#অবাধ্য_বাঁধনে
#পলি_আনান
[পর্ব সংখ্যা ৩৩ খ]
_____________________
এই মুহুর্তে ঈশানে মনে হচ্ছে সে সেই আগের ঈশার কাছে দাঁড়িয়ে আছে।সেই প্রথম দিনের ঈশা যে তার সাথে কথা বলতে একবারেও ভাবেনি মনে রাখেনি সংশয় শুধুই ছিলো জেদ।ঈশানের সাথে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ঈশানের গালে চড় বসালো ঈশা।আশেপাশে গার্ডরা নড়ে চড়ে উঠে কেউ কেউ এগিয়ে যায় ঈশাকে বাঁধা দিতে কিন্তু তাদের হাত ইশারায় থামিয়ে দিলো ঈশান।ঈশার চোখে ভাসছে নোনা জল সেই চোখে চোখ রেখে হাসলো ঈশান।হাসবে না কেন সে?কে যেন বলেছে চোখ কথা বলে এই যে মেয়েটার চোখ কথা বলছে।ভালোবাসার শুভ্র মেঘগুলো রাগ জেদ অভিমানের কাছে হেরে কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। ঈশা তার গায়ে হাত তুলেছে এটা তার আত্মসম্মানে লেগেছে কিন্তু এখন এত হিসেব নিকেশে প্রশ্রয় দেবে না সে।কেন দেবে?ভালোবাসা হলো সমান সমান এত হিসেবের কি আছে?এই তো সেদিনে কথা মাহমুদার হাতে চড় খেয়ে থমকে ছিলো ঈশান।রাসেল ভয়ে ঈশানকে আগলে নেয় ভেবেছিলো ছেলেটা উলটা পালটা কান্ড ঘটাবে কিন্তু তাকে অবাক করে
কিছুক্ষণ পরে আবার স্বাভাবিক হয় ঈশান।পুণরায় লেনাদেনার হিসেব কষতে বসে মাহমুদার সঙ্গে।মাকে সে ভালোবাসে মা র বে কা ট বে যা ইচ্ছে করবে তবুও সে মাকে ভালোবাসে।দ্বিতীয় ভালোবাসার মানুষটি ঈশা এই যে রাগে জেদে আরেকবার ভুল করেছে তবুও ঈশান নিরব।ঈশা তাকে মেরেছে তাতে কি পরবর্তীতে দ্বিগুণ ভালোবাসা আদায় করে শোধ তুলবে যাই হোক ঈশানের কাছ থেকে এই মেয়ের নিস্তার নেই কোন ভাবেই না।
” ও ঈশা একটা চড় কেন দিলে আরেকটা দাও।”
” মন তো চাইছে কিন্তু বিবেকে বাঁধছে।আমি ভুলে গেছিলাম আপনি মানুষ নয় পশুর সমতুল্য ওই যে হিংস্র পশু যারা সর্বদা নিজের সার্থ বোঝে।”
“আমার ভালোবাসার মূল্য নেই তোমার কাছে?”
” আমার জীবনে যদি কোন ভুল থাকে তবে তার মাঝে আপনাকে ভালোবাসাটা হবে সব ভুলের মাঝে প্রধান ভুল।”
” সব মেনে নিবো তবে আমার ভালোবাসা প্রত্যাখ্যান করো না মেয়ে এটা আমি মানতে পারবো না।”
“ধরে নেন আমি ভুল করেছি এবার আমায় ক্ষমা করুন চলে যান এখান থেকে।”
“বাসায় চলো ঈশা আমায় দেখে কি তোমার মায়া লাগে না?আমি যে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত তুমি বুঝতে পারছো না?”
” আমি যাব না ঈশান।”
” কেন যাবে না?”
“বাংলা কথা বুঝেন না?বলেছি যখন যাব না তখন যাব না।”
“তুমি এত জেদি কেন বলতো?আমার রাগ জেদের কাছে সবাই পরাজিত হয় আর আমি হই তোমার কাছে একে বোধহয় বলে ভালোবাসার হাতিয়ার।”
” আপনি চলে যান।যদি না জান তবে তবে উমম… আমি কিন্তু আমার ক্ষতি করবো।”
ঈশান হতাশার শ্বাস ছাড়লো।হাটুতে ভর করে ঝুঁকে পড়লো খানিকটা।ঈশা তার সম্মুখে ছিলো সুযোগ বুঝে মেয়েটার হাত ধরে টেনে তার বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।আশেপাশে গার্ডরা সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করে।লজ্জায় মিহিয়ে যায় ঈশা অথচ ঈশান নিলজ্জের মতো ঈশার কপালে নিজের কপাল ঘেষে।ঈশার মাথা ঈশানের বুকের মাঝে ঠেকেছে যার দরুনে তাকে ঝুকতে হয়েছে বেশ কিছুটা।
” ছয় ফিট লম্বা হয়ে কি লাভ হলো বলতো?সেই তো পাঁচ ফিট তিন ইঞ্চি বউয়ের কথায় উঠ বস করছি।”
ঈশা ছাড়িয়ে নিতে চাইলো নিজেকে কিন্তু ঈশান তাকে ছাড়লো না।দুজনের হাত টানাটানির মাঝে তাকে কোলে তুলে নেয় ঈশান।ছেলেটার কান্ডে ভীষণ লজ্জায় পড়ে ঈশা আশেপাশে তাকিয়ে নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
৭৮.
