#তুমি_আমি_দুজনে
#লেখিকা_হুমাইরা_হাসান
পর্ব- ৪
সারা শরীর ভিজে একাকার,, তুরা পাইপ বন্ধ করতে না পেরে আহানকে তো ভিজিয়েছেই সাথে নিজেও ভিজে জবজবে হয়ে আছে। আহান হাতের ব্যাগটা ফেলে এগিয়ে গিয়ে মটরের সুইচ টা অফ করতেই পানির প্রবাহ বন্ধ হলো।
তুরা একপাশে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,আর আহান দু’হাত বুকে গুঁজে ওর দিকে ভীষণ শান্ত চোখে চেয়ে আছে। তুরা কিঞ্চিৎ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে নিলো আহানের অবস্থান। লোকটা এক চোখে চেয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে শান্তভাবে। কিন্তু এই নিস্তব্ধতা যে তুফানের আগের আভাস তা তুরা বেশ বুঝতে পারছে।
লম্বা চওড়া শরীর টায় আকাশি রঙের শার্টটা ভিজে লেপ্টে আছে, চুলগুলো দিয়ে পানি টপকে পরছে, হালকা রঙের শার্ট টা বুকে লেপ্টে থাকায় পুরুষালি লোমশ বুকটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ফট করে চোখ সরিয়ে নিলো তুরা।
ঠান্ডা পানিতে ভিজেও তার সারা গাল কেমন গরম হয়ে আসছে।
বুক থেকে হাত নামিয়ে এক পা এক পা করে আগাতে লাগলো আহান, আহানের এগিয়ে আসা দেখেই তুরার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে ,, এখানে আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করলে তার কপালে কি আছে সে নিজেও বলতে পারবে নাহ। পাইপ টা হাত থেকে ছিটকে ফেলে দিয়ে এক ছুটে দৌড় লাগাতেই আহান তুরার হাতটা খপ করে ধরে ফেললো। তুরা ভয়ে রীতিমতো কাঁপছে। লোকটার এমন রেশ পূর্ণ দৃষ্টি দেখে তার ভীষণ অসস্থি হচ্ছে। বারবার হাত মোচড়ামুচড়ি করেও ছুটাতে পারছে নাহ লোহার মতো শক্ত হাতের বন্ধন।
-আহান? কি হয়েছে,তুই এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো
রাইমার ডাক শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাই আহান। আহান সামনে দাঁড়িয়ে থাকায় তুরাকে এতক্ষণ নজরে আসেনি রাইমার।সে ঘুরে দাঁড়াতেই তুরা আর আহানকে এভাবে দেখে ভ্রু যুগল কুচকে আসে রাইমার। এগিয়ে এসে বলে
-এ কি, তোরা দুজনেই ভিজেছিস কি করে
তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে আবারও বললো
-বৃষ্টিও তো হয়নি,তাইলে তোরা দুটিতে এমন জবজবে হলি কি করে
-সেটা এই মেয়েটাকে জিজ্ঞাসা কর, ওকে কে বলেছে বাগানে পানি দিতে,যেটা পারেনা সেটা করতে যায় কেনো? নিজে তো ভিজেছেই আমাকেও ভিজিয়েছে, ওর সাহস কি করে হলো আমার বাগানে ঢুকার!
দাঁতে দাঁত খিঁচিয়ে বললো আহান,,এমন চাপা ধম’কে কেঁপে উঠলো তুরা। রাইমা ব্যাপার টা পুরোপুরি বুঝতে না পারলেও তার ভাই যে হাই লেভেলে ক্ষে’পে গেছে তা বেশ বুঝতে পারছে, তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে গিয়ে তুরাকে এক হাতে ধরে বললো
