তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম #তাহিরাহ্_ইরাজ #পর্ব_৪৪

0
444

#তুমি_হৃদয়ে_লুকানো_প্রেম
#তাহিরাহ্_ইরাজ
#পর্ব_৪৪

” আরে আস্তে আস্তে। এখুনি পড়ে যাচ্ছিলে তো। সাবধান। ”

বিছানা ত্যাগ করে সাবধানী ভঙ্গিতে মেঝেতে পদযুগল ঠেকালো তূর্ণ। উদ্দেশ্য ওয়াশরুমে যাওয়া। অসুস্থ শরীরে ধীরে ধীরে কদম ফেলে হাঁটছিল। ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল পায়ের চোটে। হঠাৎই ভারসাম্য হারিয়ে ফেললো। পড়ে যেতে গিয়েও ব্যর্থ হলো। ওর পেশীবহুল ভারী শরীরটি ঠিক আগলে নিলো দুয়া। উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলে উঠলো,

” আরে আস্তে আস্তে। এখুনি পড়ে যাচ্ছিলে তো। সাবধান। ”

দুয়া’র হাতে হাত রেখে ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হলো তূর্ণ। দাঁড়ালো সোজা হয়ে। দুয়া ওর বাহুতে হাত রেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশ্ন করলো,

” তুমি ঠিক আছো তো? কি হয়েছে? একাকী উঠলে কেন? ওয়াশরুম যাবে? ”

তূর্ণ মলিন মুখে সম্মতি জানালো। দুয়া স্বামীর হাত ধরে ওয়াশরুমের কাছে নিয়ে গেল।

” দরজা আটকাতে হবে না। ভিজিয়ে রাখো। আমি এখানেই আছি। ”

তূর্ণ কিছু বললো না। নীরবে ওয়াশরুম চলে গেল। তবে দুয়া’র কথা অমান্য করে দরজা বদ্ধ করে নিলো। তপ্ত শ্বাস ফেললো মেয়েটা। খানিক বাদে বেরিয়ে এলো তূর্ণ। দুয়া ওর হাতটি ধরে ধরে বিছানায় নিয়ে গেল। বসতে সহায়তা করলো। অর্ধাঙ্গের ম্লান মুখখানা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়লো সহধর্মিণী। বিপরীতে দিকে বসে হাত রাখলো বাঁ কপোলে। চিন্তা মিশ্রিত স্বরে শুধালো,

” কি হয়েছে তোমার? এমন দেখাচ্ছে কেন? শরীর খারাপ করছে? ”

তূর্ণ তার মাইরা’র পানে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো। কিছুটা সময় নীরবে অতিবাহিত করে মৃদু স্বরে বলে উঠলো,

” সবাইকে খুব অসুবিধায় ফেলে দিয়েছি তাই না? আমার পেছনে সবাইকে পড়ে থাকতে হচ্ছে। খুঁটিনাটি সবটাই করে দিতে হচ্ছে। অসুস্থ শরীরে এতটাই অসহায় হয়ে পড়েছি যে সামান্য ওয়াশরুম অবধি একা যেতে পারছি না। দিন নেই রাত নেই সবাইকে জ্বালাতন করছি। ”

ধক করে উঠল মেয়েটির হৃদয়। তার স্বামী এসব কি বলছে? এমন অসহায়ত্ব অনুভব করছে! কবে থেকে? তাদের কারোর আচরণে কি কষ্ট পেয়েছে? দুয়া নিভৃতে আরো সান্নিধ্যে এলো। দু হাতের আঁজলায় ভরে নিলো স্বামীর মুখখানা। প্রশ্ন করলো,

” তুমি এভাবে বলছো কেন? আমরা কেউ কি তোমাকে অজান্তে আঘাত করে ফেলেছি? তাহলে ক্ষমা চাইছি। তুমি এমন করে বলো না। জ্বালাতন করবে কেন? এসব বাজে কথা বলো না। ”