মাঝ রাতে ঈশাকে এই বাড়িতে দেখে ভূত দেখার মতো অবস্থা হলো মাহমুদার।তিনি কি না কি করবেন করবেন তিনি ভেবে পেলেন না।ঈশান গটগট পায়ে ঈশাকে নিয়ে দোতলার দিকে গেলো।একটি ফাঁকা কক্ষে ঈশাকে এনে দাঁড় করালো সে।দ্রুত এসি ছেড়ে রুমটা পরখ করে বলে,
” ঠিক আছে?এই রুমে থাকতে পারবে তো?নাকি আমার রুমে যাবে?”
ঈশান আড় চোখে তাকালো ঈশার দিকে মেয়েটা দাঁতে দাঁত চেপে তাকিয়ে আছে মেঝেতে।মেয়েটাকে রাগিয়ে দিতে ঈশান পুনরায় বলে,
” না থাক এখন আমার রুমে গিয়ে কাজ নেই যখন যাওয়ার হবে তখন তুমি যেতে না চাইলেও আমি নিয়ে যাব।”
” আপনি বুঝতে কেন পারছেন না আমি থাকবো না আপনার সাথে।”
” কি বললে?আমার রুমে থাকতে চাও?ঈশা তুমি অনেক দুষ্টু হয়ে যাচ্ছ।”
” আরে বয়রা নাকি?”
” কি বললে খিদে পেয়েছে?দাঁড়াও আমি ব্যবস্থা করছি।”
ঈশান যেতে উদ্যত হলে তার পথ রুদ্ধ করে ঈশা।ছেলেটার বুকে থাবা মে রে সরিয়ে রাগ নিয়ে বলে,
” কি শুরু করেছেন আপনি?আমার ইচ্ছার অনিচ্ছার কোন দাম নেই আপনার কাছে?”
” তুমি কেন যেতে চাইছো সেটা আগে বলো।”
” কোন চরিত্রহীনের সাথে থাকতে চাই না আমি।”
” সত্যটা না জেনে আমার চরিত্রে তুমিও দাগ লাগিয়ে দিচ্ছো?”
” কোন কিছু অজানা নয় আমার কাছে সবটা জানি আমি।”
” যা জান সব একপক্ষের আমার টা শুনবে কে তবে?সব জানতে পারবে একটু অপেক্ষা করো তোমার এই উত্তেজিত মস্তিষ্কে আমার কোন কথাই ঢুকবে না।আগে মাথা ঠান্ডা করো।”
” শুনতে চাই না আমি যা বোঝার বুঝে নিয়েছি।আমার এখন মনে হচ্ছে আপনি প্রতিশোধ নিতে আমায় বিয়ে করতে চাইছেন।পদে পদে আপনাকে অপমান করার শোধ নিতে চাইছেন তো?”
” দুই লাইন বেশি বোঝা কি তোমার বদ অভ্যসে তৈরি হয়েছে?”
” ঈশান..”
“আমি কোন কথা শুনতে চাই না।থাকো তুমি আমাকে এবার স্বস্তি দাও শান্তি দাও যা কথা হবে কাল সকালে হবে।”
ঈশান দ্রুত বেরিয়ে যায় কক্ষ ছেড়ে যাওয়ার আগে বাইরে থেকে ঈশার দরজা লাগিয়ে দিতে ভুললো না।অপরদিকে মাহমুদাকে জানিয়ে রাখা হলো সে যেন ঈশার কক্ষে না যায়।প্রচন্ড রাগ আর বিরক্তি নিয়ে ঈশান চলে গেলো নিজের কক্ষে।
.
ঈশান তার কক্ষের দ্বার রুদ্ধ করার অপেক্ষায় ছিলেন মাহমুদা।ঘড়ির কাটা এসে থামলো চারের ঘরে।নিশব্দে ঈশার কক্ষে প্রবেশ করেন মাহমুদা।মেয়েটা মাথায় রাত রেখে কাঁদছে দরজায় মাহমুদাকে দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সে।
” ঈশা তোমার কি হয়েছে?”
