মিশেছো_আলো_ছায়াতে #Writer_Sintiha_Eva #part : 05

0
409

#মিশেছো_আলো_ছায়াতে
#Writer_Sintiha_Eva
#part : 05

🍁🍁🍁

” ভোরের আলো যখন আকাশ পথে পৃথিবীতে পৌঁছেছে তখন থেকেই শুরু হয়েছে শহর জুড়ে নানান আলোচনা। ঢাকা সদর ঘাটের সামনে পড়ে আছে তিনটে বখাটে যুবকের মৃতদেহ। চোখ ভয়ানক ভাবে কেউ তেতলে দিয়েছে। সেই সাথে বুক এপোর উপোর করে ফেলে বুলেটের কষাঘাতে। এমন নৃশংস হত্যার তদন্তে আছে দায়িত্বশীল পুলিশ প্রশাসন। এই নিয়ে শহরে তৃতীয় বার এমন হামলা। কি হতে পারে এসবের আসল কারণ ? মৃতদেহ দেখেই বুঝা যাচ্ছে কেউ নিজের সমস্ত রাগ ঝেড়েছে, যেনো হাজার বছরের ঘৃণা এদের মতো বখাটে দের উপর। কিন্তু এর আসল কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছেন তারাই দ্রুত এই সমস্যার অবসান ঘটাবেন। এখন এই পর্যন্তই। বাকিটা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ” —- আমি তন্ময় এহমাদ আছি আপনাদের সাথে।

আদিরা বসে ব্রেকফাস্ট করছিলো। তখনই ড্রয়িংরুমের টিভি থেকে এই রকম খবর আসায় আদিরা খাবার ছেড়ে ড্রয়িংরুমে যায়। ইশান জুস খেতে খেতে খবরে মন দেয়।

মেহের : আবার তিনটে খুন! কি হচ্ছে এসব।

ইশান : শহরের অবস্থা দিনদিন নাজুক হয়ে যাচ্ছে। কখন কি হচ্ছে বলা মুশকিল৷ কিন্তু কে এই বখাটে গুলো কে মারবে।

আদি : কোন কর্মের ফল পেলো কে জানে।

আদিবা : মুখ তো এতোটা চেনা যাচ্ছে না।

আদিবার কথায় আদি ধমকে বলে,,,,

আদি : তোর চিনে কাজ নেই। যাহহ

শহর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে। সকাল থেকেই শহরময় গরম পরিস্থিতির শিকার। সদরঘাটের সামনে তিনটে যুবকের মৃতদের পড়ে আছে। যেই দেখছে সেই আর দ্বিতীয়বার দেখার সাহস জুগার করতে পারছে। নৃশংস ভাবে কেউ ওদের তিনজনেরই চোখ গুলো তেতলে দিয়েছে। সেই সাথে আছে বুক ছিড়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেটের চিহ্ন। সকাল থেকে সদর ঘাটে পুলিশ এসে জড়ো হয়। বেশ কিছুদিন পর আবারো একই ভাবে মৃতদের পেয়ে পুলিশ রা সবাই চমকায়। পুলিশ স্টেশনে এখনো অনেক কেইস ফাইল আছে। কিন্তু কোনো কেইসের খুনি কে এখনো কেউ ধরতে পারে। যার ফলস্বরূপ উপরমহল থেকে চাপ আসছে অত্যাধিক।

সিমথি হসপিটালে আসার সময় শহরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখেই এসেছিলো। কিন্তু হসপিটালে আসতেই আরেক গন্ডগোল এসে ঝেকে বসে। ঢাকার নাজুক অবস্থার রেশ এসে পড়েছে সাধারণ মানুষের উপর। বখাটে দলের অন্য সদস্যরা এসে সাধারণ মানুষের দোকান-পাটে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সেই সাথে আহত হয়েছে অনেক মানুষ । হসপিটালের এম্বুলেন্সে একের পর এক আহত ব্যক্তি আসছে৷ সেসব সামাল দিতে দিতে ডাক্তাররা ও হাঁপিয়ে উঠছে।

মেঘা : আমি লাইফে এতো কেইস দেখিনি ভাই হাঁপিয়ে উঠেছি।

রোদেলা : যা বলেছিস।

তখনই এম্বুলেন্সের শব্দ কানে আসতেই নার্সরা দৌড়ে যায়। একটা বাচ্চা মেয়ের রক্তাক্ত দেহ নিয়ে নার্সরা,দৌড়ে আসে৷ ডাক্তাররা দৌড়ে এসে বাচ্চা মেয়েটা কে ওটিতে নিয়ে যায়। পেছন পেছন আসে বাচ্চা মেয়েটার বাড়ির লোকগুলো ।