” ভুল কিছু তো বলিনি। এটাই সত্যি। ”

” উঁহু। এটা তোমার ভুল ধারণা। আজ যদি তোমার জায়গায় আমি কিংবা বাড়ির অন্য কেউ থাকতো তুমি কি দেখভাল করতে না? নাকি আপনজনদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে? নার্সের ভরসায় রেখে দিতে। হুঁ? ”

তূর্ণ কিচ্ছুটি বললো না। অবনত করে নিলো দৃষ্টি। দুয়া অশ্রুসজল নয়নে তাকিয়ে রইলো কিছুটা সময়। অতঃপর স্বামীর বক্ষে মাথা এলিয়ে দিলো। বাঁ হাতে আঁকড়ে ধরলো পেটের দিকে টি-শার্টের একাংশ। ভেজা কণ্ঠে বলতে লাগলো,

” এভাবে মন খারাপ করে থেকো না। তুমি তো আমার অর্ধাঙ্গ। অর্ধেক অঙ্গ। আমার একান্ত আপনজন। তোমার বিপদে যদি আমি পাশে না থাকি তবে কিসের জন্য তোমার সহধর্মিণী হলাম? সহধর্মিণী শুধু সুখের নয় বরং দুঃখেরও সাথী। আমরা একে অপরের পরিপূরক প্রিয়। একে অপরের সুখদুঃখের অংশীদার। তুমি শুধু শুধু মন খারাপ করো না। বরং আল্লাহ্’র কাছে দোয়া করো। ইনশাআল্লাহ্ তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। আমার সেই পুরনো খালাতো বর ফুল ফর্মে ফিরে আসবে। ”

অজান্তেই শব্দ করে হেসে উঠলো তূর্ণ। খালাতো বর! মন্দ নয় তো। স্বামীর হাস্য ধ্বনি কর্ণ কুহরে পৌঁছাতেই স্বস্তি বোধ করলো মেয়েটি। আলতো করে ওষ্ঠ ছুঁয়ে দিলো বক্ষপটে। স্রষ্টার নিকটে প্রার্থনা করলো স্বামীর আরোগ্য। আঁখি বুজে অর্ধাঙ্গের বক্ষস্থলে আরো ভালোমতো লেপ্টে গেল। তূর্ণও দীর্ঘশ্বাস ফেলে মৃদু হাসার চেষ্টা করলো। নিজের সনে আগলে নিলো সঙ্গিনীকে।

ভানু’র কিরণে উজ্জ্বল বসুধা। বেডের হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে বসে তূর্ণ। চোখে চিকন ফ্রেমের চশমা। হাতে শার্লক হোমসের বই। সম্পূর্ণ মনোযোগ বইয়ের পাতায়। খানিক বাদে কর্ণ কুহরে পৌঁছালো,

” ভাইয়া। আমার প্রিয় ভাইয়া। ভেতরে আসতে পারি? ”

বইয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেই তূর্ণ দুষ্টু হাসলো। বললো,

” এখানে প্রিয় নামে কেউ থাকে না। সো ডোন্ট ডিস্টার্ব।”

তৃষা পেঁচামুখী বদনে ভেতরে প্রবেশ করলো। ভাইয়ের ডান পাশে দাঁড়িয়ে প্রথমে হাতে থাকা ক্ষুদ্র বক্সটি মেঝেতে রাখলো। অতঃপর ভাইকে বলতে লাগলো,

” ভেবেছিলাম ধুরুম ধারুম বাড়ি খেয়ে ভাই আমার ভালো হয়ে গেছে‌। কিন্তু না। ভাই আমার আগের মতোই ফা.টাকেষ্ট আছে। একটুও বদলায়নি। ”

তূর্ণ হেসে ওর দিকে তাকালো।

” সরি বোন। আপনার এই ক্ষুদ্র আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে আদ্রিয়ান আয়মান তূর্ণ ভালো হতে পারেনি। আগের মতই রয়েছে। ”