” আমি চলে যাব আন্টি আমার যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন দয়া করে আমি আপনার পায়ে…”
ঈশা মাহমুদার পা ধরার আগে তিনি ছিটকে সরে যান।মেয়েটাকে আগলে নেন নিজের কাছে।
” কি হয়েছে তোমার?ঈশান কিছু বলেছে?আমায় বলো ছেলেটার ব্যবস্থা আমি করছি।”
” আপনার আড়ালে আপনার ছেলে কি করে বেড়ায় আপনি জানেন?”
ঈশা একে একে সবটা বললো প্রথমে মাহমুদা কিছুতেই কথাগুলো বিশ্বাস করতে চাননি কিন্তু যখন ঈশা বললো ঈশান রেপিস্ট তখনি কলিজাটা ছিন্নভিন্ন হলো তার।
” মিথ্যা অপবাদ আমার ছেলেকে তুমি দিও না।”
” আমি মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছি?তার কাছের মানুষেরাই তার নামে অভিযোগ জানাচ্ছে।ঈশান আমাকে বলেছে তার বাবার সাথে তার সম্পর্ক ভালো নয় কেন ভালো নয়?কারণ ঈশান অন্যয় করেছে ঈশান একজন রেপিস্ট।”
” আমার ঈশান অন্যয় করেনি।না জেনে এসব বলছো যখন প্রমাণ হবে সবটা মিথ্যে তখন কি করবে?”
” ঈশান যে অয়ন ভাইকে গুম করেছিল এসব কিন্তু আমার পরিবার জেনে গেছে তারা এই সম্পর্ক মানবে না।হাজার বাহানা দিয়েও সম্পর্ক জোড়াতালি দেওয়া সম্ভব নয়।”
” আমার তো মনে হচ্ছে এই সম্পর্ক তুমি ভাঙ্গতে চাইছো।যদি ভেঙ্গে যাও তবে সত্যটা জেনে নাও ঈশানের ফুফাতো বোনের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই ওরা বন্ধুর মতো চলাফেরা করেছে কিন্তু ওই মেয়ের চরিত্রের….”
” চুপ করুন আর কত সত্যকে আড়াল করবেন আন্টি?নিজের ছেলেকে বাঁচাতে একটা মেয়ের চরিত্রে দাগ দিচ্ছেন?”
” তুমি আমার ছেলের যোগ্য নও।চলে যাবে তো?যাও আমি তোমার যাওয়ার ব্যবস্থা করবো।”
রাত বাড়লো চারিদিকে স্তব্ধ পরিবেশ। ঈশার প্রতি যে ক্ষোভ জমা হয়েছে মাহমুদার তা হয়তো সহজে মিটবে না।তিনি নিজ দায়িত্বে দারোয়ানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে ঈশাকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করলো।ছাড়া পেয়ে ঈশা এক দৌড়ে আঁধারে মিলিয়ে গেলো।মাহমুদা তাকিয়ে রইলেন মেয়েটার দিকে মনে মনে বললেন,
” অন্তত সবটা শুনে যেতে।আমার ছেলের চরিত্রের দোষ নেই এই কথা আমি কাকে বোঝাবো?”
মাহমুদা দীর্ঘ আক্ষেপ নিয়ে গেটে বন্ধ করলেন।নিজ কক্ষের ঝুলন্ত বারান্দা থেকে সবটা দেখলো ঈশান।অন্ধকার বারান্দায় তাকে দেখতে পায়নি মাহমুদা যদি দেখতে পেতো তাহলে এক নিমিষে তার অন্তর আত্মা কাঁপিয়ে দিত ঈশানের ওই রক্তিম চোখের তীর্যক চাহনিতে।
৭৯.
শম্পা ইতিমধ্যে মুজাহিদ হাসানকে জানিয়ে দিয়েছে ঈশাকে নিয়ে গেছে ঈশান আর এই ঘটনা জানার পর অস্থিরতা কমছে না তার।ভয়ে বার বার শুকিয়ে যাচ্ছে গলদেশ।মেয়ের শোকে কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা গেছেন সুলতানা।তাদের এই লুকোচুরি খেলার ভবিষ্যত কি?নিজেরা ভেবেও এর সমাধান পাননা তারা।
গালে অন্য কারো স্পর্শে কেঁপে উঠলো ঈশা।পিটপিট চোখে তাকাতে সম্মুখে ঈশানকে দেখে ঘুরে অন্য পাশে শুয়ে পড়লো।ঈশার কান্ডে কিঞ্চিৎ হাসলো ঈশান তবুও বিরক্ত করা ছাড়লো না ঈশাকে পুনরায় গালে চুলে বুলিয়ে দিল অবাধ্য হাত।ঈশা বিরক্ত হলো দ্রুত উঠে বসে চোখ মুখ কুচকে তাকালো ঈশানের দিকে।
” আমার জিন্দেগী জাহান্নাম বানিয়ে কি ক্ষান্ত হননি?এখন আবার কি শুরু করেছেন?”