সিমথি কেবলই একটা প্যাশেন্টের কেবিন থেকে বেরিয়ে কপালের ঘাম টুকু মুছে নেয় । অতঃপর অন্য কেবিনে ঢুকতে নিলে একজন ডক্তরের কথায় পা আটকায়। সামনে এগুতেই ভ্রু কুঁচকে যায়। কপালে জমে আসা ঘামের বিন্দুকণা পুনরায় মুছে সামনের দিকে অগ্রসর হয়। ক্ষানিকটা ক্লান্ত সুরে বলে উঠে,,,

সিমথি : এনি প্রবলেম।

তখনই মেয়েটার বাড়ির লোকসহ ডাক্তার পেছনে ফিরে।

আমান সাহেব : একচুয়ালি ম্যাম ইমার্জেন্সি ব্লাড প্রয়োজন বাট

সিমথি : বাট

আমান সাহেব : বাট এই গ্রুপের রক্ত আমাদের ব্লাড ব্যাংকে নেই৷

সিমথি : রক্তের গ্রুপ কি।

আমান : O নেগেটিভ

সিমথি কিছু ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। হাতে ব্ল্যাক কালার ঘড়িতে সময় টা দেখে নৌরিন কে ডাক দেয়।

নৌরিন : জ্বি মেম

সিমথি : নেক্সট যেই প্যাশেন্ট আছে তার অবস্থা কেমন।

নৌরিন : আপাতত একটু ভালো আছে মেঘা ম্যাম দেখছেন।

সিমথি : ঠিক মেঘাদের বলো ওদিক টা সামলে নিতে।

নৌরিন মাথা নাড়িয়ে সায় জানিয়ে তৎক্ষনাত চলে যায়। সিমথি ওটির বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

সিমথি : চলুন

সিমথির কথায় আমান সাহেব ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। নিজেকে ধাতস্থ করে থতমত খেয়ে বলে,,,,

আমান : ক কোথায়?

সিমথি : ব্লাড নিতে।

আমান : কে দেবে ম্যাম?

সিমথি : আমি।

সিমথির কথায় আমান সাহেব থতমত খেয়ে যায়। আমতা আমতা করে বলে,,,,

আমান : আ আপনি দেবেন

ডক্টর আমান কে এভাবে তোতলাতে দেখে সিমথি বিরক্তিকর দৃষ্টিপাত করে। হাতের ঘড়িটায় আবারো সময় দেখে হালকা চেঁচিয়ে বলে,,,,

সিমথি : হা করে তাকিয়ে থাকতে বলিনি লেটস গো।

আমান : ক কিন্তু ম্যাম

সিমথি : আবার কিসের কিন্তু দেখুন অনেক প্যাশেন্ট আছে এখনো। তার উপর মেয়েটা একদম বাচ্চা এসব রুমে কতক্ষণ আটকে রাখবেন। সো নো মোর ওয়ার্ডস এন্ড লেটস গো।

সিমথির ঝাঁঝালো কণ্ঠের কথার মর্মার্থ বুঝতে পেরে ডক্টর আমান ও আর কথা না বাড়িয়ে সিমথি কে নিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর ব্লাড দিয়ে সিমথি বেরিয়ে আসে। সিমথি বের হতেই মেয়েটার বাড়ির লোকজন সিমথিকে ঘিরে ধরে। সিমথি ওদের দিকে ভালো করে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। একটা বিবাহিত মেয়ে সম্ভবত ওটিতে থাকা মেয়েটার মা বোধ হয়। কাঁদতে কাঁদতে উজ্জ্বল মুখ টা লাল হয়ে গেছে। পড়নে মেরুন রঙের একটা শাড়ী চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। মেয়েটার পাশেই দুজন ছেলে দাঁড়ানো। একজনের গায়ে সাদা শার্ট আর পড়নে কালো প্যান্ট উপরে কোট টা খুলে বাহাতে ঝুলিয়ে রেখেছে। তার পাশের ছেলেটা আকাশী শার্ট আর জিন্স প্যান্ট। চোখজোড়া চশমার ভেতরে ঢেকে আছে।

মেহের : তোমাকে সরি ভুলে তুমি ডেকে ফেললাম মাফ করবেন। আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেবো সে ভাষা আমার জানা নেই। আপনি যদি সময় মতো ব্লাড না দিতেন তাহলে হয়তো,,,

মেহেরের কথায় সিমথি মুখটা বাম দিকে করে ছোট্ট একটা শ্বাস ছাড়ে। অতঃপর শান্ত গলায় বলে,,,

সিমথি : এটা আমাদের ডিউটি। এতে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছুই নেই। আর বয়সে আপনি আমার থেকে কিছু টা হলেও বড় সো তুমি করে ডাকতে পারেন, নো প্রবলেম।