” হাঁ। সে তো দেখতেই পাচ্ছি। পুরো আগের মতো আছো। দিনরাত আমার ভাবি রূপী বেবিটাকে জ্বালাতন করছো। ”

তূর্ণ বইয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বললো,

” বউ আমার। তাকে জ্বালাতন করবো না সোহাগ করবো এটা সম্পূর্ণ আমার বিষয়। এখন তুই বলে ফেল হঠাৎ উদয় হলি কোথা থেকে? কি চাই? ”

তৃষা অবাক বদনে ভাইয়ের পাশে বসলো।

” তুমি এতবড় কথাটা বলতে পারলে? আমি শুধু তোমার কাছে চাইতে আসি? কখনো কিছু দিই নি? ”

তূর্ণ তাকালো। ভাবুক হয়ে শুধালো,

” দিয়েছিস? ঠিক মনে করতে পারছি না। আসলে সমুদ্রের পানিতে হঠাৎ এক ফোঁটা পানি যুক্ত হলে সে কি আর টের পাওয়া যায়? যায় না তো। ”

তৃষা ভাইয়ের বাহুতে আঘাত করতে গিয়েও দমে গেল। নেহাৎ ভাইটা অসুস্থ। নাহলে কি ল পড়তো কয়েকটা। আদুরে বোনটার শুকনো মুখ দেখে তূর্ণ ওকে ডান হাতে আলিঙ্গন করলো। মধুর কণ্ঠে বললো,

” কি হয়েছে বোন? বল। ভাইয়া শুনছি। ”

তৃষা সিক্ত কণ্ঠে বললো,

” তোমার জন্য ছোট্ট গিফট এনেছি। দেবো? ”

তূর্ণ বোনের ললাটে চুমু এঁকে দিলো। উৎসাহী কণ্ঠে বললো,

” দে। দেখি দেখি বোন আমার কি এনেছে। ”

তৃষা খুশি খুশি মেঝে হতে ক্ষুদ্র বক্সটি তুলে বিছানায় রাখলো। তূর্ণ অবাক হলো র.্যাপিং পেপারে মোড়ানো উপহার দেখে!

” এটা কি? কি আছে এতে? ”

” ওয়েট। ওয়েট। দেখাচ্ছি। ”

তৃষা আস্তে আস্তে মোড়কমুক্ত করলো উপহারটি। চোখের সামনে দৃশ্যমান হলো উপহার। বক্সে রয়েছে ‘আরিফ আজাদ’ রচিত বেশকিছু বই। তন্মধ্যে প্যারাডক্সিকাল সাজিদ, বেলা ফুরোবার আগে, প্রত্যাবর্তন অন্যতম। বোনের কাছ থেকে উপহার পেয়ে তূর্ণ অবাক! পুলকিত! তৃষা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,

” পছন্দ হয়েছে ভাইয়া? আমি জানি তুমি আরিফ আজাদের বই পছন্দ করো। সবগুলো সময়ের অভাবে কিনতে পারোনি। তাই আমি বেশ কয়েকটা কালেক্ট করেছি। তোমার অবসর সময় ভালোই কেটে যাবে। তাই না? ”

তূর্ণ বোনকে আলিঙ্গন করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো।

” খুব সুন্দর হয়েছে বোন। ভাইয়া ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। শুধু এতটুকু জেনে রাখ বোনের থেকে পাওয়া ছোট থেকে বড় সমস্ত উপহার ভাইদের কাছে শ্রেষ্ঠ উপহার। ”

আবেগী হয়ে পড়লো তৃষা। ভাইকে জড়িয়ে তার প্রিয় বাক্য আওড়ালো,

” আমার প্রিয় ভাইয়া। ”