-আসলে আমিই এনেছিলাম ওকে বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখাতে, ওর কোনো দোষ নেই,ছোট মানুষ বুঝতে পারেনি তুই রাগ করিস না প্লিজ
আহান এখনো মুখটা ভীষণ শক্ত করে রেখেছে, আহানের এমন মুখভঙ্গি দেখে তুরার সাহস হয়নি আবারও চোখ তুলে তাকানোর। রাইমা এবার খানিক তাড়া দিয়ে বললো
-তুই আর দাঁড়িয়ে থাকিস না ভাই,তোর তো ঠান্ডার সমস্যা আছে শিগগির উপরে গিয়ে চেঞ্জ করে নে।
আহান তুরার দিকে একবার তাকিয়েই গটগট করে হাঁটা ধরলো। আহান যেতেই তুরা যেনো হাফ ছেড়ে বাচলো,লোকটা এত রাগী! এইরকম গম্ভীর মানুষ তুরা কখনও দেখেনি। আহান যেতেই রাইমা তুরাকে সামনে দাঁড় করিয়ে বললো
-এইটুকু সময়ের মধ্যেই কি দিয়ে কি করলি বল তো? এসব কি করে ঘটালি
-আসলে আমি ভেবেছিলাম গাছ গুলোতে একটু পানি দেই, গোড়া গুলো শুকিয়ে আছে তো,কিন্তু উনি হুট করেই কোত্থেকে এসে পেছন থেকে ডাকলেই আমি তাল সামলাতে না পেরে পাইপ ফসকে উনার গায়ে পানি পরে গেলো।
কাঁদো কাঁদো গলায় বললো তুরা। যেনো নার্সারিতে পরা বাচ্চা বই হারিয়ে ফেলেছে। তুরার এমন বাচ্চা বাচ্চা মুখ দেখে রাইমা ফিক করে হেসে দিয়ে বললো
-তুই একদম বাচ্চা তুরা,কিন্তু তোর উনি কিন্তু ততটাই কড়া,,এমন ভুল আর ভুলেও করিস না যেন। যেই রিয়েকশন টা দিয়েছিলো খু’ন করে যে ফেলেনি তাই অনেক
বলেই তুরাকে ধরে বললো
-আচ্ছা এখন চল তো,এমন ভেজা গায়ে বেশিক্ষণ থাকলে ঠান্ডা লেগে জ্বর আসবে।
চুপচাপ ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে রাইমার সাথে হাটা ধরলো। মনে মনে ভীষণ বলতে ইচ্ছে করলো “কেনো গো তোমরা এত ভালো তাইলে তোমার ভাইটা এমন জ’ল্লাদ কেনো,সবসময়ই কি এমন গম্ভীর মুখ করা লাগে” কিন্তু মনের কথা মনেই রেখে চুপচাপ ভেতরে এলো তুরা,এযাত্রা যে সে বেঁচে গেছে এই অনেক!
-কি ব্যাপার রাইমা! আহানের কি হয়েছে, ভিজে একাকার হয়ে উপরে উঠে গেলো,জিজ্ঞাসা করলেও কিছুই বললো না তো
রুবি খাতুন রাইমা কে দেখে প্রশ্ন করলেও রাইমার পেছন পেছন জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাকে দেখেই অবাকের সীমা টা আরও বেড়ে গেলো।
-একি! তুরা,তুমিও ভিজলে কি করে? কি হয়েছে বলোতো আমিতো কিছুই বুঝতে পারছিনা
-আসলে আমি বাগানের গাছ গুলোতে পানি দিচ্ছিলাম উনি হঠাৎ করে পেছনে চলে আসলে ভুল করে পানি উনার গায়ে পরে গেছে।
তুরার এমন কাচুমাচু করা মুখটা দেখে রুবি খাতুন কি বলবে ভেবে পাইনা। মেয়েটা বয়সের তুলনাতেও বাচ্চা। সারা শরীর ভিজিয়ে একাকার করেছে
-বাহ নাতবউ, তোমাকে দাদুভাইকে হাত করার কথা বললাম তুমি শুরুও করে দিয়েছো, তুমি তো একেবারে এক কাঠি উপরে
সোফাতে বসে থাকা আমেনা খাতুনের কথার আগামাথা কিছুই বুঝলো নাহ তুরা,ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকতেই আমেনা খাতুন আবারও বললো
-বেশ ভালো, বেশ ভালো। কিন্তু নাতবউ আমাকে একটা কথা বলো তো,এভাবে দাদুভাইকে ভিজিয়ে দিয়ে তুমি কি করে হাত করবে?
