মাইয়া মানুষ একটু মোটাসোটা না হইলে হয়?”
“এইযে তোমার বাড়ি এসেছি। এখন তুমি ভালো মন্দ খাওয়াবে। আর আমি মোটা হবো।”
রাবেয়া বেগম আয়েশ ভঙ্গিতে বললেন,
“তা তো খাওয়ামুই। তোর পোলাডা কেমন আছে? কেমন আছো বাবু?”
ইথানও অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে সালাম দিয়ে বলল,
“আমি তো ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?”
রাবেয়া বেগম ইথানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে সালাম নিয়ে বলল,
“এইতো ভালো, ভালো। আসো ভিতরে আসো তোমরা। বৃষ্টি আইব।”
রাবেয়া বেগমের পিছু পিছু সদর দরজা পেরিয়ে উঠোনে প্রবেশ করে মোহ আর ইথান। উঠোনের ডান পাশে মাটির চুলাসহ রান্নাবান্না করার জন্য ছাউনি দেওয়া। সামনে যেতেই দেখল ইটের পাকা বাড়ি। দুই বছর আগেই মাটির বাড়ি ভেঙে ইটের বাড়ি তৈরি করা হয়েছে৷ প্রায় বহুদিন পর গ্রামের বাড়ির নিজের ঘরে পা রাখল মোহ। তার দাদী পরিষ্কার রেখেছে সব কিছুই৷ ব্যাগ বিছানায় রেখে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল সে।
দুপুরের খাবার খেয়ে দরজা খুলে দরজার কাছে বসলেন রাবেয়া বেগম। হাতের ছোটো বাটিটা রেখে তাতে তেল ঢেলে হাক ছেড়ে ডাকলেন নাতনীকে।
“মোহ! এই মাইয়া! এই আয় দেখি।”
মোহ ক্লান্ত শরীরে পা রাখে বারান্দায়। ঝুম বৃষ্টি প্রকৃতিকে ম্লান করে তুলছে। বাতাসের চোটে বাঁকা হয়ে আসছে বৃষ্টির ঝাঁপটা। মোহ দাদীর কাছে গিয়ে বসল। রাবেয়া বেগম যত্ন করে মোহের আঁকাবাঁকা ঢেউ খেলানোর ন্যায় চুলে হাত দিয়ে তেল দিয়ে দিতে দিতে বললেন,
“তেলও তো দিস না চুলে। কী করছস এগুলা চুলের?”
“ঘরে-বাইরে যেতে হয় দাদীজান। তখন তেল কে দেয়?”
“হ বুঝি তোগো মতো মাইয়াগো শখ! বাইরে ফ্যাশন কইরা চুল খুইলা যাবি আর পোলাদের দেখাবি।”
মোহ ফিক করে হেসে দেয়। বলে,
“কী এসব বলো দাদীজান? তা এসব তুমি জানো কীভাবে? নিশ্চয় তুমিও এসব করেছ এককালে!”
“আমাদের সময় এগুলা শ্যাম্পু ট্যাম্পু আছিল? তেল দিয়াই ঘুরতাম। আমি যা করছি তা করছিই। তুমি কী করতাছ?”
মোহের কপাল কুঁচকে এলো রাবেয়া বেগমের এ কথায়। দাদীর দিকে ঘুরে সামনাসামনি বসল সে। উৎসুক হয়ে জানতে চাইল,
“কী করেছি?”
রাবেয়া বেগম নির্লিপ্তে বললেন,
“সবই শুনছি আমি। এইহানে তোর মা তোরে কী জন্য পাঠাইছে আমি জানি। মন্ত্রীর পোলাডারে কী তোর ভাল্লাগে? ভালোবাসছ?”
ধুকপুকানি বাড়ল মোহের শরীরের অভ্যন্তরে থাকা সেই ছোট্ট হৃদয়ের। যেন হৃদয় দাদীজানের কথা শুনে নিয়েছে। বাহিরের প্রকৃতির শীতলতা ছাড়িয়ে সর্বাঙ্গে শীতলতায় হিম হয়ে এলো মোহ। ঢক গিলে নিজেকে শক্ত রাখার বৃথা চেষ্টায় বলল,
“ভালোবাসার কথা কোত্থেকে আসছে দাদীজান? ওসব কিছু না। কিন্তু জানি না কেমন যেন করে সবসময় ওই লোকের সামনে গিয়ে পড়ি। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে উনার নিকটস্থ থাকা ছাড়া আমার কাছে উপায়ই থাকে না। অন্যদিকে উনার বাবা যিনি সবসময় আমাদের পেছনে উঠেপড়ে লেগে আছেন। জানো তো দাদীজান? উনার বাবা আমার বাবার শিক্ষা নিয়ে কথা তুলেছে, আমার চরিত্র নিয়ে কথা তুলতেও পিছপা হননি।”
“তাতে তোর রাগ হয় নাই?”