অশ্রু ভেজা হাসিতে সংক্রমিত হলো দুই ভাই-বোন। দরজায় দাঁড়িয়ে এমন অসাধারণ মুহুর্তের সাক্ষী হলেন নিজাম সাহেব। ওনার অধরে তৃপ্তির ছোঁয়া।

নিশুতি রাত। ডাইনিং টেবিলে উপস্থিত পরিবারের সদস্যরা। তূর্ণ’র পাশে দাঁড়িয়ে তাসলিমা। ছেলের প্লেটে নিজ হাতে খাবার পরিবেশন করে দিচ্ছেন। আজ সবটাই তূর্ণ’র পছন্দের খাবার। উনি খাবার পরিবেশন শেষে ছেলের পিঠে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিলেন।

” নাও আব্বা। খেতে শুরু করো। ”

তূর্ণ মুচকি হেসে মায়ের একটি হাত আঁকড়ে ধরলো। অনুনয়ের স্বরে বললো,

” খাইয়ে দেবে আম্মু? ”

তাসলিমা কিঞ্চিৎ অবাক হলেন! কতবছর বাদে ছেলে ওনার হাতে খাওয়ার আবদার করলো? বড় হওয়ার পর তো নিজের হাতে খেতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতো। ওনার কাছে তেমন একটা আবদার করতো না। আজ এতবছর বাদে! তাসলিমার চোখে খুশির নোনাজল। উনি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন। শূন্য বোলে হাত ধুয়ে বসলেন ছেলের পাশের চেয়ারে। খাবার মাখিয়ে মুখের কাছে ধরলেন। তূর্ণ খুশিমনে খাবার গ্রহণ করলো। উপস্থিত সকলেই খুশি এ দৃশ্য দেখে! তাসলিমা সযত্নে ছেলেকে খাইয়ে দিতে লাগলেন। কিছুক্ষণ বাদে শোনা গেল,

” আমরা বোধহয় বানের জলে ভেসে এসেছি। তাই না তৃষ? ”

” ঠিক বলেছিস রে ভাবি। আমরা তো পর। ওনার আদরের বাবুসোনা ই সব। তাই তো চোখের সামনে অন্যকে খেতে দেখতে হচ্ছে। ”

তূর্ণ হেসে উঠলো। খাবার চিবুতে চিবুতে বললো,

” হিংসুটের দল। ”

জিভ বের করে ভেংচি কেটে দিলো দুয়া। তূর্ণ মিটিমিটি হাসছে। তাসলিমা দুই কন্যার উদ্দেশ্যে বললেন,

” অ্যাই। আমার ছেলেটা অসুস্থ। ওর খাবারে একদম নজর দিবি না।”

দুয়া বললো,

” আমাদের বয়েই গেছে তোমার বাবুসোনার খাবারে নজর দিতে। হুহ্! ”

নিজাম সাহেব বললেন,

” দুয়া মা। মন খারাপ করিস না। বাবা আছি তো। একদিন তোদেরকে আমিও মজাদার খাবার খাইয়ে দেবো। তখন এরা মা-ছেলে দেখবে আর জ্বলবে। ”

তৃষা ফিক করে হেসে উঠলো।

” পেট্রোলের আ.গুনে জ্বলবে নাকি? হি হি হি। ”

হাসিঠাট্টায় ডিনার টাইম অতিবাহিত হতে লাগলো।

দিবাবসুর দীপ্তিতে আলোকিত ধরনী। তূর্ণ লিভিং রুমে সোফায় বসে। হাতে মোবাইল। পাশে বসে ইউটিউবে মগ্ন তৃষা। সে মুহূর্তে কলিংবেল বেজে উঠল। হেল্পিং হ্যান্ড গিয়ে খুলে দিলো দ্বার। হাসিমুখে সালাম দিয়ে প্রবেশ করলো নিশাদ এবং রাজীব। তূর্ণ, তৃষা দু’জনেই ওদের খেয়াল করে খুশি হলো।

” আসসালামু আলাইকুম দোস্ত। কি অবস্থা? বাড়ি বসে অলস দিনকাল কেমন কাটছে? ”