আমেনা খাতুনের কথার মানে তো বুঝতেই পারছেনা তুরা,তার উপর বিব্রত হচ্ছে। সে তো ইচ্ছে করে ভিজাই নি। এখানে হাত কিভাবে করলো? ভাবতে ভাবতেই “হাঁইচচুহ” বলে হাঁচি দিয়ে উঠলো।
-উফ দিদুন, তুমিও নাহ। এমনিতেই বেচারি তোমার গুণধর নাতির ধ’মকে চুপসে আছে, আবার তুমিও যা তা বলছো।
বলেই তুরার দিকে ফিরলো রাইমা।
-আর তুই যা তো শিগগির জামা কাপড় পালটে নে এই অসময়ে ঠান্ডা বাধাবি নাকি। এক্ষুনি গিয়ে জামা কাপড় পালটে আই
তুরা ঘাড় নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে উপরে চলে গেলো ভেজা গায়ে। তুরা যেতেই রুবি খাতুন ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। আমেনা খাতুন হাহা করে হেসে উঠলো, সাথে রাইমাও।
~~
অসময়ে বিকেলে ভিজে তুরার ঠান্ডা লেগে গেছে, বারবার হাঁচি-কাশি দিতে দিতে চোখ আর নাকের পাটা লাল করে ফেলেছে। রাত প্রায় দশটা,,সবাই মিলে একসাথে রাতের খাবার খেলেও আহান নিচে নামেনি। এতে অবশ্য তুরা বেশ সস্তি পেয়েছে, বিকেলের ওই ঘটনার পর তুরা আহানের সামনেও আসতে চাইনা। রাতের খাবার শেষ করে ডাইনিং এ বসেই টিভি দেখছিলো রাইমা আর তার দিদুন। রুবি খাতুন গেছেন রান্নাঘরে কাজ সারতে
-তুরা,এদিকে আই তো মা
ইনসাফ মাহবুবের ডাকে তুরা রাইমার পাশ থেকে উঠে গিয়ে দাড়ালো তার পাশে, ইনসাফ মৃদু হেসে বললো
-বস আমার কাছে, তোর সাথে কথা আছে
তুরা বসতেই ইনসাফ কতগুলো কাগজ তুরার হাতে ধরিয়ে দিলো,তুরা কৌতুহলী হয়ে কাগজ গুলো হাতে নিয়ে পড়তেই থমকে গেলো,অবাক হয়ে বললো
-এগুলো তো
-ভর্তির কাগজ পত্র
তুরার আগেই বললেন ইনসাফ মাহবুব, তুরা ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,ইনসাফ মাহবুব আবারও হেসে বললো
-এগুলো তোর ভর্তির কাগজ, আমি লোক পাঠিয়ে তোর চাচার বাড়ি থেকে তোর সকল কাগজ পত্র আনিয়েছি আজ সকালেই। আমি নিজে গিয়ে তোর ভর্তির সব কাজ করে এসেছি। ভার্সিটির অনেকেই আমার চেনা জানা তোর কোনো অসুবিধা হবে নাহ।
তুরার গাল বেয়ে দুফোঁটা পানি গড়িয়ে পরলো,,বাবা মারা যাওয়ার পর লেখাপড়া তার কাছে দুঃস্ব’প্নের মত হয়ে গেছিলো। কখনো ভাবেনি তার স্বপ্নের পড়াশোনাকে আবারও শুরু করতে পারবে, কৃতজ্ঞতায় ভেতরটা ভরে এলো তুরার, ইনসাফ তুরার মাথায় হাত রেখে বললো
-তুই খুশি তো মা?
আবেগে আপ্লূত হয়ে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো তুরা, ইনসাফ মাহবুব ও বাবার আদরে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো
-ধুর পাগলী,কাদে নাহ,, আমিও তো বাবা তোর। তোর বাবা থাকতে তোর পড়াশোনা বন্ধ থাকবে ভাবলি কি করে।
রাইমা আর আমেনা খাতুন ও বেশ খুশি হয়েছে এই খবরটা শুনে, তুরাকে কি তাদের মনেও কোনো অভিযোগ নেই,,তারা তো সুন্দর একটা পরিবার চাই আর ওমন নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকালেই প্রাণ থেকে ভালোবাসা আসে।
তুরা বুক থেকে উঠে গাল প্রসারিত করে হেসে বলে
-আমি এতদিন ভাবতাম বাবা আমায় একা ফেলে চলে গেছে, কিন্তু ভুল ছিলাম,বাবা তো তার মতই আরেকটা বাবা রেখে গেছে আমার জন্য
তুরার কথা শুনে ইনসাফসহ বাকিরাও খুশি হয়। ইনসাফ আরও কিছুক্ষণ তুরার সাথে কথা বলে ঘরের উদ্দেশ্য উঠে যায়। তার পরপরই রুবি খাতুন আসে হাতে একটা কাপ নিয়ে, তুরার পাশে বসে বলে
-এই নাও আদাঁ দেওয়া চা,,খেয়ে নাও তোমার ভাল্লাগবে। এমন অসময়ে ঠান্ডা বাধানো মোটেও ভালো কথা নাহ।
তুরাও বাধ্য মেয়ের মতো গ্লাস টা নিয়ে চা খেতে শুরু করে, চারজন মিলে আরও কিছুক্ষণ কথা গল্প করে, রুবি খাতুন উঠে যেতে নিলেই আমেনা বলে
-কোথায় যাচ্ছো বউমা?
-এইতো আহানের ঘরে যাচ্ছি মা। পানিতে ভিজে ওর ও ঠান্ডা লেগে গেছে, কফি দিয়ে আসি ভাল্লাগবে ওর।
-তুমি দাঁড়াও,, নাতবউ?