” এক ঘুমে দুপর করেছো এবার উঠে যাও।আমার ঘুম হারাম করে তুমি আরামে ঘুমাচ্ছো?মনে কি দয়া মায়া নেই তোমার?”
” আমি আপনার ঘুম হারাম করেছি?আর আপনি যে আমার জীবনটা রসাতলে ডুবিয়ে দিলেন।”
” ওসব কথা ছাড়ো।কি ভেবেছিলে শাশুড়ী পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে আর শাশুড়ীর ছেলে কিচ্ছু জানবে না?গেমটা কেমন খেললাম জান?”
ঈশা প্রত্যুত্তর করলো না।অপন মনে তাকালো জানলার বাইরে।গতকাল রাতে ঈশানের বাড়ি ছেড়ে দৌড়তে দৌড়তে আচমকা হোচট খায় সে।হঠাৎ কয়েকজন অপরিচিত লোক এসে তার হাত মুখ বেঁধে দিলো তুলে নিলো গাড়িতে।বেশ কয়েক ঘন্টা পর গাড়িতে উপস্থিত হয় ঈশান।তারপর পালটে গেলো তাদের গন্তব্য।বার বার ঈশানের কাছে হেরে যেন নত স্বীকার করেছে ঈশা কিন্তু আদৌ কি তা সত্যি?
ওয়াশরুম ছেড়ে বারান্দায় দাড়ালো ঈশা দূর দুরান্তে কয়েকটি বিল্ডিং ছাড়া আর মানুষজনের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে না।নয় তলা একটি ভবনে সে মানুষের দেখা পাবে কি করে?গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিলেও হয়তো শুনবে না।আজকের আকাশে কালো মেঘ জমেছে গাঢ় মেঘ।ওড়নার সাহায্যে ভেজা মুখটা মুছলো ঈশা।আকস্মিক উদরে কারো হাত ছোঁয়ায় চমকে গেল সে।এই হাত ঈশানের বুঝতে সময় লাগলো না তার ঈশানের হাত ছাড়িয়ে সরে গেলো দূরে।
” ঈশান!”
” চরিত্রহীনরা মাঝে মাঝে এমন অসভ্যতা করে এটা কোন ব্যপার না।”
ঈশানের সূক্ষ্ম খোঁচা বুঝতে পারলো ঈশা।বারান্দা ছেড়ে কক্ষে ফিরলো সে পুরো রুমটা গোছগাছ অন্য রকম সৌন্দর্যে ঘেরা।
” এটা রাসেলের ফ্লাট আর আপাতত আমাদের বুঝলে?”
” না বুঝিনি।”
” ঠিক আছে কাছে আসো পাশে বসো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।আসো না।”
ঈশানের কথায় বিরক্ত হওয়ার ভাব দেখালো ঈশা।উঠে গিয়ে পুরো ফ্লাটটা ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নিলো।এখান থেকে যে তার পালানো হবে না তাতে সে সুনিশ্চিত কিন্তু এই ঈশানের জীবনটা ছারখার করে দিতে হবে এতটাই ছারখার করবে যে ঈশান তার নাম শুনলে বিরক্ত হয়।
” কি ভাবছো পালাবে?”
” নাহ আমি ভাবছি আপনার ওই নোংরা চোখের আড়াল হবো কি করে।আপনার ওই নোংরা চোখের নোংরা দৃষ্টি আর কয় জনের উপর নিক্ষেপ করেছেন ঈশান?”
” কসম করছি যদি ওই নোংরা দৃষ্টিতে দেখার স্বাদ জাগে তবে আমি শুধু তোমাকেই দেখবো বিকজ,ওয়ান্ট টু লস মাই ভার্জিনিটি টু মাই লাভড ওয়ান।
ঈশানের শেষোক্ত বাক্যে হোচট খেল ঈশা।লজ্জায় লাল হয়ে উঠলো তার মুখ, দু’কান কেমন ঝাঝা করছে মনে হচ্ছে গরম ধৌয়া উঠছে।এই ছেলের সামনে আর এক মুহূর্তেও না।
#চলবে___