লম্বা সালাম দিয়ে বিপরীত দিকের সোফায় বসলো রাজীব, পাশে নিশাদ। তূর্ণ মোবাইল রেখে বললো,

” এই তো আলহামদুলিল্লাহ্। তোদের কি খবর বল? ”

নিশাদ আড়চোখে তৃষার পানে তাকিয়ে বললো,

” আমরাও আছি আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। তোর শরীর কেমন আছে এখন? ঠিকঠাক? ”

” হুঁ। ”

রাজীব তৃষার পানে তাকিয়ে বললো,

” কি ছোটবোন? কেমন আছো? ”

তৃষা হাসিমুখে জবাব দিলো,

” আমি তো অ্যাজ ইউজুয়াল আলহামদুলিল্লাহ্ ফাটাফাটি আছি।”

নিশাদ ফোঁড়ন কেটে বললো,

” খেয়েদেয়ে কাজকর্ম নেই। ভালো থাকবে না তো কি থাকবে? ”

তৃষা মুখ ফুলিয়ে ভাইয়ের দিকে তাকালো। এই আশায় যে ভাই বুঝি সাপোর্ট করবে। তূর্ণ নিশাদকে বললো,

” ক্যান রে? ওর কাজকর্ম না থাকায় কারোর অসুবিধা হচ্ছে বুঝি? ”

আকস্মিক খুক খুক কেশে উঠলো নিশাদ। তূর্ণ’র অধর কোণে বাঁকা হাসি। রাজীব বন্ধুর পিঠে চাপড়ে দিতে লাগলো। তৃষা বিড়বিড় করে উঠলো,

” যক্ষ্মা রোগীর মতো খ্যাক খ্যাক করছে কেন? ”

নিশাদ তা শুনতে পেল কি? কেমন ত্যা.ছড়া নজরে তাকালো। এতক্ষণে বেচারার কাশি উড়ে গেছে। তৃষা ভাইয়ের উদ্দেশে বললো,

” ভাইয়া তোমরা কথা বলো। আমি আসছি। ”

মোবাইল হাতে উঠে দাঁড়ালো তৃষা। প্রস্থান করলো সেথা হতে। ওর যাওয়ার পানে তাকিয়ে নিশাদদের হৃদয়ে বেজে উঠলো,

” যেয়ো না সাথী। ও ও ও। ”
.

তৃষা করিডোর ধরে হেঁটে যাচ্ছে। একাকী বকবক করে চলেছে,

” এই নিশাদ ভাইয়ার মধ্যে সামথিং তো অভিয়াসলি ফিশি। কেমন যেন হাবভাব করে। আমার সিক্স সেন্স তো সতর্কবার্তা দিচ্ছে। আসলেই কি তাই? ”

তৎক্ষণাৎ আঁতকে উঠলো।

” নো নো। দুয়া বেবির মতো আমিও ধ’মকা ধমকি জিন্দেগী চাই না। আমি তো একটা পা.গলাটে লাভিং বর চাই। যে হবে আমার জন্য পা গ ল। যার পা.গলামিতে পা.গলপ্রায় হবো আমি। প্রেমে পড়বো নিত্যনতুন। এমন একজনকে চাই। ”

একাকী কল্পনায় ডুবে গেল মেয়েটা। যেখানে শুধু সে এবং তার পা’গল প্রেমিক। অন্য কেউ নেই। শুধুই ভালোবাসা আর ভালোবাসা। খানিক বাদে কল্পনা ভঙ্গ হলো নিশির ডাকে। একাকী বিড়বিড় করতে করতে নিশি’র রুমের দিকে অগ্রসর হতে লাগলো মেয়েটা। ধুৎ! ভেঙে দিলো ভালোবাসাময় স্বপ্নটা। ভাল্লাগে না।

চলবে.

[ কেমন লাগলো পর্বটি? ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here