আমেনা খাতুনের ডাকে তুরা বলে
-জ্বি দিদুন
-যাও দাদুভাইকে কফিটা তুমি দিয়ে আসো
দিদুনের কথায় তুরা চোখ গোল করে তাকিয়ে আছে, কিহ,সে যাবে কি না এই জ’ল্লাদ লোকটার ঘরে! তখন না হয় রাইমা আপু এসে বাচিয়ে দিয়েছে এবার হাতের কাছে পেলে কি’মা বানিয়ে ফেলবে।
-এত ভাবার কি আছে, তোমার স্বামীর প্রতি একটা দ্বায়িত্ব আছে তো, এখন তো তোমাকেও বুঝতে হবে সবটা
-কিন্ত দিদুন
-কোনো কিন্তু নয়,যাও এক্ষুনি কফিটা নিয়ে দাদুভাইকে দিয়ে আসো
মিনমিনিয়ে বলতে নিলেও আমেনা খাতুনের কথায় আর প্রতিউত্তর করার সাহস হয়না তুরার। অগত্যা কফিটা নিয়ে ওর ই আসতে হলো উপরে। আল্লাহর নাম জপতে জপতে উপরে এসে দাঁড়ালো আহানের ঘরের সামনে। বুকের ভেতরে দ্রিমদ্রিম শব্দ স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে, যেনো নিজে স্বেচ্ছায় ব’লি হতে যাচ্ছে জল্লা’দের ঘরে।
সাত পাচ ভাবা বন্ধ করে নিজেকে সামলে আস্তে ধীরে দুটো টোকা দিলো দরজায়, কিন্তু কোনো সাড়া শব্দ নাই। কিছুক্ষণ থেমে আবারও টোকা দিলো,কিন্তু এবারও কোনো সাড়া শব্দ নাই। এবার আস্তে করে দরজা টা ধাক্কা দিতেই ফাঁক হয়ে গেলো। দরজার ফাঁকে মাথা ঢুকিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো ঘরটা পুরো ফাঁকা। ওয়াসরুম থেকে পানি পরার শব্দ আসছে। তার মানে লোকটা নিশ্চয় ওয়াসরুমের ভেতরে। যাক বাঁচা গেলো!সে ফট করে কাপটা রেখেই চলে আসবে
তুরা বেশ খুশি হয়ে ভেতরে ঢুকে কফির মগটা রেখে বের হতে নিলো। কিন্তু ভাগ্য হয়তো অন্য কিছুই চেয়েছে। বের হতে গেলে তার ওড়নায় লেগে টেবিলের উপরে রাখা কতগুলো কাগজ নিচে পরে এলোমেলো হয়ে গেলো
তুরা এই কাজে বেশ ঘাবড়ে যায়, এখন কি হবে! লোকটা যদি এসে পরে?
তুরার ভাবনাকে সত্যি করে খট করে দরজা খোলার শব্দ হলো। দরজা খুলে বেরতেই তুরাকে দেখে আহান চোখ কুচকে নেয়।
এই মেয়ে তার ঘরে কেনো?আর মুখটা এমন আসা’মিদের মতো করে রেখেছে কেনো? তুরাকে এমন আতং’কিত চেহারায় দেখে আহান ভাবে নিশ্চিত কিছু একটা ঘাপলা করেছে মেয়েটা।
ওর দিকে তাকিয়ে এগিয়ে এলো
-ইউ এগেইন!!কেনো এসেছো এই ঘরে?
তুরা রীতিমতো ঘামছে, আর হাতের আঙ্গুলে ওড়না পেচাচ্ছে। আহান আরও কাছে আসলেই নজরে আসে ফ্লোরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তার প্রয়োজনীয় কাগজ গুলো
-এগুলো পরলো কি করে, তুমি ফেলেছো?
বলেই ছুটে গিয়ে কাগজ গুলো তুলতে লাগে,তখন তার সাথে হাতে থাকা ব্যাগ আর তার ভেতরে থাকা কাগজ গুলোও ভিজে গেছিলো। ঘরে এসেই ওগুলো বের করে রেখেছে শুকানোর জন্য, কাগজ গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত এই মেয়েই ঘাপলা টা করেছে।
তুরা নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে আছে, চোখে মুখে আতংকের ছাপ। সবসময়ই এই লোকটার সামনে আসলেই একটা না একটা অঘটন ঘটে,এখন সে কি করবে? আহান তো কাগজ তুলতে ব্যস্ত, সে কি পালাবে? হ্যাঁ তার এখন পালানোই উচিত! ভেবেই পা টিপে টিপে সরে যেতে লাগে।
তুরাকে ওভাবে চো’রের মতো পালাতে দেখে আহান বসা থেকে দাঁড়িয়ে খপ করে হাতটা ধরে ফেলে
-এবার তোমাকে কিছুতেই পালাতে দেবোনা। পেয়েছো টা কি,, একটার পর একটা অকাজ করবে আর পালিয়ে পার পেয়ে যাবে,নো ওয়ে! আ’ম নট গনা লেট ইউ গেট আউট অফ দিস। এস থেকেই একটার পর একটা ঝামেলা করেই যাচ্ছো আমার লাইফে
.
.
.
চলবে ইনশাআল্লাহ
Humu_♥