সিমথির কথায় মেহের হাসে। মেহের কে হাসতে দেখে সিমথি ও হালকা হাসে।

সিমথি : নাউ আমাকে যেতে হবে, বাই।

সিমথি ওদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। সিমথি চলে যেতেই শাওন ( আদির বড় চাচার ছেলে) বলে উঠে,,,

শাওন : মেয়ে টা কে চিনেছো মেহের।

মেহের : না কিন্তু চেনা চেনা মনে হলো।

ইশান : আরে উনি তো সিমথি জাহান সিয়া। আদি ভাইয়ার বন্ধু সায়ন ভাইয়ার বোন। আর উনাকে নিয়ে তো খবরে ও লেখালেখি হয়।

ইশানের কথায় মেহেরের টনক নড়ে। আচমকা সিমথির শান্ত গলায় কথা বলেছে মনে পড়তেই চমকায়। মুচকি হেসে বলে,,,,

মেহের : যায় বলো মেয়েটা কিন্তু দারুন কিউট আর ব্যবহার তো মাশাল্লাহ।

শাওন : হুমমমম।

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘড়ির কাটা পৌঁছায় রাত এগারো টায় । শহরের অবস্থা এখন অনেক টাই স্বাভাবিক। পুলিশরা অনেকেই গ্রেফতার করেন।তদন্তের মধ্যে জানা যায় এরা আক্রমণকারীরা কোনো বখাটে নয়। বরং দেশে জঙ্গি ঢুকেছে আর আজকের শহরের উত্তেজিত অবস্থা কে কাজে লাগিয়ে আর উত্তেজিত করাটাই ছিলো তাদের মেইন টার্গেট। যদি ও এদের সর্দার কে এখনো ধরা যায়নি। অনেকেই পালিয়েছে আবার অনেকে ধরা ও পড়েছে। তাদের কাছ থেকেই এসব তথ্য বের করা হয়েছে।

______________

সারাদিনের হয়রানি শেষে পরপর কয়েকটা ওটি অপারেশন শেষ হতেই ডাক্তাররা অনেকেই ক্লান্তিতে বাড়ি ফিরে যায়। আবার অনেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য রেডি হয়। সিমথির ফোনে একটা কল আসায় সিমথি কলটা রিসিভ করে ওপাশ থেকে কিছু শুনে সায় মিলিয়ে সিমথি ফোন কেটে দেয়।

মেঘা : কিরে বাড়ি ফিরবি তো আজ নাকি।

সিমথি : তোর কি মনে হয় শ্বশুর বাড়ি যাবো।

রোদেলা : তাহলে চল আমরা তোর শ্বশুর বাড়ি ঘুরে আসি।

রোদেলার কথায় সিমথি হাতে থাকা কলমটা রোদেলার দিকে ছুঁড়ে মারে।

সিমথি : ফা’জি’ল চল একজন প্যাশেন্ট কে দেখে একসাথেই ফিরবো।

তুহিন : চল

সিমথি : তরী চলে গেছে।

মেঘারা হাঁটা থামিয়ে সিমথির দিকে তাকায় অতঃপর অসন্তোষ প্রকাশ করে মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে জানায় তরী চলে গেছে। সিমথি ছোট্ট একটা শ্বাস ছেড়ে দরজা ঠেলে কেবিনে প্রবেশ করে। সঙ্গে সঙ্গে একটা শক্তপোক্ত বুকের সাথে ঠাস করে বারি খেয়ে পড়ে যেতে নিলে দুটো হাত কোমড় আঁকড়ে ধরে। সিমথি বেসামাল টাল সামলাতে সামনের ব্যক্তির কালো শার্টের কলার খামছে ধরে। কেবিনের সবাই হা করে ওদের দিকে তাকায়। সিমথি চোখ মেলে সামনে আদিকে দেখে চমকায়। এই কেবিনে আদি কি করছে। অন্যদিকে আদি একদৃষ্টিতে সিমথির দিকে তাকিয়ে আছে। আদিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে সিমথি কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। আদিকে হালকা ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। কেবিনে পিনপিনে নীরবতাকে স্বাভাবিক করতে সিমথি হালকা কেশে উঠে।

সিমথি : সরি আদি ভাইয়া।

‘ সরি আদি ‘ পর্যন্তই তো ঠিক ছিলো সাথে ভাইয়া ডাকটা শুনে আদি চোখ মুখ কুঁচকে কিছু বলতো নিলে সিমথি পাশ কাটিয়ে চলে যায়। বাচ্চা মেয়েটার কাছে গিয়ে টুল টেনে বসে।

সিমথি : লিটেল প্রিন্সেস ওয়াট’স আপ।

সিমথির কথায় মেয়েটা খুশিতে গদগদ হয়ে যায়।

_ আম ফাইন। তুমি?

সিমথি : আমিও তো অন্নেকক ভালো। ওয়াট’স ইউর নেম?