“হয়েছে তো। খুব রাগ হয়েছে। রাগে নিজের মাথায় আ/ঘাত করতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু সকালেও ওই স্বচ্ছ নামক ব্যক্তিটির স্বপ্নে যেন বিভোরই হয়ে গেলাম। এরপর মায়ের সাথে কাটাকাটি হলো। বাসে উঠে অনেক ভাবলাম। পরে মনে হলো, মায়ের কাজটা ভুল নয়। বরং আমারই উচিত ছিল একাজটা করা। আমি আর কখনো স্বচ্ছ অথবা উনার পরিবার কারোর মুখোমুখি হতে চাইনা। নিজের পরিবারের সম্মান, নিজের আত্মসম্মান আমার কাছে দামী। সেই দাম রাখতে আমি এজীবনে ইচ্ছাকৃত উনার সামনাসামনি হতে চাইনা। ঘৃণা করতে চাই ভীষণ!”
বেশ মনোযোগের সহিত কথাগুলো শুনে অনেক সময় ধরে থম মেরে বসে রইলেন রাবেয়া বেগম। অতঃপর বললেন,
“ঘৃণা করতে পারবি তো? না পারলে আমারে কইবি। মনে চাইপা রাখবি না। বুঝছস?”
মোহ মলিন হাসল দাদীর কথার প্রতিত্তোরে। হৃদয়ের শীতলতা একটু একটু করে কেটে গিয়ে সেখান থেকে আগুন ছড়াচ্ছে। অপমানের আগুন, মিথ্যে অপবাদের আগুন। সেই আগুন নিজেকে শান্ত করতে হবে।
হাতে ফোন নিয়ে বসে আছে স্বচ্ছ। ভ্রু দুটো অস্বাভাবিকভাবে কুঞ্চিত। চোখেমুখে অধৈর্য একটা ভাব। ফোনের স্ক্রীনে দৃষ্টি অস্থির। কর্ণকুহরে ভেসে এলো বোনের কণ্ঠস্বর। ফিরে তাকাল না সে। ফারাহ গলা ছেড়ে ডাকতে ডাকতে ঘরে আসছে।
“ভাইয়া! মাই ডিয়ার ব্রো! আমার প্রিয় ভ্রাতা! দেখো, আমি তোমার জন্য মায়ের আদেশে স্যুপ এনেছি। খেয়ে উদ্ধার করো দয়া করে।”
ফারাহ ঘরে ঢুকে স্যুপের বাটিটা একেবারে স্বচ্ছের মুখের সামনে ধরতেই এক রাশ বিরক্তি নিয়ে চাইল স্বচ্ছ। ফারাহ সুন্দর হাসি দিয়ে খানিকটা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলল,
“গন্ধটা সুন্দর না বলো? সুন্দর তো হবেই। হওয়ারই কথা। কারণ রান্নাটা তো ফারাহ করেছে।”
“বিচ্ছিরি গন্ধ। একদম তোর ফেসের মতো বিচ্ছিরি। সরা আমার মুখে সামনে থেকে।”
ফারাহ স্যুপের বাটি নিজের কাছে নিয়ে বি/স্ফোরিত গলায় বলল,
“তুমি আমার মতো একা ফ্যাশন ডিজাইনার সঙ্গে এত পাকা একটা শেফকে আন্ডাররেস্টিমেট করছ ভাইয়া? গুণী মানুষের সাথে এমনটা করলে অভিশাপ লাগে কিন্তু।”
স্বচ্ছ এবার চরম বিরক্ত হয়ে ঝাড়ি দিয়ে বলল,
“আহ, ফারাহ! তোমার এসব গুণের কথা আমায় পরে শোনাবে। এখন নয় প্লিজ।”
ফারাহ বেশ তীক্ষ্ণ নজরে ভাইকে দেখল। অতঃপর স্যুপের বাটি রেখে স্বচ্ছের পাশে বসল। বুঝতে পারল তার ভাই কোনো বিষয় নিয়ে অনেকটা চিন্তিত।
“কী হয়েছে? মুখটার এই অবস্থা কেন? মনে হচ্ছে মাত্র প্রেমে ছ্যাঁকা খেলে?”
স্বচ্ছ কিছুটা চুপ থেকে হুট করে প্রশ্ন করে ফেলল,
“আচ্ছা, ফারাহ। তোমরা মেয়েরা সবসময় এমন আচরণ করো কেন বলো তো? যখন ইচ্ছে হয়, কারোর সুন্দর করে সেবাযত্ন করো, খোঁজখবর নাও। আবার ইচ্ছে না হলে সেটা বন্ধ করে দাও। তোমাদের কি কখনো মনে হয় না? তোমাদের সেই খোঁজ নেওয়ার আশায় সেই মানুষটা বসে থাকে?”
ফারাহর চোখেমুখে বিস্ময় আর উত্তেজনা দেখা গেল ভাইয়ের প্রশ্ন শোনার পর। স্বচ্ছের বলিষ্ঠ হাত চেপে ধরে বলল,
“প্রেমে সত্যিই ছ্যাঁকা খেয়ে গেলে নাকি ভাই? কথাবার্তা ব্যর্থ প্রেমিকের মতো ঠেকছে কেন?”
স্বচ্ছ নিজ উত্তর না পেয়ে উল্টো প্রশ্ন শুনে চোখমুখ জড়িয়ে হাত ঝেড়ে বলল,
“আরে আশ্চর্য! প্রেমে ছ্যাঁকা খাব কেন? তাও আবার আমার মতো মানুষ? অদ্ভুত কথাবার্তা বলো তুমি।”
“তাহলে কার কথা বলছ খুলে বলো!”
স্বচ্ছ ঢক গিলে নিলো কথা বলার আগে। মেয়েটার নাম নিতেও যেন বেগ পেতে হয় তার।
“ওইযে ওই মেয়েটা! মোহের কথা বলছিলাম। কাল সে জেনে গেল আমায় হসপিটাল থেকে ছেড়ে দেবে। বাড়ি গিয়ে একবারের জন্যও খোঁজ নিলো না আমার? যে আমি বেঁচে আছি নাকি ম/রে গেছি? কত নিষ্ঠুর তোমাদের নারী জাতির মন! একটা অসুস্থ মানুষের প্রতি সামান্য মায়াও নেই?”
ফারাহর হাসি পেল এবার। হাসি চেপে বলল,
“আচ্ছা! তাহলে ভাই মোহ রানির মোহের বেড়াজালে বাঁধা পড়ছে।”
“তেমন কিছু না। আমি শুধু বোঝার চেষ্টা করছিলাম যে এ আবার কেমন শক্ত মন? আমি হলে একবার তো খোঁজ নিতাম!”
“তো ও খোঁজ নেয়নি তাতে তোমার কী শুনি?”
ফারাহর প্রশ্নে এবার জটিল বাঁধা পড়ল স্বচ্ছ। উসখুস করতে করতে বলল,
“আমার আবার কী? কিছুই না। আমি শুধু বলছি আমার খোঁজ নেওয়া ওর দায়িত্ব! একান্ত দায়িত্ব। আর ও ওর দায়িত্ব অবহেলা করছে।”
“বড়োই অন্যায় করে ফেলেছে। আমার মনে হয় এই অন্যায়ের শা/স্তি একমাত্র মুখোমুখি হলে দিতে পারবে। দেরি কীসের?”