সিমথির কথায় বাচ্চা মেয়েটা পুনরায় খিলখিলিয়ে হেসে দেয়।

_ আমার নাম তিয়াসা চৌধুরী তিন্নি।

সিমথি : তিয়াসা আবার তিন্নি বাহহ নাইস। তা মেডিসিন নিয়েছো।

তিন্নি : হুমম মাম্মাম জোর করে খাইয়ে দিয়েছে এত্তোগুলা ঔষুধ।

সিমথি : ও মা তাই। মেডিসিন না খেলে সুস্থ হবে কিভাবে।

তিন্নি : তাই তো

তিন্নির কথায় সিমথি নিঃশব্দে হেসে দেয়। অতঃপর সিমথি ছোট কুচি হাত টা নিয়ে পালস রেট চেক করতে শুরু করে। তখনই সিমথির ফোন টা বেজে উঠে
সিমথি বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে ফোনের দিকে তাকায়। ততটা আমলে না নিয়ে তিন্নির ছোট হাতটার দিকে নজর দেয়। ফোন টা ও বাজতে বাজতে একসময় থেমে যায়। মেহের উঁকি দিয়ে ফোনের সেইভ করা নাম টার দিকে তাকায়। ফোনের স্কিনে ” ভাইয়া ” নাম টা ঝলঝল করছে। তিন্নির পালস রেট চেক করে উঠে দাঁড়ায়। অতঃপর ঘুরে মেহেরের দিকে তাকায়,,,,

সিমথি : কাল সকালের মেডিসিন গুলো নার্সই এসে দেবে। এখন ও ঠিকই আছে। জাস্ট দুদো দিন অবজারভেশনে রাখলেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।

সিমথির কথায় মেহের হাসি মুখে সম্মতি জানায়। সিমথি পুনরায় তিন্নির দিকে ফিরে। তিন্নির চুলগুলো তে হাত বুলিয়ে মুচকি হাসে।

সিমথি : টেক কেয়ার লিটেল প্রিন্সেস।

অতঃপর তিন্নির গালে আলতো একটা চুমু খেয়ে ওদের থেকে বিদায় নিয়ে বেরিয়ে যায়। আচমকা আদি এসে ওদের পথ আটকায়। মেঘাদের দিকে তাকিয়ে ইনোসেন্ট একটা হাসি দেয়।

আদি : ডিয়ার শ্যালক শ্যালিকাগণ আপাতত দুইটা মিনিটের জন্য আপনার বান্ধবী কে আমার হাতে তুলে দিয়ে একটু পিছিয়ে যাবেন প্লিজ।

মেঘা : মানে আমরা কেনো যাবো আর সিমথির সাথে আপনার কি কথায় বা থাকতে পারে।

আদি : এবার আপনারা যদি আমাদের প্রাইভেট কথা শুনতে চান সেটা কিভাবে হবে বলুন। প্লিজ

সিমথি : মেঘা তোরা এগো আমি আসছি

তুহিন : কিন্তু সিমথি

সিমথি : যা তোরা।

মেঘারা নীরবে চলে যায়। সিমথি আদির দিকে কঠিন দৃষ্টি তাক করে। সিমথির চোখের দিকে তাকাতেই আদি এলোমেলো হয়ে যায়। তবুও নিজেকে সামলে সিমথির দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়ে,,,

আদি : শুনলাম তুমি নাকি তিন্নি কে রক্ত দিয়েছো। তুমি যে আমার তিন্নিকে রক্ত দিয়ে বাঁচালে তিন্নি তো তোমার কাছে ঋণী হয়ে গেলো। এখন সেই ঋণের প্রতিদান হিসেবে সে যদি তোমাকে তার কাকাইয়ের বউ বানাতে চাই তাহলে কি তুমি রাজি হবে। অবশ্যই তুমি তো আবার কারো কাছেই ঋণী থাকো না

আদির কথায় সিমথি চরম আশ্চর্য হয়। রক্ত দিলো সিমথি আবার প্রতিদান ও দেবে সিমথি। কি আজব কথা। সিমথি ভাষা হারিয়ে আদির দিকে অনিমেষ তাকিয়ে থাকে। সিমথি কে তাকিয়ে আদি ঠোঁট কামড়ে হেসে উঠে। হাত বাড়িয়ে সিমথির কপালে আসা চুলগুলো আলতো করে সরিয়ে দেয়। আবারো নিজের অজান্তেই হেসে দেয়।

চলবে,,,,,,

( প্রথমত গল্প দেরীতে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। প্রতিদিন গল্প দেওয়া টা পসিবল হবে না। পড়ালেখা সব তালগোল পাকিয়ে যায়। তাই এখন থেকে একদিন পর পর গল্প দেবো। ধন্যবাদ ❤️)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here