স্বচ্ছ এবার অপ্রস্তুত হয়ে নিজে দায়সারা ভাবে উত্তর দিতে চেষ্টা করল,
“আমার এত দায় কীসের? মোটেও ইচ্ছে নেই ওর মুখোমুখি হওয়ার।”
“তাহলে প্লিজ স্যুপটা খেয়ে বাঁচাও আমায়! আমি পাঁচ মিনিট পর আবার আসছি।”
ফারাহ চলল নিজের কাজে। অন্যদিকে অন্তর যে স্থির হলো না স্বচ্ছের। ফোনের স্ক্রিনের মোহের নম্বরটাকে দেখে কল দিতে চেয়েও রেখে দিলো। সে কেন কল করতে যাবে? করবে না। সেও নি/ষ্ঠুর হয়ে দেখাবে। কিন্তু মন যে মানে না। অস্থিরতা বাড়ে। স্বচ্ছ আনমনে বলে,
“নারী মন নাকি অত্যন্ত কোমল হয়। তোমার শক্ত মন কি একবারও আমার কথা তোমায় মনে করিয়ে দেয় নি মিস মোহ? আমায় অস্থিরতায় ফেলে মজা নিচ্ছো খুব তাই না? সময় আমারও আসবে।”
রাতটা গভীর হয়েছে। ঢাকা শহরে বৃষ্টির বেগ কমলেও একেবারে থামছে না কিছুতেই। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ময়লার স্তুপের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানেই এসে গাড়ি থামায় আরিদ্র। গাড়ির ভেতরে লাইট অন করে হাতের ঘড়িতে সময় দেখে নেয়। ময়লার স্তুপের পাশ দিয়ে যাওয়া গলিতে সূক্ষ্ম দৃষ্টিপাত করে টিপটিপ বৃষ্টিতেই গাড়ি থেকে নেমে আগপাছ না ভেবে গলির ভেতরে ঢুকে যায় সে। একটু হাঁটতেই আসে কাঙ্ক্ষিত জায়গা! নেত্রপল্লব চকচক করে ওঠে তার। চারিদিকে রমনীর ভীড়। প্রতিটা ঘরের দরজায় দুটো করে নারীর লাস্যময়ী দৃষ্টি টানতে বাধ্য করে যেন। নিষিদ্ধপল্লীতে এসে নিজের নিষিদ্ধ ভাবনাগুলো বাস্তবে রূপান্তর করে আরিদ্র। এত নারীর ভিড়েও চারিপাশে চোখ বুলিয়ে খুঁজতে থাকে বিশেষ একজনকে। এমন সময় তার সামনে ছাতা ধরে দাঁড়ায় একটি মধ্যবয়সী নারী। পান চিবুতে চিবুতে বলে,
“মেলা দিন পর দেখা দিলেন স্যার। তবে আপনেরে ভুলি নাই।”
আরিদ্র মৃদু হাসি দিলো।
“ভুলে যাওয়ার কথাও না। সবকিছু ঠিকঠাক চলছে? তোমাদের ব্যবসার কী হাল?”
“সবই চলতেছে জম্পেশ! আপনার কী হাল? চলেন বসেন আমার ঘরে।”
আরিদ্র আর মহিলাটি গিয়ে ঘরে বসল। আরিদ্রকে বসতে দেওয়া হলো চেয়ারে। আরিদ্র প্রশ্ন করে বসল,
“লাস্ট যাকে এখানে দিয়ে গেলাম সে আছে নাকি গেছে?”
“না থাইকা যাবে কই? আছে আছে। এখনো বাজারে ওর দাম মেলা। এইযে একটু আগেই একজন পছন্দ কইরা নিয়া গেল।”
আরিদ্রের মুখে সূক্ষ্ণ হাসির রেখার দেখা মিলল। বিড়বিড়িয়ে বলল,
“মেনে নিয়েছে তাহলে।”
মহিলাটি হেসে হেসে বলল,
“হ্যাঁ, হ্যাঁ।”
মিনিট দশেক গল্প পড়ার পর নূপুরের রিনঝিন আওয়াজ এলো আরিদ্রের কানে। অনুভূত হলো ঘরের দরজা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছে এক রমনী। সেদিক থেকে আসছে কড়া পারফিউমের গন্ধ। এবার নারীটি বলে উঠল,
“হেনা, আজকের জন্য এটা দিয়ে গেল লোকটা।”
আরিদ্রের সাথে গল্প করা মহিলাটি অর্থাৎ এই জায়গার প্রধান তড়িঘড়ি করে টাকা দিয়ে তার কিছু অংশ মেয়েটার হাতে ধরিয়ে দিলো। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল আরিদ্র। মেয়েটি টাকা পেয়ে দ্রুত চলে যেতেই আরিদ্রের চোখে চোখ পড়ল। পুরো শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল তার। হাত থেকে পড়ে গেল টাকা। মুখশ্রীর রঙ পাল্টে গেল। মাথা ঘুরে এলো। একহাতে দেওয়াল ধরে আটকা গলায় বলল,
“আরিদ্র! তুমি!”
চলবে…
[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আর রহস্য এসব নিয়ে খোলাসা করার কথা এখনি বলবেন না। যখন আমি সঠিক বুঝব তখনি সব খোলাসা হবে। তার আগে নয়। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।]